
ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
ওই বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আরেকটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নির্মাণাধীন সেতুতে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি আটকে যায়। যথাসময়ে গন্তব্যে হাজির হতে একটি ভ্যানে চড়ে ঠিক সময়ে সেই বিদ্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে অনুষ্ঠান সেরে নিজ কার্যালয়ে ফিরে আরেকটি নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এ গল্প চাউর হয়। কারণ, যথাসময়ে কোনো কাজ শুরু ও শেষ করার প্রবণতা জাতি হিসেবে আমাদের নেই। কিন্তু ভূপালী সরকার সেটি করেন। সময় মেনে চলার জন্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার এই নির্বাহী কর্মকর্তার খ্যাতি আছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ঝিকরগাছায়।
ভূপালী সরকারের জন্ম সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। বাবা নিমাই সরকার পেশায় কৃষক এবং মা প্রমীলা সরকার গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ২০১২ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর জনতা ব্যাংকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ৩৫তম বিসিএস ক্যাডারে (প্রশাসন) ২০১৭ সালে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আইসিটি, এলএও এবং আরডিসি শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলএও এবং আরডিসি পদে যোগ দেন। এরপর খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পান।
মাটির মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে উপজেলায় পরিচিতি পেয়েছেন ভূপালী সরকার। কর্মকর্তা হিসেবে নয়, তিনি পরিচিতি পেয়েছেন কাজের মানুষ হিসেবে। ব্যক্তিগত জীবনে দুই পুত্রসন্তানের জননী ভূপালী সরকার। স্বামী তপন কুমার সরকার কলেজশিক্ষক।

ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
ওই বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আরেকটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নির্মাণাধীন সেতুতে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি আটকে যায়। যথাসময়ে গন্তব্যে হাজির হতে একটি ভ্যানে চড়ে ঠিক সময়ে সেই বিদ্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে অনুষ্ঠান সেরে নিজ কার্যালয়ে ফিরে আরেকটি নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এ গল্প চাউর হয়। কারণ, যথাসময়ে কোনো কাজ শুরু ও শেষ করার প্রবণতা জাতি হিসেবে আমাদের নেই। কিন্তু ভূপালী সরকার সেটি করেন। সময় মেনে চলার জন্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার এই নির্বাহী কর্মকর্তার খ্যাতি আছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ঝিকরগাছায়।
ভূপালী সরকারের জন্ম সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। বাবা নিমাই সরকার পেশায় কৃষক এবং মা প্রমীলা সরকার গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ২০১২ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর জনতা ব্যাংকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ৩৫তম বিসিএস ক্যাডারে (প্রশাসন) ২০১৭ সালে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আইসিটি, এলএও এবং আরডিসি শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলএও এবং আরডিসি পদে যোগ দেন। এরপর খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পান।
মাটির মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে উপজেলায় পরিচিতি পেয়েছেন ভূপালী সরকার। কর্মকর্তা হিসেবে নয়, তিনি পরিচিতি পেয়েছেন কাজের মানুষ হিসেবে। ব্যক্তিগত জীবনে দুই পুত্রসন্তানের জননী ভূপালী সরকার। স্বামী তপন কুমার সরকার কলেজশিক্ষক।

ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
ওই বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আরেকটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নির্মাণাধীন সেতুতে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি আটকে যায়। যথাসময়ে গন্তব্যে হাজির হতে একটি ভ্যানে চড়ে ঠিক সময়ে সেই বিদ্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে অনুষ্ঠান সেরে নিজ কার্যালয়ে ফিরে আরেকটি নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এ গল্প চাউর হয়। কারণ, যথাসময়ে কোনো কাজ শুরু ও শেষ করার প্রবণতা জাতি হিসেবে আমাদের নেই। কিন্তু ভূপালী সরকার সেটি করেন। সময় মেনে চলার জন্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার এই নির্বাহী কর্মকর্তার খ্যাতি আছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ঝিকরগাছায়।
ভূপালী সরকারের জন্ম সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। বাবা নিমাই সরকার পেশায় কৃষক এবং মা প্রমীলা সরকার গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ২০১২ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর জনতা ব্যাংকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ৩৫তম বিসিএস ক্যাডারে (প্রশাসন) ২০১৭ সালে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আইসিটি, এলএও এবং আরডিসি শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলএও এবং আরডিসি পদে যোগ দেন। এরপর খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পান।
মাটির মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে উপজেলায় পরিচিতি পেয়েছেন ভূপালী সরকার। কর্মকর্তা হিসেবে নয়, তিনি পরিচিতি পেয়েছেন কাজের মানুষ হিসেবে। ব্যক্তিগত জীবনে দুই পুত্রসন্তানের জননী ভূপালী সরকার। স্বামী তপন কুমার সরকার কলেজশিক্ষক।

ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
ওই বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আরেকটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নির্মাণাধীন সেতুতে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি আটকে যায়। যথাসময়ে গন্তব্যে হাজির হতে একটি ভ্যানে চড়ে ঠিক সময়ে সেই বিদ্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে অনুষ্ঠান সেরে নিজ কার্যালয়ে ফিরে আরেকটি নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এ গল্প চাউর হয়। কারণ, যথাসময়ে কোনো কাজ শুরু ও শেষ করার প্রবণতা জাতি হিসেবে আমাদের নেই। কিন্তু ভূপালী সরকার সেটি করেন। সময় মেনে চলার জন্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার এই নির্বাহী কর্মকর্তার খ্যাতি আছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ঝিকরগাছায়।
ভূপালী সরকারের জন্ম সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। বাবা নিমাই সরকার পেশায় কৃষক এবং মা প্রমীলা সরকার গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ২০১২ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর জনতা ব্যাংকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ৩৫তম বিসিএস ক্যাডারে (প্রশাসন) ২০১৭ সালে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আইসিটি, এলএও এবং আরডিসি শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলএও এবং আরডিসি পদে যোগ দেন। এরপর খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পান।
মাটির মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে উপজেলায় পরিচিতি পেয়েছেন ভূপালী সরকার। কর্মকর্তা হিসেবে নয়, তিনি পরিচিতি পেয়েছেন কাজের মানুষ হিসেবে। ব্যক্তিগত জীবনে দুই পুত্রসন্তানের জননী ভূপালী সরকার। স্বামী তপন কুমার সরকার কলেজশিক্ষক।

ইরানে নারীদের জনসম্মুখে পারফরম্যান্স, বিশেষত পুরুষ-নারী মিশ্র দর্শকের সামনে উপস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এ দেশটিতে নারীরা পুরুষদের সামনে গানও গাইতে পারেন না। তবে ৪২ বছর বয়সী পানিজ ফারিউসেফি দেখিয়ে দিয়েছেন, বর্তমানে অর্কেস্ট্রা পরিচালনায় নারীদের কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধ নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবাদের অনেক ভাষার অন্যতম কার্টুন। এটি এক অনন্য প্রকাশভঙ্গি। শব্দের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এটি এমন এক ভাষা, যা চোখে দেখা তো যায়-ই, করা যায় অনুভবও। আমাদের দেশের নারী কার্টুনিস্টরা নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন বৈষম্য ও অনাচারের বিরুদ্ধে এই শিল্পমাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন।
৬ দিন আগে
নিজের পোশাক নিজেই তৈরি করতেন কানন জেনেট গোমেজ। বাহারি নকশা করা সেই পোশাকগুলো দেখে অনেকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন তাঁকে। শখের বশে একসময় তিনি প্রথমে সবার জন্য পোশাক তৈরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মেলায় অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পান।
৬ দিন আগে
রাস্তায় নারীদের হয়রানি করার ঘটনা পৃথিবীতে এতটাই স্বাভাবিক যে তা থেকে রাষ্ট্রপ্রধানও বাদ যাচ্ছেন না! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। হয়রানির এই ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে। অবশ্য তাতে টনক নড়েছে পুরো দেশের।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বুধবার তেহরানের খ্যাতনামা ওয়াহদাত হলে দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন এক নারী। কারণ, সেদিন একজন নারী তেহরানের একটি অর্কেস্ট্রা দল পরিচালনা করছিলেন। ইরানের মতো দেশে একটা সময় এমন দৃশ্য কল্পনাও করা যেত না।
দেশটির প্রথম নারী অর্কেস্ট্রা পরিচালক হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন পানিজ ফারিউসেফি। তাঁর এই উপস্থিতি শুধু সংগীতাঙ্গনেই নয়, রক্ষণশীল ইসলামি প্রজাতন্ত্রে নারীদের পেশাগত ও সাংস্কৃতিক জীবনে নতুন দিগন্তের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ইরানে নারীদের জনসম্মুখে পারফরম্যান্স, বিশেষত পুরুষ-নারী মিশ্র দর্শকের সামনে উপস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এ দেশটিতে নারীরা পুরুষদের সামনে গানও গাইতে পারেন না। তবে ৪২ বছর বয়সী পানিজ ফারিউসেফি দেখিয়ে দিয়েছেন, বর্তমানে অর্কেস্ট্রা পরিচালনায় নারীদের কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধ নেই।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ফারিউসেফি বলেন, ‘মঞ্চে ওঠার পর বুঝলাম, সবার নজর আমার দিকে। মনে হচ্ছিল, আমার ওপর অনেক বড় দায়িত্ব।’
কনসার্টের দর্শকদের মধ্যে কয়েকজন নারী মাথা খোলা রাখেন। তবে আইন মেনে সংগীত পরিচালক ফারিউসেফি নিজে স্কার্ফ পরেছিলেন। তাঁর উপস্থিতিই ছিল পরিবর্তনের এক সূক্ষ্ম কিন্তু দৃশ্যমান ইঙ্গিত।
তেহরানসহ ইরানের অনেক শহরেই নারীরা মঞ্চে পারফর্ম করার সুযোগ পান না। রাজধানীতেও নারীরা গান গাইতে পারেন না প্রকাশ্যে। এমন বাস্তবতায় ফারিউসেফির মঞ্চে ওঠা অনেক তরুণীর চোখে ইতিহাসের মুহূর্ত হয়ে ওঠে।
ফারিউসেফি বলেন, ‘আমি আশা করি, এটি ইরানের তরুণ নারীদের জন্য নতুন যুগের সূচনা করবে। তারা বুঝবে—ভয় পেলে হবে না। ভয়হীনতাই মুক্তির একমাত্র পথ।’
এক শিল্পী পরিবারে জন্ম নেওয়া ফারিউসেফির মা চাইতেন তিনি অর্কেস্ট্রার পরিচালক হোন। কিন্তু ইরানের পারফর্মিং আর্টস একাডেমিগুলোতে সংগীত পরিচালনা শেখানো হয় না। তাই কিছুদিন আর্মেনিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে নিজের পথ তৈরি করেন।

গত বুধবারের (১২ নভেম্বর) ওই কনসার্টে ভিড় ছিল উপচে পড়ার মতো। কারখানায় কাজ করা ৫৩ বছর বয়সী সাইদ শোরাবি বলেন, তাঁর মেয়ে বাইরে থাকেন। সেই বাবার জন্য টিকিট কিনে এই কনসার্টে যেতে বাধ্য করেন। তিনি বলেন, ‘ইরানে নারীরা সব সময়ই পিছিয়ে ছিলেন। তাঁদের প্রতিভা ফুটে ওঠার সুযোগ ছিল না, অথচ তাঁরা পুরুষদের মতোই সক্ষম।’
৪৪ বছর বয়সী হেয়ারড্রেসার ফরিবা আঘাই বলেন, একজন নারী সংগীত পরিচালককে দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত। তবে তিনি আফসোস করেন, নারীরা এখনো গান গাইতে পারেন না বা নিজেদের গান প্রকাশ করতে পারেন না।
২০২২ সালে হিজাববিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে ইরানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই অস্থিরতার পর সরকার কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে। এরপরই ইরানের নারীরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রগুলোতে আরও বেশি দৃশ্যমান হয়ে ওঠেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর সামাজিক পরিসরে কিছুটা ছাড় আরও বাড়ে। স্থানীয়দের মতে, সরকার সামান্য সহনশীলতা দেখালেও রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে কঠোরতা একটুও কমেনি।

গত বুধবার তেহরানের খ্যাতনামা ওয়াহদাত হলে দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন এক নারী। কারণ, সেদিন একজন নারী তেহরানের একটি অর্কেস্ট্রা দল পরিচালনা করছিলেন। ইরানের মতো দেশে একটা সময় এমন দৃশ্য কল্পনাও করা যেত না।
দেশটির প্রথম নারী অর্কেস্ট্রা পরিচালক হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন পানিজ ফারিউসেফি। তাঁর এই উপস্থিতি শুধু সংগীতাঙ্গনেই নয়, রক্ষণশীল ইসলামি প্রজাতন্ত্রে নারীদের পেশাগত ও সাংস্কৃতিক জীবনে নতুন দিগন্তের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ইরানে নারীদের জনসম্মুখে পারফরম্যান্স, বিশেষত পুরুষ-নারী মিশ্র দর্শকের সামনে উপস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এ দেশটিতে নারীরা পুরুষদের সামনে গানও গাইতে পারেন না। তবে ৪২ বছর বয়সী পানিজ ফারিউসেফি দেখিয়ে দিয়েছেন, বর্তমানে অর্কেস্ট্রা পরিচালনায় নারীদের কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধ নেই।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ফারিউসেফি বলেন, ‘মঞ্চে ওঠার পর বুঝলাম, সবার নজর আমার দিকে। মনে হচ্ছিল, আমার ওপর অনেক বড় দায়িত্ব।’
কনসার্টের দর্শকদের মধ্যে কয়েকজন নারী মাথা খোলা রাখেন। তবে আইন মেনে সংগীত পরিচালক ফারিউসেফি নিজে স্কার্ফ পরেছিলেন। তাঁর উপস্থিতিই ছিল পরিবর্তনের এক সূক্ষ্ম কিন্তু দৃশ্যমান ইঙ্গিত।
তেহরানসহ ইরানের অনেক শহরেই নারীরা মঞ্চে পারফর্ম করার সুযোগ পান না। রাজধানীতেও নারীরা গান গাইতে পারেন না প্রকাশ্যে। এমন বাস্তবতায় ফারিউসেফির মঞ্চে ওঠা অনেক তরুণীর চোখে ইতিহাসের মুহূর্ত হয়ে ওঠে।
ফারিউসেফি বলেন, ‘আমি আশা করি, এটি ইরানের তরুণ নারীদের জন্য নতুন যুগের সূচনা করবে। তারা বুঝবে—ভয় পেলে হবে না। ভয়হীনতাই মুক্তির একমাত্র পথ।’
এক শিল্পী পরিবারে জন্ম নেওয়া ফারিউসেফির মা চাইতেন তিনি অর্কেস্ট্রার পরিচালক হোন। কিন্তু ইরানের পারফর্মিং আর্টস একাডেমিগুলোতে সংগীত পরিচালনা শেখানো হয় না। তাই কিছুদিন আর্মেনিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে নিজের পথ তৈরি করেন।

গত বুধবারের (১২ নভেম্বর) ওই কনসার্টে ভিড় ছিল উপচে পড়ার মতো। কারখানায় কাজ করা ৫৩ বছর বয়সী সাইদ শোরাবি বলেন, তাঁর মেয়ে বাইরে থাকেন। সেই বাবার জন্য টিকিট কিনে এই কনসার্টে যেতে বাধ্য করেন। তিনি বলেন, ‘ইরানে নারীরা সব সময়ই পিছিয়ে ছিলেন। তাঁদের প্রতিভা ফুটে ওঠার সুযোগ ছিল না, অথচ তাঁরা পুরুষদের মতোই সক্ষম।’
৪৪ বছর বয়সী হেয়ারড্রেসার ফরিবা আঘাই বলেন, একজন নারী সংগীত পরিচালককে দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত। তবে তিনি আফসোস করেন, নারীরা এখনো গান গাইতে পারেন না বা নিজেদের গান প্রকাশ করতে পারেন না।
২০২২ সালে হিজাববিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে ইরানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই অস্থিরতার পর সরকার কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে। এরপরই ইরানের নারীরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রগুলোতে আরও বেশি দৃশ্যমান হয়ে ওঠেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর সামাজিক পরিসরে কিছুটা ছাড় আরও বাড়ে। স্থানীয়দের মতে, সরকার সামান্য সহনশীলতা দেখালেও রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে কঠোরতা একটুও কমেনি।

ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
প্রতিবাদের অনেক ভাষার অন্যতম কার্টুন। এটি এক অনন্য প্রকাশভঙ্গি। শব্দের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এটি এমন এক ভাষা, যা চোখে দেখা তো যায়-ই, করা যায় অনুভবও। আমাদের দেশের নারী কার্টুনিস্টরা নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন বৈষম্য ও অনাচারের বিরুদ্ধে এই শিল্পমাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন।
৬ দিন আগে
নিজের পোশাক নিজেই তৈরি করতেন কানন জেনেট গোমেজ। বাহারি নকশা করা সেই পোশাকগুলো দেখে অনেকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন তাঁকে। শখের বশে একসময় তিনি প্রথমে সবার জন্য পোশাক তৈরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মেলায় অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পান।
৬ দিন আগে
রাস্তায় নারীদের হয়রানি করার ঘটনা পৃথিবীতে এতটাই স্বাভাবিক যে তা থেকে রাষ্ট্রপ্রধানও বাদ যাচ্ছেন না! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। হয়রানির এই ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে। অবশ্য তাতে টনক নড়েছে পুরো দেশের।
৬ দিন আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

প্রতিবাদের অনেক ভাষার অন্যতম কার্টুন। এটি এক অনন্য প্রকাশভঙ্গি। শব্দের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এটি এমন এক ভাষা, যা চোখে দেখা তো যায়-ই, করা যায় অনুভবও। আমাদের দেশের নারী কার্টুনিস্টরা নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন বৈষম্য ও অনাচারের বিরুদ্ধে এই শিল্পমাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন।
‘দেখছেন কেমন জামা পরেছে’, ‘বাচ্চা নিয়ে চাকরি করবে কীভাবে’, ‘আপনার স্বামীর তো অনেক টাকা, আপনি চাকরি করে কী করবেন’...নারীদের উদ্দেশে এমন কথা হরহামেশা বলা হয় আমাদের দেশে। জন্মের পর একটি মেয়েশিশু গোলাপি জামা পরবে কি না, সেটি নির্ধারণ করা থেকে শুরু করে সেই শিশু বড় হয়ে কেমন পোশাক পরবে, কোথায় যাবে, কবে বিয়ে করবে, সন্তান নেবে কি না, চাকরি করবে কি না—এসব আমাদের সমাজ ঠিক করে দেয়। এবং এখনো। তার ওপর আছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা।
এসব ঘটনার প্রতিবাদ হতে থাকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন মাধ্যমে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তেমনই এক আয়োজন ছিল। সেখানে গ্যালারিজুড়ে ছিল নারীদের অস্তিত্ব; তাদের অধিকার এবং তাদের ওপর হওয়া সহিংসতা ও নির্যাতনের চিত্র। কেউ সেসব ঘটনা তুলে ধরেছিলেন রংতুলিতে, কেউবা এঁকেছেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। গ্যালারি ঘুরে নিত্য ঘটনাগুলোই বারবার চোখের সামনে ফুটে উঠছিল; গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তা, তাদের ভিডিও ধারণ, পোশাক নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা আর কটূক্তি। একটি ছবিতে ফুটে উঠেছে এক নারী নভোচারী চাঁদে গিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর পেছনে পৃথিবী থেকে কিছু মুখ উঠে এসেছে, যারা বলছে, ‘ওড়না কোথায়?’ হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এটাই এক চরম বাস্তবতা হয়ে ফুটে উঠেছে। গণপরিবহনে একজন বোরকা পরা নারী যেভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছে, জিনস টপ কিংবা কামিজ পরা নারীও সেভাবেই হেনস্তার শিকার হচ্ছে।
কার্টুন চিত্রগুলো একজন নারীর জীবনের খুব অন্ধকার বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলে ধরছিল। প্রদর্শনীর শেষ দিন গ্যালারি ঘুরে দেখতে দেখতে কথা হলো সৈয়দা আফরিনের সঙ্গে। তিনি এক দর্শনার্থী। বললেন, ‘অনেক সময় নিয়ে সব কাজ দেখলাম। এই চারদেয়ালের প্রতিটি ছবিই যেন একজন নারীর জীবনের বাস্তবতা। বাসে, রাস্তায়, ঘরে আমরা আসলে এভাবেই বেঁচে থাকি সমাজে। এখানে যত ছবি আছে, সেগুলোর মধ্যে ৮০ ভাগ ছবির কর্মকাণ্ড একটা মেয়ে তার জীবনে পেয়েছে।’
বাস্তবতা তো আর বাস্তবেই শেষ হয় না। পিছু ছাড়ে না অনলাইনের বিশাল দুনিয়াতেও। অনলাইনের যেকোনো প্ল্যাটফর্মে নারীদের নিয়ে যা কিছুই বলা বা আঁকা হোক না কেন, ছুটে আসবে ট্যাগিং, সাইবার বুলিং আর বিষাক্ত মন্তব্য।

কার্টুন শিল্পী ও শিক্ষক সামিয়া সাবিহা রিনি সে কথাই জানালেন। বললেন, ‘কোনো কাজে নারীর বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই একটা ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়। কোনো মাতৃমূর্তি নিয়ে কাজ করলে, সেটাও মানুষ ভালো চোখে দেখে না। নারীর জন্য যখন প্রতিবাদের কিংবা অধিকার আদায়ের ভাষা হিসেবে নারীর অবয়ব আঁকা হয়, সেখানেও বাজে মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়। নারীকে নিয়ে আঁকা কার্টুন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে দেখবেন, কত কটূক্তিতে ভরে যায় মন্তব্যের ঘরগুলো। এই ধরনের মানসিকতাটাও তো পরিবর্তন করতে হবে।’
এসব কথাবার্তা যখন চলছে, তখনই চোখে পড়ল একটি কাঠের চাকা। চাকা ঘোরালেই ফুটে উঠছিল নারীর জীবনের গল্প। কীভাবে তার জীবন বদলায়, কীভাবে বিয়ের পর সে একটি পরিবারের ভার বহন করতে করতে নিজেকে একসময় হারিয়ে ফেলে। নারীর কাঁধ থেকে দায়িত্বের বোঝা তখনই নেমে যায়, যখন সে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। সাবিনা এসব দেখতে দেখতে আনমনা হয়ে বললেন, ‘আমরা ভেবে কথা বলি না। একটা কথা কীভাবে বলব, সেটাও ভাবি না। নারীদের কাজকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি না। এটি ভেতর থেকে একজন মানুষকে ভেঙে দেয়।’

প্রদর্শনীর শেষ প্রান্তে ছিল একেবারে ভিন্ন এক চিঠি। যার বাক্যগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল সুই-সুতার মধ্য দিয়ে। নকশিকাঁথার ফোঁড়ে মেয়ে তার মাকে লিখেছিল নিজের মনের কথাগুলো। এই শিল্পকর্মের শিল্পীর নাম নুসরাত লাক্সুমী। তিনি বলেন, ‘আমার মা গান শিখতেন। বিয়ের পর ছেড়ে দিয়েছেন। আমি যখন আম্মুকে কল্পনা করি, ভাবি তিনি লেখাপড়া করছেন, নিজের মতো করে চলছেন, গান করছেন। আমি আমার মায়ের লড়াই দেখেছি। কিন্তু অনেক সময় তাঁর কথা আমাকে আঘাত করে। আমি জানি, তিনি কেন সেসব বলছেন। আমি সেই কথাগুলোই এই চিঠিতে লিখেছি।’ নুসরাতের অন্য একটি কাজে ফুটে উঠেছে সুখী পরিবারের চিত্র। যেখানে পরিবারের মেয়েরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছে, ঘুরছে, গল্প করছে।

একসময় সংবাদপত্রের পাতায় কার্টুন ছিল স্বতন্ত্র এক সংবাদ। সমাজ বা দেশের বহু বিচিত্র অসুখের লক্ষণ ফুটে উঠত কয়েকটি রেখায়। কিন্তু ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর একসময় যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল সেই ধারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান ধরনের কনটেন্টের ভিড়ে, কার্টুন যেন হারিয়ে গিয়েছিল নিজের জায়গা থেকে। তবে একেবারেই হারিয়ে যায়নি। কার্টুন কোনো সাময়িক শিল্প নয়, বরং এটি সমাজের দর্পণ। অনলাইনে আক্রমণ যতই আসুক, কার্টুনিস্টরা তাঁদের তুলি থামাবেন না। নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমাজের অসংগতি দূর করার লড়াইয়ে কার্টুন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আর সে জন্যই ‘কার্টুন ফর ইকুয়ালিটি-প্রিভেন্ট ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট ওমেন অ্যান্ড গার্লস’-এর মতো প্রদর্শনীর আয়োজন হওয়া উচিত নিয়মিত বিরতিতে। এই প্রদর্শনীর পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল কানাডা সরকার। আয়োজনে ছিল ইউএন ওমেন বাংলাদেশ, বহ্নিশিখা ও মায়ের দোয়া স্টুডিও।

প্রতিবাদের অনেক ভাষার অন্যতম কার্টুন। এটি এক অনন্য প্রকাশভঙ্গি। শব্দের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এটি এমন এক ভাষা, যা চোখে দেখা তো যায়-ই, করা যায় অনুভবও। আমাদের দেশের নারী কার্টুনিস্টরা নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন বৈষম্য ও অনাচারের বিরুদ্ধে এই শিল্পমাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন।
‘দেখছেন কেমন জামা পরেছে’, ‘বাচ্চা নিয়ে চাকরি করবে কীভাবে’, ‘আপনার স্বামীর তো অনেক টাকা, আপনি চাকরি করে কী করবেন’...নারীদের উদ্দেশে এমন কথা হরহামেশা বলা হয় আমাদের দেশে। জন্মের পর একটি মেয়েশিশু গোলাপি জামা পরবে কি না, সেটি নির্ধারণ করা থেকে শুরু করে সেই শিশু বড় হয়ে কেমন পোশাক পরবে, কোথায় যাবে, কবে বিয়ে করবে, সন্তান নেবে কি না, চাকরি করবে কি না—এসব আমাদের সমাজ ঠিক করে দেয়। এবং এখনো। তার ওপর আছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা।
এসব ঘটনার প্রতিবাদ হতে থাকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন মাধ্যমে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তেমনই এক আয়োজন ছিল। সেখানে গ্যালারিজুড়ে ছিল নারীদের অস্তিত্ব; তাদের অধিকার এবং তাদের ওপর হওয়া সহিংসতা ও নির্যাতনের চিত্র। কেউ সেসব ঘটনা তুলে ধরেছিলেন রংতুলিতে, কেউবা এঁকেছেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। গ্যালারি ঘুরে নিত্য ঘটনাগুলোই বারবার চোখের সামনে ফুটে উঠছিল; গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তা, তাদের ভিডিও ধারণ, পোশাক নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা আর কটূক্তি। একটি ছবিতে ফুটে উঠেছে এক নারী নভোচারী চাঁদে গিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর পেছনে পৃথিবী থেকে কিছু মুখ উঠে এসেছে, যারা বলছে, ‘ওড়না কোথায়?’ হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এটাই এক চরম বাস্তবতা হয়ে ফুটে উঠেছে। গণপরিবহনে একজন বোরকা পরা নারী যেভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছে, জিনস টপ কিংবা কামিজ পরা নারীও সেভাবেই হেনস্তার শিকার হচ্ছে।
কার্টুন চিত্রগুলো একজন নারীর জীবনের খুব অন্ধকার বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলে ধরছিল। প্রদর্শনীর শেষ দিন গ্যালারি ঘুরে দেখতে দেখতে কথা হলো সৈয়দা আফরিনের সঙ্গে। তিনি এক দর্শনার্থী। বললেন, ‘অনেক সময় নিয়ে সব কাজ দেখলাম। এই চারদেয়ালের প্রতিটি ছবিই যেন একজন নারীর জীবনের বাস্তবতা। বাসে, রাস্তায়, ঘরে আমরা আসলে এভাবেই বেঁচে থাকি সমাজে। এখানে যত ছবি আছে, সেগুলোর মধ্যে ৮০ ভাগ ছবির কর্মকাণ্ড একটা মেয়ে তার জীবনে পেয়েছে।’
বাস্তবতা তো আর বাস্তবেই শেষ হয় না। পিছু ছাড়ে না অনলাইনের বিশাল দুনিয়াতেও। অনলাইনের যেকোনো প্ল্যাটফর্মে নারীদের নিয়ে যা কিছুই বলা বা আঁকা হোক না কেন, ছুটে আসবে ট্যাগিং, সাইবার বুলিং আর বিষাক্ত মন্তব্য।

কার্টুন শিল্পী ও শিক্ষক সামিয়া সাবিহা রিনি সে কথাই জানালেন। বললেন, ‘কোনো কাজে নারীর বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই একটা ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়। কোনো মাতৃমূর্তি নিয়ে কাজ করলে, সেটাও মানুষ ভালো চোখে দেখে না। নারীর জন্য যখন প্রতিবাদের কিংবা অধিকার আদায়ের ভাষা হিসেবে নারীর অবয়ব আঁকা হয়, সেখানেও বাজে মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়। নারীকে নিয়ে আঁকা কার্টুন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে দেখবেন, কত কটূক্তিতে ভরে যায় মন্তব্যের ঘরগুলো। এই ধরনের মানসিকতাটাও তো পরিবর্তন করতে হবে।’
এসব কথাবার্তা যখন চলছে, তখনই চোখে পড়ল একটি কাঠের চাকা। চাকা ঘোরালেই ফুটে উঠছিল নারীর জীবনের গল্প। কীভাবে তার জীবন বদলায়, কীভাবে বিয়ের পর সে একটি পরিবারের ভার বহন করতে করতে নিজেকে একসময় হারিয়ে ফেলে। নারীর কাঁধ থেকে দায়িত্বের বোঝা তখনই নেমে যায়, যখন সে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। সাবিনা এসব দেখতে দেখতে আনমনা হয়ে বললেন, ‘আমরা ভেবে কথা বলি না। একটা কথা কীভাবে বলব, সেটাও ভাবি না। নারীদের কাজকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি না। এটি ভেতর থেকে একজন মানুষকে ভেঙে দেয়।’

প্রদর্শনীর শেষ প্রান্তে ছিল একেবারে ভিন্ন এক চিঠি। যার বাক্যগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল সুই-সুতার মধ্য দিয়ে। নকশিকাঁথার ফোঁড়ে মেয়ে তার মাকে লিখেছিল নিজের মনের কথাগুলো। এই শিল্পকর্মের শিল্পীর নাম নুসরাত লাক্সুমী। তিনি বলেন, ‘আমার মা গান শিখতেন। বিয়ের পর ছেড়ে দিয়েছেন। আমি যখন আম্মুকে কল্পনা করি, ভাবি তিনি লেখাপড়া করছেন, নিজের মতো করে চলছেন, গান করছেন। আমি আমার মায়ের লড়াই দেখেছি। কিন্তু অনেক সময় তাঁর কথা আমাকে আঘাত করে। আমি জানি, তিনি কেন সেসব বলছেন। আমি সেই কথাগুলোই এই চিঠিতে লিখেছি।’ নুসরাতের অন্য একটি কাজে ফুটে উঠেছে সুখী পরিবারের চিত্র। যেখানে পরিবারের মেয়েরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছে, ঘুরছে, গল্প করছে।

একসময় সংবাদপত্রের পাতায় কার্টুন ছিল স্বতন্ত্র এক সংবাদ। সমাজ বা দেশের বহু বিচিত্র অসুখের লক্ষণ ফুটে উঠত কয়েকটি রেখায়। কিন্তু ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর একসময় যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল সেই ধারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান ধরনের কনটেন্টের ভিড়ে, কার্টুন যেন হারিয়ে গিয়েছিল নিজের জায়গা থেকে। তবে একেবারেই হারিয়ে যায়নি। কার্টুন কোনো সাময়িক শিল্প নয়, বরং এটি সমাজের দর্পণ। অনলাইনে আক্রমণ যতই আসুক, কার্টুনিস্টরা তাঁদের তুলি থামাবেন না। নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং সমাজের অসংগতি দূর করার লড়াইয়ে কার্টুন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আর সে জন্যই ‘কার্টুন ফর ইকুয়ালিটি-প্রিভেন্ট ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট ওমেন অ্যান্ড গার্লস’-এর মতো প্রদর্শনীর আয়োজন হওয়া উচিত নিয়মিত বিরতিতে। এই প্রদর্শনীর পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল কানাডা সরকার। আয়োজনে ছিল ইউএন ওমেন বাংলাদেশ, বহ্নিশিখা ও মায়ের দোয়া স্টুডিও।

ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
ইরানে নারীদের জনসম্মুখে পারফরম্যান্স, বিশেষত পুরুষ-নারী মিশ্র দর্শকের সামনে উপস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এ দেশটিতে নারীরা পুরুষদের সামনে গানও গাইতে পারেন না। তবে ৪২ বছর বয়সী পানিজ ফারিউসেফি দেখিয়ে দিয়েছেন, বর্তমানে অর্কেস্ট্রা পরিচালনায় নারীদের কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধ নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
নিজের পোশাক নিজেই তৈরি করতেন কানন জেনেট গোমেজ। বাহারি নকশা করা সেই পোশাকগুলো দেখে অনেকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন তাঁকে। শখের বশে একসময় তিনি প্রথমে সবার জন্য পোশাক তৈরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মেলায় অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পান।
৬ দিন আগে
রাস্তায় নারীদের হয়রানি করার ঘটনা পৃথিবীতে এতটাই স্বাভাবিক যে তা থেকে রাষ্ট্রপ্রধানও বাদ যাচ্ছেন না! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। হয়রানির এই ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে। অবশ্য তাতে টনক নড়েছে পুরো দেশের।
৬ দিন আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

নিজের পোশাক নিজেই তৈরি করতেন কানন জেনেট গোমেজ। বাহারি নকশা করা সেই পোশাকগুলো দেখে অনেকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন তাঁকে। শখের বশে একসময় তিনি প্রথমে সবার জন্য পোশাক তৈরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মেলায় অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পান।
এই উৎসাহ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তিনি খুলে ফেলেন নিজের ফেসবুক পেজ জেনেট ক্রিয়েশন। সেখান থেকে শুরু তাঁর পেশাদার উদ্যোক্তা-জীবনের যাত্রা। বর্তমানে তাঁর তৈরি পোশাক শুধু দেশের বাজারেই নয়, একাধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
বেড়ে ওঠা
জেনেটের শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে। তিনি এসএসসি সম্পন্ন করেন মিশনারিজ স্কুল সেন্ট মেরিস থেকে, তারপর ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। অনার্সে পড়াশোনার পাশাপাশি বাফা থেকে চারুকলার ওপর ৫ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন জেনেট। ২০১১ সালে নারী অধিদপ্তর থেকে সরকারিভাবে ব্লক-বাটিকের ওপর তিন মাসের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। স্বামী, পুত্রসন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে জেনেটের পরিবার। বসবাস করেন ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার এলাকায়।
শুরু যেভাবে
মাত্র ৭ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে শাড়ি ও পোশাক তৈরির কাজ শুরু জেনেটের। তাঁর প্রথম অর্ডার ছিল একটি হ্যান্ডপেইন্টেড শাড়ি। তারপর অর্ডার আসতে শুরু করে। এভাবেই ধীরে ধীরে জেনেটের পরিশ্রম ও সৃজনশীলতায় গড়ে ওঠে জেনেট ক্রিয়েশন। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে যুক্ত আছেন ছয়জন কর্মী।
পোশাকের ব্যবসা কেন
পোশাক মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি অংশ। বছরব্যাপী এর চাহিদা বিদ্যমান থাকে। পোশাকের নকশার প্রতি ছোটবেলা থেকে একধরনের ভালোবাসা ছিল জেনেটের। ব্যবসা শুরুর আগে নিজের পোশাকের ডিজাইন তিনি নিজেই করতেন।
আর সে কারণেই পোশাকের ব্যবসা শুরু করেন। শাড়ি পরা বেশ পছন্দ জেনেটের। সে কারণে শাড়ি নিয়েই তাঁর কাজ বেশি। এর পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে নকশা করা টিপ ও চুড়িও তৈরি করেন তিনি।

বিভিন্ন পণ্যের সমাহার
সুতি, সিল্ক, টাইডাই, হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লকপ্রিন্ট ও এমব্রয়ডারি করা পোশাক পাওয়া যায় জেনেট ক্রিয়েশনে। পাশাপাশি রয়েছে শাড়ি, ব্লাউজ, টু-পিস, শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি শার্ট, পাঞ্জাবিসহ নানা কিছু।
জেনেট গোমেজের সিগনেচার পণ্য হলো টাইডাই শাড়ি। তবে শৌখিন নারীদের পোশাক বা শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরার টিপও তৈরি করেন তিনি। তাঁর এই সূক্ষ্ম রুচি এবং নান্দনিক চিন্তাভাবনাই জেনেট ক্রিয়েশনকে করেছে অনন্য ও জনপ্রিয়।
দেশের বাইরে
আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স ও কানাডায় বেশি যায় জেনেটের পণ্য। প্রবাসীরা দেশে এসে ফিরে যাওয়ার সময় তাঁর পণ্য সঙ্গে নিয়ে যান। আবার কুরিয়ারের মাধ্যমেও ক্রেতাদের পণ্য পাঠানো হয়। গতানুগতিক ধারার বাইরের নকশা এবং গুণগত মান ঠিক রাখেন তিনি। এ কারণে দেশ-বিদেশে তাঁর পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।

লাভের হিসাব
জেনেট বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। লাভের কিছু টাকা তিনি আবার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। সংসারের কাজ সামলে ব্যবসার কাজ চালাতে হয় তাঁকে। তাঁর পণ্যের ফটোশুটে নিজেই মডেল হন জেনেট। ফটোগ্রাফারের কাজ করেন তাঁর স্বামী। ব্যবসাটা পুরো অনলাইনভিত্তিক। বছরে বেশ কিছু মেলায় তিনি অংশ নেন বলে জানান।
নতুনদের জন্য
নতুনদের জন্য জেনেটের পরামর্শ হলো, ব্যবসা শুরু করতে চাইলে অন্য কারও অনুকরণ বা অনুসরণ না করে যে কাজ করতে ভালোবাসেন, ভালো পারেন,
সেই বিষয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু
করতে পারেন এবং সেই বিষয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা দরকার।
ভবিষ্যতের ভাবনা
ভবিষ্যতে ছোট আকারে একেবারে নিজের মতো করে একটি স্টুডিও কিংবা শপ তৈরি করার ইচ্ছা জেনেটের; যাতে ক্রেতারা সরাসরি স্পর্শ করে পণ্য কেনার সুযোগ পান।

নিজের পোশাক নিজেই তৈরি করতেন কানন জেনেট গোমেজ। বাহারি নকশা করা সেই পোশাকগুলো দেখে অনেকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন তাঁকে। শখের বশে একসময় তিনি প্রথমে সবার জন্য পোশাক তৈরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মেলায় অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পান।
এই উৎসাহ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তিনি খুলে ফেলেন নিজের ফেসবুক পেজ জেনেট ক্রিয়েশন। সেখান থেকে শুরু তাঁর পেশাদার উদ্যোক্তা-জীবনের যাত্রা। বর্তমানে তাঁর তৈরি পোশাক শুধু দেশের বাজারেই নয়, একাধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
বেড়ে ওঠা
জেনেটের শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে। তিনি এসএসসি সম্পন্ন করেন মিশনারিজ স্কুল সেন্ট মেরিস থেকে, তারপর ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। অনার্সে পড়াশোনার পাশাপাশি বাফা থেকে চারুকলার ওপর ৫ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন জেনেট। ২০১১ সালে নারী অধিদপ্তর থেকে সরকারিভাবে ব্লক-বাটিকের ওপর তিন মাসের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। স্বামী, পুত্রসন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে জেনেটের পরিবার। বসবাস করেন ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার এলাকায়।
শুরু যেভাবে
মাত্র ৭ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে শাড়ি ও পোশাক তৈরির কাজ শুরু জেনেটের। তাঁর প্রথম অর্ডার ছিল একটি হ্যান্ডপেইন্টেড শাড়ি। তারপর অর্ডার আসতে শুরু করে। এভাবেই ধীরে ধীরে জেনেটের পরিশ্রম ও সৃজনশীলতায় গড়ে ওঠে জেনেট ক্রিয়েশন। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে যুক্ত আছেন ছয়জন কর্মী।
পোশাকের ব্যবসা কেন
পোশাক মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি অংশ। বছরব্যাপী এর চাহিদা বিদ্যমান থাকে। পোশাকের নকশার প্রতি ছোটবেলা থেকে একধরনের ভালোবাসা ছিল জেনেটের। ব্যবসা শুরুর আগে নিজের পোশাকের ডিজাইন তিনি নিজেই করতেন।
আর সে কারণেই পোশাকের ব্যবসা শুরু করেন। শাড়ি পরা বেশ পছন্দ জেনেটের। সে কারণে শাড়ি নিয়েই তাঁর কাজ বেশি। এর পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে নকশা করা টিপ ও চুড়িও তৈরি করেন তিনি।

বিভিন্ন পণ্যের সমাহার
সুতি, সিল্ক, টাইডাই, হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লকপ্রিন্ট ও এমব্রয়ডারি করা পোশাক পাওয়া যায় জেনেট ক্রিয়েশনে। পাশাপাশি রয়েছে শাড়ি, ব্লাউজ, টু-পিস, শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি শার্ট, পাঞ্জাবিসহ নানা কিছু।
জেনেট গোমেজের সিগনেচার পণ্য হলো টাইডাই শাড়ি। তবে শৌখিন নারীদের পোশাক বা শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরার টিপও তৈরি করেন তিনি। তাঁর এই সূক্ষ্ম রুচি এবং নান্দনিক চিন্তাভাবনাই জেনেট ক্রিয়েশনকে করেছে অনন্য ও জনপ্রিয়।
দেশের বাইরে
আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স ও কানাডায় বেশি যায় জেনেটের পণ্য। প্রবাসীরা দেশে এসে ফিরে যাওয়ার সময় তাঁর পণ্য সঙ্গে নিয়ে যান। আবার কুরিয়ারের মাধ্যমেও ক্রেতাদের পণ্য পাঠানো হয়। গতানুগতিক ধারার বাইরের নকশা এবং গুণগত মান ঠিক রাখেন তিনি। এ কারণে দেশ-বিদেশে তাঁর পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।

লাভের হিসাব
জেনেট বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। লাভের কিছু টাকা তিনি আবার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। সংসারের কাজ সামলে ব্যবসার কাজ চালাতে হয় তাঁকে। তাঁর পণ্যের ফটোশুটে নিজেই মডেল হন জেনেট। ফটোগ্রাফারের কাজ করেন তাঁর স্বামী। ব্যবসাটা পুরো অনলাইনভিত্তিক। বছরে বেশ কিছু মেলায় তিনি অংশ নেন বলে জানান।
নতুনদের জন্য
নতুনদের জন্য জেনেটের পরামর্শ হলো, ব্যবসা শুরু করতে চাইলে অন্য কারও অনুকরণ বা অনুসরণ না করে যে কাজ করতে ভালোবাসেন, ভালো পারেন,
সেই বিষয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু
করতে পারেন এবং সেই বিষয়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা দরকার।
ভবিষ্যতের ভাবনা
ভবিষ্যতে ছোট আকারে একেবারে নিজের মতো করে একটি স্টুডিও কিংবা শপ তৈরি করার ইচ্ছা জেনেটের; যাতে ক্রেতারা সরাসরি স্পর্শ করে পণ্য কেনার সুযোগ পান।

ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
ইরানে নারীদের জনসম্মুখে পারফরম্যান্স, বিশেষত পুরুষ-নারী মিশ্র দর্শকের সামনে উপস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এ দেশটিতে নারীরা পুরুষদের সামনে গানও গাইতে পারেন না। তবে ৪২ বছর বয়সী পানিজ ফারিউসেফি দেখিয়ে দিয়েছেন, বর্তমানে অর্কেস্ট্রা পরিচালনায় নারীদের কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধ নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবাদের অনেক ভাষার অন্যতম কার্টুন। এটি এক অনন্য প্রকাশভঙ্গি। শব্দের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এটি এমন এক ভাষা, যা চোখে দেখা তো যায়-ই, করা যায় অনুভবও। আমাদের দেশের নারী কার্টুনিস্টরা নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন বৈষম্য ও অনাচারের বিরুদ্ধে এই শিল্পমাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন।
৬ দিন আগে
রাস্তায় নারীদের হয়রানি করার ঘটনা পৃথিবীতে এতটাই স্বাভাবিক যে তা থেকে রাষ্ট্রপ্রধানও বাদ যাচ্ছেন না! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। হয়রানির এই ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে। অবশ্য তাতে টনক নড়েছে পুরো দেশের।
৬ দিন আগেফিচার ডেস্ক

রাস্তায় নারীদের হয়রানি করার ঘটনা পৃথিবীতে এতটাই স্বাভাবিক যে তা থেকে রাষ্ট্রপ্রধানও বাদ যাচ্ছেন না! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। হয়রানির এই ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে। অবশ্য তাতে টনক নড়েছে পুরো দেশের। তাই এবার প্রেসিডেন্ট তাঁর দেশের যৌন হয়রানিবিরোধী আইনগুলো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। ডেটা প্ল্যাটফর্ম স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে মেক্সিকোতে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার কারণে ৭৯৭ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে!
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি ৬৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের কাঁধে হাত রেখে তাঁকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করছেন। দেখা যায়, শেইনবাউম লোকটির হাত সরিয়ে দিচ্ছেন। নিরাপত্তাকর্মীরা উপস্থিত না থাকায় অন্য একজন কর্মী এসে লোকটিকে সরিয়ে দেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে হওয়া এ ঘটনায় দেশটিতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।
মেক্সিকো দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি ও নারী হত্যার (ফেমিসাইড) সংকটে জর্জরিত। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা দেশটির যৌন হয়রানিবিরোধী আইনগুলো কতটা কার্যকর, সেই প্রশ্নও তুলেছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, মেক্সিকোর ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ৭০ শতাংশ মেয়ে ও নারী জীবনে অন্তত একবার যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন।
মেক্সিকোর নারীবিষয়ক সেক্রেটারি সিতলাল্লি হার্নান্দেজ বলেছেন, ‘এ বছর এ পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।’ তবে সমস্যার মাত্রা পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। কারণ, অন্য অনেক দেশের মতো মেক্সিকোতেও নারী ভুক্তভোগীকেই সাধারণভাবে দোষারোপ করা হয় কিংবা তাদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয় না। এই ভয়ে অভিযোগ করতে দ্বিধা থাকে ভুক্তভোগীদের।
এদিকে নারী হত্যা মেক্সিকোর রাজধানীসহ পুরো দেশে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে যৌন হয়রানি সব রাজ্যে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না। দেশটির ফেডারেল পেনাল কোড অনুসারে, যৌন হয়রানির সংজ্ঞা হলো, এমন ব্যক্তি যে অশ্লীল উদ্দেশ্যে, বারবার যেকোনো লিঙ্গের একজন ব্যক্তিকে হয়রানি করে। মেক্সিকো সিটিসহ মেক্সিকোর ৩১টি রাজ্যের মধ্যে শুধু ১৬টিতে যৌন হয়রানিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড জিওগ্রাফি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের কমপক্ষে ৭০ দশমিক ১ শতাংশ মেক্সিকান নারী তাঁদের জীবনকালে অন্তত একবার কোনো না কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সেটা হতে পারে যৌন, মনস্তাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক কিংবা শারীরিক সহিংসতা। ২০২৩ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশন জানিয়েছে, মেক্সিকোতে প্রত্যেক ১ লাখ নারীর মধ্যে ১ দশমিক ৩টি নারী হত্যার ঘটনা ঘটে। এর অর্থ হলো, ৮৫২ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। আর দিনের হিসাব করলে প্রতিদিন দুজনের বেশি নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
নারী হত্যার উচ্চ হারে লাতিন আমেরিকার দেশ হিসেবে মেক্সিকো একা নয়। সেই তালিকায় আছে ব্রাজিল, ডমিনিকান রিপাবলিক ও হন্ডুরাস।
সূত্র: আল জাজিরা, ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর

রাস্তায় নারীদের হয়রানি করার ঘটনা পৃথিবীতে এতটাই স্বাভাবিক যে তা থেকে রাষ্ট্রপ্রধানও বাদ যাচ্ছেন না! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। হয়রানির এই ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে। অবশ্য তাতে টনক নড়েছে পুরো দেশের। তাই এবার প্রেসিডেন্ট তাঁর দেশের যৌন হয়রানিবিরোধী আইনগুলো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। ডেটা প্ল্যাটফর্ম স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে মেক্সিকোতে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার কারণে ৭৯৭ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে!
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি ৬৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের কাঁধে হাত রেখে তাঁকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করছেন। দেখা যায়, শেইনবাউম লোকটির হাত সরিয়ে দিচ্ছেন। নিরাপত্তাকর্মীরা উপস্থিত না থাকায় অন্য একজন কর্মী এসে লোকটিকে সরিয়ে দেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে হওয়া এ ঘটনায় দেশটিতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।
মেক্সিকো দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি ও নারী হত্যার (ফেমিসাইড) সংকটে জর্জরিত। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা দেশটির যৌন হয়রানিবিরোধী আইনগুলো কতটা কার্যকর, সেই প্রশ্নও তুলেছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, মেক্সিকোর ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ৭০ শতাংশ মেয়ে ও নারী জীবনে অন্তত একবার যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন।
মেক্সিকোর নারীবিষয়ক সেক্রেটারি সিতলাল্লি হার্নান্দেজ বলেছেন, ‘এ বছর এ পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।’ তবে সমস্যার মাত্রা পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। কারণ, অন্য অনেক দেশের মতো মেক্সিকোতেও নারী ভুক্তভোগীকেই সাধারণভাবে দোষারোপ করা হয় কিংবা তাদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয় না। এই ভয়ে অভিযোগ করতে দ্বিধা থাকে ভুক্তভোগীদের।
এদিকে নারী হত্যা মেক্সিকোর রাজধানীসহ পুরো দেশে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে যৌন হয়রানি সব রাজ্যে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না। দেশটির ফেডারেল পেনাল কোড অনুসারে, যৌন হয়রানির সংজ্ঞা হলো, এমন ব্যক্তি যে অশ্লীল উদ্দেশ্যে, বারবার যেকোনো লিঙ্গের একজন ব্যক্তিকে হয়রানি করে। মেক্সিকো সিটিসহ মেক্সিকোর ৩১টি রাজ্যের মধ্যে শুধু ১৬টিতে যৌন হয়রানিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড জিওগ্রাফি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের কমপক্ষে ৭০ দশমিক ১ শতাংশ মেক্সিকান নারী তাঁদের জীবনকালে অন্তত একবার কোনো না কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সেটা হতে পারে যৌন, মনস্তাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক কিংবা শারীরিক সহিংসতা। ২০২৩ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশন জানিয়েছে, মেক্সিকোতে প্রত্যেক ১ লাখ নারীর মধ্যে ১ দশমিক ৩টি নারী হত্যার ঘটনা ঘটে। এর অর্থ হলো, ৮৫২ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। আর দিনের হিসাব করলে প্রতিদিন দুজনের বেশি নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
নারী হত্যার উচ্চ হারে লাতিন আমেরিকার দেশ হিসেবে মেক্সিকো একা নয়। সেই তালিকায় আছে ব্রাজিল, ডমিনিকান রিপাবলিক ও হন্ডুরাস।
সূত্র: আল জাজিরা, ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর

ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
ইরানে নারীদের জনসম্মুখে পারফরম্যান্স, বিশেষত পুরুষ-নারী মিশ্র দর্শকের সামনে উপস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এ দেশটিতে নারীরা পুরুষদের সামনে গানও গাইতে পারেন না। তবে ৪২ বছর বয়সী পানিজ ফারিউসেফি দেখিয়ে দিয়েছেন, বর্তমানে অর্কেস্ট্রা পরিচালনায় নারীদের কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধ নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবাদের অনেক ভাষার অন্যতম কার্টুন। এটি এক অনন্য প্রকাশভঙ্গি। শব্দের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে এটি এমন এক ভাষা, যা চোখে দেখা তো যায়-ই, করা যায় অনুভবও। আমাদের দেশের নারী কার্টুনিস্টরা নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন বৈষম্য ও অনাচারের বিরুদ্ধে এই শিল্পমাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন।
৬ দিন আগে
নিজের পোশাক নিজেই তৈরি করতেন কানন জেনেট গোমেজ। বাহারি নকশা করা সেই পোশাকগুলো দেখে অনেকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন তাঁকে। শখের বশে একসময় তিনি প্রথমে সবার জন্য পোশাক তৈরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মেলায় অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পান।
৬ দিন আগে