এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (পরিচালনা) কমিটির সভাপতির বড় স্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে অভিযোগ উঠেছে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না, তাই সভাপতির ছোট স্ত্রী দেন প্রক্সি। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকেন, কালেভদ্রে আসেন এলাকায়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে যিনি প্রক্সি দিচ্ছেন, তাঁকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে চেনে শিক্ষার্থীরা। ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিন গেলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনাটি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ছাবেদা চাঁন বালিকা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ছামিউল আলম ছামুর দাবি, প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে হাজির হওয়া প্রধান শিক্ষকের পক্ষের সম্ভব নয়। প্রধান শিক্ষকেরা তো মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। এটা তো দোষের কিছু না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামে ২০০৪ সালে ছাবেদা চাঁন বালিকা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ছামিউল আলম ছামু। পরে ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নতি করা হলে নামকরণ করা হয় ছাবেদা চাঁন উচ্চবিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ছামু তাঁর বড় স্ত্রী লাভলী আক্তারকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন। পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে আসীন হয়ে ছামু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি নিম্নমাধ্যমিক পর্যন্ত এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) ভুক্ত হয়। এতে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারসহ ১২ জন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারী সরকারি বেতন-ভাতার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হন। বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন এখনো বেতন-ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারের চেয়ারে বসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। এ ছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজও সারছেন। তবে এসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা মুখ খুলতে রাজি নন। তাঁদের অভিযোগ, আগে থেকেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘বিদ্যালয়ের কোনো তথ্য যার মাধ্যমে প্রকাশ পাবে, তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ চাকরি হারানোর হুমকিতে মুখ বন্ধ রেখেছেন অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, নাজমা আক্তার, শহিদ মিয়া, ছামছল মিয়া, বেদেনা ও হাসমত জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামুর অনিয়ম-দুর্নীতিতে দিশেহারা অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী। দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারের চেয়ার বসে প্রক্সি দিয়ে আসছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন। চাকরি হারানোর ভয়ে অন্য শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন না।
শিক্ষার্থী রাজমনি, হাফিজুর, সাথী, মমিনুল, বিলকিসসহ অনেকেই জানায়, প্রধান শিক্ষক হিসেবে তারা মুসলিমা খাতুনকেই চিনেন। লাভলী আক্তার নামে তারা কোনো শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাঠদান দিতে দেখেনি।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকায় বসবাস করি। প্রধান শিক্ষক পদে অন্য কেউ প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও যখন কাজ থাকে, তখন ঠিকই বিদ্যালয়ে যাই।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমি প্রধান শিক্ষক পদে প্রক্সি দিই না। তবে প্রধান শিক্ষক কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে, সেদিন নিয়মানুযায়ী আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এতেই আমি প্রধান শিক্ষক পদে আসীন হয়ে গেলাম, এটা নয়। মূলত আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত।’
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামিউল আলম ছামু বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। আমার বড় স্ত্রী লাভলী আক্তার বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। সে ঢাকায় বসবাস করে। প্রতি সপ্তাহেই সে বিদ্যালয়ে হাজির হয়। আমি নিজেও তো একটি কলেজে শিক্ষকতা করি। কই আমাকে তো প্রতিদিন কলেজে যেতে হয় না। আমার স্ত্রী তো মাঝেমধ্যেই ঢাকা থেকে বিদ্যালয়ে আসে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকদের তো প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা লাগে না। এতে তো দোষের কোনো কিছু দেখছি না। মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফা আক্তার কাকলী বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ের প্রক্সি শিক্ষকের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া আমি দেওয়ানগঞ্জে নতুন এসেছি। এ কারণেই বিষয়টি আমার অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করব।’
দেওয়ানগঞ্জ থেকে অন্যত্র বদলিপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার এলাকায় থাকেন না। সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিষয়টি আমি যখন অবগত হয়েছি, ততক্ষণে আমার বদলির আদেশ হয়েছে। এ কারণেই ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।’
দেওয়ানগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের স্থালে সহকারী শিক্ষকের প্রক্সি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এ ছাড়া ঢাকায় থেকে এলাকায় চাকরি করারও সুযোগ নেই। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করুন। খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (পরিচালনা) কমিটির সভাপতির বড় স্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে অভিযোগ উঠেছে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না, তাই সভাপতির ছোট স্ত্রী দেন প্রক্সি। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকেন, কালেভদ্রে আসেন এলাকায়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে যিনি প্রক্সি দিচ্ছেন, তাঁকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে চেনে শিক্ষার্থীরা। ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিন গেলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনাটি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ছাবেদা চাঁন বালিকা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ছামিউল আলম ছামুর দাবি, প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে হাজির হওয়া প্রধান শিক্ষকের পক্ষের সম্ভব নয়। প্রধান শিক্ষকেরা তো মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। এটা তো দোষের কিছু না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামে ২০০৪ সালে ছাবেদা চাঁন বালিকা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ছামিউল আলম ছামু। পরে ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নতি করা হলে নামকরণ করা হয় ছাবেদা চাঁন উচ্চবিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ছামু তাঁর বড় স্ত্রী লাভলী আক্তারকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন। পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে আসীন হয়ে ছামু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি নিম্নমাধ্যমিক পর্যন্ত এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) ভুক্ত হয়। এতে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারসহ ১২ জন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারী সরকারি বেতন-ভাতার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হন। বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন এখনো বেতন-ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারের চেয়ারে বসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। এ ছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজও সারছেন। তবে এসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা মুখ খুলতে রাজি নন। তাঁদের অভিযোগ, আগে থেকেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘বিদ্যালয়ের কোনো তথ্য যার মাধ্যমে প্রকাশ পাবে, তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ চাকরি হারানোর হুমকিতে মুখ বন্ধ রেখেছেন অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, নাজমা আক্তার, শহিদ মিয়া, ছামছল মিয়া, বেদেনা ও হাসমত জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামুর অনিয়ম-দুর্নীতিতে দিশেহারা অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী। দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারের চেয়ার বসে প্রক্সি দিয়ে আসছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন। চাকরি হারানোর ভয়ে অন্য শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন না।
শিক্ষার্থী রাজমনি, হাফিজুর, সাথী, মমিনুল, বিলকিসসহ অনেকেই জানায়, প্রধান শিক্ষক হিসেবে তারা মুসলিমা খাতুনকেই চিনেন। লাভলী আক্তার নামে তারা কোনো শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাঠদান দিতে দেখেনি।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকায় বসবাস করি। প্রধান শিক্ষক পদে অন্য কেউ প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও যখন কাজ থাকে, তখন ঠিকই বিদ্যালয়ে যাই।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমি প্রধান শিক্ষক পদে প্রক্সি দিই না। তবে প্রধান শিক্ষক কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে, সেদিন নিয়মানুযায়ী আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এতেই আমি প্রধান শিক্ষক পদে আসীন হয়ে গেলাম, এটা নয়। মূলত আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত।’
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামিউল আলম ছামু বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। আমার বড় স্ত্রী লাভলী আক্তার বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। সে ঢাকায় বসবাস করে। প্রতি সপ্তাহেই সে বিদ্যালয়ে হাজির হয়। আমি নিজেও তো একটি কলেজে শিক্ষকতা করি। কই আমাকে তো প্রতিদিন কলেজে যেতে হয় না। আমার স্ত্রী তো মাঝেমধ্যেই ঢাকা থেকে বিদ্যালয়ে আসে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকদের তো প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা লাগে না। এতে তো দোষের কোনো কিছু দেখছি না। মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফা আক্তার কাকলী বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ের প্রক্সি শিক্ষকের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া আমি দেওয়ানগঞ্জে নতুন এসেছি। এ কারণেই বিষয়টি আমার অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করব।’
দেওয়ানগঞ্জ থেকে অন্যত্র বদলিপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার এলাকায় থাকেন না। সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিষয়টি আমি যখন অবগত হয়েছি, ততক্ষণে আমার বদলির আদেশ হয়েছে। এ কারণেই ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।’
দেওয়ানগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের স্থালে সহকারী শিক্ষকের প্রক্সি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এ ছাড়া ঢাকায় থেকে এলাকায় চাকরি করারও সুযোগ নেই। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করুন। খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (পরিচালনা) কমিটির সভাপতির বড় স্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে অভিযোগ উঠেছে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না, তাই সভাপতির ছোট স্ত্রী দেন প্রক্সি। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকেন, কালেভদ্রে আসেন এলাকায়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে যিনি প্রক্সি দিচ্ছেন, তাঁকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে চেনে শিক্ষার্থীরা। ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিন গেলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনাটি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ছাবেদা চাঁন বালিকা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ছামিউল আলম ছামুর দাবি, প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে হাজির হওয়া প্রধান শিক্ষকের পক্ষের সম্ভব নয়। প্রধান শিক্ষকেরা তো মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। এটা তো দোষের কিছু না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামে ২০০৪ সালে ছাবেদা চাঁন বালিকা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ছামিউল আলম ছামু। পরে ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নতি করা হলে নামকরণ করা হয় ছাবেদা চাঁন উচ্চবিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ছামু তাঁর বড় স্ত্রী লাভলী আক্তারকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন। পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে আসীন হয়ে ছামু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি নিম্নমাধ্যমিক পর্যন্ত এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) ভুক্ত হয়। এতে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারসহ ১২ জন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারী সরকারি বেতন-ভাতার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হন। বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন এখনো বেতন-ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারের চেয়ারে বসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। এ ছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজও সারছেন। তবে এসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা মুখ খুলতে রাজি নন। তাঁদের অভিযোগ, আগে থেকেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘বিদ্যালয়ের কোনো তথ্য যার মাধ্যমে প্রকাশ পাবে, তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ চাকরি হারানোর হুমকিতে মুখ বন্ধ রেখেছেন অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, নাজমা আক্তার, শহিদ মিয়া, ছামছল মিয়া, বেদেনা ও হাসমত জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামুর অনিয়ম-দুর্নীতিতে দিশেহারা অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী। দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারের চেয়ার বসে প্রক্সি দিয়ে আসছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন। চাকরি হারানোর ভয়ে অন্য শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন না।
শিক্ষার্থী রাজমনি, হাফিজুর, সাথী, মমিনুল, বিলকিসসহ অনেকেই জানায়, প্রধান শিক্ষক হিসেবে তারা মুসলিমা খাতুনকেই চিনেন। লাভলী আক্তার নামে তারা কোনো শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাঠদান দিতে দেখেনি।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকায় বসবাস করি। প্রধান শিক্ষক পদে অন্য কেউ প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও যখন কাজ থাকে, তখন ঠিকই বিদ্যালয়ে যাই।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমি প্রধান শিক্ষক পদে প্রক্সি দিই না। তবে প্রধান শিক্ষক কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে, সেদিন নিয়মানুযায়ী আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এতেই আমি প্রধান শিক্ষক পদে আসীন হয়ে গেলাম, এটা নয়। মূলত আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত।’
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামিউল আলম ছামু বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। আমার বড় স্ত্রী লাভলী আক্তার বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। সে ঢাকায় বসবাস করে। প্রতি সপ্তাহেই সে বিদ্যালয়ে হাজির হয়। আমি নিজেও তো একটি কলেজে শিক্ষকতা করি। কই আমাকে তো প্রতিদিন কলেজে যেতে হয় না। আমার স্ত্রী তো মাঝেমধ্যেই ঢাকা থেকে বিদ্যালয়ে আসে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকদের তো প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা লাগে না। এতে তো দোষের কোনো কিছু দেখছি না। মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফা আক্তার কাকলী বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ের প্রক্সি শিক্ষকের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া আমি দেওয়ানগঞ্জে নতুন এসেছি। এ কারণেই বিষয়টি আমার অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করব।’
দেওয়ানগঞ্জ থেকে অন্যত্র বদলিপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার এলাকায় থাকেন না। সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিষয়টি আমি যখন অবগত হয়েছি, ততক্ষণে আমার বদলির আদেশ হয়েছে। এ কারণেই ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।’
দেওয়ানগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের স্থালে সহকারী শিক্ষকের প্রক্সি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এ ছাড়া ঢাকায় থেকে এলাকায় চাকরি করারও সুযোগ নেই। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করুন। খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (পরিচালনা) কমিটির সভাপতির বড় স্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে অভিযোগ উঠেছে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না, তাই সভাপতির ছোট স্ত্রী দেন প্রক্সি। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকেন, কালেভদ্রে আসেন এলাকায়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে যিনি প্রক্সি দিচ্ছেন, তাঁকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে চেনে শিক্ষার্থীরা। ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিন গেলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনাটি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ছাবেদা চাঁন বালিকা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ছামিউল আলম ছামুর দাবি, প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে হাজির হওয়া প্রধান শিক্ষকের পক্ষের সম্ভব নয়। প্রধান শিক্ষকেরা তো মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। এটা তো দোষের কিছু না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামে ২০০৪ সালে ছাবেদা চাঁন বালিকা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ছামিউল আলম ছামু। পরে ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নতি করা হলে নামকরণ করা হয় ছাবেদা চাঁন উচ্চবিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ছামু তাঁর বড় স্ত্রী লাভলী আক্তারকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন। পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে আসীন হয়ে ছামু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলিমা খাতুনকে নিয়োগ দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি নিম্নমাধ্যমিক পর্যন্ত এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) ভুক্ত হয়। এতে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারসহ ১২ জন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারী সরকারি বেতন-ভাতার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হন। বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন এখনো বেতন-ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারের চেয়ারে বসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। এ ছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজও সারছেন। তবে এসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা মুখ খুলতে রাজি নন। তাঁদের অভিযোগ, আগে থেকেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘বিদ্যালয়ের কোনো তথ্য যার মাধ্যমে প্রকাশ পাবে, তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ চাকরি হারানোর হুমকিতে মুখ বন্ধ রেখেছেন অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, নাজমা আক্তার, শহিদ মিয়া, ছামছল মিয়া, বেদেনা ও হাসমত জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামুর অনিয়ম-দুর্নীতিতে দিশেহারা অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী। দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তারের চেয়ার বসে প্রক্সি দিয়ে আসছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন। চাকরি হারানোর ভয়ে অন্য শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন না।
শিক্ষার্থী রাজমনি, হাফিজুর, সাথী, মমিনুল, বিলকিসসহ অনেকেই জানায়, প্রধান শিক্ষক হিসেবে তারা মুসলিমা খাতুনকেই চিনেন। লাভলী আক্তার নামে তারা কোনো শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাঠদান দিতে দেখেনি।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার বলেন, ‘আমি ঢাকায় বসবাস করি। প্রধান শিক্ষক পদে অন্য কেউ প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও যখন কাজ থাকে, তখন ঠিকই বিদ্যালয়ে যাই।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমি প্রধান শিক্ষক পদে প্রক্সি দিই না। তবে প্রধান শিক্ষক কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে, সেদিন নিয়মানুযায়ী আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এতেই আমি প্রধান শিক্ষক পদে আসীন হয়ে গেলাম, এটা নয়। মূলত আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত।’
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামিউল আলম ছামু বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। আমার বড় স্ত্রী লাভলী আক্তার বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। সে ঢাকায় বসবাস করে। প্রতি সপ্তাহেই সে বিদ্যালয়ে হাজির হয়। আমি নিজেও তো একটি কলেজে শিক্ষকতা করি। কই আমাকে তো প্রতিদিন কলেজে যেতে হয় না। আমার স্ত্রী তো মাঝেমধ্যেই ঢাকা থেকে বিদ্যালয়ে আসে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকদের তো প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা লাগে না। এতে তো দোষের কোনো কিছু দেখছি না। মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফা আক্তার কাকলী বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ের প্রক্সি শিক্ষকের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া আমি দেওয়ানগঞ্জে নতুন এসেছি। এ কারণেই বিষয়টি আমার অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করব।’
দেওয়ানগঞ্জ থেকে অন্যত্র বদলিপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার এলাকায় থাকেন না। সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিষয়টি আমি যখন অবগত হয়েছি, ততক্ষণে আমার বদলির আদেশ হয়েছে। এ কারণেই ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।’
দেওয়ানগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের স্থালে সহকারী শিক্ষকের প্রক্সি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এ ছাড়া ঢাকায় থেকে এলাকায় চাকরি করারও সুযোগ নেই। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করুন। খোঁজ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৩ মিনিট আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৭ মিনিট আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (পরিচালনা) কমিটির সভাপতির বড় স্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে অভিযোগ উঠেছে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না, তাই সভাপতির ছোট স্ত্রী দেন প্রক্সি। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকেন, কালেভদ্রে আসেন এলাকায়।
২৮ জুন ২০২৪
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৭ মিনিট আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (পরিচালনা) কমিটির সভাপতির বড় স্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে অভিযোগ উঠেছে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না, তাই সভাপতির ছোট স্ত্রী দেন প্রক্সি। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকেন, কালেভদ্রে আসেন এলাকায়।
২৮ জুন ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৩ মিনিট আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (পরিচালনা) কমিটির সভাপতির বড় স্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে অভিযোগ উঠেছে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না, তাই সভাপতির ছোট স্ত্রী দেন প্রক্সি। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকেন, কালেভদ্রে আসেন এলাকায়।
২৮ জুন ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৩ মিনিট আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৭ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (পরিচালনা) কমিটির সভাপতির বড় স্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তবে অভিযোগ উঠেছে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না, তাই সভাপতির ছোট স্ত্রী দেন প্রক্সি। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকেন, কালেভদ্রে আসেন এলাকায়।
২৮ জুন ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৩ মিনিট আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৭ মিনিট আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে