Ajker Patrika

বিপন্ন শিশুরা

নিরাপত্তা নেই শিশুর, ৮ বছরে ধর্ষণের শিকার প্রায় ৫ হাজার

  • ধর্ষণের শিকার ৫৩৯ শিশুর বয়স ৬ বছরের কম।
  • খুন ৪ হাজার ৩৮৯ শিশু।
  • ‘আইনশৃঙ্খলার পতন ঘটায় বেড়েছে অপরাধ’।
  • সামাজিক সচেতনতায়ও জোর বিশেষজ্ঞের।
অর্চি হক, ঢাকা 
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ১৪: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় বোনের বাড়িতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৮ বছরের এক শিশুর ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সারা দেশ। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন নারীসমাজ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এর মধ্যেই গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের আরেক শিশুশিক্ষার্থী। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব বলছে, দেশে এভাবেই প্রতিনিয়ত নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে শিশুরা। শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র কেউই শিশুকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না বলে মনে করেন তাঁরা।

বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে দেশে সহিংসতার শিকার হয়েছে অন্তত ৯ হাজার ৬৭৭ শিশু, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছরের কম। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক, ৪ হাজার ৮০১ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত আট বছরে ধর্ষণের শিকার শিশুদের মধ্যে অন্তত ৫৩৯ জনের বয়স ছয় বছরের কম। আর ১ হাজার ২৮ জনের বয়স সাত থেকে বারো বছরের মধ্যে।

আসকের (আইন ও সালিশ কেন্দ্র) তথ্য বলছে, গত আট বছরে ৪ হাজার ৩৮৯ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৯৯৯ জনের বয়স ছিল ছয় বছরের কম। আর ৯২৯ জনের বয়স সাত থেকে বারো বছরের মধ্যে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৪০ শিশুকে। এদের মধ্যে ৩৩ শিশুর বয়স ছয় বছরের কম। আর ৯৮ জনের বয়স সাত থেকে বারো বছরের মধ্যে।

মানবাধিকারকর্মী জিনাত আরা হক মনে করেন, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে শিশুদের প্রতি সহিংসতা আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলার পতন ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা মানুষকে সাহস জোগাচ্ছে না। শিশু নিপীড়ন বেড়ে গেছে। বছরের পর বছর ধরে এটা বেড়েই চলেছে। নিপীড়কের কাজ হলো, যে দুর্বল ও প্রান্তিক তাকে নির্যাতন করা। শিশু, নারী, বৃদ্ধ, ট্রান্সজেন্ডাররা যেহেতু প্রান্তিক এবং দুর্বল, তাই তাদের ওপর নিপীড়ন হচ্ছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র– তিনটি জায়গা থেকে নিপীড়কদের সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। দুর্বৃত্তায়ন আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাচ্ছে।’

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে দেশে কমপক্ষে ৬ হাজার ৩০৫ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৭১ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে, যা মোট ঘটনার ৫৫ শতাংশের বেশি।

শাস্তির অভাবে বাড়ছে নিপীড়ন

শিশু নিপীড়নের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রবণতা কম। অধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা মনে করেন, এটা শিশু নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ার একটি বড় কারণ। আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে অন্তত ৯ হাজার ৬৭৭টি শিশু সহিংসতার শিকার হলেও মামলা হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ১৫৯টি। অর্থাৎ প্রায় ৪০ শতাংশ ঘটনায় শিশুর পরিবার বা অন্য কেউ আইনি পদক্ষেপ নেয়নি।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ বিষয়ে বলেন, ‘যেকোনো অপরাধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হয়। অন্যথায় অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।’

মানবাধিকারকর্মী জিনাত আরা হক বলেন, ‘বিচারে বিলম্ব, বিচার না হওয়া এবং বিচার হলেও শাস্তি কার্যকর না হওয়ার ফলেই নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে।’

শিশু নিপীড়ন ও হত্যার মতো অপরাধ করেও সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামিন পেয়ে যাচ্ছে। ধর্ষক, নিপীড়কদের ফুলের মালা দিয়ে থানা থেকে বের করে আনা হচ্ছে। এটা অন্য নিপীড়কদের সাহস জোগাচ্ছে।’

অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

ইউনিসেফ বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, দেশে শিশুর (০-১৭ বছর) সংখ্যা ৫ কোটি ৬৯ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশেরও বেশি। তার কমবেশি অর্ধেক মেয়ে শিশু। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে দেশের স্বাভাবিক অগ্রগতি ব্যাহত হবে বলে মনে করেন অধিকারকর্মীরা। শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মত দেন তাঁরা।

মানবাধিকারকর্মী ও অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন বৃদ্ধি শুধু আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয়। আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, মানসিকতা এর সঙ্গে জড়িত। এই জায়গাটাতে কাজ করতে হবে। এটা দীর্ঘমেয়াদি কাজ। এ জন্য জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে শেখাতে হবে নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন করা যাবে না। তাদের সম্মান করতে হবে। প্রতিটি স্কুলে এসব শেখাতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

  • যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা
  • বিপিসির নথি বলছে, আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি আছে
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩১
বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।

বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।

বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।

নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।

তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত