Ajker Patrika

বৃষ্টিও কমাতে পারেনি ওভাল টেস্টের রোমাঞ্চ

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৩, ২২: ৪৭
বৃষ্টিও কমাতে পারেনি ওভাল টেস্টের রোমাঞ্চ

কপাল ছুঁয়ে মুখে ঘাম ঝরার অস্বস্তি থেকে মাথায় হেডব্যান্ড বা ফিতে পরে মাঠে নামতেন স্টুয়ার্ট ব্রড। টেস্টে সেটিই পরবর্তীকালে হয়ে ওঠে ইংলিশ পেসারের ‘ট্রেডমার্ক’। তবে এমন পরিচিত দৃশ্য দেখা যাবে না আর। অ্যাশেজে ওভাল টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন ৩৭ বছরের তারকা।

গতকাল ছিল ক্রিকেটে ব্রডের শেষ দিন। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত সেনাকে বিদায় দিতে ওভালে গানে মেতে ওঠেন ‘বার্মি-আর্মি’ নামে পরিচিত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সমর্থকেরা। ব্রডকে সমর্থন জানাতে তাঁরাও মাথায় বাঁধেন সাদা ফিতে। 

তবে শেষটা রাঙানো হলো না ব্রডের। টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে জয় হাতছাড়া হয় ইংলিশদের। তাতেই বিসর্জন দিতে হয় অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন। সমতায় ফিরে সিরিজ বাঁচাতে বেন স্টোকসদের দরকার ছিল ওভালে পঞ্চম টেস্ট জয়। এই টেস্টে হারলেই যে ২২ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জিতবে অস্ট্রেলিয়া।

সেই লক্ষ্যে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ওপেনিংয়ে দারুণ জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা। ১৪০ রানের সেই জুটি ভাঙল পঞ্চম ও শেষ দিনে। দিনের শুরুতেই ওয়ার্নারকে (৬০) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে স্বাগতিকদের মনে স্বস্তি ফেরান ক্রিস ওকস। ১৩৫ রানে দিন করেছিল অজিরা। তার সঙ্গে ৬ রান যোগ করতই নিজের দ্বিতীয় উইকেট খাজাকে (৭২) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন ইংলিশ পেসার। 

শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার চাপ না কাটতেই মার্ক উডের তোপ। মানাস লাবুশেনেকে (১৩) থিতু হতে দেননি তিনি। এরপর ট্রাভিস হেডকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে মধ্যাহ্নভোজে যান স্টিভেন স্মিথ। তবে এরপর মাঠে ফিরতে অপেক্ষা করতে হলে ঘণ্টা তিনেকের কাছাকাছি। বৃষ্টির কারণে ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ করতে হয়েছে আগেভাগে। গতকাল শেষ দিনের এক সেশনও চলে গেছে বৃষ্টির পেটে। 

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাঠ পর্যবেক্ষণের পর ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে অজিরা। তাঁদের সামনে সমীকরণটা দাঁড়ায় এমন, জয়ের জন্য ৫২ ওভারে ৭ উইকেটে করতে হবে ১৪৬ রান। কিন্তু তৃতীয় সেশনের শুরুতে হেডকে (৪৩) ফিরিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন মঈন আলী। জুটি ভাঙার পর স্মিথও টেকেননি বেশিক্ষণ। ওকসের তৃতীয় শিকার হিসেবে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে ফেরেন তিনি। এরপর মঈন ও ওকসে চোখের পলকে বিদায় মিচেল মার্শ (১) ও মিচেল স্টার্কের।

৩৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৭৭ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য তাদের দরকার আরও ১০৭ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজেদেরই ইতিহাস নতুন করে লেখার সামনে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শাই হোপ। ১৮৩ বলে ১১৬ রানে অপরাজিত থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ছবি: ক্রিকইনফো
চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শাই হোপ। ১৮৩ বলে ১১৬ রানে অপরাজিত থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ছবি: ক্রিকইনফো

ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়—বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্যের বেশির ভাগ সময় বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেলেও অনেক সময় হয়ে ওঠে না। খেলার মাঠে এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে, ক্রিকেটে যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে।

টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা এই রান তাড়া করে জিতেছিল। ২২ বছরে এর চেয়ে বড় লক্ষ্য বারবার চতুর্থ ইনিংসে দলগুলোর সামনে এসেছিল। কিন্তু কেউই সফল হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এখন সেই ইতিহাস নতুন করে লেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১২ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। শাই হোপ আগামীকাল শেষ দিনে ১১৬ রানে ব্যাটিং করবেন। জাস্টিন গ্রিভস অপরাজিত ৫৫ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১৭ রানে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। এই দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান যোগ করেছে কিউইরা। ১০৯তম ওভারের শেষ বলে জ্যাকব ডাভিকে (১০) কট এন্ড বোল্ড করেন কেমার রোচ। ডাফি আউট হওয়ার পর ১০৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৬৬ রান হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোচ ৭৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে ইনিংসে ১২ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই পেসার।

নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন রাচীন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫ রান আসে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। ৬৪ রান লিড যোগ হওয়ায় কিউইদের রান হয়েছে ৫৩০। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান। যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়ছিল, তাতে আজই সফরকারীদের অলআউট হওয়ার শঙ্কা ছিল। তখনই প্রতিরোধ গড়েন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে ২৭৫ বলে ১৪০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (হোপ-গ্রিভস)। জুটির ৫০.৯১ স্ট্রাইকরেটই বলে দেয়, প্রথাগত টেস্ট মেজাজে খেলে ইতিহাস গড়ার পথেই তারা এগোচ্ছে।

টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলতে হোপ খেলেছেন ১৩৯ বল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তিনি খেলতে থাকেন ধীরস্থির গতিতে। আজ চতুর্থ দিনের খেলা যখন শেষ করেছেন, তখন তাঁর নামের পাশে স্কোর ১৮৩ বলে ১১৬ রান। তাঁর সঙ্গী গ্রিভস টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন। ১৪৩ বলে ১৬ চারে করেছেন ৫৫ রান। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ম্যাট হেনরি। ডাফি এর আগে প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৩১ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রবাসী ফুটবলারদের জাত চেনানোর মঞ্চ এই লাতিন বাংলা সুপার কাপ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাফুফের অধীনে গত জুনে ঢাকায় ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা। বাফুফের কাছ থেকে কোনো সবুজসংকেত না পাওয়ায় ফিরে যান অনিশ্চয়তা নিয়ে। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি তাঁর দক্ষতা। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায় ছিলেন প্রাসঙ্গিক।

ছয় মাসের ব্যবধানে ঢাকায় আবারও পা পড়ল বীতশোকের। শুধু তিনি নন, বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ‘লাতিন বাংলা সুপার কাপ’ খেলতে এসেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক। সবার কাছে এবারের মঞ্চটি নিজেদের জাত চেনানোর।

ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের তৃতীয় সারির ক্লাব সাও বার্নার্দো ও আর্জেন্টিনার অপেশাদার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে দেশের একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড-গ্রিন ফিউচার স্টার’। এই দলের হয়েই খেলবেন বীতশোক-কাসপার। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সাও বার্নার্দোর বিপক্ষে খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বীতশোক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আশা করি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব দুই ম্যাচে। ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আশা করছি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’

রেড-গ্রিন ফিউচার স্টারের কোচ এস এম ইমরুল বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার এই দল দুটি সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তবে লাতিন ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় হতে আমাদের ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ একটা সুযোগ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বের চোখ থাকবে যেখানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র হবে আজ। ছবি: এএফপি
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র হবে আজ। ছবি: এএফপি

আর মাত্র ছয় মাসের অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবলপ্রেমীরা। অবশ্য ছক কষা শুরু আজ থেকেই। কারণ, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কারা কোন গ্রুপে জানা যাবে সেখানে—

বিশ্বকাপের ফরম্যাট

প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবার। গ্রুপ সংখ্যাও ৮ থেকে পরিণত হয়েছে ১২টিতে। প্রতি গ্রুপে থাকছে চারটি করে দল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ৩২ রাউন্ডে। তৃতীয় হওয়া সেরা আট দলেরও শেষ ৩২ রাউন্ডে খেলার সুযোগ থাকবে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে হবে শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।

যেভাবে হবে ড্র

  • ফিফার নীতি অনুযায়ী, ইউরোপ বাদে কোনো গ্রুপে একই কনফেডারেশনের একাধিক দল থাকতে পারবে না। যেহেতু ইউরোপ থেকে ১৬টি দেশ বিশ্বকাপে খেলবে। তাই এই মহাদেশ থেকে সর্বোচ্চ দুটি দল থাকবে চার গ্রুপে।
  • এমনভাবে গ্রুপিং সাজানো হবে যে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা স্পেন ও দুইয়ে থাকা আর্জেন্টিনা ফাইনালের আগে মুখোমুখি হতে পারবে না। ঠিক একই নিয়ম তিন ও চারে থাকা ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের জন্যও প্রযোজ্য।
  • ৩ স্বাগতিক দেশ—মেক্সিকো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রুপিং আগেই ঠিক করা। মেক্সিকো ‘এ ১’, কানাডা ‘বি ১’ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘ডি ১’ হিসেবে থাকবে। গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্র ২ ম্যাচ লস অ্যাঞ্জেলেস ও এক ম্যাচ খেলবে সিয়াটলে। মেক্সিকো ২ ম্যাচ আসতেকা ও অন্য ম্যাচটি খেলবে গুয়াদালাহারায়। কানাডার এক ম্যাচ টরন্টো ও অন্য দুই ম্যাচ ভ্যানকুভারে।
  • ৪৮ দলকে চার পটে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি পটে থাকছে ১২টি করে দল। স্বাগতিক দল বাদে অন্য দলগুলোকে র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে রাখা হয়েছে। পট ১-এর দলগুলো যে গ্রুপে পড়বে সেই গ্রুপের এক নম্বর দল হিসেবে বিবেচিত হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে পট ২, পট ৩ ও পট ৪ থেকে নাম তোলা হবে।
  • ৪৮ দলের মধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ৪২টি দল। অন্য ৬ দল উঠে আসবে প্লে-অফ থেকে। তাই তাদের রাখা হয়েছে ৪ নম্বর পটে।

প্লে-অফে যারা

আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে দুটি ও ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে উঠে আসবে চার দল। নিউ ক্যালিদোনিয়া-জ্যামাইকা ও বলিভিয়া-সুরিনাম মধ্যকার জয়ী দল আন্তর্মহাদেশীয় ফাইনালে খেলবে যথাক্রমে কঙ্গো ডি আর ও ইরাকের বিপক্ষে। ইউরোপিয়ান প্লে-অফে রয়েছে ইতালি-উত্তর আয়ারল্যান্ড, ওয়েলদ-বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন-সুইডেন, পোল্যান্ড-আলবেনিয়া, তুরস্ক-রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া-কসোভো, ডেনমার্ক-উত্তর মেসিডোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও আয়ারল্যান্ড। আগামী বছরের মার্চে হবে প্লে-অফ।

ড্র ব্যবস্থাপনায় থাকছেন যাঁরা

ড্র পরিচালনা করবেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। সহপরিচালক হিসেবে থাকবেন সামান্থা জনসন। পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন ন্যাশনাল ফুটবল লিগের সাতবারের সুপার বোলজয়ী টম ব্রেডি, ন্যাশনাল হকি লিগের হল অব ফেমার ওয়েইন গ্রেটস্কি, বেসবলের সাতবারের অল-স্টার অ্যারন জাজ ও এনবিএর চারবারের চ্যাম্পিয়ন শাকিল ও’নিল। লালগালিচার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন এলি ম্যানিং।

পটবিন্যাস

পট ১: কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানি।

পট ২: ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, সেনেগাল, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইকুয়েডর, অস্ট্রিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।

পট ৩: নরওয়ে, পানামা, মিসর, আলজেরিয়া, স্কটল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, তিউনিসিয়া, আইভরি কোস্ট, উজবেকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

পট ৪: জর্ডান, কেপ ভার্দে, ঘানা, কুরাসাও, হাইতি, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ থেকে ৪ দল ও আন্তর্মহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে ২ দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিলামের আগেই জানা গেল আইপিএলে কত ম্যাচ খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আইপিএলে এখন পর্যন্ত এক মৌসুম খেলেছেন জশ ইংলিস। ছবি: এএফপি
আইপিএলে এখন পর্যন্ত এক মৌসুম খেলেছেন জশ ইংলিস। ছবি: এএফপি

২০২৬ আইপিএলের নিলাম হতে আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে কোন ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য কত, সেটা জানা গেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার জশ ইংলিস যে আরও এক ধাপ এগিয়ে। নিলামের আগেই জানা গেল, আগামী আইপিএলে কয়টি ম্যাচ তিনি খেলতে যাচ্ছেন।

১৩৫৫ ক্রিকেটার আইপিএল নিলামে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। নিলামে কী হয়, কাকে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কত দামে কেনে অথবা আদৌ তিনি দল পান কিনা সেটা জানা যাবে ১৬ ডিসেম্বর। তার আগে ক্রিকবাজের গত রাতের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৬ আইপিএলে পাঁচ ক্রিকেটারের কে কত ম্যাচ খেলবেন। সেই পাঁচ ক্রিকেটারের একজন ইংলিস ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ১৯তম আইপিএলে ২৫ শতাংশ ম্যাচ খেলতে চান। ২০২২ সাল থেকে শুরু করে ১০ দলের আইপিএলে লিগ পর্বে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি কমপক্ষে ১৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। আগামী আইপিএলেও ঠিক তাই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে আগামী বছর ইংলিস সর্বোচ্চ চার ম্যাচ খেলছেন।

ইংলিস বর্তমানে চলমান অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে আছেন। এদিকে নিলামের আগে বিসিসিআইকে জানিয়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় ইংলিসের পাশাপাশি আছেন নিউজিল্যান্ডের অ্যাডাম মিলনে, দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো এবং আরও দুই অস্ট্রেলিয়ান অ্যাশটন অ্যাগার ও উইলিয়াম সাদারল্যান্ড। মিলনে ৯৫ শতাংশ, রুশো ২০ শতাংশ, অ্যাগার ৬৫ শতাংশ ও সাদারল্যান্ড ৮০ শতাংশ ম্যাচ পরবর্তী আইপিএলে খেলতে যাচ্ছেন। ইংলিসের মতো ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ক্রিকেটার হলেন অ্যাগার, মিলনে ও রুশো। অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম সাদারল্যান্ডের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি।

আইপিএলে এখন পর্যন্ত এক মৌসুম খেলেছেন ইংলিস। ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ১১ ম্যাচে ৩০.৮৮ গড় ও ১৬২.৫৭ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২৭৮ রান। একটা ফিফটিও করেছেন তিনি। তবে তাঁর দুই সতীর্থ অ্যাগার ও সাদারল্যান্ডের এখনো আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। রুশো সবশেষ আইপিএল খেলেছেন ২০২৪ সালে। মিলনে ২০২২ আইপিএলের পর টানা তিন মৌসুম অবিক্রীত ছিলেন। এবারের আইপিএলের নিলামে সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের তালিকায় আছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। সাকিব আল হাসানের ভিত্তিমূল্য ১ কোটি রুপি।

এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১৮ মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে শিরোপা জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কলকাতা নাইট রাইডার্স তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইপিএলে। একবার করে আইপিএলে শিরোপা জিতেছে ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস ও গুজরাট টাইটান্স। বেঙ্গালুরু সবশেষ ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত