এক দিনের খৈয়াছড়া ভ্রমণ
রাব্বি মিয়া

ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল। এই নীরব প্রস্তুতিই বলে দিচ্ছিল, সামনে অপেক্ষা করছে এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চার।
ভোর ৫টার দিকে আমরা সবাই ফেনী স্টেশনে নামলাম। স্টেশনে পা রাখতেই এক আলাদা অনুভূতি বুকজুড়ে বাজতে থাকে। সেই ভোরে নামাজসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে আমরা গেলাম মহিপাল বাসস্ট্যান্ডের দিকে। ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন
বন্ধু সেখানে আমাদের অপেক্ষায় রয়েছে। কুশল বিনিময়ের পর স্থানীয় রেস্টুরেন্টে নাশতা খেয়ে বাসে চড়ে যাত্রা শুরু করি মিরসরাইয়ের দিকে। এর ৪০ মিনিট পর মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের কাছে পৌঁছে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছুটলাম সেই স্বপ্নীল গন্তব্যের দিকে—খৈয়াছড়া জলপ্রপাত। আকার, আকৃতি ও গঠনশৈলীর দিক দিয়ে এই জলপ্রপাত নিঃসন্দেহে এখনো দেশের বড় ও মনোমুগ্ধকর ঝরনাগুলোর একটি। শহরের কোলাহল পেছনে ফেলে সবুজের নিবিড় আলিঙ্গনে হারিয়ে যাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পৌঁছালাম খৈয়াছড়ার প্রবেশপথে।
খৈয়াছড়া—নামটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে সবুজে ঘেরা পাহাড় আর ঝিরিঝিরি জলের অবিরাম ধারা। এখানে এলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায় পাহাড়ি বাতাসে। চারপাশের নিস্তব্ধতা আর পাখির কলতান এক পবিত্রতম অনুভূতি এনে দিল। ঘন জঙ্গল, আকাশছোঁয়া বিশাল বৃক্ষরাজি আর অজস্র লতাপাতা মিলে এক সবুজ গালিচায় ঢেকে রেখেছে চারপাশ। আমরা ঝিরিপথের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। এটি কোনো মসৃণ পথ নয়। পুরোটাই পাথুরে আর আঁকাবাঁকা। কোথাও পিচ্ছিল কাদা, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত শীতল জল, আবার কোথাও বিশাল পাথরের চাঁই ডিঙিয়ে যেতে হচ্ছিল।
অসংখ্য পশুপাখির দল গাছের ডালে ডালে চঞ্চলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের ছোটাছুটি আর দুষ্টুমি দেখে মনটা আরও সতেজ হয়ে উঠল। পথের দুই ধারে বুনোফুলের সমারোহ আর অচেনা সব পাখির কিচিরমিচিরে এক দারুণ ছন্দ তৈরি হয়ে আছে চারদিকে। খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে পৌঁছার আগে অতিক্রম করতে হয় নয়টি ধাপ। প্রতিটি ধাপেই প্রকৃতির এক নতুন ও সতেজ রূপের দেখা মেলে। ছোট ছোট ঝরনার ধারাগুলো যেন একেকটি শিল্পকর্ম। পাথরের গা বেয়ে নেমে আসা জলের শব্দ কানে এক মধুর সুরের মতো বাজছিল। এই ঝরনায় অনেকগুলো ধাপ আছে, যেগুলো দেশের আর কোনো ঝরনায় এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই খৈয়াছড়াকে বলা হয় ‘ঝরনার রানি’।
ঝরনার কাছে যাওয়ার আগে অনেকগুলো দোকান আছে। ছোট একটা ব্যাগ ছাড়া বাকি সবকিছু আমরা দোকানির কাছে জমা রাখলাম। সেখানে আবার গোসলের ব্যবস্থা আছে। দোকানগুলোতে অগ্রিম খাবারের অর্ডার করে রেখে যেতে হয়, রেডিমেড খাবার পাওয়া যায় না। আমরা দুপুরের খাবার অর্ডার দিয়ে ঝিরিপথ, গিরিপথ ও পাহাড় বেয়ে ওঠার জন্য ২০ টাকা করে কয়েকটি ৫-৬ ফুট লম্বা চিকন বাঁশ কিনলাম। আরও কিনলাম পায়ে পরার জন্য ১০ টাকা দামের এক জোড়া হেলমেটজাতীয় চটি। এই চটি পরে পিচ্ছিল জায়গা সহজে পার হওয়া যায়। এই সামান্য প্রস্তুতিই আমাদের কঠিন পথের পাথেয় হয়ে উঠল।
কথিত আছে, শত বছর ধরে এই ঝরনা তার আপন গতিতে বয়ে চলেছে। মানুষের অগোচরেই সে তার সৌন্দর্য মেলে ধরেছিল। বাংলাদেশ সরকার এই অঞ্চলকে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় এনে সংরক্ষণ ও পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।
আমরা খৈয়াছড়া ঝরনার প্রথম ধাপটি পেরিয়ে ওপরে ওঠার জন্য প্রস্তুত হলাম।
শুধু লাঠির সাহায্যেই নয়, কোথাও কোথাও খাড়া পাথরের গা বেয়ে রশি ধরে ওপরে উঠতে হয়েছে। প্রতিটি ধাপ ছিল যেন এক একটি চ্যালেঞ্জ। মনে হলো, এখান থেকেই শুরু আমাদের অভিযাত্রার সত্যিকারের পরীক্ষা। ওপর থেকে নিচে তাকাতে রীতিমতো ভয় লেগেছে। মনে হয়েছে, যেন অতল গহ্বর হাতছানি দিচ্ছে! পাহাড়ের বুক চিরে সাদা ফেনার মতো জলধারা নেমে আসছে অবিরাম—সেই দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝা কঠিন।
অবশেষে যখন খৈয়াছড়ার শীর্ষে পৌঁছালাম, তখন শরীর পুরোপুরি ক্লান্ত। প্রতিটি পেশি যেন বিদ্রোহ করছে। তবে এতটুকু উচ্চতায় উঠে আসাটাই যেন এক বিশাল জয়, এক অসাধারণ প্রাপ্তি। চূড়ায় পৌঁছে কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিলাম, প্রাণভরে ঝরনার স্ফটিক শীতল জলে গোসল করলাম।
প্রকৃতির রূপসুধা পান করে, প্রতিটি ধাপের সৌন্দর্য উপভোগ করে আবার যখন আমরা নিচে নামতে শুরু করলাম, ঘড়িতে তখন বেলা ১১টা বাজে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলেছে আমাদের এই অভিযান। নামার পথও ছিল সমান চ্যালেঞ্জিং। এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে নিচের দোকানের বেঞ্চে বসার বদলে শরীর এলিয়ে শুয়েই পড়তে হলো! ক্লান্তির এমন অনুভূতি সচরাচর হয় না, কিন্তু সেই ক্লান্তিও যেন আনন্দের অংশ হয়ে গিয়েছিল।

অবশেষে হোটেলে ফিরে গোসল সেরে ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করা হলো। তারপর দুপুরের খাবার। এখানকার খাবারের মান বেশ ভালো। পেট ভরে খেয়ে, দীর্ঘক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেলা দু্ইটার দিকে বের হলাম। এখন আর শরীরে ক্লান্তি নেই।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল মনোমুগ্ধকর বাওয়াছড়া লেক। সেখানে নৌকা ভ্রমণ করে লেকের শান্ত জলে ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। সবুজ পাহাড়ের মাঝে লেকের স্বচ্ছ জল, আর তার ওপর ভেসে চলা নৌকা! যেন এ এক স্বপ্নের দেশ। সূর্যাস্তের আলোয় বাওয়াছড়ার সৌন্দর্য আরও মায়াবী হয়ে ওঠে।
এক দিনের এই ভ্রমণ স্মৃতিতে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে গেল। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। এই নীরব সৌন্দর্য, এই স্নিগ্ধ বাতাস আর জলের অবিরাম গর্জন—সব মিলিয়ে এ এক অন্য জগৎ। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন এবং প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চান, তাঁদের জন্য খৈয়াছড়া হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে উঠে নামতে হবে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের কাছে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে। এটি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা। বাসের চালক বা সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে রাখলে তাঁরা নামিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন সঠিক জায়গায়। বড়তাকিয়া বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়ে খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে যাওয়া যায়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারে গিয়ে সেখান থেকে খৈয়াছড়ায় যাওয়া যায়।

ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল। এই নীরব প্রস্তুতিই বলে দিচ্ছিল, সামনে অপেক্ষা করছে এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চার।
ভোর ৫টার দিকে আমরা সবাই ফেনী স্টেশনে নামলাম। স্টেশনে পা রাখতেই এক আলাদা অনুভূতি বুকজুড়ে বাজতে থাকে। সেই ভোরে নামাজসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে আমরা গেলাম মহিপাল বাসস্ট্যান্ডের দিকে। ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন
বন্ধু সেখানে আমাদের অপেক্ষায় রয়েছে। কুশল বিনিময়ের পর স্থানীয় রেস্টুরেন্টে নাশতা খেয়ে বাসে চড়ে যাত্রা শুরু করি মিরসরাইয়ের দিকে। এর ৪০ মিনিট পর মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের কাছে পৌঁছে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছুটলাম সেই স্বপ্নীল গন্তব্যের দিকে—খৈয়াছড়া জলপ্রপাত। আকার, আকৃতি ও গঠনশৈলীর দিক দিয়ে এই জলপ্রপাত নিঃসন্দেহে এখনো দেশের বড় ও মনোমুগ্ধকর ঝরনাগুলোর একটি। শহরের কোলাহল পেছনে ফেলে সবুজের নিবিড় আলিঙ্গনে হারিয়ে যাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পৌঁছালাম খৈয়াছড়ার প্রবেশপথে।
খৈয়াছড়া—নামটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে সবুজে ঘেরা পাহাড় আর ঝিরিঝিরি জলের অবিরাম ধারা। এখানে এলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায় পাহাড়ি বাতাসে। চারপাশের নিস্তব্ধতা আর পাখির কলতান এক পবিত্রতম অনুভূতি এনে দিল। ঘন জঙ্গল, আকাশছোঁয়া বিশাল বৃক্ষরাজি আর অজস্র লতাপাতা মিলে এক সবুজ গালিচায় ঢেকে রেখেছে চারপাশ। আমরা ঝিরিপথের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। এটি কোনো মসৃণ পথ নয়। পুরোটাই পাথুরে আর আঁকাবাঁকা। কোথাও পিচ্ছিল কাদা, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত শীতল জল, আবার কোথাও বিশাল পাথরের চাঁই ডিঙিয়ে যেতে হচ্ছিল।
অসংখ্য পশুপাখির দল গাছের ডালে ডালে চঞ্চলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের ছোটাছুটি আর দুষ্টুমি দেখে মনটা আরও সতেজ হয়ে উঠল। পথের দুই ধারে বুনোফুলের সমারোহ আর অচেনা সব পাখির কিচিরমিচিরে এক দারুণ ছন্দ তৈরি হয়ে আছে চারদিকে। খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে পৌঁছার আগে অতিক্রম করতে হয় নয়টি ধাপ। প্রতিটি ধাপেই প্রকৃতির এক নতুন ও সতেজ রূপের দেখা মেলে। ছোট ছোট ঝরনার ধারাগুলো যেন একেকটি শিল্পকর্ম। পাথরের গা বেয়ে নেমে আসা জলের শব্দ কানে এক মধুর সুরের মতো বাজছিল। এই ঝরনায় অনেকগুলো ধাপ আছে, যেগুলো দেশের আর কোনো ঝরনায় এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই খৈয়াছড়াকে বলা হয় ‘ঝরনার রানি’।
