রাহুল শর্মা, ঢাকা

আগামী শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ নিজেদের মধ্যে রাখতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে অসাধু মুদ্রণকারীদের চক্র। তারা আগেভাগেই নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দরপত্রে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত যেসব লটের দরপত্র হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতে একটি, কোনোটিতে দুটি, কোনোটিতে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। যে লটে তিনটি দরপত্র পড়েছে, সেগুলোও একই মালিকের তিন প্রতিষ্ঠানের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই সমঝোতার কারণে প্রতিযোগিতাহীন দরপত্রে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানই কাজ পাবে। কম দরপত্র জমা পড়ায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডও (এনসিটিবি) বাছাই করার সুযোগ পাচ্ছে না। বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্ব এনসিটিবির।
আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এবার প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনসিটিবি। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এনসিটিবির সূত্র ও দরপত্রে অংশ নেওয়া কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সূত্র বলেছে, গত কয়েক বছর সরকারি দরের চেয়ে অনেক কম দর দিয়ে কাজ বাগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার দর দেওয়া হয়েছে প্রাক্কলিত দরের সামান্য কম। ফলে আগেরবারের চেয়ে দর বেশি দেওয়ায় এবার বই ছাপাতে সরকারের খরচ বাড়বে। এর পরও গত কয়েক বছরের মতো এবারও যে বইয়ের নিম্নমানের অভিযোগ উঠবে না, সেই নিশ্চয়তা এখনো নেই।
গত বছর পর্যন্ত এনসিটিবি প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছেপেছে। নতুন শিক্ষাক্রমের কারণে এবার দশম শ্রেণির জন্যও নতুন বই ছাপানো হবে। এবার মোট ৮১৪ লটে বই ছাপানো হবে। এর মধ্যে গত মঙ্গল ও বুধবার ২৯৮ লটের দরপত্র খোলাও হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মঙ্গলবার ষষ্ঠ শ্রেণির ১০০ ও সপ্তম শ্রেণির ১০০ লটের এবং বুধবার প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপানোর ৯৮ লটের দরপত্র খোলা হয়। বাকি লটগুলোর দরপত্র পর্যায়ক্রমে আহ্বান করে খোলা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আগের বছরগুলোতে একেকটি লটে কমপক্ষে ১৪-১৫টি দরপত্র জমা পড়লেও এবার এ পর্যন্ত অধিকাংশ লটেই একটি বা দুটি দরপত্র জমা পড়েছে। কোনো কোনোটিতে তিনটি। তবে যেসব লটে একাধিক দরপত্র পড়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো একই মালিকের। ফলে প্রতিযোগিতা থাকছে না। বিভিন্ন পর্যায়ে অনুমোদন শেষে এসব প্রতিষ্ঠানকেই কার্যাদেশ দিতে হবে এনসিটিবিকে। বলতে গেলে ঘুরেফিরে একই চক্র পাচ্ছে বই ছাপানোর কাজ।
এনসিটিবির একটি সূত্র জানায়, এবার দরপত্র খোলার পর বোঝা গেছে সরকারের প্রাক্কলিত দর অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার আগেই জেনে গেছে। এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা এটি ফাঁস করেছেন। এ ছাড়া দরপত্র খোলার তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে এনসিটিবির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাঁদের একজন বর্তমানে এনসিটিবিতে নেই।
এনসিটিবির সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর বই ছাপার দরপত্রে ব্যাপক প্রতিযোগিতা ছিল। এ জন্য অনেক মুদ্রণকারী প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কম দর দিয়েও কাজ নিয়েছিলেন। এতে গত বছর এনসিটিবির সাশ্রয় হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। তবে ছাপা হওয়া অধিকাংশ বই নিম্নমানের হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনাও হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী জানান, গত মঙ্গল ও বুধবার যেসব লটের দরপত্র খোলা হয়েছে, সেগুলোতে প্রতিযোগিতা ছাড়াই অধিকাংশ কাজ পাচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতাকারী কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। সবই সিন্ডিকেটের কারসাজি।
দরপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এবার বড় কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান দফায় দফায় বৈঠক করে ঠিক করেছে কে কোন লটের দরপত্র জমা দেবে। পরের লটগুলোতেও একই কৌশল নেওয়া হতে পারে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন বই দিচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য যে ৩৫ কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপানো হবে, তার মধ্যে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের বই ৯ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ১৫ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৬ কপি বই। বাকিগুলো নবম ও দশম শ্রেণির। এই দুই শ্রেণির বইয়ের সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এসব বই ছাপার কাজের দরপত্র ডাকা হয় লটভিত্তিক।
ব্যয় বাড়ছে ২০০ কোটি টাকা
আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিকের জন্য ১ হাজার ২২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং প্রাথমিকের জন্য ৪৩৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গত বছর মাধ্যমিকে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২ কোটি টাকা এবং প্রাথমিকে ৪৪০ কোটি টাকা। এই হিসাবে এবার বই ছাপার খরচ বাড়ছে ২০০ কোটি টাকার বেশি।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এবার দশম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপাতে হবে বলে ছাপার খরচ বাড়বে। সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হচ্ছে।

আগামী শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ নিজেদের মধ্যে রাখতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে অসাধু মুদ্রণকারীদের চক্র। তারা আগেভাগেই নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দরপত্রে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত যেসব লটের দরপত্র হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতে একটি, কোনোটিতে দুটি, কোনোটিতে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। যে লটে তিনটি দরপত্র পড়েছে, সেগুলোও একই মালিকের তিন প্রতিষ্ঠানের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই সমঝোতার কারণে প্রতিযোগিতাহীন দরপত্রে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানই কাজ পাবে। কম দরপত্র জমা পড়ায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডও (এনসিটিবি) বাছাই করার সুযোগ পাচ্ছে না। বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্ব এনসিটিবির।
আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এবার প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনসিটিবি। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এনসিটিবির সূত্র ও দরপত্রে অংশ নেওয়া কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সূত্র বলেছে, গত কয়েক বছর সরকারি দরের চেয়ে অনেক কম দর দিয়ে কাজ বাগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার দর দেওয়া হয়েছে প্রাক্কলিত দরের সামান্য কম। ফলে আগেরবারের চেয়ে দর বেশি দেওয়ায় এবার বই ছাপাতে সরকারের খরচ বাড়বে। এর পরও গত কয়েক বছরের মতো এবারও যে বইয়ের নিম্নমানের অভিযোগ উঠবে না, সেই নিশ্চয়তা এখনো নেই।
গত বছর পর্যন্ত এনসিটিবি প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছেপেছে। নতুন শিক্ষাক্রমের কারণে এবার দশম শ্রেণির জন্যও নতুন বই ছাপানো হবে। এবার মোট ৮১৪ লটে বই ছাপানো হবে। এর মধ্যে গত মঙ্গল ও বুধবার ২৯৮ লটের দরপত্র খোলাও হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মঙ্গলবার ষষ্ঠ শ্রেণির ১০০ ও সপ্তম শ্রেণির ১০০ লটের এবং বুধবার প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপানোর ৯৮ লটের দরপত্র খোলা হয়। বাকি লটগুলোর দরপত্র পর্যায়ক্রমে আহ্বান করে খোলা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আগের বছরগুলোতে একেকটি লটে কমপক্ষে ১৪-১৫টি দরপত্র জমা পড়লেও এবার এ পর্যন্ত অধিকাংশ লটেই একটি বা দুটি দরপত্র জমা পড়েছে। কোনো কোনোটিতে তিনটি। তবে যেসব লটে একাধিক দরপত্র পড়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো একই মালিকের। ফলে প্রতিযোগিতা থাকছে না। বিভিন্ন পর্যায়ে অনুমোদন শেষে এসব প্রতিষ্ঠানকেই কার্যাদেশ দিতে হবে এনসিটিবিকে। বলতে গেলে ঘুরেফিরে একই চক্র পাচ্ছে বই ছাপানোর কাজ।
এনসিটিবির একটি সূত্র জানায়, এবার দরপত্র খোলার পর বোঝা গেছে সরকারের প্রাক্কলিত দর অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার আগেই জেনে গেছে। এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা এটি ফাঁস করেছেন। এ ছাড়া দরপত্র খোলার তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে এনসিটিবির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাঁদের একজন বর্তমানে এনসিটিবিতে নেই।
এনসিটিবির সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর বই ছাপার দরপত্রে ব্যাপক প্রতিযোগিতা ছিল। এ জন্য অনেক মুদ্রণকারী প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কম দর দিয়েও কাজ নিয়েছিলেন। এতে গত বছর এনসিটিবির সাশ্রয় হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। তবে ছাপা হওয়া অধিকাংশ বই নিম্নমানের হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনাও হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী জানান, গত মঙ্গল ও বুধবার যেসব লটের দরপত্র খোলা হয়েছে, সেগুলোতে প্রতিযোগিতা ছাড়াই অধিকাংশ কাজ পাচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতাকারী কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। সবই সিন্ডিকেটের কারসাজি।
দরপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এবার বড় কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান দফায় দফায় বৈঠক করে ঠিক করেছে কে কোন লটের দরপত্র জমা দেবে। পরের লটগুলোতেও একই কৌশল নেওয়া হতে পারে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন বই দিচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য যে ৩৫ কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপানো হবে, তার মধ্যে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের বই ৯ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ১৫ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৬ কপি বই। বাকিগুলো নবম ও দশম শ্রেণির। এই দুই শ্রেণির বইয়ের সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এসব বই ছাপার কাজের দরপত্র ডাকা হয় লটভিত্তিক।
ব্যয় বাড়ছে ২০০ কোটি টাকা
আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিকের জন্য ১ হাজার ২২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং প্রাথমিকের জন্য ৪৩৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গত বছর মাধ্যমিকে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২ কোটি টাকা এবং প্রাথমিকে ৪৪০ কোটি টাকা। এই হিসাবে এবার বই ছাপার খরচ বাড়ছে ২০০ কোটি টাকার বেশি।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এবার দশম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপাতে হবে বলে ছাপার খরচ বাড়বে। সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হচ্ছে।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
১ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
২ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি ও চিরিরবন্দর সংবাদদাতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

আগামী শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ নিজেদের মধ্যে রাখতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে অসাধু মুদ্রণকারীদের চক্র। তারা আগেভাগেই নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দরপত্রে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত যেসব লটের দরপত্র হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতে একটি, কোনোটিতে দুটি, কোনোটিতে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। যে লটে তিনটি
২৮ জুন ২০২৪
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
২ ঘণ্টা আগেসাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

আগামী শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ নিজেদের মধ্যে রাখতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে অসাধু মুদ্রণকারীদের চক্র। তারা আগেভাগেই নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দরপত্রে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত যেসব লটের দরপত্র হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতে একটি, কোনোটিতে দুটি, কোনোটিতে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। যে লটে তিনটি
২৮ জুন ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
১ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

আগামী শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ নিজেদের মধ্যে রাখতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে অসাধু মুদ্রণকারীদের চক্র। তারা আগেভাগেই নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দরপত্রে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত যেসব লটের দরপত্র হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতে একটি, কোনোটিতে দুটি, কোনোটিতে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। যে লটে তিনটি
২৮ জুন ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
১ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
২ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

আগামী শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ নিজেদের মধ্যে রাখতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে অসাধু মুদ্রণকারীদের চক্র। তারা আগেভাগেই নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দরপত্রে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত যেসব লটের দরপত্র হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতে একটি, কোনোটিতে দুটি, কোনোটিতে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। যে লটে তিনটি
২৮ জুন ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
১ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে