বাংলাদেশ ক্রিকেট

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল অদম্য-অপরাজেয় প্রীতি ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই শুরু হয় মজা। ‘খেলা, খেলা, খেলা’ বলে মিরপুরে পরশু মাইকিং করে নাজমুল হোসেন শান্ত যে গ্রামগঞ্জের পরিচিত দৃশ্যটাই তুলে ধরেছেন। গতকাল ম্যাচ শেষে সেই মজা বেড়ে যায় বহুগুণ। মেহেদী হাসান মিরাজ বনে গেলেন পুরোদস্তুর সাংবাদিক।

ঘড়ির কাঁটা বেলা ৩টা বাজার পর থেকেই সবার নজর আবুধাবিতে। বাংলাদেশের যে সাত ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কারা দল পান সেটা জানতে অপেক্ষায় ছিলেন কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। সন্ধ্যার পর আসে সুখবর। সুদূর আবুধাবি থেকে মিরপুরে ছড়িয়ে পড়ে এই আনন্দ।

মোস্তাফিজুর রহমান আইএল টি-টোয়েন্টি খেলতে এই মুহূর্তে আছেন আরব আমিরাতে। টুর্নামেন্টে ভালো ছন্দে আছেন। গত পরশু দুবাইয়ে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে তাঁর অফ কাটার, সিম স্ক্র্যাম্বল নিয়ে ধারাভাষ্যকারেরা ক্ষুরধার বিশ্লেষণ করলেন। সেই বিশ্লেষণ নিয়ে যখন তাঁকে বলা হলো—সব রহস্য তো উন্মোচন হয়ে যাচ্ছে,

প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের আট ক্লাবকে অবনমন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার ঢাকা মহানগর ক্লাব কমিটির (সিসিডিএম) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নতুন সূচি তৈরির কাজ করছে বিসিবি।

শোয়েব আখতার যখন গতকাল শেরাটন হোটেলে প্রেস কনফারেন্সে এসেছিলেন, বিপিএলের চেয়ে তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের নানা ঘটনা নিয়েই আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তাঁর সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড কে ভাঙতে পারেন—এই প্রসঙ্গে তিনি তাসকিন আহমেদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল অবশ্য তা মনে

আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) পরশু রাতে অভিষেকটা মনঃপূত হয়নি তাসকিন আহমেদের। গতকাল সেই তুলনায় দারুণ বোলিং করেছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ পেসার। তবে সব ছাপিয়ে তাসকিনের সেই বলে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নজরে এসেছে অনেকের।

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, জেমি সিডন্স, ফিল সিমন্স, মুশতাক আহমেদ, রাসেল ডমিঙ্গো, শন টেইট, ড্যানিয়েল ভেট্টরি...বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিদেশি কোচদের তালিকাটা এমনই লম্বা। তবে এত তারকা ক্রিকেটার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) কাজ করলেও সেখানে নেই শোয়েব আখতারের মতো কিংবদন্তির নাম।

কেপটাউনে ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৬১.৩ কিলোমিটার গতির বল কোনোমতে স্কয়ার লেগে ঠেলে পাঠিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটার নিক নাইট। বোলারের নামটা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন। তিনি আর কেউ নন পাকিস্তানি গতি তারকা শোয়েব আখতার। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের চাওয়া তাঁর এই রেকর্ডটা যেন তাসকিন আহমেদ ভেঙে দেন।

নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ।