কামরুল হাসান

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যদিও ব্যক্তিগত, তারপরও বর্তমান সরকারের সময়ে তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই ঘটনাটি কিছুটা হলেও সরকারকে হেয় করে। তাঁর ভাষায়, ‘এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে রাজনীতি আছে।’
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও তার পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে গতকাল মিরপুর ডিওএইচএসের বাসভবনে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান। পুরো কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আপনার ও আপনার পরিবারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটাকে কীভাবে দেখছেন?
উত্তর: এটা শুনে আমি অবাক ও মর্মাহত হয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমার বিরুদ্ধে যে দুটো অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়, মিথ্যা।
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আপনি আপনার ভাইকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে আপনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন।
উত্তর: আপনারা হয়তো খেয়াল করবেন, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল, সেখানে সেই একই কথা ছিল। তাহলে সহজেই বুঝতে পারছেন আল জাজিরার তথ্যচিত্র ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা একই সূত্রে গাঁথা।
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো, সেনাপ্রধান হিসেবে আপনি নিজের ভাইকে সামরিক কাজ দিয়ে ঘুষ নিয়েছেন, দুর্নীতি করেছেন।
উত্তর: আমি চার বছর ডিজি বিজিবি থাকাকালে কিংবা তিন বছর সেনাপ্রধান থাকাকালে আমার কোনো ভাইকে বা কোনো আত্মীয়কে কোনো কন্ট্রাক্ট দিয়েছি, এমন যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, আমি যেকোনো পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। দেখুন, একই কথা আল জাজিরাতে ছিল। তারাও বলেছে, আমি আমার দাপ্তরিক সুবিধা ব্যবহার করে ভাইকে সুবিধা দিয়েছি। তারা যে ভাইয়ের কথা বলছে, সে ভাই ২০০২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে নেই। তাহলে কী করে অভিযোগ সত্য হলো?
প্রশ্ন: আরও অভিযোগ ছিল, আপনি আপনার সেই ভাইকে জেলখানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে সহায়তা করেছেন।
উত্তর: তাঁকে ক্ষমা করার ব্যাপারে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে চিঠি দিয়েছিলেন, সেখানে উল্লেখ আছে, তাঁদের অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ। কারণ, আমার ভাই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এখানে আমি কী করে পদের অপব্যবহার করলাম?
প্রশ্ন: তাহলে আপনি আপনার ভাইকে ছাড়াতে কোনো সহযোগিতা করেননি?
উত্তর: না। আমি বলছি, সহযোগিতা করিনি। আমার ভাইয়ের সাজা মওকুফে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না।
প্রশ্ন: সেনাপ্রধান হওয়ার ছয় মাস আগে আপনার এক ভাই জেল থেকে মুক্তি পান, তখন আলোচনা ছিল যে আপনি প্রভাব খাটিয়েছেন।
উত্তর: দেখুন, অভিযোগের প্রমাণ লাগে। কোনো সংবাদমাধ্যম কি প্রমাণ দিয়ে সেটা বলতে পেরেছে? পারেনি।
প্রশ্ন: আপনি সেনাপ্রধান হওয়ার পর আপনার আরেক ভাই জেল থেকে মুক্তি পান, সেটা নিয়েও সমালোচনা ছিল।
উত্তর: দেখুন, কারামুক্তির প্রক্রিয়াটি অনেক আগে থেকে হয়। যখন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তখন আমি সেনাপ্রধানই ছিলাম না।
প্রশ্ন: শেষ পর্যন্ত এসব ঘটনাই কি নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে?
উত্তর: এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।
প্রশ্ন: আপনার এক ভাই সন্ত্রাসী মামলায় সাজা খাটার পর সেনাপ্রধানের বাসায় থেকেছেন, এটা কি ঠিক?
উত্তর: তারা তখন সবকিছু থেকে মুক্ত। তখন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ ছিল না। তাহলে আমার বাসায় আসাটা কি অন্যায়? তারা আমার নয়, নিজের বাসাতেই থেকেছে।
প্রশ্ন: আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনি কি মনে করেন এ নিষেধাজ্ঞা সেসব প্রতিষ্ঠানকেও বিতর্কিত করেছে?
উত্তর: দেখুন, নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান জড়িত নয়। এটা ব্যক্তির বিরুদ্ধে, প্রতিষ্ঠানের নয়।
প্রশ্ন: তাহলে আপনি বলছেন, এতে কোনো প্রতিষ্ঠানের গায়ে দাগ লাগছে না?
উত্তর: আমি মনে করি, শুধু আমাকে বিতর্কিত করার জন্য এটা হয়েছে। তারপরও যারা আমাকে নিয়োগ দিয়েছে, তারাও কিছুটা হলে এর মধ্যে চলে আসে।
প্রশ্ন: সরকারের কি কোনো দায় আছে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: না, আমি সেটা মনে করি না। আমি এটাকে দায় হিসেবে নিতেই চাই না, এটা মিথ্যে।
প্রশ্ন: তাহলে বলুন, আপনাকে ঘিরে এত অভিযোগ কেন? আর কারও বিরুদ্ধে তো এমন অভিযোগ শোনা যায় না।
উত্তর: শুধু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এটা আমি মানব না। দেখুন, আমি দুটি বাহিনীর প্রধান থাকার সময় দেশে দুটি নির্বাচন হয়েছে। আর কাউকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। তারপরও আমি অন্যদের নিয়ে কিছু বলতে চাই না।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আপনাকে একটি নৈতিক দায়ের মুখে পড়তে হয়েছে?
উত্তর: আমি কেন নৈতিক দায় নেব? দুটি বাহিনী কমান্ড করার সময় আমি এমন কিছু করিনি যে সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে। এখন কেউ আপনাকে পছন্দ না করে কিছু বললে তার দায় তো আপনার হতে পারে না।
প্রশ্ন: আপনার পরিবারের লোকজন তো রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ছিল, তাহলে এসবের পেছনে কোনো রাজনীতি থাকতে পারে বলে মনে করেন?
উত্তর: আমার পরিবার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমি তো সৈনিকই ছিলাম। তারপরও আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। একদল এসে বলেছে আমি অন্য দলের, আবার সেই দল এসে অন্য কথা বলেছে।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, এ ঘটনা সরকারকে বিব্রত করেছে?
উত্তর: এটা বলে আমি বিষয়টি সরকারের ঘাড়ে নিয়ে যেতে চাই না। দায় আসবে কি না সেটা সরকার মূল্যায়ন করবে। তা ছাড়া বিষয়টি তো সত্য নয়, তাহলে দায়ের প্রশ্ন কেন?
প্রশ্ন: তাহলে এর কোনো তাৎপর্য নেই বলছেন?
উত্তর: এটা একেকজনে একেক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন। আমার দৃষ্টি আলাদা।
প্রশ্ন: তাহলে আপনি বিষয়টিকে কোণ দৃষ্টিতে দেখছেন?
উত্তর:আমার দৃষ্টি হলো, এটা আমি ও আমার পরিবারের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
প্রশ্ন: আপনার বা আপনার পরিবারের কোনো সম্পদ কি আমেরিকায় আছে?
উত্তর: না, কানাকড়িও নেই।
প্রশ্ন: নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কি সরকার বা আমেরিকার পক্ষ থেকে আপনাকে জানানো হয়েছিল?
উত্তর: না, আমি জানতাম না। আজ সকালে আমার এক বন্ধু এটা জানাল।
প্রশ্ন: এখন আপনি কী করবেন ভাবছেন?
উত্তর: এতে কী করার আছে?
প্রশ্ন: নিষেধাজ্ঞার ফলে আপনি আমেরিকা ও তাদের বন্ধু দেশে যেতে পারবেন না।
উত্তর: এটা মনে হয় ঠিক না। আমি তো ঘুরে বেড়াচ্ছি, কেউ না করেনি। আমি মনে করি না নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাইরে যেতে পারব না। আর আমেরিকায় যেতেই হবে, এমন কোনো কথা আছে?
প্রশ্ন: আপনার নিষেধাজ্ঞার পেছনে রাজনীতিটা কী?
উত্তর: রাজনীতি অবশ্যই আছে। আল জাজিরা কী করেছে দেখুন, তারা আমার আমেরিকা সফর বাতিল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেটা পারেনি। ৯টা এনজিও জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আবেদন করেছিল যাতে কেউ আমার সঙ্গে বৈঠক না করে। সেটাও পারেনি। আল জাজিরা আমাকে, দেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করতেই সেটা করেছিল।
প্রশ্ন: আর এখন?
উত্তর: হয়তো সরকারকেও কিছু হেয় করতেই এটা করা হয়েছে। তবে আমি এটা বলতে চাই না। কারণ, আমি এখন সরকারের কেউ নই।
প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ।
উত্তর: আপনাকেও।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যদিও ব্যক্তিগত, তারপরও বর্তমান সরকারের সময়ে তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই ঘটনাটি কিছুটা হলেও সরকারকে হেয় করে। তাঁর ভাষায়, ‘এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে রাজনীতি আছে।’
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও তার পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে গতকাল মিরপুর ডিওএইচএসের বাসভবনে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান। পুরো কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আপনার ও আপনার পরিবারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটাকে কীভাবে দেখছেন?
উত্তর: এটা শুনে আমি অবাক ও মর্মাহত হয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমার বিরুদ্ধে যে দুটো অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়, মিথ্যা।
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আপনি আপনার ভাইকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে আপনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন।
উত্তর: আপনারা হয়তো খেয়াল করবেন, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল, সেখানে সেই একই কথা ছিল। তাহলে সহজেই বুঝতে পারছেন আল জাজিরার তথ্যচিত্র ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা একই সূত্রে গাঁথা।
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো, সেনাপ্রধান হিসেবে আপনি নিজের ভাইকে সামরিক কাজ দিয়ে ঘুষ নিয়েছেন, দুর্নীতি করেছেন।
উত্তর: আমি চার বছর ডিজি বিজিবি থাকাকালে কিংবা তিন বছর সেনাপ্রধান থাকাকালে আমার কোনো ভাইকে বা কোনো আত্মীয়কে কোনো কন্ট্রাক্ট দিয়েছি, এমন যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, আমি যেকোনো পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। দেখুন, একই কথা আল জাজিরাতে ছিল। তারাও বলেছে, আমি আমার দাপ্তরিক সুবিধা ব্যবহার করে ভাইকে সুবিধা দিয়েছি। তারা যে ভাইয়ের কথা বলছে, সে ভাই ২০০২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে নেই। তাহলে কী করে অভিযোগ সত্য হলো?
প্রশ্ন: আরও অভিযোগ ছিল, আপনি আপনার সেই ভাইকে জেলখানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে সহায়তা করেছেন।
উত্তর: তাঁকে ক্ষমা করার ব্যাপারে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে চিঠি দিয়েছিলেন, সেখানে উল্লেখ আছে, তাঁদের অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ। কারণ, আমার ভাই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এখানে আমি কী করে পদের অপব্যবহার করলাম?
প্রশ্ন: তাহলে আপনি আপনার ভাইকে ছাড়াতে কোনো সহযোগিতা করেননি?
উত্তর: না। আমি বলছি, সহযোগিতা করিনি। আমার ভাইয়ের সাজা মওকুফে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না।
প্রশ্ন: সেনাপ্রধান হওয়ার ছয় মাস আগে আপনার এক ভাই জেল থেকে মুক্তি পান, তখন আলোচনা ছিল যে আপনি প্রভাব খাটিয়েছেন।
উত্তর: দেখুন, অভিযোগের প্রমাণ লাগে। কোনো সংবাদমাধ্যম কি প্রমাণ দিয়ে সেটা বলতে পেরেছে? পারেনি।
প্রশ্ন: আপনি সেনাপ্রধান হওয়ার পর আপনার আরেক ভাই জেল থেকে মুক্তি পান, সেটা নিয়েও সমালোচনা ছিল।
উত্তর: দেখুন, কারামুক্তির প্রক্রিয়াটি অনেক আগে থেকে হয়। যখন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তখন আমি সেনাপ্রধানই ছিলাম না।
প্রশ্ন: শেষ পর্যন্ত এসব ঘটনাই কি নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে?
উত্তর: এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।
প্রশ্ন: আপনার এক ভাই সন্ত্রাসী মামলায় সাজা খাটার পর সেনাপ্রধানের বাসায় থেকেছেন, এটা কি ঠিক?
উত্তর: তারা তখন সবকিছু থেকে মুক্ত। তখন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ ছিল না। তাহলে আমার বাসায় আসাটা কি অন্যায়? তারা আমার নয়, নিজের বাসাতেই থেকেছে।
প্রশ্ন: আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনি কি মনে করেন এ নিষেধাজ্ঞা সেসব প্রতিষ্ঠানকেও বিতর্কিত করেছে?
উত্তর: দেখুন, নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান জড়িত নয়। এটা ব্যক্তির বিরুদ্ধে, প্রতিষ্ঠানের নয়।
প্রশ্ন: তাহলে আপনি বলছেন, এতে কোনো প্রতিষ্ঠানের গায়ে দাগ লাগছে না?
উত্তর: আমি মনে করি, শুধু আমাকে বিতর্কিত করার জন্য এটা হয়েছে। তারপরও যারা আমাকে নিয়োগ দিয়েছে, তারাও কিছুটা হলে এর মধ্যে চলে আসে।
প্রশ্ন: সরকারের কি কোনো দায় আছে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: না, আমি সেটা মনে করি না। আমি এটাকে দায় হিসেবে নিতেই চাই না, এটা মিথ্যে।
প্রশ্ন: তাহলে বলুন, আপনাকে ঘিরে এত অভিযোগ কেন? আর কারও বিরুদ্ধে তো এমন অভিযোগ শোনা যায় না।
উত্তর: শুধু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এটা আমি মানব না। দেখুন, আমি দুটি বাহিনীর প্রধান থাকার সময় দেশে দুটি নির্বাচন হয়েছে। আর কাউকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। তারপরও আমি অন্যদের নিয়ে কিছু বলতে চাই না।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আপনাকে একটি নৈতিক দায়ের মুখে পড়তে হয়েছে?
উত্তর: আমি কেন নৈতিক দায় নেব? দুটি বাহিনী কমান্ড করার সময় আমি এমন কিছু করিনি যে সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে। এখন কেউ আপনাকে পছন্দ না করে কিছু বললে তার দায় তো আপনার হতে পারে না।
প্রশ্ন: আপনার পরিবারের লোকজন তো রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ছিল, তাহলে এসবের পেছনে কোনো রাজনীতি থাকতে পারে বলে মনে করেন?
উত্তর: আমার পরিবার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমি তো সৈনিকই ছিলাম। তারপরও আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। একদল এসে বলেছে আমি অন্য দলের, আবার সেই দল এসে অন্য কথা বলেছে।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, এ ঘটনা সরকারকে বিব্রত করেছে?
উত্তর: এটা বলে আমি বিষয়টি সরকারের ঘাড়ে নিয়ে যেতে চাই না। দায় আসবে কি না সেটা সরকার মূল্যায়ন করবে। তা ছাড়া বিষয়টি তো সত্য নয়, তাহলে দায়ের প্রশ্ন কেন?
প্রশ্ন: তাহলে এর কোনো তাৎপর্য নেই বলছেন?
উত্তর: এটা একেকজনে একেক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন। আমার দৃষ্টি আলাদা।
প্রশ্ন: তাহলে আপনি বিষয়টিকে কোণ দৃষ্টিতে দেখছেন?
উত্তর:আমার দৃষ্টি হলো, এটা আমি ও আমার পরিবারের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
প্রশ্ন: আপনার বা আপনার পরিবারের কোনো সম্পদ কি আমেরিকায় আছে?
উত্তর: না, কানাকড়িও নেই।
প্রশ্ন: নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কি সরকার বা আমেরিকার পক্ষ থেকে আপনাকে জানানো হয়েছিল?
উত্তর: না, আমি জানতাম না। আজ সকালে আমার এক বন্ধু এটা জানাল।
প্রশ্ন: এখন আপনি কী করবেন ভাবছেন?
উত্তর: এতে কী করার আছে?
প্রশ্ন: নিষেধাজ্ঞার ফলে আপনি আমেরিকা ও তাদের বন্ধু দেশে যেতে পারবেন না।
উত্তর: এটা মনে হয় ঠিক না। আমি তো ঘুরে বেড়াচ্ছি, কেউ না করেনি। আমি মনে করি না নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাইরে যেতে পারব না। আর আমেরিকায় যেতেই হবে, এমন কোনো কথা আছে?
প্রশ্ন: আপনার নিষেধাজ্ঞার পেছনে রাজনীতিটা কী?
উত্তর: রাজনীতি অবশ্যই আছে। আল জাজিরা কী করেছে দেখুন, তারা আমার আমেরিকা সফর বাতিল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেটা পারেনি। ৯টা এনজিও জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আবেদন করেছিল যাতে কেউ আমার সঙ্গে বৈঠক না করে। সেটাও পারেনি। আল জাজিরা আমাকে, দেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করতেই সেটা করেছিল।
প্রশ্ন: আর এখন?
উত্তর: হয়তো সরকারকেও কিছু হেয় করতেই এটা করা হয়েছে। তবে আমি এটা বলতে চাই না। কারণ, আমি এখন সরকারের কেউ নই।
প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ।
উত্তর: আপনাকেও।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৭ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যদিও ব্যক্তিগত, তারপরও
২২ মে ২০২৪
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যদিও ব্যক্তিগত, তারপরও
২২ মে ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যদিও ব্যক্তিগত, তারপরও
২২ মে ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৭ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যদিও ব্যক্তিগত, তারপরও
২২ মে ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৭ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১০ ঘণ্টা আগে