Ajker Patrika

আগামী ৪ সপ্তাহ কোটা আন্দোলনকারীদের সড়কে বসতে দেবে না পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৪, ০৯: ৪০
আগামী ৪ সপ্তাহ কোটা আন্দোলনকারীদের সড়কে বসতে দেবে না পুলিশ

কোটা আন্দোলনকারীদের কাউকে আগামী চার সপ্তাহ সড়কে বসতে দেবে না পুলিশ। এর পরও যদি কোনো শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ করে, তাহলে পুলিশ প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলেও তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চালিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল আপিল বিভাগের ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার পর থেকে আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিল পুলিশ।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাবজেক্ট মেটারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। সাবজেক্ট মেটারে (বিষয়বস্তু) কোটা নেই, সেটিই চলবে। রায় পেলে আবেদন (লিভ টু আপিল) করব। তখন আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায় দেবেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলব, আর আন্দোলন করার যৌক্তিক কারণ নেই। আপনারা সবাই রাস্তা ছাড়েন। আর জনদুর্ভোগ করবেন না।’

কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলেও তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চালিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল আপিল বিভাগের ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিল পুলিশ।    

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাবজেক্ট মেটারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। সাবজেক্ট মেটারে (বিষয়বস্তু) কোটা নেই, সেটিই চলবে। রায় পেলে আবেদন (লিভ টু আপিল) করব। তখন আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায় দেবেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলব, আর আন্দোলন করার যৌক্তিক কারণ নেই। আপনারা সবাই রাস্তা ছাড়েন। আর জনদুর্ভোগ করবেন না।’

সর্বশেষ গতকাল বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়কপথ, রেলপথ অবরোধ করে রাখে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে করে দুপুর থেকে দিনভর চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে রাজধানীতে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে উঠেছিল।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ৭ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। ফাইল ছবি
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ৭ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। একই সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চের নেতার হত্যাকারীদের ও তাদের পেছনের শক্তির বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ৭ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করা এই জোট।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গঠিত জোটটি আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ওসমান হাদির শোক সন্তপ্ত পরিবার ও সারাদেশে তাঁর সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। একই সঙ্গে ওসমান হাদির ওপর ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনায় এবং সার্বিকভাবে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন, গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট দেশের বিভিন্ন স্থানে এই হত্যাকাণ্ডকে ব্যবহার করে চলমান উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

জোটের শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম, হাসনাত কাইয়ূম ও মজিবুর রহমান মঞ্জু যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পরাজিত ও পলাতক হাসিনার খুনি-সন্ত্রাসী, ভারতীয় আগ্রাসনবাদী ও দেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দোসররা মিলে দেশে চরম অরাজকতা তৈরি করতে চান। দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তারা তৈরি করতে চান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার পরিষদ বানচাল করে এদেশে অগণতান্ত্রিক তৃতীয় শক্তির উত্থান তারা করতে চান।

তাদেরই উস্কানিতে গতকাল রাতে একাধিক পত্রিকা অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কূটনীতিকের বাসভবনে হামলা হয়েছে; দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও জুলাইয়ের অন্যতম পক্ষশক্তি নূরুল কবিরকে নাজেহাল করা হয়েছে।

এসব ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান নেতারা।

বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ তিন নেতা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে শোকসন্তপ্ত জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। খুনি, সন্ত্রাসী ও দেশবিরোধী শক্তির উস্কানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা বলা হয়। একই সঙ্গে ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বান্দরবানে সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি
সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বাসভবনে গতকাল রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বাসভবনে গতকাল রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বান্দরবানে সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জেলা শহরে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে আজ বেলা ১১টা থেকে বীর বাহাদুর উশৈসিংকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রেড জুলাইয়ের নেতা-কর্মীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল ছাত্র-জনতা বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠসংলগ্ন এলাকায় বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের পাঁচতলা বাসভবনে হামলা চালায়। পরে ভবনের একাংশে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ভবনের বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভবনের নিচতলায় থাকা একটি পাজেরো, একটি প্রাইভেট কার, একটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন আসবাব পুড়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবান শহরের বিদ্যুৎ-সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমেদ জানান, অগ্নিকাণ্ডে গাড়ি ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে নির্ধারণ করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাতে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলের একাংশ সাবেক মন্ত্রীর বাসভবনের সামনে পৌঁছে ভাঙচুর চালায় এবং একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার পর থেকে বান্দরবান জেলা শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ও রাজার মাঠ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার আবদুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে পুলিশের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

এদিকে সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী ও বান্দরবান আসনে সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিংকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রেড জুলাইয়ের নেতা-কর্মীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে তাঁরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার পথে ওসমান হাদির পরিবার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার পথে রওনা হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার পথে রওনা হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি ছেড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১টা ২০ মিনিটে ওসমান হাদির ছোট বোন মাসুমা ও তাঁর স্বামী আমির হোসেন হাওলাদার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওসমান হাদির বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছে। হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকাল থেকে ঝালকাঠির নলছিটি শহরের খাসমহলের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করেন। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।

হাদির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁরা হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এলাকাবাসী এই বিপ্লবীকে শেষবারের মতো দেখার দাবিও জানান।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান।

ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৩
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেন পুলিশের আইজি বাহারুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেন পুলিশের আইজি বাহারুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ শুক্রবার দুপুরে এই ভবন দুটি পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের আশপাশে ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন। তবে পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে আইজিপিকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এর আগে, গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

সরেজমিন দেখা গেছে, আগুনে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর ভবন দুটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে গণমাধ্যম দুটির সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণাকালে রিকশায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই দিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত