Ajker Patrika

ঘুষ নেওয়া ও সেবা না দেওয়ার অভিযোগ ইসলামপুর থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১৩: ৫৯
ঘুষ নেওয়া ও সেবা না দেওয়ার অভিযোগ ইসলামপুর থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে

জামালপুরের ইসলামপুর থানায় কর্মরত এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকাজে ঘুষ নেওয়া ও সেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতিকার চেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বরাবর এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

ইসলামপুর থানায় কর্মরত অভিযোগ ওঠা এসআই হলেন মো. আব্দুল কাদির খন্দকার। অভিযোগ দেওয়া ব্যবসায়ী হলেন আকুল হোসেন। তিনি ইসলামপুর পৌর শহরের মার্কাজ মসজিদ রোডের বিজয় ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এবং পার্শ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার দুরমোঠ ইউনিয়নের কলাবাঁধা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের হাড়িয়াবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মলমগঞ্জ পোলট্রি ফার্মের মালিক জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট পৌর শহরের মার্কাজ মসজিদ রোডের আকুল হোসেনের বিজয় ট্রেডার্স নামের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে মুরগি ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নগদ টাকায় এবং বাকিতে কিনে আসছিলেন। একপর্যায়ে মালামাল কেনা বাবদ জাহাঙ্গীর আলম সম্রাটের কাছে ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা পান আকুল হোসেন। কিন্তু তাঁকে পাওনা টাকা দিতে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছিলেন সম্রাট। টাকা চাওয়ার একপর্যায়ে আকুল হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন সম্রাট। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলম সম্রাটকে বিবাদী করে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসলামপুর সিআর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আকুল হোসেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান এসআই আব্দুল কাদির। তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আকুল হোসেনের কাছে এসআই আব্দুল কাদির ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে কাজ হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। আকুল হোসেন প্রথমে ২ হাজার টাকা এসআই আব্দুল কাদিরকে দেন। কিন্তু কম টাকায় কাজ হবে না বলে আকুল হোসেনকে জানিয়ে দেন ওই এসআই। একপর্যায়ে অনেকটাই বাধ্য হয়ে আকুল হোসেন ওই এসআইকে ৬ হাজার টাকা দেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় বিবাদীর পক্ষাবলম্বন করে মামলায় সাক্ষীদের মতামত না নিয়ে এসআই আব্দুল কাদির আদালতে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

অভিযোগপত্র সূত্রে আরও জানা গেছে, চারটি ধারায় বিবাদীর বিরুদ্ধে আকুল হোসেন মামলা করলেও মাত্র একটি ধারা বিবাদীর বিরুদ্ধে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিবাদী সম্রাটের কাছে বকেয়া ৭ লাখ ৪৭ টাকার বদলে ১ লাখ ১৩ টাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করলেও বিবাদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারা আনেননি এসআই আব্দুল কাদির খন্দকার। তবে বিবাদীর বিরুদ্ধে ৫০৬ ধারার অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে। টাকা নিয়েও সঠিক প্রতিবেদন না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলায় আকুল হোসেনকে এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতির হুমকি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। 

ভুক্তভোগী অভিযোগকারী ব্যবসায়ী আকুল হোসেন বলেন, ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আমার কাছে এসআই আব্দুল কাদির ২০ হাজার টাকা দাবি করলে অনেকটাই বাধ্য হয়ে দুই দফায় তাঁকে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছি। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না দেওয়ায় বিবাদীর পক্ষাবলম্বন করে মামলার সাক্ষীদের মতামত গ্রহণ না করে আদালতে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এসআই আব্দুল কাদির খন্দকার। এতে আমি ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।’ 

অভিযোগের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির খন্দকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আইন অনুযায়ী তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমি নির্দোষ।’ 

ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিত দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসআই আব্দুল কাদির খন্দকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অনেকগুলো অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা অভিযোগকারীকে ডাকব। অভিযোগের বিষয়ে বাদীসহ সাক্ষীদের কাছে বিস্তারিত শুনব। তারপর আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, ১০ শিশুসহ দগ্ধ ১৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যুবকের

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।

মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।

জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামলা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।

জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত