Ajker Patrika

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়েছে কয়েক শ ঘর, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি  
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৮: ১৫
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়েছে কয়েক শ ঘর, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ক্যাম্পের কয়েক শ ঘর পুড়ে গেছে। আজ রোববার বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। 

ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিটসহ সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দউল্লাহ দাবি করেছেন, ১১, ৯, ১০ নং ক্যাম্পের ৮টি ব্লকের কমপক্ষে তিন হাজার ঘর ইতিমধ্যে পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এই ক্যাম্পগুলোর কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষকে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে, আগুন না কমলে এ সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।’ 

 রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডউখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়েছে।’ 

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবরে ঘটনাস্থলে আমরা উপস্থিত হয়েছি। নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।’ 

১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যুবক মোহাম্মদ করিম (২৫) বলেন, ‘আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়লাম, পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছি আত্মীয়ের বাসায়। আমার কিছু অবশিষ্ট নেই।’ 

 রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: আজকের পত্রিকাক্যাম্পের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। একসময় আগুন স্থানীয়দের ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

এর আগে, ২০২১ সালে ২২ মার্চ একই ক্যাম্পসহ পার্শ্ববর্তী তিনটি ক্যাম্পে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় আগুনে ১০ হাজারের বেশি বসতঘর পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা সদস্য গৃহহারা হয়েছিল। এ ছাড়া দগ্ধ হয়ে ২ শিশুসহ ১৫ জন রোহিঙ্গা মারা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মগবাজার ককটেলে নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে

ঢামেক প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত সিয়াম মজুমদারের (২১) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।

হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান জানান, সিয়াম মজুমদারের (২১) বাড়ি খুলনার দিঘুলিয়া উপজেলার কলোনীতে। তার বাবার নাম আলী আকবর মজুমদার। পরিবারের সাথে নিউ ইস্কাটন দুই হাজার গলির ১০১ নম্বর বাসায় থাকতেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।

নিহত সিয়ামের সহকর্মী অহিদুল হাওলাদার জানান, নিউ ইস্কাটনে ‘জাহিদ কার ডেকোরেশনের’ কর্মচারী সিয়াম। গত ৩-৪ বছর যাবৎ এখানে কাজ করে সে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দোকানে কাজ সেরে চা পান করার জন্য বের হয়েছিল সিয়াম। চা পান করেই চলে আসবে। এর আধাঘণ্টা পর দোকানে এসে কয়েকজন খবর দেয়, তাদের দোকানের কর্মচারী সিয়াম মারা গেছে। রাস্তায় তার মরদেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা দোকান থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিয়ামের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। সিয়াম অবিবাহিত ছিল। তার বাবা সিএনজি অটোরিকশা চালক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ: কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি কর্মকর্তার

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
নওগাঁ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর মান্দায় কাবিখা প্রকল্পে লুটপাট-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলাম। গতকাল বুধবার প্রকল্পের তথ্য দেওয়ার নামে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেন তিনি।

পিআইও আরিফুল ইসলাম দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে আপনারা কেন সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আপনাদের দেখে নেওয়া হবে। আমি মনে করলে আপনারা কেউ এখান থেকে যেতে পারবেন না। আমি এই স্টেশন থেকে চলে গেলে আপনারা কেউ ভালো থাকবেন না।’

এ সময় ছয়জন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে পিআইও আরিফুল ইসলাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনসুর রহমানকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে প্রকল্পের কাজ কারচুপির বিষয়ে গালিগালাজ করেন। পরে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের কাছ থেকে সাংবাদিকদের সামনে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পকেটস্থ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে।’

এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে।’

নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশেকুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজে অসংগতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন কর্মকর্তা হয়ে তিনি কখনোই সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ বা হুমকি দিতে পারেন না। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাবিখার চার প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৩০ টন চাল লুটপাট করা হয়, যার বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা। এ নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকায় ‘দায়সারা কাজে কাবিখার চার প্রকল্পে হরিলুট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার নামে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেন আরিফুল ইসলাম। এ ঘটনার পর স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের হার ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি, অর্ধেকই পথচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫ এর প্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫ এর প্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরীতে ২০১৭ সাল থেকে সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৬২ জন নিহত হয়েছে, যা আগের একই সময় ব্যবধানের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। এই সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির অর্ধেকেই ছিলেন পথচারী। আজ বুধবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসের সম্মেলনকক্ষে একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশিত চট্টগ্রাম সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) কর্মসূচির আওতায় প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংস্থা ভাইটাল স্ট্যাটেজিস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রাণহানির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটি প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিল পথচারীরা। এই সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে। পথচারীদের পর সবচেয়ে ঝুঁকিতে ছিল দুই ও তিন চাকার যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা। এসব যানবাহনের দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম নগরীতে ২০টি উচ্চঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বড়পোল মোড়, অলংকার মোড়, সিইপিজেড গেট, সিটি গেট, নিউমার্কেট বাসস্টপ, কালামিয়া বাজার বাসস্টপ এবং সাগরিকা গোলচত্বর। দ্রুত বিজ্ঞানভিত্তিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্থানগুলোর ত্রুটি চিহ্নিত করে পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে মতামত দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শহরের সড়কে প্রাণহানি প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফুটপাত প্রশস্তকরণ, উঁচু জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ, নিরবচ্ছিন্ন ফুটপাত নিশ্চিতকরণ, স্পিড হাম্প স্থাপন এবং পথচারী দ্বীপ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা-২০২৪ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সড়ক নিরাপত্তা শুধু আইন প্রয়োগের বিষয় নয়, এটি নগরপরিকল্পনা ও সড়ক নকশার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সিএমপি রোড সেফটি সেল গঠন এবং রোড ক্র্যাশের তথ্য সংগ্রহে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সড়ক নিরাপত্তায় গতি আনছে।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান সোহেল বলেন, প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে সিএমপির সঙ্গে যৌথভাবে চট্টগ্রাম শহরের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে চসিক।

বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর লাবিব তাজওয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী। প্রতিবেদনের মূল তথ্য উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের সার্ভেইল্যান্স কো-অর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ। উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, একাডেমিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৬
সিফাত হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
সিফাত হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ভোলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সিফাত হাওলাদারকে (২১) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। তাঁর বাবা আলাউদ্দিন হাওলাদার ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এর জেরে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারা কয়েকজন মিলে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।

এ সময় সিফাতের চিৎকারে তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

পরে তাঁকে ভোলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত