উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

দ্বীপ জেলা ভোলার জনসংখ্যা সরকারি হিসাবে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫১৪। বিপুলসংখ্যক এই মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য আছে জেলার একমাত্র জেনারেল হাসপাতাল। এ ছাড়া আছে ছয়টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পাঁচটি সরকারি শিশুসদন, একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও ২৫০টি স্যাটেলাইট ক্লিনিক। ভোলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার সড়কযোগাযোগ না থাকায় সেখানকার মানুষের চিকিৎসাসেবা একেবারেই অপ্রতুল।
জরুরি মুহূর্তেও এই জেলার বাসিন্দারা উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পায় না। ভোলাবাসীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সেখানে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসক বা ডিসি আরিফুজ্জামান। ডিসি সম্মেলন সামনে রেখে লিখিত প্রস্তাবে তিনি বলেছেন, ভোলা থেকে বরিশাল ও ঢাকায় দ্রুত যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন ও চিকিৎসা শিক্ষায় গুরুত্ব বাড়বে।
ভোলার ডিসির মতো বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, মৌলভীবাজার, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ীসহ অন্তত ১২ জেলার ডিসি অভিন্ন প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। বরিশালের ডিসি শহিদুল ইসলাম আরও এক ধাপ এগিয়ে বরিশাল শহরে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ পাঠিয়েছেন।
ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়টি এখনো দেখিনি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতের সব ধরনের অসংগতি দূর করার চেষ্টা করছি। শুধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা নয়, জেলা-উপজেলা হাসপাতালে যাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন নিশ্চিত হয়, সে জন্য একটি পদায়ন নীতিমালাও করা হচ্ছে। আশা করছি, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত হবে।’
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অধিকাংশ বাড়িতে মানসম্পন্ন শৌচাগার না থাকা, বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকট এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ও পয়োবর্জ্যের কারণে পরিবেশদূষণের চিত্র তুলে ধরেছেন কক্সবাজারের ডিসি শাহীন ইমরান। তিনি জানান, দ্বীপের পানিতে অসহনীয় মাত্রায় ই. কোলাই জীবাণু থাকায় অধিকাংশ মানুষ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া বান্দরবানের ডিসি শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সেখানে দেশের সর্বোচ্চ তিনটি পর্বতশৃঙ্গ সাকা হাফং, তাজিংডং ও কেওক্রাডংয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে সুপারিশ করেছেন। তাঁর মতে, এতে পাহাড়ি অধিবাসী ও পর্যটকেরা এসব স্থানে গিয়ে জাতির পিতার জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের ধারণা লাভ করবে। এমন অন্তত তিন শতাধিক প্রস্তাব বা সুপারিশ নিয়ে আগামী রোববার শুরু হচ্ছে ডিসি সম্মেলন-২০২৪।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) আমিন উল আহসান জানান, ৩ মার্চ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে চার দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। দেশের আট বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার ডিসিদের অংশগ্রহণে মাঠ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বক্তব্যের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনের উদ্ভাবন, সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের বক্তব্য থাকবে। সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘মুক্ত আলোচনা’। এই পর্বে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা প্রধানমন্ত্রীর সামনে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে নানা ধরনের রাজনৈতিক চাপসহ বিভিন্ন বাধাবিপত্তির কথা তুলে ধরে থাকেন।
এসব শুনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন সরকারপ্রধান। সন্ধ্যায় যথারীতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজ হবে। উদ্বোধনের পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও কার্য অধিবেশনে অংশ নেবেন ডিসিরা। কার্য অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবেরা উপস্থিত থাকবেন।
জনস্বার্থ ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট আরও প্রস্তাব
এবারের সম্মেলনে জনস্বার্থ ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট অনেক প্রস্তাব থাকছে ডিসিদের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—হ্রদবেষ্টিত লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় নৌ অ্যাম্বুলেন্স চালুর প্রস্তাব। এ প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ির ডিসি মো. সহিদুজ্জামান বলেছেন, হ্রদবেষ্টিত এসব উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। নৌ অ্যাম্বুলেন্স হলে মুমূর্ষু বা জটিল রোগীদের দ্রুত জেলা সদরের হাসপাতালে নেওয়া যাবে। ভাসানচরের জন্যও নৌ অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছেন নোয়াখালীর ডিসি দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। কুমিল্লার ডিসি খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ থেকে ১০০০ শয্যায় উন্নীত করা, হৃদ্রোগীদের জন্য ক্যাথল্যাব স্থাপন এবং কুমিল্লার সব সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিতের সুপারিশ করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সেখানে নার্সিং ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো এবং বিএসসি-ইন-নার্সিং ডিগ্রি চালুর প্রস্তাব করেছেন।
ময়মনসিংহের ডিসি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জরুরি ভিত্তিতে ময়মনসিংহ সদর হাসপাতাল নির্মাণ করার প্রস্তাব করেন। ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি মাহবুবুর রহমান সেখানে একটি আধুনিক মর্গ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন। দেশের সব উপজেলায় ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব করেছেন মেহেরপুরের ডিসি শামীম হাসান। বরগুনার ডিসি রফিকুল ইসলাম সেখানকার জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়নের সুপারিশ করেছেন। মৌলভীবাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসি ড. উর্মি বিনতে সালাম। গাজীপুরের ডিসি আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। ফরিদপুরের ডিসি কামরুল আহসান সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা প্যাথলজি ও আধুনিক মানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু রাখতে সুপারিশ করেছেন। কিশোরগঞ্জের ডিসি আবুল কালাম আজাদ সেখানে শিশু হাসপাতাল ও অটিজম সেন্টার চেয়েছেন।
যথাযথ তদারকি দরকার
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাবেক সচিব আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে সরকারি মানসম্মত হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব আছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হলে অবশ্যই সেটা ভালো উদ্যোগ। তার পরও বলব, গত ১০ বছরে সরকার এই খাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছে বা যে পরিমাণ চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কিনেছে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এ নিয়ে কারও প্রশ্ন থাকার কথা নয়। কারণ, ৩২ হাজার ডাক্তার ও ৩৮ হাজার নার্স এই সেক্টরে ঠিকমতো কাজ করলে প্রতিবছর দেশ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশ যেত না।’ তিনি বলেন, শুধু অবকাঠামো খাতে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেই হবে না। দেশে যেসব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে, তা যেন সঠিকভাবে সেবা দেয়, তা মনিটর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের লুটপাট বন্ধ করতে হবে।

দ্বীপ জেলা ভোলার জনসংখ্যা সরকারি হিসাবে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫১৪। বিপুলসংখ্যক এই মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য আছে জেলার একমাত্র জেনারেল হাসপাতাল। এ ছাড়া আছে ছয়টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পাঁচটি সরকারি শিশুসদন, একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও ২৫০টি স্যাটেলাইট ক্লিনিক। ভোলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার সড়কযোগাযোগ না থাকায় সেখানকার মানুষের চিকিৎসাসেবা একেবারেই অপ্রতুল।
জরুরি মুহূর্তেও এই জেলার বাসিন্দারা উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পায় না। ভোলাবাসীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সেখানে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসক বা ডিসি আরিফুজ্জামান। ডিসি সম্মেলন সামনে রেখে লিখিত প্রস্তাবে তিনি বলেছেন, ভোলা থেকে বরিশাল ও ঢাকায় দ্রুত যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন ও চিকিৎসা শিক্ষায় গুরুত্ব বাড়বে।
ভোলার ডিসির মতো বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, মৌলভীবাজার, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ীসহ অন্তত ১২ জেলার ডিসি অভিন্ন প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। বরিশালের ডিসি শহিদুল ইসলাম আরও এক ধাপ এগিয়ে বরিশাল শহরে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ পাঠিয়েছেন।
ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়টি এখনো দেখিনি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতের সব ধরনের অসংগতি দূর করার চেষ্টা করছি। শুধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা নয়, জেলা-উপজেলা হাসপাতালে যাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন নিশ্চিত হয়, সে জন্য একটি পদায়ন নীতিমালাও করা হচ্ছে। আশা করছি, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত হবে।’
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অধিকাংশ বাড়িতে মানসম্পন্ন শৌচাগার না থাকা, বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকট এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ও পয়োবর্জ্যের কারণে পরিবেশদূষণের চিত্র তুলে ধরেছেন কক্সবাজারের ডিসি শাহীন ইমরান। তিনি জানান, দ্বীপের পানিতে অসহনীয় মাত্রায় ই. কোলাই জীবাণু থাকায় অধিকাংশ মানুষ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া বান্দরবানের ডিসি শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সেখানে দেশের সর্বোচ্চ তিনটি পর্বতশৃঙ্গ সাকা হাফং, তাজিংডং ও কেওক্রাডংয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে সুপারিশ করেছেন। তাঁর মতে, এতে পাহাড়ি অধিবাসী ও পর্যটকেরা এসব স্থানে গিয়ে জাতির পিতার জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের ধারণা লাভ করবে। এমন অন্তত তিন শতাধিক প্রস্তাব বা সুপারিশ নিয়ে আগামী রোববার শুরু হচ্ছে ডিসি সম্মেলন-২০২৪।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) আমিন উল আহসান জানান, ৩ মার্চ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে চার দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। দেশের আট বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার ডিসিদের অংশগ্রহণে মাঠ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বক্তব্যের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনের উদ্ভাবন, সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের বক্তব্য থাকবে। সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘মুক্ত আলোচনা’। এই পর্বে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা প্রধানমন্ত্রীর সামনে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে নানা ধরনের রাজনৈতিক চাপসহ বিভিন্ন বাধাবিপত্তির কথা তুলে ধরে থাকেন।
এসব শুনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন সরকারপ্রধান। সন্ধ্যায় যথারীতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজ হবে। উদ্বোধনের পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও কার্য অধিবেশনে অংশ নেবেন ডিসিরা। কার্য অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবেরা উপস্থিত থাকবেন।
জনস্বার্থ ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট আরও প্রস্তাব
এবারের সম্মেলনে জনস্বার্থ ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট অনেক প্রস্তাব থাকছে ডিসিদের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—হ্রদবেষ্টিত লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় নৌ অ্যাম্বুলেন্স চালুর প্রস্তাব। এ প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ির ডিসি মো. সহিদুজ্জামান বলেছেন, হ্রদবেষ্টিত এসব উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। নৌ অ্যাম্বুলেন্স হলে মুমূর্ষু বা জটিল রোগীদের দ্রুত জেলা সদরের হাসপাতালে নেওয়া যাবে। ভাসানচরের জন্যও নৌ অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছেন নোয়াখালীর ডিসি দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। কুমিল্লার ডিসি খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ থেকে ১০০০ শয্যায় উন্নীত করা, হৃদ্রোগীদের জন্য ক্যাথল্যাব স্থাপন এবং কুমিল্লার সব সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিতের সুপারিশ করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সেখানে নার্সিং ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো এবং বিএসসি-ইন-নার্সিং ডিগ্রি চালুর প্রস্তাব করেছেন।
ময়মনসিংহের ডিসি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জরুরি ভিত্তিতে ময়মনসিংহ সদর হাসপাতাল নির্মাণ করার প্রস্তাব করেন। ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি মাহবুবুর রহমান সেখানে একটি আধুনিক মর্গ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন। দেশের সব উপজেলায় ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব করেছেন মেহেরপুরের ডিসি শামীম হাসান। বরগুনার ডিসি রফিকুল ইসলাম সেখানকার জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়নের সুপারিশ করেছেন। মৌলভীবাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসি ড. উর্মি বিনতে সালাম। গাজীপুরের ডিসি আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। ফরিদপুরের ডিসি কামরুল আহসান সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা প্যাথলজি ও আধুনিক মানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু রাখতে সুপারিশ করেছেন। কিশোরগঞ্জের ডিসি আবুল কালাম আজাদ সেখানে শিশু হাসপাতাল ও অটিজম সেন্টার চেয়েছেন।
যথাযথ তদারকি দরকার
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাবেক সচিব আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে সরকারি মানসম্মত হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব আছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হলে অবশ্যই সেটা ভালো উদ্যোগ। তার পরও বলব, গত ১০ বছরে সরকার এই খাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছে বা যে পরিমাণ চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কিনেছে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এ নিয়ে কারও প্রশ্ন থাকার কথা নয়। কারণ, ৩২ হাজার ডাক্তার ও ৩৮ হাজার নার্স এই সেক্টরে ঠিকমতো কাজ করলে প্রতিবছর দেশ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশ যেত না।’ তিনি বলেন, শুধু অবকাঠামো খাতে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেই হবে না। দেশে যেসব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে, তা যেন সঠিকভাবে সেবা দেয়, তা মনিটর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের লুটপাট বন্ধ করতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

আগামী রোববার থেকে ঢাকায় চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এবার নানা দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ নজর রয়েছে জেলা প্রশাসকদের। বরিশালে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের সুপারিশ করবেন তাঁরা
০১ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

আগামী রোববার থেকে ঢাকায় চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এবার নানা দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ নজর রয়েছে জেলা প্রশাসকদের। বরিশালে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের সুপারিশ করবেন তাঁরা
০১ মার্চ ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আগামী রোববার থেকে ঢাকায় চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এবার নানা দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ নজর রয়েছে জেলা প্রশাসকদের। বরিশালে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের সুপারিশ করবেন তাঁরা
০১ মার্চ ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

আগামী রোববার থেকে ঢাকায় চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এবার নানা দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ নজর রয়েছে জেলা প্রশাসকদের। বরিশালে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের সুপারিশ করবেন তাঁরা
০১ মার্চ ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগে