তানিম আহমেদ, ঢাকা

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে। সংবিধান সংশোধনের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেই অন্য একটি উপায় প্রস্তাব করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন ‘অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব’।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মত দেন সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করা অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অতীতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনী হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। ফলে এটা এটা হয়েছে, এটা সম্ভব। কিন্তু সেটাই একমাত্র বিবেচনা আমাদের ছিল না। কারণ আমরা কোনো কিছুই অ্যাজেন্ডা সেট করছি না।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজের এই মতের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে রাজনীতিবিদ ও আইনজ্ঞদের। কারও মতে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হলেও পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দিতে হবে। কেউ বলছেন, গণপরিষদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করলে সংকট ঘনীভূত হবে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে সংবিধান গণপরিষদ কিংবা যেকোনোভাবে সংশোধন করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
সংবিধান লেখা বা সংশোধনের দুটো পদ্ধতির একটি হলো গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন, অন্যটি জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন। বাংলাদেশে এখন নির্বাচিত সংসদ নেই। বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে, বিদ্যমান সংবিধানে এর কোনো ভিত্তি নেই। তবে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’-এর কারণে এই সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সেই একই কারণে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এটা বৈধ।
একই মত দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানের প্রভিশনের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের আনীত সমস্যাগুলোর সংশোধনী করা যায়।’
তবে ভিন্নমতও আছে আইনজ্ঞদের মধ্যে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছেন, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ বর্তমান সংবিধানে নেই। তিনি বলেন, সংবিধান জীবিত থাকা অবস্থায়, সংবিধানের যা বলা আছে, তার বাইরের কোনো শব্দ ইনিয়ে-বিনিয়ে সংযোজন করার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপতি সংবিধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন, এই কথাটা সংবিধান সংশোধন (জাতীয় সংসদের মাধ্যমে) করে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয় বলে মনে করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমও।
এ বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে সবই সম্ভব। এরশাদ পতনের পরে সাহাবুদ্দীন আহমদ কিসের ভিত্তিতে দায়িত্ব নিলেন? রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে মেথডটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেটা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পরে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। এরপর ১৯৯১ সালে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সাহাবুদ্দীনের নিয়োগের বৈধতা দেওয়া হয়। সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে যাওয়ার বিধান পাস হয়।
বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে অধ্যাদেশ জারির বিধান রয়েছে। সংসদ ভেঙে গেলে বা সংসদের অধিবেশন না থাকলে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে সন্তোষজনক মনে করলে অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করতে পারবেন। জারির সময় থেকে ওই অধ্যাদেশ আইনের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। সংবিধানে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, অধ্যাদেশ যথাশিগগির সংসদে উপস্থাপিত হবে। এ ক্ষেত্রে সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে উপস্থাপন করতে হয়। তবে সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তিত বা রহিত করে এবং সংসদের আইন দ্বারা আইনসংগতভাবে করা যায় না—অধ্যাদেশে এমন কোনো বিধান করা যাবে না বলে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধানে অধ্যাদেশ জারির সুযোগ থাকায় এর মধ্য দিয়ে সংবিধান সংশোধনের পথ খুঁজছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অতীতে কখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয়েছে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অধ্যাদেশ জারির কথা বলেছি। তবে এটা হয়েছে প্রক্লেমেশনের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে বেশ কয়েকটি প্রক্লেমেশন (সাংবিধানিক ঘোষণা)-এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয়। পরবর্তীতে পঞ্চম সংশোধনীতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়। এটাকে অধ্যাদেশও বলতে পারেন। প্রক্লেমেশনও বলতে পারেন।’
বিএনপির সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অতীতেও অধ্যাদেশের মাধ্যমে হওয়া সংশোধনী পরবর্তী জাতীয় সংসদকে বৈধতা দিতে হয়েছিল। অতএব শেষমেশ সংসদকে সংশোধনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতএব সংসদ হলো চূড়ান্ত অথরিটি।
অন্তর্বর্তী সরকার যদি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এমন প্রশ্নে দলটির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘সেটা এখনো জানি না। জানলে আমরা দলগতভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত।’ আর সরকারই যদি সংশোধনী করে, তাহলে ১৫তম সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্টে রিট কেন করেছিল সেই প্রশ্নও তোলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবিধান সংস্কারের পদ্ধতি নিয়ে লিখিত মতামত জামায়াতে ইসলামী সরকারকে দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের অনেক পদ্ধতি আছে। এটি সংসদে সম্ভব, অধ্যাদেশ জারি করে সম্ভব, গণপরিষদে সম্ভব। যে কেউ তার অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে বলতে পারে, তবে সংবিধান নিয়ে আমাদের অনেক কথা রয়েছে। এটা এক প্রশ্নে বললে জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
গণপরিষদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন হলে দেশের সংকট ঘনীভূত হবে এবং ভুল পথে যাওয়া হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার হওয়ার পরে পরবর্তী সরকার সেটার বৈধতা না দিলে বড় ধরনের ক্রাইসিস তৈরি হবে। সেখানে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে আগামী নির্বাচন যদি গণপরিষদ ও আইনসভা (জাতীয় সংসদ) হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে। সংবিধান সংশোধনের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যেই অন্য একটি উপায় প্রস্তাব করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন ‘অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব’।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মত দেন সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করা অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অতীতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনী হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। ফলে এটা এটা হয়েছে, এটা সম্ভব। কিন্তু সেটাই একমাত্র বিবেচনা আমাদের ছিল না। কারণ আমরা কোনো কিছুই অ্যাজেন্ডা সেট করছি না।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজের এই মতের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে রাজনীতিবিদ ও আইনজ্ঞদের। কারও মতে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হলেও পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দিতে হবে। কেউ বলছেন, গণপরিষদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করলে সংকট ঘনীভূত হবে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে সংবিধান গণপরিষদ কিংবা যেকোনোভাবে সংশোধন করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
সংবিধান লেখা বা সংশোধনের দুটো পদ্ধতির একটি হলো গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন, অন্যটি জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন। বাংলাদেশে এখন নির্বাচিত সংসদ নেই। বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে, বিদ্যমান সংবিধানে এর কোনো ভিত্তি নেই। তবে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’-এর কারণে এই সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সেই একই কারণে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এটা বৈধ।
একই মত দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানের প্রভিশনের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের আনীত সমস্যাগুলোর সংশোধনী করা যায়।’
তবে ভিন্নমতও আছে আইনজ্ঞদের মধ্যে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছেন, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ বর্তমান সংবিধানে নেই। তিনি বলেন, সংবিধান জীবিত থাকা অবস্থায়, সংবিধানের যা বলা আছে, তার বাইরের কোনো শব্দ ইনিয়ে-বিনিয়ে সংযোজন করার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপতি সংবিধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন, এই কথাটা সংবিধান সংশোধন (জাতীয় সংসদের মাধ্যমে) করে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয় বলে মনে করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমও।
এ বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে সবই সম্ভব। এরশাদ পতনের পরে সাহাবুদ্দীন আহমদ কিসের ভিত্তিতে দায়িত্ব নিলেন? রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে মেথডটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেটা তাদের ওপর নির্ভর করবে।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পরে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। এরপর ১৯৯১ সালে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সাহাবুদ্দীনের নিয়োগের বৈধতা দেওয়া হয়। সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে যাওয়ার বিধান পাস হয়।
বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে অধ্যাদেশ জারির বিধান রয়েছে। সংসদ ভেঙে গেলে বা সংসদের অধিবেশন না থাকলে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে সন্তোষজনক মনে করলে অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করতে পারবেন। জারির সময় থেকে ওই অধ্যাদেশ আইনের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। সংবিধানে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, অধ্যাদেশ যথাশিগগির সংসদে উপস্থাপিত হবে। এ ক্ষেত্রে সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে উপস্থাপন করতে হয়। তবে সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তিত বা রহিত করে এবং সংসদের আইন দ্বারা আইনসংগতভাবে করা যায় না—অধ্যাদেশে এমন কোনো বিধান করা যাবে না বলে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধানে অধ্যাদেশ জারির সুযোগ থাকায় এর মধ্য দিয়ে সংবিধান সংশোধনের পথ খুঁজছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অতীতে কখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয়েছে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অধ্যাদেশ জারির কথা বলেছি। তবে এটা হয়েছে প্রক্লেমেশনের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে বেশ কয়েকটি প্রক্লেমেশন (সাংবিধানিক ঘোষণা)-এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন হয়। পরবর্তীতে পঞ্চম সংশোধনীতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়। এটাকে অধ্যাদেশও বলতে পারেন। প্রক্লেমেশনও বলতে পারেন।’
বিএনপির সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অতীতেও অধ্যাদেশের মাধ্যমে হওয়া সংশোধনী পরবর্তী জাতীয় সংসদকে বৈধতা দিতে হয়েছিল। অতএব শেষমেশ সংসদকে সংশোধনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতএব সংসদ হলো চূড়ান্ত অথরিটি।
অন্তর্বর্তী সরকার যদি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এমন প্রশ্নে দলটির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘সেটা এখনো জানি না। জানলে আমরা দলগতভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত।’ আর সরকারই যদি সংশোধনী করে, তাহলে ১৫তম সংশোধনীর বিষয়ে হাইকোর্টে রিট কেন করেছিল সেই প্রশ্নও তোলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবিধান সংস্কারের পদ্ধতি নিয়ে লিখিত মতামত জামায়াতে ইসলামী সরকারকে দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের অনেক পদ্ধতি আছে। এটি সংসদে সম্ভব, অধ্যাদেশ জারি করে সম্ভব, গণপরিষদে সম্ভব। যে কেউ তার অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে বলতে পারে, তবে সংবিধান নিয়ে আমাদের অনেক কথা রয়েছে। এটা এক প্রশ্নে বললে জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
গণপরিষদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন হলে দেশের সংকট ঘনীভূত হবে এবং ভুল পথে যাওয়া হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার হওয়ার পরে পরবর্তী সরকার সেটার বৈধতা না দিলে বড় ধরনের ক্রাইসিস তৈরি হবে। সেখানে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে আগামী নির্বাচন যদি গণপরিষদ ও আইনসভা (জাতীয় সংসদ) হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৯ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মিসাইল ফায়ারিং পরিচালিত হবে। এ সময় জানমালের নিরাপত্তায় সকল নৌযান, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উক্ত এলাকায় অবস্থান ও চলাচল পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মিসাইল ফায়ারিং পরিচালিত হবে। এ সময় জানমালের নিরাপত্তায় সকল নৌযান, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উক্ত এলাকায় অবস্থান ও চলাচল পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
১১ মার্চ ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৯ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
১১ মার্চ ২০২৫
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
২ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
২ দিন আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
১১ মার্চ ২০২৫
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

নির্বাচিত সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে, এমনটাই বলছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া, গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংবিধান সংশোধনে
১১ মার্চ ২০২৫
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৯ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে