রাহুল শর্মা, ঢাকা

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁদের পকেটে ঢুকেছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই এই টাকার ভাগ পান। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানীর কাগজপত্রে এবং আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্মানীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা করা না হলেও বোর্ডগুলোর দাবি, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন নিয়েই সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নম্বরপত্র ও মূল সনদের জন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ১৫০ টাকা নেয়। এর মধ্যে মূল সনদের জন্য ১০০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৫০ টাকা। তবে এসএসসি-এইচএসসির সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মূল সনদের জন্য ১২০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৮০ টাকা নেয় । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নেয় যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ টাকা।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১টি বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি মূল সনদ লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ৬ টাকা এবং এসএসসির প্রতি নম্বরপত্র লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ সাড়ে ১২ টাকা ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রতি ২২ টাকা সম্মানী নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই হার মানছে না বোর্ডগুলো। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পরীক্ষার মূল সনদপ্রতি সম্মানী নিয়েছেন ৬৪ টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারের চেয়ে সাড়ে ১০ গুণের বেশি। এসএসসির নম্বরপত্রপ্রতি নিয়েছেন ২২ টাকা (নির্ধারিত হারের প্রায় দ্বিগুণ) এবং এইচএসসির নম্বরপত্রপ্রতি ৩৭ টাকা (নির্ধারিত হারের দেড় গুণের বেশি)।
এই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে মূল সনদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৯ টাকা এবং নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২১ টাকা নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, মূল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির সম্মানীর টাকা বোর্ডের অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই পান। বছর শেষে এ বাবদ একজন কর্মচারী-কর্মকর্তা ন্যূনতম ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পান। এ জন্য বোর্ডের চাকরি লোভনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত সম্মানী নেন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁরা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। লোপাট না হলে যা থাকত বোর্ডের তহবিলে।
২০২২-৩ অর্থবছরের সম্মানীর কাগজপত্রে দেখা গেছে, মূল সনদপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত সম্মানী নিয়েছেন ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩১ টাকা, রাজশাহী বোর্ডে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ টাকা, সিলেট বোর্ডে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮ টাকা, যশোর বোর্ডে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯২২ টাকা, বরিশাল বোর্ডে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা।
একই অর্থবছরে নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৫৩ টাকা, রাজশাহী বোর্ডের ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা, সিলেট বোর্ডের ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৬ টাকা, যশোর বোর্ডের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ টাকা, বরিশাল বোর্ডের ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডের ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ টাকা এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মানীর অতিরিক্ত ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৭ টাকা নেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সম্মানীর চেয়ে বেশি অর্থ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির অনুমোদন ও বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানী নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী সবাই সম্মানী পাচ্ছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ১৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দিষ্ট সম্মানীর বাইরে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৯৬১ সালের দুটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছে। অর্ডিন্যান্সে অনেক ফাঁকফোকর ও অস্পষ্টতা থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন বোর্ডগুলোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি বলেন, নানামুখী তৎপরতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩ আটকে গেছে। আইনটি হলে বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির আওতায় আসবেন এবং বোর্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা আসবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অবশ্যই বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার এবং তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁদের পকেটে ঢুকেছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই এই টাকার ভাগ পান। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানীর কাগজপত্রে এবং আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্মানীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা করা না হলেও বোর্ডগুলোর দাবি, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন নিয়েই সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নম্বরপত্র ও মূল সনদের জন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ১৫০ টাকা নেয়। এর মধ্যে মূল সনদের জন্য ১০০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৫০ টাকা। তবে এসএসসি-এইচএসসির সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মূল সনদের জন্য ১২০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৮০ টাকা নেয় । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নেয় যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ টাকা।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১টি বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি মূল সনদ লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ৬ টাকা এবং এসএসসির প্রতি নম্বরপত্র লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ সাড়ে ১২ টাকা ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রতি ২২ টাকা সম্মানী নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই হার মানছে না বোর্ডগুলো। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পরীক্ষার মূল সনদপ্রতি সম্মানী নিয়েছেন ৬৪ টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারের চেয়ে সাড়ে ১০ গুণের বেশি। এসএসসির নম্বরপত্রপ্রতি নিয়েছেন ২২ টাকা (নির্ধারিত হারের প্রায় দ্বিগুণ) এবং এইচএসসির নম্বরপত্রপ্রতি ৩৭ টাকা (নির্ধারিত হারের দেড় গুণের বেশি)।
এই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে মূল সনদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৯ টাকা এবং নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২১ টাকা নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, মূল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির সম্মানীর টাকা বোর্ডের অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই পান। বছর শেষে এ বাবদ একজন কর্মচারী-কর্মকর্তা ন্যূনতম ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পান। এ জন্য বোর্ডের চাকরি লোভনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত সম্মানী নেন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁরা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। লোপাট না হলে যা থাকত বোর্ডের তহবিলে।
২০২২-৩ অর্থবছরের সম্মানীর কাগজপত্রে দেখা গেছে, মূল সনদপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত সম্মানী নিয়েছেন ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩১ টাকা, রাজশাহী বোর্ডে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ টাকা, সিলেট বোর্ডে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮ টাকা, যশোর বোর্ডে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯২২ টাকা, বরিশাল বোর্ডে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা।
একই অর্থবছরে নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৫৩ টাকা, রাজশাহী বোর্ডের ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা, সিলেট বোর্ডের ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৬ টাকা, যশোর বোর্ডের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ টাকা, বরিশাল বোর্ডের ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডের ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ টাকা এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মানীর অতিরিক্ত ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৭ টাকা নেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সম্মানীর চেয়ে বেশি অর্থ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির অনুমোদন ও বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানী নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী সবাই সম্মানী পাচ্ছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ১৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দিষ্ট সম্মানীর বাইরে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৯৬১ সালের দুটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছে। অর্ডিন্যান্সে অনেক ফাঁকফোকর ও অস্পষ্টতা থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন বোর্ডগুলোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি বলেন, নানামুখী তৎপরতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩ আটকে গেছে। আইনটি হলে বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির আওতায় আসবেন এবং বোর্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা আসবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অবশ্যই বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার এবং তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
রাহুল শর্মা, ঢাকা

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁদের পকেটে ঢুকেছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই এই টাকার ভাগ পান। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানীর কাগজপত্রে এবং আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্মানীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা করা না হলেও বোর্ডগুলোর দাবি, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন নিয়েই সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নম্বরপত্র ও মূল সনদের জন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ১৫০ টাকা নেয়। এর মধ্যে মূল সনদের জন্য ১০০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৫০ টাকা। তবে এসএসসি-এইচএসসির সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মূল সনদের জন্য ১২০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৮০ টাকা নেয় । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নেয় যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ টাকা।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১টি বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি মূল সনদ লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ৬ টাকা এবং এসএসসির প্রতি নম্বরপত্র লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ সাড়ে ১২ টাকা ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রতি ২২ টাকা সম্মানী নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই হার মানছে না বোর্ডগুলো। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পরীক্ষার মূল সনদপ্রতি সম্মানী নিয়েছেন ৬৪ টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারের চেয়ে সাড়ে ১০ গুণের বেশি। এসএসসির নম্বরপত্রপ্রতি নিয়েছেন ২২ টাকা (নির্ধারিত হারের প্রায় দ্বিগুণ) এবং এইচএসসির নম্বরপত্রপ্রতি ৩৭ টাকা (নির্ধারিত হারের দেড় গুণের বেশি)।
এই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে মূল সনদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৯ টাকা এবং নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২১ টাকা নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, মূল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির সম্মানীর টাকা বোর্ডের অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই পান। বছর শেষে এ বাবদ একজন কর্মচারী-কর্মকর্তা ন্যূনতম ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পান। এ জন্য বোর্ডের চাকরি লোভনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত সম্মানী নেন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁরা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। লোপাট না হলে যা থাকত বোর্ডের তহবিলে।
২০২২-৩ অর্থবছরের সম্মানীর কাগজপত্রে দেখা গেছে, মূল সনদপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত সম্মানী নিয়েছেন ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩১ টাকা, রাজশাহী বোর্ডে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ টাকা, সিলেট বোর্ডে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮ টাকা, যশোর বোর্ডে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯২২ টাকা, বরিশাল বোর্ডে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা।
একই অর্থবছরে নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৫৩ টাকা, রাজশাহী বোর্ডের ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা, সিলেট বোর্ডের ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৬ টাকা, যশোর বোর্ডের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ টাকা, বরিশাল বোর্ডের ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডের ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ টাকা এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মানীর অতিরিক্ত ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৭ টাকা নেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সম্মানীর চেয়ে বেশি অর্থ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির অনুমোদন ও বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানী নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী সবাই সম্মানী পাচ্ছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ১৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দিষ্ট সম্মানীর বাইরে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৯৬১ সালের দুটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছে। অর্ডিন্যান্সে অনেক ফাঁকফোকর ও অস্পষ্টতা থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন বোর্ডগুলোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি বলেন, নানামুখী তৎপরতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩ আটকে গেছে। আইনটি হলে বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির আওতায় আসবেন এবং বোর্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা আসবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অবশ্যই বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার এবং তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁদের পকেটে ঢুকেছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই এই টাকার ভাগ পান। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানীর কাগজপত্রে এবং আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সম্মানীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা করা না হলেও বোর্ডগুলোর দাবি, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন নিয়েই সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, প্রতিবছর এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নম্বরপত্র ও মূল সনদের জন্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ১৫০ টাকা নেয়। এর মধ্যে মূল সনদের জন্য ১০০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৫০ টাকা। তবে এসএসসি-এইচএসসির সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মূল সনদের জন্য ১২০ ও নম্বরপত্রের জন্য ৮০ টাকা নেয় । মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নেয় যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ টাকা।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৯টি। এগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। বাকি দুটি বোর্ডের একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও অন্যটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ১১টি বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি মূল সনদ লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ৬ টাকা এবং এসএসসির প্রতি নম্বরপত্র লেখা, যাচাই, স্বাক্ষর ও পাঠানো বাবদ সাড়ে ১২ টাকা ও এইচএসসির নম্বরপত্র প্রতি ২২ টাকা সম্মানী নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই হার মানছে না বোর্ডগুলো। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই পরীক্ষার মূল সনদপ্রতি সম্মানী নিয়েছেন ৬৪ টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারের চেয়ে সাড়ে ১০ গুণের বেশি। এসএসসির নম্বরপত্রপ্রতি নিয়েছেন ২২ টাকা (নির্ধারিত হারের প্রায় দ্বিগুণ) এবং এইচএসসির নম্বরপত্রপ্রতি ৩৭ টাকা (নির্ধারিত হারের দেড় গুণের বেশি)।
এই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে মূল সনদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১১৯ টাকা এবং নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ২১ টাকা নিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, মূল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির সম্মানীর টাকা বোর্ডের অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই পান। বছর শেষে এ বাবদ একজন কর্মচারী-কর্মকর্তা ন্যূনতম ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পান। এ জন্য বোর্ডের চাকরি লোভনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত সম্মানী নেন ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ১০ বছরে তাঁরা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি নিয়েছেন। লোপাট না হলে যা থাকত বোর্ডের তহবিলে।
২০২২-৩ অর্থবছরের সম্মানীর কাগজপত্রে দেখা গেছে, মূল সনদপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত সম্মানী নিয়েছেন ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩১ টাকা, রাজশাহী বোর্ডে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩৬ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ টাকা, সিলেট বোর্ডে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৮ টাকা, যশোর বোর্ডে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৯২২ টাকা, বরিশাল বোর্ডে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৭ টাকা ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা।
একই অর্থবছরে নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৫৩ টাকা, রাজশাহী বোর্ডের ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা, চট্টগ্রাম বোর্ডের ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, দিনাজপুর বোর্ডের ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা, সিলেট বোর্ডের ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৬ টাকা, যশোর বোর্ডের ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ১২৪ টাকা, বরিশাল বোর্ডের ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৬ টাকা, কুমিল্লা বোর্ডের ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ টাকা এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মানীর অতিরিক্ত ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৭ টাকা নেন।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মূল সনদ ও নম্বরপত্রের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সম্মানীর চেয়ে বেশি অর্থ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির অনুমোদন ও বোর্ডের অর্থ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা মূল সনদ ও নম্বরপত্রের সম্মানী নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী সবাই সম্মানী পাচ্ছেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ১৪ অক্টোবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্দিষ্ট সম্মানীর বাইরে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো ১৯৬১ সালের দুটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চলছে। অর্ডিন্যান্সে অনেক ফাঁকফোকর ও অস্পষ্টতা থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন বোর্ডগুলোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি বলেন, নানামুখী তৎপরতার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২৩ আটকে গেছে। আইনটি হলে বোর্ডগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবাবদিহির আওতায় আসবেন এবং বোর্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা আসবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সম্মানীর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া অবশ্যই বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনার এবং তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
৩১ মিনিট আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজার আগে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
নিজেদের পরিবারের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে হাদির বড় ভাই বলেন, ‘আজকে ওর সন্তানের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন, বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। আমার ভাই-বোন সবাই পাগলপ্রায়। আমার ছয় ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল হাদি। আজ ওর লাশ আমার কাঁধে বহন করতে হচ্ছে। ’
‘আপনাদের কাছে আমার বড় কোনো দাবি নেই, শুধু একটিই কথা—আজ সাত থেকে আট দিন হয়ে গেল, দিবালোকে প্রকাশ্যে রাজধানী ঢাকায় জুমার নামাজের পর খুনিরা গুলি করে গেল। খুনিরা যদি পার পেয়ে যায়, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। বর্ডার পার হতে যেখানে পাঁচ-সাত ঘণ্টা সময় লাগে, তারা কীভাবে পালিয়ে গেল—এই প্রশ্ন আমি জাতির কাছে রেখে গেলাম।’
আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘আমার ভাই ওসমান হাদি শহীদি মৃত্যু কামনা করত। হয়তো আল্লাহ তায়ালা ওর সেই চাওয়া কবুল করে নিয়েছেন। কিন্তু আমি আপনাদের বলে রাখি, আমার ভাই উসমান হাদির খুনিদের বিচার যেন প্রকাশ্যে এই বাংলার জমিনে দেখতে পাই। আজ সাত দিন পার হলেও কিছুই করতে পারলাম না—এই দুঃখে কলিজা ফেটে যাচ্ছে।’
হাদি এবং তাঁর স্ত্রী, আট মাস বয়সী সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যেন আমার ভাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। আল্লাহ তাআলার কাছে আরও দোয়া করছি, আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা যেন ইমানের সঙ্গে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি এবং তৌহিদের এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারি।’

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজার আগে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
নিজেদের পরিবারের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে হাদির বড় ভাই বলেন, ‘আজকে ওর সন্তানের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন, বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। আমার ভাই-বোন সবাই পাগলপ্রায়। আমার ছয় ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল হাদি। আজ ওর লাশ আমার কাঁধে বহন করতে হচ্ছে। ’
‘আপনাদের কাছে আমার বড় কোনো দাবি নেই, শুধু একটিই কথা—আজ সাত থেকে আট দিন হয়ে গেল, দিবালোকে প্রকাশ্যে রাজধানী ঢাকায় জুমার নামাজের পর খুনিরা গুলি করে গেল। খুনিরা যদি পার পেয়ে যায়, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। বর্ডার পার হতে যেখানে পাঁচ-সাত ঘণ্টা সময় লাগে, তারা কীভাবে পালিয়ে গেল—এই প্রশ্ন আমি জাতির কাছে রেখে গেলাম।’
আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘আমার ভাই ওসমান হাদি শহীদি মৃত্যু কামনা করত। হয়তো আল্লাহ তায়ালা ওর সেই চাওয়া কবুল করে নিয়েছেন। কিন্তু আমি আপনাদের বলে রাখি, আমার ভাই উসমান হাদির খুনিদের বিচার যেন প্রকাশ্যে এই বাংলার জমিনে দেখতে পাই। আজ সাত দিন পার হলেও কিছুই করতে পারলাম না—এই দুঃখে কলিজা ফেটে যাচ্ছে।’
হাদি এবং তাঁর স্ত্রী, আট মাস বয়সী সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যেন আমার ভাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। আল্লাহ তাআলার কাছে আরও দোয়া করছি, আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা যেন ইমানের সঙ্গে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি এবং তৌহিদের এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারি।’

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
৩১ মিনিট আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
পোস্টে বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করায় এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে মর্মে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।’
পোস্টে আরও বলা হয়, কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন ফেসবুক পেজে উক্ত বিষয়টি ‘‘অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা’’ করা হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে, বিষয়টি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।
পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের সকল দর্শক, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সংবাদকর্মীদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছে যে, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে নিয়মিত চলবে। একাডেমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।’
এর আগে, গতকাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক (প্রশাসন) পূর্ণলাক্ষ চাকমা স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্রে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দেন তিনি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
পোস্টে বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করায় এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে মর্মে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।’
পোস্টে আরও বলা হয়, কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন ফেসবুক পেজে উক্ত বিষয়টি ‘‘অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা’’ করা হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে, বিষয়টি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।
পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের সকল দর্শক, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সংবাদকর্মীদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছে যে, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে নিয়মিত চলবে। একাডেমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।’
এর আগে, গতকাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক (প্রশাসন) পূর্ণলাক্ষ চাকমা স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্রে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দেন তিনি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
৩১ মিনিট আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক মহাসচিবের এই বার্তার কথা জানান।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের একটি দ্রুত, নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুতেরেস। তিনি দেশের সবাইকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে এবং সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। আজ শনিবার পরিবারের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এবং যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক মহাসচিবের এই বার্তার কথা জানান।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের একটি দ্রুত, নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুতেরেস। তিনি দেশের সবাইকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে এবং সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। আজ শনিবার পরিবারের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এবং যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
১৭ মিনিট আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্বৃত্তের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি নিহত হওয়ার খবরে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। একই সঙ্গে ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানান তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে সি আর আবরার বলেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতের হৃদয়বিদারক ঘটনায় যখন গোটা জাতি শোকাহত, তখন এ ঘটনার অপসুযোগ নিয়ে কিছুসংখ্যক উগ্র, অবিবেচক গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই গোষ্ঠী বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের ভবন আক্রমণ করেছে। তাতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানের অনেক সংগীত ও শিক্ষা উপকরণ ধ্বংস করেছে। ছায়ানটের পরিচালনায় ওই ভবনে নালন্দা নামে যে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়, এই আক্রমণে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর কার্যালয়ে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানাই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের দুটি সংবাদপত্র প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে সংঘটিত আক্রমণ এবং এ দেশের প্রবীণ ও সাহসী সাংবাদিক নূরুল কবীরকে অপদস্থ করার হীন কর্মকাণ্ডে আমি গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কার্যকলাপ জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কালিমালিপ্ত করার অপপ্রয়াসই শুধু নয়; এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।’

দুর্বৃত্তের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি নিহত হওয়ার খবরে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। একই সঙ্গে ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানান তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে সি আর আবরার বলেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতের হৃদয়বিদারক ঘটনায় যখন গোটা জাতি শোকাহত, তখন এ ঘটনার অপসুযোগ নিয়ে কিছুসংখ্যক উগ্র, অবিবেচক গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই গোষ্ঠী বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের ভবন আক্রমণ করেছে। তাতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানের অনেক সংগীত ও শিক্ষা উপকরণ ধ্বংস করেছে। ছায়ানটের পরিচালনায় ওই ভবনে নালন্দা নামে যে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়, এই আক্রমণে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর কার্যালয়ে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানাই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের দুটি সংবাদপত্র প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে সংঘটিত আক্রমণ এবং এ দেশের প্রবীণ ও সাহসী সাংবাদিক নূরুল কবীরকে অপদস্থ করার হীন কর্মকাণ্ডে আমি গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কার্যকলাপ জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কালিমালিপ্ত করার অপপ্রয়াসই শুধু নয়; এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।’

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বরপত্র, মূল সনদ তৈরি ও পাঠানোতে এক অর্থবছরেই অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
৩১ মিনিট আগে