Ajker Patrika

টেকনাফে ট্রলারডুবি: ১০ দিন পাহাড়ে রাখার পর তাঁদের তোলা হয়েছিল ট্রলারে

টেকনাফ ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
টেকনাফে ট্রলারডুবি: ১০ দিন পাহাড়ে রাখার পর তাঁদের তোলা হয়েছিল ট্রলারে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের রশিদ আহমদের ছেলে ইয়াসির আরাফাত (১৮) ও মেয়ে উম্মে সালমা (১৯)। তাঁরা চার দিন আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ক্যাম্প থেকে বের হয়েছিলেন। তিন দিন টেকনাফের পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে রাখার পর দালালেরা তাঁদের ট্রলারে তোলেন। সাগর পথে দুই ঘণ্টা যাত্রার পর তাঁদের ট্রলার ডুবে যায়। এতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে দুই ভাইবোন সাঁতার কেটে কূলে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু সালমা সাঁতার না জানায় তাঁকে ধরে রাখা যায়নি। বোনকে সাগরে ছেড়ে দিয়ে কূলে ফিরে আসেন ইয়াসির আরাফাত।

বোনের মরদেহের পাশে বসে ইয়াসির কেঁদে কেঁদে কথাগুলো বলছিলেন। তাঁর চোখে-মুখে কষ্ট ও আতঙ্কের ছাপ। ইয়াসির আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, দালালেরা টেকনাফের কচ্ছপিয়া এলাকায় ছোট একটি ট্রলারে তাঁদের তুলে দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চলার পর গভীর সাগরে একটি বড় মাছ ধরার ট্রলারে তোলে। ট্রলারটি ছিল লক্কড়-ঝক্কড়। ট্রলারের ভেতরে জায়গা হচ্ছিল না। এ সময় বরফ রাখার ঘরে নেওয়া হয়। দালালের লোকজন হন্তা দিয়ে বরফ ভেঙে ফেলার সময় ট্রলারের তলা ফুটো হয়ে যায়। এতে ট্রলারটি ডুবে যেতে থাকে। এ সময় জীবন বাঁচাতে যে যেভাবে পারে সাগরে ঝাঁপ দেয়। 

জীবিত ফিরে আসেন শাহ আলম (২৭)। তাঁর বাড়ি উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে। তিনি বলেন, ‘১০ দিন আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছি। উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ে ঘোরাঘুরির পর সোমবার রাতে ট্রলারে তোলা হয়েছিল।’ 

তাঁদের মতো, কেউ তিন দিন, কেউ সাত দিন, কেউ ১০ দিন পাহাড়ে অবস্থানের পর ট্রলারে করে মালয়েশিয়া রওনা হয়েছিলেন। বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। কেউ ১০ হাজার, কেউ ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল বলে জানান উদ্ধার রোহিঙ্গারা। 

রোহিঙ্গারা জানান, অতিরিক্ত লোক তোলার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার সময় নানাভাবে ট্রলারের মাঝি ও দালালদের অনুরোধ করেও ট্রলারটি নিরাপদে কূলে আনা যায়নি। কোনো দালালের পরিচয় বা নাম তারা জানেন না বলে জানান। 

বালুখালী ক্যাম্পের আরেক রোহিঙ্গা মোহাম্মদ শরীফ জানান, সুখী ও উন্নত জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালালেরা সাগর পথে তাদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে পৌঁছার পর চার লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে তিনি যাচ্ছিলেন। ট্রলারের ভাড়া হিসেবে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিলেন। 

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া, শামলাপুর, মাথাভাঙ্গা, বড়ডেইল, হলবনিয়া ও জাহাজপোড়াসহ কয়েকটি এলাকার সমুদ্র তীর থেকে প্রতিনিয়ত ট্রলারে করে সাগরপথে মানব পাচার হয়ে আসছে। সম্প্রতি চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। 

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় চার দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরিচয় ও সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু মানুষও জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি রোহিঙ্গা ও সাধারণ মানুষকে লোভে ফেলে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে। 

টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. আশিক আহমেদ বলেন, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত তিন নারীর মরদেহ ও ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া সমুদ্র উপকূলে প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ পর্যন্ত উম্মে সালমাসহ তিন যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আট নারীসহ ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ একজন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
মির্জাপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত
মির্জাপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিয়ারের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আহত মতিয়ার রহমান দেওভোগ গ্রামের বলিয়ার রহমানের ছেলে।

আজ সন্ধ্যায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে মজিবর রহমান জানান, তাঁর ভাই মতিয়ারকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, দেওভোগ গ্রামে মতিয়ার পৈতৃকসূত্রে ১ একর ১৩ শতাংশ জমি পেয়েছেন। ওই জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধল্যা গ্রামের মোনায়েম খানের ছেলে শহীদ খান, ফরহাদ খান, মো. ফুয়াদ খান ও মাসুদ খানদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন দাবি করে ১২ ডিসেম্বর মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মতিয়ার। গতকাল সকালে মতিয়ার রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে ধল্যা যাওয়ার পথে দেওভোগ গ্রামের রাস্তায় পৌঁছালে শহীদ খান ও তাঁর লোকজন মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর পথ আটকান। সেখানে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে মতিয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মতিয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, মতিয়ার রহমানের কানে গুলি লেগে ছিদ্র হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ খান বলেন, জমির ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবাসীর স্ত্রীর বঁটির কোপে ভাশুর নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
হাসপাতালে শোকার্ত স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে শোকার্ত স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত টুকু মোল্লা গুনপালদী গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।

অভিযুক্ত নারী হলেন সীমা বেগম। তিনি গুনপালদী গ্ৰামের তুরস্কপ্রবাসী সোহাগ মোল্লার স্ত্রী। সম্পর্কে নিহত টুকু সীমা বেগমের ভাশুর হন।

নিহত টুকুর চাচাতো ভাই শাহিন মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলে আবিরের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে টুকু বাড়িতে আসে। আজ অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় টুকু তার (সীমার) ঘরে গিয়ে হাঁস পালনকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে সীমা হাতে থাকা বঁটি দিয়ে টুকুকে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় টুকুকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানার পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত সীমা বেগমকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত