নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট করার জন্য সুপারিশ করেছে দলটি।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করে দলটি। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় পার্টি (জেপি)।
গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দু’টিকে সোমবার সংলাপে বসার সময় দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা।
দ্বাদশ ভোট অবাধ নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। বলেন, ‘কেবল মাত্র ইসি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে পারে না। দু একটি দল ভোটে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।’
নির্বাচন কমিশনকে কেবল রাজনৈতিক দলের নয় জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে জানান তিনি।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন নিজেদেরকে কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে না ফেলে। নির্বাচনী সীমানা যারা এমপি তারা সুদীর্ঘ কাল ধরে সে তারা তাদের সংসদীয় এলাকা তৈরি করেছে। এখন বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় তাহলে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়ে যায়। এ কথাও বলেছি শহরে জনসংখ্যা বেশি বলে গ্রামাঞ্চলে আসনের সংখ্যা যেন কমানো না হয়।’ মাইনর অ্যাডজাস্টমেন্ট তারা করতে পারেন বলে যোগ করেন তিনি।
ইভিএমের প্রসঙ্গ টেনে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘৩০০ আসনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হয় তাহলে ইভিএম ব্যবহার করত হবে। নির্বাচন কমিশন একান্তই ইভিএম ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রত্যেকটি আসনে সুনির্দিষ্টভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। দেড় শ আসনে ইভিএম করবেন বাকি আসনে করবেন না তাতে দুটো এলাকাতে একটা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে গেল। প্রত্যেকটা এলাকায় ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ দেন সঙ্গে এবং প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট যেন থাকে যাতে মানুষের কোনো আস্থার সংকট থাকবে না।’
সংলাপে জেপির সুপারিশগুলো হলো
১) নির্বাচন বর্জন, হরতাল, সংঘাত বা অনির্বাচিত ব্যক্তির দেশ পরিচালনায় জাতীয় পার্টি-জেপি বিশ্বাস করে না।
২) বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠেনি। মূলত বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি করে এবং কোনো না কোনো সময় নির্বাচন কমিশনও এতে জড়িয়ে পড়ে। তাই গণতন্ত্রের চর্চা সঠিকভাবে হয় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা বা পাহারা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩) জাতীয় পার্টি জেপি নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে। নির্বাচন কমিশন যদি এক সঙ্গে ৩০০ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে ইভিএম এ নির্বাচন করা সঠিক হবে না। কিছু আসনে ইভিএম হলো কিছু আসনে হলো না, যেটা ডিসক্রিমিনিশন হয়। কোথাও ব্যালট কোথাও ইভিএম এটি উচিত না। যদি ৩০০ আসনের নির্বাচন ইভিএম এ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তবে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৩০০ আসনের কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এ নির্বাচন করা যেতে পারে।
৪) জাতীয় সংসদের সীমানা বর্তমানে যেভাবে আছে তা বহাল রাখা যেতে পারে। বড় কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে।
৫) বিতর্ক এড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলা প্রয়োজন।
৬) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করলে সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তবে, কোনো দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা নির্বাচনে কমিশনের কাজ নয়।
৭) নির্বাচন কমিশনের কাজ যেনো নিরপেক্ষ হয়, এটা দৃশ্যমান হতে হবে।
৮) সকল দল ও প্রার্থীর প্রতি নির্বাচন কমিশনের সমান ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৯) যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী অপরাধী বা যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি যাতে ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনে দায়িত্ব না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০) প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের কমিশনের অধীনে না আনলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট করার জন্য সুপারিশ করেছে দলটি।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করে দলটি। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় পার্টি (জেপি)।
গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দু’টিকে সোমবার সংলাপে বসার সময় দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা।
দ্বাদশ ভোট অবাধ নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। বলেন, ‘কেবল মাত্র ইসি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে পারে না। দু একটি দল ভোটে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।’
নির্বাচন কমিশনকে কেবল রাজনৈতিক দলের নয় জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে জানান তিনি।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন নিজেদেরকে কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে না ফেলে। নির্বাচনী সীমানা যারা এমপি তারা সুদীর্ঘ কাল ধরে সে তারা তাদের সংসদীয় এলাকা তৈরি করেছে। এখন বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় তাহলে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়ে যায়। এ কথাও বলেছি শহরে জনসংখ্যা বেশি বলে গ্রামাঞ্চলে আসনের সংখ্যা যেন কমানো না হয়।’ মাইনর অ্যাডজাস্টমেন্ট তারা করতে পারেন বলে যোগ করেন তিনি।
ইভিএমের প্রসঙ্গ টেনে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘৩০০ আসনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হয় তাহলে ইভিএম ব্যবহার করত হবে। নির্বাচন কমিশন একান্তই ইভিএম ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রত্যেকটি আসনে সুনির্দিষ্টভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। দেড় শ আসনে ইভিএম করবেন বাকি আসনে করবেন না তাতে দুটো এলাকাতে একটা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে গেল। প্রত্যেকটা এলাকায় ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ দেন সঙ্গে এবং প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট যেন থাকে যাতে মানুষের কোনো আস্থার সংকট থাকবে না।’
সংলাপে জেপির সুপারিশগুলো হলো
১) নির্বাচন বর্জন, হরতাল, সংঘাত বা অনির্বাচিত ব্যক্তির দেশ পরিচালনায় জাতীয় পার্টি-জেপি বিশ্বাস করে না।
২) বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠেনি। মূলত বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি করে এবং কোনো না কোনো সময় নির্বাচন কমিশনও এতে জড়িয়ে পড়ে। তাই গণতন্ত্রের চর্চা সঠিকভাবে হয় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা বা পাহারা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩) জাতীয় পার্টি জেপি নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে। নির্বাচন কমিশন যদি এক সঙ্গে ৩০০ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে ইভিএম এ নির্বাচন করা সঠিক হবে না। কিছু আসনে ইভিএম হলো কিছু আসনে হলো না, যেটা ডিসক্রিমিনিশন হয়। কোথাও ব্যালট কোথাও ইভিএম এটি উচিত না। যদি ৩০০ আসনের নির্বাচন ইভিএম এ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তবে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৩০০ আসনের কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এ নির্বাচন করা যেতে পারে।
৪) জাতীয় সংসদের সীমানা বর্তমানে যেভাবে আছে তা বহাল রাখা যেতে পারে। বড় কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে।
৫) বিতর্ক এড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলা প্রয়োজন।
৬) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করলে সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তবে, কোনো দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা নির্বাচনে কমিশনের কাজ নয়।
৭) নির্বাচন কমিশনের কাজ যেনো নিরপেক্ষ হয়, এটা দৃশ্যমান হতে হবে।
৮) সকল দল ও প্রার্থীর প্রতি নির্বাচন কমিশনের সমান ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৯) যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী অপরাধী বা যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি যাতে ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনে দায়িত্ব না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০) প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের কমিশনের অধীনে না আনলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট করার জন্য সুপারিশ করেছে দলটি।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করে দলটি। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় পার্টি (জেপি)।
গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দু’টিকে সোমবার সংলাপে বসার সময় দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা।
দ্বাদশ ভোট অবাধ নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। বলেন, ‘কেবল মাত্র ইসি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে পারে না। দু একটি দল ভোটে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।’
নির্বাচন কমিশনকে কেবল রাজনৈতিক দলের নয় জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে জানান তিনি।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন নিজেদেরকে কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে না ফেলে। নির্বাচনী সীমানা যারা এমপি তারা সুদীর্ঘ কাল ধরে সে তারা তাদের সংসদীয় এলাকা তৈরি করেছে। এখন বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় তাহলে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়ে যায়। এ কথাও বলেছি শহরে জনসংখ্যা বেশি বলে গ্রামাঞ্চলে আসনের সংখ্যা যেন কমানো না হয়।’ মাইনর অ্যাডজাস্টমেন্ট তারা করতে পারেন বলে যোগ করেন তিনি।
ইভিএমের প্রসঙ্গ টেনে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘৩০০ আসনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হয় তাহলে ইভিএম ব্যবহার করত হবে। নির্বাচন কমিশন একান্তই ইভিএম ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রত্যেকটি আসনে সুনির্দিষ্টভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। দেড় শ আসনে ইভিএম করবেন বাকি আসনে করবেন না তাতে দুটো এলাকাতে একটা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে গেল। প্রত্যেকটা এলাকায় ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ দেন সঙ্গে এবং প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট যেন থাকে যাতে মানুষের কোনো আস্থার সংকট থাকবে না।’
সংলাপে জেপির সুপারিশগুলো হলো
১) নির্বাচন বর্জন, হরতাল, সংঘাত বা অনির্বাচিত ব্যক্তির দেশ পরিচালনায় জাতীয় পার্টি-জেপি বিশ্বাস করে না।
২) বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠেনি। মূলত বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি করে এবং কোনো না কোনো সময় নির্বাচন কমিশনও এতে জড়িয়ে পড়ে। তাই গণতন্ত্রের চর্চা সঠিকভাবে হয় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা বা পাহারা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩) জাতীয় পার্টি জেপি নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে। নির্বাচন কমিশন যদি এক সঙ্গে ৩০০ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে ইভিএম এ নির্বাচন করা সঠিক হবে না। কিছু আসনে ইভিএম হলো কিছু আসনে হলো না, যেটা ডিসক্রিমিনিশন হয়। কোথাও ব্যালট কোথাও ইভিএম এটি উচিত না। যদি ৩০০ আসনের নির্বাচন ইভিএম এ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তবে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৩০০ আসনের কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এ নির্বাচন করা যেতে পারে।
৪) জাতীয় সংসদের সীমানা বর্তমানে যেভাবে আছে তা বহাল রাখা যেতে পারে। বড় কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে।
৫) বিতর্ক এড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলা প্রয়োজন।
৬) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করলে সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তবে, কোনো দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা নির্বাচনে কমিশনের কাজ নয়।
৭) নির্বাচন কমিশনের কাজ যেনো নিরপেক্ষ হয়, এটা দৃশ্যমান হতে হবে।
৮) সকল দল ও প্রার্থীর প্রতি নির্বাচন কমিশনের সমান ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৯) যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী অপরাধী বা যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি যাতে ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনে দায়িত্ব না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০) প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের কমিশনের অধীনে না আনলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট করার জন্য সুপারিশ করেছে দলটি।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করে দলটি। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় পার্টি (জেপি)।
গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দু’টিকে সোমবার সংলাপে বসার সময় দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা।
দ্বাদশ ভোট অবাধ নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। বলেন, ‘কেবল মাত্র ইসি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে পারে না। দু একটি দল ভোটে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।’
নির্বাচন কমিশনকে কেবল রাজনৈতিক দলের নয় জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে জানান তিনি।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন নিজেদেরকে কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে না ফেলে। নির্বাচনী সীমানা যারা এমপি তারা সুদীর্ঘ কাল ধরে সে তারা তাদের সংসদীয় এলাকা তৈরি করেছে। এখন বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় তাহলে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়ে যায়। এ কথাও বলেছি শহরে জনসংখ্যা বেশি বলে গ্রামাঞ্চলে আসনের সংখ্যা যেন কমানো না হয়।’ মাইনর অ্যাডজাস্টমেন্ট তারা করতে পারেন বলে যোগ করেন তিনি।
ইভিএমের প্রসঙ্গ টেনে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘৩০০ আসনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হয় তাহলে ইভিএম ব্যবহার করত হবে। নির্বাচন কমিশন একান্তই ইভিএম ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রত্যেকটি আসনে সুনির্দিষ্টভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। দেড় শ আসনে ইভিএম করবেন বাকি আসনে করবেন না তাতে দুটো এলাকাতে একটা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে গেল। প্রত্যেকটা এলাকায় ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ দেন সঙ্গে এবং প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট যেন থাকে যাতে মানুষের কোনো আস্থার সংকট থাকবে না।’
সংলাপে জেপির সুপারিশগুলো হলো
১) নির্বাচন বর্জন, হরতাল, সংঘাত বা অনির্বাচিত ব্যক্তির দেশ পরিচালনায় জাতীয় পার্টি-জেপি বিশ্বাস করে না।
২) বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠেনি। মূলত বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি করে এবং কোনো না কোনো সময় নির্বাচন কমিশনও এতে জড়িয়ে পড়ে। তাই গণতন্ত্রের চর্চা সঠিকভাবে হয় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা বা পাহারা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩) জাতীয় পার্টি জেপি নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে। নির্বাচন কমিশন যদি এক সঙ্গে ৩০০ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে ইভিএম এ নির্বাচন করা সঠিক হবে না। কিছু আসনে ইভিএম হলো কিছু আসনে হলো না, যেটা ডিসক্রিমিনিশন হয়। কোথাও ব্যালট কোথাও ইভিএম এটি উচিত না। যদি ৩০০ আসনের নির্বাচন ইভিএম এ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তবে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৩০০ আসনের কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এ নির্বাচন করা যেতে পারে।
৪) জাতীয় সংসদের সীমানা বর্তমানে যেভাবে আছে তা বহাল রাখা যেতে পারে। বড় কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে।
৫) বিতর্ক এড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলা প্রয়োজন।
৬) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করলে সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তবে, কোনো দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা নির্বাচনে কমিশনের কাজ নয়।
৭) নির্বাচন কমিশনের কাজ যেনো নিরপেক্ষ হয়, এটা দৃশ্যমান হতে হবে।
৮) সকল দল ও প্রার্থীর প্রতি নির্বাচন কমিশনের সমান ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৯) যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী অপরাধী বা যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি যাতে ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনে দায়িত্ব না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০) প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের কমিশনের অধীনে না আনলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২৫ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট ক
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট ক
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২৫ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট ক
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২৫ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট আবার কোথাও ব্যালট এ ধরনের কোনো বৈষম্য চায় না জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু)। প্রয়োজনে ৩০০ আসনের পুরোটায় ইভিএমে কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী ১০ শতাংশ অথবা ১৫ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট ক
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২৫ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৩ ঘণ্টা আগে