Ajker Patrika

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পাশে নিয়ে তাঁরই পদত্যাগ চাইলেন সাদিক কায়েম

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৯
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সাদিক কায়েম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সাদিক কায়েম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি।

আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি জানান তিনি।

এর আগে তিন দফা দাবি নিয়ে সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ডাকসু ভিপি বলেন, ‘তিন দফা দাবি নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছি। এই দাবি অবিলম্বে না মানা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখাতে পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’ এ সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম।

দাবিগুলো হলো—

১. আমাদের ভাই ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সব সংশ্লিষ্ট অর্গানকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এই হামলাকে সমর্থন জুগিয়েছে, হাদি ভাই ও জুলাই বিপ্লবীদের হত্যাযোগ্য করে তুলেছে, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে। এসব ব্যবস্থা অবিলম্বে দৃশ্যমান করতে হবে।

. আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ লীগের বিরুদ্ধে এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান শুরু করতে হবে। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবহেলা আমরা আর সহ্য করব না।

৩. ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ও অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রদত্ত রায় কার্যকর করতে হবে। গণহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফেরত না দেওয়ার আগপর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না।

এসব দাবি অবিলম্বে না মানা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখাতে পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।

গত শুক্রবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন পুরানা পল্টন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দেশে নৈরাজ্যের অভিযোগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন। এর অংশ হিসেবে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ-মিছিল শুরু হয়। ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেয়।

ছাত্র-জনতা বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে দোয়েল চত্বরে এসে প্রথম পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যায়। এরপর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দফা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এই ব্যারিকেডও ভেঙে ছাত্র-জনতা মূল সড়কে চলে আসে। পরে মূল বিক্ষোভকারীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থানকালে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চবি উপ-উপাচার্যের পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই: নাছির উদ্দীন

নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট 
শাবিপ্রবিতে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ঘোষণা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাবিপ্রবিতে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ঘোষণা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্যের তাঁর পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

আজ সোমবার সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ বাধা দিয়েছেন এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল চিহ্নিত যারা আত্মস্বীকৃত রাজাকার, তাদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।’

নাছির বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন, বুদ্ধিজীবী দিবস বা বিজয় দিবস পালনের যে আবহ থাকে, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সেই আবহ কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধজীবী দিবস স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন হয়নি। বিজয় দিবস পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যে স্বতঃস্ফূর্ততা, তা কিন্তু আমরা এখানে লক্ষ করছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা দেখছি না।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর প্রতিবাদে ছাত্রদল গতকালই সেখানে মিছিল করেছে। আমরা মনে করি, উনার এই বক্তব্যের পরে এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। উনার বিরুদ্ধে অবশ্যই ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত।’

মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে নিশ্চিত পরাজয় জেনে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক–বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে পাক বাহিনী।

‘শুধু বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই পাক হানাদার বাহিনী এই কাজ করেছে। এটি হয়েছে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, তা ইতিহাসের মাধ্যমে প্রমাণিত। আপনারা লক্ষ করবেন, গত কয়েক দিনের আলাপ-আলোচনায় তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপ-উপাচার্য কীভাবে এমন একটি বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমরা শুনেছি, অতীতে তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক যে, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির, তারা কখনো স্বাধীনতার স্পিরিটকে ধারণ করে নাই। তারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিল।’

নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, তিনি এটা ধারণ করেন, জামায়াতে ইসলামীকে শুধু ধারণ করেন। বিগত পাঁচ দশকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে দিবসগুলো পালন করা হয়েছিল, এবার কিন্তু সেভাবে পালন করা হচ্ছে না।

‘এটির একটিই কারণ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যাদের উপাচার্য, সহউপাচার্য অথবা রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়েছে, তারা একটি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামের ম্যান্ডেটকে গ্রহণ করে। শুধু সেই ম্যান্ডেট অনুসারে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্ত্রীকে ‘ভাবি’ বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন, ছেলেকে বানিয়েছেন ভাতিজা

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ভাতা বন্ধ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযুক্ত মাহাবুব আলম উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ২০২১ সালে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছোট ভাই মাহাবুব আলম ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে নিজের স্ত্রী রাশু আক্তারকে বড় ভাই আবুল কালামের স্ত্রী হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন শুরু করেন। সে সঙ্গে তিনি নিজের ছেলে জিহাদুল আলমকে মৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেন। চলতি বছর শফি উদ্দীন নামের এক বাসিন্দা এলাকাবাসীর পক্ষে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আত্মসাৎ করা সরকারি অর্থ ফেরত আনা এবং প্রতারণার দায়ে মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন ইউএনও। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওর কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও ফারহানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তাদের এখতিয়ার।

অভিযোগকারী শফি উদ্দীন বলেন, ভাতা বন্ধ হওয়াটা স্বস্তির হলেও এখন পর্যন্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল না হওয়ায় তাঁরা এখনো পার পেয়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবি ভিসির ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আস-সুন্নাহর মেধাবী প্রজেক্টের শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
উপাচার্য ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপাচার্য ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) আন্দোলনকারীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁরা আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার দাবি জানান।

‎বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, ‘আমরা আস-সুন্নাহতে ফ্রিতে থাকি না, আমাদের কিছু নিদিষ্ট অর্থ দিতে হয়। আমাদের সিটটা অনিশ্চিত, যেকোনো সময় বের করে দিতে পারে। আমাদের বিশেষ বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তাই আমাদের এই আন্দোলন।’  

‎ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের তিন দফা দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি না মানা হবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব।’

‎শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো— ‎আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা; আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ রাখার লক্ষ্যে সিলেকশন মানদণ্ডে আরোপিত ৭০% উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; রি-অ্যাডমিশনসংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।

‎এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশেষ বৃত্তি নীতিমালায় সংযোজিত অযৌক্তিক শর্তগুলোর সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন আস-সুন্নাহ প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আজ ভিসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাঁরা।

‎উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিয়মিত পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক চারটি ও স্নাতকোত্তর একটি) শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন। বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে অসচ্ছলতা, মেধা, শ্রেণি-উপস্থিতি ও ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া, সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গ, পুনর্ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবেন বলে জানানো হয় নীতিমালায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনাপোলে ভারতীয় ট্রাকে কোটি টাকার অবৈধ পণ্য

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
জব্দ করা পণ্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা পণ্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ট্রাকটির সিলগালা ভেঙে তল্লাশি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা ট্রাকটি থামতে বললে বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে ভারতীয় ট্রাকটি (নম্বর HR-3811248) ফেলে পালিয়ে যান চালক।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাকিবুর রহমান জানান, প্রাথমিক পরীক্ষণে গাড়ির ভেতর ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, শাড়ি, থ্রি-পিস ও বাজি (পটকা) পাওয়া গেছে।

অবৈধ পণ্যের চালানটি ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পণ্যটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি। তবে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, অবৈধ পণ্যের চালানের মালিক আমদানিকারক রাইস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাস্টমসের এক শ্রেণি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বেড়েছে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি। অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ায় কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ পথে পণ্য পাচার। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত