তানিম আহমেদ, ঢাকা

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে। সংবিধান সংশোধনের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেই অন্য একটি উপায় প্রস্তাব করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন ‘অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব’।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মত দেন সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করা অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অতীতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনী হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। ফলে এটা এটা হয়েছে, এটা সম্ভব। কিন্তু সেটাই একমাত্র বিবেচনা আমাদের ছিল না। কারণ আমরা কোনো কিছুই অ্যাজেন্ডা সেট করছি না।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজের এই মতের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে রাজনীতিবিদ ও আইনজ্ঞদের। কারও মতে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হলেও পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দিতে হবে। কেউ বলছেন, গণপরিষদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করলে সংকট ঘনীভূত হবে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে সংবিধান গণপরিষদ কিংবা যেকোনোভাবে সংশোধন করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
সংবিধান লেখা বা সংশোধনের দুটো পদ্ধতির একটি হলো গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন, অন্যটি জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন। বাংলাদেশে এখন নির্বাচিত সংসদ নেই। বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে, বিদ্যমান সংবিধানে এর কোনো ভিত্তি নেই। তবে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’-এর কারণে এই সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সেই একই কারণে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এটা বৈধ।
একই মত দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানের প্রভিশনের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের আনীত সমস্যাগুলোর সংশোধনী করা যায়।’
তবে ভিন্নমতও আছে আইনজ্ঞদের মধ্যে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছেন, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ বর্তমান সংবিধানে নেই। তিনি বলেন, সংবিধান জীবিত থাকা অবস্থায়, সংবিধানের যা বলা আছে, তার বাইরের কোনো শব্দ ইনিয়ে-বিনিয়ে সংযোজন করার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপতি সংবিধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন, এই কথাটা সংবিধান সংশোধন (জাতীয় সংসদের মাধ্যমে) করে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয় বলে মনে করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমও।
এ বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে সবই সম্ভব। এরশাদ পতনের পরে সাহাবুদ্দীন আহমদ কিসের ভিত্তিতে দায়িত্ব নিলেন? রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে মেথডটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেটা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পরে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। এরপর ১৯৯১ সালে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সাহাবুদ্দীনের নিয়োগের বৈধতা দেওয়া হয়। সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে যাওয়ার বিধান পাস হয়।
বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে অধ্যাদেশ জারির বিধান রয়েছে। সংসদ ভেঙে গেলে বা সংসদের অধিবেশন না থাকলে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে সন্তোষজনক মনে করলে অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করতে পারবেন। জারির সময় থেকে ওই অধ্যাদেশ আইনের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। সংবিধানে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, অধ্যাদেশ যথাশিগগির সংসদে উপস্থাপিত হবে। এ ক্ষেত্রে সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে উপস্থাপন করতে হয়। তবে সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তিত বা রহিত করে এবং সংসদের আইন দ্বারা আইনসংগতভাবে করা যায় না—অধ্যাদেশে এমন কোনো বিধান করা যাবে না বলে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধানে অধ্যাদেশ জারির সুযোগ থাকায় এর মধ্য দিয়ে সংবিধান সংশোধনের পথ খুঁজছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অতীতে কখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয়েছে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অধ্যাদেশ জারির কথা বলেছি। তবে এটা হয়েছে প্রক্লেমেশনের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে বেশ কয়েকটি প্রক্লেমেশন (সাংবিধানিক ঘোষণা)-এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয়। পরবর্তীতে পঞ্চম সংশোধনীতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়। এটাকে অধ্যাদেশও বলতে পারেন। প্রক্লেমেশনও বলতে পারেন।’
বিএনপির সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অতীতেও অধ্যাদেশের মাধ্যমে হওয়া সংশোধনী পরবর্তী জাতীয় সংসদকে বৈধতা দিতে হয়েছিল। অতএব শেষমেশ সংসদকে সংশোধনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতএব সংসদ হলো চূড়ান্ত অথরিটি।
অন্তর্বর্তী সরকার যদি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এমন প্রশ্নে দলটির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘সেটা এখনো জানি না। জানলে আমরা দলগতভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত।’ আর সরকারই যদি সংশোধনী করে, তাহলে ১৫তম সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্টে রিট কেন করেছিল সেই প্রশ্নও তোলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবিধান সংস্কারের পদ্ধতি নিয়ে লিখিত মতামত জামায়াতে ইসলামী সরকারকে দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের অনেক পদ্ধতি আছে। এটি সংসদে সম্ভব, অধ্যাদেশ জারি করে সম্ভব, গণপরিষদে সম্ভব। যে কেউ তার অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে বলতে পারে, তবে সংবিধান নিয়ে আমাদের অনেক কথা রয়েছে। এটা এক প্রশ্নে বললে জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
গণপরিষদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন হলে দেশের সংকট ঘনীভূত হবে এবং ভুল পথে যাওয়া হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার হওয়ার পরে পরবর্তী সরকার সেটার বৈধতা না দিলে বড় ধরনের ক্রাইসিস তৈরি হবে। সেখানে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে আগামী নির্বাচন যদি গণপরিষদ ও আইনসভা (জাতীয় সংসদ) হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে। সংবিধান সংশোধনের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেই অন্য একটি উপায় প্রস্তাব করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন ‘অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব’।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মত দেন সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করা অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অতীতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনী হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। ফলে এটা এটা হয়েছে, এটা সম্ভব। কিন্তু সেটাই একমাত্র বিবেচনা আমাদের ছিল না। কারণ আমরা কোনো কিছুই অ্যাজেন্ডা সেট করছি না।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজের এই মতের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে রাজনীতিবিদ ও আইনজ্ঞদের। কারও মতে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হলেও পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দিতে হবে। কেউ বলছেন, গণপরিষদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করলে সংকট ঘনীভূত হবে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে সংবিধান গণপরিষদ কিংবা যেকোনোভাবে সংশোধন করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
সংবিধান লেখা বা সংশোধনের দুটো পদ্ধতির একটি হলো গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন, অন্যটি জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন। বাংলাদেশে এখন নির্বাচিত সংসদ নেই। বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে, বিদ্যমান সংবিধানে এর কোনো ভিত্তি নেই। তবে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’-এর কারণে এই সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সেই একই কারণে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এটা বৈধ।
একই মত দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানের প্রভিশনের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের আনীত সমস্যাগুলোর সংশোধনী করা যায়।’
তবে ভিন্নমতও আছে আইনজ্ঞদের মধ্যে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছেন, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ বর্তমান সংবিধানে নেই। তিনি বলেন, সংবিধান জীবিত থাকা অবস্থায়, সংবিধানের যা বলা আছে, তার বাইরের কোনো শব্দ ইনিয়ে-বিনিয়ে সংযোজন করার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপতি সংবিধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন, এই কথাটা সংবিধান সংশোধন (জাতীয় সংসদের মাধ্যমে) করে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয় বলে মনে করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমও।
এ বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে সবই সম্ভব। এরশাদ পতনের পরে সাহাবুদ্দীন আহমদ কিসের ভিত্তিতে দায়িত্ব নিলেন? রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে মেথডটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেটা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পরে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। এরপর ১৯৯১ সালে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সাহাবুদ্দীনের নিয়োগের বৈধতা দেওয়া হয়। সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে যাওয়ার বিধান পাস হয়।
বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে অধ্যাদেশ জারির বিধান রয়েছে। সংসদ ভেঙে গেলে বা সংসদের অধিবেশন না থাকলে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে সন্তোষজনক মনে করলে অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করতে পারবেন। জারির সময় থেকে ওই অধ্যাদেশ আইনের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। সংবিধানে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, অধ্যাদেশ যথাশিগগির সংসদে উপস্থাপিত হবে। এ ক্ষেত্রে সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে উপস্থাপন করতে হয়। তবে সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তিত বা রহিত করে এবং সংসদের আইন দ্বারা আইনসংগতভাবে করা যায় না—অধ্যাদেশে এমন কোনো বিধান করা যাবে না বলে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধানে অধ্যাদেশ জারির সুযোগ থাকায় এর মধ্য দিয়ে সংবিধান সংশোধনের পথ খুঁজছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অতীতে কখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয়েছে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অধ্যাদেশ জারির কথা বলেছি। তবে এটা হয়েছে প্রক্লেমেশনের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে বেশ কয়েকটি প্রক্লেমেশন (সাংবিধানিক ঘোষণা)-এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয়। পরবর্তীতে পঞ্চম সংশোধনীতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়। এটাকে অধ্যাদেশও বলতে পারেন। প্রক্লেমেশনও বলতে পারেন।’
বিএনপির সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অতীতেও অধ্যাদেশের মাধ্যমে হওয়া সংশোধনী পরবর্তী জাতীয় সংসদকে বৈধতা দিতে হয়েছিল। অতএব শেষমেশ সংসদকে সংশোধনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতএব সংসদ হলো চূড়ান্ত অথরিটি।
অন্তর্বর্তী সরকার যদি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এমন প্রশ্নে দলটির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘সেটা এখনো জানি না। জানলে আমরা দলগতভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত।’ আর সরকারই যদি সংশোধনী করে, তাহলে ১৫তম সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্টে রিট কেন করেছিল সেই প্রশ্নও তোলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবিধান সংস্কারের পদ্ধতি নিয়ে লিখিত মতামত জামায়াতে ইসলামী সরকারকে দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের অনেক পদ্ধতি আছে। এটি সংসদে সম্ভব, অধ্যাদেশ জারি করে সম্ভব, গণপরিষদে সম্ভব। যে কেউ তার অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে বলতে পারে, তবে সংবিধান নিয়ে আমাদের অনেক কথা রয়েছে। এটা এক প্রশ্নে বললে জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
গণপরিষদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন হলে দেশের সংকট ঘনীভূত হবে এবং ভুল পথে যাওয়া হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার হওয়ার পরে পরবর্তী সরকার সেটার বৈধতা না দিলে বড় ধরনের ক্রাইসিস তৈরি হবে। সেখানে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে আগামী নির্বাচন যদি গণপরিষদ ও আইনসভা (জাতীয় সংসদ) হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
২১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৬ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।
এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’
সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।
নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’
গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’
গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।
এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’
সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।
নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’
গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’
গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
১১ মার্চ ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
১১ মার্চ ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
২১ মিনিট আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
১১ মার্চ ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
২১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
১১ মার্চ ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
২১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে