Ajker Patrika

এমপি এনামুলকে ‘সাবেক শিবির নেতা’ বলার ঘটনায় মিনুর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
এমপি এনামুলকে ‘সাবেক শিবির নেতা’ বলার ঘটনায় মিনুর বিরুদ্ধে মামলা

‘রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এনামুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন’ এমন বক্তব্য দেওয়ার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার এমপি এনামুলের পক্ষে তাঁর মালিকানাধীন এনা গ্রুপের স্টাফ অফিসার পারভেজ হোসেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী কোনো কথা বলতে চাননি। তবে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে স্টাফ অফিসার মামলাটি করেছেন। আমার আইনজীবী হুমায়ুন আহমেদ আমাকে জানিয়েছেন যে, আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তবে আদেশ কাল দেবেন।’

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রাজশাহীতে একটি টকশোর আয়োজন করে। সেখানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএনপি নেতা রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা। আলোচনার একপর্যায়ে রাজশাহীর সরকারদলীয় চার এমপিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মিনু।

বাগমারার এমপি এনামুল হক সম্পর্কে মিনু বলেন, ‘এমপি এনামুল সাহেব! জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কিছুই করতে দেখি নাই। বরঞ্চ বগুড়ায় যখন পড়াশোনা করত তখন তিনি শিবিরের সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি এমপি।’ ওই টকশোতে মিনু বলেন, ‘রাজশাহীর-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁকে আমি দেখেছি রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠের স্টেজে কর্নেল ফারুকের পাশে অস্ত্র নিয়ে জনগণের দিকে তাক করা। তিনি এখন আওয়ামী লীগের এমপি।’

রাজশাহী-৫ আসনের এমপি মনসুর রহমান সম্পর্কে মিনু বলেন, ‘আমি তো মনে করতাম তিনি বিএনপি করতেন। আমাদের মন্ত্রী কবির ভাইয়ের ড্রয়িংরুমে সব সময় বসে থাকতেন প্রমোশন আর ট্রান্সফারের জন্য। এখন দেখি মনসুরও এমপি।’ রাজশাহী-৬ আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরেকজন হচ্ছে চারঘাটের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি আমার সঙ্গে তদবির করতে আসছিল বিএনপি থেকে ভোট করবে। আমি বলেছি ব্যবসা করছ। কর গা। এখানে এসো না...তো ও জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেননি।’

ওই টকশো প্রচারের পর তা নিয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। চার এমপির অনুসারীরা মিনুর মন্তব্য মিথ্যা দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন। আবার আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা–কর্মীই টকশোর ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে মিনুর বক্তব্যকে সত্য বলে মন্তব্য করেন। শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে এমপি এনামুলের পক্ষে মামলা হলো।

মামলায় বলা হয়েছে, এমপি এনামুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কখনই শিবির করেননি। ২০০৮ সাল থেকে তিনি টানা তিনবার এমপি রয়েছেন। তাঁকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু মিথ্যা কথা বলেছেন।

তবে, মিজানুর রহমান মিনু এখনো তাঁর মন্তব্যে অটল। আজ রোববার বিকেলে তিনি বলেন, ‘আমার সেদিনের বক্তব্য দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাজশাহীর সব মানুষ জানে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমার নামে ৬২টা মামলা আছে। এটার মাধ্যমে না হয় ৬৩টা হবে। আমার কর্মীরাই মামলা নিয়ে চিন্তা করে না, আর আমি লিডার!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে ট্রলির ধাক্কায় মসজিদের ইমাম নিহত

সিলেট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটের জকিগঞ্জে অবৈধ ও দ্রুতগতির ট্রলির ধাক্কায় মাওলানা বদরুল ইসলাম নামে মসজিদের এক ইমাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাওলানা বদরুল ইসলাম (৫৫) কাজলসার ইউনিয়নের কাজিরপাতন গ্রামের ইলিয়াস আলীর ছেলে । তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাওলানা বদরুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে উঠলে দ্রুতগতির একটি ট্রলি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতক ট্রলিটি জব্দে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে টমটমচালককে হত্যা: নিজাম হাজারীসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ফেনী প্রতিনিধি
সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। ফাইল ছবি
সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। ফাইল ছবি

ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটমচালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এই আদেশ দেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারান টমটমচালক মো. সবুজ। ঘটনার ৯ দিন পর ১৩ আগস্ট নিহত সবুজের ভাই মো. ইউছুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সাবেক ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া জানান, ৯ ডিসেম্বর এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৬৫ জন, তদন্তে প্রাপ্ত আরও ৫৯ জনসহ মোট ১২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১২ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করেন। এ পর্যন্ত মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচজন, সন্দেহভাজন ৪৯ জনসহ মোট ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কেউ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

ফেনী আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্রে ১২৪ জনকে আসামি করা হলেও বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৪ জন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৩ জন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে পরোয়ানার কপি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।

এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ওই তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।

নিহত রাশেদার বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। রাশেদা মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। কিছুদিন আগে খালেদা ঢাকায় মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্পে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন এবং মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাঁর দেখাদেখি ছোট বোন রাশেদাও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর চলতি মাসের ৭ তারিখে মিরপুরে একই বাসায় এসে ওঠেন। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

খালেদা আরও জানান, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যাননি। সারা দিন বাসাতেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে নিজ গ্রামের পাশের বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে মিরপুরের ওই বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে বসে দুজন তুমুল ঝগড়াও করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনই সেখান থেকে চলে যান। এরপর আর কোনো খবর মিলছিল না রাশেদার। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে।

রাশেদার দুলাভাই মামুন বলেন, মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকে একজন রাশেদার বড় বোন খালেদাকে ফোন করে জানায়, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে। নয়নের বাড়ির সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাশেদার লাশ ঢাকা মেডিকেল রয়েছে।

এই খবরের ভিত্তিতে বোন ও দুলাভাই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে রাশেদার মরদেহ শনাক্ত করেন।

বোন খালেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নয়ন আমার বোনকে ডিস্টার্ব করত। ওর জন্য আমার বোন পড়তেও পারত না। ওই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মরদেহ মেডিকেলে রেখে পালিয়েছে সে। নয়নের কঠিন বিচার চাই আমরা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে, তাদেরও বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, ওই তরুণীর স্বজনেরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ ইসলামী আন্দোলনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বক্তব্য দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘কোনো ধরনের তালিবালি নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন না।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন করায় সাবেক কয়েকজন সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) মবের শিকার হয়েছেন। আমরা চাই না ভবিষ্যতে কোনো সিইসি মবের আওতায় চলে আসুক।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, ‘শক্তিশালী দল দাবি করা একটি দলের কর্মীরা বরিশালের নির্বাচনী মাঠে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছে।’

জামায়াতসহ আট দলের সঙ্গে সমঝোতার নির্বাচনে ফয়জুল বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) ও বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বরিশাল-৫ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাপ-দাদার জন্মভূমি। এ আসনটি অন্য কোনো দল দাবি করা ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ। আমরা তো জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের আসনটি গিয়ে দাবি করব না। তাদেরও উচিত না আমাদের আসনটি দাবি করা।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাইস, নির্বাহী সদস্য মো. হালিম, শ্রমিক আন্দোলনের মহানগর সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. সানাউল্লাহ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত