সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন অবস্থায় নগরীর এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) গার্ডার ধসে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলায় ২০১৪ সালে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর সাত বছরেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। ফ্লাইওভার ট্র্যাজেডি হিসেবে আখ্যায়িত চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় আসামিরাও সবাই বাইরে।
২০১৪ সালে ১৮ জুন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটিতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। অভিযুক্তরা সবাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক। তখনই নির্মাণের তদারকির সঙ্গে যুক্ত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তাদের নাম প্রভাব খাটিয়ে মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতে চার্জ গঠন থেকে শুরু করে কয়েকজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। পরে সবাই জামিনে বেরিয়ে যান। সম্ভবত গত বছর লকডাউনের আগে মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা আদালত থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তরিত হয়। তবে কোন আদালতে মামলাটি নেওয়া হয়েছে তা এখন মনে নেই। মামলাটি অনেক পুরোনো। তাই ঠিকমতো মনে করতে পারছি না।’ এমনকি এর ফাইল কোথায় আছে তা-ও বলতে পারেননি।
তবে গতকাল বিকেলে পিপির জুনিয়র আইনজীবী সাব্বির আহমেদ জানান, মামলাটিতে (দায়রা নম্বর ১০০০/১৪) রাষ্ট্রপক্ষ এ পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছেন। ২০২০ সালে মামলাটি চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। মামলাটির পরবর্তী তারিখ ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি।
চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ হোসেন নথি দেখে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ মামলা ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর আমাদের আদালতে বদলি হয়ে আসে। এ মামলায় মোট ২৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে। মামলার সব আসামিই জামিনে রয়েছেন।’ এ মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটি কোন আদালতে আছে তা বলতে পারছি না। সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে এ মামলার কোনো বিচার কার্যক্রম চলেনি।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মামলাটি অনেক পুরোনো। অনেক ফাইল ঘেঁটে খুঁজে বের করে দেখতে হবে মামলাটি এখন কোথায় আছে। এর জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। আমাদের নথিব্যবস্থা তো কম্পিউটারাইজড নয়।’
চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার জানামতে, এ ধরনের কোনো মামলা সিএমএম কোর্টগুলোতে স্থানান্তর করা হয়নি।’
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্মাণাধীন ওই ফ্লাইওভারের ১২ ও ১৩ নম্বর গার্ডার ধসে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন। তবে বেসরকারি হিসেবে এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বাদী হয়ে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারের জন্য পাঠান মহানগর দায়রা জজ আদালতে। ২০১৪ সালের ৩ জুন অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি। ১৮ জুন নারাজি আবেদন খারিজ করে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ১৬ জুলাই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী তখন বলেছিলেন, ‘আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির মতামত নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার কোনো মতামত নেননি। এমনকি অভিযোগপত্রে কোনো ত্রুটি আছে কি না, আদালতে উপস্থাপনের আগে খতিয়ে দেখেনি পুলিশের প্রসিকিউশন শাখাও।’
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অভিযোগপত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমসের তৎকালীন প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, একই প্রতিষ্ঠানের মনজুরুল ইসলাম, আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে মামলার এজাহারে থাকা আসামি সিডিএর প্রকল্প পরিচালক এ এ এম হাবিবুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, এম এ মতিন, তানজিব হোসেন, সালাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, হোসাইন আহমেদ, শাহ জাহান, আবদুল হান্নান, আবছার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, বাবুল কুমার বিশ্বাস, অরুণ কুমার বিশ্বাস, আবদুল খালেক মিয়া, বায়েজীদ মীর কামাল, মেজবাহুল কবির, সাইদুর রহমান, সোহেল হাছান, তৌহিদুর রহমান ও তারেক মাহমুদকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর অভিযোগ, সিডিএর তৎকালীন চেয়ারম্যান তদন্ত চলাকালীন এই মামলায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন অবস্থায় নগরীর এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) গার্ডার ধসে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলায় ২০১৪ সালে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর সাত বছরেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। ফ্লাইওভার ট্র্যাজেডি হিসেবে আখ্যায়িত চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় আসামিরাও সবাই বাইরে।
২০১৪ সালে ১৮ জুন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটিতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। অভিযুক্তরা সবাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক। তখনই নির্মাণের তদারকির সঙ্গে যুক্ত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তাদের নাম প্রভাব খাটিয়ে মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতে চার্জ গঠন থেকে শুরু করে কয়েকজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। পরে সবাই জামিনে বেরিয়ে যান। সম্ভবত গত বছর লকডাউনের আগে মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা আদালত থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তরিত হয়। তবে কোন আদালতে মামলাটি নেওয়া হয়েছে তা এখন মনে নেই। মামলাটি অনেক পুরোনো। তাই ঠিকমতো মনে করতে পারছি না।’ এমনকি এর ফাইল কোথায় আছে তা-ও বলতে পারেননি।
তবে গতকাল বিকেলে পিপির জুনিয়র আইনজীবী সাব্বির আহমেদ জানান, মামলাটিতে (দায়রা নম্বর ১০০০/১৪) রাষ্ট্রপক্ষ এ পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছেন। ২০২০ সালে মামলাটি চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। মামলাটির পরবর্তী তারিখ ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি।
চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ হোসেন নথি দেখে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ মামলা ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর আমাদের আদালতে বদলি হয়ে আসে। এ মামলায় মোট ২৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে। মামলার সব আসামিই জামিনে রয়েছেন।’ এ মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটি কোন আদালতে আছে তা বলতে পারছি না। সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে এ মামলার কোনো বিচার কার্যক্রম চলেনি।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মামলাটি অনেক পুরোনো। অনেক ফাইল ঘেঁটে খুঁজে বের করে দেখতে হবে মামলাটি এখন কোথায় আছে। এর জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। আমাদের নথিব্যবস্থা তো কম্পিউটারাইজড নয়।’
চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার জানামতে, এ ধরনের কোনো মামলা সিএমএম কোর্টগুলোতে স্থানান্তর করা হয়নি।’
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্মাণাধীন ওই ফ্লাইওভারের ১২ ও ১৩ নম্বর গার্ডার ধসে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন। তবে বেসরকারি হিসেবে এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বাদী হয়ে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারের জন্য পাঠান মহানগর দায়রা জজ আদালতে। ২০১৪ সালের ৩ জুন অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি। ১৮ জুন নারাজি আবেদন খারিজ করে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ১৬ জুলাই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী তখন বলেছিলেন, ‘আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির মতামত নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার কোনো মতামত নেননি। এমনকি অভিযোগপত্রে কোনো ত্রুটি আছে কি না, আদালতে উপস্থাপনের আগে খতিয়ে দেখেনি পুলিশের প্রসিকিউশন শাখাও।’
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অভিযোগপত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমসের তৎকালীন প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, একই প্রতিষ্ঠানের মনজুরুল ইসলাম, আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে মামলার এজাহারে থাকা আসামি সিডিএর প্রকল্প পরিচালক এ এ এম হাবিবুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, এম এ মতিন, তানজিব হোসেন, সালাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, হোসাইন আহমেদ, শাহ জাহান, আবদুল হান্নান, আবছার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, বাবুল কুমার বিশ্বাস, অরুণ কুমার বিশ্বাস, আবদুল খালেক মিয়া, বায়েজীদ মীর কামাল, মেজবাহুল কবির, সাইদুর রহমান, সোহেল হাছান, তৌহিদুর রহমান ও তারেক মাহমুদকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর অভিযোগ, সিডিএর তৎকালীন চেয়ারম্যান তদন্ত চলাকালীন এই মামলায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।

নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক তিনটি চুরির ঘটনায় দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখের বেশি টাকা এবং এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। উপজেলার একডালা গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে এবং আবাদপুকুর হাট এলাকার হক ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই
৩২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের চেম্বারে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় নাশকতার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সীমানা বেড়ার ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে ওই বিএসএফ সদস্যকে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক তিনটি চুরির ঘটনায় দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখের বেশি টাকা এবং এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
উপজেলার একডালা গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে এবং আবাদপুকুর হাট এলাকার হক ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম জানান, সপ্তাহের প্রতি রবি ও বুধবার আবাদপুকুর হাট বসে। রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে হাটসংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধান কেনাবেচা করছিলেন তাঁরা। এ সময় ধান বিক্রেতাদের ভিড়ের সুযোগ নিয়ে চোরেরা অফিসের ক্যাশ ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অন্যদিকে উপজেলার বড়িয়াপাড়া গ্রামের ভোলা সরদারের ছেলে এবং বড়িয়াপাড়া ট্রেডার্সের মালিক ধান ব্যবসায়ী ফরিদ সরদার জানান, রোববার ভোরে মোটরসাইকেলে করে আবাদপুকুর বাজারে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান তিনি। ধান কেনার টাকাভর্তি একটি ব্যাগ মোটরসাইকেলে রেখে ঘরের তালা খুলতে যান। তবে তালার ভেতরে কে বা কারা কিছু ঢুকিয়ে রাখায় তালা খুলছিল না। পরে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে মোটরসাইকেলের কাছে ফিরে দেখেন, ব্যাগসহ ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল রাতে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কৃষক মারুফ হোসেনের গোয়ালঘরের তালা কেটে তিনটি গরু চুরি করা হয়েছে। মারুফ হোসেন ওই গ্রামের আজিজার রহমান ফুলবরের ছেলে। তিনি জানান, গতকাল রাতে গোয়ালঘরে চারটি গরু রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখেন, চারটির মধ্যে তিনটি গরু নেই। চুরি হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, চুরির ঘটনাগুলোর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক তিনটি চুরির ঘটনায় দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখের বেশি টাকা এবং এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
উপজেলার একডালা গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে এবং আবাদপুকুর হাট এলাকার হক ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই খাইরুল ইসলাম জানান, সপ্তাহের প্রতি রবি ও বুধবার আবাদপুকুর হাট বসে। রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে হাটসংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধান কেনাবেচা করছিলেন তাঁরা। এ সময় ধান বিক্রেতাদের ভিড়ের সুযোগ নিয়ে চোরেরা অফিসের ক্যাশ ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অন্যদিকে উপজেলার বড়িয়াপাড়া গ্রামের ভোলা সরদারের ছেলে এবং বড়িয়াপাড়া ট্রেডার্সের মালিক ধান ব্যবসায়ী ফরিদ সরদার জানান, রোববার ভোরে মোটরসাইকেলে করে আবাদপুকুর বাজারে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান তিনি। ধান কেনার টাকাভর্তি একটি ব্যাগ মোটরসাইকেলে রেখে ঘরের তালা খুলতে যান। তবে তালার ভেতরে কে বা কারা কিছু ঢুকিয়ে রাখায় তালা খুলছিল না। পরে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে মোটরসাইকেলের কাছে ফিরে দেখেন, ব্যাগসহ ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল রাতে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কৃষক মারুফ হোসেনের গোয়ালঘরের তালা কেটে তিনটি গরু চুরি করা হয়েছে। মারুফ হোসেন ওই গ্রামের আজিজার রহমান ফুলবরের ছেলে। তিনি জানান, গতকাল রাতে গোয়ালঘরে চারটি গরু রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখেন, চারটির মধ্যে তিনটি গরু নেই। চুরি হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, চুরির ঘটনাগুলোর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন অবস্থায় নগরীর এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) গার্ডার ধসে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন। এ ঘটনার দায়ের হওয়ার মামলায় ২০১৪ সালের অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর ৭ বছরেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। ফ্লাইওভার ট্র্যাজেডি হিসেবে আখ্যায়িত চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় আসামিরাও সবাই বাইরে।
২৭ অক্টোবর ২০২১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের চেম্বারে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় নাশকতার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সীমানা বেড়ার ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে ওই বিএসএফ সদস্যকে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের চেম্বারে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সময়সীমা অনুযায়ী ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ ও উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীবের সিদ্ধান্তে তাঁদের মেয়ার বাড়ানো হয়। তবে তাঁদের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাউদ্দিন আম্মার।
আম্মার বলেন, ‘জুলাইয়ের সময় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে দাঁড়ানো শিক্ষকদের ডকুমেন্টসসহ আমরা তালিকা করেছি। আওয়ামীপন্থী যে ডিনরা আছেন, সেই ডিনদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তাঁদের সবাইকে কল দেওয়া হয়, তবে তাঁদের কেউই ক্যাম্পাসে নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছুটি ও ক্লাস ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ এবং হত্যা মামলার আসামি হয়েও শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকা আমরা মেনে নিতে পারি না। রাজনৈতিক পরিচয় নয়, ন্যায়বিচারই আমাদের দাবি। আমরা অন্যদের সাথে মিলিয়ে চূড়ান্ত এই তালিকা প্রকাশ করব এবং সেই অনুযায়ী তাদের পদত্যাগে বাধ্য করাব।’
পরে আম্মার ফেসবুক পোস্টে বলেন, আওয়ামীপন্থী ৬ জন ডিনের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা দায়িত্বে থাকবেন না বলে ভিসিকে জানিয়েছেন। সাবেক ভিসি, প্রো-ভিসি ক্লাস নেওয়ার খবর পেয়ে তিনি গিয়েছিলেন, তাঁরাও একপ্রকার পলাতক। জুলাইয়ে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান করা শিক্ষকদের তালিকা করছেন বলেও জানান আম্মার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি আকিল বিন তালেব বলেন, ‘আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শহীদ হাদি ভাই আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন, আমাদের সেই পথ অনুসরণ করতে হবে। বিপ্লবের এক বছর পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরেরা আজও ক্যাম্পাসে নিরাপদ, অথচ আমাদের বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া মানুষেরা রাস্তায় গুলি খেয়ে জীবন দিচ্ছে। তাই আমরা চাই, কোনো ফ্যাসিবাদের দোসর যেন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে না পারে। রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাবি প্রশাসন আসলেও বিপ্লবের স্পিরিট তারা ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আকিল বিন তালেব আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য ব্যানার ধরা ফ্যাসিস্টের দোসরদের তারা এখনো বিচার করতে পারেনি। আমরা প্রশাসনকে সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা এই ফ্যাসিস্টদের পদত্যাগ করাইতে পারেনি, তাই আমরা অভ্যুত্থানের শক্তিরা আজ এই ফ্যাসিস্টদের পদত্যাগ করাইতে বাধ্য হচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিনদের মেয়াদ শেষ হলেও সমাবর্তন, সামনে ভর্তি পরীক্ষাসহ নানা কারণে তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সামনে পরীক্ষা রেখে একজন তাঁদের অব্যাহতি দেওয়াটা অনেক জটিলতা তৈরি করবে। তবে উপাচার্য স্যার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের চেম্বারে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সময়সীমা অনুযায়ী ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ ও উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীবের সিদ্ধান্তে তাঁদের মেয়ার বাড়ানো হয়। তবে তাঁদের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাউদ্দিন আম্মার।
আম্মার বলেন, ‘জুলাইয়ের সময় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে দাঁড়ানো শিক্ষকদের ডকুমেন্টসসহ আমরা তালিকা করেছি। আওয়ামীপন্থী যে ডিনরা আছেন, সেই ডিনদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তাঁদের সবাইকে কল দেওয়া হয়, তবে তাঁদের কেউই ক্যাম্পাসে নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছুটি ও ক্লাস ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ এবং হত্যা মামলার আসামি হয়েও শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকা আমরা মেনে নিতে পারি না। রাজনৈতিক পরিচয় নয়, ন্যায়বিচারই আমাদের দাবি। আমরা অন্যদের সাথে মিলিয়ে চূড়ান্ত এই তালিকা প্রকাশ করব এবং সেই অনুযায়ী তাদের পদত্যাগে বাধ্য করাব।’
পরে আম্মার ফেসবুক পোস্টে বলেন, আওয়ামীপন্থী ৬ জন ডিনের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা দায়িত্বে থাকবেন না বলে ভিসিকে জানিয়েছেন। সাবেক ভিসি, প্রো-ভিসি ক্লাস নেওয়ার খবর পেয়ে তিনি গিয়েছিলেন, তাঁরাও একপ্রকার পলাতক। জুলাইয়ে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান করা শিক্ষকদের তালিকা করছেন বলেও জানান আম্মার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি আকিল বিন তালেব বলেন, ‘আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শহীদ হাদি ভাই আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন, আমাদের সেই পথ অনুসরণ করতে হবে। বিপ্লবের এক বছর পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরেরা আজও ক্যাম্পাসে নিরাপদ, অথচ আমাদের বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া মানুষেরা রাস্তায় গুলি খেয়ে জীবন দিচ্ছে। তাই আমরা চাই, কোনো ফ্যাসিবাদের দোসর যেন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে না পারে। রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাবি প্রশাসন আসলেও বিপ্লবের স্পিরিট তারা ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আকিল বিন তালেব আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য ব্যানার ধরা ফ্যাসিস্টের দোসরদের তারা এখনো বিচার করতে পারেনি। আমরা প্রশাসনকে সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা এই ফ্যাসিস্টদের পদত্যাগ করাইতে পারেনি, তাই আমরা অভ্যুত্থানের শক্তিরা আজ এই ফ্যাসিস্টদের পদত্যাগ করাইতে বাধ্য হচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিনদের মেয়াদ শেষ হলেও সমাবর্তন, সামনে ভর্তি পরীক্ষাসহ নানা কারণে তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সামনে পরীক্ষা রেখে একজন তাঁদের অব্যাহতি দেওয়াটা অনেক জটিলতা তৈরি করবে। তবে উপাচার্য স্যার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন অবস্থায় নগরীর এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) গার্ডার ধসে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন। এ ঘটনার দায়ের হওয়ার মামলায় ২০১৪ সালের অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর ৭ বছরেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। ফ্লাইওভার ট্র্যাজেডি হিসেবে আখ্যায়িত চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় আসামিরাও সবাই বাইরে।
২৭ অক্টোবর ২০২১
নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক তিনটি চুরির ঘটনায় দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখের বেশি টাকা এবং এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। উপজেলার একডালা গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে এবং আবাদপুকুর হাট এলাকার হক ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই
৩২ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় নাশকতার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সীমানা বেড়ার ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে ওই বিএসএফ সদস্যকে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় নাশকতার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
আগুনে পুড়ে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু এবং পরিবারের তিন সদস্য দগ্ধ হলেও ঘটনাটি নাশকতা কিনা সে ব্যাপারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।
গতকাল শনিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মিডিয়ায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘর পোড়ার যে তথ্য ছড়িয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো ‘মব’ বা সংগঠিত দুর্বৃত্তের সংযোগের আলামতও পুলিশ পায়নি।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রণজিৎ কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার কোনো আলামত আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন দাবি করেছেন, ‘ঘরের দুই দরজাই বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। আগুনের তীব্রতায় আমি টিনের বেড়া ফাঁকা করে স্ত্রী ও বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বের হতে পারলেও ছোট মেয়ে আয়েশাকে বাঁচাতে পারিনি। ধোঁয়ায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।’
গত শুক্রবার গভীর রাতে চরমনসা গ্রামের সূতারগোপ্তা এলাকায় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সাত বছরের আয়েশা আক্তার পুড়ে মারা যায়। দগ্ধ বেলাল হোসেন সদর হাসপাতালে এবং তাঁর দুই মেয়ে বীথি আক্তার (১৭) ও স্মৃতি আক্তার (১৪) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। বাইরে থেকে দরজায় তালা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে কোনো তথ্য বা প্রমাণ থাকলে তা সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় নাশকতার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
আগুনে পুড়ে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু এবং পরিবারের তিন সদস্য দগ্ধ হলেও ঘটনাটি নাশকতা কিনা সে ব্যাপারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।
গতকাল শনিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মিডিয়ায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘর পোড়ার যে তথ্য ছড়িয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো ‘মব’ বা সংগঠিত দুর্বৃত্তের সংযোগের আলামতও পুলিশ পায়নি।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রণজিৎ কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার কোনো আলামত আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন দাবি করেছেন, ‘ঘরের দুই দরজাই বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। আগুনের তীব্রতায় আমি টিনের বেড়া ফাঁকা করে স্ত্রী ও বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বের হতে পারলেও ছোট মেয়ে আয়েশাকে বাঁচাতে পারিনি। ধোঁয়ায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।’
গত শুক্রবার গভীর রাতে চরমনসা গ্রামের সূতারগোপ্তা এলাকায় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সাত বছরের আয়েশা আক্তার পুড়ে মারা যায়। দগ্ধ বেলাল হোসেন সদর হাসপাতালে এবং তাঁর দুই মেয়ে বীথি আক্তার (১৭) ও স্মৃতি আক্তার (১৪) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। বাইরে থেকে দরজায় তালা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে কোনো তথ্য বা প্রমাণ থাকলে তা সরবরাহের অনুরোধ জানিয়েছে।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন অবস্থায় নগরীর এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) গার্ডার ধসে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন। এ ঘটনার দায়ের হওয়ার মামলায় ২০১৪ সালের অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর ৭ বছরেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। ফ্লাইওভার ট্র্যাজেডি হিসেবে আখ্যায়িত চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় আসামিরাও সবাই বাইরে।
২৭ অক্টোবর ২০২১
নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক তিনটি চুরির ঘটনায় দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখের বেশি টাকা এবং এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। উপজেলার একডালা গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে এবং আবাদপুকুর হাট এলাকার হক ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই
৩২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের চেম্বারে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সীমানা বেড়ার ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে ওই বিএসএফ সদস্যকে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সীমানা বেড়ার ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে ওই বিএসএফ সদস্যকে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়। এ ঘটনায় বিজিবি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ডিএএমপি প্রধান পিলার ১ নম্বরের উপপিলার ৭ নম্বর-সংলগ্ন দহগ্রাম ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকা। অপর পাশে রয়েছে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের কচুলিবাড়ী থানার কারেঙ্গাতলি এলাকা। রোববার ভোরে ভারতের ১৭৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অর্জুন ক্যাম্পের টহল দলের সদস্য বেদ প্রকাশ ভারতীয় শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ ভেতরে ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় প্রবেশ করেন। এ সময় ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যের ব্যবহৃত একটি অস্ত্র (শটগান), দুটি গুলি, একটি ওয়্যারলেস সেট ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার রফিকুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আল দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফ সদস্য কনস্টেবল বেদ প্রকাশ বলেছে কুয়াশায় গরু পাচারকারীদের পিছু ধাওয়া করতে গিয়ে ভুল করে বাংলাদেশে ঢুকেছে। আটককৃত বিএসএফ সদস্যের অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্য সরঞ্জামাদিসহ আঙ্গোরপোতা ক্যাম্পে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করার কথা রয়েছে। বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে ওই বিএসএফ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করেছে এবং তাঁকে ফেরতের অনুরোধ করেছে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৫ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই বিএসএফ সদস্যের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সীমানা বেড়ার ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে ওই বিএসএফ সদস্যকে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়। এ ঘটনায় বিজিবি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ডিএএমপি প্রধান পিলার ১ নম্বরের উপপিলার ৭ নম্বর-সংলগ্ন দহগ্রাম ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকা। অপর পাশে রয়েছে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের কচুলিবাড়ী থানার কারেঙ্গাতলি এলাকা। রোববার ভোরে ভারতের ১৭৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অর্জুন ক্যাম্পের টহল দলের সদস্য বেদ প্রকাশ ভারতীয় শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ ভেতরে ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় প্রবেশ করেন। এ সময় ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাঁকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যের ব্যবহৃত একটি অস্ত্র (শটগান), দুটি গুলি, একটি ওয়্যারলেস সেট ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার রফিকুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আল দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফ সদস্য কনস্টেবল বেদ প্রকাশ বলেছে কুয়াশায় গরু পাচারকারীদের পিছু ধাওয়া করতে গিয়ে ভুল করে বাংলাদেশে ঢুকেছে। আটককৃত বিএসএফ সদস্যের অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্য সরঞ্জামাদিসহ আঙ্গোরপোতা ক্যাম্পে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করার কথা রয়েছে। বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে ওই বিএসএফ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করেছে এবং তাঁকে ফেরতের অনুরোধ করেছে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৫ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই বিএসএফ সদস্যের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন অবস্থায় নগরীর এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) গার্ডার ধসে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন। এ ঘটনার দায়ের হওয়ার মামলায় ২০১৪ সালের অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর ৭ বছরেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। ফ্লাইওভার ট্র্যাজেডি হিসেবে আখ্যায়িত চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় আসামিরাও সবাই বাইরে।
২৭ অক্টোবর ২০২১
নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক তিনটি চুরির ঘটনায় দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখের বেশি টাকা এবং এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। উপজেলার একডালা গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে এবং আবাদপুকুর হাট এলাকার হক ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই
৩২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের চেম্বারে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় নাশকতার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে