Ajker Patrika

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০০: ৪৫
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দ্রুত স্থগিত করতে বলেছে জাতিসংঘ। আজ শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান। 

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। এই আইন বাংলাদেশে গ্রেপ্তার, হয়রানি, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের ভয় দেখানো, অনলাইনে সমালোচনার মুখ বন্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। 

ভলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘এই আইন ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপ করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে এর বিধানগুলোকে ব্যাপকভাবে সংস্কার করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। আমার অফিস ইতিমধ্যে এ ধরনের সংশোধনে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত মন্তব্য সরবরাহ করেছে।’ 

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর এই আইন চালুর পর থেকে সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও পত্রিকাটির সাভারে কর্মরত নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে মামলাসহ মোট দুই হাজার মামলা করা হয়েছে। জাতিসংঘ বারবার এই আইনের অসংজ্ঞায়িত বিধান সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তখন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আইনের স্বেচ্ছাচারী বা অত্যধিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুরক্ষা বজায় রাখবে। কিন্তু এর পরও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। তাই এটি যথেষ্ট নয়। আইনের একটি যথাযথ সংশোধন প্রয়োজন। 

 এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংস্থা এই আইন বাতিলের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন। এক বিবৃতিতে তারা বলছে, এই আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে মতামত প্রকাশে বাধাগ্রস্ত করা ও ভয় দেখানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটি ভয়ের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জনশক্তি রপ্তানিতে সংকট তৈরি হয়েছে দালাল চক্রের কারণে: প্রধান উপদেষ্টা

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫৮
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: প্রেস উইং।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: প্রেস উইং।

প্রাতিষ্ঠানিক দালাল চক্র, নথি জালিয়াতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গভীর ও জটিল সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস।

প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিদেশ গমন আজ বিপজ্জনকভাবে দালাল ও প্রতারণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অর্থবহ অগ্রগতি হয়েছে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই।

প্রবাসী কর্মসংস্থানের দীর্ঘদিনের সংকট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও যে পরিমাণ সাফল্য অর্জিত হওয়ার কথা ছিল, তা এখনো সম্ভব হয়নি।

ড. ইউনূস আরও বলেন, অনেক উদ্যোগ বাইরে থেকে বেশ আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও সরকার এখনো দালাল নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মূল কাঠামোর ভেতরে ঢুকতে পারেনি।

গ্রামীণ ব্যাংকের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামাঞ্চলের নারীরা সন্তানদের বিদেশে পাঠাতে ঋণের জন্য আবেদন জানাতে শুরু করলে প্রথমে দালাল চক্রের বাস্তব চিত্র তাঁর সামনে আসে।

তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের ক্ষেত্র কার্যত দালালনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে। কে কার কাছ থেকে কী কারণে টাকা নিয়েছে, তা বোঝা প্রায় অসম্ভব। সরকার এখনো এই ব্যবস্থার অনেক বাইরে অবস্থান করছে। রেমিট্যান্স আয়ের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে যেকোনো মূল্যে এই বাস্তবতা বদলাতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। স্বাগত বক্তব্য দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে তিনটি ক্যাটাগরিতে ৮৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। এর মধ্যে শিল্প খাতে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের জন্য একজন, বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ৭৫ জন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য ১০ জন রয়েছেন।

তিন ক্যাটাগরিতে সিআইপি সম্মাননা পাওয়া প্রবাসীদের মধ্যে যথাক্রমে কল্লোল আহমেদ, মো. আবদুল করিম ও মো. মাহমুদুর রহমান খান প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিমা সুবিধা, চিকিৎসা সহায়তা, আর্থিক অনুদান, ক্ষতিপূরণ এবং মেধাবী সন্তানদের জন্য বৃত্তির চেক বিতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে ক্রোয়েশিয়াপ্রবাসী রাজু আহমেদ এবং সৌদি আরবফেরত প্রবাসী শাহনাজ আক্তার শানু তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকা এবং দেশের অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগও তুলে ধরা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৬
বুধবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত
বুধবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তলবের মূল কারণ হলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য।

গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করে—সন্ত্রাসী, ভোট চোর—আমাদের দেশে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে, হাদি ভাইকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চাইছে, দেশের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে, সীমান্তে যারা আমাদের ভাই-বোনদের মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত।’

হাসনাত আরও বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদের বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’

ভারত সরকার এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, ‘আমরা আশা করি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’

এদিকে হাসনাত আবদুল্লাহ এই বক্তব্যের জেরে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ আসামের কাছাড় জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চরমপন্থী উপাদানগুলোর সম্ভাব্য চলাচল এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য অননুমোদিত আন্তসীমান্ত কার্যকলাপ রোধ করতেই সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানির সুযোগ দেওয়া এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার অভিযোগ এনে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টিভি টক শোতে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ চায় ইসি, কটূক্তি প্রচারে মানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নির্বাচনী সংলাপ, প্রচার-প্রচারণায় সব প্রার্থীর সমান সুযোগের নিশ্চয়তা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টক শো বা নির্বাচনী সংলাপ পরিবেশনের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি লক্ষ রাখা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, গণমাধ্যমে নির্বাচনী সংলাপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে অংশ নিতে পারবেন; তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।

এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নির্বাচনী সংলাপ বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান এবং কোনো দল বা প্রার্থীকে হেয়প্রতিপন্ন করে কোনো বক্তব্য বা কটূক্তি প্রচার না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সীমান্ত হত্যা বন্ধের বার্তা দিতে বিজয় দিবসে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ উদ্বোধন: আদিলুর রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০০
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে গুলশানে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে গুলশানে ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জোরালো দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই ফেলানীর নামে সড়কের নামকরণ। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে গুলশান-২ গোলচত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটির নামফলক উন্মোচন করা হয় ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের বোন ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় জীবন দিয়েছিল। তার প্রতি কী ধরনের নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছিল, সেটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে প্রতিদিন মনে করিয়ে দিতেই সড়কটির নাম “ফেলানী অ্যাভিনিউ” নামে নামকরণ করা হয়েছে।’

তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, এই নামকরণের মাধ্যমে দেশের মানুষের সীমান্ত হত্যা বন্ধের সর্বজনীন আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি যোগ করেন, একই সঙ্গে বিশ্ব বিবেকের কাছে সীমান্ত হত্যার মতো একটি ‘জঘন্য পরিস্থিতি’ বিরাজ করছে—এই বার্তাটি তুলে ধরাই আজকের এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, এই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং মহান বিজয়ের দিনে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ফেলানীর নামে এই সড়কের উদ্বোধন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের অবস্থান আরও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি একটি সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’ তাঁর মতে, এই নামকরণ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি জোরালো বার্তা পৌঁছে দেবে।

নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

অনুষ্ঠানের শেষে ডিএনসিসি মসজিদের ইমাম মাওলানা আনসার উল করিম দোয়া পরিচালনা করেন, যেখানে ফেলানীর আত্মার শান্তি কামনাসহ দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত