সৌগত বসু, ঢাকা

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চড়া দামে হিমশিম অবস্থা বেশিরভাগ মানুষের। ডলারের সংকটে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়িতে কমেছে আমদানি। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপে তৈরি বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়েনি।
ইউরোপে তৈরি মার্সিডিজ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি, বিএমডব্লিউ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি টেসলা বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে সবচেয়ে কম দামি গাড়ির দামও ২ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশে মার্সিডিজ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি, বিএমউব্লিউ ও টেসলার রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) হয়েছে ১ হাজার ৩৫৪টি। এর মধ্যে অডি ২০০টি, বিএমডব্লিউ ৩২৪টি, মার্সিডিজ ১০৬, মার্সিডিজ বেঞ্জ এজি ৩০৮, মার্সিডিজ বেঞ্জ গ্রুপ লিমিটেড ৪১২টি এবং বিদ্যুচ্চালিত টেসলা গাড়ি ৪টি।
বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্র বলছে, চলতি বছরের জুলাইয়ের পরও বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি হয়েছে। ডলারের কারণে দাম বাড়লেও বিক্রি কমেনি। দুই দশক আগে বছরে ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের ৫০-৬০টি গাড়ি আমদানি হলেও এখন হচ্ছে গড়ে ৫০০টি। আগে আমদানি করা মোট গাড়ির মধ্যে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলের (এসইউভি) সংখ্যা ১০ শতাংশ থাকলেও এখন ৪০ শতাংশ।
তবে দেশের গাড়ির বাজারে রাজত্ব করা জাপানের রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি ও বিক্রি কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিকেল ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
বারভিডার সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে গত জুলাইয়ে ২ হাজার ১৯৩টি জাপানি গাড়ি আমদানি হলেও আগস্টে ২ হাজার ১১টি, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৭৯২টি এবং অক্টোবরে ১ হাজার ৫৬৭টি গাড়ি আমদানি হয়। তবে নভেম্বরে বেড়েছে ২ হাজার ৫৭৪টি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে জাপানি রিকন্ডিশন গাড়ির আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছিল।
মোংলা বন্দর সূত্র বলেছে, এ বন্দর দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৪৭৩টি গাড়ি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১ হাজার ৪৮৪টি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৫৭৩টি এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ হাজার ৮১৮টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে রিকন্ডিশন ও বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র বলছে, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৯৫৫টি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে। অর্থাৎ বছরে গড়ে প্রায় ৫০০টি।
রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি ও বিএমডব্লিউর একটি করে প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র (শোরুম) রয়েছে। এই তিনটি শোরুম থেকেই এসব ব্র্যান্ডের গাড়ি বিক্রি হয়। তবে ব্যক্তিগতভাবেও কেউ কেউ এসব গাড়ি আমদানি করেন। দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় জার্মানিতে তৈরি মার্সিডিজ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ। গত সাড়ে চার বছরে এই ব্র্যান্ডের ৭৩৮টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। দেশে আমদানি হওয়া মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের গাড়ির মধ্যে হাইব্রিড এসইউভি সবচেয়ে দামি। প্রতিটির আমদানি মূল্য দেড় লাখ মার্কিন ডলার; শুল্ক-করসহ দাম পড়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
তেজগাঁও লিংক রোডের মার্সিডিজ বেঞ্জের শোরুমের উপব্যবস্থাপক (বিপণন) ফয়সাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছরে তাঁরা ১২০টির বেশি গাড়ি বিক্রি করেন। ২০২২ সালে ১৩০টি গাড়ি বিক্রি করতে পারলেও চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৮০টি। গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর মে পর্যন্ত এলসি বন্ধ থাকায় গাড়ি আমদানিতে সমস্যা হওয়ায় বিক্রি কমেছে। তবে চলতি বছর তাঁদের লক্ষ্য ১০০টি গাড়ি বিক্রি করা।
বিলাসবহুল গাড়ির আমদানির সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে বিএমডব্লিউ। এটির পরিবেশক এক্সিকিউটিভ মোটরস। বিএমডব্লিউর শোরুমের তথ্যমতে, ২০২২ সালে ১৩০টি বিএমডব্লিউ আমদানি হয়, বিক্রি হয় ৫৬টি। বিএমডব্লিউ এক্স সেভেন গাড়ির সর্বনিম্ন দাম ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এক্সিকিউটিভ মোটরসের বিপণনপ্রধান আব্দুর রহমান বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত ৬৪টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। অর্ডার আছে পাঁচটির। ডলারের কারণে গাড়ির দাম অনেক বেড়েছে। তারপরও মাসে তাঁরা সাত-আটটি গাড়ি বিক্রি করছেন। এ বছর তাঁদের লক্ষ্য ৮০টি গাড়ি বিক্রি করা।
আমদানিকারক সূত্র বলেছে, ২০২২ সালে জার্মানির তৈরি ৬৯টি অডি গাড়ি আমদানি হয়; তবে স্টকে থাকা গাড়িসহ বিক্রি হয় ৮০টি। অডি কিউ-৭ ও কিউ-৮—এই দুই ধরনের গাড়ির প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২ কোটি ৯ লাখ থেকে সোয়া ২ কোটি টাকায়। দেশে অডির শোরুমের যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। শুরুর বছরে সর্বোচ্চ ১০৪টি গাড়ি বিক্রি হলেও পরে প্রতিবছর গড়ে ৮০টি গাড়ি বিক্রি হয়।
অডির স্থানীয় পরিবেশক প্রোগ্রেস মোটরসের কান্ট্রি লিড (সেলস) সাফায়েত বিন তায়েব বলেন, চলতি বছর আমদানি কম হলেও মজুত থাকায় বিক্রিতে প্রভাব পড়েনি। বছরের শেষ বলে এখন বিক্রি সামান্য কম। ২০২২ সালে ৮০টি এবং চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৫০টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে।
বিলাসবহুল গাড়ির বাজার ভালো হলেও মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তের গাড়ির চাহিদা মেটানো জাপানের রিকন্ডিশন ও ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির আমদানি ও বিক্রি গত বছরের মাঝামাঝি থেকে কমেছে। অথচ আমদানি করা গাড়ির সিংহভাগই জাপানের।
বারভিডার সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে জাপানি রিকন্ডিশন গাড়ি বিক্রি কমেছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে গাড়ি আমদানিতে। তিনি বলেন, এসব সংকটের মধ্যেও অনেক শোরুমেই গাড়ি আছে। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রেতা নেই। সংকট কাটলেই গাড়ি বিক্রি বাড়বে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চড়া দামে হিমশিম অবস্থা বেশিরভাগ মানুষের। ডলারের সংকটে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়িতে কমেছে আমদানি। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপে তৈরি বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়েনি।
ইউরোপে তৈরি মার্সিডিজ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি, বিএমডব্লিউ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি টেসলা বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে সবচেয়ে কম দামি গাড়ির দামও ২ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশে মার্সিডিজ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি, বিএমউব্লিউ ও টেসলার রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) হয়েছে ১ হাজার ৩৫৪টি। এর মধ্যে অডি ২০০টি, বিএমডব্লিউ ৩২৪টি, মার্সিডিজ ১০৬, মার্সিডিজ বেঞ্জ এজি ৩০৮, মার্সিডিজ বেঞ্জ গ্রুপ লিমিটেড ৪১২টি এবং বিদ্যুচ্চালিত টেসলা গাড়ি ৪টি।
বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্র বলছে, চলতি বছরের জুলাইয়ের পরও বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি হয়েছে। ডলারের কারণে দাম বাড়লেও বিক্রি কমেনি। দুই দশক আগে বছরে ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের ৫০-৬০টি গাড়ি আমদানি হলেও এখন হচ্ছে গড়ে ৫০০টি। আগে আমদানি করা মোট গাড়ির মধ্যে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলের (এসইউভি) সংখ্যা ১০ শতাংশ থাকলেও এখন ৪০ শতাংশ।
তবে দেশের গাড়ির বাজারে রাজত্ব করা জাপানের রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি ও বিক্রি কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিকেল ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
বারভিডার সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে গত জুলাইয়ে ২ হাজার ১৯৩টি জাপানি গাড়ি আমদানি হলেও আগস্টে ২ হাজার ১১টি, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৭৯২টি এবং অক্টোবরে ১ হাজার ৫৬৭টি গাড়ি আমদানি হয়। তবে নভেম্বরে বেড়েছে ২ হাজার ৫৭৪টি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে জাপানি রিকন্ডিশন গাড়ির আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছিল।
মোংলা বন্দর সূত্র বলেছে, এ বন্দর দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৪৭৩টি গাড়ি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১ হাজার ৪৮৪টি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৫৭৩টি এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ হাজার ৮১৮টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে রিকন্ডিশন ও বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র বলছে, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৯৫৫টি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে। অর্থাৎ বছরে গড়ে প্রায় ৫০০টি।
রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি ও বিএমডব্লিউর একটি করে প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র (শোরুম) রয়েছে। এই তিনটি শোরুম থেকেই এসব ব্র্যান্ডের গাড়ি বিক্রি হয়। তবে ব্যক্তিগতভাবেও কেউ কেউ এসব গাড়ি আমদানি করেন। দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় জার্মানিতে তৈরি মার্সিডিজ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ। গত সাড়ে চার বছরে এই ব্র্যান্ডের ৭৩৮টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। দেশে আমদানি হওয়া মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের গাড়ির মধ্যে হাইব্রিড এসইউভি সবচেয়ে দামি। প্রতিটির আমদানি মূল্য দেড় লাখ মার্কিন ডলার; শুল্ক-করসহ দাম পড়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
তেজগাঁও লিংক রোডের মার্সিডিজ বেঞ্জের শোরুমের উপব্যবস্থাপক (বিপণন) ফয়সাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছরে তাঁরা ১২০টির বেশি গাড়ি বিক্রি করেন। ২০২২ সালে ১৩০টি গাড়ি বিক্রি করতে পারলেও চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৮০টি। গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর মে পর্যন্ত এলসি বন্ধ থাকায় গাড়ি আমদানিতে সমস্যা হওয়ায় বিক্রি কমেছে। তবে চলতি বছর তাঁদের লক্ষ্য ১০০টি গাড়ি বিক্রি করা।
বিলাসবহুল গাড়ির আমদানির সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে বিএমডব্লিউ। এটির পরিবেশক এক্সিকিউটিভ মোটরস। বিএমডব্লিউর শোরুমের তথ্যমতে, ২০২২ সালে ১৩০টি বিএমডব্লিউ আমদানি হয়, বিক্রি হয় ৫৬টি। বিএমডব্লিউ এক্স সেভেন গাড়ির সর্বনিম্ন দাম ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এক্সিকিউটিভ মোটরসের বিপণনপ্রধান আব্দুর রহমান বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত ৬৪টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। অর্ডার আছে পাঁচটির। ডলারের কারণে গাড়ির দাম অনেক বেড়েছে। তারপরও মাসে তাঁরা সাত-আটটি গাড়ি বিক্রি করছেন। এ বছর তাঁদের লক্ষ্য ৮০টি গাড়ি বিক্রি করা।
আমদানিকারক সূত্র বলেছে, ২০২২ সালে জার্মানির তৈরি ৬৯টি অডি গাড়ি আমদানি হয়; তবে স্টকে থাকা গাড়িসহ বিক্রি হয় ৮০টি। অডি কিউ-৭ ও কিউ-৮—এই দুই ধরনের গাড়ির প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২ কোটি ৯ লাখ থেকে সোয়া ২ কোটি টাকায়। দেশে অডির শোরুমের যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। শুরুর বছরে সর্বোচ্চ ১০৪টি গাড়ি বিক্রি হলেও পরে প্রতিবছর গড়ে ৮০টি গাড়ি বিক্রি হয়।
অডির স্থানীয় পরিবেশক প্রোগ্রেস মোটরসের কান্ট্রি লিড (সেলস) সাফায়েত বিন তায়েব বলেন, চলতি বছর আমদানি কম হলেও মজুত থাকায় বিক্রিতে প্রভাব পড়েনি। বছরের শেষ বলে এখন বিক্রি সামান্য কম। ২০২২ সালে ৮০টি এবং চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৫০টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে।
বিলাসবহুল গাড়ির বাজার ভালো হলেও মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তের গাড়ির চাহিদা মেটানো জাপানের রিকন্ডিশন ও ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির আমদানি ও বিক্রি গত বছরের মাঝামাঝি থেকে কমেছে। অথচ আমদানি করা গাড়ির সিংহভাগই জাপানের।
বারভিডার সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে জাপানি রিকন্ডিশন গাড়ি বিক্রি কমেছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে গাড়ি আমদানিতে। তিনি বলেন, এসব সংকটের মধ্যেও অনেক শোরুমেই গাড়ি আছে। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রেতা নেই। সংকট কাটলেই গাড়ি বিক্রি বাড়বে।

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পাঠানো যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ব্যবসায় সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পাঠানো যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ব্যবসায় সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চড়া দামে হিমশিম অবস্থা বেশির ভাগ মানুষের। ডলারের সংকটে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়িতে কমেছে আমদানি। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপে তৈরি বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়েনি।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চড়া দামে হিমশিম অবস্থা বেশির ভাগ মানুষের। ডলারের সংকটে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়িতে কমেছে আমদানি। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপে তৈরি বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়েনি।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চড়া দামে হিমশিম অবস্থা বেশির ভাগ মানুষের। ডলারের সংকটে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়িতে কমেছে আমদানি। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপে তৈরি বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়েনি।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চড়া দামে হিমশিম অবস্থা বেশির ভাগ মানুষের। ডলারের সংকটে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়িতে কমেছে আমদানি। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপে তৈরি বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়েনি।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে