Ajker Patrika

আওয়ামী লীগ ক্রমেই মিছিল বড় করতে চায়

  • ধীরে ধীরে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধির ইচ্ছা।
  • শীর্ষে শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবছে না দল।
  • দেশে থাকা কাউকে এখনই মুখপাত্র করা হবে না।
  • কর্মসূচি তৈরিতে নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার।
তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ১০
আওয়ামী লীগ ক্রমেই মিছিল বড় করতে চায়

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ৫ আগস্টের বিপর্যয়ের ধাক্কায় কিছু সময় স্থবির থাকার পর একপর্যায়ে দলটি কেন্দ্রীয় কিছু কর্মসূচি পালন শুরু করে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে। প্রথম দিকে এতে উপস্থিতি ছিল নিতান্ত হাতে গোনা। তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মিছিলের আকার বাড়ার পাশাপাশি সংখ্যাও বাড়ছে। দলের কয়েকজন নেতা বলেছেন, তাঁদের ‘সাংগঠনিক পুনর্গঠন’ চলছে এবং কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি হওয়ায় মিছিলগুলোতে অংশগ্রহণ বাড়ছে।

দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম এ সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ধরেই আগাচ্ছি। আস্তে আস্তে আমাদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়বে। তবে আমরা তো নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। নিরাপত্তার বিষয়টা অগ্রাধিকারে রেখেই আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করছি।’

আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল হয়েছে। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে মিছিল হচ্ছে। একাধিক কর্মী জানিয়েছেন, এসব মিছিলের সমন্বয় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই করছেন।

সর্বশেষ গতকাল শুক্রবারও রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল করার খবর পাওয়া গেছে। মিছিলে অংশ নেওয়ায় এর আগের দুদিনেই রাজধানী থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি সংগঠনের অন্তত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০ এপ্রিল রাজধানীর একাধিক জায়গাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ঝটিকা মিছিল করেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এর আগে ১৮ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্নার নেতৃত্বে এবং ১৫ এপ্রিল রামপুরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহার আনামের নেতৃত্বে মিছিল হয়। ৬ এপ্রিল রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের নেতৃত্বে মিছিল হয়। পরে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। চট্টগ্রাম মহানগরেও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা একাধিক মিছিল করেছেন।

যুবলীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, ‘যাঁরা মিছিল করছেন তাঁদের নেত্রী (দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা) নিজেই সংগঠিত করে দেন। মিছিলকারীরা সরাসরি ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে মিছিল করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নেতৃত্ব আস্তে আস্তে রি-অর্গানাইজড (পুনর্গঠিত) হচ্ছে, অনেকখানি গুছিয়ে এসেছে। সংগঠন গুছিয়ে আসার কারণে সমন্বয় করা যাচ্ছে। যে কারণে কর্মসূচিতে কর্মীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। আগামী দিনে আরও ভালো হবে।’

নিয়মিত যোগাযোগ করছেন শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ ও দলটির একাধিক সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রামে গ্রুপ কলেও তিনি কথা বলেন। এসব বৈঠক অনেক সময় দুই-তিন ঘণ্টাব্যাপীও চলে। জানা গেছে, শেখ হাসিনা প্রায় প্রতিটি জেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। নেতা-কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের দেশে থেকে যাওয়া যেসব নেতা-কর্মী মিছিল-মিটিং করতে পারবেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টাও হচ্ছে। তবে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য বলেই দাবি।

ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি বলেন, ‘যাঁরা ঢাকায় থাকেন, তাঁদের মিছিলে আসার জন্য সর্বোচ্চ রিকশা বা অটোরিকশাভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করি। সব দিনই যে টাকা দিতে পারি, এমন না। আবার যাঁরা এসব মিছিলে আসেন, তাঁদের তেমন প্রত্যাশাও থাকে না। দলকে ভালোবেসেই বেশির ভাগ কর্মী মিছিলে আসেন।’

বড় মিছিলের প্রত্যাশা

রাজধানীর অনেক মিছিলেই যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগের এক কর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আরও কিছু বড় কর্মসূচি হবে। মিছিলের আকার বাড়বে। শুরুর দিকে আমাদের মিছিলে লোক থাকত ১৫-২০ জন। এখান তা ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে।’

ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, ‘ঢাকায় মিছিল-মিটিং করতে পারবে—এমন অনেক গ্রুপ আছে। প্রতি গ্রুপেই শতাধিক নেতা-কর্মী রয়েছেন। আগামী মাসে ঢাকায় হাজারখানেক নেতা-কর্মী নিয়ে মিছিল করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের অবস্থান জানান দিতে চাই।’

দায়িত্বে নতুন মুখের পরিকল্পনা নেই

দেশের রাজনীতিতে ‘রিফাইন্ড (সংশোধিত) আওয়ামী লীগ’ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এ নিয়ে ছাত্র-তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির একাধিক নেতার বক্তব্যে দেশের রাজনীতিতে বেশ আলোড়ন উঠেছিল। বলাবলি হয়েছিল, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো আওয়ামী লীগের অপেক্ষাকৃত ভালো ভাবমূর্তির নেতাদের দলের দায়িত্বে বসানো হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা একে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছেন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শেখ হাসিনার হাতেই থাকবে। আর শেখ হাসিনাকে নিচের দিকে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার অনুরোধ করা হলেও তিনি রাজি হননি।

দলের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তনের গুঞ্জন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘শেখ হাসিনাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং শেখ হাসিনাই নেতৃত্ব দেবেন। কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য নেতারাও দায়িত্ব পালন করছেন।’

মহানগর পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, টেলিগ্রাম গ্রুপের আলোচনায় শেখ হাসিনার কাছে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের অনুরোধ করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছেন, এখন কাউকে দলীয় পদে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দিলে, সে ‘জেলে পচে মরবে’। নেতা-কর্মীরা এখন লুকিয়ে থাকতে পারছেন, তখন তা-ও পারবেন না।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ভেতরে যাঁরা সাহস নিয়ে এগিয়ে এসে দলকে সংগঠিত করার কাজে নেতৃত্ব দেবেন, তাঁরাই হবেন নেতা।

নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করতে দেশের ভেতরে থাকা নেতাদের মধ্যে কাউকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়েও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে আলোচনা আছে। কিন্তু গ্রেপ্তার, মামলার আশঙ্কায় আপাতত সে পথেও হাঁটছে না দলটি।

দলটির দাবি, ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে শুরু করে গ্রামপর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বাড়ানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘দেশে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কেউ মুখপাত্র হবেন কি না, সংগঠনের কাজ পরিচালনা করবেন কি না—সেই পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। যখন হবে, তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।

এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতালে খালেদার শেষ দিনগুলো

  • গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ারে ভর্তি হন খালেদা জিয়া।
  • টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।

শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।

পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্‌যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেড় দশকের ছায়াসঙ্গী ফাতেমা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।

২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।

ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।

স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।

ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে খালেদা জিয়া যেমন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৬
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।

ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’

চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত