কামরুল হাসান

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন আওরঙ্গজেব খান লেনিন। তাঁর ছোট ভাই সেলিম ওমরাও খান ছিলেন নামকরা সাপ্তাহিক বিচিত্রার সাংবাদিক। সেই সুবাদে আমরা সাংবাদিকেরা তাঁকে ডাকতাম ‘লেনিন ভাই’ বলে।
গুলশানে সেই লেনিন ভাইয়ের দিনকাল ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন রাতে বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে খুন হলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। কপাল পুড়ল লেনিন ভাইয়ের। তাঁকে গুলশান থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো ঢাকা রেঞ্জে। তাঁর বদলে এলেন সুদর্শন ফারুক আহমেদ।
একদিন সকালে গুলশান থানায় ওসির রুমে উঁকি দিয়ে দেখি সাবেক ও বর্তমান দুই ওসি বসে গভীর আলোচনায় মগ্ন। আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেখেই দুজনে চুপ হয়ে গেলেন। আমি টের পেয়ে বললাম, কথা শেষ করেন, পরে আসছি।
গুলশান থানা তখন ছিল ১ ও ২ নম্বর গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো দোতলা বাড়িতে। সেই বাড়ির বসার ঘরটি ছিল ওসির কক্ষ। ওসির কক্ষের সামনে বিশাল আকারের একটি বারান্দা। দর্শনার্থী বসার জন্য বারান্দার দুপাশে দুটি কাঠের বেঞ্চ রাখা। একটি বেঞ্চে বসে তাঁদের কথা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
লেনিন ভাই কথা বলতেন উচ্চ স্বরে। সেই তুলনায় ফারুক আহমেদ বেশ অনুচ্চ। লেনিন ভাই ভেতরে যা বলছেন তার প্রায় সবই বাইরে থেকে শোনা যাচ্ছে। তিনি মাঝেমধ্যে গলার জোর আরও বাড়িয়ে দিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু ফারুক আহমেদের কথা শোনা যাচ্ছে না। হঠাৎ লেনিন ভাইয়ের একটি কথা আমার কানে আসার পর মনে হলো, এবার একটু আড়িপাতা যেতে পারে। কান খাড়া করে শোনার চেষ্টা করছি তাঁরা কী বলছেন। কিছু বিষয় আবছা আবছা বুঝতে পারলাম। মনে হলো তাঁরা কোনো নারীর ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কথা বলছেন। তবে পুরো ঘটনা আর উদ্ধার করতে পারলাম না।
মিনিট বিশেক পরে বেরিয়ে এলেন লেনিন ভাই। বেরিয়েই হনহন করে হাঁটা দিলেন। আমি তাঁকে ডাক দিতেই ইশারা করলেন বাইরে চলে আসার জন্য। তাঁর পিছু নিয়ে থানার বাইরে এলাম। এটা ১৯৯৯ সালের ১৭-১৮ মার্চের ঘটনা।
লেনিন ভাইয়ের মেজাজ গরম। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের কপালকে দোষারোপ করছেন। কী হয়েছে জানতে চাইলে যা বললেন তা শুনে পিলে চমকে গেল। বললেন, থানার ভেতরে কোনো এক ব্রিটিশ নারী নাকি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে আইজিপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠি কমিশনারের কাছে এসেছে। তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। ফারুক আহমেদ নাকি তদন্ত কমিটির কোনো এক সদস্যকে বলেছেন, তিনি যোগদানের পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা আগের ওসির আমলে হলেও হতে পারে। লেনিন ভাই আর বিস্তারিত কিছু জানেন না। শুধু এটুকু শুনেই মাথা গরম হয়েছে বলে ফারুক আহমেদের কাছে ছুটে এসেছেন। আমাকে বললেন, আমি যেন খোঁজ করে আসল ঘটনা বের করি।
যেকোনো পেশাদার সংবাদকর্মীর জন্য খবরের এতটুকু ক্লুই যথেষ্ট। তাঁকে বিদায় দিয়ে গেলাম ওসি ফারুক আহমেদের কাছে। তিনি বেশ চিন্তিত, কিন্তু কিছু বললেন না। মনে হলো, বিষয়টি স্পর্শকাতর, কমিশনার ছাড়া কেউ কথা বলবেন না। এলাম কমিশনারের অফিসে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ছিলেন এ কে এম শামসুদ্দিন। ডিএমপি সদর দপ্তরে ঢুকতেই যে লাল ভবন, এর দোতলায় বসতেন তিনি। কাঠের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হতো। তাঁকে সহজেই পেয়ে গেলাম। কিন্তু তিনিও কিছু বলতে চাইলেন না। শুধু এটুকু বললেন, এসবির প্রধান নুরুল আলমকে প্রধান করে এ নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে। নুরুল আলম ছাড়া কেউ কিছু জানেন না।
গেলাম এসবিতে, অ্যাডিশনাল আইজি অফিসে নেই। তিনি সিআইডির প্রধানের সঙ্গে জরুরি মিটিং করছেন। তখন সিআইডির প্রধান ছিলেন মুহা. নুরুল হুদা। পরে তিনি আইজিপি হয়েছিলেন। ঘণ্টা দেড়েক বসে থাকলাম, মিটিং আর শেষ হয় না। এদিকে সময় চলে যাচ্ছে, কিন্তু কিছুই বের করতে পারছি না। ছুটলাম পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপির কাছে, তিনি যদি কিছু বলেন।
এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী তখন আইজিপি। তিনি রেডিও-টিভিতে গান গাইতেন বুরহান সিদ্দিকী নামে। তাঁর একটি সুবিধা ছিল, তিনি নিজ থেকে কোনো কিছু বলতেন না, কিন্তু কোনো কিছু জানতে চাইলে অস্বীকার করতেন না। সারা দিনের দৌড়াদৌড়ির কথা তাঁকে বললাম। তিনি সব শুনে একজন কর্মকর্তার কাছে পাঠালেন। সেই কর্মকর্তা আমাকে একটি চিঠি পড়তে দিলেন, কিন্তু তার কপি আর দিলেন না।
চিঠিটি ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি জিওফ্রে ফেয়ারের লেখা। তিনি লিখেছেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশে কর্মরত ২৭-২৮ বছরের এক ব্রিটিশ নারী গভীর রাতে নিজের বাসায় ঢুকে দেখেন ভেতরের সবকিছু চুরি হয়ে গেছে। সেই রাতেই তিনি যান গুলশান থানায় অভিযোগ জানাতে। এরপর থানার চার পুলিশ সদস্য গভীর রাতে তাঁকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরে আসার পর বাসায় ফিরে যান এবং দুই দিনের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যান। নিজের দেশে যাওয়ার পর প্রতিকার চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন। চিঠিতে বলা হয়, এ ঘটনার পর ঢাকায় বসবাস করা ব্রিটিশ নারীদের রাতের বেলা সঙ্গী ছাড়া থানায় যেতে বারণ করা হয়েছে।
সব নোট করে নিয়ে অফিসে গিয়ে লিখতে বসেছি, হঠাৎ শুনি বিবিসি বাংলা সেই খবরই প্রচার করছে। তাদের খবরে আমার চেয়ে আরও অনেক বেশি তথ্য। সেই খবর প্রচারের পর শুরু হলো তোলপাড়। এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি গরম হয়ে উঠল। এক দিন পর পত্রিকায় খবর এল—ঢাকা-লন্ডন সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।
মোহাম্মদ নাসিম তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ঘটনা নিয়ে তিনি প্রতিদিনই সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন, কিন্তু খবর আর থামছে না। অনেক পত্রিকা সেই খবরকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের খবর প্রচার করতে শুরু করল। পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে কমিটির পর কমিটি গঠন করা হলো, কিন্তু কথিত ধর্ষকদের আর খুঁজে পাওয়া গেল না।
অবশ্য তখন এ ঘটনা নিয়ে অন্য রকম একটি প্রচারও ছিল। বলা হচ্ছিল, বাংলাদেশে তেল-গ্যাসক্ষেত্র ইজারা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো পিছিয়ে পড়ছিল। হাইকমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা কয়েকটি কোম্পানির পক্ষে চেষ্টা-তদবির করছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ হন। এরপর বেনামি এই নারীর গল্প ফাঁদেন। অবশ্য এটা সত্যি, দূতাবাসের সেই চিঠিতে ধর্ষণের শিকার সেই নারীর কোনো নাম-পরিচয় ছিল না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার নাম-পরিচয় চাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাঁরা সেটা দিতে পারছিলেন না। ডিএফআইডি তখন বাংলাদেশে একটি প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছিল। এ ঘটনার কারণে সেটাও থেমে যায়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায়, এ নিয়ে প্রতিদিনই রেডিও এবং পত্রিকায় খবর হতে থাকে।
ঢাকায় তখন ব্রিটিশ হাইকমিশনার ছিলেন ডেভিড সি ওয়াকার। ১৯৯৯ সালের ২৩ মার্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ডেভিডের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁরা দুজনেই পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে একমত হন। বৈঠক চলতে থাকে আর আমরা এক ডজন সাংবাদিক ফলাফল জানতে অপেক্ষা করি। দীর্ঘ বৈঠকের পর বের হয়ে আসেন দুজনে। মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আমাদের বলেন, থানায় ধর্ষণ নিয়ে যে খবর প্রচারিত হয়েছে, সেটি ঠিক নয়। সরকার তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে, গুলশান থানায় এ ধরনের ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তদন্তের সবকিছু ডেভিডকে বলা হয়েছে। বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার তাঁদের সঙ্গে একমত হয়েছেন বলে আমাদের বলা হয়। ডেভিড তখন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে বাংলাদেশ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে, তাতে তিনি মুগ্ধ। এই যৌথ ব্রিফিংয়ের পর ঘটনাটি মোটামুটি থেমে যায়।
অনেক দিন পর গুলশান থানার সামনে দিয়ে উত্তর দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘটনাটি মনে পড়ে গেল। এখনো মাঝে মাঝে মনে হয়, আদৌ কি সেদিন এমন কোনো ঘটনা ঘটেছিল, নাকি ঘটেনি? আমি আসলে এর কিছুই জানতে পারিনি। জীবনে কত ঘটনার যে রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন আওরঙ্গজেব খান লেনিন। তাঁর ছোট ভাই সেলিম ওমরাও খান ছিলেন নামকরা সাপ্তাহিক বিচিত্রার সাংবাদিক। সেই সুবাদে আমরা সাংবাদিকেরা তাঁকে ডাকতাম ‘লেনিন ভাই’ বলে।
গুলশানে সেই লেনিন ভাইয়ের দিনকাল ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন রাতে বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে খুন হলেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। কপাল পুড়ল লেনিন ভাইয়ের। তাঁকে গুলশান থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো ঢাকা রেঞ্জে। তাঁর বদলে এলেন সুদর্শন ফারুক আহমেদ।
একদিন সকালে গুলশান থানায় ওসির রুমে উঁকি দিয়ে দেখি সাবেক ও বর্তমান দুই ওসি বসে গভীর আলোচনায় মগ্ন। আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেখেই দুজনে চুপ হয়ে গেলেন। আমি টের পেয়ে বললাম, কথা শেষ করেন, পরে আসছি।
গুলশান থানা তখন ছিল ১ ও ২ নম্বর গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো দোতলা বাড়িতে। সেই বাড়ির বসার ঘরটি ছিল ওসির কক্ষ। ওসির কক্ষের সামনে বিশাল আকারের একটি বারান্দা। দর্শনার্থী বসার জন্য বারান্দার দুপাশে দুটি কাঠের বেঞ্চ রাখা। একটি বেঞ্চে বসে তাঁদের কথা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
লেনিন ভাই কথা বলতেন উচ্চ স্বরে। সেই তুলনায় ফারুক আহমেদ বেশ অনুচ্চ। লেনিন ভাই ভেতরে যা বলছেন তার প্রায় সবই বাইরে থেকে শোনা যাচ্ছে। তিনি মাঝেমধ্যে গলার জোর আরও বাড়িয়ে দিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু ফারুক আহমেদের কথা শোনা যাচ্ছে না। হঠাৎ লেনিন ভাইয়ের একটি কথা আমার কানে আসার পর মনে হলো, এবার একটু আড়িপাতা যেতে পারে। কান খাড়া করে শোনার চেষ্টা করছি তাঁরা কী বলছেন। কিছু বিষয় আবছা আবছা বুঝতে পারলাম। মনে হলো তাঁরা কোনো নারীর ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কথা বলছেন। তবে পুরো ঘটনা আর উদ্ধার করতে পারলাম না।
মিনিট বিশেক পরে বেরিয়ে এলেন লেনিন ভাই। বেরিয়েই হনহন করে হাঁটা দিলেন। আমি তাঁকে ডাক দিতেই ইশারা করলেন বাইরে চলে আসার জন্য। তাঁর পিছু নিয়ে থানার বাইরে এলাম। এটা ১৯৯৯ সালের ১৭-১৮ মার্চের ঘটনা।
লেনিন ভাইয়ের মেজাজ গরম। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের কপালকে দোষারোপ করছেন। কী হয়েছে জানতে চাইলে যা বললেন তা শুনে পিলে চমকে গেল। বললেন, থানার ভেতরে কোনো এক ব্রিটিশ নারী নাকি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে আইজিপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠি কমিশনারের কাছে এসেছে। তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। ফারুক আহমেদ নাকি তদন্ত কমিটির কোনো এক সদস্যকে বলেছেন, তিনি যোগদানের পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা আগের ওসির আমলে হলেও হতে পারে। লেনিন ভাই আর বিস্তারিত কিছু জানেন না। শুধু এটুকু শুনেই মাথা গরম হয়েছে বলে ফারুক আহমেদের কাছে ছুটে এসেছেন। আমাকে বললেন, আমি যেন খোঁজ করে আসল ঘটনা বের করি।
যেকোনো পেশাদার সংবাদকর্মীর জন্য খবরের এতটুকু ক্লুই যথেষ্ট। তাঁকে বিদায় দিয়ে গেলাম ওসি ফারুক আহমেদের কাছে। তিনি বেশ চিন্তিত, কিন্তু কিছু বললেন না। মনে হলো, বিষয়টি স্পর্শকাতর, কমিশনার ছাড়া কেউ কথা বলবেন না। এলাম কমিশনারের অফিসে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ছিলেন এ কে এম শামসুদ্দিন। ডিএমপি সদর দপ্তরে ঢুকতেই যে লাল ভবন, এর দোতলায় বসতেন তিনি। কাঠের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হতো। তাঁকে সহজেই পেয়ে গেলাম। কিন্তু তিনিও কিছু বলতে চাইলেন না। শুধু এটুকু বললেন, এসবির প্রধান নুরুল আলমকে প্রধান করে এ নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে। নুরুল আলম ছাড়া কেউ কিছু জানেন না।
গেলাম এসবিতে, অ্যাডিশনাল আইজি অফিসে নেই। তিনি সিআইডির প্রধানের সঙ্গে জরুরি মিটিং করছেন। তখন সিআইডির প্রধান ছিলেন মুহা. নুরুল হুদা। পরে তিনি আইজিপি হয়েছিলেন। ঘণ্টা দেড়েক বসে থাকলাম, মিটিং আর শেষ হয় না। এদিকে সময় চলে যাচ্ছে, কিন্তু কিছুই বের করতে পারছি না। ছুটলাম পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপির কাছে, তিনি যদি কিছু বলেন।
এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী তখন আইজিপি। তিনি রেডিও-টিভিতে গান গাইতেন বুরহান সিদ্দিকী নামে। তাঁর একটি সুবিধা ছিল, তিনি নিজ থেকে কোনো কিছু বলতেন না, কিন্তু কোনো কিছু জানতে চাইলে অস্বীকার করতেন না। সারা দিনের দৌড়াদৌড়ির কথা তাঁকে বললাম। তিনি সব শুনে একজন কর্মকর্তার কাছে পাঠালেন। সেই কর্মকর্তা আমাকে একটি চিঠি পড়তে দিলেন, কিন্তু তার কপি আর দিলেন না।
চিঠিটি ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি জিওফ্রে ফেয়ারের লেখা। তিনি লিখেছেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশে কর্মরত ২৭-২৮ বছরের এক ব্রিটিশ নারী গভীর রাতে নিজের বাসায় ঢুকে দেখেন ভেতরের সবকিছু চুরি হয়ে গেছে। সেই রাতেই তিনি যান গুলশান থানায় অভিযোগ জানাতে। এরপর থানার চার পুলিশ সদস্য গভীর রাতে তাঁকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরে আসার পর বাসায় ফিরে যান এবং দুই দিনের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যান। নিজের দেশে যাওয়ার পর প্রতিকার চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন। চিঠিতে বলা হয়, এ ঘটনার পর ঢাকায় বসবাস করা ব্রিটিশ নারীদের রাতের বেলা সঙ্গী ছাড়া থানায় যেতে বারণ করা হয়েছে।
সব নোট করে নিয়ে অফিসে গিয়ে লিখতে বসেছি, হঠাৎ শুনি বিবিসি বাংলা সেই খবরই প্রচার করছে। তাদের খবরে আমার চেয়ে আরও অনেক বেশি তথ্য। সেই খবর প্রচারের পর শুরু হলো তোলপাড়। এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি গরম হয়ে উঠল। এক দিন পর পত্রিকায় খবর এল—ঢাকা-লন্ডন সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।
মোহাম্মদ নাসিম তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ঘটনা নিয়ে তিনি প্রতিদিনই সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন, কিন্তু খবর আর থামছে না। অনেক পত্রিকা সেই খবরকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের খবর প্রচার করতে শুরু করল। পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে কমিটির পর কমিটি গঠন করা হলো, কিন্তু কথিত ধর্ষকদের আর খুঁজে পাওয়া গেল না।
অবশ্য তখন এ ঘটনা নিয়ে অন্য রকম একটি প্রচারও ছিল। বলা হচ্ছিল, বাংলাদেশে তেল-গ্যাসক্ষেত্র ইজারা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো পিছিয়ে পড়ছিল। হাইকমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা কয়েকটি কোম্পানির পক্ষে চেষ্টা-তদবির করছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ হন। এরপর বেনামি এই নারীর গল্প ফাঁদেন। অবশ্য এটা সত্যি, দূতাবাসের সেই চিঠিতে ধর্ষণের শিকার সেই নারীর কোনো নাম-পরিচয় ছিল না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার নাম-পরিচয় চাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাঁরা সেটা দিতে পারছিলেন না। ডিএফআইডি তখন বাংলাদেশে একটি প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছিল। এ ঘটনার কারণে সেটাও থেমে যায়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায়, এ নিয়ে প্রতিদিনই রেডিও এবং পত্রিকায় খবর হতে থাকে।
ঢাকায় তখন ব্রিটিশ হাইকমিশনার ছিলেন ডেভিড সি ওয়াকার। ১৯৯৯ সালের ২৩ মার্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ডেভিডের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁরা দুজনেই পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে একমত হন। বৈঠক চলতে থাকে আর আমরা এক ডজন সাংবাদিক ফলাফল জানতে অপেক্ষা করি। দীর্ঘ বৈঠকের পর বের হয়ে আসেন দুজনে। মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আমাদের বলেন, থানায় ধর্ষণ নিয়ে যে খবর প্রচারিত হয়েছে, সেটি ঠিক নয়। সরকার তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে, গুলশান থানায় এ ধরনের ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তদন্তের সবকিছু ডেভিডকে বলা হয়েছে। বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার তাঁদের সঙ্গে একমত হয়েছেন বলে আমাদের বলা হয়। ডেভিড তখন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে বাংলাদেশ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে, তাতে তিনি মুগ্ধ। এই যৌথ ব্রিফিংয়ের পর ঘটনাটি মোটামুটি থেমে যায়।
অনেক দিন পর গুলশান থানার সামনে দিয়ে উত্তর দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘটনাটি মনে পড়ে গেল। এখনো মাঝে মাঝে মনে হয়, আদৌ কি সেদিন এমন কোনো ঘটনা ঘটেছিল, নাকি ঘটেনি? আমি আসলে এর কিছুই জানতে পারিনি। জীবনে কত ঘটনার যে রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন আওরঙ্গজেব খান লেনিন। তাঁর ছোট ভাই সেলিম ওমরাও খান ছিলেন নামকরা সাপ্তাহিক বিচিত্রার সাংবাদিক। সেই সুবাদে আমরা সাংবাদিকেরা তাঁকে ডাকতাম ‘লেনিন ভাই’ বলে। গুলশানে সেই লেনিন ভাইয়ের দিনকাল...
০৯ এপ্রিল ২০২২
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন আওরঙ্গজেব খান লেনিন। তাঁর ছোট ভাই সেলিম ওমরাও খান ছিলেন নামকরা সাপ্তাহিক বিচিত্রার সাংবাদিক। সেই সুবাদে আমরা সাংবাদিকেরা তাঁকে ডাকতাম ‘লেনিন ভাই’ বলে। গুলশানে সেই লেনিন ভাইয়ের দিনকাল...
০৯ এপ্রিল ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন আওরঙ্গজেব খান লেনিন। তাঁর ছোট ভাই সেলিম ওমরাও খান ছিলেন নামকরা সাপ্তাহিক বিচিত্রার সাংবাদিক। সেই সুবাদে আমরা সাংবাদিকেরা তাঁকে ডাকতাম ‘লেনিন ভাই’ বলে। গুলশানে সেই লেনিন ভাইয়ের দিনকাল...
০৯ এপ্রিল ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন আওরঙ্গজেব খান লেনিন। তাঁর ছোট ভাই সেলিম ওমরাও খান ছিলেন নামকরা সাপ্তাহিক বিচিত্রার সাংবাদিক। সেই সুবাদে আমরা সাংবাদিকেরা তাঁকে ডাকতাম ‘লেনিন ভাই’ বলে। গুলশানে সেই লেনিন ভাইয়ের দিনকাল...
০৯ এপ্রিল ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে