বগুড়ায় বিএনপির আগামীকাল শুক্রবারের জনসভাকে বানচাল করতে পুলিশ দলটির নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও তাঁদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে জেলা বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
পাশাপাশি এক রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তালিকাও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। তবে পুলিশ বিএনপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, জনসভা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তাদের সার্বিক সহযোগিতা এবং নিরাপত্তা প্রদান করতে কাজ করা হচ্ছে।
বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা জানান, ১০ দফা দাবিতে বগুড়ায় ২৬ মে (শুক্রবার) জনসভা আহ্বান করা হয়। সেই জনসভাকে বানচাল করতে জেলাব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিনা মামলা ও বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতেই কাহালু, সারিয়াকান্দি, আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে ১৫ জনকে। এ ছাড়া শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হেনা বলেন, বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতেই পুলিশ তল্লাশি ও গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে। আগামীকালের জনসভাকে বানচাল করতেই এমন তৎপরতা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জনসভাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব বগুড়ার প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার বলেন, সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা যে অভিযোগ করেছেন তা খুবই দুঃখজনক। তাঁদের জনসভাকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পুলিশি সহায়তা চাওয়া হলে তাঁদের মাঠ বরাদ্দ করাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে। কিন্তু তাঁরা উল্টো অভিযোগ করেছেন। পুলিশ যে অভিযান চালাচ্ছে তা চলমান প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে জনসভার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে