তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
কিশোরগঞ্জে হাওরের নাকভাঙা থেকে মরিচখালী হয়ে মিঠামইন পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি দৃষ্টিনন্দন উড়ালসড়ক নির্মাণের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বাতিল করেছে সরকার। কিন্তু তার আগেই প্রকল্পটির ১৫৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ছাড় হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারিত হয়েছিল ৫ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা।
সেতু বিভাগের অধীনে চলমান, প্রক্রিয়াধীন এবং পরিকল্পনাধীন বৃহৎ প্রকল্পসংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা সভা হয়েছে গত ২৭ এপ্রিল। সেই সভায় কিশোরগঞ্জ জেলার এই উড়ালসড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই সভায় সভাপতির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ওই উড়ালসড়ক নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ প্রকল্প গ্রহণের ফলে হাওর অঞ্চলের জলাভূমিতে বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে মর্মে পরিবেশবাদীরা সোচ্চার হয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের অর্থছাড় হয়েছে মোট ১৫৩ কোটি ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। বাকি প্রায় ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে যানবাহন খরচ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, প্রকল্পের সাইট অফিস ভাড়া, আউটসোর্সিং জনবলের বেতন, আসবাব ও অন্যান্য অফিস সরঞ্জাম বাবদ।
কাজ না হলেও এত অর্থ খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের ১৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণের টাকা আছে। যেহেতু জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়নি, সে জন্য টাকা রয়ে গেছে। ডিসি অফিস থেকে সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে, তার জন্য ডিসি অফিসকে আমরা চিঠি দিয়েছি।’
কেন প্রকল্প বাতিল হচ্ছে? এই বিষয়ে সেতুসচিব বলেন, পরিবেশগত ক্ষতির কারণে প্রকল্প বাতিল হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে হাওরের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে। এ ছাড়া প্রকল্পটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলের জন্য, তা বিবেচনায় নিয়ে জনস্বার্থে সরকার তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাতিল করতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আবদারে লাভজনক দেখিয়ে কিশোরগঞ্জের হাওরে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে উড়ালসড়ক প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। যা পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
প্রকল্প গ্রহণের আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) দিয়ে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সমীক্ষাও করা হয়েছিল। সমীক্ষায় বলা হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য লাভজনক হবে। ২০৩০ সালে প্রতিদিন ২৫ হাজার ৭০৮ যানবাহন চলাচল করবে। বাস চলবে ১ হাজার ৩৮২টি। মোট ২৬ হাজার যানবাহন চলবে। তবে উদ্বোধনের চার বছর পর অল্প কিছু মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চলবে।
বাস্তবতা হলো, লাভ তো দূরে থাক, হাওরের বুক চিরে নির্মিত সড়কটি বন্যা এবং পরিবেশগত সংকট সৃষ্টির কারণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে প্রকল্পটি অন্তর্বর্তী সরকার বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রকল্পটি বাতিলে সরকারের যুক্তির সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন উড়ালসড়কের নকশার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকা বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের সঙ্গে ইটনা ও অষ্টগ্রামকে যুক্ত করতে এলজিইডি সড়ক নির্মাণের কাজ করছে। এতে ওই অঞ্চলে যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে, তাই কিশোরগঞ্জের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ দরকার হবে। এই কারণে উড়ালসড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর হবে। হাওরের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, তা মাথায় রেখেই পিলারের স্থান নির্ধারণসহ পুরো নকশা করা হয়েছে। আমরা পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। সরকারের প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা পুরোপুরি একমত নই, কারণ এটি কোনো এমবেটমেন্ট সড়ক নয়, বরং খুঁটির ওপর নির্মিত একটি উড়ালসড়ক।
কিশোরগঞ্জে হাওরের নাকভাঙা থেকে মরিচখালী হয়ে মিঠামইন পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি দৃষ্টিনন্দন উড়ালসড়ক নির্মাণের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বাতিল করেছে সরকার। কিন্তু তার আগেই প্রকল্পটির ১৫৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ছাড় হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারিত হয়েছিল ৫ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা।
সেতু বিভাগের অধীনে চলমান, প্রক্রিয়াধীন এবং পরিকল্পনাধীন বৃহৎ প্রকল্পসংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা সভা হয়েছে গত ২৭ এপ্রিল। সেই সভায় কিশোরগঞ্জ জেলার এই উড়ালসড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই সভায় সভাপতির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ওই উড়ালসড়ক নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ প্রকল্প গ্রহণের ফলে হাওর অঞ্চলের জলাভূমিতে বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে মর্মে পরিবেশবাদীরা সোচ্চার হয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত।
সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের অর্থছাড় হয়েছে মোট ১৫৩ কোটি ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। বাকি প্রায় ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে যানবাহন খরচ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, প্রকল্পের সাইট অফিস ভাড়া, আউটসোর্সিং জনবলের বেতন, আসবাব ও অন্যান্য অফিস সরঞ্জাম বাবদ।
কাজ না হলেও এত অর্থ খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের ১৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণের টাকা আছে। যেহেতু জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়নি, সে জন্য টাকা রয়ে গেছে। ডিসি অফিস থেকে সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে, তার জন্য ডিসি অফিসকে আমরা চিঠি দিয়েছি।’
কেন প্রকল্প বাতিল হচ্ছে? এই বিষয়ে সেতুসচিব বলেন, পরিবেশগত ক্ষতির কারণে প্রকল্প বাতিল হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে হাওরের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে। এ ছাড়া প্রকল্পটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলের জন্য, তা বিবেচনায় নিয়ে জনস্বার্থে সরকার তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাতিল করতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আবদারে লাভজনক দেখিয়ে কিশোরগঞ্জের হাওরে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে উড়ালসড়ক প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। যা পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
প্রকল্প গ্রহণের আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) দিয়ে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সমীক্ষাও করা হয়েছিল। সমীক্ষায় বলা হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য লাভজনক হবে। ২০৩০ সালে প্রতিদিন ২৫ হাজার ৭০৮ যানবাহন চলাচল করবে। বাস চলবে ১ হাজার ৩৮২টি। মোট ২৬ হাজার যানবাহন চলবে। তবে উদ্বোধনের চার বছর পর অল্প কিছু মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চলবে।
বাস্তবতা হলো, লাভ তো দূরে থাক, হাওরের বুক চিরে নির্মিত সড়কটি বন্যা এবং পরিবেশগত সংকট সৃষ্টির কারণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে প্রকল্পটি অন্তর্বর্তী সরকার বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রকল্পটি বাতিলে সরকারের যুক্তির সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন উড়ালসড়কের নকশার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকা বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের সঙ্গে ইটনা ও অষ্টগ্রামকে যুক্ত করতে এলজিইডি সড়ক নির্মাণের কাজ করছে। এতে ওই অঞ্চলে যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে, তাই কিশোরগঞ্জের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ দরকার হবে। এই কারণে উড়ালসড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর হবে। হাওরের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, তা মাথায় রেখেই পিলারের স্থান নির্ধারণসহ পুরো নকশা করা হয়েছে। আমরা পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। সরকারের প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা পুরোপুরি একমত নই, কারণ এটি কোনো এমবেটমেন্ট সড়ক নয়, বরং খুঁটির ওপর নির্মিত একটি উড়ালসড়ক।
দেশের খনি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস এবং বিদেশ থেকে আমদানি মিলিয়ে ২০২৪ সালের ২৮ মে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৬১ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। সেই উৎপাদন গত ২৮ মে নেমে এসেছে ২০০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুটে। তার মানে, এক বছরের ব্যবধানে দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন কমেছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
৬ ঘণ্টা আগেতিন শ্রেণির ব্যক্তিদের পাসপোর্ট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, দেশ-বিদেশে পলাতক ব্যক্তি ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পাসপোর্ট সেবা পাবেন না। এই সিদ্ধান্ত আইন, বিচার
৬ ঘণ্টা আগেপ্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
৭ ঘণ্টা আগেলন্ডন সফরে গিয়ে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগে