
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরাতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১১ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিলটি খারিজ করে রায় দেন।
২০১৭ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ রোববার রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতেই ফিরে এল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়।
তবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনকালে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনে সেই ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে দেওয়া, যার প্রধান হবেন প্রধান বিচারপতি।
উচ্চ আদালতের কোনো বিচারপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, তাহলে তাঁকে কীভাবে অপসারণ করা হবে এ বিষয়ে ২০১৪ সালে আবার সংবিধান সংশোধন করে আওয়ামী লীগ। ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয়, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে থাকবে।
সংবিধানের এই সংশোধনীর তীব্র বিরোধিতা করে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন। সরকার এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বলে তারা অভিযোগ করে।
যদিও তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলেও তাঁরা কোনো বিচারকের রায় পছন্দ না হলেই তাঁকে সরিয়ে দিতে পারবেন, ব্যাপারটা সেরকম নয়। বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অযোগ্যতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। আর এই অভিযোগ যাচাই করবে একটি পৃথক স্বাধীন সংস্থা। সুতরাং এখানে এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ নেই।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কী?
বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাস নানা উত্থান-পতনের ঘটনায় ভরপুর। উচ্চ আদালত সামরিক শাসনের সব চিহ্ন মুছে দিলেও সামরিক ফরমানবলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সব সময় অটুট রেখেছেন।
বিখ্যাত মাসদার হোসেন মামলায়, ৫২ ডিএলআর (এডি) ৮২, সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার ওপর দীর্ঘ রায়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ভূমিকা উল্লেখ করা হয়।
বিচারকেরা যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা গুরুতর অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, সে ক্ষেত্রে তাদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক তদন্ত করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত এ কাউন্সিল বিচারকদের আচরণবিধিও নির্ধারণের কাজ করবে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর দফায় বলা আছে, একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকবে, যা এই অনুচ্ছেদে ‘কাউন্সিল’ বলে উল্লিখিত হবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুজন কর্মে প্রবীণ তাঁদের নিয়ে গঠিত হবে।
এই পদ্ধতিতে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিল যদি কোনো সময় কাউন্সিলের সদস্য এ রকম কোনো বিচারকের সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করেন অথবা কাউন্সিলের কোনো সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন, অথবা অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কাজ করতে অসমর্থ হন, তাহলে কাউন্সিলের যাঁরা সদস্য আছেন, তাঁদের মধ্যে পরবর্তী যে বিচারক কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাজ
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ (৪) অনুসারে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের দুই ধরনের দায়িত্ব রয়েছে:
১. বিচারকদের জন্য আচরণবিধি (Code of Conduct) প্রণয়ন এবং
২. বিচারকগণের আচরণ ও সামর্থ্য সংক্রান্তে তদন্ত করা
বিগত ৭ই মে ২০০০ তারিখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জনাব লতিফুর রহমান, বিচারপতি বি বি রায় চৌধুরী ও বিচারপতি জনাব এ এম মাহমুদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথমবারের মতো আচরণবিধি প্রণয়ন করেন। এ ছাড়া, আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী মামলায় ৩৯টি এবং মো. ইদ্রিসুর রহমান বনাম সৈয়দ শাহিদুর রহমান, ৬৮ ডিএলআর (এডি) ২৫৮, মামলায় ৪০টি আচরণবিধি নির্ধারণ করেন। ইদ্রিসুর রহমান মামলায় আদালত উল্লেখ করে যে, প্রদত্ত আচরণবিধিসমূহ চূড়ান্ত নয় বরং ব্যাখ্যামূলক ও উদাহরণ স্বরূপ। একজন বিচারককে শত বছরের প্রতিষ্ঠিত নিয়মকানুন ও নীতি-নৈতিকতা দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের ইতিহাস
১৯৭২ সালে প্রণীত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এ অসদাচরণ ও অক্ষমতার কারণে একজন বিচারপতিকে অপসারণের বিধান রাখা হয়। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির ওপর অপসারণের ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসন জারি হয়। সংবিধানের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। The Second Proclamation (Tenth Amendment) Order, ১৯৭৭ জারি করে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ’৯৬-এ প্রথমবারের মতো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সন্নিবেশ করা হয়। এরপর সংসদ অধিবেশনে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে আগে জারি করা সব আইনের বৈধতা দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে আবারও সামরিক শাসন জারি হয়। The Martial Law Proclamation (First Amendment) Order, ১৯৮২ প্রণয়ন করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসককে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে সংসদ আবার সংসদ অধিবেশন বসে এবং The Constitution Final Revival Order, ১৯৮৬-এর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বনাম ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস, ৬২ ডিএলআর (এডি) ২৯৮, মামলায় সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আপিল বিভাগ ওই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। তবে অধিকতর স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বিবেচনায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান আদালত বলবৎ রাখেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করে। আপিল বিভাগ রিভিউ নিষ্পত্তি করে সামরিক ফরমানে জারিকৃত আইন–কানুনগুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে সংসদকে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। ২০১১ সালের ৩০ জুন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে।
তিন বছর পর ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা আবার সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কিছু আইনজীবী এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সরকার আপিল করে। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই আদালত সর্বসম্মতি ক্রমে আপিলটি খারিজ করেন এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে যা বলছেন আইনজীবীরা
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন।
এই রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের কোনো অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ পর্যন্ত বিধান ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যম বাতিল করা হয়েছিল। এগুলো পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ।
এই রায় ঐতিহাসিক বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
আরও খবর পড়ুন:

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরাতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১১ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিলটি খারিজ করে রায় দেন।
২০১৭ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ রোববার রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতেই ফিরে এল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়।
তবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনকালে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনে সেই ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে দেওয়া, যার প্রধান হবেন প্রধান বিচারপতি।
উচ্চ আদালতের কোনো বিচারপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, তাহলে তাঁকে কীভাবে অপসারণ করা হবে এ বিষয়ে ২০১৪ সালে আবার সংবিধান সংশোধন করে আওয়ামী লীগ। ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয়, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে থাকবে।
সংবিধানের এই সংশোধনীর তীব্র বিরোধিতা করে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন। সরকার এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বলে তারা অভিযোগ করে।
যদিও তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলেও তাঁরা কোনো বিচারকের রায় পছন্দ না হলেই তাঁকে সরিয়ে দিতে পারবেন, ব্যাপারটা সেরকম নয়। বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অযোগ্যতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। আর এই অভিযোগ যাচাই করবে একটি পৃথক স্বাধীন সংস্থা। সুতরাং এখানে এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ নেই।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কী?
বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাস নানা উত্থান-পতনের ঘটনায় ভরপুর। উচ্চ আদালত সামরিক শাসনের সব চিহ্ন মুছে দিলেও সামরিক ফরমানবলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সব সময় অটুট রেখেছেন।
বিখ্যাত মাসদার হোসেন মামলায়, ৫২ ডিএলআর (এডি) ৮২, সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার ওপর দীর্ঘ রায়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ভূমিকা উল্লেখ করা হয়।
বিচারকেরা যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা গুরুতর অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, সে ক্ষেত্রে তাদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক তদন্ত করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত এ কাউন্সিল বিচারকদের আচরণবিধিও নির্ধারণের কাজ করবে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর দফায় বলা আছে, একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকবে, যা এই অনুচ্ছেদে ‘কাউন্সিল’ বলে উল্লিখিত হবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুজন কর্মে প্রবীণ তাঁদের নিয়ে গঠিত হবে।
এই পদ্ধতিতে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিল যদি কোনো সময় কাউন্সিলের সদস্য এ রকম কোনো বিচারকের সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করেন অথবা কাউন্সিলের কোনো সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন, অথবা অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কাজ করতে অসমর্থ হন, তাহলে কাউন্সিলের যাঁরা সদস্য আছেন, তাঁদের মধ্যে পরবর্তী যে বিচারক কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাজ
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ (৪) অনুসারে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের দুই ধরনের দায়িত্ব রয়েছে:
১. বিচারকদের জন্য আচরণবিধি (Code of Conduct) প্রণয়ন এবং
২. বিচারকগণের আচরণ ও সামর্থ্য সংক্রান্তে তদন্ত করা
বিগত ৭ই মে ২০০০ তারিখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জনাব লতিফুর রহমান, বিচারপতি বি বি রায় চৌধুরী ও বিচারপতি জনাব এ এম মাহমুদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথমবারের মতো আচরণবিধি প্রণয়ন করেন। এ ছাড়া, আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী মামলায় ৩৯টি এবং মো. ইদ্রিসুর রহমান বনাম সৈয়দ শাহিদুর রহমান, ৬৮ ডিএলআর (এডি) ২৫৮, মামলায় ৪০টি আচরণবিধি নির্ধারণ করেন। ইদ্রিসুর রহমান মামলায় আদালত উল্লেখ করে যে, প্রদত্ত আচরণবিধিসমূহ চূড়ান্ত নয় বরং ব্যাখ্যামূলক ও উদাহরণ স্বরূপ। একজন বিচারককে শত বছরের প্রতিষ্ঠিত নিয়মকানুন ও নীতি-নৈতিকতা দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের ইতিহাস
১৯৭২ সালে প্রণীত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এ অসদাচরণ ও অক্ষমতার কারণে একজন বিচারপতিকে অপসারণের বিধান রাখা হয়। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির ওপর অপসারণের ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসন জারি হয়। সংবিধানের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। The Second Proclamation (Tenth Amendment) Order, ১৯৭৭ জারি করে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ’৯৬-এ প্রথমবারের মতো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সন্নিবেশ করা হয়। এরপর সংসদ অধিবেশনে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে আগে জারি করা সব আইনের বৈধতা দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে আবারও সামরিক শাসন জারি হয়। The Martial Law Proclamation (First Amendment) Order, ১৯৮২ প্রণয়ন করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসককে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে সংসদ আবার সংসদ অধিবেশন বসে এবং The Constitution Final Revival Order, ১৯৮৬-এর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বনাম ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস, ৬২ ডিএলআর (এডি) ২৯৮, মামলায় সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আপিল বিভাগ ওই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। তবে অধিকতর স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বিবেচনায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান আদালত বলবৎ রাখেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করে। আপিল বিভাগ রিভিউ নিষ্পত্তি করে সামরিক ফরমানে জারিকৃত আইন–কানুনগুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে সংসদকে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। ২০১১ সালের ৩০ জুন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে।
তিন বছর পর ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা আবার সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কিছু আইনজীবী এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সরকার আপিল করে। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই আদালত সর্বসম্মতি ক্রমে আপিলটি খারিজ করেন এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে যা বলছেন আইনজীবীরা
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন।
এই রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের কোনো অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ পর্যন্ত বিধান ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যম বাতিল করা হয়েছিল। এগুলো পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ।
এই রায় ঐতিহাসিক বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
আরও খবর পড়ুন:

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরাতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১১ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিলটি খারিজ করে রায় দেন।
২০১৭ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ রোববার রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতেই ফিরে এল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়।
তবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনকালে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনে সেই ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে দেওয়া, যার প্রধান হবেন প্রধান বিচারপতি।
উচ্চ আদালতের কোনো বিচারপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, তাহলে তাঁকে কীভাবে অপসারণ করা হবে এ বিষয়ে ২০১৪ সালে আবার সংবিধান সংশোধন করে আওয়ামী লীগ। ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয়, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে থাকবে।
সংবিধানের এই সংশোধনীর তীব্র বিরোধিতা করে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন। সরকার এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বলে তারা অভিযোগ করে।
যদিও তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলেও তাঁরা কোনো বিচারকের রায় পছন্দ না হলেই তাঁকে সরিয়ে দিতে পারবেন, ব্যাপারটা সেরকম নয়। বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অযোগ্যতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। আর এই অভিযোগ যাচাই করবে একটি পৃথক স্বাধীন সংস্থা। সুতরাং এখানে এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ নেই।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কী?
বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাস নানা উত্থান-পতনের ঘটনায় ভরপুর। উচ্চ আদালত সামরিক শাসনের সব চিহ্ন মুছে দিলেও সামরিক ফরমানবলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সব সময় অটুট রেখেছেন।
বিখ্যাত মাসদার হোসেন মামলায়, ৫২ ডিএলআর (এডি) ৮২, সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার ওপর দীর্ঘ রায়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ভূমিকা উল্লেখ করা হয়।
বিচারকেরা যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা গুরুতর অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, সে ক্ষেত্রে তাদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক তদন্ত করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত এ কাউন্সিল বিচারকদের আচরণবিধিও নির্ধারণের কাজ করবে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর দফায় বলা আছে, একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকবে, যা এই অনুচ্ছেদে ‘কাউন্সিল’ বলে উল্লিখিত হবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুজন কর্মে প্রবীণ তাঁদের নিয়ে গঠিত হবে।
এই পদ্ধতিতে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিল যদি কোনো সময় কাউন্সিলের সদস্য এ রকম কোনো বিচারকের সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করেন অথবা কাউন্সিলের কোনো সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন, অথবা অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কাজ করতে অসমর্থ হন, তাহলে কাউন্সিলের যাঁরা সদস্য আছেন, তাঁদের মধ্যে পরবর্তী যে বিচারক কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাজ
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ (৪) অনুসারে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের দুই ধরনের দায়িত্ব রয়েছে:
১. বিচারকদের জন্য আচরণবিধি (Code of Conduct) প্রণয়ন এবং
২. বিচারকগণের আচরণ ও সামর্থ্য সংক্রান্তে তদন্ত করা
বিগত ৭ই মে ২০০০ তারিখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জনাব লতিফুর রহমান, বিচারপতি বি বি রায় চৌধুরী ও বিচারপতি জনাব এ এম মাহমুদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথমবারের মতো আচরণবিধি প্রণয়ন করেন। এ ছাড়া, আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী মামলায় ৩৯টি এবং মো. ইদ্রিসুর রহমান বনাম সৈয়দ শাহিদুর রহমান, ৬৮ ডিএলআর (এডি) ২৫৮, মামলায় ৪০টি আচরণবিধি নির্ধারণ করেন। ইদ্রিসুর রহমান মামলায় আদালত উল্লেখ করে যে, প্রদত্ত আচরণবিধিসমূহ চূড়ান্ত নয় বরং ব্যাখ্যামূলক ও উদাহরণ স্বরূপ। একজন বিচারককে শত বছরের প্রতিষ্ঠিত নিয়মকানুন ও নীতি-নৈতিকতা দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের ইতিহাস
১৯৭২ সালে প্রণীত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এ অসদাচরণ ও অক্ষমতার কারণে একজন বিচারপতিকে অপসারণের বিধান রাখা হয়। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির ওপর অপসারণের ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসন জারি হয়। সংবিধানের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। The Second Proclamation (Tenth Amendment) Order, ১৯৭৭ জারি করে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ’৯৬-এ প্রথমবারের মতো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সন্নিবেশ করা হয়। এরপর সংসদ অধিবেশনে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে আগে জারি করা সব আইনের বৈধতা দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে আবারও সামরিক শাসন জারি হয়। The Martial Law Proclamation (First Amendment) Order, ১৯৮২ প্রণয়ন করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসককে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে সংসদ আবার সংসদ অধিবেশন বসে এবং The Constitution Final Revival Order, ১৯৮৬-এর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বনাম ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস, ৬২ ডিএলআর (এডি) ২৯৮, মামলায় সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আপিল বিভাগ ওই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। তবে অধিকতর স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বিবেচনায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান আদালত বলবৎ রাখেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করে। আপিল বিভাগ রিভিউ নিষ্পত্তি করে সামরিক ফরমানে জারিকৃত আইন–কানুনগুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে সংসদকে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। ২০১১ সালের ৩০ জুন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে।
তিন বছর পর ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা আবার সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কিছু আইনজীবী এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সরকার আপিল করে। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই আদালত সর্বসম্মতি ক্রমে আপিলটি খারিজ করেন এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে যা বলছেন আইনজীবীরা
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন।
এই রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের কোনো অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ পর্যন্ত বিধান ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যম বাতিল করা হয়েছিল। এগুলো পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ।
এই রায় ঐতিহাসিক বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
আরও খবর পড়ুন:

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরাতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১১ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিলটি খারিজ করে রায় দেন।
২০১৭ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ রোববার রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতেই ফিরে এল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়।
তবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনকালে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনে সেই ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে দেওয়া, যার প্রধান হবেন প্রধান বিচারপতি।
উচ্চ আদালতের কোনো বিচারপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, তাহলে তাঁকে কীভাবে অপসারণ করা হবে এ বিষয়ে ২০১৪ সালে আবার সংবিধান সংশোধন করে আওয়ামী লীগ। ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয়, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে থাকবে।
সংবিধানের এই সংশোধনীর তীব্র বিরোধিতা করে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন। সরকার এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বলে তারা অভিযোগ করে।
যদিও তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলেও তাঁরা কোনো বিচারকের রায় পছন্দ না হলেই তাঁকে সরিয়ে দিতে পারবেন, ব্যাপারটা সেরকম নয়। বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অযোগ্যতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। আর এই অভিযোগ যাচাই করবে একটি পৃথক স্বাধীন সংস্থা। সুতরাং এখানে এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ নেই।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কী?
বাংলাদেশের সাংবিধানিক ইতিহাস নানা উত্থান-পতনের ঘটনায় ভরপুর। উচ্চ আদালত সামরিক শাসনের সব চিহ্ন মুছে দিলেও সামরিক ফরমানবলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সব সময় অটুট রেখেছেন।
বিখ্যাত মাসদার হোসেন মামলায়, ৫২ ডিএলআর (এডি) ৮২, সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার ওপর দীর্ঘ রায়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ভূমিকা উল্লেখ করা হয়।
বিচারকেরা যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন কিংবা গুরুতর অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন, সে ক্ষেত্রে তাদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক তদন্ত করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত এ কাউন্সিল বিচারকদের আচরণবিধিও নির্ধারণের কাজ করবে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর দফায় বলা আছে, একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকবে, যা এই অনুচ্ছেদে ‘কাউন্সিল’ বলে উল্লিখিত হবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুজন কর্মে প্রবীণ তাঁদের নিয়ে গঠিত হবে।
এই পদ্ধতিতে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিল যদি কোনো সময় কাউন্সিলের সদস্য এ রকম কোনো বিচারকের সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করেন অথবা কাউন্সিলের কোনো সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন, অথবা অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কাজ করতে অসমর্থ হন, তাহলে কাউন্সিলের যাঁরা সদস্য আছেন, তাঁদের মধ্যে পরবর্তী যে বিচারক কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাজ
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ (৪) অনুসারে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের দুই ধরনের দায়িত্ব রয়েছে:
১. বিচারকদের জন্য আচরণবিধি (Code of Conduct) প্রণয়ন এবং
২. বিচারকগণের আচরণ ও সামর্থ্য সংক্রান্তে তদন্ত করা
বিগত ৭ই মে ২০০০ তারিখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জনাব লতিফুর রহমান, বিচারপতি বি বি রায় চৌধুরী ও বিচারপতি জনাব এ এম মাহমুদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথমবারের মতো আচরণবিধি প্রণয়ন করেন। এ ছাড়া, আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী মামলায় ৩৯টি এবং মো. ইদ্রিসুর রহমান বনাম সৈয়দ শাহিদুর রহমান, ৬৮ ডিএলআর (এডি) ২৫৮, মামলায় ৪০টি আচরণবিধি নির্ধারণ করেন। ইদ্রিসুর রহমান মামলায় আদালত উল্লেখ করে যে, প্রদত্ত আচরণবিধিসমূহ চূড়ান্ত নয় বরং ব্যাখ্যামূলক ও উদাহরণ স্বরূপ। একজন বিচারককে শত বছরের প্রতিষ্ঠিত নিয়মকানুন ও নীতি-নৈতিকতা দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের ইতিহাস
১৯৭২ সালে প্রণীত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এ অসদাচরণ ও অক্ষমতার কারণে একজন বিচারপতিকে অপসারণের বিধান রাখা হয়। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির ওপর অপসারণের ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসন জারি হয়। সংবিধানের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। The Second Proclamation (Tenth Amendment) Order, ১৯৭৭ জারি করে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ’৯৬-এ প্রথমবারের মতো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সন্নিবেশ করা হয়। এরপর সংসদ অধিবেশনে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে আগে জারি করা সব আইনের বৈধতা দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে আবারও সামরিক শাসন জারি হয়। The Martial Law Proclamation (First Amendment) Order, ১৯৮২ প্রণয়ন করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসককে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে সংসদ আবার সংসদ অধিবেশন বসে এবং The Constitution Final Revival Order, ১৯৮৬-এর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বনাম ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস, ৬২ ডিএলআর (এডি) ২৯৮, মামলায় সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আপিল বিভাগ ওই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। তবে অধিকতর স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বিবেচনায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান আদালত বলবৎ রাখেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করে। আপিল বিভাগ রিভিউ নিষ্পত্তি করে সামরিক ফরমানে জারিকৃত আইন–কানুনগুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে সংসদকে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। ২০১১ সালের ৩০ জুন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে।
তিন বছর পর ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা আবার সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কিছু আইনজীবী এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সরকার আপিল করে। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই আদালত সর্বসম্মতি ক্রমে আপিলটি খারিজ করেন এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে যা বলছেন আইনজীবীরা
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন।
এই রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের কোনো অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ পর্যন্ত বিধান ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যম বাতিল করা হয়েছিল। এগুলো পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ।
এই রায় ঐতিহাসিক বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
আরও খবর পড়ুন:

এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়।
২০ অক্টোবর ২০২৪
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়।
২০ অক্টোবর ২০২৪
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়।
২০ অক্টোবর ২০২৪
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘রোববার সারা দেশ থেকে মনোনয়নপত্র-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাঁর দুই আসন থেকে ২৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর শুধু ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোহেল রানা নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মো. ইউনুচ আলী আরও জানান, ঢাকার ছয়টি জেলার ৪১টি আসন থেকে ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলার ৩৬টি আসন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
বেলায়েত হোসেন আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ২৩ আসনে শুক্রবার পর্যন্ত ১৯৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণ চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘রোববার সারা দেশ থেকে মনোনয়নপত্র-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাঁর দুই আসন থেকে ২৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর শুধু ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোহেল রানা নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মো. ইউনুচ আলী আরও জানান, ঢাকার ছয়টি জেলার ৪১টি আসন থেকে ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলার ৩৬টি আসন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
বেলায়েত হোসেন আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ২৩ আসনে শুক্রবার পর্যন্ত ১৯৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণ চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু হলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়।
২০ অক্টোবর ২০২৪
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে