সৌগত বসু, ঢাকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে কয়েক দফা মারধরের একপর্যায়ে তিনি পানি খেতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে মারধরকারীরা পানি খেতে দেয়নি। নিরাপত্তা কর্মকর্তা পানির বোতল দিতে গেলে তাঁর হাত থেকে বোতল ফেলে দেওয়া হয়।
গত বুধবার বিকেলে শামীম মোল্লাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা গেটে (প্রান্তিক গেট) পেটানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও কয়েক দফা মারধর করে শামীমকে রাত ৮টার কিছু পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাত ৯টায় শামীম সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে মারা যান। হাসপাতালের চিকিৎসক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, হাসপাতালে তাঁকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল।
শামীম মোল্লাকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ৮ জন শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে; আটজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কেউ এখনও গ্রেপ্তার হননি।
আজকের পত্রিকার হাতে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রান্তিক গেটে লাঠি হাতে শামীমকে মেরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব। এসময় লাথি দিতে দেখা যায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিককে। আহসান লাবিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক। গতকাল তাঁকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যখন সবাইকে আটকাতে যাব, তখন আমাকে আহসান লাবিব আটকে রাখে। শামীম যখন পানি খেতে চায়, তখন আমি তাকে পানি দিতে গেলে আমার হাত থেকে পানির বোতল ফেলে দেওয়া হয়।’
এর আগে ফেসবুকে আহসান লাবিব গতকাল একটি পোস্ট করেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। তবে সেই পোস্ট পরে তিনি সরিয়ে নেন। সেখানেও সুদীপ্ত শাহীন মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ, শামীমকে তার শেষ চাওয়া পানিটুকু দিতে দেয়নি এই ছেলে। সে যে ধমক আমাকে দিছে গতকাল, তা আমার চাকরি জীবনে কেউ দেয়নি। বেশি না, আমি তার ২৩ ব্যাচ সিনিয়র!’
সুদীপ্ত শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওখানে যখন আমি যাই, তখন ওকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওদিকে মার হচ্ছে আর বীভৎস চিৎকার। এদিকে সবাই প্রক্টর রুমে বসে চিৎকার শুনতেছে; তারা বের হচ্ছে না।’
সুদীপ্ত বলেন, তিনি প্রক্টরকে বলেছিলেন, ছেলেটা মরে যাবে। সে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখে। তখন প্রক্টর তাঁকে বলেন, ‘ছেলেপেলে তাকে এখানে থেকে নিয়ে গেছে’। তখন সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘শামীমকে প্রক্টর রুমে রাখতে হবে। নিরাপত্তা কর্মকর্তার রুমেও না।’
নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরও জানান, শামীমকে নিরাপত্তা কর্মকর্তার কক্ষের সামনে বেশ প্রশস্ত একটা খালি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর সামনেই কলাপসিবল গেট।
তিনি বলেন, শামীম প্রক্টরের কক্ষে থাকলে মারধর হয়তো কিছুটা কম হত। কিন্তু প্রক্টরের কক্ষের বাইরে নেওয়ায় ব্যাপক পিটুনির সুযোগ মেলে। তাঁকে বড় ডাল, গজার গাছের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
সুদীপ্ত শাহীন বলেন, শামীমকে সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রক্টর অফিস) সোহেলের কক্ষে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ছাত্ররা তুলে নিয়ে এসেছে। তাঁকে প্রথম দফা মারধর করা হয় প্রান্তিকে। এরপর দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয় ওই কক্ষ থেকে বের করে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার কক্ষের সামনে । তখন আহসান লাবিব তাঁকে বের করে নিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, ঘটনার সময় সুদীপ্ত শাহীন যখন প্রক্টরের কক্ষ থেকে উঠে বের হতে চান তখন লাবিব তাঁকে বলেন, ‘এই মিয়া আপনি কই যান, বেশি বাড়িয়েন না। আমরা আছি বলেই চাকরি করতে পারছেন। না হলে আপনিও মামলার আসামি হতেন।’
এরপর লাবিব সেখান থেকে চলে গেলে সুদীপ্ত শাহীন প্রক্টরকে কিছু করার তাগাদা দেন। তখন প্রক্টর বলেন, ‘যেহেতু মব (অনেক মানুষ) বা ছেলেপেলে যা চায় এখন আর কী করবা!’ এসময় শামীমকে তৃতীয় দফা মারধর করা হয়।
সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘এরপর শামীমকে ওই জায়গায় রেখে তালা মেরে রাখা হয়। এসময় লাবিব ভবনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ঘুষি মারতে থাকে। তখন প্রক্টর স্যার সামনেই ছিল। গার্ডের পকেট থেকে চাবি নিয়ে তালা খুলে আরেক দফা পিটায়।’
কেন এতবার শামীমকে মারা হলো এমন প্রশ্নে শাহীন বলেন, ‘যে শুনেছে, সে–ই শামীম মোল্লাকে মারার জন্য এসেছে।’
নিরাপত্তা শাখার কার্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ থেকে আরও পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— সাঈদ হোসেন ভূঁইয়া, রাজু আহমেদ, রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগ। সবাই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সাঈদ হোসেন ভূঁইয়া ৩৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া রাজু আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও রাজন হাসান একই বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, হামিদুল্লাহ সালমান ইংরেজি ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এমএন সোহাগ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বারবার কেন লাবিবের কথা বলা হচ্ছে এমন প্রশ্নে শাহীন বলেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগরে চাকরিতে এসে ছাত্রদলকে (ক্ষমতায়) পাননি। তাই তাঁদের কাউকেই ওইভাবে চেনেন না। তবে লাবিবের সঙ্গে যেহেতু একবার কথাকাটাকাটি হয়েছে, সেহেতু লাবিবকে তাঁর মনে আছে।
শাহীন বলেন, ‘লাবিব প্রান্তিক গেট থেকে সাঈদ হোসেন ভূঁইয়াকে সঙ্গে নিয়ে এখানে আসে।’
পানি খেতে চাওয়ার বিষয়ে শাহীন বলেন, ‘যখন শেষবার মারধরের সময় শামীম পানি খেতে চেয়েছিল তখন আমি বলেছিলাম তাকে একবারে অনেক পানি দিলে সমস্যা হবে। একটা হাফ লিটার ঠান্ডা পানির বোতল থেকে অল্প অল্প করে দিতে হবে। তখন শামীমকে পানির বোতল দিতে গেলে লাবিব সেটি আমার হাত থেকে নিয়ে ফেলে দেয়।’
প্রান্তিক গেটে মারধরের পর যখন শামীম মোল্লাকে নিরাপত্তা অফিসে আনা হয় তখন সাঈদ হোসেন ভূঁইয়া সেখানে ছিলেন। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই সময় সাঈদ হোসেন ভূঁইয়া উপাচার্যের সঙ্গেও দেখা করেন। ‘শামীমকে মেরে ক্লান্ত’, এ কথা উপাচার্যকে জানান সাঈদ হোসেন। উপাচার্যের কক্ষে থাকা গ্লাস থেকে পানিও খান। সে সময় সেখানে সাংবাদিকসহ অন্যরাও ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাঈদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই সময় প্রক্টর অফিসে উপাচার্য এসেছেন, এটি শুনে সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। ‘শামীমকে মেরে ক্লান্ত’ এমন কোনো কথা তিনি উপাচার্যকে বলেননি। সৌজন্য সাক্ষাৎ করেই তিনি বেরিয়ে যান। আর শামীমকে মারধরের সময় ছাত্রদের ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন।
শামীমকে থানায় নেওয়া হয়নি
আজকের পত্রিকার কাছে শামীম মোল্লার ডেথ সার্টিফিকেটের কপি এসেছে, সেখানে দেখা গেছে, শামীম মোল্লা রাত ৯টায় মারা যান। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থানা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়নি। সরাসরি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘শামীম মোল্লা শুধু একবার উঠে দাঁড়াতে পেরেছিল। তখন তাকে ধরে গাড়িতে তোলা হয়। গাড়িতে উঠেই সে সিটের ওপর পড়ে যায়। গাড়িতে ওঠানোর সময়েও তাকে মারধর করা হচ্ছিল। রাত সাড়ে ৮টায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশের গাড়িতে ওঠানো হয়। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে যেতে সময় লাগবে আর কত! ৯টার পরেই তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। এখানে থানা বা অন্য কোথাও তাকে নেওয়ায় সুযোগ ছিল না।’
আশুলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ওই দিন দুই পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে শামীম মোল্লা পুলিশ ভ্যানে ওঠেন। তখনও পেছন থেকে তাঁকে ধাক্কা ও কিল ঘুষি মারা হচ্ছিল; গাড়িতে উঠেই তিনি পড়ে যান। তখন পুলিশ ধারণা করে, গাড়িতেই শামীম হয়তো মারা যাবে। পুলিশের গাড়ি সরাসরি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে যায়। শামীম মোল্লা গাড়িতে থাকা পুলিশের কাঁধে এলিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর পালস পাওয়া যায়নি। এরপর ইসিজি করা হয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রান্তিক গেট থেকে শামীম মোল্লাকে নিয়ে আসার পরে আমরা তাঁকে নিরাপত্তা অফিসে কলাপসিবল গেটে তালা মেরে আটকে রাখি ৷ এসময় কলাপসিবল গেট ভেঙে কিছু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে মারধর শুরু করে। এ ঘটনা দেখে আমি এবং আমার টিম দৌড়ে যাই এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াই। এতে কিছু শিক্ষার্থী নিবৃত্ত হয়।’
তখন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কী করছিলেন— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘তারা চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এক পর্যায়ে তারাও ব্যর্থ হয়।’
প্রক্টরের উপস্থিতিতে এরকম পিটুনি ঠেকানো গেল না কেন, শামীমকে তৃতীয় দফা মারা হয় এবং সেক্ষেত্রে কোনো অবহেলা আছে কিনা— এমন প্রসঙ্গ তুললে প্রক্টর বলেন, ‘আমি আমার শিক্ষার্থীদের বলেছি, আমার সামনে তোমরা এটা করতে পার না। এমনকি আমি তাদের সামনে ঢাল হয়েও দাঁড়িয়েছি। এতে কিছু শিক্ষার্থী আমার কথা শুনলেও অনেকে না শুনে মারধর করেছে। আমাদের কয়েকজনের পক্ষে এতজন শিক্ষার্থীকে আটকানো সম্ভব ছিল না।’
[এই প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন জাবি সংবাদদাতা]

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে কয়েক দফা মারধরের একপর্যায়ে তিনি পানি খেতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে মারধরকারীরা পানি খেতে দেয়নি। নিরাপত্তা কর্মকর্তা পানির বোতল দিতে গেলে তাঁর হাত থেকে বোতল ফেলে দেওয়া হয়।
গত বুধবার বিকেলে শামীম মোল্লাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা গেটে (প্রান্তিক গেট) পেটানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও কয়েক দফা মারধর করে শামীমকে রাত ৮টার কিছু পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাত ৯টায় শামীম সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে মারা যান। হাসপাতালের চিকিৎসক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, হাসপাতালে তাঁকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল।
শামীম মোল্লাকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ৮ জন শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে; আটজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কেউ এখনও গ্রেপ্তার হননি।
আজকের পত্রিকার হাতে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রান্তিক গেটে লাঠি হাতে শামীমকে মেরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব। এসময় লাথি দিতে দেখা যায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিককে। আহসান লাবিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক। গতকাল তাঁকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যখন সবাইকে আটকাতে যাব, তখন আমাকে আহসান লাবিব আটকে রাখে। শামীম যখন পানি খেতে চায়, তখন আমি তাকে পানি দিতে গেলে আমার হাত থেকে পানির বোতল ফেলে দেওয়া হয়।’
এর আগে ফেসবুকে আহসান লাবিব গতকাল একটি পোস্ট করেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। তবে সেই পোস্ট পরে তিনি সরিয়ে নেন। সেখানেও সুদীপ্ত শাহীন মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ, শামীমকে তার শেষ চাওয়া পানিটুকু দিতে দেয়নি এই ছেলে। সে যে ধমক আমাকে দিছে গতকাল, তা আমার চাকরি জীবনে কেউ দেয়নি। বেশি না, আমি তার ২৩ ব্যাচ সিনিয়র!’
সুদীপ্ত শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওখানে যখন আমি যাই, তখন ওকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওদিকে মার হচ্ছে আর বীভৎস চিৎকার। এদিকে সবাই প্রক্টর রুমে বসে চিৎকার শুনতেছে; তারা বের হচ্ছে না।’
সুদীপ্ত বলেন, তিনি প্রক্টরকে বলেছিলেন, ছেলেটা মরে যাবে। সে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখে। তখন প্রক্টর তাঁকে বলেন, ‘ছেলেপেলে তাকে এখানে থেকে নিয়ে গেছে’। তখন সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘শামীমকে প্রক্টর রুমে রাখতে হবে। নিরাপত্তা কর্মকর্তার রুমেও না।’
নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরও জানান, শামীমকে নিরাপত্তা কর্মকর্তার কক্ষের সামনে বেশ প্রশস্ত একটা খালি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর সামনেই কলাপসিবল গেট।
তিনি বলেন, শামীম প্রক্টরের কক্ষে থাকলে মারধর হয়তো কিছুটা কম হত। কিন্তু প্রক্টরের কক্ষের বাইরে নেওয়ায় ব্যাপক পিটুনির সুযোগ মেলে। তাঁকে বড় ডাল, গজার গাছের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
সুদীপ্ত শাহীন বলেন, শামীমকে সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রক্টর অফিস) সোহেলের কক্ষে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ছাত্ররা তুলে নিয়ে এসেছে। তাঁকে প্রথম দফা মারধর করা হয় প্রান্তিকে। এরপর দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয় ওই কক্ষ থেকে বের করে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার কক্ষের সামনে । তখন আহসান লাবিব তাঁকে বের করে নিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, ঘটনার সময় সুদীপ্ত শাহীন যখন প্রক্টরের কক্ষ থেকে উঠে বের হতে চান তখন লাবিব তাঁকে বলেন, ‘এই মিয়া আপনি কই যান, বেশি বাড়িয়েন না। আমরা আছি বলেই চাকরি করতে পারছেন। না হলে আপনিও মামলার আসামি হতেন।’
এরপর লাবিব সেখান থেকে চলে গেলে সুদীপ্ত শাহীন প্রক্টরকে কিছু করার তাগাদা দেন। তখন প্রক্টর বলেন, ‘যেহেতু মব (অনেক মানুষ) বা ছেলেপেলে যা চায় এখন আর কী করবা!’ এসময় শামীমকে তৃতীয় দফা মারধর করা হয়।
সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘এরপর শামীমকে ওই জায়গায় রেখে তালা মেরে রাখা হয়। এসময় লাবিব ভবনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ঘুষি মারতে থাকে। তখন প্রক্টর স্যার সামনেই ছিল। গার্ডের পকেট থেকে চাবি নিয়ে তালা খুলে আরেক দফা পিটায়।’
কেন এতবার শামীমকে মারা হলো এমন প্রশ্নে শাহীন বলেন, ‘যে শুনেছে, সে–ই শামীম মোল্লাকে মারার জন্য এসেছে।’
নিরাপত্তা শাখার কার্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ থেকে আরও পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— সাঈদ হোসেন ভূঁইয়া, রাজু আহমেদ, রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগ। সবাই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সাঈদ হোসেন ভূঁইয়া ৩৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া রাজু আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও রাজন হাসান একই বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, হামিদুল্লাহ সালমান ইংরেজি ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এমএন সোহাগ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বারবার কেন লাবিবের কথা বলা হচ্ছে এমন প্রশ্নে শাহীন বলেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগরে চাকরিতে এসে ছাত্রদলকে (ক্ষমতায়) পাননি। তাই তাঁদের কাউকেই ওইভাবে চেনেন না। তবে লাবিবের সঙ্গে যেহেতু একবার কথাকাটাকাটি হয়েছে, সেহেতু লাবিবকে তাঁর মনে আছে।
শাহীন বলেন, ‘লাবিব প্রান্তিক গেট থেকে সাঈদ হোসেন ভূঁইয়াকে সঙ্গে নিয়ে এখানে আসে।’
পানি খেতে চাওয়ার বিষয়ে শাহীন বলেন, ‘যখন শেষবার মারধরের সময় শামীম পানি খেতে চেয়েছিল তখন আমি বলেছিলাম তাকে একবারে অনেক পানি দিলে সমস্যা হবে। একটা হাফ লিটার ঠান্ডা পানির বোতল থেকে অল্প অল্প করে দিতে হবে। তখন শামীমকে পানির বোতল দিতে গেলে লাবিব সেটি আমার হাত থেকে নিয়ে ফেলে দেয়।’
প্রান্তিক গেটে মারধরের পর যখন শামীম মোল্লাকে নিরাপত্তা অফিসে আনা হয় তখন সাঈদ হোসেন ভূঁইয়া সেখানে ছিলেন। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই সময় সাঈদ হোসেন ভূঁইয়া উপাচার্যের সঙ্গেও দেখা করেন। ‘শামীমকে মেরে ক্লান্ত’, এ কথা উপাচার্যকে জানান সাঈদ হোসেন। উপাচার্যের কক্ষে থাকা গ্লাস থেকে পানিও খান। সে সময় সেখানে সাংবাদিকসহ অন্যরাও ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাঈদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই সময় প্রক্টর অফিসে উপাচার্য এসেছেন, এটি শুনে সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। ‘শামীমকে মেরে ক্লান্ত’ এমন কোনো কথা তিনি উপাচার্যকে বলেননি। সৌজন্য সাক্ষাৎ করেই তিনি বেরিয়ে যান। আর শামীমকে মারধরের সময় ছাত্রদের ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন।
শামীমকে থানায় নেওয়া হয়নি
আজকের পত্রিকার কাছে শামীম মোল্লার ডেথ সার্টিফিকেটের কপি এসেছে, সেখানে দেখা গেছে, শামীম মোল্লা রাত ৯টায় মারা যান। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থানা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়নি। সরাসরি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘শামীম মোল্লা শুধু একবার উঠে দাঁড়াতে পেরেছিল। তখন তাকে ধরে গাড়িতে তোলা হয়। গাড়িতে উঠেই সে সিটের ওপর পড়ে যায়। গাড়িতে ওঠানোর সময়েও তাকে মারধর করা হচ্ছিল। রাত সাড়ে ৮টায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশের গাড়িতে ওঠানো হয়। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে যেতে সময় লাগবে আর কত! ৯টার পরেই তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। এখানে থানা বা অন্য কোথাও তাকে নেওয়ায় সুযোগ ছিল না।’
আশুলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ওই দিন দুই পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে শামীম মোল্লা পুলিশ ভ্যানে ওঠেন। তখনও পেছন থেকে তাঁকে ধাক্কা ও কিল ঘুষি মারা হচ্ছিল; গাড়িতে উঠেই তিনি পড়ে যান। তখন পুলিশ ধারণা করে, গাড়িতেই শামীম হয়তো মারা যাবে। পুলিশের গাড়ি সরাসরি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে যায়। শামীম মোল্লা গাড়িতে থাকা পুলিশের কাঁধে এলিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর পালস পাওয়া যায়নি। এরপর ইসিজি করা হয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রান্তিক গেট থেকে শামীম মোল্লাকে নিয়ে আসার পরে আমরা তাঁকে নিরাপত্তা অফিসে কলাপসিবল গেটে তালা মেরে আটকে রাখি ৷ এসময় কলাপসিবল গেট ভেঙে কিছু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে মারধর শুরু করে। এ ঘটনা দেখে আমি এবং আমার টিম দৌড়ে যাই এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াই। এতে কিছু শিক্ষার্থী নিবৃত্ত হয়।’
তখন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কী করছিলেন— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘তারা চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এক পর্যায়ে তারাও ব্যর্থ হয়।’
প্রক্টরের উপস্থিতিতে এরকম পিটুনি ঠেকানো গেল না কেন, শামীমকে তৃতীয় দফা মারা হয় এবং সেক্ষেত্রে কোনো অবহেলা আছে কিনা— এমন প্রসঙ্গ তুললে প্রক্টর বলেন, ‘আমি আমার শিক্ষার্থীদের বলেছি, আমার সামনে তোমরা এটা করতে পার না। এমনকি আমি তাদের সামনে ঢাল হয়েও দাঁড়িয়েছি। এতে কিছু শিক্ষার্থী আমার কথা শুনলেও অনেকে না শুনে মারধর করেছে। আমাদের কয়েকজনের পক্ষে এতজন শিক্ষার্থীকে আটকানো সম্ভব ছিল না।’
[এই প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন জাবি সংবাদদাতা]

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ইটনায় মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় আলগাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব আলী (৬৮) সদর ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।
২৫ মিনিট আগে
খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: যুবক (হাতের অংশ বাদ দিয়ে দেবেন)।
২৯ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর আশপাশ এলাকায় অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’ স্থাপন করা হবে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে জনবল, গাড়ি-পাম্প ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ মোতায়েন থাকবেন। এর ফলে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এইচআরডি-১ এর যুগ্ম পরিচালক মো. রিয়াদ ফারজান্দ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: মো. নিয়ামুল কবির, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. ফারুক হাওলাদার, পরিচালক (সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট) ; মো. জবদুল ইসলাম, পরিচালক (এইচআরডি-১)।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; মো. মামুনুর রশিদ, উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; কাজী নজমুজ্জামান, সহকারী পরিচালক।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে রাষ্ট্রীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত হলো। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকা হিসেবে পরিচিত মতিঝিলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই স্যাটেলাইট স্টেশনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর আশপাশ এলাকায় অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’ স্থাপন করা হবে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে জনবল, গাড়ি-পাম্প ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ মোতায়েন থাকবেন। এর ফলে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এইচআরডি-১ এর যুগ্ম পরিচালক মো. রিয়াদ ফারজান্দ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: মো. নিয়ামুল কবির, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. ফারুক হাওলাদার, পরিচালক (সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট) ; মো. জবদুল ইসলাম, পরিচালক (এইচআরডি-১)।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; মো. মামুনুর রশিদ, উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; কাজী নজমুজ্জামান, সহকারী পরিচালক।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে রাষ্ট্রীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত হলো। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকা হিসেবে পরিচিত মতিঝিলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই স্যাটেলাইট স্টেশনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে কয়েক দফা মারধরের একপর্যায়ে তিনি পানি খেতে চেয়েছিলেন। তবে তাকে মারধরকারীরা পানি খেতে দেয়নি। নিরাপত্তা কর্মকর্তা পানির বোতল দিতে গেলে তার হাত থেকে বোতল ফেলে দেওয়া হয়।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ইটনায় মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় আলগাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব আলী (৬৮) সদর ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।
২৫ মিনিট আগে
খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: যুবক (হাতের অংশ বাদ দিয়ে দেবেন)।
২৯ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ইটনায় মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় আলগাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব আলী (৬৮) সদর ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে আফজাল মিয়ার খামারে ১৩৫ কেজি ধরে মুরগি বিক্রি করা হবে, এমন ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সেই খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আইয়ুব আলী মুরগি কিনতে খামারে যান। সকাল থেকেই সেখানে মানুষের ভিড় জমে।
এ সময় সিরিয়াল নিয়ে আইয়ুব আলীর সঙ্গে একই এলাকার মুজিবুর রহমানের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তর্কের একপর্যায়ে মুজিবুর রহমান ও তাঁর ছেলেরা আইয়ুব আলীর ওপর হামলা চালিয়ে কিল-ঘুষি ও মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আইয়ুব আলীকে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্য বাহার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে মুজিবুর রহমানের ছেলে সাব্বিরসহ তিন-চারজন মিলে আইয়ুব আলীকে মারধর করে হত্যা করেছে।
ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার আহমেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আইয়ুব আলীর মৃত্যু হয়েছে।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় আলগাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব আলী (৬৮) সদর ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে আফজাল মিয়ার খামারে ১৩৫ কেজি ধরে মুরগি বিক্রি করা হবে, এমন ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সেই খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আইয়ুব আলী মুরগি কিনতে খামারে যান। সকাল থেকেই সেখানে মানুষের ভিড় জমে।
এ সময় সিরিয়াল নিয়ে আইয়ুব আলীর সঙ্গে একই এলাকার মুজিবুর রহমানের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তর্কের একপর্যায়ে মুজিবুর রহমান ও তাঁর ছেলেরা আইয়ুব আলীর ওপর হামলা চালিয়ে কিল-ঘুষি ও মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আইয়ুব আলীকে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্য বাহার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে মুজিবুর রহমানের ছেলে সাব্বিরসহ তিন-চারজন মিলে আইয়ুব আলীকে মারধর করে হত্যা করেছে।
ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার আহমেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আইয়ুব আলীর মৃত্যু হয়েছে।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে কয়েক দফা মারধরের একপর্যায়ে তিনি পানি খেতে চেয়েছিলেন। তবে তাকে মারধরকারীরা পানি খেতে দেয়নি। নিরাপত্তা কর্মকর্তা পানির বোতল দিতে গেলে তার হাত থেকে বোতল ফেলে দেওয়া হয়।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: যুবক (হাতের অংশ বাদ দিয়ে দেবেন)।
২৯ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আক্তার হোসেন গল্লামারি এলাকার বাসিন্দা চাঁদ আলী মোল্লার ছেলে। বড় বাজার এলাকার একটি হোটেলে তিনি কাজ করেন। বর্তমানে আক্তার হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত আক্তার হোসেন বলেন, ‘সকালে বাড়িতে ছিলাম। ওই সময়ে ভাগনে শাহেদের বন্ধুরা আমাকে ডেকে বটিয়াঘাটা থানাধীন দারোগার ভিটায় নিয়ে যায়। সেখানে কিছু বুঝে ওঠার আগে চার-পাঁচজন লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার দুই হাতে কোপাতে থাকে। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অর্থোপেডিকস বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট বাপ্পা রাজ বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রোগীর বাঁ ও ডান হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাঁ হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ রকম ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্বৃত্তরা আক্তার হোসেনের পূর্বপরিচিত। সকালে তাকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে ডেকে দারোগার ভিটা আলীনগরে একটি বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজন উপস্থিত ছিল। সন্ত্রাসীদের ধারণা ছিল, আক্তার হোসেন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে এবং সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পুলিশের কাছে তথ্য প্রদান করে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’

খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আক্তার হোসেন গল্লামারি এলাকার বাসিন্দা চাঁদ আলী মোল্লার ছেলে। বড় বাজার এলাকার একটি হোটেলে তিনি কাজ করেন। বর্তমানে আক্তার হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত আক্তার হোসেন বলেন, ‘সকালে বাড়িতে ছিলাম। ওই সময়ে ভাগনে শাহেদের বন্ধুরা আমাকে ডেকে বটিয়াঘাটা থানাধীন দারোগার ভিটায় নিয়ে যায়। সেখানে কিছু বুঝে ওঠার আগে চার-পাঁচজন লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার দুই হাতে কোপাতে থাকে। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অর্থোপেডিকস বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট বাপ্পা রাজ বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রোগীর বাঁ ও ডান হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাঁ হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ রকম ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্বৃত্তরা আক্তার হোসেনের পূর্বপরিচিত। সকালে তাকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে ডেকে দারোগার ভিটা আলীনগরে একটি বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজন উপস্থিত ছিল। সন্ত্রাসীদের ধারণা ছিল, আক্তার হোসেন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে এবং সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পুলিশের কাছে তথ্য প্রদান করে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে কয়েক দফা মারধরের একপর্যায়ে তিনি পানি খেতে চেয়েছিলেন। তবে তাকে মারধরকারীরা পানি খেতে দেয়নি। নিরাপত্তা কর্মকর্তা পানির বোতল দিতে গেলে তার হাত থেকে বোতল ফেলে দেওয়া হয়।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ইটনায় মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় আলগাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব আলী (৬৮) সদর ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।
২৫ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাট প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।
আজ সকালে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনে শুয়ে পড়েন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানাতে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ১৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে একটি ভাড়াভিত্তিক বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ চেয়ে রেলভবনে আবেদন করে জেলা বিএনপি। তবে সোমবার রাতে রেলভবন থেকে জানানো হয়, বিশেষ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ সকালে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে লালমনি এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা দেড়টা পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশনেই আটকে থাকে। এতে ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনিচ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিশেষ ট্রেন চেয়ে আবেদন করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের জন্য বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া না হবে, ততক্ষণ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।’
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার বলেন, রেলপথ অবরোধের কারণে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোর্শেদ আলম জানান, ট্রেনটি ছেড়ে যেতে না পারায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অবরোধ না উঠলে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা কামালের সরকারি নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।
আজ সকালে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনে শুয়ে পড়েন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানাতে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ১৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে একটি ভাড়াভিত্তিক বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ চেয়ে রেলভবনে আবেদন করে জেলা বিএনপি। তবে সোমবার রাতে রেলভবন থেকে জানানো হয়, বিশেষ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ সকালে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে লালমনি এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা দেড়টা পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশনেই আটকে থাকে। এতে ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনিচ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিশেষ ট্রেন চেয়ে আবেদন করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের জন্য বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া না হবে, ততক্ষণ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।’
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার বলেন, রেলপথ অবরোধের কারণে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোর্শেদ আলম জানান, ট্রেনটি ছেড়ে যেতে না পারায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অবরোধ না উঠলে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা কামালের সরকারি নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে কয়েক দফা মারধরের একপর্যায়ে তিনি পানি খেতে চেয়েছিলেন। তবে তাকে মারধরকারীরা পানি খেতে দেয়নি। নিরাপত্তা কর্মকর্তা পানির বোতল দিতে গেলে তার হাত থেকে বোতল ফেলে দেওয়া হয়।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ইটনায় মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় আলগাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব আলী (৬৮) সদর ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।
২৫ মিনিট আগে
খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: যুবক (হাতের অংশ বাদ দিয়ে দেবেন)।
২৯ মিনিট আগে