নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার মধ্যেও এই আইনে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে দ্বিগুণ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। শুক্রবার সংস্থার সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন সাংবাদিক, একজন বিএনপির কর্মী, একজন আওয়ামী লীগ কর্মী, একজন অভিনেত্রী, দুজন যুবক এবং একজন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার সংখ্যা ছিল ৫। এই মাসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনে তিনটি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে একজন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারী নারী র্যাবের হেফাজতে মারা যান। এসব মামলার সাতটি হয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এ ধরনের সমালোচনামূলক পোস্ট বা শেয়ার অথবা কমেন্ট করার কারণে। এ ছাড়া প্রতারণার অভিযোগে দুটি এবং জনমনে ভীতি প্রদর্শন, জনমনে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কথিত অপরাধে একটি মামলা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে এমএসএফ বলছে, এ আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে মতামত প্রকাশে বাধাগ্রস্ত করা ও ভয় দেখানো এবং সবার মুখ বন্ধ করে দেওয়ার একটি ভয়ংকর তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অন্তত ৪০ জন সাংবাদিক নানাভাবে অপমান, নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান ছাড়া আরও তিনজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে মার্চে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহের মানবাধিকার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মার্চে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের গাড়িতে করে নরসিংদী কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে সিরাজ মিয়া ও ২২ মার্চ সকালে নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়। এ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তিনজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমএসএফ আরও জানায়, বিরোধীদলীয় কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বল প্রয়োগ, বাধাদান অব্যাহত ছিল। এ মাসে রাজনৈতিক, নির্বাচনী সহিংসতা ও সভা-সমাবেশে বাধার ৩১টি ঘটনায় ৩৮৫ জন আহত ও পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ক্ষমতাসীন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে এবং দুজন ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন।
এ মাসে পাচটি রাজনৈতিক মামলার মধ্যে বিএনপির বিরুদ্ধে দুটি, তিনটি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৭০ জন রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে ১১২ জন বিএনপি ও ৫৮ জন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী রয়েছেন। মার্চে কারা হেফাজতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এই সংখ্যা ছিল ৫। এ মাসে তিনজন হাজতি ও তিনজন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, তাদের পরিচয়ে অপহরণ, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে মতামত প্রকাশের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এ মাসে একাধিক বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা জনমনে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। গণপিটুনির মতো ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনাগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার মধ্যেও এই আইনে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে দ্বিগুণ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। শুক্রবার সংস্থার সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন সাংবাদিক, একজন বিএনপির কর্মী, একজন আওয়ামী লীগ কর্মী, একজন অভিনেত্রী, দুজন যুবক এবং একজন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার সংখ্যা ছিল ৫। এই মাসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনে তিনটি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে একজন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারী নারী র্যাবের হেফাজতে মারা যান। এসব মামলার সাতটি হয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এ ধরনের সমালোচনামূলক পোস্ট বা শেয়ার অথবা কমেন্ট করার কারণে। এ ছাড়া প্রতারণার অভিযোগে দুটি এবং জনমনে ভীতি প্রদর্শন, জনমনে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কথিত অপরাধে একটি মামলা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে এমএসএফ বলছে, এ আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে মতামত প্রকাশে বাধাগ্রস্ত করা ও ভয় দেখানো এবং সবার মুখ বন্ধ করে দেওয়ার একটি ভয়ংকর তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অন্তত ৪০ জন সাংবাদিক নানাভাবে অপমান, নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান ছাড়া আরও তিনজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে মার্চে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহের মানবাধিকার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মার্চে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের গাড়িতে করে নরসিংদী কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে সিরাজ মিয়া ও ২২ মার্চ সকালে নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়। এ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তিনজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমএসএফ আরও জানায়, বিরোধীদলীয় কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বল প্রয়োগ, বাধাদান অব্যাহত ছিল। এ মাসে রাজনৈতিক, নির্বাচনী সহিংসতা ও সভা-সমাবেশে বাধার ৩১টি ঘটনায় ৩৮৫ জন আহত ও পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন ক্ষমতাসীন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে এবং দুজন ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন।
এ মাসে পাচটি রাজনৈতিক মামলার মধ্যে বিএনপির বিরুদ্ধে দুটি, তিনটি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৭০ জন রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে ১১২ জন বিএনপি ও ৫৮ জন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী রয়েছেন। মার্চে কারা হেফাজতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এই সংখ্যা ছিল ৫। এ মাসে তিনজন হাজতি ও তিনজন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, তাদের পরিচয়ে অপহরণ, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে মতামত প্রকাশের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগের পথ রুদ্ধ করার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এ মাসে একাধিক বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা জনমনে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। গণপিটুনির মতো ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনাগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে।

প্রাতিষ্ঠানিক দালাল চক্র, নথি জালিয়াতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গভীর ও জটিল সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তলবের মূল কারণ হলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে যে গণমাধ্যমে নির্বাচনী সংলাপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে অংশ নিতে পারবেন; তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জোরালো দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই ফেলানীর নামে সড়কের নামকরণ। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

প্রাতিষ্ঠানিক দালাল চক্র, নথি জালিয়াতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গভীর ও জটিল সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিদেশ গমন আজ বিপজ্জনকভাবে দালাল ও প্রতারণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অর্থবহ অগ্রগতি হয়েছে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
প্রবাসী কর্মসংস্থানের দীর্ঘদিনের সংকট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও যে পরিমাণ সাফল্য অর্জিত হওয়ার কথা ছিল, তা এখনো সম্ভব হয়নি।
ড. ইউনূস আরও বলেন, অনেক উদ্যোগ বাইরে থেকে বেশ আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও সরকার এখনো দালাল নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মূল কাঠামোর ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামাঞ্চলের নারীরা সন্তানদের বিদেশে পাঠাতে ঋণের জন্য আবেদন জানাতে শুরু করলে প্রথমে দালাল চক্রের বাস্তব চিত্র তাঁর সামনে আসে।
তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের ক্ষেত্র কার্যত দালালনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে। কে কার কাছ থেকে কী কারণে টাকা নিয়েছে, তা বোঝা প্রায় অসম্ভব। সরকার এখনো এই ব্যবস্থার অনেক বাইরে অবস্থান করছে। রেমিট্যান্স আয়ের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে যেকোনো মূল্যে এই বাস্তবতা বদলাতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। স্বাগত বক্তব্য দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে তিনটি ক্যাটাগরিতে ৮৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। এর মধ্যে শিল্প খাতে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের জন্য একজন, বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ৭৫ জন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য ১০ জন রয়েছেন।
তিন ক্যাটাগরিতে সিআইপি সম্মাননা পাওয়া প্রবাসীদের মধ্যে যথাক্রমে কল্লোল আহমেদ, মো. আবদুল করিম ও মো. মাহমুদুর রহমান খান প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিমা সুবিধা, চিকিৎসা সহায়তা, আর্থিক অনুদান, ক্ষতিপূরণ এবং মেধাবী সন্তানদের জন্য বৃত্তির চেক বিতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে ক্রোয়েশিয়াপ্রবাসী রাজু আহমেদ এবং সৌদি আরবফেরত প্রবাসী শাহনাজ আক্তার শানু তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকা এবং দেশের অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগও তুলে ধরা হয়।

প্রাতিষ্ঠানিক দালাল চক্র, নথি জালিয়াতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গভীর ও জটিল সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিদেশ গমন আজ বিপজ্জনকভাবে দালাল ও প্রতারণার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অর্থবহ অগ্রগতি হয়েছে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
প্রবাসী কর্মসংস্থানের দীর্ঘদিনের সংকট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও যে পরিমাণ সাফল্য অর্জিত হওয়ার কথা ছিল, তা এখনো সম্ভব হয়নি।
ড. ইউনূস আরও বলেন, অনেক উদ্যোগ বাইরে থেকে বেশ আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও সরকার এখনো দালাল নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মূল কাঠামোর ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামাঞ্চলের নারীরা সন্তানদের বিদেশে পাঠাতে ঋণের জন্য আবেদন জানাতে শুরু করলে প্রথমে দালাল চক্রের বাস্তব চিত্র তাঁর সামনে আসে।
তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের ক্ষেত্র কার্যত দালালনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে। কে কার কাছ থেকে কী কারণে টাকা নিয়েছে, তা বোঝা প্রায় অসম্ভব। সরকার এখনো এই ব্যবস্থার অনেক বাইরে অবস্থান করছে। রেমিট্যান্স আয়ের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে যেকোনো মূল্যে এই বাস্তবতা বদলাতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। স্বাগত বক্তব্য দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে তিনটি ক্যাটাগরিতে ৮৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। এর মধ্যে শিল্প খাতে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের জন্য একজন, বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ৭৫ জন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য ১০ জন রয়েছেন।
তিন ক্যাটাগরিতে সিআইপি সম্মাননা পাওয়া প্রবাসীদের মধ্যে যথাক্রমে কল্লোল আহমেদ, মো. আবদুল করিম ও মো. মাহমুদুর রহমান খান প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিমা সুবিধা, চিকিৎসা সহায়তা, আর্থিক অনুদান, ক্ষতিপূরণ এবং মেধাবী সন্তানদের জন্য বৃত্তির চেক বিতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে ক্রোয়েশিয়াপ্রবাসী রাজু আহমেদ এবং সৌদি আরবফেরত প্রবাসী শাহনাজ আক্তার শানু তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকা এবং দেশের অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগও তুলে ধরা হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার মধ্যেও এই আইনে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে দ্বিগুণ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। শুক্রবার সংস্থার সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, মার্চে
৩১ মার্চ ২০২৩
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তলবের মূল কারণ হলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে যে গণমাধ্যমে নির্বাচনী সংলাপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে অংশ নিতে পারবেন; তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জোরালো দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই ফেলানীর নামে সড়কের নামকরণ। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তলবের মূল কারণ হলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য।
গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করে—সন্ত্রাসী, ভোট চোর—আমাদের দেশে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে, হাদি ভাইকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চাইছে, দেশের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে, সীমান্তে যারা আমাদের ভাই-বোনদের মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদের বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
ভারত সরকার এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, ‘আমরা আশা করি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’
এদিকে হাসনাত আবদুল্লাহ এই বক্তব্যের জেরে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ আসামের কাছাড় জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চরমপন্থী উপাদানগুলোর সম্ভাব্য চলাচল এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য অননুমোদিত আন্তসীমান্ত কার্যকলাপ রোধ করতেই সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানির সুযোগ দেওয়া এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার অভিযোগ এনে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তলবের মূল কারণ হলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য।
গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করে—সন্ত্রাসী, ভোট চোর—আমাদের দেশে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে, হাদি ভাইকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চাইছে, দেশের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে, সীমান্তে যারা আমাদের ভাই-বোনদের মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদের বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
ভারত সরকার এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, ‘আমরা আশা করি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’
এদিকে হাসনাত আবদুল্লাহ এই বক্তব্যের জেরে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ আসামের কাছাড় জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চরমপন্থী উপাদানগুলোর সম্ভাব্য চলাচল এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য অননুমোদিত আন্তসীমান্ত কার্যকলাপ রোধ করতেই সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানির সুযোগ দেওয়া এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার অভিযোগ এনে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার মধ্যেও এই আইনে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে দ্বিগুণ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। শুক্রবার সংস্থার সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, মার্চে
৩১ মার্চ ২০২৩
প্রাতিষ্ঠানিক দালাল চক্র, নথি জালিয়াতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গভীর ও জটিল সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে যে গণমাধ্যমে নির্বাচনী সংলাপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে অংশ নিতে পারবেন; তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জোরালো দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই ফেলানীর নামে সড়কের নামকরণ। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নির্বাচনী সংলাপ, প্রচার-প্রচারণায় সব প্রার্থীর সমান সুযোগের নিশ্চয়তা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টক শো বা নির্বাচনী সংলাপ পরিবেশনের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি লক্ষ রাখা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, গণমাধ্যমে নির্বাচনী সংলাপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে অংশ নিতে পারবেন; তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নির্বাচনী সংলাপ বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান এবং কোনো দল বা প্রার্থীকে হেয়প্রতিপন্ন করে কোনো বক্তব্য বা কটূক্তি প্রচার না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নির্বাচনী সংলাপ, প্রচার-প্রচারণায় সব প্রার্থীর সমান সুযোগের নিশ্চয়তা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টক শো বা নির্বাচনী সংলাপ পরিবেশনের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি লক্ষ রাখা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, গণমাধ্যমে নির্বাচনী সংলাপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে অংশ নিতে পারবেন; তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নির্বাচনী সংলাপ বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান এবং কোনো দল বা প্রার্থীকে হেয়প্রতিপন্ন করে কোনো বক্তব্য বা কটূক্তি প্রচার না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার মধ্যেও এই আইনে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে দ্বিগুণ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। শুক্রবার সংস্থার সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, মার্চে
৩১ মার্চ ২০২৩
প্রাতিষ্ঠানিক দালাল চক্র, নথি জালিয়াতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গভীর ও জটিল সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তলবের মূল কারণ হলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য।
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জোরালো দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই ফেলানীর নামে সড়কের নামকরণ। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জোরালো দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই ফেলানীর নামে সড়কের নামকরণ। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে গুলশান-২ গোলচত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটির নামফলক উন্মোচন করা হয় ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের বোন ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় জীবন দিয়েছিল। তার প্রতি কী ধরনের নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছিল, সেটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে প্রতিদিন মনে করিয়ে দিতেই সড়কটির নাম “ফেলানী অ্যাভিনিউ” নামে নামকরণ করা হয়েছে।’
তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, এই নামকরণের মাধ্যমে দেশের মানুষের সীমান্ত হত্যা বন্ধের সর্বজনীন আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি যোগ করেন, একই সঙ্গে বিশ্ব বিবেকের কাছে সীমান্ত হত্যার মতো একটি ‘জঘন্য পরিস্থিতি’ বিরাজ করছে—এই বার্তাটি তুলে ধরাই আজকের এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, এই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং মহান বিজয়ের দিনে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ফেলানীর নামে এই সড়কের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের অবস্থান আরও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি একটি সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’ তাঁর মতে, এই নামকরণ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি জোরালো বার্তা পৌঁছে দেবে।
নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
অনুষ্ঠানের শেষে ডিএনসিসি মসজিদের ইমাম মাওলানা আনসার উল করিম দোয়া পরিচালনা করেন, যেখানে ফেলানীর আত্মার শান্তি কামনাসহ দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জোরালো দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই ফেলানীর নামে সড়কের নামকরণ। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে গুলশান-২ গোলচত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটির নামফলক উন্মোচন করা হয় ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের বোন ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় জীবন দিয়েছিল। তার প্রতি কী ধরনের নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছিল, সেটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে প্রতিদিন মনে করিয়ে দিতেই সড়কটির নাম “ফেলানী অ্যাভিনিউ” নামে নামকরণ করা হয়েছে।’
তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, এই নামকরণের মাধ্যমে দেশের মানুষের সীমান্ত হত্যা বন্ধের সর্বজনীন আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি যোগ করেন, একই সঙ্গে বিশ্ব বিবেকের কাছে সীমান্ত হত্যার মতো একটি ‘জঘন্য পরিস্থিতি’ বিরাজ করছে—এই বার্তাটি তুলে ধরাই আজকের এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, এই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং মহান বিজয়ের দিনে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ফেলানীর নামে এই সড়কের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের অবস্থান আরও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি একটি সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’ তাঁর মতে, এই নামকরণ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি জোরালো বার্তা পৌঁছে দেবে।
নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
অনুষ্ঠানের শেষে ডিএনসিসি মসজিদের ইমাম মাওলানা আনসার উল করিম দোয়া পরিচালনা করেন, যেখানে ফেলানীর আত্মার শান্তি কামনাসহ দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার মধ্যেও এই আইনে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে দ্বিগুণ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। শুক্রবার সংস্থার সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, মার্চে
৩১ মার্চ ২০২৩
প্রাতিষ্ঠানিক দালাল চক্র, নথি জালিয়াতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গভীর ও জটিল সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তলবের মূল কারণ হলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে যে গণমাধ্যমে নির্বাচনী সংলাপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে অংশ নিতে পারবেন; তবে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগে