Ajker Patrika

বলিউডে দক্ষিণের দাপট, খান-কাপুরদের সাম্রাজ্য টিকবে তো?

তামান্না-ই-জাহান
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪: ২৪
বলিউডে দক্ষিণের দাপট, খান-কাপুরদের সাম্রাজ্য টিকবে তো?

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’! 

ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক! 

মুক্তির প্রথম দিনই ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশিফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই? 

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল। 

কেবল দেশে নয়, দেশের বাইরেও তুমুল জনপ্রিয়তা পায় আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’। 

অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। 

‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা। 

নিজেদের সিনেমার বিষয়ে সম্প্রতি বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে বৈঠক করেনদক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই। 

অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’ 

তেলেগু সুপারস্টার চিরঞ্জীবীর ‘গডফাদার’ সিনেমা দিয়ে দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খানচলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।

সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না! 

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট

এই সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্যারামাউন্টের ১০৮ বিলিয়নের প্রস্তাবে না, নেটফ্লিক্সের ৭২ বিলিয়নের চুক্তিই চায় ওয়ার্নার ব্রস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৬
ওয়ার্নার ব্রসকে অধিগ্রহণে চলছে নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের লড়াই। ছবি: কাউন্সিল অব গিকস।
ওয়ার্নার ব্রসকে অধিগ্রহণে চলছে নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের লড়াই। ছবি: কাউন্সিল অব গিকস।

ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।

এর আগে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স দাবি করেছিল, তাদের প্রস্তাবটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নিয়ে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা ৭২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির চেয়ে ‘উন্নত’।

এ সময় হলিউডের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র স্টুডিওর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে প্রশ্নে নাটকীয় মোড় নেয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে তারা জানায়, নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা চুক্তিটিই প্রতিষ্ঠানের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করে।

গত অক্টোবরে একাধিক সম্ভাব্য ক্রেতার আগ্রহ পাওয়ার পর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিজেকে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। ওই আগ্রহীদের মধ্যে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সও ছিল।

এরপর ৫ ডিসেম্বর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি জানায়, তারা তাদের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে।

দীর্ঘ আইনি নথিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির পরিচালনা পর্ষদ বলেছে, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবটি বহু এবং গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। একই সঙ্গে তারা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ধনী পরিবার এলিসন পরিবার এই প্রস্তাবে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবের পেছনে রয়েছে বিলিয়নিয়ার এলিসন পরিবার। এই পরিবারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা যায়।

বিনোদন শিল্পে বর্তমানে ক্ষমতার অবস্থান কোথায় তা তুলে ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ জানায়, স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটি আর্থিকভাবে বেশি সুসংহত। পাশাপাশি এটি দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বেশি মূল্য সৃষ্টি করবে।

এদিকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এই সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে নেটফ্লিক্স। প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রধান নির্বাহী টেড সারানডোস বলেন, একীভূতকরণ চুক্তিটি ‘উন্নত’ এবং ‘শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোত্তম স্বার্থে’ করা হয়েছে।

ওয়ার্নার ব্রাদার্সের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নেটফ্লিক্স আবারও জানায়, তাদের প্রস্তাবে অর্থায়নের কাঠামো আরও স্পষ্ট। পাশাপাশি এতে নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে কম।

এ অবস্থায় প্যারামাউন্ট চাইলে নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে হলিউড আলোড়িত করা এই অধিগ্রহণ–নাটক এখানেই শেষ হচ্ছে না।

নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্টের চুক্তির মধ্যে যে তফাত

নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র স্টুডিও এবং এইচবিও স্ট্রিমিং সেবা কিনতে চায়। এতে তারা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সমৃদ্ধ কনটেন্ট ভান্ডারের ব্যবহারের অধিকার পাবে। একই সঙ্গে নিজেদের গ্রাহকদের জন্য এসব সিনেমা ও অনুষ্ঠান নিশ্চিতভাবে দেখানোর সুযোগও সুরক্ষিত হবে।

তবে নেটফ্লিক্স মিডিয়া জায়ান্টটির পে-টিভি চ্যানেলগুলো নিতে আগ্রহী নয়। ফলে নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবে গেলে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার আগে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সিএনএন ও টিএনটির মতো টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো আলাদা একটি কোম্পানিতে বিক্রি করে দিতে হবে।

অন্যদিকে প্যারামাউন্ট পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্সকেই কিনতে চায়। এর অর্থ হলো, তাদের নিজস্ব টিভি চ্যানেল সিবিএস, এমটিভি ও শোটাইমের প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলগুলোকেও অধিগ্রহণের আওতায় আনতে হবে।

নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণের চুক্তি ঘোষণা করার এক সপ্তাহ পরই প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স পুরো কোম্পানিটি কিনতে নতুন প্রস্তাব দেয়। এতে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তবে ক্রমেই বিনোদন শিল্পে মালিকানা একীভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভোক্তাদের পছন্দের সুযোগ কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলতে পারে। এছাড়া ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিযোগিতা-নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কেন ওয়ার্নার ব্রসকে নিয়ে এই লড়াই

ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নতুন মালিক স্ট্রিমিং বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের ভান্ডার তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘হ্যারি পটার’, ‘মনস্টারভার্স’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিও ম্যাক্স স্ট্রিমিং সেবা।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের বিশ্লেষক মাইক প্রুলক্স বলেন, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে লড়াইয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটছে, তা যেন এইচবিওর সাকসেশন সিরিজের বাস্তব রূপ, বা এর আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ একটি পর্বের মতো। আর যদি মনে করেন, এই কাহিনির শেষটা আপনি আগেই বুঝে গেছেন, তাহলে আবার ভাবুন।’

এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পের একটি অংশ ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পুরো বা আংশিক কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার পূর্ব ও পশ্চিম শাখা এই একীভূতকরণ ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছে।

তাদের যুক্তি, এই ধরনের একীভূতকরণ হলে মজুরি কমে যেতে পারে এবং কর্মসংস্থান হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি হবে। পাশাপাশি দর্শকদের জন্য কনটেন্টের পরিমাণও কমে যাবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঈদের সিনেমার দৌড়ে ‘বনলতা সেন’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মাসুমা রহমান নাবিলা। ছবি: সংগৃহীত
মাসুমা রহমান নাবিলা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পিছিয়ে আসেন। অবশেষে জানা গেল, নতুন বছরে আলোর মুখ দেখবে সিনেমাটি। আগামী রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বনলতা সেন।

জীবনানন্দ দাশের কাল্পনিক চরিত্র বনলতা সেনকে ঘিরে সিনেমাটি বানিয়েছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। তবে সহজেই এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাননি অভিনেত্রী। শুরুতে এ সিনেমার অন্য একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নাবিলাকে। তবে রাজি হননি অভিনেত্রী। নির্মাতাকে শর্ত দিয়েছিলেন, তিনি বনলতা সেন চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী। এরপর তিনবার অডিশন দেওয়ার পর বনলতা চরিত্রে নাবিলাকে চূড়ান্ত করেন নির্মাতা।

বনলতা সেন সিনেমায় জীবনানন্দ দাশ চরিত্রে দেখা যাবে খায়রুল বাসারকে। আরও অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নাজিবা বাশার, প্রিয়ন্তী উর্বী, রুপন্তী আকীদ, শরিফ সিরাজ, সুমাইয়া খুশি প্রমুখ।

২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০ লাখ টাকার অনুদান পায় বনলতা সেন। নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটি নির্মাণে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি তিনি। সময় বেশি লাগলেও যত্ন নিয়ে কাজ শেষ করেছেন। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, ‘জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি দায়বদ্ধতার। রিসার্চ করা, প্রস্তুতি নেওয়া, উপযুক্ত অভিনয়শিল্পী খোঁজা—পুরো প্রক্রিয়াটা অনেক কঠিন ছিল। সিনেমার জন্য সবাইকে প্রস্তুত করে নেওয়ার একটা বিষয় ছিল। দীর্ঘদিন আমরা রিহার্সাল করেছি। এই সিনেমার অনেক বড় একটা পার্ট ছিল প্রোডাকশন ডিজাইন। আমি পর্দায় যেভাবে সিনেমাটি দেখতে চাই, তা প্রস্তুত করতে অনেক সময় লেগে যায়।’

বনলতা সেন মুক্তির বিষয়ে নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল জানান, ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবলোকন নাট্যদলের নতুন নাটক ‘গন্ধসূত্র’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অবলোকন নাট্যদলের নতুন নাটক ‘গন্ধসূত্র’

মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। একই স্থান ও সময়ে আগামীকাল মঞ্চস্থ হবে এই নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী।

নাটকের গল্প এগিয়েছে একটি মেয়ের জীবনকে ঘিরে। মেয়েটি যেন হঠাৎ করেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তার ব্যক্তিগত অহং দলিত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায়। নিজ ঘরে সে শনাক্ত করে সেই নির্যাতক ও নিপীড়ককে। সমাজের আইনের প্রতি সে আস্থা হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনা যেন পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রে, যেকোনো নগরে ঘটে থাকে। ঠিক এখনই কোথাও না কোথাও ঘটছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। যে দেশে দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসনের পর গণতন্ত্র হামাগুড়ি দিতে শুরু করে, সেখানে এসব ঘটনা বেশি ঘটে।

নির্দেশক অপু শহীদ জানান, সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এই নাটক। সমকালের বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় জারিত এক দগদগে নাটক গন্ধসূত্র। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বই এখন গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বের অর্থনীতি এখন সমাজ-রাজনীতি, উন্নয়ন-বিশ্বায়ন, যুদ্ধ-হিংস্রতায় এমন এক টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যেখানে ব্যক্তি মানুষের সুস্থ থাকাটা বেশ কৌতূহলপ্রদ। আধিপত্যবাদী চরিত্র পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছিল কিন্তু কিছুতেই একটা কাঠামোতে দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। এই অস্থিরতার মধ্যে মনে পড়ে গেল আর্জেন্টাইন-আমেরিকান নাট্যকার অ্যারিয়েল ডর্ফম্যানের কথা। এই বিশ্বায়নের যুগে মূল ইংরেজি নাটক, পোলনস্কির ফিল্ম এমনকি হিন্দি সিনেমাও পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম ডর্ফম্যানের আরও অনেক লেখার সন্ধান। নাটকের মূল ভরকেন্দ্র রাখলাম পোলনস্কির “ডেথ অ্যান্ড দ্য মেইডেন” সিনেমার ওপর।’

নির্দেশক তৌফিকুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘গন্ধসূত্র নাটকের স্ক্রিপ্ট হাতে পেয়ে মনে হলো, এই নাটকের সময়টা শুধু আমাদের রাষ্ট্রের নয়, বর্তমান বিশ্বের যেখানেই গণতন্ত্র ধসে পড়ছে সেখানকার বাস্তবতা। নাটকে নির্যাতিত এক নারী ব্যক্তিগত যন্ত্রণার বদলা নিতে চাইছে, এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে দুই পুরুষ চরিত্র নাটকীয় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। নাটকের শেষে এসে মেয়ে এবং আগন্তুক এক ভয়ানক ডিসকোর্সে পৌঁছায়। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্রের বৈপরীত্যের কারণে সাধারণ নাগরিক একে অপরের শত্রু হয়ে দাঁড়ায়।’

গন্ধসূত্র নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন অনু, সরওয়ার জাহান উপল, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, ডায়না প্রমুখ। সংগীতে আছেন চার্লস নিলয় চৌধুরী, সেট ডিজাইনে আবু বকর সিদ্দিকি, আলোক পরিকল্পনায় মোখলেছুর রহমান এবং কস্টিউম ডিজাইন করেছেন আইরিন পারভীন লোপা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসপাতাল থেকে ফিরে অভিমানী নচিকেতা

বিনোদন ডেস্ক
নচিকেতা চক্রবর্তী
নচিকেতা চক্রবর্তী

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে রেখেছিলেন মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতি। গতকাল ফেসবুকে নিজের কণ্ঠে প্রকাশ করেন ‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি’ শীর্ষক তাঁর এই উপলব্ধি।

জীবনে চলার পথে বেশ কয়েকবার মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছেন নচিকেতা। সেই কথাই সবাইকে জানালেন তিনি। নচিকেতার কথায়, ‘মৃত্যুর মুখ থেকে বারংবার ফিরে মন্দ লাগছে না। প্রথমবার বাইক থেকে পড়ে মাথায় লেগে কোমায়, তখন বয়স ১৫। দ্বিতীয়বার মানিকতলায় বাসভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পাশের কমরেডের মৃত্যু আমার বদলে; হঠাৎ স্থান পরিবর্তনের কারণে। তখন বয়স কুড়ি। তৃতীয়বার পাতালরেলের নির্মিত হওয়া পরিত্যক্ত টানেলে জলে ডুবতে ডুবতে, তখন বয়স ১৬। ক্ষুদিরাম ছবি দেখে উৎসাহিত হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে বেঁচে যাওয়া। দড়িটা হঠাৎ ছিঁড়ে যাওয়ায়, বয়স তখন ৭। নকশাল আন্দোলন দেখে উত্তেজিত হয়ে স্কুলে আগুন লাগিয়ে মরতে মরতে, তখন বয়স ৬। ৪৭ বছর বয়সে দিল্লির হাসপাতালে মোস্ট কমপ্লিকেটেড হুইপল সার্জারির টেবিল থেকে। এ ছাড়াও কত দুর্ঘটনা বা সুপরিকল্পিত গুজবের মৃত্যু থেকে আজ অবশেষে অ্যাপোলোতে হৃদয় ছন্দ বন্ধ থেকে এই বয়সে।’

মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতির এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতি নচিকেতার অভিমান ফুটে উঠেছে। কারণ, অনেকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে তাঁর মৃত্যুর গুজব। এবারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এমন খবর ছড়িয়েছিল। তাই তো অভিমানের সুরে নচিকেতা বললেন, ‘আমাকে তো আমার যা আয়ু, তার থেকে বেশিবার মারা হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হয়তো ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করবেন। এবার আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই মরে যাওয়ার চেষ্টা করব। কথা দিচ্ছি। অন্তত আপনাদের মান রাখতে।’

এ ভিডিওর শেষে নিজের ‘আগুনপাখি’ গানের দুটি লাইন জুড়ে দিয়েছেন নচিকেতা—‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি, দুচোখে আকাশ ডানায় আগুন, আরও আরও কত ওড়া বাকি’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত