Ajker Patrika

নিউইয়র্কের জার্নাল-২: পৃথিবীর রাজধানীর গল্প

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৩: ০৯
নিউইয়র্কের জার্নাল-২: পৃথিবীর রাজধানীর গল্প

নিউইয়র্কে পা দিতে না দিতেই ঈদের আমেজ। সৌদি আরবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মনে করা হচ্ছিল, এবার এক দিন পিছিয়ে যেতে পারে ঈদ। কিন্তু একসময় বলা হলো, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই এবার ঈদ হবে ২১ এপ্রিল। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বাঙালি পাড়ায় পাড়ায় এল ঈদের আমেজ। জ্যাকসন হাইটস জেগে থাকল সারা রাত। পালা করে চলল মেহেদী উৎসব। সাজগোজের হিড়িক পড়ে গেল। ঈদের দিন কে কার বাড়িতে বেড়াতে যাবে, তা নিয়ে শুরু হলো জল্পনা-কল্পনা।

যারা বহুদিন ধরে বসবাস করছেন এই নগরীতে, তাদের বন্ধুমহল দাঁড়িয়ে গেছে। ঈদ বা যে কোনো উৎসব এলে এই পরিবারগুলো একে অন্যের সঙ্গে মোলাকাত করে।

আমরা তিন পরিবার মিলে ঠিক করলাম যে যার বাড়িতে রান্না করে কুইনস ভিলেজে বড় ভাইয়ের বাড়িতে দুপুরের খাবার খাব। বন্ধু যাঁরা আছেন, তাঁদেরও কেউ কেউ যোগ দেবেন লাঞ্চে। কে কী রান্না করল, সে কথা না বলে জানিয়ে রাখি, সেদিন কোন কোন খাবারের ভারে নুয়ে পড়েছিল টেবিল। ছিল খাসির বিরিয়ানি, গরুর রেজালা, চাপালি কাবাব, মুরগির রোস্ট, রাশান বেগুন, ডিম ভুনা, ফ্রেশ সালাদ, জর্দা, পায়েস, সেমাই। টেবিলে এই খাবারগুলো সাজিয়ে রাখার পর বোঝা গেল, এত আয়োজনের প্রয়োজন ছিল না। খাসির বিরিয়ানি থাকলে ফ্রেশ সালাদই যথেষ্ট। আর কিছু তৈরি না করলেও চলত।

সেদিন আরো দুই পরিবার এসে যোগ দিয়েছিল আমাদের মিলনমেলায়। সবচেয়ে দরকারি কথা হলো, সেই দুই পরিবারের তরুণ সদস্যরাও এবার এসেছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। নিউইয়র্কের বাঙালি পরিবারগুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করে। বাবা-মায়েরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে, আড্ডা দেয়, তার সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ কম। এটাকেই বুঝি জেনারেশন গ্যাপ বলে।

একটু নির্দয় হয়েই বলি, বাবা-মায়ের প্রজন্ম যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করে, তাতে নস্টালজিয়ার পরিমাণ থাকে বেশি, এই এলাকায় একত্রে বসবাসকারী পরিবারগুলোর ভালো-মন্দ নিয়ে থাকে আলোচনা, ইহকাল ও পরকাল নিয়ে থাকে গম্ভীর আলোচনা, পোশাক-আশাক নিয়ে কথাবার্তা। এইগুলো তরুণ প্রজন্মকে একেবারেই টানে না। নতুন প্রযুক্তির প্রতি সারা বিশ্বের তরুণদের যে আগ্রহ, এখানকার বাঙালি তরুণ-তরুণীর আগ্রহও সেদিকে। ফলে বড়দের সঙ্গে কথা বলার মতো বিষয়বস্তুর বড্ড অভাব তাদের। সে রকম একটা পরিপ্রেক্ষিতে দুই পরিবারের তরুণেরা বেড়াতে এল, এটা খুবই আশাপ্রদ একটি ব্যাপার। এর মধ্যে এক তরুণ তার মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছে, সেই খবরও পাওয়া গেল।

আমরা একসময় ঢাকার চামেলীবাগে বসবাস করেছি। সেখানে পাশের বাড়িতে ছিল শামীম ভাইদের বাস। তিনি এসেছিলেন সস্ত্রীক, সসন্তান। সেই ছেলেবেলার চামেলীবাগ নিয়ে যখন আলাপ শুরু হলো, তখন কত না নাম ভেসে এল। যা ছিল বিস্মৃতির অতলে, তাও বেরিয়ে এল। মনে হলো, কত দিন পর সেই নামগুলো শোনা যাচ্ছে আর এক একটা চেহারা ভেসে উঠছে চোখের সামনে, অথচ সময়ের ব্যবধানে হয়তো সেই মুখগুলো এমনভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে, যে সামনাসামনি দেখা হলেও তাদের অনেককেই চিনতে পারব না।

newyorkমুখোশহীন অবয়ব এবং মনের সুখে গান

গতবার যখন এসেছিলাম নিউইয়র্কে, তখনো করোনার ভয় ছিল মানুষের মনে। তখনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মাস্ক ছাড়া ওঠা যেত না। দোকানে ঢুকতে হলেও মাস্কের প্রয়োজনীয়তা ছিল। এবার সে ভয় নেই। যত্রতত্র মাস্কহীন চলাচল। খাবার-দাবারের জন্য আমাদের প্রিয় দোকান কি-ফুডে ঢুকলাম মাস্ক ছাড়াই। বিশাল সেই দোকানটা একাই একটা মার্কেটের সমান। থরে থরে সাজানো খাবারদাবার। ফলমূল। মরিচ-পেঁয়াজ। রুটি-মাখন। কাচা, আধা রান্না করা, খাওয়ার উপযোগী কত না খাবার সেখানে।

সেখানেই দেখলাম এক বৃদ্ধা এসেছেন মাস্ক পরে। তিনি হয়তো এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না, করোনা আর নেই। তাঁকে দেখেই মনে পড়ল, করোনাকালে বিমানযাত্রার সময় করোনার টেস্ট ছিল কী ভয়ংকর। শীতের মধ্যে হাসপাতালের সামনে ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে করোনার টেস্ট করাতে হতো। সময়মতো সেই টেস্টের ফল না এলে বিমানে ওঠা যেত না। একবার সময়মতো আসেনি বলে আমাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। পরে আরো ৩০০ ডলার গচ্চা দিয়ে তিন দিন পরের টিকিট জোগাড় করতে হয়েছিল। নতুন করে লাইনে দাঁড়িয়ে করোনা টেস্ট করাতে হয়েছিল। সে যে কী এক সময় পার করতে হয়েছে!

মাস্ক কখনো কখনো নিরাপদ রাখে শরীর। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেই কেবল মনে হয়, কেন এই বাড়াবাড়ি!

এখন চারদিকে মাস্কবিহীন মানুষের চলাচল দেখে বোঝারই উপায় নেই, কী এক সময় পার করেছিল পৃথিবী!

কাল শনিবার সাবওয়ে থেকে নেমে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় এক নারীকে দেখলাম মুখে মাস্ক দিয়ে রেখেছেন। কিউ ৪৩ বাস এলে আমরা একেবারে পেছন দিকে গিয়ে বসলাম। আমাদের পেছনে বসলেন সেই নারী। বয়স আনুমানিক ৫০। কিছু বেশিও হতে পারে। চেহারা দেখে মনে হলো লাতিন আর আফ্রিকান মিশ্রণ। বাস চলা শুরু করলে তিনি মাস্ক খুললেন। রং করা চুলগুলো ঝুঁটি করে বাঁধলেন। তারপর মোবাইল ফোনে গান ছাড়লেন এবং দুচোখ বন্ধ করে মনের সুখে গাইতে লাগলেন গান। সেই গান অন্য কাউকে অস্বস্তিতে ফেলছে কি না, সেদিকে নজরই দিলেন না। আমাদের অবশ্য ভালোই লাগছিল। একঘেয়ে জীবনে মাঝে মাঝে এ রকম ঘটনা মনকে শান্ত করে।

কিন্তু সেই শান্তি একটু পরই উধাও হলো।  বাসের সামনের দিক থেকেও ভেসে আসতে শুরু করল আরেক নারীর কণ্ঠনিসৃত গান। গানটি কর্কশ। বোঝাই যাচ্ছিল, গোটা দুনিয়াকে তাচ্ছিল্য করে গাইছেন তিনি। এই নারীর বয়স আরো বেশি। জীবনসংগ্রামের চিহ্ন তাঁর চোখে-মুখে। কেউ প্রতিবাদ করছে না। সবাই জানে, প্রতিবাদে কাজ হবে না। যে কষ্ট আর বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে গানে, তাতে নিষেধ করা হেল বারুদে আগুন দেওয়া হবে।

আমরা যে স্টেশনে বাস থেকে নামলাম, এই গায়িকাও সেখানেই নামলেন। তারপর আরেকটু এগিয়ে অন্য এক বাসস্টেশনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে লাগলেন। যেন হাজার মানুষের জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। বিষয়টিতকে হাস্যকর ভাবলে এক রকম, কষ্টের ভাবলে আরেক রকম।

আমার বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।

মাঠের বাতাসে কীসের গন্ধ?

newyork03ব্র্যাডক অ্যাভিনিউতে যে পার্কটি আছে, সেটায় হাঁটতে যাই। ঘণ্টাখানেক হাঁটলে শরীর ঝরঝরে হয়ে ওঠে। সেদিনও গেছি হাঁটতে। মাঠে কেউ নেই। শুধু একপাশে এক বেঞ্চিতে বসে আছে এক তরুণী আর এক তরুণ। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক তরুণ। তাদের সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় দেখলাম, বসে থাকা তরুণটি দাঁড়িয়ে থাকা তরুণের হাতে ধরিয়ে দিল তার হাতে থাকা সিগারেটটি। সিগারেটে টান দিয়ে যখন ধোঁয়া ছাড়ল সেই তরুণ, আমি টের পেলাম, এই গন্ধ আমি চিনি। ইদানীং ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এই গন্ধ পাওয়া যায়। বিশেষ করে ধানমন্ডি লেকের আশপাশে পরিচিত এই গন্ধ।

হ্যাঁ, গাঁজার গন্ধ।

ব্র্যাডক অ্যাভিনিউর পার্কটার বেঞ্চিতে বসে গাঁজা টেনে চলেছে তিন তরুণ-তরুণী।

এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। নিউইয়র্ক শহরে এখন গাঁজা কোনো নিষিদ্ধ বন্তু নয়। ক্যানাবিস, মারিউয়ানা, পট কিংবা গাঁজা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই নেশায় এখন নিষেধাজ্ঞা নেই। আইনগতভাবেই গাঁজার বিক্রি এখন বৈধ, সুতরাং সিগারেটের মতো গাঁজায় দম দেওয়া এই শহরে স্বাভাবিক ব্যাপার।

গাঁজাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কিছুদিন আগে নিউইয়র্কে গাঁজা উৎসবও হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৬ মে নিউইয়র্ক ক্যানাবিস প্যারেড হবে ম্যানহাটনে। ব্রডওয়েতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হবে ক্যানাবিস মেলা।

নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি এই সিনেটে রিক্রিয়েশনাল মারিউয়ানা বিক্রি ও সেবন বিল পাশ হয়েছিল ২০২১ সালে। একসঙ্গে তিন আউন্স গাঁজা ব্যবহারের জন্য যে কেউ কাছে রাখতে পারবে, এটাই ছিল আইন। তবে গাঁজা সেবনের জন্য বয়স হতে হবে অন্তত ২১।

গাঁজা বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আয় হবে, তা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। প্রথম বছরে নিউইয়র্ক স্টেট ক্যানাবিস বিক্রি থেকে রাজস্ব পাবে ১.২ বিলিয়ন ডলার। ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৪ বিলিয়ন ডলার। ভাবা যায়!

আবহাওয়া

সকালের দিকে রোদ ওঠার পর বাইরে বের হলে হালকা জামার ওপর হালকা সোয়েটার জড়ালেই চলে। কিন্তু দিন যত বিকেলের দিকে গড়ায়, ততোই বাতাসে ভর করে শীত এসে জাঁকিয়ে বসে নিউইয়র্ক শহরে। এ সময় বীরত্ব দেখিয়ে সোয়েটারের ওপর ভরসা করলেই মুশকিল। শীতে দাঁতকপাটি লেগে গেলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না।

সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশিয়ায় বসবাস করেছি ১০ বছর। শীতের নাড়ি-নক্ষত্রের খোঁজ নিয়েছিলাম এবং তা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার উপায় শিখেছিলাম সেখানেই। একটা কথা কখনই ভুলি না। খুব বেশি শীত পড়লে শরীরের তিনটি স্থান সুরক্ষিত রাখতে হয়। মাথা-বুক-পা। এই তিন জায়গায় ভারী কাপড় থাকলে শীতের বাবার সাধ্য নেই কাউকে কাবু করে ফেলবে।

এখানে, এই নিউইয়র্কেও সেই সত্য মেনে চলি। জানি, হঠাৎ করে আসা ঠান্ডা বাতাস কতটা নিস্তেজ করে দিতে পারে শরীর।

হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখায় নিউইয়র্কের নীল আকাশ নিয়ে লিখেছেন। তিনি ভুল লেখেননি। এখানকার আকাশটা সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর। এই এপ্রিলের শেষে ঋতু পরিবর্তনের তোড়জোড়ের মধ্যে নীল আকাশে সাদা মেঘ এমনভাবে ছড়িয়ে আছে, যেন মনে হচ্ছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। সে তেলরং হতে পারে, জলরংও হতে পারে, অ্যাক্রিলিকের ছোঁয়া থাকলেও ক্ষতি নেই।

আমরা এই শহরে ঘুরতে আসা মানুষরা যেভাবে এই আকাশ দেখি, নিউইয়র্কবাসী কি সেভাবে দেখে? এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। কাউকে ভরসা করে জিজ্ঞেস করতেও ইচ্ছে করে না। কে জানে, যদি ভেবে বসেন, এত ‘আজাইরা’ ভাবনারও সময় আছে আমার!

কুইনস ভিলেজের সারি সারি বাড়ির মাঝ দিয়ে তৈরি রাস্তাগুলোয় হাঁটতে ভালো লাগে। কাল দুপুরে যখন হাঁটতে বের হলাম, তখন মনে হলো এ যেন এক মৃত শহর। বাড়িগুলোর ভেতরে নিশ্চয়ই মানুষ আছে, কিন্তু তাদের কারো দেখা নেই রাস্তায়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার সময় একজন মানুষও চোখে পড়ল না। রাস্তায় সারি সারি গাড়ি অলসভাবে দাঁড়িয়ে আছে। বহুক্ষণ সময় পার করে কোনো গাড়ি পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। ওটুকুতেই বোঝা যায়, শহরটা মৃত নয়।

newyork02জ্যামাইকা অ্যাভিনিউ পর্যন্ত গিয়ে ডলার শপ আর টিডি ব্যাংক পার হয়ে কি-ফুডে ঢুকলাম কিছুক্ষণের জন্য। সেখানে অদ্ভুত রঙের একটি মাছ আমার দৃষ্টি কেড়ে নিল। মাছ যে এ রকম সাজুগুজু করে বিক্রির জন্য হাজির হতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। আর সেই সাজগোজ মোটেই কৃত্রিম নয়, একেবারে প্রাকৃতিক। একবার ভাবলাম, কিনে ফেলি মাছ। কিন্তু তখনই মনে পড়ল, ফ্রিজে রাখা খাবারের একটা হিল্লে না হওয়া পর্যন্ত অযথা টাকা খরচ করা বারন।

২১৩ নম্বর স্ট্রিট দিয়ে ফিরে আসার পথে হাতের বাঁয়ে একটা বাড়ির নাম দেখে থমকে দাঁড়ালাম।

বাড়িটির নাম ‘ক্ষণিকা’। বাংলায় লেখা। আমি দাঁড়াতেই দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন এক ভদ্রলোক। আমি তাঁর পরিচয় জানতে চাইলাম না। বাংলাতেই জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি তো বাঙালি।’

হাসলেন ভদ্রলোক। বললেন, ‘হ্যাঁ, বাঙালি। আপনি কোনদিকে থাকেন, বেলরোজের দিকে?’

আমি যে পথ ধরে হেঁটে আসছিলাম, তার পেছন দিকটায় বেলরোজ পাড়া।

বললাম, ‘না, আমি আছি স্প্রিংফিল্ডের দিকে। আপনার বাড়ির নামটা সুন্দর।’

ভদ্রলোক হাসলেন। বিদায় নিয়ে যখন আবার পা বাড়িয়েছি রাস্তায়, তখনই কেবল মনে পড়ল, ভদ্রলোকের নামটাও তো জানা হলো না। কবে থেকে এখানে আছেন, বয়স কত, এখানেই থেকে গেলেন কেন—কত প্রশ্নই তো করা যেত। তা নিয়ে লেখা যেত একটা ফিচার। কিন্তু সেটা সময়মতো মনে পড়ল না। বহমান জীবনে কত কিছুই তো ঘটে যায়, কত কিছু মনোযোগ পায়, আবার কত কিছুই তো বিনা মনোযোগে চলে যায় দূরে। একসময় অদৃশ্য হয়ে যায় জীবন থেকে। এই যে নিউইয়র্কের কুইনস ভিলেজে একটি বাড়ির নাম বাংলায় ‘ক্ষণিকা’ হয়ে রয়েছে, তার ইতিহাস কি আর জানা হবে কখনো? আমি নিজেই কি দ্বিতীয়বারের মতো এই বাড়ির কাছে যাব আর?

উত্তর মেলে না।

শুধু মনে হয়, ‘ক্ষণিকা’ নামটিই তো বুঝিয়ে দিচ্ছে, খুব স্বল্প সময়ের জন্যই আমাদের এই চলাফেরা। খুব অল্প সময়ের গল্পগুলোই বেঁচে থাকে মনে। তাই ক্ষণিকা বা ক্ষণিকের এই হৃদয়ে দোলা দেওয়া ঘটনারও একটা মানে থেকে যায়।

আরে! দেখ দেখি কাণ্ড! ভদ্রলোকের অনুমতি নিয়ে বাড়ির নামসহ একটা ছবি ত্র তুলতে পারতাম। সেটাও হলো না! পথে আরেকটু এগোতেই এক মহাজ্ঞানী কাঠবেড়ালি লেজতুলে যখন পালাচ্ছিল, তখন তার পায়ের শব্দে উড়ে গেল কয়েকটি পাখি। আকাশে ভাসতে থাকা পাখিগুলোকে দেখে হঠাৎ করেই মনে ভেসে উঠল গানটি, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়…।’ কেন ভেসে উঠল, কে জানে!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পৌষের হাওয়া লেগে ফাটছে গোড়ালি? সমাধান আছে ঘরেই

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা গোড়ালি ফাটার সমস্যায় বেশি ভোগেন। ছবি: পেক্সেলস
সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা গোড়ালি ফাটার সমস্যায় বেশি ভোগেন। ছবি: পেক্সেলস

শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে গেছে, খানিকটা ফেটেও যেতে পারে। তাই সাবধান হতে হবে আগে থেকে। এই শীতে ফাটা গোড়ালির সমস্যা এড়াতে হলে নিয়মিত যত্নের বাইরে কোনো দাওয়াই নেই। ফাটা গোড়ালি সারানোর জন্য বিশেষ লোশন বা ক্রিমের খোঁজ না করে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকায়। এসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে সুফল মিলবে।

ময়শ্চারাইজেশন আসল চিকিৎসা

গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ছবি: পেক্সেলস
গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ছবি: পেক্সেলস

ত্বক ও গোড়ালি ফাটার মূল কারণ শুষ্কতা। শীতের হাওয়া লেগে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারায় দ্রুত। তাই ত্বকের হাইড্রেশনে জোর দিলে ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। এর জন্য গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে কয়েক লেয়ারে ময়শ্চারাইজার মেখে তারপর সুতির মোজা পরুন। এই যেমন প্রথমে গ্লিসারিন, তারপর অলিভ অয়েল এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সুতি মোজা পরুন। তাতে পায়ের ত্বক কোমল থাকবে আর গোড়ালি ফাটাও রোধ করা যাবে। এই কাজে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হিল বামে ভরসা রাখতে পারেন।

ফুট স্ক্রাব জরুরি

ফাটা গোড়ালির ত্বক অপেক্ষাকৃত বেশি শুষ্ক ও পুরু হয়। ফলে হাঁটার সময় বেশি চাপ পড়লে গোড়ালি আরও ফাটে। তাই নিয়মিত ফুট স্ক্রাব করতে হবে। তাহলে গোড়ালি ফাটার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ফুট স্ক্রাব করতে এক কাপ লবণ, এক কাপ চিনি, দুই টেবিল চামচ মধু, সামান্য নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। ম্যাসাজ শেষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া আধা কাপ লবণ, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ৪ থেকে ৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল একটি কাচের পাত্রে একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে রেখে দিন। এই স্ক্রাব সপ্তাহে দুদিন পায়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

২০ মিনিটের পুটবাথ

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে সরাসরি গোসলে না ঢুকে একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে হালকা কোনো বডি ওয়াশ ও অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন। এবার এতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে গোড়ালির ত্বক কিছুটা নরম হয়ে আসবে। তারপর ঝামা, লুফা বা ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিন। তারপর গোসল সেরে পায়ে ভারী ময়শ্চারাইজার লাগান। সবশেষে পায়ে মোজা পরতে ভুলবেন না যেন!

বিশেষ ভাবে ফোচানো পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। ছবি: পেক্সেলস
বিশেষ ভাবে ফোচানো পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। ছবি: পেক্সেলস

ক্ষতি সারাবে টি ট্রি অয়েল

অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল টি ট্রি অয়েল গোড়ালি ফাটা সারাতে খুব কার্যকর। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে তারপর ত্বকে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে পরিমাণটা বোঝা জরুরি। একটি কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ অলিভ অয়েল নিন। তাতে ৬ থেকে ৭ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পর এই মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে ফুট ম্যাসাজ করে ফেলুন। এই ঘরোয়া টোটকাতে ফাটা গোড়ালি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠবে।

প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে মধু

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণসমৃদ্ধ মধু যেকোনো ত্বকের ক্ষত ও ফেটে যাওয়া অংশ সারিয়ে তুলতে সাহায্য় করে; পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখতেও সহায়ক। তাই ফাটা গোড়ালি সারাতে বাড়তি কিছু করতে না চাইলে মধুর ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সিনেমা দেখতে বসার আগে পায়ের গোড়ালিতে মধু মেখে তারপর টিভির সামনে পা এলিয়ে বসুন। ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় খুব ভালো কাজ করবে এই মধু। নিয়মিত করলে ফাটা গোড়ালি সেরে উঠবে খুব দ্রুত।

সূত্র: বি বিউটিফুল, নেটমেডস ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে সব ধরনের চুলের জন্য ৫টি সেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্‌যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।

পাকা কলার প্যাক

কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।

দইয়ের জাদুকরি প্যাক

দই মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস
দই মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।

চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

অ্যালোভেরা জেল চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস
অ্যালোভেরা জেল চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।

সহজ সমাধান নারকেল তেল

আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৬
আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

মেষ

সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।

বৃষ

স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।

মিথুন

মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।

কর্কট

কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।

সিংহ

বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।

কন্যা

বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।

তুলা

হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।

বৃশ্চিক

পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।

ধনু

আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।

মকর

আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।

কুম্ভ

দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।

মীন

আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের সকাল শুরু হোক সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর স্যুপ দিয়ে

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৭
চীনের লানঝাউ বিফ নুডলস স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া
চীনের লানঝাউ বিফ নুডলস স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া

আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ। কিন্তু মনে রাখা চাই, মাংস দিয়ে কিছু স্যুপ রান্না করতে গেলে খানিক সময় লাগবে। তারপরই উপভোগ করা যাবে মজাদার স্যুপ।

আপনাদের জন্য দুটি স্যুপের রেসিপি রইল।

লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ, চীন

চীনে নুডলস দিয়ে তৈরি খাবার ও চায়নিজ নুডলস স্যুপ রেসিপির কোনো ঘাটতি নেই। বলা হয়, এর বৈচিত্র্য চীনের ভূগোলের মতোই বিশাল এবং প্রতিটি অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু অসংখ্য নুডলস ডিশের, বিশেষ করে নুডলস স্যুপের মধ্যে যেটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তা হলো লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।

সুস্বাদু, স্বচ্ছ ঝোল, পাতলা করে কাটা গরুর মাংস, নরম চায়নিজ মুলার ফালি, প্রচুর ধনেপাতা ও পেঁয়াজ কলি, গাঢ় লাল মরিচের তেল এবং হাতে তৈরি নুডলস দিয়ে রান্না করা হয় লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।

উপকরণ

৪ পাউন্ড গরুর মাংস, ১ কেজি গরুর হাঁটুর মাংস, অর্ধেক ভাজা মুরগি, ১০ কাপ পানি, ১ লিটার চিকেন স্টক, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, ছোট চায়নিজ মুলার অর্ধেক, ১ পাউন্ড তাজা বা শুকনো সাদা নুডলস, গরম মরিচের তেল, পেঁয়াজ কলি, ধনেপাতা।

মসলা মিশ্রণের জন্য

৭টি তারকা মৌরি, ১২টি লবঙ্গ, ১টি দারুচিনি, ৫টি তেজপাতা, ৬টি বড় স্যান্ড জিঞ্জারের টুকরো, দেড় চা-চামচ মৌরি বীজ, ১ চা-চামচ জিরা বীজ, ২ চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, দেড় চা-চামচ সাদা গোলমরিচ, ৫টি লিকোরিস মূলের টুকরো, ৩টি শুকনো কমলার খোসা, ১টি কালো এলাচি।

গরম মরিচের তেলের জন্য

এক কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ তেল, ২টি তারকা মৌরি, ছোট দারুচিনির অর্ধেক, আধা চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, ৩ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়া, ১ চা-চামচ লবণ, সামান্য চিনি।

প্রস্তুত প্রণালি

মাংসের হাড়গুলো ধুয়ে নিন। ৪০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেকিং শিটে ৪৫ মিনিট বেক করে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে তাতে গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগির মাংস যোগ করুন। সবকিছু আবার ফুটতে দিন। একবার ফুটে উঠলে হাঁটুর মাংস এবং মুরগি বের করে নিয়ে পানি ফেলে দিন এবং পাত্রটি পরিষ্কার করে নিন।

এরপর গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগি আবার পাত্রে দিন। সঙ্গে বেক করে নেওয়া হাড়। এর সঙ্গে আরও ১০ কাপ পানি এবং ৪ কাপ চিকেন স্টক যোগ করুন। মসলার সব উপকরণ একত্র করে একটি পাতলা কাপড়ে পুঁটলি করে শক্তভাবে বেঁধে মসলার মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি পাত্রে রেখে দিন। এরপর পাত্রে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে সবকিছু ফুটতে দিন।

একবার ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সেদ্ধ হতে দিন। ২ ঘণ্টা পরে গরুর হাঁটুর মাংস বের করে সরিয়ে রাখুন। বাকি অংশে কাটা মুলা যোগ করে আরও ঘণ্টাখানেক সেদ্ধ হতে দিন। তারপর মসলার ব্যাগ, মুরগির হাড় বের করে ফেলে দিন। ঝোলে লবণের স্বাদ নিন এবং প্রয়োজন হলে মসলা সমন্বয় করুন। এতে স্যুপের বেজ তৈরি হয়ে যাবে।

উপকরণগুলো সেদ্ধ হওয়ার সময় মরিচের তেল তৈরি করে ফেলুন। একটি ছোট পাত্রে তেল, তারকা মৌরি, দারুচিনি এবং সিচুয়ান গোলমরিচ নিন। খুব কম আঁচে সবকিছু ধীরে ধীরে ১৫ মিনিট একসঙ্গে ভুনে নিন। একটি ছাঁকনি চামচ দিয়ে মসলাগুলো তেল থেকে আলাদা করে নিন। এরপর প্রায় ৫ মিনিট তেল ঠান্ডা করে তাতে মরিচগুঁড়া যোগ করে সেই হালকা গরম তেলে ধীরে ধীরে ভুনে নিন; যতক্ষণ না খুব সুগন্ধ ছড়ায়। লাল হয়ে গেলে তাতে লবণ ও চিনি মেশাতে হবে।

একবার ঝোল ও মরিচের তেল তৈরি হয়ে গেলে, আলাদা পাত্রে প্যাকেটের নির্দেশ অনুযায়ী নুডলস রান্না করুন। সেদ্ধ নুডলস ৬টি বাটিতে ভাগ করুন। ঠান্ডা হওয়া গরুর হাঁটুর মাংস পাতলা করে কেটে নুডলসের ওপর সাজান। এরপর তাতে একে একে ঝোল, মুলা, এক চামচ গরম মরিচের তেল এবং এক মুঠো করে কুচি করা পেঁয়াজ কলি এবং ধনেপাতা যোগ করে পরিবেশন করুন।

তুরস্কের ইয়াইলা চোর্বসি স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া
তুরস্কের ইয়াইলা চোর্বসি স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া

ইয়াইলা চোর্বাসি, তুরস্ক

তুরস্কের স্যুপের নাম ইয়াইলা চোর্বাসি। এর প্রধান উপকরণ সেদ্ধ চাল বা বার্লি। এর সঙ্গে যোগ করা হয় দই। বিশ্বাস করা হয়, এটি শীতকালে সর্দি প্রতিরোধ করে; কিছু তুর্কি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের দই স্যুপ পরিবেশন করা হয়।

শুকনো পুদিনা গুঁড়া দইয়ের হালকা টক স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে। তাজা পাউরুটির সঙ্গে এটি পরিবেশন করুন।

উপকরণ

বাসমতী বা জেসমিনসহ যেকোনো ধরনের সাদা চাল, গ্রিক দই বা সাধারণ দই, স্যুপ ঘন করতে ডিম ও ময়দার সংমিশ্রণ, শুকনো পুদিনাপাতার গুঁড়া। 

প্রস্তুত প্রণালি

যে চাল ব্যবহার করবেন, স্বাভাবিকের চেয়ে তাতে বেশি পানি দিয়ে প্রথমে নরম করে ভাত রান্না করুন। পানি ও ভাত এই স্যুপের ভিত্তি। একটি বাটিতে দই, ডিম, ময়দা ও লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। পানি কমে গেলে ভাতে আরও পানি যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর সুবিধামতো পাত্র নিয়ে ধীরে ধীরে ভাত ও পানি দই ও ডিমের মিশ্রণে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। এরপর এই পুরো মিশ্রণ আবারও গরম পানিতে দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ফুটতে দিন। এ সময়েও মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। চেখে দেখুন। লাগলে প্রয়োজনে আরও লবণ যোগ করুন।

একটি ছোট প্যানে মাখন গলিয়ে সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত শুকনো পুদিনা সেদ্ধ করে নিন। তারপর এটি স্যুপে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত