ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ঘটনা পর গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন—পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামের উজ্জল কুমার বিশ্বাস (৪১), কামারখালী বাজার এলাকার বিনয় সাহা (৬০), জাননগর গ্রামের গোবিন্দ সরকার (২৮) ও অনয় ভাদুরী (১৯)। এদের মধ্যে উজ্জল কুমার বিশ্বাস ও বিনয় সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ মঙ্গলবার বাকি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন—রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির আকশুকনা গ্রামের উজ্জল কুমার মিত্র (৩৩) ও পুষআমলা গ্রামের বিশ্বজিৎ মল্লিক (৫২), সাধুখালী গ্রামের কনক বিশ্বাস (২৭), মাগুরার শ্রীপুর থানার মদনপুর গ্রামের প্রসেনজিৎ সরকার (৫২), বড়ালীদহ গ্রামের সুজয় বিশ্বাস (১৬), মধুখালীর জিনিসনগর গ্রামের তপন কুমার মন্ডল (৪০), তারাপুর গ্রামের অনুপ রায় (৩১) ও টুটুল চন্দ্র মন্ডল (৩০)। এদের ১৬৪ ধারায় নাম উঠে এসেছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে এবং আগামীকাল বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সুতরাং, এ মামলায় মানুষের উত্তেজিত হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকারে দেখা গেছে। তারা এখন পলাতক আছে, আমরা তাদের খুঁজছি। খুব দ্রুতই তাদের আমার গ্রেপ্তার করব। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে আজও পুলিশ কিছু জানায়নি।
১৬৪ ধারায় দুই আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন শ্রমিকেরা স্কুল ঘরে ছিল। তাদের সামনেই অনেকে শ্রমিকদের মারধর করে, কেউ কেউ ইট ছুড়ে মারে। শ্রমিকদের মারধরের কারণ হিসেবে আসামি দুজন বলেছে, তারা আগুন দেওয়ার কথা শুনেছে, শ্রমিকেরা যে আগুন দিয়েছে এ রকম কেউ দেখেনি। সন্দেহ করে শ্রমিকদের বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে সন্দেহের বশে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা হবে।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। আমাদের কাছে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের তথ্য ছাড়া অন্য কোনো তথ্য ছিল না। ওই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানানো হয়, আজ (মঙ্গলবার) মধুখালীতে মানববন্ধন হবে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি আবার স্ট্যাটাস দেয় কোনো মানববন্ধন হবে না। তারপরও পুলিশ সকাল থেকে মধুখালীর ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নেয়, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ জড়ো হয়।
তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গ্রুপ আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর পরিচালিত করেছে। তারা চায় না, পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করা হোক। সে জন্য তারা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিশেষ উদ্দেশ্যে আজকের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, সকল ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। কারও কোনো সংশয় বা অবকাশ প্রকাশ করার নেই।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আজকের ঘটনায় পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছে, গাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। তারা মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে, সে তখন ইটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় হয়তো পুলিশের ছোড়রা গুলি তার লাগতে পারে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে একটি কালিমন্দিরের কালিমূর্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে মন্দির সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণকাজের নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করে মারধর শুরু করে কয়েক তরুণ। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে জানানো হয়, তারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় সহোদর দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুলের নিহত হন। তবে পুলিশ জানিয়েছেন, মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার মানুষ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিকে রূপ নেয়, নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় প্রশাসন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে পুলিশের ছোড়া গুলি ও টিয়ারশেলে কমপক্ষে ১৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলার কামারখালীর উজানদিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সোহেল রানা (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতার ছোড়া ইটপাটকেলে অনেক পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ঘটনা পর গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন—পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামের উজ্জল কুমার বিশ্বাস (৪১), কামারখালী বাজার এলাকার বিনয় সাহা (৬০), জাননগর গ্রামের গোবিন্দ সরকার (২৮) ও অনয় ভাদুরী (১৯)। এদের মধ্যে উজ্জল কুমার বিশ্বাস ও বিনয় সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ মঙ্গলবার বাকি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন—রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির আকশুকনা গ্রামের উজ্জল কুমার মিত্র (৩৩) ও পুষআমলা গ্রামের বিশ্বজিৎ মল্লিক (৫২), সাধুখালী গ্রামের কনক বিশ্বাস (২৭), মাগুরার শ্রীপুর থানার মদনপুর গ্রামের প্রসেনজিৎ সরকার (৫২), বড়ালীদহ গ্রামের সুজয় বিশ্বাস (১৬), মধুখালীর জিনিসনগর গ্রামের তপন কুমার মন্ডল (৪০), তারাপুর গ্রামের অনুপ রায় (৩১) ও টুটুল চন্দ্র মন্ডল (৩০)। এদের ১৬৪ ধারায় নাম উঠে এসেছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে এবং আগামীকাল বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সুতরাং, এ মামলায় মানুষের উত্তেজিত হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকারে দেখা গেছে। তারা এখন পলাতক আছে, আমরা তাদের খুঁজছি। খুব দ্রুতই তাদের আমার গ্রেপ্তার করব। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে আজও পুলিশ কিছু জানায়নি।
১৬৪ ধারায় দুই আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন শ্রমিকেরা স্কুল ঘরে ছিল। তাদের সামনেই অনেকে শ্রমিকদের মারধর করে, কেউ কেউ ইট ছুড়ে মারে। শ্রমিকদের মারধরের কারণ হিসেবে আসামি দুজন বলেছে, তারা আগুন দেওয়ার কথা শুনেছে, শ্রমিকেরা যে আগুন দিয়েছে এ রকম কেউ দেখেনি। সন্দেহ করে শ্রমিকদের বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে সন্দেহের বশে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা হবে।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। আমাদের কাছে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের তথ্য ছাড়া অন্য কোনো তথ্য ছিল না। ওই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানানো হয়, আজ (মঙ্গলবার) মধুখালীতে মানববন্ধন হবে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি আবার স্ট্যাটাস দেয় কোনো মানববন্ধন হবে না। তারপরও পুলিশ সকাল থেকে মধুখালীর ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নেয়, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ জড়ো হয়।
তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গ্রুপ আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর পরিচালিত করেছে। তারা চায় না, পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করা হোক। সে জন্য তারা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিশেষ উদ্দেশ্যে আজকের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, সকল ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। কারও কোনো সংশয় বা অবকাশ প্রকাশ করার নেই।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আজকের ঘটনায় পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছে, গাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। তারা মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে, সে তখন ইটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় হয়তো পুলিশের ছোড়রা গুলি তার লাগতে পারে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে একটি কালিমন্দিরের কালিমূর্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে মন্দির সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণকাজের নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করে মারধর শুরু করে কয়েক তরুণ। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে জানানো হয়, তারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় সহোদর দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুলের নিহত হন। তবে পুলিশ জানিয়েছেন, মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার মানুষ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিকে রূপ নেয়, নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় প্রশাসন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে পুলিশের ছোড়া গুলি ও টিয়ারশেলে কমপক্ষে ১৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলার কামারখালীর উজানদিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সোহেল রানা (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতার ছোড়া ইটপাটকেলে অনেক পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ঘটনা পর গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন—পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামের উজ্জল কুমার বিশ্বাস (৪১), কামারখালী বাজার এলাকার বিনয় সাহা (৬০), জাননগর গ্রামের গোবিন্দ সরকার (২৮) ও অনয় ভাদুরী (১৯)। এদের মধ্যে উজ্জল কুমার বিশ্বাস ও বিনয় সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ মঙ্গলবার বাকি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন—রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির আকশুকনা গ্রামের উজ্জল কুমার মিত্র (৩৩) ও পুষআমলা গ্রামের বিশ্বজিৎ মল্লিক (৫২), সাধুখালী গ্রামের কনক বিশ্বাস (২৭), মাগুরার শ্রীপুর থানার মদনপুর গ্রামের প্রসেনজিৎ সরকার (৫২), বড়ালীদহ গ্রামের সুজয় বিশ্বাস (১৬), মধুখালীর জিনিসনগর গ্রামের তপন কুমার মন্ডল (৪০), তারাপুর গ্রামের অনুপ রায় (৩১) ও টুটুল চন্দ্র মন্ডল (৩০)। এদের ১৬৪ ধারায় নাম উঠে এসেছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে এবং আগামীকাল বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সুতরাং, এ মামলায় মানুষের উত্তেজিত হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকারে দেখা গেছে। তারা এখন পলাতক আছে, আমরা তাদের খুঁজছি। খুব দ্রুতই তাদের আমার গ্রেপ্তার করব। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে আজও পুলিশ কিছু জানায়নি।
১৬৪ ধারায় দুই আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন শ্রমিকেরা স্কুল ঘরে ছিল। তাদের সামনেই অনেকে শ্রমিকদের মারধর করে, কেউ কেউ ইট ছুড়ে মারে। শ্রমিকদের মারধরের কারণ হিসেবে আসামি দুজন বলেছে, তারা আগুন দেওয়ার কথা শুনেছে, শ্রমিকেরা যে আগুন দিয়েছে এ রকম কেউ দেখেনি। সন্দেহ করে শ্রমিকদের বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে সন্দেহের বশে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা হবে।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। আমাদের কাছে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের তথ্য ছাড়া অন্য কোনো তথ্য ছিল না। ওই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানানো হয়, আজ (মঙ্গলবার) মধুখালীতে মানববন্ধন হবে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি আবার স্ট্যাটাস দেয় কোনো মানববন্ধন হবে না। তারপরও পুলিশ সকাল থেকে মধুখালীর ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নেয়, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ জড়ো হয়।
তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গ্রুপ আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর পরিচালিত করেছে। তারা চায় না, পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করা হোক। সে জন্য তারা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিশেষ উদ্দেশ্যে আজকের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, সকল ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। কারও কোনো সংশয় বা অবকাশ প্রকাশ করার নেই।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আজকের ঘটনায় পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছে, গাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। তারা মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে, সে তখন ইটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় হয়তো পুলিশের ছোড়রা গুলি তার লাগতে পারে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে একটি কালিমন্দিরের কালিমূর্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে মন্দির সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণকাজের নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করে মারধর শুরু করে কয়েক তরুণ। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে জানানো হয়, তারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় সহোদর দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুলের নিহত হন। তবে পুলিশ জানিয়েছেন, মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার মানুষ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিকে রূপ নেয়, নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় প্রশাসন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে পুলিশের ছোড়া গুলি ও টিয়ারশেলে কমপক্ষে ১৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলার কামারখালীর উজানদিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সোহেল রানা (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতার ছোড়া ইটপাটকেলে অনেক পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ঘটনা পর গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন—পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামের উজ্জল কুমার বিশ্বাস (৪১), কামারখালী বাজার এলাকার বিনয় সাহা (৬০), জাননগর গ্রামের গোবিন্দ সরকার (২৮) ও অনয় ভাদুরী (১৯)। এদের মধ্যে উজ্জল কুমার বিশ্বাস ও বিনয় সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ মঙ্গলবার বাকি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন—রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির আকশুকনা গ্রামের উজ্জল কুমার মিত্র (৩৩) ও পুষআমলা গ্রামের বিশ্বজিৎ মল্লিক (৫২), সাধুখালী গ্রামের কনক বিশ্বাস (২৭), মাগুরার শ্রীপুর থানার মদনপুর গ্রামের প্রসেনজিৎ সরকার (৫২), বড়ালীদহ গ্রামের সুজয় বিশ্বাস (১৬), মধুখালীর জিনিসনগর গ্রামের তপন কুমার মন্ডল (৪০), তারাপুর গ্রামের অনুপ রায় (৩১) ও টুটুল চন্দ্র মন্ডল (৩০)। এদের ১৬৪ ধারায় নাম উঠে এসেছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে এবং আগামীকাল বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সুতরাং, এ মামলায় মানুষের উত্তেজিত হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজে ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকারে দেখা গেছে। তারা এখন পলাতক আছে, আমরা তাদের খুঁজছি। খুব দ্রুতই তাদের আমার গ্রেপ্তার করব। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে আজও পুলিশ কিছু জানায়নি।
১৬৪ ধারায় দুই আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন শ্রমিকেরা স্কুল ঘরে ছিল। তাদের সামনেই অনেকে শ্রমিকদের মারধর করে, কেউ কেউ ইট ছুড়ে মারে। শ্রমিকদের মারধরের কারণ হিসেবে আসামি দুজন বলেছে, তারা আগুন দেওয়ার কথা শুনেছে, শ্রমিকেরা যে আগুন দিয়েছে এ রকম কেউ দেখেনি। সন্দেহ করে শ্রমিকদের বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে সন্দেহের বশে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা হবে।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। আমাদের কাছে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের তথ্য ছাড়া অন্য কোনো তথ্য ছিল না। ওই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানানো হয়, আজ (মঙ্গলবার) মধুখালীতে মানববন্ধন হবে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি আবার স্ট্যাটাস দেয় কোনো মানববন্ধন হবে না। তারপরও পুলিশ সকাল থেকে মধুখালীর ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নেয়, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ জড়ো হয়।
তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গ্রুপ আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর পরিচালিত করেছে। তারা চায় না, পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করা হোক। সে জন্য তারা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিশেষ উদ্দেশ্যে আজকের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পঞ্চপল্লীর ঘটনায় যত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, সকল ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। কারও কোনো সংশয় বা অবকাশ প্রকাশ করার নেই।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আজকের ঘটনায় পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছে, গাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। তারা মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে, সে তখন ইটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় হয়তো পুলিশের ছোড়রা গুলি তার লাগতে পারে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে একটি কালিমন্দিরের কালিমূর্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে মন্দির সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণকাজের নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করে মারধর শুরু করে কয়েক তরুণ। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে জানানো হয়, তারা মন্দিরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় সহোদর দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুলের নিহত হন। তবে পুলিশ জানিয়েছেন, মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার মানুষ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিকে রূপ নেয়, নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় প্রশাসন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে পুলিশের ছোড়া গুলি ও টিয়ারশেলে কমপক্ষে ১৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলার কামারখালীর উজানদিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সোহেল রানা (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতার ছোড়া ইটপাটকেলে অনেক পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আলাউদ্দিন (৪৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে খলিলনগর ইউনিয়নের হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের মৃত আনসার শেখের ছেলে।
৩৭ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
২ ঘণ্টা আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেতালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আলাউদ্দিন (৪৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে খলিলনগর ইউনিয়নের হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের মৃত আনসার শেখের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মরদেহটি একটি আমগাছের নিচে পড়ে ছিল। মরদেহের পাশে একটি ব্যাগ, লাঠি, গামছা এবং এক জোড়া জুতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর গলায় লালচে দাগ লক্ষ করা গেছে।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ইসমতারা জানান, আলাউদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরে সকালে ছাগল চরাতে গিয়ে গফুর মোল্লা নামের এক ব্যক্তি মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন।
হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর মোড়ল বলেন, আলাউদ্দিন কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন। তাঁর হাতে সব সময় একটি লাঠি ও একটি ব্যাগ থাকত। তিনি বিভিন্ন সময় মানুষের ছোটখাটো কাজে সহযোগিতা করতেন এবং পাঁচ টাকার বেশি নিতেন না। তবে গলায় লালচে দাগ থাকায় মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আলাউদ্দিন (৪৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে খলিলনগর ইউনিয়নের হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের মৃত আনসার শেখের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মরদেহটি একটি আমগাছের নিচে পড়ে ছিল। মরদেহের পাশে একটি ব্যাগ, লাঠি, গামছা এবং এক জোড়া জুতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর গলায় লালচে দাগ লক্ষ করা গেছে।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ইসমতারা জানান, আলাউদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরে সকালে ছাগল চরাতে গিয়ে গফুর মোল্লা নামের এক ব্যক্তি মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন।
হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর মোড়ল বলেন, আলাউদ্দিন কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন। তাঁর হাতে সব সময় একটি লাঠি ও একটি ব্যাগ থাকত। তিনি বিভিন্ন সময় মানুষের ছোটখাটো কাজে সহযোগিতা করতেন এবং পাঁচ টাকার বেশি নিতেন না। তবে গলায় লালচে দাগ থাকায় মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার
২৩ এপ্রিল ২০২৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
২ ঘণ্টা আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা জানান, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন লাইনের একটি ফিউজে আগুন জ্বলে ওঠে। সেখান থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পড়ে মুহূর্তেই আগুন পাশের ঝুটগুদাম ও অপর একটি ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকের মালিকের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বিদ্যুৎ লাইনের ত্রুটি তদারকি না করার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. নূরুল করিম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা জানান, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন লাইনের একটি ফিউজে আগুন জ্বলে ওঠে। সেখান থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পড়ে মুহূর্তেই আগুন পাশের ঝুটগুদাম ও অপর একটি ট্রাকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকের মালিকের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বিদ্যুৎ লাইনের ত্রুটি তদারকি না করার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. নূরুল করিম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার
২৩ এপ্রিল ২০২৪
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আলাউদ্দিন (৪৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে খলিলনগর ইউনিয়নের হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের মৃত আনসার শেখের ছেলে।
৩৭ মিনিট আগে
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
২ ঘণ্টা আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমীর (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি কোন পদে ছিলেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। মরদেহ এখনো ওই হোস্টেলেই রয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজারীবাগ থানার এসআই সুব্রত। তিনি বলেন, মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রেজা লেখেন, রুমী এক মাস ধরে আওয়ামী লীগের ক্রমাগত সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পেয়ে আসছিলেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীনও আজকের পত্রিকাকে একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জান্নাতারা রুমী বেশ কিছুদিন ধরে নানাভাবে হুমকি পাচ্ছিলেন। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা, সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তিনি সাইবার বুলিংয়েরও শিকার হচ্ছিলেন।’
হাজারীবাগ থানা-পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমীর (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি কোন পদে ছিলেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। মরদেহ এখনো ওই হোস্টেলেই রয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজারীবাগ থানার এসআই সুব্রত। তিনি বলেন, মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রেজা লেখেন, রুমী এক মাস ধরে আওয়ামী লীগের ক্রমাগত সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পেয়ে আসছিলেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীনও আজকের পত্রিকাকে একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জান্নাতারা রুমী বেশ কিছুদিন ধরে নানাভাবে হুমকি পাচ্ছিলেন। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা, সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তিনি সাইবার বুলিংয়েরও শিকার হচ্ছিলেন।’
হাজারীবাগ থানা-পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার
২৩ এপ্রিল ২০২৪
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আলাউদ্দিন (৪৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে খলিলনগর ইউনিয়নের হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের মৃত আনসার শেখের ছেলে।
৩৭ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেগঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করা মানে বাংলাদেশের সব জুলাই যোদ্ধার ওপর হামলা—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আল মামুন। গতকাল বুধবার রাতে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে গঙ্গাচড়া উপজেলা এনসিপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
আল মামুন আরও বলেন, ‘আজ ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছে, আগামীকাল আমার ওপর কিংবা অন্য কোনো সহযোদ্ধার ওপরও হতে পারে। এটি দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে। জনগণ নিরাপদ না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সমাবেশে রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার নির্বাচনী তৎপরতার সমালোচনা করে আল মামুন বলেন, আবারও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা জুলাই যোদ্ধারা প্রতিহত করবে।
মশাল মিছিলটি গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গঙ্গাচড়া বাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ শেষে পুনরায় কলেজ মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের এনসিপি নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করা মানে বাংলাদেশের সব জুলাই যোদ্ধার ওপর হামলা—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আল মামুন। গতকাল বুধবার রাতে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে গঙ্গাচড়া উপজেলা এনসিপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আল মামুন বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
আল মামুন আরও বলেন, ‘আজ ওসমান হাদির ওপর হামলা হয়েছে, আগামীকাল আমার ওপর কিংবা অন্য কোনো সহযোদ্ধার ওপরও হতে পারে। এটি দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে। জনগণ নিরাপদ না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সমাবেশে রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার নির্বাচনী তৎপরতার সমালোচনা করে আল মামুন বলেন, আবারও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা জুলাই যোদ্ধারা প্রতিহত করবে।
মশাল মিছিলটি গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গঙ্গাচড়া বাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশ শেষে পুনরায় কলেজ মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের এনসিপি নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার
২৩ এপ্রিল ২০২৪
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আলাউদ্দিন (৪৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে খলিলনগর ইউনিয়নের হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের মৃত আনসার শেখের ছেলে।
৩৭ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ফিউজে অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ট্রাক ও একটি ঝুটগুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ওই তরুণী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।
২ ঘণ্টা আগে