পাবনার চাটমোহর
শাহীন রহমান, পাবনা ও শুভাশীষ ভট্টাচার্য, চাটমোহর

পাবনার চাটমোহরে ভুয়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জিআর চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও জানেন না প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলনের পর কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আবার এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে চাল উত্তোলন করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় ১১৮টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নকাজে জিআর প্রকল্পে প্রায় ১৪১ টন চাল বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে ফৈলজানা ইউনিয়নের কেশ কিছু মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার তালিকা অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবাখালী দক্ষিণপাড়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, পবাখালী রোকেয়া নুরুল মাদ্রাসা, দেলোয়ারা সামাদ নুরানি কিন্ডারগার্টেন (মক্তব) এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুস সামাদ এবং তাঁর ছেলে তৌফিক ইমাম পবাখালী নুরানি কিন্ডারগার্টেনের সভাপতি।
এই চারটি প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১০ টন। তাঁদের বাবা-ছেলের চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু পবাখালী রোকেয়া নুরুল মাদ্রাসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই। ভুয়া কমিটি তৈরি করে চাল উত্তোলনপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এদিকে দিঘুলিয়া হাসান হোসেন (রহ.) জামে মসজিদ এবং দিঘুলিয়া পুরোনো বড় জামে মসজিদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এই দুটি মসজিদে বরাদ্দ পাওয়া গেছে সাড়ে ৪ টন। এর মধ্যে দিঘুলিয়া পুরোনো বড় জামে মসজিদের অস্তিত্ব নেই।
ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মিনহাজ মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও পবাখালী দক্ষিণপাড়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে মিনহাজ মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অস্তিত্ব নেই। এই দুটি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে সাড়ে ৫ টন চাল।
পবাখালী নতুন জামে মসজিদ ও পবাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি সাইফুল ইসলামের ভাতিজা মনিরুল ইসলাম। এর মধ্যে পবাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের নামে ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। ফরিদা শামসুল মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলামের ভাগনে আজিবর রহমান দেড় টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। অথচ এই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। পবাখালী লালন একাডেমির নামে দেড় টন চাল উত্তোলন করেছেন সভাপতি হিসেবে সরোয়ার হোসেন। অথচ এই নামে কোনো একাডেমি নেই। তবে এলাকায় একটি মাজার রয়েছে, যার সঙ্গে এটির সংশ্লিষ্টতা নেই। মাজার কমিটির লোকজন জানেন না এই নামে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে পবাখালী মাজারের সভাপতি নায়েব আলী বলেন, ‘আমাদের মাজারের নামে কোনো বরাদ্দ পাইনি। পবাখালী লালন একাডেমির নামে চাল তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মনে করছি।’ কুঠিপাড়া জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ও মুয়াজ্জিন মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘আমার কাছ থেকে উপজেলার একজন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে বলেছিল মসজিদের নামে অনুদান আসবে, তাই দিছিলাম। পরে একদিন গিয়ে আমার হাতে ৬ হাজার টাকা দিয়ে আসছে। কত কী বরাদ্দ আসছে, তার কিছুই জানি না। পরে ওই টাকা মসজিদের ফান্ডে জমা রেখেছি।’
এই রকমভাবে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ভুয়া কমিটি তৈরি করে চাল বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে প্রায় উপজেলাজুড়ে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে নিজেরা কমিটি তৈরি করে চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের আসল কমিটির লোকজন জানেনই না। কিছু প্রতিষ্ঠানের কমিটির লোকজনকে ম্যানেজ করতে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ বলেন, ‘যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন কী করব বলেন, যারা ওটা করেছে তারা তো করেই ফেলছে। ওসব তো বলে তো আর লাভ নেই। আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।’ আরেক অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদ একটাই, নাম দুইটা। একবার জালসার জন্য আরেকবার ইফতার পার্টির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। প্রথমবার যে নাম দিছিলাম দ্বিতীয়বার আর মনে ছিল না।
ওইভাবে নামটা দেওয়া হইছিল। তবে টাকাটা মসজিদ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুইটা মসজিদের নাম নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় আমরা শুধু একটি মসজিদের চাল তুলেছি। আরেকটি মসজিদের চাল তোলা হয়নি।’ এ ছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বানানো কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মূসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘ফৈলজানা ইউনিয়নের চাল বরাদ্দের অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তার আগেই আমরা তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে। আর অভিযোগের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তাঁদের জবাব সন্তোষজনক না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার চাটমোহরে ভুয়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জিআর চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও জানেন না প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলনের পর কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আবার এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে চাল উত্তোলন করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় ১১৮টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নকাজে জিআর প্রকল্পে প্রায় ১৪১ টন চাল বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে ফৈলজানা ইউনিয়নের কেশ কিছু মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার তালিকা অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবাখালী দক্ষিণপাড়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, পবাখালী রোকেয়া নুরুল মাদ্রাসা, দেলোয়ারা সামাদ নুরানি কিন্ডারগার্টেন (মক্তব) এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুস সামাদ এবং তাঁর ছেলে তৌফিক ইমাম পবাখালী নুরানি কিন্ডারগার্টেনের সভাপতি।
এই চারটি প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১০ টন। তাঁদের বাবা-ছেলের চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু পবাখালী রোকেয়া নুরুল মাদ্রাসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই। ভুয়া কমিটি তৈরি করে চাল উত্তোলনপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এদিকে দিঘুলিয়া হাসান হোসেন (রহ.) জামে মসজিদ এবং দিঘুলিয়া পুরোনো বড় জামে মসজিদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এই দুটি মসজিদে বরাদ্দ পাওয়া গেছে সাড়ে ৪ টন। এর মধ্যে দিঘুলিয়া পুরোনো বড় জামে মসজিদের অস্তিত্ব নেই।
ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মিনহাজ মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও পবাখালী দক্ষিণপাড়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে মিনহাজ মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অস্তিত্ব নেই। এই দুটি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে সাড়ে ৫ টন চাল।
পবাখালী নতুন জামে মসজিদ ও পবাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি সাইফুল ইসলামের ভাতিজা মনিরুল ইসলাম। এর মধ্যে পবাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের নামে ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। ফরিদা শামসুল মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলামের ভাগনে আজিবর রহমান দেড় টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। অথচ এই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। পবাখালী লালন একাডেমির নামে দেড় টন চাল উত্তোলন করেছেন সভাপতি হিসেবে সরোয়ার হোসেন। অথচ এই নামে কোনো একাডেমি নেই। তবে এলাকায় একটি মাজার রয়েছে, যার সঙ্গে এটির সংশ্লিষ্টতা নেই। মাজার কমিটির লোকজন জানেন না এই নামে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে পবাখালী মাজারের সভাপতি নায়েব আলী বলেন, ‘আমাদের মাজারের নামে কোনো বরাদ্দ পাইনি। পবাখালী লালন একাডেমির নামে চাল তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মনে করছি।’ কুঠিপাড়া জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ও মুয়াজ্জিন মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘আমার কাছ থেকে উপজেলার একজন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে বলেছিল মসজিদের নামে অনুদান আসবে, তাই দিছিলাম। পরে একদিন গিয়ে আমার হাতে ৬ হাজার টাকা দিয়ে আসছে। কত কী বরাদ্দ আসছে, তার কিছুই জানি না। পরে ওই টাকা মসজিদের ফান্ডে জমা রেখেছি।’
এই রকমভাবে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ভুয়া কমিটি তৈরি করে চাল বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে প্রায় উপজেলাজুড়ে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে নিজেরা কমিটি তৈরি করে চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের আসল কমিটির লোকজন জানেনই না। কিছু প্রতিষ্ঠানের কমিটির লোকজনকে ম্যানেজ করতে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ বলেন, ‘যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন কী করব বলেন, যারা ওটা করেছে তারা তো করেই ফেলছে। ওসব তো বলে তো আর লাভ নেই। আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।’ আরেক অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদ একটাই, নাম দুইটা। একবার জালসার জন্য আরেকবার ইফতার পার্টির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। প্রথমবার যে নাম দিছিলাম দ্বিতীয়বার আর মনে ছিল না।
ওইভাবে নামটা দেওয়া হইছিল। তবে টাকাটা মসজিদ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুইটা মসজিদের নাম নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় আমরা শুধু একটি মসজিদের চাল তুলেছি। আরেকটি মসজিদের চাল তোলা হয়নি।’ এ ছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বানানো কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মূসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘ফৈলজানা ইউনিয়নের চাল বরাদ্দের অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তার আগেই আমরা তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে। আর অভিযোগের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তাঁদের জবাব সন্তোষজনক না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
পাবনার চাটমোহর
শাহীন রহমান, পাবনা ও শুভাশীষ ভট্টাচার্য, চাটমোহর

পাবনার চাটমোহরে ভুয়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জিআর চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও জানেন না প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলনের পর কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আবার এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে চাল উত্তোলন করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় ১১৮টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নকাজে জিআর প্রকল্পে প্রায় ১৪১ টন চাল বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে ফৈলজানা ইউনিয়নের কেশ কিছু মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার তালিকা অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবাখালী দক্ষিণপাড়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, পবাখালী রোকেয়া নুরুল মাদ্রাসা, দেলোয়ারা সামাদ নুরানি কিন্ডারগার্টেন (মক্তব) এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুস সামাদ এবং তাঁর ছেলে তৌফিক ইমাম পবাখালী নুরানি কিন্ডারগার্টেনের সভাপতি।
এই চারটি প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১০ টন। তাঁদের বাবা-ছেলের চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু পবাখালী রোকেয়া নুরুল মাদ্রাসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই। ভুয়া কমিটি তৈরি করে চাল উত্তোলনপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এদিকে দিঘুলিয়া হাসান হোসেন (রহ.) জামে মসজিদ এবং দিঘুলিয়া পুরোনো বড় জামে মসজিদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এই দুটি মসজিদে বরাদ্দ পাওয়া গেছে সাড়ে ৪ টন। এর মধ্যে দিঘুলিয়া পুরোনো বড় জামে মসজিদের অস্তিত্ব নেই।
ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মিনহাজ মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও পবাখালী দক্ষিণপাড়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে মিনহাজ মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অস্তিত্ব নেই। এই দুটি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে সাড়ে ৫ টন চাল।
পবাখালী নতুন জামে মসজিদ ও পবাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি সাইফুল ইসলামের ভাতিজা মনিরুল ইসলাম। এর মধ্যে পবাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের নামে ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। ফরিদা শামসুল মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলামের ভাগনে আজিবর রহমান দেড় টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। অথচ এই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। পবাখালী লালন একাডেমির নামে দেড় টন চাল উত্তোলন করেছেন সভাপতি হিসেবে সরোয়ার হোসেন। অথচ এই নামে কোনো একাডেমি নেই। তবে এলাকায় একটি মাজার রয়েছে, যার সঙ্গে এটির সংশ্লিষ্টতা নেই। মাজার কমিটির লোকজন জানেন না এই নামে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে পবাখালী মাজারের সভাপতি নায়েব আলী বলেন, ‘আমাদের মাজারের নামে কোনো বরাদ্দ পাইনি। পবাখালী লালন একাডেমির নামে চাল তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মনে করছি।’ কুঠিপাড়া জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ও মুয়াজ্জিন মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘আমার কাছ থেকে উপজেলার একজন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে বলেছিল মসজিদের নামে অনুদান আসবে, তাই দিছিলাম। পরে একদিন গিয়ে আমার হাতে ৬ হাজার টাকা দিয়ে আসছে। কত কী বরাদ্দ আসছে, তার কিছুই জানি না। পরে ওই টাকা মসজিদের ফান্ডে জমা রেখেছি।’
এই রকমভাবে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ভুয়া কমিটি তৈরি করে চাল বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে প্রায় উপজেলাজুড়ে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে নিজেরা কমিটি তৈরি করে চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের আসল কমিটির লোকজন জানেনই না। কিছু প্রতিষ্ঠানের কমিটির লোকজনকে ম্যানেজ করতে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ বলেন, ‘যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন কী করব বলেন, যারা ওটা করেছে তারা তো করেই ফেলছে। ওসব তো বলে তো আর লাভ নেই। আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।’ আরেক অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদ একটাই, নাম দুইটা। একবার জালসার জন্য আরেকবার ইফতার পার্টির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। প্রথমবার যে নাম দিছিলাম দ্বিতীয়বার আর মনে ছিল না।
ওইভাবে নামটা দেওয়া হইছিল। তবে টাকাটা মসজিদ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুইটা মসজিদের নাম নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় আমরা শুধু একটি মসজিদের চাল তুলেছি। আরেকটি মসজিদের চাল তোলা হয়নি।’ এ ছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বানানো কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মূসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘ফৈলজানা ইউনিয়নের চাল বরাদ্দের অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তার আগেই আমরা তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে। আর অভিযোগের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তাঁদের জবাব সন্তোষজনক না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার চাটমোহরে ভুয়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জিআর চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও জানেন না প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলনের পর কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আবার এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে চাল উত্তোলন করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় ১১৮টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নকাজে জিআর প্রকল্পে প্রায় ১৪১ টন চাল বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে ফৈলজানা ইউনিয়নের কেশ কিছু মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার তালিকা অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবাখালী দক্ষিণপাড়া মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, পবাখালী রোকেয়া নুরুল মাদ্রাসা, দেলোয়ারা সামাদ নুরানি কিন্ডারগার্টেন (মক্তব) এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুস সামাদ এবং তাঁর ছেলে তৌফিক ইমাম পবাখালী নুরানি কিন্ডারগার্টেনের সভাপতি।
এই চারটি প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ১০ টন। তাঁদের বাবা-ছেলের চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু পবাখালী রোকেয়া নুরুল মাদ্রাসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই। ভুয়া কমিটি তৈরি করে চাল উত্তোলনপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এদিকে দিঘুলিয়া হাসান হোসেন (রহ.) জামে মসজিদ এবং দিঘুলিয়া পুরোনো বড় জামে মসজিদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এই দুটি মসজিদে বরাদ্দ পাওয়া গেছে সাড়ে ৪ টন। এর মধ্যে দিঘুলিয়া পুরোনো বড় জামে মসজিদের অস্তিত্ব নেই।
ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মিনহাজ মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও পবাখালী দক্ষিণপাড়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে মিনহাজ মোড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অস্তিত্ব নেই। এই দুটি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে সাড়ে ৫ টন চাল।
পবাখালী নতুন জামে মসজিদ ও পবাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি সাইফুল ইসলামের ভাতিজা মনিরুল ইসলাম। এর মধ্যে পবাখালী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের নামে ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। ফরিদা শামসুল মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলামের ভাগনে আজিবর রহমান দেড় টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। অথচ এই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। পবাখালী লালন একাডেমির নামে দেড় টন চাল উত্তোলন করেছেন সভাপতি হিসেবে সরোয়ার হোসেন। অথচ এই নামে কোনো একাডেমি নেই। তবে এলাকায় একটি মাজার রয়েছে, যার সঙ্গে এটির সংশ্লিষ্টতা নেই। মাজার কমিটির লোকজন জানেন না এই নামে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে পবাখালী মাজারের সভাপতি নায়েব আলী বলেন, ‘আমাদের মাজারের নামে কোনো বরাদ্দ পাইনি। পবাখালী লালন একাডেমির নামে চাল তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মনে করছি।’ কুঠিপাড়া জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ও মুয়াজ্জিন মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘আমার কাছ থেকে উপজেলার একজন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে বলেছিল মসজিদের নামে অনুদান আসবে, তাই দিছিলাম। পরে একদিন গিয়ে আমার হাতে ৬ হাজার টাকা দিয়ে আসছে। কত কী বরাদ্দ আসছে, তার কিছুই জানি না। পরে ওই টাকা মসজিদের ফান্ডে জমা রেখেছি।’
এই রকমভাবে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ভুয়া কমিটি তৈরি করে চাল বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে প্রায় উপজেলাজুড়ে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে নিজেরা কমিটি তৈরি করে চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের আসল কমিটির লোকজন জানেনই না। কিছু প্রতিষ্ঠানের কমিটির লোকজনকে ম্যানেজ করতে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ বলেন, ‘যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন কী করব বলেন, যারা ওটা করেছে তারা তো করেই ফেলছে। ওসব তো বলে তো আর লাভ নেই। আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলব।’ আরেক অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদ একটাই, নাম দুইটা। একবার জালসার জন্য আরেকবার ইফতার পার্টির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। প্রথমবার যে নাম দিছিলাম দ্বিতীয়বার আর মনে ছিল না।
ওইভাবে নামটা দেওয়া হইছিল। তবে টাকাটা মসজিদ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুইটা মসজিদের নাম নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় আমরা শুধু একটি মসজিদের চাল তুলেছি। আরেকটি মসজিদের চাল তোলা হয়নি।’ এ ছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বানানো কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মূসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘ফৈলজানা ইউনিয়নের চাল বরাদ্দের অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তার আগেই আমরা তদন্ত করতে গিয়ে বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে। আর অভিযোগের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তাঁদের জবাব সন্তোষজনক না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

পাবনার চাটমোহরে ভুয়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জিআর চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও জানেন না প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলনের পর কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

পাবনার চাটমোহরে ভুয়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জিআর চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও জানেন না প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলনের পর কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৮ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

পাবনার চাটমোহরে ভুয়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জিআর চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও জানেন না প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলনের পর কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

পাবনার চাটমোহরে ভুয়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে জিআর চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও জানেন না প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ভুয়া কমিটি দাখিল করে চাল উত্তোলনের পর কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে