জাহীদ রেজা নূর

নিউইয়র্কে পা দিতে না দিতেই ঈদের আমেজ। সৌদি আরবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মনে করা হচ্ছিল, এবার এক দিন পিছিয়ে যেতে পারে ঈদ। কিন্তু একসময় বলা হলো, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই এবার ঈদ হবে ২১ এপ্রিল। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বাঙালি পাড়ায় পাড়ায় এল ঈদের আমেজ। জ্যাকসন হাইটস জেগে থাকল সারা রাত। পালা করে চলল মেহেদী উৎসব। সাজগোজের হিড়িক পড়ে গেল। ঈদের দিন কে কার বাড়িতে বেড়াতে যাবে, তা নিয়ে শুরু হলো জল্পনা-কল্পনা।
যারা বহুদিন ধরে বসবাস করছেন এই নগরীতে, তাদের বন্ধুমহল দাঁড়িয়ে গেছে। ঈদ বা যে কোনো উৎসব এলে এই পরিবারগুলো একে অন্যের সঙ্গে মোলাকাত করে।
আমরা তিন পরিবার মিলে ঠিক করলাম যে যার বাড়িতে রান্না করে কুইনস ভিলেজে বড় ভাইয়ের বাড়িতে দুপুরের খাবার খাব। বন্ধু যাঁরা আছেন, তাঁদেরও কেউ কেউ যোগ দেবেন লাঞ্চে। কে কী রান্না করল, সে কথা না বলে জানিয়ে রাখি, সেদিন কোন কোন খাবারের ভারে নুয়ে পড়েছিল টেবিল। ছিল খাসির বিরিয়ানি, গরুর রেজালা, চাপালি কাবাব, মুরগির রোস্ট, রাশান বেগুন, ডিম ভুনা, ফ্রেশ সালাদ, জর্দা, পায়েস, সেমাই। টেবিলে এই খাবারগুলো সাজিয়ে রাখার পর বোঝা গেল, এত আয়োজনের প্রয়োজন ছিল না। খাসির বিরিয়ানি থাকলে ফ্রেশ সালাদই যথেষ্ট। আর কিছু তৈরি না করলেও চলত।
সেদিন আরো দুই পরিবার এসে যোগ দিয়েছিল আমাদের মিলনমেলায়। সবচেয়ে দরকারি কথা হলো, সেই দুই পরিবারের তরুণ সদস্যরাও এবার এসেছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। নিউইয়র্কের বাঙালি পরিবারগুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করে। বাবা-মায়েরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে, আড্ডা দেয়, তার সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ কম। এটাকেই বুঝি জেনারেশন গ্যাপ বলে।
একটু নির্দয় হয়েই বলি, বাবা-মায়ের প্রজন্ম যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করে, তাতে নস্টালজিয়ার পরিমাণ থাকে বেশি, এই এলাকায় একত্রে বসবাসকারী পরিবারগুলোর ভালো-মন্দ নিয়ে থাকে আলোচনা, ইহকাল ও পরকাল নিয়ে থাকে গম্ভীর আলোচনা, পোশাক-আশাক নিয়ে কথাবার্তা। এইগুলো তরুণ প্রজন্মকে একেবারেই টানে না। নতুন প্রযুক্তির প্রতি সারা বিশ্বের তরুণদের যে আগ্রহ, এখানকার বাঙালি তরুণ-তরুণীর আগ্রহও সেদিকে। ফলে বড়দের সঙ্গে কথা বলার মতো বিষয়বস্তুর বড্ড অভাব তাদের। সে রকম একটা পরিপ্রেক্ষিতে দুই পরিবারের তরুণেরা বেড়াতে এল, এটা খুবই আশাপ্রদ একটি ব্যাপার। এর মধ্যে এক তরুণ তার মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছে, সেই খবরও পাওয়া গেল।
আমরা একসময় ঢাকার চামেলীবাগে বসবাস করেছি। সেখানে পাশের বাড়িতে ছিল শামীম ভাইদের বাস। তিনি এসেছিলেন সস্ত্রীক, সসন্তান। সেই ছেলেবেলার চামেলীবাগ নিয়ে যখন আলাপ শুরু হলো, তখন কত না নাম ভেসে এল। যা ছিল বিস্মৃতির অতলে, তাও বেরিয়ে এল। মনে হলো, কত দিন পর সেই নামগুলো শোনা যাচ্ছে আর এক একটা চেহারা ভেসে উঠছে চোখের সামনে, অথচ সময়ের ব্যবধানে হয়তো সেই মুখগুলো এমনভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে, যে সামনাসামনি দেখা হলেও তাদের অনেককেই চিনতে পারব না।
মুখোশহীন অবয়ব এবং মনের সুখে গান
গতবার যখন এসেছিলাম নিউইয়র্কে, তখনো করোনার ভয় ছিল মানুষের মনে। তখনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মাস্ক ছাড়া ওঠা যেত না। দোকানে ঢুকতে হলেও মাস্কের প্রয়োজনীয়তা ছিল। এবার সে ভয় নেই। যত্রতত্র মাস্কহীন চলাচল। খাবার-দাবারের জন্য আমাদের প্রিয় দোকান কি-ফুডে ঢুকলাম মাস্ক ছাড়াই। বিশাল সেই দোকানটা একাই একটা মার্কেটের সমান। থরে থরে সাজানো খাবারদাবার। ফলমূল। মরিচ-পেঁয়াজ। রুটি-মাখন। কাচা, আধা রান্না করা, খাওয়ার উপযোগী কত না খাবার সেখানে।
সেখানেই দেখলাম এক বৃদ্ধা এসেছেন মাস্ক পরে। তিনি হয়তো এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না, করোনা আর নেই। তাঁকে দেখেই মনে পড়ল, করোনাকালে বিমানযাত্রার সময় করোনার টেস্ট ছিল কী ভয়ংকর। শীতের মধ্যে হাসপাতালের সামনে ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে করোনার টেস্ট করাতে হতো। সময়মতো সেই টেস্টের ফল না এলে বিমানে ওঠা যেত না। একবার সময়মতো আসেনি বলে আমাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। পরে আরো ৩০০ ডলার গচ্চা দিয়ে তিন দিন পরের টিকিট জোগাড় করতে হয়েছিল। নতুন করে লাইনে দাঁড়িয়ে করোনা টেস্ট করাতে হয়েছিল। সে যে কী এক সময় পার করতে হয়েছে!
মাস্ক কখনো কখনো নিরাপদ রাখে শরীর। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেই কেবল মনে হয়, কেন এই বাড়াবাড়ি!
এখন চারদিকে মাস্কবিহীন মানুষের চলাচল দেখে বোঝারই উপায় নেই, কী এক সময় পার করেছিল পৃথিবী!
কাল শনিবার সাবওয়ে থেকে নেমে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় এক নারীকে দেখলাম মুখে মাস্ক দিয়ে রেখেছেন। কিউ ৪৩ বাস এলে আমরা একেবারে পেছন দিকে গিয়ে বসলাম। আমাদের পেছনে বসলেন সেই নারী। বয়স আনুমানিক ৫০। কিছু বেশিও হতে পারে। চেহারা দেখে মনে হলো লাতিন আর আফ্রিকান মিশ্রণ। বাস চলা শুরু করলে তিনি মাস্ক খুললেন। রং করা চুলগুলো ঝুঁটি করে বাঁধলেন। তারপর মোবাইল ফোনে গান ছাড়লেন এবং দুচোখ বন্ধ করে মনের সুখে গাইতে লাগলেন গান। সেই গান অন্য কাউকে অস্বস্তিতে ফেলছে কি না, সেদিকে নজরই দিলেন না। আমাদের অবশ্য ভালোই লাগছিল। একঘেয়ে জীবনে মাঝে মাঝে এ রকম ঘটনা মনকে শান্ত করে।
কিন্তু সেই শান্তি একটু পরই উধাও হলো। বাসের সামনের দিক থেকেও ভেসে আসতে শুরু করল আরেক নারীর কণ্ঠনিসৃত গান। গানটি কর্কশ। বোঝাই যাচ্ছিল, গোটা দুনিয়াকে তাচ্ছিল্য করে গাইছেন তিনি। এই নারীর বয়স আরো বেশি। জীবনসংগ্রামের চিহ্ন তাঁর চোখে-মুখে। কেউ প্রতিবাদ করছে না। সবাই জানে, প্রতিবাদে কাজ হবে না। যে কষ্ট আর বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে গানে, তাতে নিষেধ করা হেল বারুদে আগুন দেওয়া হবে।
আমরা যে স্টেশনে বাস থেকে নামলাম, এই গায়িকাও সেখানেই নামলেন। তারপর আরেকটু এগিয়ে অন্য এক বাসস্টেশনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে লাগলেন। যেন হাজার মানুষের জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। বিষয়টিতকে হাস্যকর ভাবলে এক রকম, কষ্টের ভাবলে আরেক রকম।
আমার বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।
মাঠের বাতাসে কীসের গন্ধ?
ব্র্যাডক অ্যাভিনিউতে যে পার্কটি আছে, সেটায় হাঁটতে যাই। ঘণ্টাখানেক হাঁটলে শরীর ঝরঝরে হয়ে ওঠে। সেদিনও গেছি হাঁটতে। মাঠে কেউ নেই। শুধু একপাশে এক বেঞ্চিতে বসে আছে এক তরুণী আর এক তরুণ। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক তরুণ। তাদের সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় দেখলাম, বসে থাকা তরুণটি দাঁড়িয়ে থাকা তরুণের হাতে ধরিয়ে দিল তার হাতে থাকা সিগারেটটি। সিগারেটে টান দিয়ে যখন ধোঁয়া ছাড়ল সেই তরুণ, আমি টের পেলাম, এই গন্ধ আমি চিনি। ইদানীং ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এই গন্ধ পাওয়া যায়। বিশেষ করে ধানমন্ডি লেকের আশপাশে পরিচিত এই গন্ধ।
হ্যাঁ, গাঁজার গন্ধ।
ব্র্যাডক অ্যাভিনিউর পার্কটার বেঞ্চিতে বসে গাঁজা টেনে চলেছে তিন তরুণ-তরুণী।
এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। নিউইয়র্ক শহরে এখন গাঁজা কোনো নিষিদ্ধ বন্তু নয়। ক্যানাবিস, মারিউয়ানা, পট কিংবা গাঁজা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই নেশায় এখন নিষেধাজ্ঞা নেই। আইনগতভাবেই গাঁজার বিক্রি এখন বৈধ, সুতরাং সিগারেটের মতো গাঁজায় দম দেওয়া এই শহরে স্বাভাবিক ব্যাপার।
গাঁজাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কিছুদিন আগে নিউইয়র্কে গাঁজা উৎসবও হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৬ মে নিউইয়র্ক ক্যানাবিস প্যারেড হবে ম্যানহাটনে। ব্রডওয়েতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হবে ক্যানাবিস মেলা।
নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি এই সিনেটে রিক্রিয়েশনাল মারিউয়ানা বিক্রি ও সেবন বিল পাশ হয়েছিল ২০২১ সালে। একসঙ্গে তিন আউন্স গাঁজা ব্যবহারের জন্য যে কেউ কাছে রাখতে পারবে, এটাই ছিল আইন। তবে গাঁজা সেবনের জন্য বয়স হতে হবে অন্তত ২১।
গাঁজা বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আয় হবে, তা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। প্রথম বছরে নিউইয়র্ক স্টেট ক্যানাবিস বিক্রি থেকে রাজস্ব পাবে ১.২ বিলিয়ন ডলার। ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৪ বিলিয়ন ডলার। ভাবা যায়!
আবহাওয়া
সকালের দিকে রোদ ওঠার পর বাইরে বের হলে হালকা জামার ওপর হালকা সোয়েটার জড়ালেই চলে। কিন্তু দিন যত বিকেলের দিকে গড়ায়, ততোই বাতাসে ভর করে শীত এসে জাঁকিয়ে বসে নিউইয়র্ক শহরে। এ সময় বীরত্ব দেখিয়ে সোয়েটারের ওপর ভরসা করলেই মুশকিল। শীতে দাঁতকপাটি লেগে গেলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না।
সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশিয়ায় বসবাস করেছি ১০ বছর। শীতের নাড়ি-নক্ষত্রের খোঁজ নিয়েছিলাম এবং তা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার উপায় শিখেছিলাম সেখানেই। একটা কথা কখনই ভুলি না। খুব বেশি শীত পড়লে শরীরের তিনটি স্থান সুরক্ষিত রাখতে হয়। মাথা-বুক-পা। এই তিন জায়গায় ভারী কাপড় থাকলে শীতের বাবার সাধ্য নেই কাউকে কাবু করে ফেলবে।
এখানে, এই নিউইয়র্কেও সেই সত্য মেনে চলি। জানি, হঠাৎ করে আসা ঠান্ডা বাতাস কতটা নিস্তেজ করে দিতে পারে শরীর।
হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখায় নিউইয়র্কের নীল আকাশ নিয়ে লিখেছেন। তিনি ভুল লেখেননি। এখানকার আকাশটা সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর। এই এপ্রিলের শেষে ঋতু পরিবর্তনের তোড়জোড়ের মধ্যে নীল আকাশে সাদা মেঘ এমনভাবে ছড়িয়ে আছে, যেন মনে হচ্ছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। সে তেলরং হতে পারে, জলরংও হতে পারে, অ্যাক্রিলিকের ছোঁয়া থাকলেও ক্ষতি নেই।
আমরা এই শহরে ঘুরতে আসা মানুষরা যেভাবে এই আকাশ দেখি, নিউইয়র্কবাসী কি সেভাবে দেখে? এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। কাউকে ভরসা করে জিজ্ঞেস করতেও ইচ্ছে করে না। কে জানে, যদি ভেবে বসেন, এত ‘আজাইরা’ ভাবনারও সময় আছে আমার!
কুইনস ভিলেজের সারি সারি বাড়ির মাঝ দিয়ে তৈরি রাস্তাগুলোয় হাঁটতে ভালো লাগে। কাল দুপুরে যখন হাঁটতে বের হলাম, তখন মনে হলো এ যেন এক মৃত শহর। বাড়িগুলোর ভেতরে নিশ্চয়ই মানুষ আছে, কিন্তু তাদের কারো দেখা নেই রাস্তায়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার সময় একজন মানুষও চোখে পড়ল না। রাস্তায় সারি সারি গাড়ি অলসভাবে দাঁড়িয়ে আছে। বহুক্ষণ সময় পার করে কোনো গাড়ি পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। ওটুকুতেই বোঝা যায়, শহরটা মৃত নয়।
জ্যামাইকা অ্যাভিনিউ পর্যন্ত গিয়ে ডলার শপ আর টিডি ব্যাংক পার হয়ে কি-ফুডে ঢুকলাম কিছুক্ষণের জন্য। সেখানে অদ্ভুত রঙের একটি মাছ আমার দৃষ্টি কেড়ে নিল। মাছ যে এ রকম সাজুগুজু করে বিক্রির জন্য হাজির হতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। আর সেই সাজগোজ মোটেই কৃত্রিম নয়, একেবারে প্রাকৃতিক। একবার ভাবলাম, কিনে ফেলি মাছ। কিন্তু তখনই মনে পড়ল, ফ্রিজে রাখা খাবারের একটা হিল্লে না হওয়া পর্যন্ত অযথা টাকা খরচ করা বারন।
২১৩ নম্বর স্ট্রিট দিয়ে ফিরে আসার পথে হাতের বাঁয়ে একটা বাড়ির নাম দেখে থমকে দাঁড়ালাম।
বাড়িটির নাম ‘ক্ষণিকা’। বাংলায় লেখা। আমি দাঁড়াতেই দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন এক ভদ্রলোক। আমি তাঁর পরিচয় জানতে চাইলাম না। বাংলাতেই জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি তো বাঙালি।’
হাসলেন ভদ্রলোক। বললেন, ‘হ্যাঁ, বাঙালি। আপনি কোনদিকে থাকেন, বেলরোজের দিকে?’
আমি যে পথ ধরে হেঁটে আসছিলাম, তার পেছন দিকটায় বেলরোজ পাড়া।
বললাম, ‘না, আমি আছি স্প্রিংফিল্ডের দিকে। আপনার বাড়ির নামটা সুন্দর।’
ভদ্রলোক হাসলেন। বিদায় নিয়ে যখন আবার পা বাড়িয়েছি রাস্তায়, তখনই কেবল মনে পড়ল, ভদ্রলোকের নামটাও তো জানা হলো না। কবে থেকে এখানে আছেন, বয়স কত, এখানেই থেকে গেলেন কেন—কত প্রশ্নই তো করা যেত। তা নিয়ে লেখা যেত একটা ফিচার। কিন্তু সেটা সময়মতো মনে পড়ল না। বহমান জীবনে কত কিছুই তো ঘটে যায়, কত কিছু মনোযোগ পায়, আবার কত কিছুই তো বিনা মনোযোগে চলে যায় দূরে। একসময় অদৃশ্য হয়ে যায় জীবন থেকে। এই যে নিউইয়র্কের কুইনস ভিলেজে একটি বাড়ির নাম বাংলায় ‘ক্ষণিকা’ হয়ে রয়েছে, তার ইতিহাস কি আর জানা হবে কখনো? আমি নিজেই কি দ্বিতীয়বারের মতো এই বাড়ির কাছে যাব আর?
উত্তর মেলে না।
শুধু মনে হয়, ‘ক্ষণিকা’ নামটিই তো বুঝিয়ে দিচ্ছে, খুব স্বল্প সময়ের জন্যই আমাদের এই চলাফেরা। খুব অল্প সময়ের গল্পগুলোই বেঁচে থাকে মনে। তাই ক্ষণিকা বা ক্ষণিকের এই হৃদয়ে দোলা দেওয়া ঘটনারও একটা মানে থেকে যায়।
আরে! দেখ দেখি কাণ্ড! ভদ্রলোকের অনুমতি নিয়ে বাড়ির নামসহ একটা ছবি ত্র তুলতে পারতাম। সেটাও হলো না! পথে আরেকটু এগোতেই এক মহাজ্ঞানী কাঠবেড়ালি লেজতুলে যখন পালাচ্ছিল, তখন তার পায়ের শব্দে উড়ে গেল কয়েকটি পাখি। আকাশে ভাসতে থাকা পাখিগুলোকে দেখে হঠাৎ করেই মনে ভেসে উঠল গানটি, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়…।’ কেন ভেসে উঠল, কে জানে!

নিউইয়র্কে পা দিতে না দিতেই ঈদের আমেজ। সৌদি আরবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মনে করা হচ্ছিল, এবার এক দিন পিছিয়ে যেতে পারে ঈদ। কিন্তু একসময় বলা হলো, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই এবার ঈদ হবে ২১ এপ্রিল। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বাঙালি পাড়ায় পাড়ায় এল ঈদের আমেজ। জ্যাকসন হাইটস জেগে থাকল সারা রাত। পালা করে চলল মেহেদী উৎসব। সাজগোজের হিড়িক পড়ে গেল। ঈদের দিন কে কার বাড়িতে বেড়াতে যাবে, তা নিয়ে শুরু হলো জল্পনা-কল্পনা।
যারা বহুদিন ধরে বসবাস করছেন এই নগরীতে, তাদের বন্ধুমহল দাঁড়িয়ে গেছে। ঈদ বা যে কোনো উৎসব এলে এই পরিবারগুলো একে অন্যের সঙ্গে মোলাকাত করে।
আমরা তিন পরিবার মিলে ঠিক করলাম যে যার বাড়িতে রান্না করে কুইনস ভিলেজে বড় ভাইয়ের বাড়িতে দুপুরের খাবার খাব। বন্ধু যাঁরা আছেন, তাঁদেরও কেউ কেউ যোগ দেবেন লাঞ্চে। কে কী রান্না করল, সে কথা না বলে জানিয়ে রাখি, সেদিন কোন কোন খাবারের ভারে নুয়ে পড়েছিল টেবিল। ছিল খাসির বিরিয়ানি, গরুর রেজালা, চাপালি কাবাব, মুরগির রোস্ট, রাশান বেগুন, ডিম ভুনা, ফ্রেশ সালাদ, জর্দা, পায়েস, সেমাই। টেবিলে এই খাবারগুলো সাজিয়ে রাখার পর বোঝা গেল, এত আয়োজনের প্রয়োজন ছিল না। খাসির বিরিয়ানি থাকলে ফ্রেশ সালাদই যথেষ্ট। আর কিছু তৈরি না করলেও চলত।
সেদিন আরো দুই পরিবার এসে যোগ দিয়েছিল আমাদের মিলনমেলায়। সবচেয়ে দরকারি কথা হলো, সেই দুই পরিবারের তরুণ সদস্যরাও এবার এসেছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। নিউইয়র্কের বাঙালি পরিবারগুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করে। বাবা-মায়েরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে, আড্ডা দেয়, তার সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ কম। এটাকেই বুঝি জেনারেশন গ্যাপ বলে।
একটু নির্দয় হয়েই বলি, বাবা-মায়ের প্রজন্ম যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করে, তাতে নস্টালজিয়ার পরিমাণ থাকে বেশি, এই এলাকায় একত্রে বসবাসকারী পরিবারগুলোর ভালো-মন্দ নিয়ে থাকে আলোচনা, ইহকাল ও পরকাল নিয়ে থাকে গম্ভীর আলোচনা, পোশাক-আশাক নিয়ে কথাবার্তা। এইগুলো তরুণ প্রজন্মকে একেবারেই টানে না। নতুন প্রযুক্তির প্রতি সারা বিশ্বের তরুণদের যে আগ্রহ, এখানকার বাঙালি তরুণ-তরুণীর আগ্রহও সেদিকে। ফলে বড়দের সঙ্গে কথা বলার মতো বিষয়বস্তুর বড্ড অভাব তাদের। সে রকম একটা পরিপ্রেক্ষিতে দুই পরিবারের তরুণেরা বেড়াতে এল, এটা খুবই আশাপ্রদ একটি ব্যাপার। এর মধ্যে এক তরুণ তার মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছে, সেই খবরও পাওয়া গেল।
আমরা একসময় ঢাকার চামেলীবাগে বসবাস করেছি। সেখানে পাশের বাড়িতে ছিল শামীম ভাইদের বাস। তিনি এসেছিলেন সস্ত্রীক, সসন্তান। সেই ছেলেবেলার চামেলীবাগ নিয়ে যখন আলাপ শুরু হলো, তখন কত না নাম ভেসে এল। যা ছিল বিস্মৃতির অতলে, তাও বেরিয়ে এল। মনে হলো, কত দিন পর সেই নামগুলো শোনা যাচ্ছে আর এক একটা চেহারা ভেসে উঠছে চোখের সামনে, অথচ সময়ের ব্যবধানে হয়তো সেই মুখগুলো এমনভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে, যে সামনাসামনি দেখা হলেও তাদের অনেককেই চিনতে পারব না।
মুখোশহীন অবয়ব এবং মনের সুখে গান
গতবার যখন এসেছিলাম নিউইয়র্কে, তখনো করোনার ভয় ছিল মানুষের মনে। তখনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মাস্ক ছাড়া ওঠা যেত না। দোকানে ঢুকতে হলেও মাস্কের প্রয়োজনীয়তা ছিল। এবার সে ভয় নেই। যত্রতত্র মাস্কহীন চলাচল। খাবার-দাবারের জন্য আমাদের প্রিয় দোকান কি-ফুডে ঢুকলাম মাস্ক ছাড়াই। বিশাল সেই দোকানটা একাই একটা মার্কেটের সমান। থরে থরে সাজানো খাবারদাবার। ফলমূল। মরিচ-পেঁয়াজ। রুটি-মাখন। কাচা, আধা রান্না করা, খাওয়ার উপযোগী কত না খাবার সেখানে।
সেখানেই দেখলাম এক বৃদ্ধা এসেছেন মাস্ক পরে। তিনি হয়তো এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না, করোনা আর নেই। তাঁকে দেখেই মনে পড়ল, করোনাকালে বিমানযাত্রার সময় করোনার টেস্ট ছিল কী ভয়ংকর। শীতের মধ্যে হাসপাতালের সামনে ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে করোনার টেস্ট করাতে হতো। সময়মতো সেই টেস্টের ফল না এলে বিমানে ওঠা যেত না। একবার সময়মতো আসেনি বলে আমাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। পরে আরো ৩০০ ডলার গচ্চা দিয়ে তিন দিন পরের টিকিট জোগাড় করতে হয়েছিল। নতুন করে লাইনে দাঁড়িয়ে করোনা টেস্ট করাতে হয়েছিল। সে যে কী এক সময় পার করতে হয়েছে!
মাস্ক কখনো কখনো নিরাপদ রাখে শরীর। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেই কেবল মনে হয়, কেন এই বাড়াবাড়ি!
এখন চারদিকে মাস্কবিহীন মানুষের চলাচল দেখে বোঝারই উপায় নেই, কী এক সময় পার করেছিল পৃথিবী!
কাল শনিবার সাবওয়ে থেকে নেমে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় এক নারীকে দেখলাম মুখে মাস্ক দিয়ে রেখেছেন। কিউ ৪৩ বাস এলে আমরা একেবারে পেছন দিকে গিয়ে বসলাম। আমাদের পেছনে বসলেন সেই নারী। বয়স আনুমানিক ৫০। কিছু বেশিও হতে পারে। চেহারা দেখে মনে হলো লাতিন আর আফ্রিকান মিশ্রণ। বাস চলা শুরু করলে তিনি মাস্ক খুললেন। রং করা চুলগুলো ঝুঁটি করে বাঁধলেন। তারপর মোবাইল ফোনে গান ছাড়লেন এবং দুচোখ বন্ধ করে মনের সুখে গাইতে লাগলেন গান। সেই গান অন্য কাউকে অস্বস্তিতে ফেলছে কি না, সেদিকে নজরই দিলেন না। আমাদের অবশ্য ভালোই লাগছিল। একঘেয়ে জীবনে মাঝে মাঝে এ রকম ঘটনা মনকে শান্ত করে।
কিন্তু সেই শান্তি একটু পরই উধাও হলো। বাসের সামনের দিক থেকেও ভেসে আসতে শুরু করল আরেক নারীর কণ্ঠনিসৃত গান। গানটি কর্কশ। বোঝাই যাচ্ছিল, গোটা দুনিয়াকে তাচ্ছিল্য করে গাইছেন তিনি। এই নারীর বয়স আরো বেশি। জীবনসংগ্রামের চিহ্ন তাঁর চোখে-মুখে। কেউ প্রতিবাদ করছে না। সবাই জানে, প্রতিবাদে কাজ হবে না। যে কষ্ট আর বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে গানে, তাতে নিষেধ করা হেল বারুদে আগুন দেওয়া হবে।
আমরা যে স্টেশনে বাস থেকে নামলাম, এই গায়িকাও সেখানেই নামলেন। তারপর আরেকটু এগিয়ে অন্য এক বাসস্টেশনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে লাগলেন। যেন হাজার মানুষের জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। বিষয়টিতকে হাস্যকর ভাবলে এক রকম, কষ্টের ভাবলে আরেক রকম।
আমার বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।
মাঠের বাতাসে কীসের গন্ধ?
ব্র্যাডক অ্যাভিনিউতে যে পার্কটি আছে, সেটায় হাঁটতে যাই। ঘণ্টাখানেক হাঁটলে শরীর ঝরঝরে হয়ে ওঠে। সেদিনও গেছি হাঁটতে। মাঠে কেউ নেই। শুধু একপাশে এক বেঞ্চিতে বসে আছে এক তরুণী আর এক তরুণ। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক তরুণ। তাদের সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় দেখলাম, বসে থাকা তরুণটি দাঁড়িয়ে থাকা তরুণের হাতে ধরিয়ে দিল তার হাতে থাকা সিগারেটটি। সিগারেটে টান দিয়ে যখন ধোঁয়া ছাড়ল সেই তরুণ, আমি টের পেলাম, এই গন্ধ আমি চিনি। ইদানীং ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এই গন্ধ পাওয়া যায়। বিশেষ করে ধানমন্ডি লেকের আশপাশে পরিচিত এই গন্ধ।
হ্যাঁ, গাঁজার গন্ধ।
ব্র্যাডক অ্যাভিনিউর পার্কটার বেঞ্চিতে বসে গাঁজা টেনে চলেছে তিন তরুণ-তরুণী।
এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। নিউইয়র্ক শহরে এখন গাঁজা কোনো নিষিদ্ধ বন্তু নয়। ক্যানাবিস, মারিউয়ানা, পট কিংবা গাঁজা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই নেশায় এখন নিষেধাজ্ঞা নেই। আইনগতভাবেই গাঁজার বিক্রি এখন বৈধ, সুতরাং সিগারেটের মতো গাঁজায় দম দেওয়া এই শহরে স্বাভাবিক ব্যাপার।
গাঁজাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কিছুদিন আগে নিউইয়র্কে গাঁজা উৎসবও হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৬ মে নিউইয়র্ক ক্যানাবিস প্যারেড হবে ম্যানহাটনে। ব্রডওয়েতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হবে ক্যানাবিস মেলা।
নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি এই সিনেটে রিক্রিয়েশনাল মারিউয়ানা বিক্রি ও সেবন বিল পাশ হয়েছিল ২০২১ সালে। একসঙ্গে তিন আউন্স গাঁজা ব্যবহারের জন্য যে কেউ কাছে রাখতে পারবে, এটাই ছিল আইন। তবে গাঁজা সেবনের জন্য বয়স হতে হবে অন্তত ২১।
গাঁজা বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আয় হবে, তা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। প্রথম বছরে নিউইয়র্ক স্টেট ক্যানাবিস বিক্রি থেকে রাজস্ব পাবে ১.২ বিলিয়ন ডলার। ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৪ বিলিয়ন ডলার। ভাবা যায়!
আবহাওয়া
সকালের দিকে রোদ ওঠার পর বাইরে বের হলে হালকা জামার ওপর হালকা সোয়েটার জড়ালেই চলে। কিন্তু দিন যত বিকেলের দিকে গড়ায়, ততোই বাতাসে ভর করে শীত এসে জাঁকিয়ে বসে নিউইয়র্ক শহরে। এ সময় বীরত্ব দেখিয়ে সোয়েটারের ওপর ভরসা করলেই মুশকিল। শীতে দাঁতকপাটি লেগে গেলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না।
সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশিয়ায় বসবাস করেছি ১০ বছর। শীতের নাড়ি-নক্ষত্রের খোঁজ নিয়েছিলাম এবং তা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার উপায় শিখেছিলাম সেখানেই। একটা কথা কখনই ভুলি না। খুব বেশি শীত পড়লে শরীরের তিনটি স্থান সুরক্ষিত রাখতে হয়। মাথা-বুক-পা। এই তিন জায়গায় ভারী কাপড় থাকলে শীতের বাবার সাধ্য নেই কাউকে কাবু করে ফেলবে।
এখানে, এই নিউইয়র্কেও সেই সত্য মেনে চলি। জানি, হঠাৎ করে আসা ঠান্ডা বাতাস কতটা নিস্তেজ করে দিতে পারে শরীর।
হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখায় নিউইয়র্কের নীল আকাশ নিয়ে লিখেছেন। তিনি ভুল লেখেননি। এখানকার আকাশটা সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর। এই এপ্রিলের শেষে ঋতু পরিবর্তনের তোড়জোড়ের মধ্যে নীল আকাশে সাদা মেঘ এমনভাবে ছড়িয়ে আছে, যেন মনে হচ্ছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। সে তেলরং হতে পারে, জলরংও হতে পারে, অ্যাক্রিলিকের ছোঁয়া থাকলেও ক্ষতি নেই।
আমরা এই শহরে ঘুরতে আসা মানুষরা যেভাবে এই আকাশ দেখি, নিউইয়র্কবাসী কি সেভাবে দেখে? এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। কাউকে ভরসা করে জিজ্ঞেস করতেও ইচ্ছে করে না। কে জানে, যদি ভেবে বসেন, এত ‘আজাইরা’ ভাবনারও সময় আছে আমার!
কুইনস ভিলেজের সারি সারি বাড়ির মাঝ দিয়ে তৈরি রাস্তাগুলোয় হাঁটতে ভালো লাগে। কাল দুপুরে যখন হাঁটতে বের হলাম, তখন মনে হলো এ যেন এক মৃত শহর। বাড়িগুলোর ভেতরে নিশ্চয়ই মানুষ আছে, কিন্তু তাদের কারো দেখা নেই রাস্তায়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার সময় একজন মানুষও চোখে পড়ল না। রাস্তায় সারি সারি গাড়ি অলসভাবে দাঁড়িয়ে আছে। বহুক্ষণ সময় পার করে কোনো গাড়ি পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। ওটুকুতেই বোঝা যায়, শহরটা মৃত নয়।
জ্যামাইকা অ্যাভিনিউ পর্যন্ত গিয়ে ডলার শপ আর টিডি ব্যাংক পার হয়ে কি-ফুডে ঢুকলাম কিছুক্ষণের জন্য। সেখানে অদ্ভুত রঙের একটি মাছ আমার দৃষ্টি কেড়ে নিল। মাছ যে এ রকম সাজুগুজু করে বিক্রির জন্য হাজির হতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। আর সেই সাজগোজ মোটেই কৃত্রিম নয়, একেবারে প্রাকৃতিক। একবার ভাবলাম, কিনে ফেলি মাছ। কিন্তু তখনই মনে পড়ল, ফ্রিজে রাখা খাবারের একটা হিল্লে না হওয়া পর্যন্ত অযথা টাকা খরচ করা বারন।
২১৩ নম্বর স্ট্রিট দিয়ে ফিরে আসার পথে হাতের বাঁয়ে একটা বাড়ির নাম দেখে থমকে দাঁড়ালাম।
বাড়িটির নাম ‘ক্ষণিকা’। বাংলায় লেখা। আমি দাঁড়াতেই দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন এক ভদ্রলোক। আমি তাঁর পরিচয় জানতে চাইলাম না। বাংলাতেই জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি তো বাঙালি।’
হাসলেন ভদ্রলোক। বললেন, ‘হ্যাঁ, বাঙালি। আপনি কোনদিকে থাকেন, বেলরোজের দিকে?’
আমি যে পথ ধরে হেঁটে আসছিলাম, তার পেছন দিকটায় বেলরোজ পাড়া।
বললাম, ‘না, আমি আছি স্প্রিংফিল্ডের দিকে। আপনার বাড়ির নামটা সুন্দর।’
ভদ্রলোক হাসলেন। বিদায় নিয়ে যখন আবার পা বাড়িয়েছি রাস্তায়, তখনই কেবল মনে পড়ল, ভদ্রলোকের নামটাও তো জানা হলো না। কবে থেকে এখানে আছেন, বয়স কত, এখানেই থেকে গেলেন কেন—কত প্রশ্নই তো করা যেত। তা নিয়ে লেখা যেত একটা ফিচার। কিন্তু সেটা সময়মতো মনে পড়ল না। বহমান জীবনে কত কিছুই তো ঘটে যায়, কত কিছু মনোযোগ পায়, আবার কত কিছুই তো বিনা মনোযোগে চলে যায় দূরে। একসময় অদৃশ্য হয়ে যায় জীবন থেকে। এই যে নিউইয়র্কের কুইনস ভিলেজে একটি বাড়ির নাম বাংলায় ‘ক্ষণিকা’ হয়ে রয়েছে, তার ইতিহাস কি আর জানা হবে কখনো? আমি নিজেই কি দ্বিতীয়বারের মতো এই বাড়ির কাছে যাব আর?
উত্তর মেলে না।
শুধু মনে হয়, ‘ক্ষণিকা’ নামটিই তো বুঝিয়ে দিচ্ছে, খুব স্বল্প সময়ের জন্যই আমাদের এই চলাফেরা। খুব অল্প সময়ের গল্পগুলোই বেঁচে থাকে মনে। তাই ক্ষণিকা বা ক্ষণিকের এই হৃদয়ে দোলা দেওয়া ঘটনারও একটা মানে থেকে যায়।
আরে! দেখ দেখি কাণ্ড! ভদ্রলোকের অনুমতি নিয়ে বাড়ির নামসহ একটা ছবি ত্র তুলতে পারতাম। সেটাও হলো না! পথে আরেকটু এগোতেই এক মহাজ্ঞানী কাঠবেড়ালি লেজতুলে যখন পালাচ্ছিল, তখন তার পায়ের শব্দে উড়ে গেল কয়েকটি পাখি। আকাশে ভাসতে থাকা পাখিগুলোকে দেখে হঠাৎ করেই মনে ভেসে উঠল গানটি, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়…।’ কেন ভেসে উঠল, কে জানে!

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৫ ঘণ্টা আগেনিশাত তামান্না

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

নিউইয়র্কে পা দিতে না দিতেই ঈদের আমেজ। সৌদি আরবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মনে করা হচ্ছিল, এবার এক দিন পিছিয়ে যেতে পারে ঈদ। কিন্তু একসময় বলা হলো, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই এবার ঈদ হবে ২১ এপ্রিল। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বাঙালি পাড়ায় পাড়ায় এল ঈদের আমেজ।
২৬ এপ্রিল ২০২৩
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

নিউইয়র্কে পা দিতে না দিতেই ঈদের আমেজ। সৌদি আরবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মনে করা হচ্ছিল, এবার এক দিন পিছিয়ে যেতে পারে ঈদ। কিন্তু একসময় বলা হলো, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই এবার ঈদ হবে ২১ এপ্রিল। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বাঙালি পাড়ায় পাড়ায় এল ঈদের আমেজ।
২৬ এপ্রিল ২০২৩
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
৩ ঘণ্টা আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
৪ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

নিউইয়র্কে পা দিতে না দিতেই ঈদের আমেজ। সৌদি আরবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মনে করা হচ্ছিল, এবার এক দিন পিছিয়ে যেতে পারে ঈদ। কিন্তু একসময় বলা হলো, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই এবার ঈদ হবে ২১ এপ্রিল। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বাঙালি পাড়ায় পাড়ায় এল ঈদের আমেজ।
২৬ এপ্রিল ২০২৩
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

নিউইয়র্কে পা দিতে না দিতেই ঈদের আমেজ। সৌদি আরবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মনে করা হচ্ছিল, এবার এক দিন পিছিয়ে যেতে পারে ঈদ। কিন্তু একসময় বলা হলো, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই এবার ঈদ হবে ২১ এপ্রিল। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বাঙালি পাড়ায় পাড়ায় এল ঈদের আমেজ।
২৬ এপ্রিল ২০২৩
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
৪ ঘণ্টা আগে