মারুফ ইসলাম

আবারও আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামবে এই বাংলায়। আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘ ডাকবে। কিন্তু নতুন করে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গাইবেন না লতা মঙ্গেশকর। থেমে গেছে কণ্ঠ। নতুন করে আর সূরের অবগাহনে ডোবা হবে না সুরপিয়াসী বাঙালির। যে মায়াবী কণ্ঠ ভিজিয়েছিল ৩৬ ভাষার মানুষের মন, সেই কণ্ঠ চিরতরে থেমে গেল আজ। তবু যত দিন আষাঢ়-শ্রাবণ থাকবে এই বাংলায়, বৃষ্টি নামবে অঝোরধারায়, তত দিন ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গান থাকবে। বর্ষাপ্রিয় বাঙালির জীবনে এই গানের আবেদন কখনোই ফুরাবে না। লতা এমনই এক কিংবদন্তি, যাঁর আবেদন কখনো ফুরায় না। এ পৃথিবী একবার পায় তারে।
আজ থেকে ৯২ বছর আগে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরুতে তাঁর নাম ছিল হেমা। উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়। ইংরেজরা বলেন, মর্নিং শোজ দ্য ডে। জীবনের সুন্দর সকালেই ছোট্ট হেমা আলোকোজ্জ্বল দিনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স মোটে পাঁচ বছর। যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বাবা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর মিউজিক্যাল প্লেগুলোতে লতা প্রথম অভিনয় শুরু করেন। ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয়েছিল মারাঠি গান গেয়ে। সেটা ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় গান করেন লতা। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। গানের শিরোনাম ‘পা লাগু কার জোরি’। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দারের ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিন মেরা তোড়া’ গান করেন লতা। এরপর শুধু এগিয়েই গেছেন।
লতা বিয়ে করেননি। সমগ্র জীবনই তুলে দিয়েছেন সংগীতের বেদিমূলে। পৃথিবীর ৩৬টি ভাষায় গেয়েছেন গান। তাঁর কণ্ঠের মায়াবী সুরের ঝরনাধারায় সিক্ত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সেই ১৯৪৯ সালে গাওয়া ‘জিয়া বেকারার হ্যায়’ এখনো গুনগুন করে গেয়ে যায় এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা। কখনো প্রেম এসে উদাস করে দিলে ‘মন দোলে মেরা তান দোলে’ বলে গেয়ে ওঠে না এমন যুবা-তরুণী কি পাওয়া যাবে? লতা গানটি গেয়েছিলেন ১৯৫৫ সালে। অথচ আজও কী প্রাসঙ্গিক! কী অসম্ভব জনপ্রিয়! সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা জীবনে আজও কেউ কেউ হয়তো গেয়ে ওঠেন, ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’। আর সদ্য প্রেমে পড়েছে যে যুবক, সে-ও গেয়ে ওঠে, ‘ও মোর ময়না গো, কার কারণে তুমি একেলা?’ বিরহী প্রেমিক কি একবারও গায়নি, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে/ আমার নয়ন দুটি শুধুই তোমারে চাহে ব্যথার বাদলে যায় ছেয়ে’। কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই ‘ও পলাশ ও শিমুল আমার এ মন কেন রাঙালে’ গেয়ে ওঠেনি এমন মানুষ কি এই ভূ-বাংলায় একজনও আছে? আমরা যারা গত শতকের নব্বইয়ের দশকে জন্মেছি তারা যেমন, তেমনি আমাদের আগের প্রজন্ম এবং পরের প্রজন্মও সমানতালে গেয়ে চলেছে ‘মঙ্গল দীপ জ্বেলে...’।
লতার গানে কী এমন আছে যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম একইভাবে শুনে যাচ্ছি ক্লান্তিহীন? স্কুলের শিক্ষক গোবিন্দ স্যার বলতেন, ‘এ তো শুধু কণ্ঠ নয় রে, এ শুধু সুর নয় রে। তাঁর কণ্ঠে আছে জাদু, সুরে আছে মোহ। তাঁর গান স্নায়ুকে অবশ করে দেয়।’ বিজ্ঞান বলছে, মানুষের মস্তিষ্কে কথা ও সুর আলাদাভাবে কাজ করে। কিন্তু যখন কোনো গানের সুর ও কথা একসঙ্গে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, তখনই তা মানুষকে মোহগ্রস্ত করে ফেলে। লতা ছিলেন এই টোটাল প্যাকেজ। তাঁর গাওয়া গানের কথা, সুর, কণ্ঠ, গায়কি সবই ছিল মোহময়। হয়তো মোহ ছড়িয়ে দিতেন লতা নিজেই, কণ্ঠ দিয়ে।
একদিন ‘বড্ড সরু গলা’ বলে লতাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন খ্যাতিমান প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়। সেই সরু গলাই যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ডুবিয়ে রাখবে একটা পুরো উপমহাদেশকে, তা কি কেউ জানত? কত কিছুই জানি না আমরা। কত রহস্য পৃথিবীজুড়ে। লতা ছিলেন তেমনই এক রহস্য। তাঁর মতো রহস্যে ঘেরা মোহনীয় কণ্ঠ বোধকরি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।
সেই মোহন বাঁশির সুর থেমে গেল আজ। যখন মাত্র শেষ হয়েছে দেবী সরস্বতীর বন্দনা, তখন জীবন-মরণের সীমানা ছাড়িয়ে চলে গেলেন সুরের সরস্বতী। তবে চলে যাওয়া মানেই ফুরিয়ে যাওয়া নয়। লতা ফুরোবেন না কোনো দিনই। তিনি গানের ভুবনে যে মঙ্গল দীপ জ্বেলেছেন, তা জ্বলবে তত দিন, যত দিন বাংলা গান থাকবে। যত দিন বাংলার আকাশে মেঘ জমবে, প্রকৃতিতে আষাঢ়-শ্রাবণ আসবে, তত দিন লতাকে মনে পড়বে। যত দিন চুপি চুপি প্রেম আসবে জীবনে, তত দিন লতার গানেই আশ্রয় খুঁজতে হবে আমাদের।
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আবারও আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামবে এই বাংলায়। আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘ ডাকবে। কিন্তু নতুন করে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গাইবেন না লতা মঙ্গেশকর। থেমে গেছে কণ্ঠ। নতুন করে আর সূরের অবগাহনে ডোবা হবে না সুরপিয়াসী বাঙালির। যে মায়াবী কণ্ঠ ভিজিয়েছিল ৩৬ ভাষার মানুষের মন, সেই কণ্ঠ চিরতরে থেমে গেল আজ। তবু যত দিন আষাঢ়-শ্রাবণ থাকবে এই বাংলায়, বৃষ্টি নামবে অঝোরধারায়, তত দিন ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গান থাকবে। বর্ষাপ্রিয় বাঙালির জীবনে এই গানের আবেদন কখনোই ফুরাবে না। লতা এমনই এক কিংবদন্তি, যাঁর আবেদন কখনো ফুরায় না। এ পৃথিবী একবার পায় তারে।
আজ থেকে ৯২ বছর আগে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরুতে তাঁর নাম ছিল হেমা। উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়। ইংরেজরা বলেন, মর্নিং শোজ দ্য ডে। জীবনের সুন্দর সকালেই ছোট্ট হেমা আলোকোজ্জ্বল দিনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স মোটে পাঁচ বছর। যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বাবা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর মিউজিক্যাল প্লেগুলোতে লতা প্রথম অভিনয় শুরু করেন। ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয়েছিল মারাঠি গান গেয়ে। সেটা ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় গান করেন লতা। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। গানের শিরোনাম ‘পা লাগু কার জোরি’। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দারের ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিন মেরা তোড়া’ গান করেন লতা। এরপর শুধু এগিয়েই গেছেন।
লতা বিয়ে করেননি। সমগ্র জীবনই তুলে দিয়েছেন সংগীতের বেদিমূলে। পৃথিবীর ৩৬টি ভাষায় গেয়েছেন গান। তাঁর কণ্ঠের মায়াবী সুরের ঝরনাধারায় সিক্ত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সেই ১৯৪৯ সালে গাওয়া ‘জিয়া বেকারার হ্যায়’ এখনো গুনগুন করে গেয়ে যায় এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা। কখনো প্রেম এসে উদাস করে দিলে ‘মন দোলে মেরা তান দোলে’ বলে গেয়ে ওঠে না এমন যুবা-তরুণী কি পাওয়া যাবে? লতা গানটি গেয়েছিলেন ১৯৫৫ সালে। অথচ আজও কী প্রাসঙ্গিক! কী অসম্ভব জনপ্রিয়! সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা জীবনে আজও কেউ কেউ হয়তো গেয়ে ওঠেন, ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’। আর সদ্য প্রেমে পড়েছে যে যুবক, সে-ও গেয়ে ওঠে, ‘ও মোর ময়না গো, কার কারণে তুমি একেলা?’ বিরহী প্রেমিক কি একবারও গায়নি, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে/ আমার নয়ন দুটি শুধুই তোমারে চাহে ব্যথার বাদলে যায় ছেয়ে’। কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই ‘ও পলাশ ও শিমুল আমার এ মন কেন রাঙালে’ গেয়ে ওঠেনি এমন মানুষ কি এই ভূ-বাংলায় একজনও আছে? আমরা যারা গত শতকের নব্বইয়ের দশকে জন্মেছি তারা যেমন, তেমনি আমাদের আগের প্রজন্ম এবং পরের প্রজন্মও সমানতালে গেয়ে চলেছে ‘মঙ্গল দীপ জ্বেলে...’।
লতার গানে কী এমন আছে যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম একইভাবে শুনে যাচ্ছি ক্লান্তিহীন? স্কুলের শিক্ষক গোবিন্দ স্যার বলতেন, ‘এ তো শুধু কণ্ঠ নয় রে, এ শুধু সুর নয় রে। তাঁর কণ্ঠে আছে জাদু, সুরে আছে মোহ। তাঁর গান স্নায়ুকে অবশ করে দেয়।’ বিজ্ঞান বলছে, মানুষের মস্তিষ্কে কথা ও সুর আলাদাভাবে কাজ করে। কিন্তু যখন কোনো গানের সুর ও কথা একসঙ্গে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, তখনই তা মানুষকে মোহগ্রস্ত করে ফেলে। লতা ছিলেন এই টোটাল প্যাকেজ। তাঁর গাওয়া গানের কথা, সুর, কণ্ঠ, গায়কি সবই ছিল মোহময়। হয়তো মোহ ছড়িয়ে দিতেন লতা নিজেই, কণ্ঠ দিয়ে।
একদিন ‘বড্ড সরু গলা’ বলে লতাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন খ্যাতিমান প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়। সেই সরু গলাই যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ডুবিয়ে রাখবে একটা পুরো উপমহাদেশকে, তা কি কেউ জানত? কত কিছুই জানি না আমরা। কত রহস্য পৃথিবীজুড়ে। লতা ছিলেন তেমনই এক রহস্য। তাঁর মতো রহস্যে ঘেরা মোহনীয় কণ্ঠ বোধকরি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।
সেই মোহন বাঁশির সুর থেমে গেল আজ। যখন মাত্র শেষ হয়েছে দেবী সরস্বতীর বন্দনা, তখন জীবন-মরণের সীমানা ছাড়িয়ে চলে গেলেন সুরের সরস্বতী। তবে চলে যাওয়া মানেই ফুরিয়ে যাওয়া নয়। লতা ফুরোবেন না কোনো দিনই। তিনি গানের ভুবনে যে মঙ্গল দীপ জ্বেলেছেন, তা জ্বলবে তত দিন, যত দিন বাংলা গান থাকবে। যত দিন বাংলার আকাশে মেঘ জমবে, প্রকৃতিতে আষাঢ়-শ্রাবণ আসবে, তত দিন লতাকে মনে পড়বে। যত দিন চুপি চুপি প্রেম আসবে জীবনে, তত দিন লতার গানেই আশ্রয় খুঁজতে হবে আমাদের।
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
মারুফ ইসলাম

আবারও আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামবে এই বাংলায়। আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘ ডাকবে। কিন্তু নতুন করে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গাইবেন না লতা মঙ্গেশকর। থেমে গেছে কণ্ঠ। নতুন করে আর সূরের অবগাহনে ডোবা হবে না সুরপিয়াসী বাঙালির। যে মায়াবী কণ্ঠ ভিজিয়েছিল ৩৬ ভাষার মানুষের মন, সেই কণ্ঠ চিরতরে থেমে গেল আজ। তবু যত দিন আষাঢ়-শ্রাবণ থাকবে এই বাংলায়, বৃষ্টি নামবে অঝোরধারায়, তত দিন ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গান থাকবে। বর্ষাপ্রিয় বাঙালির জীবনে এই গানের আবেদন কখনোই ফুরাবে না। লতা এমনই এক কিংবদন্তি, যাঁর আবেদন কখনো ফুরায় না। এ পৃথিবী একবার পায় তারে।
আজ থেকে ৯২ বছর আগে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরুতে তাঁর নাম ছিল হেমা। উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়। ইংরেজরা বলেন, মর্নিং শোজ দ্য ডে। জীবনের সুন্দর সকালেই ছোট্ট হেমা আলোকোজ্জ্বল দিনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স মোটে পাঁচ বছর। যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বাবা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর মিউজিক্যাল প্লেগুলোতে লতা প্রথম অভিনয় শুরু করেন। ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয়েছিল মারাঠি গান গেয়ে। সেটা ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় গান করেন লতা। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। গানের শিরোনাম ‘পা লাগু কার জোরি’। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দারের ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিন মেরা তোড়া’ গান করেন লতা। এরপর শুধু এগিয়েই গেছেন।
লতা বিয়ে করেননি। সমগ্র জীবনই তুলে দিয়েছেন সংগীতের বেদিমূলে। পৃথিবীর ৩৬টি ভাষায় গেয়েছেন গান। তাঁর কণ্ঠের মায়াবী সুরের ঝরনাধারায় সিক্ত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সেই ১৯৪৯ সালে গাওয়া ‘জিয়া বেকারার হ্যায়’ এখনো গুনগুন করে গেয়ে যায় এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা। কখনো প্রেম এসে উদাস করে দিলে ‘মন দোলে মেরা তান দোলে’ বলে গেয়ে ওঠে না এমন যুবা-তরুণী কি পাওয়া যাবে? লতা গানটি গেয়েছিলেন ১৯৫৫ সালে। অথচ আজও কী প্রাসঙ্গিক! কী অসম্ভব জনপ্রিয়! সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা জীবনে আজও কেউ কেউ হয়তো গেয়ে ওঠেন, ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’। আর সদ্য প্রেমে পড়েছে যে যুবক, সে-ও গেয়ে ওঠে, ‘ও মোর ময়না গো, কার কারণে তুমি একেলা?’ বিরহী প্রেমিক কি একবারও গায়নি, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে/ আমার নয়ন দুটি শুধুই তোমারে চাহে ব্যথার বাদলে যায় ছেয়ে’। কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই ‘ও পলাশ ও শিমুল আমার এ মন কেন রাঙালে’ গেয়ে ওঠেনি এমন মানুষ কি এই ভূ-বাংলায় একজনও আছে? আমরা যারা গত শতকের নব্বইয়ের দশকে জন্মেছি তারা যেমন, তেমনি আমাদের আগের প্রজন্ম এবং পরের প্রজন্মও সমানতালে গেয়ে চলেছে ‘মঙ্গল দীপ জ্বেলে...’।
লতার গানে কী এমন আছে যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম একইভাবে শুনে যাচ্ছি ক্লান্তিহীন? স্কুলের শিক্ষক গোবিন্দ স্যার বলতেন, ‘এ তো শুধু কণ্ঠ নয় রে, এ শুধু সুর নয় রে। তাঁর কণ্ঠে আছে জাদু, সুরে আছে মোহ। তাঁর গান স্নায়ুকে অবশ করে দেয়।’ বিজ্ঞান বলছে, মানুষের মস্তিষ্কে কথা ও সুর আলাদাভাবে কাজ করে। কিন্তু যখন কোনো গানের সুর ও কথা একসঙ্গে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, তখনই তা মানুষকে মোহগ্রস্ত করে ফেলে। লতা ছিলেন এই টোটাল প্যাকেজ। তাঁর গাওয়া গানের কথা, সুর, কণ্ঠ, গায়কি সবই ছিল মোহময়। হয়তো মোহ ছড়িয়ে দিতেন লতা নিজেই, কণ্ঠ দিয়ে।
একদিন ‘বড্ড সরু গলা’ বলে লতাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন খ্যাতিমান প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়। সেই সরু গলাই যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ডুবিয়ে রাখবে একটা পুরো উপমহাদেশকে, তা কি কেউ জানত? কত কিছুই জানি না আমরা। কত রহস্য পৃথিবীজুড়ে। লতা ছিলেন তেমনই এক রহস্য। তাঁর মতো রহস্যে ঘেরা মোহনীয় কণ্ঠ বোধকরি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।
সেই মোহন বাঁশির সুর থেমে গেল আজ। যখন মাত্র শেষ হয়েছে দেবী সরস্বতীর বন্দনা, তখন জীবন-মরণের সীমানা ছাড়িয়ে চলে গেলেন সুরের সরস্বতী। তবে চলে যাওয়া মানেই ফুরিয়ে যাওয়া নয়। লতা ফুরোবেন না কোনো দিনই। তিনি গানের ভুবনে যে মঙ্গল দীপ জ্বেলেছেন, তা জ্বলবে তত দিন, যত দিন বাংলা গান থাকবে। যত দিন বাংলার আকাশে মেঘ জমবে, প্রকৃতিতে আষাঢ়-শ্রাবণ আসবে, তত দিন লতাকে মনে পড়বে। যত দিন চুপি চুপি প্রেম আসবে জীবনে, তত দিন লতার গানেই আশ্রয় খুঁজতে হবে আমাদের।
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আবারও আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামবে এই বাংলায়। আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘ ডাকবে। কিন্তু নতুন করে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গাইবেন না লতা মঙ্গেশকর। থেমে গেছে কণ্ঠ। নতুন করে আর সূরের অবগাহনে ডোবা হবে না সুরপিয়াসী বাঙালির। যে মায়াবী কণ্ঠ ভিজিয়েছিল ৩৬ ভাষার মানুষের মন, সেই কণ্ঠ চিরতরে থেমে গেল আজ। তবু যত দিন আষাঢ়-শ্রাবণ থাকবে এই বাংলায়, বৃষ্টি নামবে অঝোরধারায়, তত দিন ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গান থাকবে। বর্ষাপ্রিয় বাঙালির জীবনে এই গানের আবেদন কখনোই ফুরাবে না। লতা এমনই এক কিংবদন্তি, যাঁর আবেদন কখনো ফুরায় না। এ পৃথিবী একবার পায় তারে।
আজ থেকে ৯২ বছর আগে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরুতে তাঁর নাম ছিল হেমা। উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়। ইংরেজরা বলেন, মর্নিং শোজ দ্য ডে। জীবনের সুন্দর সকালেই ছোট্ট হেমা আলোকোজ্জ্বল দিনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স মোটে পাঁচ বছর। যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বাবা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর মিউজিক্যাল প্লেগুলোতে লতা প্রথম অভিনয় শুরু করেন। ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয়েছিল মারাঠি গান গেয়ে। সেটা ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় গান করেন লতা। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। গানের শিরোনাম ‘পা লাগু কার জোরি’। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দারের ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিন মেরা তোড়া’ গান করেন লতা। এরপর শুধু এগিয়েই গেছেন।
লতা বিয়ে করেননি। সমগ্র জীবনই তুলে দিয়েছেন সংগীতের বেদিমূলে। পৃথিবীর ৩৬টি ভাষায় গেয়েছেন গান। তাঁর কণ্ঠের মায়াবী সুরের ঝরনাধারায় সিক্ত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সেই ১৯৪৯ সালে গাওয়া ‘জিয়া বেকারার হ্যায়’ এখনো গুনগুন করে গেয়ে যায় এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা। কখনো প্রেম এসে উদাস করে দিলে ‘মন দোলে মেরা তান দোলে’ বলে গেয়ে ওঠে না এমন যুবা-তরুণী কি পাওয়া যাবে? লতা গানটি গেয়েছিলেন ১৯৫৫ সালে। অথচ আজও কী প্রাসঙ্গিক! কী অসম্ভব জনপ্রিয়! সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা জীবনে আজও কেউ কেউ হয়তো গেয়ে ওঠেন, ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’। আর সদ্য প্রেমে পড়েছে যে যুবক, সে-ও গেয়ে ওঠে, ‘ও মোর ময়না গো, কার কারণে তুমি একেলা?’ বিরহী প্রেমিক কি একবারও গায়নি, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে/ আমার নয়ন দুটি শুধুই তোমারে চাহে ব্যথার বাদলে যায় ছেয়ে’। কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই ‘ও পলাশ ও শিমুল আমার এ মন কেন রাঙালে’ গেয়ে ওঠেনি এমন মানুষ কি এই ভূ-বাংলায় একজনও আছে? আমরা যারা গত শতকের নব্বইয়ের দশকে জন্মেছি তারা যেমন, তেমনি আমাদের আগের প্রজন্ম এবং পরের প্রজন্মও সমানতালে গেয়ে চলেছে ‘মঙ্গল দীপ জ্বেলে...’।
লতার গানে কী এমন আছে যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম একইভাবে শুনে যাচ্ছি ক্লান্তিহীন? স্কুলের শিক্ষক গোবিন্দ স্যার বলতেন, ‘এ তো শুধু কণ্ঠ নয় রে, এ শুধু সুর নয় রে। তাঁর কণ্ঠে আছে জাদু, সুরে আছে মোহ। তাঁর গান স্নায়ুকে অবশ করে দেয়।’ বিজ্ঞান বলছে, মানুষের মস্তিষ্কে কথা ও সুর আলাদাভাবে কাজ করে। কিন্তু যখন কোনো গানের সুর ও কথা একসঙ্গে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, তখনই তা মানুষকে মোহগ্রস্ত করে ফেলে। লতা ছিলেন এই টোটাল প্যাকেজ। তাঁর গাওয়া গানের কথা, সুর, কণ্ঠ, গায়কি সবই ছিল মোহময়। হয়তো মোহ ছড়িয়ে দিতেন লতা নিজেই, কণ্ঠ দিয়ে।
একদিন ‘বড্ড সরু গলা’ বলে লতাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন খ্যাতিমান প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়। সেই সরু গলাই যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ডুবিয়ে রাখবে একটা পুরো উপমহাদেশকে, তা কি কেউ জানত? কত কিছুই জানি না আমরা। কত রহস্য পৃথিবীজুড়ে। লতা ছিলেন তেমনই এক রহস্য। তাঁর মতো রহস্যে ঘেরা মোহনীয় কণ্ঠ বোধকরি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।
সেই মোহন বাঁশির সুর থেমে গেল আজ। যখন মাত্র শেষ হয়েছে দেবী সরস্বতীর বন্দনা, তখন জীবন-মরণের সীমানা ছাড়িয়ে চলে গেলেন সুরের সরস্বতী। তবে চলে যাওয়া মানেই ফুরিয়ে যাওয়া নয়। লতা ফুরোবেন না কোনো দিনই। তিনি গানের ভুবনে যে মঙ্গল দীপ জ্বেলেছেন, তা জ্বলবে তত দিন, যত দিন বাংলা গান থাকবে। যত দিন বাংলার আকাশে মেঘ জমবে, প্রকৃতিতে আষাঢ়-শ্রাবণ আসবে, তত দিন লতাকে মনে পড়বে। যত দিন চুপি চুপি প্রেম আসবে জীবনে, তত দিন লতার গানেই আশ্রয় খুঁজতে হবে আমাদের।
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৪ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

আবারও আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামবে এই বাংলায়। আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘ ডাকবে। কিন্তু নতুন করে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গাইবেন না লতা মঙ্গেশকর। থেমে গেছে কণ্ঠ। নতুন করে আর সূরের অবগাহনে ডোবা হবে না সুরপিয়াসী বাঙালির। যে মায়াবী কণ্ঠ ভিজিয়েছিল ৩৬ ভাষার মানুষের মন, সেই কণ্ঠ চিরতরে থেমে গেল আজ। তবু যত দিন আষাঢ়-
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

আবারও আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামবে এই বাংলায়। আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘ ডাকবে। কিন্তু নতুন করে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গাইবেন না লতা মঙ্গেশকর। থেমে গেছে কণ্ঠ। নতুন করে আর সূরের অবগাহনে ডোবা হবে না সুরপিয়াসী বাঙালির। যে মায়াবী কণ্ঠ ভিজিয়েছিল ৩৬ ভাষার মানুষের মন, সেই কণ্ঠ চিরতরে থেমে গেল আজ। তবু যত দিন আষাঢ়-
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

আবারও আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামবে এই বাংলায়। আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘ ডাকবে। কিন্তু নতুন করে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গাইবেন না লতা মঙ্গেশকর। থেমে গেছে কণ্ঠ। নতুন করে আর সূরের অবগাহনে ডোবা হবে না সুরপিয়াসী বাঙালির। যে মায়াবী কণ্ঠ ভিজিয়েছিল ৩৬ ভাষার মানুষের মন, সেই কণ্ঠ চিরতরে থেমে গেল আজ। তবু যত দিন আষাঢ়-
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৪ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

আবারও আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামবে এই বাংলায়। আষাঢ়-শ্রাবণে মেঘ ডাকবে। কিন্তু নতুন করে ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’ গাইবেন না লতা মঙ্গেশকর। থেমে গেছে কণ্ঠ। নতুন করে আর সূরের অবগাহনে ডোবা হবে না সুরপিয়াসী বাঙালির। যে মায়াবী কণ্ঠ ভিজিয়েছিল ৩৬ ভাষার মানুষের মন, সেই কণ্ঠ চিরতরে থেমে গেল আজ। তবু যত দিন আষাঢ়-
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৪ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
৪ ঘণ্টা আগে