Ajker Patrika

মোস্তাফিজের মাথায় আঘাত কতটা গুরুতর, জানাল কুমিল্লা

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১৫
মোস্তাফিজের মাথায় আঘাত কতটা গুরুতর, জানাল কুমিল্লা

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের নেটে অনুশীলনের সময় মাথায় বলের আঘাত পাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মোস্তাফিজুর রহমানকে। তবে এখন বাংলাদেশি পেসার সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। তাঁর চোট গুরুতর নয় বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির ফিজিও এস এম জাহিদুল ইসলাম সজল।

মোস্তাফিজের চোটের বিষয়ে কুমিল্লার এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে ফিজিও সজল বলেছেন, ‘অনুশীলনের সময় মোস্তাফিজের মাথার বাঁ দিকে বলের আঘাত লাগে। এতে তার মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তবে আমরা রক্তপাত বন্ধের জন্য কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ দিয়েছি এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

মোস্তাফিজের চোট গুরুতর নয় বলে জানা গেছেচোট গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন সজল। তিনি বলেছেন, ‘সিটি স্ক্যান করার পর আমরা সন্তুষ্ট যে তার শুধু আঘাতই লেগেছে। ভেতরে (ইন্ট্রা-ক্র্যানিয়াল) রক্তপাতের কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। সে এখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফিজিওর নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’ 

আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লার নেট অনুশীলনের সময় ঘটনাটি ঘটে। মোস্তাফিজ নেটে বল করার পর পুনরায় বোলিং করার জন্য নিজের জায়গায় ফিরছিলেন। সে সময়ই ম্যাথিউ ফোর্ডের একটি শট তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে চট্টগ্রামের অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটবলে নতুন আশা, ক্রিকেট করেছে হতাশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফুটবলে ২০২৫ সালে মনে রাখার মতো সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: ফেসবুক
ফুটবলে ২০২৫ সালে মনে রাখার মতো সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: ফেসবুক

দুঃস্মৃতি মানুষ ভুলে যেতে চায়, ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চায়; কিন্তু ভোলাভুলির সীমারেখাটা শুধু দুঃস্মৃতিতেই। সুখস্মৃতি রোমান্থন করে উজ্জীবিত হতে চায় মানুষ। প্রেরণাই বলুন কিংবা আত্মবিশ্বাস—ইতিবাচক সব কিছুরই আধার সে সুখস্মৃতি। বিদায়ী ২০২৫ বছরে তেমন সুখস্মৃতি কী আছে আমাদের জন্য?

ফুটবলে বিশেষ করে নারী ফুটবলে বিদায়ী এ বছরটা সাফল্যের আঁচড় কেটেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। প্রথমবারের মতো এএফসি মেয়েদের এশিয়া কাপে জায়গা করে নিয়েছেন আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চড়িয়ে দেশের ফুটবলে জাগরণের জোয়ার এনেছেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা চৌধুরী। যে জোয়ারে ভেসে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলাররাও এসে জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। মাঠের ফলাফল যেমনই হোক—এসব প্রবাসী ফুটবলারের আগমনে ফুটবল নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

sren

শুধু কি ফুটবল! প্রথমবারের মতো জুনিয়র এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেয়ে চ্যালেঞ্জার ট্রফি জিতে এসেছে বাংলাদেশ। যুব এই হকি প্রতিযোগিতায় কোরিয়ার মতো দলকে হারিয়ে দেওয়ার দুঃসাহসও দেখিয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা। বিচ্ছিন্নভাবে সাফল্য এসেছে এশিয়ান কাপ আর্চারি কিংবা ইসলামি সলিডারিটি গেমস টিটিতে।

sren

কিন্তু যে খেলাটা নিয়ে দেশের মানুষের বড় আশা ছিল, সেই ক্রিকেটই হতাশ বেশি করেছে। গত কয়েক বছরের সাফল্যের সূত্র, মনে করা হয় ওয়ানডে ক্রিকেটই বাংলাদেশের প্রিয় সংস্করণ। সেই সংস্করণে নেই সাফল্যের আলো। এ বছর ১১টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যার ৭টিতেই হার। ৩টিতে জয়। আর একটি ম্যাচ হয়েছে টাই। সাফল্যের ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে টেস্ট ক্রিকেট। ছয়টি টেস্ট খেলে ৩টিতে জয়। ২টিতে হার, ১টিতে ড্র। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যস্ততম বছর কাটিয়েছে বাংলাদেশ। খেলেছে ৩০ ম্যাচ। এর ১৬টি জিতেছেন লিটন-মোস্তাফিজরা। ১৪টিতে পরাজয়। বাকি একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত।

নারী ক্রিকেটে পারফরম্যান্সটা আরও শোচনীয়। ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলে সব কটিতেই হেরেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। আর ১৫টি ওয়ানডে খেলে জয় ৫টিতে। ৯টিতে হার, ১টিতে ফল হয়নি।

তবে এই ব্যর্থতায় মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। মনীষীরা বলেন, ব্যর্থতাই সাফল্যের ভিত গড়ে! সে বিশ্বাস নিয়েই বিদায় জানাতে হচ্ছে ২০২৫ সালকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৩
২০২৪ সালের অক্টোবরের পর বাংলাদেশের হয়ে আর খেলার সুযোগ হয়নি সাকিব আল হাসানের। ছবি: ফাইল ছবি
২০২৪ সালের অক্টোবরের পর বাংলাদেশের হয়ে আর খেলার সুযোগ হয়নি সাকিব আল হাসানের। ছবি: ফাইল ছবি

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের চেয়ে রাজনীতিবিদ সাকিব আল হাসানের পরিচয়টাই যেন বড় হয়ে উঠেছে। ঘরের মাঠে খেলে বিদায় নেওয়ার কথা তিনি অনেকবার বলেছেন। কিন্তু সেই সুযোগ তাঁর মিলছে না। যদিও গত বছর দুই উপদেষ্টার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার।

২০২৪ সালের অক্টোবরে মিরপুরেই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন। তাঁকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইয়ে এসেও দেশে ফেরা হয়নি তাঁর। তখন আসলে কী ঘটেছিল, সেই ঘটনা নিয়ে আজকের পত্রিকাকে গতকাল দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমাকে সরাসরি ক্রীড়া উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিলেন। আমি প্লেনে উঠেছি। বিসিবি থেকে আমাকে পুরো নিশ্চিত করা হয়েছে। (যুক্তরাষ্ট্র থেকে) তারপর আমি প্লেনে উঠেছি। দুবাইয়ে নামার পর তাদের সব জায়গা থেকে আবার বলছে, না, তাদের নাকি ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। যদি না আসি, তাহলে ভালো হয়। আমি আর যাইনি।’

ঘরের মাঠে টেস্ট তো দূরে থাক, গত ১৪ মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) খেলতে পারেননি সাকিব। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশে ফেরার আশা কতটুকু রয়েছে—এই প্রশ্নের উত্তরে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখানে রাষ্ট্র, সরকার—এগুলো আসা মানেই তো ক্রিকেট বোর্ডেও স্বচ্ছতা নেই। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। এগুলো তো বোঝাই যায়। আপনাদের আসলে প্রশ্নগুলো করা উচিত ঠিক জায়গায়, ঠিকভাবে। ভয় না পেয়ে! আপনারাও ওই ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে প্রশ্ন করেন দেখে তারা ওই ঘুরিয়ে উত্তর দিতে পারে। এ প্রশ্ন আমাকে তো করার বিষয় নয়। জিজ্ঞেস করবেন সরকারকে। সরকার আর ক্রিকেট বোর্ডের মুখোমুখি হয়ে।’

ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের ব্যাপারটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) পর্যন্ত যাওয়া উচিত বলে মনে করেন সাকিব। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘কথা হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্কই থাকার কথা নয়। আর ক্রিকেট বোর্ড যদি সরকারের ওপর চাপিয়ে দেয়, এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। এর অর্থ হলো, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত। তাদের সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া উচিত (হাসি)! আসলে ওই সাবজেক্টেই যাওয়া উচিত নয়। আমাকে যদি ক্রিকেট বোর্ড ফেরত না নিতে পারে (দেশে), এটা তাদের ব্যর্থতা। ঠিক না? আমার কী করার আছে এখানে?’

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারত সফরের মাঝপথেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব। খেলে যেতে চেয়েছিলেন ওয়ানডে ও টেস্ট। তবে গত ১৬ মাসে বাংলাদেশের হয়ে একটা ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে গত বছরের অক্টোবরে টেস্ট ম্যাচটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের সবশেষ কোনো ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে না পারলেও বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলছেন তিনি। বর্তমানে আইএল টি-টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটসের হয়ে খেলছেন সাকিব। গত রাতে তাঁর দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে ডেজার্ট ভাইপার্সের কাছে ৪৫ রানে হেরেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাত বছর কোমায় থাকার পর লঙ্কান ক্রিকেটারের মৃত্যু

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
সাত বছর কোমায় থাকার পর না ফেরার দেশে আকশু ফার্নান্দো। ছবি: সংগৃহীত
সাত বছর কোমায় থাকার পর না ফেরার দেশে আকশু ফার্নান্দো। ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর পাঞ্জা লড়ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত হার মানলেন তিনি। গতকাল ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফার্নান্দো।

শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম গতকাল ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত লঙ্কান ধারাভাষ্যকার রোশন অভয়সিংহে বলেন, ‘এই মাত্র আকশু ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবর পেলাম। তাঁর ক্যারিয়ার ছিল দারুণ সম্ভাবনাময়। তবে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাঁর ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছে। ভদ্র, হাসিখুশি ও সবার ছিল সে। তার স্কুল ও রাগামা ক্লাবের দুর্দান্ত এক ক্রিকেটার ছিল। তাকে আমরা চিরদিন মনে রাখব।’

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলম্বোর মাউন্ট লাভিনিয়ায় অনুশীলন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ফার্নান্দো। তখন তিনি ছিলেন ২৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। এক রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়ে দীর্ঘ সাত বছর কোমায় ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে (২০১৮-এর ১৪ ডিসেম্বর) রাগামা ক্লাবের হয়ে ১০২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ফার্নান্দো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেই ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল মুরস ক্রিকেট ক্লাব। অবশেষে দীর্ঘ সাত বছর কোমায় থাকার পর গতকাল হার মানলেন তিনি।

অল্প সময়েই সম্ভাবনাময় এক ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন ফার্নান্দো। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৮ বলে ৫২ রান করেছিলেন। প্রাণপণ লড়াই করেও শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হেরে গিয়েছিল অজিদের কাছে। শেষ পর্যন্ত সেই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করতেন ফার্নান্দো। সিনিয়র ক্রিকেটে সাতটি ফিফটি করেছিলেন তিনি। ৯ বছরের ঘরোয়া ক্যারিয়ারে ফার্নান্দো কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব, পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাব, চিলাও মারিয়ান্স, রাগামা স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে অধিনায়ক ছিলেন। লঙ্কান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ অধিনায়ক ছিলেন ফার্নান্দো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোমায় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৬
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ড্যামিয়েন মার্টিন এখন কোমায়। ছবি: ক্রিকইনফো
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ড্যামিয়েন মার্টিন এখন কোমায়। ছবি: ক্রিকইনফো

হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ড্যামিয়েন মার্টিন। কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বর্তমানে কোমায় রয়েছেন।

মার্টিনের শারীরিক অসুস্থতার খবর জানাজানি হয় গতকাল সন্ধ্যায়। ক্রিকইনফো আজ মার্টিনের হাসপাতালে ভর্তির খবর প্রকাশ করেছে। ৫৪ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটারকে বিশেষ এক ওষুধ প্রয়োগ করে কৃত্রিমভাবে কোমায় রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল নাইন’-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, বক্সিং ডেতে (২৬ ডিসেম্বর) বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন মার্টিন। শোয়ার পরপরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড আজ মার্টিনের অসুস্থতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার এই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত মার্টিন এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডকে ঘিরে রাখা সুরক্ষামূলক ঝিল্লির ব্যথাই এই রোগের লক্ষণ। কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট হাসপাতালের মুখপাত্র আজ সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন, ‘গোল্ড কোস্ট বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এখন গুরুতর অবস্থায় মার্টিন।’ অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার যেন দ্রুত সেরে ওঠেন, সেই প্রার্থনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ পোস্ট দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ড্যারেন লেম্যান নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্টিনের জন্য অনেক ভালোবাসা। শক্ত থাক যোদ্ধা। দ্রুত যেন সেরে ওঠ, সেই প্রার্থনা রইল।’

মার্টিনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ কর্প’কে গিলক্রিস্ট বলেন, ‘মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত মার্টিনের উন্নত চিকিৎসা চলছে। তার (মার্টিন) জীবনসঙ্গিনী আমান্দা ও তার পরিবার জানে অসংখ্য মানুষ তার জন্য প্রার্থনা করছে।’ খুব দ্রুত কোমা থেকে মার্টিন বের হয়ে আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৬৭ টেস্ট, ২০৮ ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মার্টিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ২৭৯ ম্যাচে ৪২.৯২ গড়ে করেছেন ৯৮৭২ রান। তিন সংস্করণ মিলে ১৮ সেঞ্চুরি ও ৬১ ফিফটি করেছেন। ১৯৯৯, ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপাও জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা ক্রিকেটার। ১৮ সেঞ্চুরির মধ্যে টেস্টে করেছেন ১৩ সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন পাঁচবার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত