তানভীরুল ইসলাম, ঢাকা

প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অফিসের কাজ তো বটেই, ব্যক্তিগত নানা কাজ, পড়াশোনা, বিনোদন সব ক্ষেত্রেই কম্পিউটারই এখন ভরসা। ফলে ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা পিসির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, বড় হচ্ছে বাজার। কিন্তু পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ, কোনটি বেশি কার্যকর ও আরামদায়ক—এটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। মূলত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বাছাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপযোগিতা এবং বহনযোগ্যতার ওপর।
কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার লক্ষ্যেই এখানে দুই ধরনের ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্যের বিবরণ তুলে ধরা হলো। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে কম্পিউটার কেনার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে আশা করা যায়।
ডেস্কটপ:
ডেস্কটপ কম্পিউটার মূলত একটি স্থানে রেখে কাজ করার ডিভাইস। এ ধরনের কম্পিউটারের সিপিউ, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসগুলো আলাদা। ফলে বেশি জায়গা লাগে। আলাদা একটি টেবিলের দরকার পড়ে। ডেস্কটপ কম্পিউটার সাধারণত বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত যেমন: কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, সিপিইউ, মাদারবোর্ড, সলিড স্টেট ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক), ইউপিএস ইত্যাদি। ডেস্কটপের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করার উপায় থাকে। এছাড়া মনিটর সুবিধা মতো ছোট বড় বা পছন্দের ব্র্যান্ডের কেনার সুযোগ থাকে। যেকোনো ভারী কাজের জন্য ডেস্কটপই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।
ল্যাপটপ:
ল্যাপটপ হলো বহনযোগ্য কম্পিউটার। এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই এ ধরনের কম্পিউটার পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। ছোট বড় সবাই ল্যাপটপ সম্পর্কে কম বেশি ধারণা রাখে। ল্যাপটপ যেকোনো স্থানে ব্যবহার উপযোগী, এমনকি কোলের ওপর রেখেও সচ্ছন্দে কাজ করা যায়। এ কারণেই এর নাম ল্যাপটপ—ল্যাপ অর্থ কোল, আর টপ অর্থ ওপর।
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ এর পার্থক্য:
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে নিশ্চয় এরই মধ্যে কিছুটা ধারণা তৈরি হয়েছে। এর বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:
১. ডেস্কটপের অংশগুলো আলাদা, বিচ্ছিন্ন। তাই ডেস্কটপের পারফরমেন্স বিবেচনায় আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কিন্তু ল্যাপটপ যেহেতু একটি সম্পূর্ণ ডিভাইস ফলে পারফরমেন্স অনুযায়ী পেতে চাইলে বেশি দামে কিনতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজের কিছু পছন্দ অপছন্দ বিসর্জন দিতেও হতে পারে।
২. ডেস্কটপের বহন করা ঝামেলার কাজ। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়াটা বেশ ঝক্কির ব্যাপার। ঠিক উল্টোটা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে। ল্যাপটপ একটি কম্প্যাক্ট কম্পিউটার, ফলে ব্যাগে ভরে বা একটি ফাইল ফোল্ডারের মতো সহজেই দূরবর্তী স্থানে বহন করা যায়। ল্যাপটপ যেকোনো জায়গায় নেওয়া এবং ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়।
৩. ডেস্কটপ কম্পিউটারে একের অধিক ইন্টারনাল স্টোরেজ ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক) ইনস্টল করার উপায় থাকে। তবে ল্যাপটপ কম্পিউটারে মূলত একটি অথবা বড়জোর দুটি ইন্টারনাল ড্রাইভের জন্য জায়গা থাকে।
৪. একটি ডেস্কটপ সেটআপ করার জন্য বাড়তি সময় এবং দক্ষতার দরকার হয়। অনেক সময় বিক্রেতারা সেটআপের জন্য বাড়তি সার্ভিস চার্জ দাবি করেন। ল্যাপটপে সেই ঝামেলা নেই। বক্স থেকে বের করে প্লাগ ইন এবং পাওয়ার বোতাম চাপলেই হলো। প্রথম স্টার্টআপে ব্যবহার উপযোগী হতে কয়েক মিনিট সময় লাগতে পারে। এরপর থেকে আর কোনো ঝামেলা নেই।
৫. ডেস্কটপ মনিটর স্ক্রিনের আকার সাধারণত ১৫ ইঞ্চি থেকে ৩৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। আর স্ট্যান্ডার্ড মনিটর স্ক্রিনের আকার ২২ ইঞ্চি। এ ক্ষেত্রে পছন্দের ব্র্যান্ডের এবং আকারের মনিটর কেনার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। আবার ল্যাপটপ স্ক্রিনের আকার ১০ ইঞ্চি থেকে ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
৬. ডেস্কটপ কম্পিউটার ল্যাপটপের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার মূল কারণ উচ্চ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই, কম্পিউটারের ভেতরে একাধিক আলাদা পার্টস এবং মনিটর ব্যবহার। ইউপিএস বা এ ধরনের পাওয়ার ব্যাকআপের ব্যবস্থা না থাকলে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে নথি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ কম্পিউটার ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ল্যাপটপে একটি ব্যাটারি থাকে, ফলে বিদ্যুৎ লাইনের ভোল্টেজ ওঠানামা বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কোনো অসংরক্ষিত কাজ নষ্ট হয় না। ভেতরে রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়।
৭. ডেস্কটপের বেশিরভাগ উপাদান প্রতিস্থাপন করা যায়। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী বা নষ্ট হলে সেই অংশ (পার্টস) আবার সংযোজন করা সম্ভব। ফলে ডেস্কটপ আপগ্রেড করা সহজ। ডেস্কটপ কেস বড়, হার্ডওয়্যার যোগ এবং প্রতিস্থাপন এবং তারগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য ভেতরে বেশ জায়গা লাগে। ল্যাপটপে সে সমস্যা নেই। তবে ল্যাপটপে র্যাম ও হার্ডডিস্ক শুধু আপগ্রেড করা যায়। ব্যাটারিও পরিবর্তন করা যায়। অবশিষ্ট উপাদানগুলো মোটামুটি স্থায়ী।
৮. ডেস্কটপে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিডিও কার্ড (গ্রাফিক্স কার্ড) ব্যবহার করা যায়। ডেস্কটপে একাধিক গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। গেমিংয়ের জন্য ডেস্কটপ বেশ ভালো। ল্যাপটপ কম্প্যাক্ট ডিভাইস হওয়ার ফলে গ্রাফিক্স ক্ষমতা সীমিত। যদিও উচ্চ ক্ষমতা–সম্পন্ন ল্যাপটপগুলো গেমিং এবং অটো-ক্যাড ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য ভালো গ্রাফিক্স কার্ড দেয়। তবে ল্যাপটপে তাপ নির্গমন ব্যবস্থা সীমিত হওয়ার কারণে এর প্রেসেসিং পাওয়ারও বেশ সীমিত, অর্থাৎ উচ্চ ক্ষমতার গ্রাফিক্স কার্ড চালানোর জন্য সেই পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি দেয় না।
৯. ডেস্কটপ মেরামত করা সহজ। কারণ বেশিরভাগ হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের স্থানীয় খুচরা দোকানে পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর জন্য ল্যাপটপ খুলে একটি অংশ মেরামত করা কঠিন হতে পারে এবং পার্টস খুঁজে পেতে প্রায়ই বেগ পেতে হয়। কখনো কম্পিউটার প্রস্তুতকারক বা অন্য অনলাইন সাইট থেকে অর্ডার করতে হয়।
১০. ডেস্কটপে একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করা যায়। মেশিন গরম হওয়া বা পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটার মতো ঘটনা সাধারণত ঘটে না। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করলে গরম অনুভূত হয়। কাজের বিবেচনায় পারফরম্যান্স একটু কমে যায়।
পরিশেষে:
এসব বিষয় বিবেচনায় একজন ব্যবহারকারী ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার কিনতে পারেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের ওপর। যদি বহনযোগ্যতাই অগ্রাধিকার হয় তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ হতে পারে সেরা পছন্দ। আর ডেস্কটপে মূলত গ্রাফিক-ইনটেনসিভ গেমিং, ক্যাড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং আপগ্রেড করার জন্য বেশ ভালো।
প্রযুক্তির খবর আরও পড়ুন:

প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অফিসের কাজ তো বটেই, ব্যক্তিগত নানা কাজ, পড়াশোনা, বিনোদন সব ক্ষেত্রেই কম্পিউটারই এখন ভরসা। ফলে ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা পিসির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, বড় হচ্ছে বাজার। কিন্তু পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ, কোনটি বেশি কার্যকর ও আরামদায়ক—এটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। মূলত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বাছাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপযোগিতা এবং বহনযোগ্যতার ওপর।
কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার লক্ষ্যেই এখানে দুই ধরনের ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্যের বিবরণ তুলে ধরা হলো। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে কম্পিউটার কেনার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে আশা করা যায়।
ডেস্কটপ:
ডেস্কটপ কম্পিউটার মূলত একটি স্থানে রেখে কাজ করার ডিভাইস। এ ধরনের কম্পিউটারের সিপিউ, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসগুলো আলাদা। ফলে বেশি জায়গা লাগে। আলাদা একটি টেবিলের দরকার পড়ে। ডেস্কটপ কম্পিউটার সাধারণত বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত যেমন: কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, সিপিইউ, মাদারবোর্ড, সলিড স্টেট ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক), ইউপিএস ইত্যাদি। ডেস্কটপের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করার উপায় থাকে। এছাড়া মনিটর সুবিধা মতো ছোট বড় বা পছন্দের ব্র্যান্ডের কেনার সুযোগ থাকে। যেকোনো ভারী কাজের জন্য ডেস্কটপই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।
ল্যাপটপ:
ল্যাপটপ হলো বহনযোগ্য কম্পিউটার। এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই এ ধরনের কম্পিউটার পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। ছোট বড় সবাই ল্যাপটপ সম্পর্কে কম বেশি ধারণা রাখে। ল্যাপটপ যেকোনো স্থানে ব্যবহার উপযোগী, এমনকি কোলের ওপর রেখেও সচ্ছন্দে কাজ করা যায়। এ কারণেই এর নাম ল্যাপটপ—ল্যাপ অর্থ কোল, আর টপ অর্থ ওপর।
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ এর পার্থক্য:
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে নিশ্চয় এরই মধ্যে কিছুটা ধারণা তৈরি হয়েছে। এর বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:
১. ডেস্কটপের অংশগুলো আলাদা, বিচ্ছিন্ন। তাই ডেস্কটপের পারফরমেন্স বিবেচনায় আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কিন্তু ল্যাপটপ যেহেতু একটি সম্পূর্ণ ডিভাইস ফলে পারফরমেন্স অনুযায়ী পেতে চাইলে বেশি দামে কিনতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজের কিছু পছন্দ অপছন্দ বিসর্জন দিতেও হতে পারে।
২. ডেস্কটপের বহন করা ঝামেলার কাজ। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়াটা বেশ ঝক্কির ব্যাপার। ঠিক উল্টোটা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে। ল্যাপটপ একটি কম্প্যাক্ট কম্পিউটার, ফলে ব্যাগে ভরে বা একটি ফাইল ফোল্ডারের মতো সহজেই দূরবর্তী স্থানে বহন করা যায়। ল্যাপটপ যেকোনো জায়গায় নেওয়া এবং ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়।
৩. ডেস্কটপ কম্পিউটারে একের অধিক ইন্টারনাল স্টোরেজ ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক) ইনস্টল করার উপায় থাকে। তবে ল্যাপটপ কম্পিউটারে মূলত একটি অথবা বড়জোর দুটি ইন্টারনাল ড্রাইভের জন্য জায়গা থাকে।
৪. একটি ডেস্কটপ সেটআপ করার জন্য বাড়তি সময় এবং দক্ষতার দরকার হয়। অনেক সময় বিক্রেতারা সেটআপের জন্য বাড়তি সার্ভিস চার্জ দাবি করেন। ল্যাপটপে সেই ঝামেলা নেই। বক্স থেকে বের করে প্লাগ ইন এবং পাওয়ার বোতাম চাপলেই হলো। প্রথম স্টার্টআপে ব্যবহার উপযোগী হতে কয়েক মিনিট সময় লাগতে পারে। এরপর থেকে আর কোনো ঝামেলা নেই।
৫. ডেস্কটপ মনিটর স্ক্রিনের আকার সাধারণত ১৫ ইঞ্চি থেকে ৩৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। আর স্ট্যান্ডার্ড মনিটর স্ক্রিনের আকার ২২ ইঞ্চি। এ ক্ষেত্রে পছন্দের ব্র্যান্ডের এবং আকারের মনিটর কেনার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। আবার ল্যাপটপ স্ক্রিনের আকার ১০ ইঞ্চি থেকে ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
৬. ডেস্কটপ কম্পিউটার ল্যাপটপের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার মূল কারণ উচ্চ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই, কম্পিউটারের ভেতরে একাধিক আলাদা পার্টস এবং মনিটর ব্যবহার। ইউপিএস বা এ ধরনের পাওয়ার ব্যাকআপের ব্যবস্থা না থাকলে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে নথি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ কম্পিউটার ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ল্যাপটপে একটি ব্যাটারি থাকে, ফলে বিদ্যুৎ লাইনের ভোল্টেজ ওঠানামা বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কোনো অসংরক্ষিত কাজ নষ্ট হয় না। ভেতরে রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়।
৭. ডেস্কটপের বেশিরভাগ উপাদান প্রতিস্থাপন করা যায়। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী বা নষ্ট হলে সেই অংশ (পার্টস) আবার সংযোজন করা সম্ভব। ফলে ডেস্কটপ আপগ্রেড করা সহজ। ডেস্কটপ কেস বড়, হার্ডওয়্যার যোগ এবং প্রতিস্থাপন এবং তারগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য ভেতরে বেশ জায়গা লাগে। ল্যাপটপে সে সমস্যা নেই। তবে ল্যাপটপে র্যাম ও হার্ডডিস্ক শুধু আপগ্রেড করা যায়। ব্যাটারিও পরিবর্তন করা যায়। অবশিষ্ট উপাদানগুলো মোটামুটি স্থায়ী।
৮. ডেস্কটপে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিডিও কার্ড (গ্রাফিক্স কার্ড) ব্যবহার করা যায়। ডেস্কটপে একাধিক গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। গেমিংয়ের জন্য ডেস্কটপ বেশ ভালো। ল্যাপটপ কম্প্যাক্ট ডিভাইস হওয়ার ফলে গ্রাফিক্স ক্ষমতা সীমিত। যদিও উচ্চ ক্ষমতা–সম্পন্ন ল্যাপটপগুলো গেমিং এবং অটো-ক্যাড ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য ভালো গ্রাফিক্স কার্ড দেয়। তবে ল্যাপটপে তাপ নির্গমন ব্যবস্থা সীমিত হওয়ার কারণে এর প্রেসেসিং পাওয়ারও বেশ সীমিত, অর্থাৎ উচ্চ ক্ষমতার গ্রাফিক্স কার্ড চালানোর জন্য সেই পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি দেয় না।
৯. ডেস্কটপ মেরামত করা সহজ। কারণ বেশিরভাগ হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের স্থানীয় খুচরা দোকানে পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর জন্য ল্যাপটপ খুলে একটি অংশ মেরামত করা কঠিন হতে পারে এবং পার্টস খুঁজে পেতে প্রায়ই বেগ পেতে হয়। কখনো কম্পিউটার প্রস্তুতকারক বা অন্য অনলাইন সাইট থেকে অর্ডার করতে হয়।
১০. ডেস্কটপে একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করা যায়। মেশিন গরম হওয়া বা পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটার মতো ঘটনা সাধারণত ঘটে না। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করলে গরম অনুভূত হয়। কাজের বিবেচনায় পারফরম্যান্স একটু কমে যায়।
পরিশেষে:
এসব বিষয় বিবেচনায় একজন ব্যবহারকারী ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার কিনতে পারেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের ওপর। যদি বহনযোগ্যতাই অগ্রাধিকার হয় তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ হতে পারে সেরা পছন্দ। আর ডেস্কটপে মূলত গ্রাফিক-ইনটেনসিভ গেমিং, ক্যাড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং আপগ্রেড করার জন্য বেশ ভালো।
প্রযুক্তির খবর আরও পড়ুন:

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৩ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪৩ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা। সম্প্রতি গুগল পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নতুন এআই টুল চালু করেছে, যেগুলো এখনো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি।

ডিসকো
ওয়েব ব্রাউজারের জন্য গুগল সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে নতুন এআই টুল ডিসকো। এই টুল মূলত ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলতে হয়। এতে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ডিসকো এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি একাধিক খোলা ট্যাবকে একসঙ্গে গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবে। এমনকি খোলা ট্যাবগুলো থেকে আলাদা ওয়েব অ্যাপও তৈরি করতে পারবে। ডিসকো গুগলের জেমিনি থ্রি এআই দিয়ে পরিচালিত।
এই টুল ট্যাবগুলোকে জেনট্যাবস নামে আলাদা ওয়েব অ্যাপে রূপান্তর করবে। গুগলের মতে, এতে ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও কার্যকর হবে; বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে। তবে টুলটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
ভাইব কোডিং
গুগল তাদের এআই স্টুডিওতে ভাইব কোডিং নামে নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করেছে। এই টুলের মাধ্যমে কোডিং না জেনেও অ্যাপ তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীকে শুধু সাধারণ ভাষায় বলতে হবে, তিনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান। এরপর গুগল এআই স্টুডিও নিজেই সেই ধারণা অনুযায়ী একটি সম্পূর্ণ অ্যাপ তৈরি করে দেবে। এই অ্যাপে থাকবে ডিজাইন, প্রয়োজনীয় ফিচার এবং কোড। ব্যবহারকারী চাইলে পরে কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরির সময় এআই থেকে বিভিন্ন পরামর্শও পাওয়া যাবে। কোডিং বা প্রযুক্তিগত জটিলতা ছাড়া সহজে অ্যাপ বানানো সম্ভব হবে। এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরও সহজ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

মিক্সবোর্ড
গুগলের জনপ্রিয় এআই টুলগুলোর একটি হলো ন্যানো বানানা। এই টুল ব্যবহার করে প্রতিদিন অনেক এআই ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর একটি টুল। ন্যানো বানানার ওপর ভিত্তি করেই গুগল চালু করেছে নতুন টুল মিক্সবোর্ড। এটি একটি পরীক্ষামূলক এআই-চালিত আইডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে চিন্তা, পরিকল্পনা
ও ধারণাগুলো সহজে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়। মিক্সবোর্ডে পিডিএফ, ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। এরপর একটি ছোট নির্দেশনা লিখতে হবে। এরপর এআই সেই বিষয় অনুযায়ী একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন কিংবা সাজানো রিপোর্ট তৈরি করে দেবে।
গবেষণা, পরিকল্পনা তৈরি অথবা উপস্থাপনার কাজে এই টুল ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে গুগলের এই নতুন এআই টুল যুক্তরাষ্ট্রে বেটা সংস্করণে চালু রয়েছে।
সূত্র: গুগল ব্লগ

পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ, কোনটি বেশি কার্যকর ও আরামদায়ক—এটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। মূলত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বাছাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপযোগিতা এবং বহনযোগ্যতার ওপর।
২৯ অক্টোবর ২০২২
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪৩ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে। ফলে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ও নতুন শক্তিচালিত জাহাজে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চীন বৈশ্বিক জাহাজনির্মাণ শিল্পে নিজেদের আধিপত্য আরও শক্ত করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ জোরদার হওয়ার কারণে সমুদ্রের জাহাজেও এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চীনের ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী তিন বছরে সমুদ্রে নামবে বৈদ্যুতিক জাহাজ
বিশ্বের বড় ইভি ব্যাটারি নির্মাতা সিএটিএল জানিয়েছে, তাদের তৈরি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সমুদ্রে চলাচল শুরু করবে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইভি ব্যাটারি বাজারের প্রায় ৩৮ শতাংশ সিএটিএলের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে জাহাজে ব্যাটারি ব্যবহারের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৯০০টি নৌযানে ব্যাটারি সরবরাহ করেছে তারা। তাদের ব্যাটারি সংযুক্ত চীনের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্রুজ জাহাজ ‘ইউজিয়ান ৭৭’ চলতি বছরের জুলাই থেকে চালু হয়েছে।
কনটেইনার জাহাজে গোশনের ব্যাটারি
গোশন হাই টেক জানিয়েছে, তাদের তৈরি ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে ১৩২টি স্ট্যান্ডার্ড কনটেইনার বহনে সক্ষম একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ সফলভাবে চালানো সম্ভব হয়েছে। ‘পাফার ফিশ ব্লু ০১’ নামের জাহাজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীনের উহু শিপইয়ার্ড ও সানদিয়ানশুই নিউ এনার্জি টেকনোলজি। জাহাজটি এরই মধ্যে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সনদ পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই জাহাজ বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের প্রথম ৭০০ কনটেইনার বহনে সক্ষম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক কনটেইনার জাহাজ সরবরাহ করে চীন। ক্লার্কসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণ অর্ডারের ৬৫ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠানের দখলে।
গভীর সমুদ্রের এখনো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাটারির অতিরিক্ত ওজন, যা জাহাজের ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত চার্জিং অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালে চীন এই বাজারে সবার আগে প্রবেশ করবে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ, কোনটি বেশি কার্যকর ও আরামদায়ক—এটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। মূলত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বাছাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপযোগিতা এবং বহনযোগ্যতার ওপর।
২৯ অক্টোবর ২০২২
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৩ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁদের প্রথম নাম ব্যবহার করেন, আর প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের পাসওয়ার্ডে পোষা প্রাণীর নাম অথবা জন্মতারিখ জুড়ে দেন। এমনকি ২৬ শতাংশ মানুষ তাঁদের প্রাক্তনের নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন। অথচ ৮১ শতাংশ মানুষ বেশ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁদের পাসওয়ার্ড খুব নিরাপদ। নর্ডপাসের ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট লিক হওয়া ডেটা বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছে, বেশির ভাগ পাসওয়ার্ড ভাঙতে ১ সেকেন্ডও লাগে না।
মহাদেশভেদে মানুষের এই পাসওয়ার্ড নির্বাচনের অদ্ভুত খেয়ালগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ইউরোপে ফুটবল, আভিজাত্য ও কি-বোর্ডের কারসাজি
ইউরোপীয়দের কাছে কি-বোর্ডের বিন্যাস আর ফুটবলপ্রেমই পাসওয়ার্ডের প্রধান উৎস। যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে password, ashley এবং ফুটবল ক্লাব liverpool তালিকায় বেশ ওপরের দিকে।
ফ্রান্সে কি-বোর্ড সাজানো থাকে azerty ঢঙে, তাই সেখানে 123456-এর পরেই এর রাজত্ব। পাশাপাশি doudou বা marseille-এর মতো ফরাসি শব্দও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হিসেবে। জার্মানিতে passwort এবং dragon শব্দটি দেখা যায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে।
ইতালিতে নিজের প্রিয় ফুটবল দলের প্রতি ভালোবাসা এতটাই যে Juventus শব্দটি সেখানে পাসওয়ার্ডের তালিকায় চতুর্থ। তবে তারা কিছুটা সৃজনশীলও বটে। অনেকে cambiami ব্যবহার করেন। এর অর্থ আমাকে পরিবর্তন করো।
স্পেনে দেশপ্রেম প্রবল। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবে সেখানে España শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। পর্তুগালে আবার ফুটবল ক্লাব benfica বা sporting শব্দ দুটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে।
উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্কে webhompass বা hejmeddig (হ্যালো ইউ) এবং সুইডেনে hejsan শব্দগুলোর আধিপত্য আছে পাসওয়ার্ড হিসেবে। ফিনল্যান্ডে পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয় শব্দ salasana-এর ইংরেজে অর্থই হলো পাসওয়ার্ড। পোল্যান্ডে দেশপ্রেম ফুটে ওঠে polska শব্দে। এটি সে দেশে পাসওয়ার্ডের শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। সুইজারল্যান্ডে পর্তুগিজ অভিবাসীদের প্রভাবে Portugal শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ১৫ নম্বরে। এ ছাড়া অস্ট্রিয়ায় michael, বেলজিয়ামে azerty, নেদারল্যান্ডসে welkom01, আয়ারল্যান্ডে liverpool এবং চেক প্রজাতন্ত্রে martin কিংবা veronika-এর মতো সাধারণ শব্দগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।
আমেরিকায় যা গোপন কিন্তু প্রকাশ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত জনপ্রিয় শব্দ হলো secret। কী অদ্ভুত পরিহাস, যা গোপন করার কথা, তা-ই পাসওয়ার্ড! আমেরিকানরা baseball ও iloveyou শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসে। কানাডায় আবার জাতীয় খেলা hockey-এর জয়জয়কার। মেক্সিকোতে alejandro বা carlos-এর মতো শব্দ এবং ব্রাজিলে brasil বা rental শব্দ দুটি পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়। চিলিতে তাদের ফুটবল দল colocolo পাসওয়ার্ড হিসেবে জনপ্রিয়, আর কলম্বিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে দেশের নাম Colombia-ই শেষ কথা।
সংখ্যাতত্ত্ব ও সংস্কৃতির প্রভাব এশিয়া এবং ওশেনিয়ায়
এশিয়ায় পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব স্পষ্ট। জাপানে 123456789 সংখ্যার এই সিরিজ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের শীর্ষে রয়েছে।
আর তারা কি-বোর্ড প্যাটার্ন 1qaz2wsx-ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে। চীনে জনপ্রিয় wangyut2 আর হংকংয়ে 5201314। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবেগের ছোঁয়া বেশি। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় sayang পাসওয়ার্ডটি বেশ ওপরের দিকে দেখা যায়।
এর অর্থ প্রিয়তম। ফিলিপাইনেও দেখা যায় iloveyou-এর আধিপত্য। থাইল্যান্ডে 221225-এর মতো সংখ্যা বেশ ব্যবহৃত হয় পাসওয়ার্ড হিসেবে।
ভারতে মানুষ সরলতা পছন্দ করে। তাই 123456 বা india123 এবং Indya123-ই মানুষের প্রথম পছন্দ। তুরস্কে এক অদ্ভুত ধরনের ঘটনা দেখা যায়। দেশটিতে ব্রিটিশ ব্যান্ড Anathema এতই জনপ্রিয় যে এটি পাসওয়ার্ডের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসীদের প্রভাবে pakistan শব্দটি পাসওয়ার্ড হিসেবে ১১ নম্বরে রয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ায় পাসওয়ার্ড হিসেবে password শব্দটির ব্যবহারের চল বেশি। এর পাশাপাশি pokemon বা lizottes শব্দ দুটিও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আফ্রিকায় ভালোবাসার সহজ পাঠ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাসওয়ার্ড হিসেবে মানুষ 123456 এই সংখ্যার সেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা রোমান্টিক হয়ে 123love ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
সূত্র: নর্ডপাস, ইভিএন এক্সপ্রেস

পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ, কোনটি বেশি কার্যকর ও আরামদায়ক—এটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। মূলত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বাছাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপযোগিতা এবং বহনযোগ্যতার ওপর।
২৯ অক্টোবর ২০২২
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৩ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪৩ মিনিট আগে
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
ইউআরএল দেখুন
ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন
একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।
লোগো ও ডিজাইন দেখুন
অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন
যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ডিজিসার্ট

ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো হতে পারে। যদিও ছোট ছোট পার্থক্য থাকে, যেগুলো আপনি একটু খেয়াল করলে চিনতে পারবেন।
ইউআরএল দেখুন
ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে ইউআরএল ঠিকভাবে দেখে নিন। আসল ওয়েবসাইটের ইউআরএল সাধারণত এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ‘এস’-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে সাইটটি নিরাপদ। যদি ইউআরএলে শুধু এইচটিটিপি থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
ওয়েবসাইটের বানান চেক করুন
একই ধরনের নাম কিংবা বানানে সামান্য পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সঠিক ওয়েবসাইট চিনতে সমস্যা হয়। তাই ওয়েবসাইটের বিষয়ে সন্দেহ হলে বানান দেখে নিতে পারেন।
লোগো ও ডিজাইন দেখুন
অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আসল প্রতিষ্ঠানের লোগো ও ডিজাইন হুবহু নকল করে। কিন্তু সেখানে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। লোগো কিংবা ছবি অস্পষ্ট থাকলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে।
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকার ব্যবহার করুন
অনলাইন ওয়েবসাইট চেকারগুলো বেশ সহায়ক। অনেক ওয়েবসাইট, যেমন ভাইরাস টোটাল, গুগল সেফ ব্রাউজিং ইউআরএল ভয়েডের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, সাইটটি নিরাপদ কি না। এই চেকারগুলো ওয়েবসাইটের সুরক্ষা যাচাই করার জন্য উপযুক্ত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং দেখুন
যদি আপনি কোনো নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তার রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন। এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়ায় ওই সাইটের বিষয়ে গ্রাহকেরা কী বলছেন, তা-ও দেখে নিতে পারেন।
সূত্র: ডিজিসার্ট

পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ, কোনটি বেশি কার্যকর ও আরামদায়ক—এটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। মূলত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বাছাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপযোগিতা এবং বহনযোগ্যতার ওপর।
২৯ অক্টোবর ২০২২
গুগল তাদের সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারে আরও জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে গুগলের অনেক অ্যাপে এআই যুক্ত হয়েছে। এসব এআই টুলের কাজ আলাদা আলাদা।
১৩ মিনিট আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে কনটেম্পরারি অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি (সিএটিএল) এবং গোশন হাই টেক নামের চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে এবার জাহাজ নির্মাণে নামছে।
৪৩ মিনিট আগে
এক্সপ্রেস-ভিপিএন এবং পোলফিশের সমীক্ষা বলছে, একজন গড়পড়তা মানুষ ছয়টি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। আরও অবাক করার বিষয় হলো, ৪৩ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন, তাঁদের পাসওয়ার্ড তাঁদের প্রিয়জনেরা সহজে আন্দাজ করে ফেলতে পারবে।
২ ঘণ্টা আগে