Ajker Patrika

চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী ও মেয়রের বাসভবনে হামলা–ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ২১: ১৩
চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী ও মেয়রের বাসভবনে হামলা–ভাঙচুর

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড় জমায়েত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। নগরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেট মোড় দখল করে অন্তত ১০ হাজার লোকের এই জমায়েতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণকালে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের বাসভবন, ট্রাফিক পুলিশ বক্স, যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা–ভাঙচুর এবং এক সংসদ সদস্যের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। 

আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এর আগে বেলা ৩টার দিকে নগরের নিউমার্কেট মোড়ে ধীরে ধীরে জমায়েত হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় নিউমার্কেট মোড়সহ এর আশপাশ। 

এ সময় আন্দোলনকারীদের স্লোগানে এলাকা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আন্দোলনকারীরা তাঁদের সহপাঠী হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন। 

তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবকেরাও। এ সময় রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার লোকজনকে আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থীদের তালি দিয়ে সংহতি জানাতে দেখা গেছে। 

পরে ৫টা ১০ মিনিটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পৃথক দুটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। 

নিউমার্কেট থেকে টাইগার হয়ে যে বিক্ষোভ মিছিল চলে গেছে, ওই মিছিল থেকে টাইগারপাস মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্স, ওয়াসা মোড়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়া, সড়কে রাখা বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর চালানো হয়। 

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলা ও গাড়িতে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকাএ ছাড়া বিক্ষোভ মিছিলটি নগরের ষোলোশহর ২ নম্বর গেট মোড়ে পৌঁছালে সেখানে মূল সড়ক থেকে প্রায় আধ কিমি দূরে থাকা চশমা হিল এলাকায় শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। দুষ্কৃতকারীরা সেই বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ভেতরে থাকা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর চালায়।

চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত রয়েছে এ বাড়ি। 

পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বহদ্দারহাট মোড়ের দিকে চলে যায়। সেখানে মোড় থেকে ৩০০ গজ দূরে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয়। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এরপর মেয়রের বাসভবনেও ভাঙচুর করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 

এর আগে নগরের টাইগারপাস পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয় বলে জানান তিনি। 

দুপুরে কর্মসূচি শুরু থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান নমনীয় ছিল। নিউমার্কেটে কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। 

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলা ও গাড়িতে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকাআন্দোলনে আসা সাইফ উদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে নিরপরাধ সহপাঠীদের হত্যা করেছে। গণমাধ্যমে এসেছে, তাঁরা প্রাণঘাতী বুলেটেই মারা গেছেন। এত প্রাণহানির পর আমাদের দাবি মেনে নিলে কী হবে? আমরা আমাদের সহপাঠীদের ফেরত চাই।’ 

এদিকে ছাত্র আন্দোলনকারীদের এই কর্মসূচির প্রতিবাদে সকালে নগরের বহদ্দারহাট মোড়, ওয়াসা মোড়, ষোলোশহর, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা সেখানে অবস্থানও নেন। তবে কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করলে তাঁদের মাঠে দেখা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় বাস ধর্মঘটে অচল গণপরিবহন, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
বাস বন্ধ রেখে সড়কে বিক্ষোভ করছেন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাস বন্ধ রেখে সড়কে বিক্ষোভ করছেন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির ফলে নগরীসহ জেলার অন্তত ৪০টি সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নগরীর জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা ও চকবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তজেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

পরিবহন-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার করে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

বাস বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে যাত্রীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাস বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে যাত্রীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, আইদি পরিবহন প্রয়োজনীয় রুট পারমিট ছাড়াই কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাইছে, যা পরিবহন আইন ও বিদ্যমান নিয়মের পরিপন্থী।

আইদি পরিবহনের চেয়ারম্যান মীর পারভেজ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে তাঁদের বাস চলাচল শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তাঁদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। তিনি দাবি করেন, এসব বাধার কারণেই কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে রুট পারমিট ও অনাপত্তিপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার বন্ধ রেখে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি থাকলেও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের রুট পারমিট ছাড়া কোনো পরিবহন কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারে না। এর আগেও আমরা তাদের একাধিকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু বিজয় দিবস ও বুধবার হঠাৎ প্রভাব বিস্তার করে টার্মিনালে বাস ঢুকিয়ে চলাচল শুরু করে। বৃহস্পতিবার আবার একই চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালন করা হয়।’

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। অনেকে নিরুপায় হয়ে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস কিংবা অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে রওনা হন। শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ পায়।

পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত না এলে এই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যার সরাসরি ভুক্তভোগী হবে সাধারণ যাত্রীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হতাশা থেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন রুমী, ধারণা স্বজনদের

ঢামেক প্রতিবেদক
জান্নাতারা রুমি। ছবি: ফেসবুক
জান্নাতারা রুমি। ছবি: ফেসবুক

রাজধানীর জিগাতলার ছাত্রী হোস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়া এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমীর (৩০) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেই তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ বেলা ১টার দিকে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ রুমীর মরদেহ মর্গে পাঠায়।

এর আগে রুমীর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমা বেগম।

একই থানার উপপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, রুমীর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে। বাবার জাকির হোসেন। রুমী ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করছিলেন। তবে বর্তমানে কোথায় চাকরি করতেন, নাকি বেকার ছিলেন তা জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে রুমীর চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান জানান, জিগাতলার ওই বাসার ছাত্রী হোস্টেলে থাকতেন রুমী। তার দু’বার বিয়ে হয়েছিল। দুই সংসারই ভেঙে গেছে। দুই সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে রুমীর। দুই সন্তান বাবার কাছে থাকে।

তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি রুমীর রুমমেট বাড়িতে গিয়েছে। বুধবার রাতে একাই ছিলেন রুমী। তবে একই ফ্ল্যাটে পাশের রুমে অন্য রুমমেটরা ছিলেন। রাতে গৃহকর্মী পঞ্চম তলায় তাঁদের ফ্ল্যাটের সামনে গেলে দরজা খোলা দেখতে পান এবং ভেতরে আলো জ্বলতে দেখেন। এরপর উঁকি দিলে রুমীকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনিই সবাইকে ডেকে তোলেন বলে শুনেছি।’

রুমীর মৃত্যু কারণ সম্পর্কে তাঁর স্বজনেরা বলেন, সাংসারিক বা পারিবারিক বিষয়ে হতাশা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন রুমী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তাঁরা।

উল্লেখ্য, রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে আজ রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রুমী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এনসিপির ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, সড়ক অবরোধ

 রাজশাহী প্রতিনিধি
সহকারী ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার পর সড়কে অবস্থান ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী জুলাই ৩৬ মঞ্চের। ছবি: মিলন শেখ
সহকারী ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার পর সড়কে অবস্থান ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী জুলাই ৩৬ মঞ্চের। ছবি: মিলন শেখ

রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয় অভিমুখে আয়োজিত ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী জুলাই ৩৬ মঞ্চ’-এর পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আন্দোলনকারীরা হাইকমিশন সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জুলাই ৩৬ মঞ্চের ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে নগরীর ভদ্রা মোড়ে জড়ো হন। সেখান থেকে তাঁরা ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে পদ্মা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে পদযাত্রাটি হাইকমিশন কার্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। কার্যালয় থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের আটকে দেয়। একপর্যায়ে জুলাই ৩৬ মঞ্চের সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। বাধার মুখে আন্দোলনকারীরা সেখানেই সড়কের ওপর বসে পড়েন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে জুলাই ৩৬ মঞ্চের সদস্য শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ভারত আমাদের দেশের ওপর নানা ধরনের আগ্রাসন চালাচ্ছে। সীমান্তে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে, নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি খুনি হাসিনাকে তারা ভারতে আশ্রয় দিয়েছে। ওসমান হাদির খুনিদেরও ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমরা এই ভারতীয় আগ্রাসন কোনোভাবেই মেনে নেব না।’

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আন্দোলনকারীরা হাইকমিশন কার্যালয় থেকে ১০০ গজ দূরে প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার তাৎক্ষণিক আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নগরীর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং যান চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজদিখানে সরকারি খালের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৯
সরকারি খাল দখলমুক্ত করতে ভাঙা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরকারি খাল দখলমুক্ত করতে ভাঙা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমর্দন মৌজার আবিরপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন কমপ্লেক্সের সামনে এই অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বারি। অভিযানে সরকারি মালিকানাধীন প্রায় দুই শতক জমি উদ্ধার করা হয়।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মো. কামাল হোসেন, সার্ভেয়ার মো. লিয়ার হোসেন এবং রশুনিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর সোলাইমান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বারি বলেন, জনস্বার্থে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার এবং সরকারি দখল নিরঙ্কুশভাবে বজায় রাখতে এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত