শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিটির কোনো সদস্যই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়টি তাঁরা সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রত্যয়নপত্র দেন সার্কেল প্রধান। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সনদ নিতে হবে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে। তাঁরা এই সনদ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করবেন।
পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জন্মগত প্রতিবন্ধীদের বাইরেও নানা কারণে অনেকে প্রতিবন্ধী হন এবং তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। চাকরিতে প্রতিবন্ধী হিসেবে কারা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য, সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশনা জারির সুপারিশ করবেন। যাতে প্রকৃত প্রতিবন্ধী কেউ বাদ না পড়েন, আবার কেউ এ সুযোগ নিয়ে চাকরি না নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার আগে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন চান ডিসি। ইউএনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করেন। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নন, এমন ব্যক্তিকেও অনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সনদ দিতে সুপারিশ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কেউ কেউ সনদ নিয়ে চাকরিও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, ‘কে আমাদের সম্প্রদায়ের, সে সনদ দেওয়ার এখতিয়ার আদিবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে দিতে হবে। কারণ, আমরাই জানি কে আমাদের সম্প্রদায়ের, আর কে বাইরের।’
সমতল আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সদস্যসচিব রিপন চন্দ্র বানাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের ডিসির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু ডিসি এই প্রত্যয়নপত্র দেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং আদিবাসীদের সংগঠনের হাতে এই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হলে সহজেই তাঁরা সনদ পাবেন।’
১ শতাংশ কোটাও ফাঁকা!
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা থাকার সময় কখনোই ১ শতাংশ পদের বেশি তাঁরা নিয়োগ পাননি। কোটা কমিয়ে এখন ১ শতাংশ করা হলেও হিসাবের মারপ্যাঁচে তাও ফাঁকা থাকছে।
সূত্র জানায়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছেন, যা মোট সুপারিশপ্রাপ্তদের ০.০৫ শতাংশ। নন-ক্যাডার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পদস্বল্পতায় কোটা পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোন কোন এলাকার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এসব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস নেই।
রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, ১০০ জনের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিলে এখন কোটা পাওয়া যায় না। আবার কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণ না করে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তিনি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে কোটাপদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির কাছে সম্প্রতি যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচটি সংগঠন। এতে কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নম্বর প্রচলিত নম্বরের ৮০ শতাংশ করা; লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া; এই কোটাকে বিভাগ, জেলা বা জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা; কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ সংরক্ষণ করা এবং সার্কেলপ্রধান ও ডিসিদের বাইরে আদিবাসী ফোরামের হাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিটির কোনো সদস্যই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়টি তাঁরা সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রত্যয়নপত্র দেন সার্কেল প্রধান। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সনদ নিতে হবে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে। তাঁরা এই সনদ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করবেন।
পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জন্মগত প্রতিবন্ধীদের বাইরেও নানা কারণে অনেকে প্রতিবন্ধী হন এবং তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। চাকরিতে প্রতিবন্ধী হিসেবে কারা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য, সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশনা জারির সুপারিশ করবেন। যাতে প্রকৃত প্রতিবন্ধী কেউ বাদ না পড়েন, আবার কেউ এ সুযোগ নিয়ে চাকরি না নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার আগে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন চান ডিসি। ইউএনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করেন। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নন, এমন ব্যক্তিকেও অনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সনদ দিতে সুপারিশ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কেউ কেউ সনদ নিয়ে চাকরিও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, ‘কে আমাদের সম্প্রদায়ের, সে সনদ দেওয়ার এখতিয়ার আদিবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে দিতে হবে। কারণ, আমরাই জানি কে আমাদের সম্প্রদায়ের, আর কে বাইরের।’
সমতল আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সদস্যসচিব রিপন চন্দ্র বানাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের ডিসির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু ডিসি এই প্রত্যয়নপত্র দেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং আদিবাসীদের সংগঠনের হাতে এই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হলে সহজেই তাঁরা সনদ পাবেন।’
১ শতাংশ কোটাও ফাঁকা!
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা থাকার সময় কখনোই ১ শতাংশ পদের বেশি তাঁরা নিয়োগ পাননি। কোটা কমিয়ে এখন ১ শতাংশ করা হলেও হিসাবের মারপ্যাঁচে তাও ফাঁকা থাকছে।
সূত্র জানায়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছেন, যা মোট সুপারিশপ্রাপ্তদের ০.০৫ শতাংশ। নন-ক্যাডার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পদস্বল্পতায় কোটা পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোন কোন এলাকার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এসব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস নেই।
রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, ১০০ জনের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিলে এখন কোটা পাওয়া যায় না। আবার কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণ না করে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তিনি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে কোটাপদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির কাছে সম্প্রতি যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচটি সংগঠন। এতে কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নম্বর প্রচলিত নম্বরের ৮০ শতাংশ করা; লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া; এই কোটাকে বিভাগ, জেলা বা জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা; কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ সংরক্ষণ করা এবং সার্কেলপ্রধান ও ডিসিদের বাইরে আদিবাসী ফোরামের হাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিটির কোনো সদস্যই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়টি তাঁরা সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রত্যয়নপত্র দেন সার্কেল প্রধান। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সনদ নিতে হবে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে। তাঁরা এই সনদ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করবেন।
পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জন্মগত প্রতিবন্ধীদের বাইরেও নানা কারণে অনেকে প্রতিবন্ধী হন এবং তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। চাকরিতে প্রতিবন্ধী হিসেবে কারা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য, সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশনা জারির সুপারিশ করবেন। যাতে প্রকৃত প্রতিবন্ধী কেউ বাদ না পড়েন, আবার কেউ এ সুযোগ নিয়ে চাকরি না নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার আগে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন চান ডিসি। ইউএনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করেন। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নন, এমন ব্যক্তিকেও অনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সনদ দিতে সুপারিশ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কেউ কেউ সনদ নিয়ে চাকরিও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, ‘কে আমাদের সম্প্রদায়ের, সে সনদ দেওয়ার এখতিয়ার আদিবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে দিতে হবে। কারণ, আমরাই জানি কে আমাদের সম্প্রদায়ের, আর কে বাইরের।’
সমতল আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সদস্যসচিব রিপন চন্দ্র বানাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের ডিসির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু ডিসি এই প্রত্যয়নপত্র দেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং আদিবাসীদের সংগঠনের হাতে এই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হলে সহজেই তাঁরা সনদ পাবেন।’
১ শতাংশ কোটাও ফাঁকা!
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা থাকার সময় কখনোই ১ শতাংশ পদের বেশি তাঁরা নিয়োগ পাননি। কোটা কমিয়ে এখন ১ শতাংশ করা হলেও হিসাবের মারপ্যাঁচে তাও ফাঁকা থাকছে।
সূত্র জানায়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছেন, যা মোট সুপারিশপ্রাপ্তদের ০.০৫ শতাংশ। নন-ক্যাডার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পদস্বল্পতায় কোটা পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোন কোন এলাকার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এসব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস নেই।
রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, ১০০ জনের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিলে এখন কোটা পাওয়া যায় না। আবার কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণ না করে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তিনি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে কোটাপদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির কাছে সম্প্রতি যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচটি সংগঠন। এতে কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নম্বর প্রচলিত নম্বরের ৮০ শতাংশ করা; লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া; এই কোটাকে বিভাগ, জেলা বা জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা; কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ সংরক্ষণ করা এবং সার্কেলপ্রধান ও ডিসিদের বাইরে আদিবাসী ফোরামের হাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়াতে প্রতিবন্ধী হিসেবে নিয়োগের যোগ্যদের বিষয়ে গাইডলাইন জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকার সময় ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য। আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে মেধায় ৯৩ শতাংশ এবং বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ কোটায় রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গত ২৫ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত না হওয়ায় কমিটির কোনো সদস্যই নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিষয়টি তাঁরা সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রত্যয়নপত্র দেন সার্কেল প্রধান। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সনদ নিতে হবে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে। তাঁরা এই সনদ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করবেন।
পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
কমিটির আরেক সদস্য বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ নিয়ে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জন্মগত প্রতিবন্ধীদের বাইরেও নানা কারণে অনেকে প্রতিবন্ধী হন এবং তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। চাকরিতে প্রতিবন্ধী হিসেবে কারা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য, সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশনা জারির সুপারিশ করবেন। যাতে প্রকৃত প্রতিবন্ধী কেউ বাদ না পড়েন, আবার কেউ এ সুযোগ নিয়ে চাকরি না নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার আগে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন চান ডিসি। ইউএনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাই করেন। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা অনেক সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নন, এমন ব্যক্তিকেও অনৈতিকভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সনদ দিতে সুপারিশ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে কেউ কেউ সনদ নিয়ে চাকরিও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, ‘কে আমাদের সম্প্রদায়ের, সে সনদ দেওয়ার এখতিয়ার আদিবাসীদের নিবন্ধিত সংগঠনগুলোকে দিতে হবে। কারণ, আমরাই জানি কে আমাদের সম্প্রদায়ের, আর কে বাইরের।’
সমতল আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সদস্যসচিব রিপন চন্দ্র বানাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের ডিসির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু ডিসি এই প্রত্যয়নপত্র দেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং আদিবাসীদের সংগঠনের হাতে এই সনদ দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হলে সহজেই তাঁরা সনদ পাবেন।’
১ শতাংশ কোটাও ফাঁকা!
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা থাকার সময় কখনোই ১ শতাংশ পদের বেশি তাঁরা নিয়োগ পাননি। কোটা কমিয়ে এখন ১ শতাংশ করা হলেও হিসাবের মারপ্যাঁচে তাও ফাঁকা থাকছে।
সূত্র জানায়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার প্রার্থী সুপারিশ পেয়েছেন, যা মোট সুপারিশপ্রাপ্তদের ০.০৫ শতাংশ। নন-ক্যাডার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে পদস্বল্পতায় কোটা পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোন কোন এলাকার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন, তা বলে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এসব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস নেই।
রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, ১০০ জনের বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিলে এখন কোটা পাওয়া যায় না। আবার কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণ না করে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তিনি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে কোটাপদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির কাছে সম্প্রতি যৌথ স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচটি সংগঠন। এতে কোটায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নম্বর প্রচলিত নম্বরের ৮০ শতাংশ করা; লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া; এই কোটাকে বিভাগ, জেলা বা জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিবেচনা না করে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করা; কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ সংরক্ষণ করা এবং সার্কেলপ্রধান ও ডিসিদের বাইরে আদিবাসী ফোরামের হাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৮ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১১ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে...
১২ মে ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৮ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে...
১২ মে ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে...
১২ মে ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৮ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

সরকারি চাকরিতে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সরকারি চাকরিতে...
১২ মে ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৮ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১১ ঘণ্টা আগে