হবিগঞ্জে তিশা আক্তার (৯) হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সিরাজুল ইসলাম আব্দাল (১৮) নামের এক যুবক। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি জবানবন্দি দেন। জবানবন্দী নেওয়ার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাঁকে আটক করা হয়।
তিশা হবিগঞ্জ সদরের ছোট বহুলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর শহিদের মেয়ে। সিরাজুলও একই গ্রামের বাসিন্দা। গত ১০ জানুয়ারি বাড়ির পাশের মাঠে থেকে তিশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আদালতের বরাত দিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার উপরিদর্শক (এসআই) মমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন সকালে তিশাদের বাড়ির পাশের মাঠে একাই ক্রিকেট বল নিয়ে খেলছিলেন সিরাজুল ইসলাম আব্দাল। মাঠের পাশ দিয়ে মক্তবে যাচ্ছিল তিশা। এ সময় মাথায় ক্রিকেট বল পড়ায় সিরাজুল ইসলামকে গালাগাল করে সে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা ট্যাম্প দিয়ে তিশার মাথায় আঘাত করেন সিরাজ। ঘটনাস্থলেই মারা যায় তিশা। বিষয়টি বুঝতে পেরেই সিরাজ ভয়ে পালিয়ে যান। তখন মাঠে কেউ ছিল না বলে বিষয়টি কারও চোখে পড়েনি। পরে মাঠেই তিশার মরদেহ পাওয়া যায়।
এসআই মমিনুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় তিশার মা বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে এ ঘটনার সঙ্গে সিরাজের জড়িত থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার প্রেমপুর গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তিশাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে