ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।
এ মৌসুমে তো আরও বাজে অবস্থা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৪তম স্থানে। জয় মাত্র ৩টি, যা রেড ডেভিলদের নামের সঙ্গে পুরোপুরি বেমানান। দলে ব্রুনো ফার্নান্দেস, কাসেমিরো, আলেহান্দ্রো গারনাচোর মতন তারকা। কিন্তু পারফরম্যান্স? সে আর নাই বা বলি।
রীতিমতো নিজেরা হাসির খোরাক হয়েই ছেড়েছেন হ্যারি ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনি-আন্দ্রে ওনানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের চেয়ে বেশি আর কোন ফুটবলার এত বেশি ট্রোলের শিকার হয়েছেন? প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা তো আছেনই, মাঠে ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনিদের নিয়ে হাস্যরস করতে ছাড়েন না স্বয়ং ইউনাইটেড সমর্থকেরাই। নামেই যেন রেড ডেভিল! মাঠে যেন ‘বিড়াল’ হয়ে পড়েছেন ইউনাইটেড খেলোয়াড়েরা।

ট্রোলের শিকার হয়েছেন সদ্য বিদায়ী কোচ এরিক টেন হাগও। ডাচ কোচ অনেক আশা নিয়ে আয়াক্স ছেড়ে এলেও পাল্টাতে পারেননি ইউনাইটেডের ভাগ্য। উল্টো বদলে গেছেন নিজেই। দুই বছর ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাটালেও জিততে পারেননি প্রিমিয়ার লিগ। গত বছর নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইএফএল (লিগ) কাপ এবং গত মে মাসে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপ—এ দুটি শিরোপা ছাড়া ইউনাইটেডকে এনে দিতে পারেননি কিছুই।
টাকার বস্তা নিয়ে খেলোয়াড় অবশ্য ঠিকই কিনেছেন টেন হাগ। রাসমুস হয়লুন্দ-মাথ্যিয়াস ডি লিখটকে এনে স্বপ্নও দেখেছিলেন। কিন্তু সবই যেন বিফলে গেছে। বিফলে গেছে টেন হাগের চাকরি বাঁচানোর যত শত চেষ্টাও। খড়্গটাও ডাচ কোচের ঘাড়ে ঠিকই পড়েছে। দিন চারেক আগে হয়েছেন বরখাস্ত। গতকাল টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে রুবেন আমোরিমকে নিয়োগ দিয়েছে ইউনাইটেড। আগামী ১১ নভেম্বর লিসবনের স্পোর্টিং ছেড়ে ম্যানচেস্টারে আসবেন তিনি। তাঁর না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে রেড ডেভিলদের সামলাবেন টেন হাগের সাবেক সহকারী রুড ফন নিস্টলরয়।
পর্তুগাল জাতীয় দলে আমোরিম ছিলেন ইউনাইটেড কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক মিডফিল্ডার ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসে ফেরাতে পারবেন তো রেড ডেভিলদের ভাগ্য? ২০১৩ সালে ইউনাইটেডের কোচের পদ থেকে অবসর নেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। এই কিংবদন্তি কোচের ২৬ বছরের অধ্যায়ে ইউরোপজুড়ে রাজত্ব করেছে ইউনাইটেড। একচ্ছত্র শাসন করেছে ইংলিশ ফুটবলে। কিন্তু স্যার ফার্গুসন অধ্যায়ের পর আর লিগের স্বাদই পায়নি তারা। এখন তো চলছে তাদেরই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির আধিপত্য।
স্যার ফার্গুসনের বিদায়ের পর এ নিয়ে ষষ্ঠ প্রধান কোচ নিয়োগ দিল ইউনাইটেড। আমোরিমের আগে গত ১১ বছরে এই দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড ময়েস, লুই ফন গাল, হোসে মরিনহো, ওলে গানার সুলশার ও টেন হাগ। আর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন রায়ান গিগস, মাইকেল ক্যারিক, রাল্ফ র্যাংনিক ও নিস্টলরয়। তবে এত হেভিওয়েট কোচ এলেও সৌভাগ্য ফেরাতে পারেননি ইউনাইটেডে।
আমোরিম কি পারবেন? ইউনাইটেড সমর্থকেরা কি ওল্ড ট্রাফোর্ডে লাল ঢেউ তুলে গাইতে পারবেন, ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’? চ্যালেঞ্জটা কঠিনই আমোরিমের জন্য। নিয়োগ পাওয়ার পর পর্তুগিজ কোচও জানিয়ে দিয়েছেন, এখন না হলে আর কখনো সেটি সম্ভব নয়। ইউর্গেন ক্লপ অ্যানফিল্ড ছাড়ার পর তাঁর লিভারপুলে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই গুঞ্জন সত্যি না হলেও ইউরোপের ফুটবলের মূল্যায়িত এই তরুণ কোচ টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে আসছেন প্রিমিয়ার লিগে। অবশ্য ইউনাইটের চাকরিটা তিনি এ মৌসুম শেষ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মধ্য-মৌসুমেই নিতে হলো ইউনাইটেডের বাজে অবস্থার কারণে।
২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ডে থাকবেন আমোরিম। এই সময় পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন তো তিনি, সেটিই এখন দেখার। এক দশক আগের বিশ্বের সেরা ও অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটিকে পুরোনো দিনে ফেরানো যে কত কঠিন হবে সেটি নিজেও জানেন আমোরিম। আর জানেন বলেই ভাগ্য ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে বললেন, ‘এখন না হলে কখনো নয়।’
ইউনাইটেডে সুদিন ফিরুক। মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের ‘সুদিন কাছে এসো, ভালো বাসি এক সাথে সবকিছুই’-এর গান গেয়ে মাথা দোলাক রেড ডেভিল সমর্থকেরা। এত বড় এক ফুটবল ক্লাবের এভাবে তলানির দিকে যেতে দেখে সমর্থকদের কষ্ট হওয়ারই কথা। আমোরিম আসছেন। ম্যানচেস্টারে পর্তুগিজদের সাফল্য বেশ পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন তিনিও। সেটি না পারলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার পঙকতিই আওড়াতে হবে ইউনাইটেড সমর্থকদের, ‘’আমাদের গেছে যে দিন/একেবারেই কি গেছে/কিছুই কি নেই বাকি।’

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।
এ মৌসুমে তো আরও বাজে অবস্থা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৪তম স্থানে। জয় মাত্র ৩টি, যা রেড ডেভিলদের নামের সঙ্গে পুরোপুরি বেমানান। দলে ব্রুনো ফার্নান্দেস, কাসেমিরো, আলেহান্দ্রো গারনাচোর মতন তারকা। কিন্তু পারফরম্যান্স? সে আর নাই বা বলি।
রীতিমতো নিজেরা হাসির খোরাক হয়েই ছেড়েছেন হ্যারি ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনি-আন্দ্রে ওনানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের চেয়ে বেশি আর কোন ফুটবলার এত বেশি ট্রোলের শিকার হয়েছেন? প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা তো আছেনই, মাঠে ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনিদের নিয়ে হাস্যরস করতে ছাড়েন না স্বয়ং ইউনাইটেড সমর্থকেরাই। নামেই যেন রেড ডেভিল! মাঠে যেন ‘বিড়াল’ হয়ে পড়েছেন ইউনাইটেড খেলোয়াড়েরা।

ট্রোলের শিকার হয়েছেন সদ্য বিদায়ী কোচ এরিক টেন হাগও। ডাচ কোচ অনেক আশা নিয়ে আয়াক্স ছেড়ে এলেও পাল্টাতে পারেননি ইউনাইটেডের ভাগ্য। উল্টো বদলে গেছেন নিজেই। দুই বছর ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাটালেও জিততে পারেননি প্রিমিয়ার লিগ। গত বছর নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইএফএল (লিগ) কাপ এবং গত মে মাসে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপ—এ দুটি শিরোপা ছাড়া ইউনাইটেডকে এনে দিতে পারেননি কিছুই।
টাকার বস্তা নিয়ে খেলোয়াড় অবশ্য ঠিকই কিনেছেন টেন হাগ। রাসমুস হয়লুন্দ-মাথ্যিয়াস ডি লিখটকে এনে স্বপ্নও দেখেছিলেন। কিন্তু সবই যেন বিফলে গেছে। বিফলে গেছে টেন হাগের চাকরি বাঁচানোর যত শত চেষ্টাও। খড়্গটাও ডাচ কোচের ঘাড়ে ঠিকই পড়েছে। দিন চারেক আগে হয়েছেন বরখাস্ত। গতকাল টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে রুবেন আমোরিমকে নিয়োগ দিয়েছে ইউনাইটেড। আগামী ১১ নভেম্বর লিসবনের স্পোর্টিং ছেড়ে ম্যানচেস্টারে আসবেন তিনি। তাঁর না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে রেড ডেভিলদের সামলাবেন টেন হাগের সাবেক সহকারী রুড ফন নিস্টলরয়।
পর্তুগাল জাতীয় দলে আমোরিম ছিলেন ইউনাইটেড কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক মিডফিল্ডার ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসে ফেরাতে পারবেন তো রেড ডেভিলদের ভাগ্য? ২০১৩ সালে ইউনাইটেডের কোচের পদ থেকে অবসর নেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। এই কিংবদন্তি কোচের ২৬ বছরের অধ্যায়ে ইউরোপজুড়ে রাজত্ব করেছে ইউনাইটেড। একচ্ছত্র শাসন করেছে ইংলিশ ফুটবলে। কিন্তু স্যার ফার্গুসন অধ্যায়ের পর আর লিগের স্বাদই পায়নি তারা। এখন তো চলছে তাদেরই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির আধিপত্য।
স্যার ফার্গুসনের বিদায়ের পর এ নিয়ে ষষ্ঠ প্রধান কোচ নিয়োগ দিল ইউনাইটেড। আমোরিমের আগে গত ১১ বছরে এই দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড ময়েস, লুই ফন গাল, হোসে মরিনহো, ওলে গানার সুলশার ও টেন হাগ। আর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন রায়ান গিগস, মাইকেল ক্যারিক, রাল্ফ র্যাংনিক ও নিস্টলরয়। তবে এত হেভিওয়েট কোচ এলেও সৌভাগ্য ফেরাতে পারেননি ইউনাইটেডে।
আমোরিম কি পারবেন? ইউনাইটেড সমর্থকেরা কি ওল্ড ট্রাফোর্ডে লাল ঢেউ তুলে গাইতে পারবেন, ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’? চ্যালেঞ্জটা কঠিনই আমোরিমের জন্য। নিয়োগ পাওয়ার পর পর্তুগিজ কোচও জানিয়ে দিয়েছেন, এখন না হলে আর কখনো সেটি সম্ভব নয়। ইউর্গেন ক্লপ অ্যানফিল্ড ছাড়ার পর তাঁর লিভারপুলে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই গুঞ্জন সত্যি না হলেও ইউরোপের ফুটবলের মূল্যায়িত এই তরুণ কোচ টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে আসছেন প্রিমিয়ার লিগে। অবশ্য ইউনাইটের চাকরিটা তিনি এ মৌসুম শেষ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মধ্য-মৌসুমেই নিতে হলো ইউনাইটেডের বাজে অবস্থার কারণে।
২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ডে থাকবেন আমোরিম। এই সময় পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন তো তিনি, সেটিই এখন দেখার। এক দশক আগের বিশ্বের সেরা ও অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটিকে পুরোনো দিনে ফেরানো যে কত কঠিন হবে সেটি নিজেও জানেন আমোরিম। আর জানেন বলেই ভাগ্য ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে বললেন, ‘এখন না হলে কখনো নয়।’
ইউনাইটেডে সুদিন ফিরুক। মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের ‘সুদিন কাছে এসো, ভালো বাসি এক সাথে সবকিছুই’-এর গান গেয়ে মাথা দোলাক রেড ডেভিল সমর্থকেরা। এত বড় এক ফুটবল ক্লাবের এভাবে তলানির দিকে যেতে দেখে সমর্থকদের কষ্ট হওয়ারই কথা। আমোরিম আসছেন। ম্যানচেস্টারে পর্তুগিজদের সাফল্য বেশ পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন তিনিও। সেটি না পারলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার পঙকতিই আওড়াতে হবে ইউনাইটেড সমর্থকদের, ‘’আমাদের গেছে যে দিন/একেবারেই কি গেছে/কিছুই কি নেই বাকি।’
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।
এ মৌসুমে তো আরও বাজে অবস্থা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৪তম স্থানে। জয় মাত্র ৩টি, যা রেড ডেভিলদের নামের সঙ্গে পুরোপুরি বেমানান। দলে ব্রুনো ফার্নান্দেস, কাসেমিরো, আলেহান্দ্রো গারনাচোর মতন তারকা। কিন্তু পারফরম্যান্স? সে আর নাই বা বলি।
রীতিমতো নিজেরা হাসির খোরাক হয়েই ছেড়েছেন হ্যারি ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনি-আন্দ্রে ওনানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের চেয়ে বেশি আর কোন ফুটবলার এত বেশি ট্রোলের শিকার হয়েছেন? প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা তো আছেনই, মাঠে ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনিদের নিয়ে হাস্যরস করতে ছাড়েন না স্বয়ং ইউনাইটেড সমর্থকেরাই। নামেই যেন রেড ডেভিল! মাঠে যেন ‘বিড়াল’ হয়ে পড়েছেন ইউনাইটেড খেলোয়াড়েরা।

ট্রোলের শিকার হয়েছেন সদ্য বিদায়ী কোচ এরিক টেন হাগও। ডাচ কোচ অনেক আশা নিয়ে আয়াক্স ছেড়ে এলেও পাল্টাতে পারেননি ইউনাইটেডের ভাগ্য। উল্টো বদলে গেছেন নিজেই। দুই বছর ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাটালেও জিততে পারেননি প্রিমিয়ার লিগ। গত বছর নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইএফএল (লিগ) কাপ এবং গত মে মাসে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপ—এ দুটি শিরোপা ছাড়া ইউনাইটেডকে এনে দিতে পারেননি কিছুই।
টাকার বস্তা নিয়ে খেলোয়াড় অবশ্য ঠিকই কিনেছেন টেন হাগ। রাসমুস হয়লুন্দ-মাথ্যিয়াস ডি লিখটকে এনে স্বপ্নও দেখেছিলেন। কিন্তু সবই যেন বিফলে গেছে। বিফলে গেছে টেন হাগের চাকরি বাঁচানোর যত শত চেষ্টাও। খড়্গটাও ডাচ কোচের ঘাড়ে ঠিকই পড়েছে। দিন চারেক আগে হয়েছেন বরখাস্ত। গতকাল টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে রুবেন আমোরিমকে নিয়োগ দিয়েছে ইউনাইটেড। আগামী ১১ নভেম্বর লিসবনের স্পোর্টিং ছেড়ে ম্যানচেস্টারে আসবেন তিনি। তাঁর না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে রেড ডেভিলদের সামলাবেন টেন হাগের সাবেক সহকারী রুড ফন নিস্টলরয়।
পর্তুগাল জাতীয় দলে আমোরিম ছিলেন ইউনাইটেড কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক মিডফিল্ডার ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসে ফেরাতে পারবেন তো রেড ডেভিলদের ভাগ্য? ২০১৩ সালে ইউনাইটেডের কোচের পদ থেকে অবসর নেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। এই কিংবদন্তি কোচের ২৬ বছরের অধ্যায়ে ইউরোপজুড়ে রাজত্ব করেছে ইউনাইটেড। একচ্ছত্র শাসন করেছে ইংলিশ ফুটবলে। কিন্তু স্যার ফার্গুসন অধ্যায়ের পর আর লিগের স্বাদই পায়নি তারা। এখন তো চলছে তাদেরই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির আধিপত্য।
স্যার ফার্গুসনের বিদায়ের পর এ নিয়ে ষষ্ঠ প্রধান কোচ নিয়োগ দিল ইউনাইটেড। আমোরিমের আগে গত ১১ বছরে এই দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড ময়েস, লুই ফন গাল, হোসে মরিনহো, ওলে গানার সুলশার ও টেন হাগ। আর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন রায়ান গিগস, মাইকেল ক্যারিক, রাল্ফ র্যাংনিক ও নিস্টলরয়। তবে এত হেভিওয়েট কোচ এলেও সৌভাগ্য ফেরাতে পারেননি ইউনাইটেডে।
আমোরিম কি পারবেন? ইউনাইটেড সমর্থকেরা কি ওল্ড ট্রাফোর্ডে লাল ঢেউ তুলে গাইতে পারবেন, ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’? চ্যালেঞ্জটা কঠিনই আমোরিমের জন্য। নিয়োগ পাওয়ার পর পর্তুগিজ কোচও জানিয়ে দিয়েছেন, এখন না হলে আর কখনো সেটি সম্ভব নয়। ইউর্গেন ক্লপ অ্যানফিল্ড ছাড়ার পর তাঁর লিভারপুলে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই গুঞ্জন সত্যি না হলেও ইউরোপের ফুটবলের মূল্যায়িত এই তরুণ কোচ টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে আসছেন প্রিমিয়ার লিগে। অবশ্য ইউনাইটের চাকরিটা তিনি এ মৌসুম শেষ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মধ্য-মৌসুমেই নিতে হলো ইউনাইটেডের বাজে অবস্থার কারণে।
২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ডে থাকবেন আমোরিম। এই সময় পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন তো তিনি, সেটিই এখন দেখার। এক দশক আগের বিশ্বের সেরা ও অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটিকে পুরোনো দিনে ফেরানো যে কত কঠিন হবে সেটি নিজেও জানেন আমোরিম। আর জানেন বলেই ভাগ্য ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে বললেন, ‘এখন না হলে কখনো নয়।’
ইউনাইটেডে সুদিন ফিরুক। মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের ‘সুদিন কাছে এসো, ভালো বাসি এক সাথে সবকিছুই’-এর গান গেয়ে মাথা দোলাক রেড ডেভিল সমর্থকেরা। এত বড় এক ফুটবল ক্লাবের এভাবে তলানির দিকে যেতে দেখে সমর্থকদের কষ্ট হওয়ারই কথা। আমোরিম আসছেন। ম্যানচেস্টারে পর্তুগিজদের সাফল্য বেশ পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন তিনিও। সেটি না পারলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার পঙকতিই আওড়াতে হবে ইউনাইটেড সমর্থকদের, ‘’আমাদের গেছে যে দিন/একেবারেই কি গেছে/কিছুই কি নেই বাকি।’

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।
এ মৌসুমে তো আরও বাজে অবস্থা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৪তম স্থানে। জয় মাত্র ৩টি, যা রেড ডেভিলদের নামের সঙ্গে পুরোপুরি বেমানান। দলে ব্রুনো ফার্নান্দেস, কাসেমিরো, আলেহান্দ্রো গারনাচোর মতন তারকা। কিন্তু পারফরম্যান্স? সে আর নাই বা বলি।
রীতিমতো নিজেরা হাসির খোরাক হয়েই ছেড়েছেন হ্যারি ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনি-আন্দ্রে ওনানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের চেয়ে বেশি আর কোন ফুটবলার এত বেশি ট্রোলের শিকার হয়েছেন? প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা তো আছেনই, মাঠে ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনিদের নিয়ে হাস্যরস করতে ছাড়েন না স্বয়ং ইউনাইটেড সমর্থকেরাই। নামেই যেন রেড ডেভিল! মাঠে যেন ‘বিড়াল’ হয়ে পড়েছেন ইউনাইটেড খেলোয়াড়েরা।

ট্রোলের শিকার হয়েছেন সদ্য বিদায়ী কোচ এরিক টেন হাগও। ডাচ কোচ অনেক আশা নিয়ে আয়াক্স ছেড়ে এলেও পাল্টাতে পারেননি ইউনাইটেডের ভাগ্য। উল্টো বদলে গেছেন নিজেই। দুই বছর ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাটালেও জিততে পারেননি প্রিমিয়ার লিগ। গত বছর নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইএফএল (লিগ) কাপ এবং গত মে মাসে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপ—এ দুটি শিরোপা ছাড়া ইউনাইটেডকে এনে দিতে পারেননি কিছুই।
টাকার বস্তা নিয়ে খেলোয়াড় অবশ্য ঠিকই কিনেছেন টেন হাগ। রাসমুস হয়লুন্দ-মাথ্যিয়াস ডি লিখটকে এনে স্বপ্নও দেখেছিলেন। কিন্তু সবই যেন বিফলে গেছে। বিফলে গেছে টেন হাগের চাকরি বাঁচানোর যত শত চেষ্টাও। খড়্গটাও ডাচ কোচের ঘাড়ে ঠিকই পড়েছে। দিন চারেক আগে হয়েছেন বরখাস্ত। গতকাল টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে রুবেন আমোরিমকে নিয়োগ দিয়েছে ইউনাইটেড। আগামী ১১ নভেম্বর লিসবনের স্পোর্টিং ছেড়ে ম্যানচেস্টারে আসবেন তিনি। তাঁর না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে রেড ডেভিলদের সামলাবেন টেন হাগের সাবেক সহকারী রুড ফন নিস্টলরয়।
পর্তুগাল জাতীয় দলে আমোরিম ছিলেন ইউনাইটেড কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক মিডফিল্ডার ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসে ফেরাতে পারবেন তো রেড ডেভিলদের ভাগ্য? ২০১৩ সালে ইউনাইটেডের কোচের পদ থেকে অবসর নেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। এই কিংবদন্তি কোচের ২৬ বছরের অধ্যায়ে ইউরোপজুড়ে রাজত্ব করেছে ইউনাইটেড। একচ্ছত্র শাসন করেছে ইংলিশ ফুটবলে। কিন্তু স্যার ফার্গুসন অধ্যায়ের পর আর লিগের স্বাদই পায়নি তারা। এখন তো চলছে তাদেরই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির আধিপত্য।
স্যার ফার্গুসনের বিদায়ের পর এ নিয়ে ষষ্ঠ প্রধান কোচ নিয়োগ দিল ইউনাইটেড। আমোরিমের আগে গত ১১ বছরে এই দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড ময়েস, লুই ফন গাল, হোসে মরিনহো, ওলে গানার সুলশার ও টেন হাগ। আর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন রায়ান গিগস, মাইকেল ক্যারিক, রাল্ফ র্যাংনিক ও নিস্টলরয়। তবে এত হেভিওয়েট কোচ এলেও সৌভাগ্য ফেরাতে পারেননি ইউনাইটেডে।
আমোরিম কি পারবেন? ইউনাইটেড সমর্থকেরা কি ওল্ড ট্রাফোর্ডে লাল ঢেউ তুলে গাইতে পারবেন, ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’? চ্যালেঞ্জটা কঠিনই আমোরিমের জন্য। নিয়োগ পাওয়ার পর পর্তুগিজ কোচও জানিয়ে দিয়েছেন, এখন না হলে আর কখনো সেটি সম্ভব নয়। ইউর্গেন ক্লপ অ্যানফিল্ড ছাড়ার পর তাঁর লিভারপুলে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই গুঞ্জন সত্যি না হলেও ইউরোপের ফুটবলের মূল্যায়িত এই তরুণ কোচ টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে আসছেন প্রিমিয়ার লিগে। অবশ্য ইউনাইটের চাকরিটা তিনি এ মৌসুম শেষ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মধ্য-মৌসুমেই নিতে হলো ইউনাইটেডের বাজে অবস্থার কারণে।
২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ডে থাকবেন আমোরিম। এই সময় পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন তো তিনি, সেটিই এখন দেখার। এক দশক আগের বিশ্বের সেরা ও অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটিকে পুরোনো দিনে ফেরানো যে কত কঠিন হবে সেটি নিজেও জানেন আমোরিম। আর জানেন বলেই ভাগ্য ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে বললেন, ‘এখন না হলে কখনো নয়।’
ইউনাইটেডে সুদিন ফিরুক। মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের ‘সুদিন কাছে এসো, ভালো বাসি এক সাথে সবকিছুই’-এর গান গেয়ে মাথা দোলাক রেড ডেভিল সমর্থকেরা। এত বড় এক ফুটবল ক্লাবের এভাবে তলানির দিকে যেতে দেখে সমর্থকদের কষ্ট হওয়ারই কথা। আমোরিম আসছেন। ম্যানচেস্টারে পর্তুগিজদের সাফল্য বেশ পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন তিনিও। সেটি না পারলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার পঙকতিই আওড়াতে হবে ইউনাইটেড সমর্থকদের, ‘’আমাদের গেছে যে দিন/একেবারেই কি গেছে/কিছুই কি নেই বাকি।’

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
২৯ মিনিট আগে
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
২ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে...
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হয়ে উল্লাস করতে ছিলেন ব্যস্ত।
১১ বছর পর এবার মুলারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় মেসি। এবারের মঞ্চ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কাপ ফাইনাল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে মুলারকে এমএলএসে স্বাগত জানিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবার আগে এটা শুনে ভালো লাগলা যে মুলার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে এসেছে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও ফের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে আগে খেলেছি। তারা কেমন দল, আমরা জানি।’
মেসি অবশ্য ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের প্রতিশোধের দিকে ইঙ্গিত করেননি। এ বছরের ১ মে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের সেমি থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল মেসির দলের। তখন মুলার ভ্যাঙ্কুভারে যোগদানও করেননি। জার্মান এই কিংবদন্তি এ বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভ্যাঙ্কুভারে এসেছেন।
আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনালের আগে মে মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফের উল্লেখ করেছেন মুলারের আগেও। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালের আগে গত রাতে মেসি বলেন,‘কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে তারা (ভ্যাঙ্কুভার) আমাদের বিদায় করে দিয়েছিল। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শেষ অব্দি লড়ে গিয়েছিল। আশা করি, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হবে। মুলারের যোগ হওয়া দলকে আরও দারুণ করে তুলেছে। ম্যাচে কী করতে হবে, সেক্ষেত্রে দল (ইন্টার মায়ামি) আরও সচেতন থাকবে। বিশেষ একটা ফাইনাল হতে যাচ্ছে ও ফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করি।’
ভ্যাঙ্কুভারে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১২ ম্যাচ খেলে মুলার করেছেন ৯ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৭৫৬ ম্যাচ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে করেছেন ২৫০ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ২৭৬ গোলে। বায়ার্নের হয়ে ১৩ বার বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন দুইবার। এদিকে মেসি আগামীকাল ইন্টার মায়ামির হয়ে তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন। ২০২৩ লিগস কাপ, ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে।

লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হয়ে উল্লাস করতে ছিলেন ব্যস্ত।
১১ বছর পর এবার মুলারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় মেসি। এবারের মঞ্চ মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কাপ ফাইনাল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে মুলারকে এমএলএসে স্বাগত জানিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সবার আগে এটা শুনে ভালো লাগলা যে মুলার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে এসেছে। ফাইনালে মুখোমুখি হতে পেরে ভালো লাগছে। আবারও ফের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে আগে খেলেছি। তারা কেমন দল, আমরা জানি।’
মেসি অবশ্য ২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের প্রতিশোধের দিকে ইঙ্গিত করেননি। এ বছরের ১ মে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের সেমি থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল মেসির দলের। তখন মুলার ভ্যাঙ্কুভারে যোগদানও করেননি। জার্মান এই কিংবদন্তি এ বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ভ্যাঙ্কুভারে এসেছেন।
আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনালের আগে মে মাসে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। একই সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফের উল্লেখ করেছেন মুলারের আগেও। ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে ফাইনালের আগে গত রাতে মেসি বলেন,‘কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে তারা (ভ্যাঙ্কুভার) আমাদের বিদায় করে দিয়েছিল। পুরো বছরজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে শেষ অব্দি লড়ে গিয়েছিল। আশা করি, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হবে। মুলারের যোগ হওয়া দলকে আরও দারুণ করে তুলেছে। ম্যাচে কী করতে হবে, সেক্ষেত্রে দল (ইন্টার মায়ামি) আরও সচেতন থাকবে। বিশেষ একটা ফাইনাল হতে যাচ্ছে ও ফল আমাদের পক্ষে আসবে বলে আশা করি।’
ভ্যাঙ্কুভারে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ১২ ম্যাচ খেলে মুলার করেছেন ৯ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৭৫৬ ম্যাচ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে করেছেন ২৫০ গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন ২৭৬ গোলে। বায়ার্নের হয়ে ১৩ বার বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন দুইবার। এদিকে মেসি আগামীকাল ইন্টার মায়ামির হয়ে তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন। ২০২৩ লিগস কাপ, ২০২৪ সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জার্সিতে।

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।
০২ নভেম্বর ২০২৪
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
২ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে...
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন সেই ইতিহাস নতুন করে লেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১২ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। শাই হোপ আগামীকাল শেষ দিনে ১১৬ রানে ব্যাটিং করবেন। জাস্টিন গ্রিভস অপরাজিত ৫৫ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। এই দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান যোগ করেছে কিউইরা। ১০৯তম ওভারের শেষ বলে জ্যাকব ডাভিকে (১০) কট এন্ড বোল্ড করেন কেমার রোচ। ডাফি আউট হওয়ার পর ১০৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৬৬ রান হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ ৭৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে ইনিংসে ১২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন রাচীন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫ রান আসে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। ৬৪ রান লিড যোগ হওয়ায় কিউইদের রান হয়েছে ৫৩০। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান। যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়ছিল, তাতে আজই সফরকারীদের অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। তখনই প্রতিরোধ গড়েন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে ২৭৫ বলে ১৪০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (হোপ-গ্রিভস)। জুটির ৫০.৯১ স্ট্রাইকরেটই বলে দেয়, প্রথাগত টেস্ট মেজাজে খেলে ইতিহাস গড়ার পথেই তারা এগোচ্ছে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলতে হোপ খেলেছেন ১৩৯ বল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তিনি খেলতে থাকেন ধীরস্থির গতিতে। আজ চতুর্থ দিনের খেলা যখন শেষ করেছেন, তখন তাঁর নামের পাশে স্কোর ১৮৩ বলে ১১৬ রান। তাঁর সঙ্গী গ্রিভস টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন। ১৪৩ বলে ১৬ চারে করেছেন ৫৫ রান। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ম্যাট হেনরি। ডাফি এর আগে প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৩১ রান।

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন সেই ইতিহাস নতুন করে লেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১২ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। শাই হোপ আগামীকাল শেষ দিনে ১১৬ রানে ব্যাটিং করবেন। জাস্টিন গ্রিভস অপরাজিত ৫৫ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। এই দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান যোগ করেছে কিউইরা। ১০৯তম ওভারের শেষ বলে জ্যাকব ডাভিকে (১০) কট এন্ড বোল্ড করেন কেমার রোচ। ডাফি আউট হওয়ার পর ১০৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৬৬ রান হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ ৭৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে ইনিংসে ১২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন রাচীন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫ রান আসে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। ৬৪ রান লিড যোগ হওয়ায় কিউইদের রান হয়েছে ৫৩০। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান। যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়ছিল, তাতে আজই সফরকারীদের অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। তখনই প্রতিরোধ গড়েন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে ২৭৫ বলে ১৪০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (হোপ-গ্রিভস)। জুটির ৫০.৯১ স্ট্রাইকরেটই বলে দেয়, প্রথাগত টেস্ট মেজাজে খেলে ইতিহাস গড়ার পথেই তারা এগোচ্ছে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলতে হোপ খেলেছেন ১৩৯ বল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তিনি খেলতে থাকেন ধীরস্থির গতিতে। আজ চতুর্থ দিনের খেলা যখন শেষ করেছেন, তখন তাঁর নামের পাশে স্কোর ১৮৩ বলে ১১৬ রান। তাঁর সঙ্গী গ্রিভস টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন। ১৪৩ বলে ১৬ চারে করেছেন ৫৫ রান। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ম্যাট হেনরি। ডাফি এর আগে প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৩১ রান।

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।
০২ নভেম্বর ২০২৪
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
২৯ মিনিট আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
২ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকায় আবারও পা পড়ল বীতশোকের। শুধু তিনি নন, বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ‘লাতিন বাংলা সুপার কাপ’ খেলতে এসেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক। সবার কাছে এবারের মঞ্চটি নিজেদের জাত চেনানোর।
ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের তৃতীয় সারির ক্লাব সাও বার্নার্দো ও আর্জেন্টিনার অপেশাদার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশের একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড-গ্রিন ফিউচার স্টার’। এই দলের হয়েই খেলবেন বীতশোক-কাসপার। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সাও বার্নার্দোর বিপক্ষে খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বীতশোক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আশা করি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব দুই ম্যাচে। ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আশা করছি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’
রেড-গ্রিন ফিউচার স্টারের কোচ এস এম ইমরুল বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার এই দল দুটি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তবে লাতিন ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হতে আমাদের ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ একটা সুযোগ।’

বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকায় আবারও পা পড়ল বীতশোকের। শুধু তিনি নন, বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ‘লাতিন বাংলা সুপার কাপ’ খেলতে এসেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক। সবার কাছে এবারের মঞ্চটি নিজেদের জাত চেনানোর।
ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের তৃতীয় সারির ক্লাব সাও বার্নার্দো ও আর্জেন্টিনার অপেশাদার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশের একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড-গ্রিন ফিউচার স্টার’। এই দলের হয়েই খেলবেন বীতশোক-কাসপার। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সাও বার্নার্দোর বিপক্ষে খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বীতশোক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আশা করি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব দুই ম্যাচে। ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আশা করছি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’
রেড-গ্রিন ফিউচার স্টারের কোচ এস এম ইমরুল বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার এই দল দুটি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তবে লাতিন ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হতে আমাদের ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ একটা সুযোগ।’

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।
০২ নভেম্বর ২০২৪
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
২৯ মিনিট আগে
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে...
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে সেখানে—
বিশ্বকাপের ফরম্যাট
প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবার। গ্রুপ সংখ্যাও ৮ থেকে পরিণত হয়েছে ১২টিতে। প্রতি গ্রুপে থাকছে চারটি করে দল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ৩২ রাউন্ডে। তৃতীয় হওয়া সেরা আট দলেরও শেষ ৩২ রাউন্ডে খেলার সুযোগ থাকবে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে হবে শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
যেভাবে হবে ড্র
প্লে-অফে যারা
আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে দুটি ও ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে উঠে আসবে চার দল। নিউ ক্যালিদোনিয়া-জ্যামাইকা ও বলিভিয়া-সুরিনাম মধ্যকার জয়ী দল আন্তর্মহাদেশীয় ফাইনালে খেলবে যথাক্রমে কঙ্গো ডি আর ও ইরাকের বিপক্ষে। ইউরোপিয়ান প্লে-অফে রয়েছে ইতালি-উত্তর আয়ারল্যান্ড, ওয়েলদ-বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন-সুইডেন, পোল্যান্ড-আলবেনিয়া, তুরস্ক-রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া-কসোভো, ডেনমার্ক-উত্তর মেসিডোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও আয়ারল্যান্ড। আগামী বছরের মার্চে হবে প্লে-অফ।
ড্র ব্যবস্থাপনায় থাকছেন যাঁরা
ড্র পরিচালনা করবেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। সহপরিচালক হিসেবে থাকবেন সামান্থা জনসন। পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন ন্যাশনাল ফুটবল লিগের সাতবারের সুপার বোলজয়ী টম ব্রেডি, ন্যাশনাল হকি লিগের হল অব ফেমার ওয়েইন গ্রেটস্কি, বেসবলের সাতবারের অল-স্টার অ্যারন জাজ ও এনবিএর চারবারের চ্যাম্পিয়ন শাকিল ও’নিল। লালগালিচার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন এলি ম্যানিং।
পটবিন্যাস
পট ১: কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানি।
পট ২: ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, সেনেগাল, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইকুয়েডর, অস্ট্রিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
পট ৩: নরওয়ে, পানামা, মিসর, আলজেরিয়া, স্কটল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, তিউনিসিয়া, আইভরি কোস্ট, উজবেকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
পট ৪: জর্ডান, কেপ ভার্দে, ঘানা, কুরাসাও, হাইতি, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ থেকে ৪ দল ও আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে ২ দল।

আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে সেখানে—
বিশ্বকাপের ফরম্যাট
প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবার। গ্রুপ সংখ্যাও ৮ থেকে পরিণত হয়েছে ১২টিতে। প্রতি গ্রুপে থাকছে চারটি করে দল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ৩২ রাউন্ডে। তৃতীয় হওয়া সেরা আট দলেরও শেষ ৩২ রাউন্ডে খেলার সুযোগ থাকবে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে হবে শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
যেভাবে হবে ড্র
প্লে-অফে যারা
আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে দুটি ও ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে উঠে আসবে চার দল। নিউ ক্যালিদোনিয়া-জ্যামাইকা ও বলিভিয়া-সুরিনাম মধ্যকার জয়ী দল আন্তর্মহাদেশীয় ফাইনালে খেলবে যথাক্রমে কঙ্গো ডি আর ও ইরাকের বিপক্ষে। ইউরোপিয়ান প্লে-অফে রয়েছে ইতালি-উত্তর আয়ারল্যান্ড, ওয়েলদ-বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন-সুইডেন, পোল্যান্ড-আলবেনিয়া, তুরস্ক-রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া-কসোভো, ডেনমার্ক-উত্তর মেসিডোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও আয়ারল্যান্ড। আগামী বছরের মার্চে হবে প্লে-অফ।
ড্র ব্যবস্থাপনায় থাকছেন যাঁরা
ড্র পরিচালনা করবেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। সহপরিচালক হিসেবে থাকবেন সামান্থা জনসন। পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন ন্যাশনাল ফুটবল লিগের সাতবারের সুপার বোলজয়ী টম ব্রেডি, ন্যাশনাল হকি লিগের হল অব ফেমার ওয়েইন গ্রেটস্কি, বেসবলের সাতবারের অল-স্টার অ্যারন জাজ ও এনবিএর চারবারের চ্যাম্পিয়ন শাকিল ও’নিল। লালগালিচার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন এলি ম্যানিং।
পটবিন্যাস
পট ১: কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানি।
পট ২: ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, সেনেগাল, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইকুয়েডর, অস্ট্রিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
পট ৩: নরওয়ে, পানামা, মিসর, আলজেরিয়া, স্কটল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, তিউনিসিয়া, আইভরি কোস্ট, উজবেকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
পট ৪: জর্ডান, কেপ ভার্দে, ঘানা, কুরাসাও, হাইতি, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ থেকে ৪ দল ও আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে ২ দল।

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।
০২ নভেম্বর ২০২৪
লিওনেল মেসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ট্রফির দিকে। কাছে এসেও পরম্য আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁতে না পারার তীব্র আক্ষেপ কাজ করছে তাঁর। অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাকানায় মেসির রানার্সআপ হওয়ার গল্প শোনা যাচ্ছে। মেসি যখন আক্ষেপে পুড়ছিলেন, টমাস মুলার তখন চ্যাম্পিয়ন জার্মানির...
২৯ মিনিট আগে
ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।
২ ঘণ্টা আগে