ঝরনার কাছে যাওয়ার আগে অনেকগুলো দোকান আছে। ছোট একটা ব্যাগ ছাড়া বাকি সবকিছু আমরা দোকানির কাছে জমা রাখলাম। সেখানে আবার গোসলের ব্যবস্থা আছে। দোকানগুলোতে অগ্রিম খাবারের অর্ডার করে রেখে যেতে হয়, রেডিমেড খাবার পাওয়া যায় না। আমরা দুপুরের খাবার অর্ডার দিয়ে ঝিরিপথ, গিরিপথ ও পাহাড় বেয়ে ওঠার জন্য ২০ টাকা করে কয়েকটি ৫-৬ ফুট লম্বা চিকন বাঁশ কিনলাম। আরও কিনলাম পায়ে পরার জন্য ১০ টাকা দামের এক জোড়া হেলমেটজাতীয় চটি। এই চটি পরে পিচ্ছিল জায়গা সহজে পার হওয়া যায়। এই সামান্য প্রস্তুতিই আমাদের কঠিন পথের পাথেয় হয়ে উঠল।
কথিত আছে, শত বছর ধরে এই ঝরনা তার আপন গতিতে বয়ে চলেছে। মানুষের অগোচরেই সে তার সৌন্দর্য মেলে ধরেছিল। বাংলাদেশ সরকার এই অঞ্চলকে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় এনে সংরক্ষণ ও পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।
আমরা খৈয়াছড়া ঝরনার প্রথম ধাপটি পেরিয়ে ওপরে ওঠার জন্য প্রস্তুত হলাম।
শুধু লাঠির সাহায্যেই নয়, কোথাও কোথাও খাড়া পাথরের গা বেয়ে রশি ধরে ওপরে উঠতে হয়েছে। প্রতিটি ধাপ ছিল যেন এক একটি চ্যালেঞ্জ। মনে হলো, এখান থেকেই শুরু আমাদের অভিযাত্রার সত্যিকারের পরীক্ষা। ওপর থেকে নিচে তাকাতে রীতিমতো ভয় লেগেছে। মনে হয়েছে, যেন অতল গহ্বর হাতছানি দিচ্ছে! পাহাড়ের বুক চিরে সাদা ফেনার মতো জলধারা নেমে আসছে অবিরাম—সেই দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝা কঠিন।
অবশেষে যখন খৈয়াছড়ার শীর্ষে পৌঁছালাম, তখন শরীর পুরোপুরি ক্লান্ত। প্রতিটি পেশি যেন বিদ্রোহ করছে। তবে এতটুকু উচ্চতায় উঠে আসাটাই যেন এক বিশাল জয়, এক অসাধারণ প্রাপ্তি। চূড়ায় পৌঁছে কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিলাম, প্রাণভরে ঝরনার স্ফটিক শীতল জলে গোসল করলাম।
প্রকৃতির রূপসুধা পান করে, প্রতিটি ধাপের সৌন্দর্য উপভোগ করে আবার যখন আমরা নিচে নামতে শুরু করলাম, ঘড়িতে তখন বেলা ১১টা বাজে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলেছে আমাদের এই অভিযান। নামার পথও ছিল সমান চ্যালেঞ্জিং। এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে নিচের দোকানের বেঞ্চে বসার বদলে শরীর এলিয়ে শুয়েই পড়তে হলো! ক্লান্তির এমন অনুভূতি সচরাচর হয় না, কিন্তু সেই ক্লান্তিও যেন আনন্দের অংশ হয়ে গিয়েছিল।

অবশেষে হোটেলে ফিরে গোসল সেরে ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করা হলো। তারপর দুপুরের খাবার। এখানকার খাবারের মান বেশ ভালো। পেট ভরে খেয়ে, দীর্ঘক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেলা দু্ইটার দিকে বের হলাম। এখন আর শরীরে ক্লান্তি নেই।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল মনোমুগ্ধকর বাওয়াছড়া লেক। সেখানে নৌকা ভ্রমণ করে লেকের শান্ত জলে ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। সবুজ পাহাড়ের মাঝে লেকের স্বচ্ছ জল, আর তার ওপর ভেসে চলা নৌকা! যেন এ এক স্বপ্নের দেশ। সূর্যাস্তের আলোয় বাওয়াছড়ার সৌন্দর্য আরও মায়াবী হয়ে ওঠে।
এক দিনের এই ভ্রমণ স্মৃতিতে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে গেল। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। এই নীরব সৌন্দর্য, এই স্নিগ্ধ বাতাস আর জলের অবিরাম গর্জন—সব মিলিয়ে এ এক অন্য জগৎ। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন এবং প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চান, তাঁদের জন্য খৈয়াছড়া হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে উঠে নামতে হবে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের কাছে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে। এটি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা। বাসের চালক বা সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে রাখলে তাঁরা নামিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন সঠিক জায়গায়। বড়তাকিয়া বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়ে খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে যাওয়া যায়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারে গিয়ে সেখান থেকে খৈয়াছড়ায় যাওয়া যায়।
এক দিনের খৈয়াছড়া ভ্রমণ
রাব্বি মিয়া

ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল। এই নীরব প্রস্তুতিই বলে দিচ্ছিল, সামনে অপেক্ষা করছে এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চার।
ভোর ৫টার দিকে আমরা সবাই ফেনী স্টেশনে নামলাম। স্টেশনে পা রাখতেই এক আলাদা অনুভূতি বুকজুড়ে বাজতে থাকে। সেই ভোরে নামাজসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে আমরা গেলাম মহিপাল বাসস্ট্যান্ডের দিকে। ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন
বন্ধু সেখানে আমাদের অপেক্ষায় রয়েছে। কুশল বিনিময়ের পর স্থানীয় রেস্টুরেন্টে নাশতা খেয়ে বাসে চড়ে যাত্রা শুরু করি মিরসরাইয়ের দিকে। এর ৪০ মিনিট পর মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের কাছে পৌঁছে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছুটলাম সেই স্বপ্নীল গন্তব্যের দিকে—খৈয়াছড়া জলপ্রপাত। আকার, আকৃতি ও গঠনশৈলীর দিক দিয়ে এই জলপ্রপাত নিঃসন্দেহে এখনো দেশের বড় ও মনোমুগ্ধকর ঝরনাগুলোর একটি। শহরের কোলাহল পেছনে ফেলে সবুজের নিবিড় আলিঙ্গনে হারিয়ে যাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পৌঁছালাম খৈয়াছড়ার প্রবেশপথে।
খৈয়াছড়া—নামটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে সবুজে ঘেরা পাহাড় আর ঝিরিঝিরি জলের অবিরাম ধারা। এখানে এলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায় পাহাড়ি বাতাসে। চারপাশের নিস্তব্ধতা আর পাখির কলতান এক পবিত্রতম অনুভূতি এনে দিল। ঘন জঙ্গল, আকাশছোঁয়া বিশাল বৃক্ষরাজি আর অজস্র লতাপাতা মিলে এক সবুজ গালিচায় ঢেকে রেখেছে চারপাশ। আমরা ঝিরিপথের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। এটি কোনো মসৃণ পথ নয়। পুরোটাই পাথুরে আর আঁকাবাঁকা। কোথাও পিচ্ছিল কাদা, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত শীতল জল, আবার কোথাও বিশাল পাথরের চাঁই ডিঙিয়ে যেতে হচ্ছিল।
অসংখ্য পশুপাখির দল গাছের ডালে ডালে চঞ্চলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের ছোটাছুটি আর দুষ্টুমি দেখে মনটা আরও সতেজ হয়ে উঠল। পথের দুই ধারে বুনোফুলের সমারোহ আর অচেনা সব পাখির কিচিরমিচিরে এক দারুণ ছন্দ তৈরি হয়ে আছে চারদিকে। খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে পৌঁছার আগে অতিক্রম করতে হয় নয়টি ধাপ। প্রতিটি ধাপেই প্রকৃতির এক নতুন ও সতেজ রূপের দেখা মেলে। ছোট ছোট ঝরনার ধারাগুলো যেন একেকটি শিল্পকর্ম। পাথরের গা বেয়ে নেমে আসা জলের শব্দ কানে এক মধুর সুরের মতো বাজছিল। এই ঝরনায় অনেকগুলো ধাপ আছে, যেগুলো দেশের আর কোনো ঝরনায় এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই খৈয়াছড়াকে বলা হয় ‘ঝরনার রানি’।
ঝরনার কাছে যাওয়ার আগে অনেকগুলো দোকান আছে। ছোট একটা ব্যাগ ছাড়া বাকি সবকিছু আমরা দোকানির কাছে জমা রাখলাম। সেখানে আবার গোসলের ব্যবস্থা আছে। দোকানগুলোতে অগ্রিম খাবারের অর্ডার করে রেখে যেতে হয়, রেডিমেড খাবার পাওয়া যায় না। আমরা দুপুরের খাবার অর্ডার দিয়ে ঝিরিপথ, গিরিপথ ও পাহাড় বেয়ে ওঠার জন্য ২০ টাকা করে কয়েকটি ৫-৬ ফুট লম্বা চিকন বাঁশ কিনলাম। আরও কিনলাম পায়ে পরার জন্য ১০ টাকা দামের এক জোড়া হেলমেটজাতীয় চটি। এই চটি পরে পিচ্ছিল জায়গা সহজে পার হওয়া যায়। এই সামান্য প্রস্তুতিই আমাদের কঠিন পথের পাথেয় হয়ে উঠল।
কথিত আছে, শত বছর ধরে এই ঝরনা তার আপন গতিতে বয়ে চলেছে। মানুষের অগোচরেই সে তার সৌন্দর্য মেলে ধরেছিল। বাংলাদেশ সরকার এই অঞ্চলকে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় এনে সংরক্ষণ ও পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।
আমরা খৈয়াছড়া ঝরনার প্রথম ধাপটি পেরিয়ে ওপরে ওঠার জন্য প্রস্তুত হলাম।
শুধু লাঠির সাহায্যেই নয়, কোথাও কোথাও খাড়া পাথরের গা বেয়ে রশি ধরে ওপরে উঠতে হয়েছে। প্রতিটি ধাপ ছিল যেন এক একটি চ্যালেঞ্জ। মনে হলো, এখান থেকেই শুরু আমাদের অভিযাত্রার সত্যিকারের পরীক্ষা। ওপর থেকে নিচে তাকাতে রীতিমতো ভয় লেগেছে। মনে হয়েছে, যেন অতল গহ্বর হাতছানি দিচ্ছে! পাহাড়ের বুক চিরে সাদা ফেনার মতো জলধারা নেমে আসছে অবিরাম—সেই দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝা কঠিন।
অবশেষে যখন খৈয়াছড়ার শীর্ষে পৌঁছালাম, তখন শরীর পুরোপুরি ক্লান্ত। প্রতিটি পেশি যেন বিদ্রোহ করছে। তবে এতটুকু উচ্চতায় উঠে আসাটাই যেন এক বিশাল জয়, এক অসাধারণ প্রাপ্তি। চূড়ায় পৌঁছে কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিলাম, প্রাণভরে ঝরনার স্ফটিক শীতল জলে গোসল করলাম।
প্রকৃতির রূপসুধা পান করে, প্রতিটি ধাপের সৌন্দর্য উপভোগ করে আবার যখন আমরা নিচে নামতে শুরু করলাম, ঘড়িতে তখন বেলা ১১টা বাজে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলেছে আমাদের এই অভিযান। নামার পথও ছিল সমান চ্যালেঞ্জিং। এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে নিচের দোকানের বেঞ্চে বসার বদলে শরীর এলিয়ে শুয়েই পড়তে হলো! ক্লান্তির এমন অনুভূতি সচরাচর হয় না, কিন্তু সেই ক্লান্তিও যেন আনন্দের অংশ হয়ে গিয়েছিল।

অবশেষে হোটেলে ফিরে গোসল সেরে ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করা হলো। তারপর দুপুরের খাবার। এখানকার খাবারের মান বেশ ভালো। পেট ভরে খেয়ে, দীর্ঘক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেলা দু্ইটার দিকে বের হলাম। এখন আর শরীরে ক্লান্তি নেই।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল মনোমুগ্ধকর বাওয়াছড়া লেক। সেখানে নৌকা ভ্রমণ করে লেকের শান্ত জলে ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। সবুজ পাহাড়ের মাঝে লেকের স্বচ্ছ জল, আর তার ওপর ভেসে চলা নৌকা! যেন এ এক স্বপ্নের দেশ। সূর্যাস্তের আলোয় বাওয়াছড়ার সৌন্দর্য আরও মায়াবী হয়ে ওঠে।
এক দিনের এই ভ্রমণ স্মৃতিতে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে গেল। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। এই নীরব সৌন্দর্য, এই স্নিগ্ধ বাতাস আর জলের অবিরাম গর্জন—সব মিলিয়ে এ এক অন্য জগৎ। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন এবং প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চান, তাঁদের জন্য খৈয়াছড়া হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে উঠে নামতে হবে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের কাছে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে। এটি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা। বাসের চালক বা সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে রাখলে তাঁরা নামিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন সঠিক জায়গায়। বড়তাকিয়া বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়ে খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে যাওয়া যায়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারে গিয়ে সেখান থেকে খৈয়াছড়ায় যাওয়া যায়।

ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল। এই নীরব প্রস্তুতিই বলে দিচ্ছিল, সামনে অপেক্ষা করছে এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চার।
ভোর ৫টার দিকে আমরা সবাই ফেনী স্টেশনে নামলাম। স্টেশনে পা রাখতেই এক আলাদা অনুভূতি বুকজুড়ে বাজতে থাকে। সেই ভোরে নামাজসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে আমরা গেলাম মহিপাল বাসস্ট্যান্ডের দিকে। ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন
বন্ধু সেখানে আমাদের অপেক্ষায় রয়েছে। কুশল বিনিময়ের পর স্থানীয় রেস্টুরেন্টে নাশতা খেয়ে বাসে চড়ে যাত্রা শুরু করি মিরসরাইয়ের দিকে। এর ৪০ মিনিট পর মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের কাছে পৌঁছে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছুটলাম সেই স্বপ্নীল গন্তব্যের দিকে—খৈয়াছড়া জলপ্রপাত। আকার, আকৃতি ও গঠনশৈলীর দিক দিয়ে এই জলপ্রপাত নিঃসন্দেহে এখনো দেশের বড় ও মনোমুগ্ধকর ঝরনাগুলোর একটি। শহরের কোলাহল পেছনে ফেলে সবুজের নিবিড় আলিঙ্গনে হারিয়ে যাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পৌঁছালাম খৈয়াছড়ার প্রবেশপথে।
খৈয়াছড়া—নামটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে সবুজে ঘেরা পাহাড় আর ঝিরিঝিরি জলের অবিরাম ধারা। এখানে এলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায় পাহাড়ি বাতাসে। চারপাশের নিস্তব্ধতা আর পাখির কলতান এক পবিত্রতম অনুভূতি এনে দিল। ঘন জঙ্গল, আকাশছোঁয়া বিশাল বৃক্ষরাজি আর অজস্র লতাপাতা মিলে এক সবুজ গালিচায় ঢেকে রেখেছে চারপাশ। আমরা ঝিরিপথের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। এটি কোনো মসৃণ পথ নয়। পুরোটাই পাথুরে আর আঁকাবাঁকা। কোথাও পিচ্ছিল কাদা, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত শীতল জল, আবার কোথাও বিশাল পাথরের চাঁই ডিঙিয়ে যেতে হচ্ছিল।
অসংখ্য পশুপাখির দল গাছের ডালে ডালে চঞ্চলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের ছোটাছুটি আর দুষ্টুমি দেখে মনটা আরও সতেজ হয়ে উঠল। পথের দুই ধারে বুনোফুলের সমারোহ আর অচেনা সব পাখির কিচিরমিচিরে এক দারুণ ছন্দ তৈরি হয়ে আছে চারদিকে। খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে পৌঁছার আগে অতিক্রম করতে হয় নয়টি ধাপ। প্রতিটি ধাপেই প্রকৃতির এক নতুন ও সতেজ রূপের দেখা মেলে। ছোট ছোট ঝরনার ধারাগুলো যেন একেকটি শিল্পকর্ম। পাথরের গা বেয়ে নেমে আসা জলের শব্দ কানে এক মধুর সুরের মতো বাজছিল। এই ঝরনায় অনেকগুলো ধাপ আছে, যেগুলো দেশের আর কোনো ঝরনায় এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই খৈয়াছড়াকে বলা হয় ‘ঝরনার রানি’।
ঝরনার কাছে যাওয়ার আগে অনেকগুলো দোকান আছে। ছোট একটা ব্যাগ ছাড়া বাকি সবকিছু আমরা দোকানির কাছে জমা রাখলাম। সেখানে আবার গোসলের ব্যবস্থা আছে। দোকানগুলোতে অগ্রিম খাবারের অর্ডার করে রেখে যেতে হয়, রেডিমেড খাবার পাওয়া যায় না। আমরা দুপুরের খাবার অর্ডার দিয়ে ঝিরিপথ, গিরিপথ ও পাহাড় বেয়ে ওঠার জন্য ২০ টাকা করে কয়েকটি ৫-৬ ফুট লম্বা চিকন বাঁশ কিনলাম। আরও কিনলাম পায়ে পরার জন্য ১০ টাকা দামের এক জোড়া হেলমেটজাতীয় চটি। এই চটি পরে পিচ্ছিল জায়গা সহজে পার হওয়া যায়। এই সামান্য প্রস্তুতিই আমাদের কঠিন পথের পাথেয় হয়ে উঠল।
কথিত আছে, শত বছর ধরে এই ঝরনা তার আপন গতিতে বয়ে চলেছে। মানুষের অগোচরেই সে তার সৌন্দর্য মেলে ধরেছিল। বাংলাদেশ সরকার এই অঞ্চলকে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় এনে সংরক্ষণ ও পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।
আমরা খৈয়াছড়া ঝরনার প্রথম ধাপটি পেরিয়ে ওপরে ওঠার জন্য প্রস্তুত হলাম।
শুধু লাঠির সাহায্যেই নয়, কোথাও কোথাও খাড়া পাথরের গা বেয়ে রশি ধরে ওপরে উঠতে হয়েছে। প্রতিটি ধাপ ছিল যেন এক একটি চ্যালেঞ্জ। মনে হলো, এখান থেকেই শুরু আমাদের অভিযাত্রার সত্যিকারের পরীক্ষা। ওপর থেকে নিচে তাকাতে রীতিমতো ভয় লেগেছে। মনে হয়েছে, যেন অতল গহ্বর হাতছানি দিচ্ছে! পাহাড়ের বুক চিরে সাদা ফেনার মতো জলধারা নেমে আসছে অবিরাম—সেই দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝা কঠিন।
অবশেষে যখন খৈয়াছড়ার শীর্ষে পৌঁছালাম, তখন শরীর পুরোপুরি ক্লান্ত। প্রতিটি পেশি যেন বিদ্রোহ করছে। তবে এতটুকু উচ্চতায় উঠে আসাটাই যেন এক বিশাল জয়, এক অসাধারণ প্রাপ্তি। চূড়ায় পৌঁছে কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিলাম, প্রাণভরে ঝরনার স্ফটিক শীতল জলে গোসল করলাম।
প্রকৃতির রূপসুধা পান করে, প্রতিটি ধাপের সৌন্দর্য উপভোগ করে আবার যখন আমরা নিচে নামতে শুরু করলাম, ঘড়িতে তখন বেলা ১১টা বাজে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলেছে আমাদের এই অভিযান। নামার পথও ছিল সমান চ্যালেঞ্জিং। এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে নিচের দোকানের বেঞ্চে বসার বদলে শরীর এলিয়ে শুয়েই পড়তে হলো! ক্লান্তির এমন অনুভূতি সচরাচর হয় না, কিন্তু সেই ক্লান্তিও যেন আনন্দের অংশ হয়ে গিয়েছিল।

অবশেষে হোটেলে ফিরে গোসল সেরে ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করা হলো। তারপর দুপুরের খাবার। এখানকার খাবারের মান বেশ ভালো। পেট ভরে খেয়ে, দীর্ঘক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বেলা দু্ইটার দিকে বের হলাম। এখন আর শরীরে ক্লান্তি নেই।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল মনোমুগ্ধকর বাওয়াছড়া লেক। সেখানে নৌকা ভ্রমণ করে লেকের শান্ত জলে ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন রকম। সবুজ পাহাড়ের মাঝে লেকের স্বচ্ছ জল, আর তার ওপর ভেসে চলা নৌকা! যেন এ এক স্বপ্নের দেশ। সূর্যাস্তের আলোয় বাওয়াছড়ার সৌন্দর্য আরও মায়াবী হয়ে ওঠে।
এক দিনের এই ভ্রমণ স্মৃতিতে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে গেল। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। এই নীরব সৌন্দর্য, এই স্নিগ্ধ বাতাস আর জলের অবিরাম গর্জন—সব মিলিয়ে এ এক অন্য জগৎ। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন এবং প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চান, তাঁদের জন্য খৈয়াছড়া হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে উঠে নামতে হবে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের কাছে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে। এটি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা। বাসের চালক বা সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে রাখলে তাঁরা নামিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন সঠিক জায়গায়। বড়তাকিয়া বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়ে খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে যাওয়া যায়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারে গিয়ে সেখান থেকে খৈয়াছড়ায় যাওয়া যায়।

আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
৩১ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
২ ঘণ্টা আগে
খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য।
৩ ঘণ্টা আগে
চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না। বসের মুড আজ খিটখিটে হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ক্রেডিট নিতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে চাপিয়ে নেবেন না। কাজের ভান করাটাও একটা শিল্প, আজ সেটা রপ্ত করুন। রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনের দিকে নয়, রাস্তার গর্তের দিকে তাকান।
বৃষ
আজ আপনার ‘রাজযোগ’ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তবে শর্ত হলো—বিছানা ছাড়তে হবে। আলস্য আজ আপনার প্রধান শত্রু। পুরোনো কোনো বন্ধুর হঠাৎ উদয় হতে পারে এবং ৯৯ পারসেন্ট সম্ভাবনা সে আপনার কাছে টাকা ধার চাইবে। টাকা দেওয়ার আগে আয়না দেখে ‘না’ বলার প্র্যাকটিস করে নিন। খাবার দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে মনে রাখবেন পকেট আপনারই। কাচ্চি বিরিয়ানির বদলে মৌসুমি সবজি খেয়ে পেটকে একটু শান্তি দিন।
মিথুন
আজ আপনার মুখে খই ফুটবে। যুক্তি দিয়ে বাড়ির লোকেদের এমনকি দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারকেও হার মানিয়ে দেবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার কথা শোনার চেয়ে সবাই আপনার টাইপিং মিসটেক ধরায় বেশি উৎসাহ দেখাবে। প্রেম জীবনে সামান্য ঝগড়ার যোগ আছে, কারণ আপনি হয়তো সঙ্গীর নাম ভুল করে অন্য কারোর নামে ডেকে ফেলতে পারেন! কথা কম বলে কান খোলা রাখুন। ফোনের রিচার্জ শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় সব ঝগড়া মিটিয়ে নিন।
কর্কট
হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে—হতে পারে আলমারির পুরোনো কোটের পকেটে বা ধোয়া প্যান্টের ভেতর থেকে একটা কড়কড়ে নোট পেয়ে যাবেন! ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা খাটান, মন নয়। বাড়িতে হুটহাট অতিথির আগমনে পকেটে টান পড়তে পারে এবং প্রিয় খাবারটি তাদের পাতে চলে যেতে পারে। হাসিমুখে অতিথি বিদায় করাটাই আজকের প্রধান কাজ। মিষ্টি খাওয়ার আগে আপনার সুগার এবং প্যান্টের কোমরের মাপের কথা ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা ভাবলেও বাড়িতে এসে দেখবেন আপনি বড়জোর ‘বিড়াল’। বাড়ির লোকের কাছে অকারণ ঝাড়ি খাওয়ার যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রে গাধার মতো পরিশ্রম করলেও ক্রেডিট নেওয়ার সময় দেখবেন অন্য কেউ ফিতা কাটছে। তবে বিকেলের দিকে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো চমক অপেক্ষা করছে—হয়তো কোনো ব্লক হওয়া আইডি থেকে আনব্লক হতে পারেন! গর্জন না করে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলে আজ শান্তি পাবেন। আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে বেশিক্ষণ হাসবেন না, লোকে পাগল ভাবতে পারে।
কন্যা
আজ আপনার সবকিছুতেই ‘পারফেকশন’ চাই। চায়ের কাপে এক ফোঁটা দাগ বা কার্পেটের এক কোণে সামান্য ধুলা দেখলে আপনার বিপি বেড়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন থেকে ডাল পুড়িয়ে ফেলার রেকর্ড আজ আপনি গড়তে পারেন। সমালোচনা করার স্বভাবটা আজ একটু কমানোর চেষ্টা করুন। ভুল ধরা বন্ধ করে নিজের ভুলগুলো একবার গুনুন। লজিক দিয়ে কথা বলুন, ম্যাজিক বা অতিপ্রাকৃত কিছু আশা করবেন না।
তুলা
আজ আপনার ভেতরকার ‘শপার’ বা ক্রেতা সত্তাটি জেগে উঠবে। পকেটে টাকা থাকুক বা না থাকুক, অনলাইন শপিং অ্যাপে উইশলিস্ট ভরিয়ে দেবেন। দামি জিনিস কিনতে গিয়ে সস্তা নকল জিনিস কিনে ঠকার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান চললে আজ একটা ডার্ক চকলেট দিয়েই সব মিটিয়ে নিতে পারেন। পকেটের ওজন বুঝেই পা ফেলুন, ক্রেডিট কার্ড আজ আপনার শত্রু। শপিং মলে ঢোকার আগে ফোনটা সাইলেন্ট করে দিন।
বৃশ্চিক
আজ আপনার মধ্যে ফেলুদা বা শার্লক হোমস জেগে উঠবে। কে কার সঙ্গে চ্যাট করছে আর কার স্ট্যাটাস হাইড করা—সব খবর আজ রাখতে চাইবেন। গোপন শত্রুরা পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনিও তো কম যান না! আজ পাল্টা হুল ফোটানোর জন্য আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। গোয়েন্দাগিরি ব্যক্তিগত জীবনে না করে কাজে লাগান। অন্যের ফোনে উঁকি মারা স্বাস্থ্যের জন্য (বিশেষ করে ঘাড়ের জন্য) ক্ষতিকর।
ধনু
বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আর্থিক বা সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝামেলা আজ এক কাপ চায়ের আড্ডায় মিটে যেতে পারে। বিকেলের দিকে আকাশকুসুম কল্পনা করবেন—গাড়ি কেনা বা বিদেশে সেটল হওয়া নিয়ে (ব্যাংকে ৫০০ টাকা ব্যালেন্স থাকলেও)। তবে জীবনসঙ্গীর আবদার মেটাতে গিয়ে আজ হাঁসফাঁস অবস্থা হতে পারে। স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু বাস্তবের মাটিটা শক্ত করে ধরুন। বন্ধুদের পার্টি দেওয়ার চক্করে মাসের বাজেট শেষ করবেন না।
মকর
অফিসে কাজের চাপে আজ আপনার অবস্থা হতে পারে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন’ দেখার মতো। বসের ই-মেইল দেখলে মনে হতে পারে হিমালয়ে চলে যাই, কিন্তু পরক্ষণেই স্যালারির মেসেজটার কথা ভেবে কাজে মন দেবেন। আজ সহকর্মীদের সঙ্গে রাজনীতির বদলে কাজের আলোচনা করাই শ্রেয়। ধৈর্যই আজ আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অফিসের ফ্রি চা-কফি বেশি খাবেন না, অ্যাসিডিটি হতে পারে।
কুম্ভ
আজ ভীষণ সমাজসেবী ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন। বাড়ির ঝুল ঝাড়া থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেওয়া—সবতেই আপনার সক্রিয় উপস্থিতি। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগবেন। শেয়ার বাজারে টাকা থাকলে আজ একটু নজর রাখুন, গ্রাফ আপনার দিকে ঘুরতেও পারে। দায়িত্ব পালন করুন কিন্তু সেটা যেন লোকদেখানো না হয়। আলস্য ত্যাগ করুন, তবে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাবেন না।
মীন
যারা সিঙ্গেল আছেন, আজ তাদের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসার শুভ যোগ আছে। আর যারা বিবাহিত, তারা সঙ্গীর সঙ্গে কোনো পুরোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঝগড়া মিটিয়ে নিন। ব্যবসায় অংশীদারের সঙ্গে আজ সামান্য কারণে কথা-কাটাকাটি হতে পারে, তাই মুখে কুলুপ আঁটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কল্পনা আর বাস্তবের মাঝে একটা সীমারেখা টানুন। মাছের মতো শুধু পানি না খেয়ে মাঝে মাঝে লেবু-জলও খান।

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না। বসের মুড আজ খিটখিটে হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ক্রেডিট নিতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে চাপিয়ে নেবেন না। কাজের ভান করাটাও একটা শিল্প, আজ সেটা রপ্ত করুন। রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনের দিকে নয়, রাস্তার গর্তের দিকে তাকান।
বৃষ
আজ আপনার ‘রাজযোগ’ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তবে শর্ত হলো—বিছানা ছাড়তে হবে। আলস্য আজ আপনার প্রধান শত্রু। পুরোনো কোনো বন্ধুর হঠাৎ উদয় হতে পারে এবং ৯৯ পারসেন্ট সম্ভাবনা সে আপনার কাছে টাকা ধার চাইবে। টাকা দেওয়ার আগে আয়না দেখে ‘না’ বলার প্র্যাকটিস করে নিন। খাবার দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে মনে রাখবেন পকেট আপনারই। কাচ্চি বিরিয়ানির বদলে মৌসুমি সবজি খেয়ে পেটকে একটু শান্তি দিন।
মিথুন
আজ আপনার মুখে খই ফুটবে। যুক্তি দিয়ে বাড়ির লোকেদের এমনকি দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারকেও হার মানিয়ে দেবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার কথা শোনার চেয়ে সবাই আপনার টাইপিং মিসটেক ধরায় বেশি উৎসাহ দেখাবে। প্রেম জীবনে সামান্য ঝগড়ার যোগ আছে, কারণ আপনি হয়তো সঙ্গীর নাম ভুল করে অন্য কারোর নামে ডেকে ফেলতে পারেন! কথা কম বলে কান খোলা রাখুন। ফোনের রিচার্জ শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় সব ঝগড়া মিটিয়ে নিন।
কর্কট
হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে—হতে পারে আলমারির পুরোনো কোটের পকেটে বা ধোয়া প্যান্টের ভেতর থেকে একটা কড়কড়ে নোট পেয়ে যাবেন! ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা খাটান, মন নয়। বাড়িতে হুটহাট অতিথির আগমনে পকেটে টান পড়তে পারে এবং প্রিয় খাবারটি তাদের পাতে চলে যেতে পারে। হাসিমুখে অতিথি বিদায় করাটাই আজকের প্রধান কাজ। মিষ্টি খাওয়ার আগে আপনার সুগার এবং প্যান্টের কোমরের মাপের কথা ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা ভাবলেও বাড়িতে এসে দেখবেন আপনি বড়জোর ‘বিড়াল’। বাড়ির লোকের কাছে অকারণ ঝাড়ি খাওয়ার যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রে গাধার মতো পরিশ্রম করলেও ক্রেডিট নেওয়ার সময় দেখবেন অন্য কেউ ফিতা কাটছে। তবে বিকেলের দিকে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো চমক অপেক্ষা করছে—হয়তো কোনো ব্লক হওয়া আইডি থেকে আনব্লক হতে পারেন! গর্জন না করে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলে আজ শান্তি পাবেন। আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে বেশিক্ষণ হাসবেন না, লোকে পাগল ভাবতে পারে।
কন্যা
আজ আপনার সবকিছুতেই ‘পারফেকশন’ চাই। চায়ের কাপে এক ফোঁটা দাগ বা কার্পেটের এক কোণে সামান্য ধুলা দেখলে আপনার বিপি বেড়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন থেকে ডাল পুড়িয়ে ফেলার রেকর্ড আজ আপনি গড়তে পারেন। সমালোচনা করার স্বভাবটা আজ একটু কমানোর চেষ্টা করুন। ভুল ধরা বন্ধ করে নিজের ভুলগুলো একবার গুনুন। লজিক দিয়ে কথা বলুন, ম্যাজিক বা অতিপ্রাকৃত কিছু আশা করবেন না।
তুলা
আজ আপনার ভেতরকার ‘শপার’ বা ক্রেতা সত্তাটি জেগে উঠবে। পকেটে টাকা থাকুক বা না থাকুক, অনলাইন শপিং অ্যাপে উইশলিস্ট ভরিয়ে দেবেন। দামি জিনিস কিনতে গিয়ে সস্তা নকল জিনিস কিনে ঠকার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান চললে আজ একটা ডার্ক চকলেট দিয়েই সব মিটিয়ে নিতে পারেন। পকেটের ওজন বুঝেই পা ফেলুন, ক্রেডিট কার্ড আজ আপনার শত্রু। শপিং মলে ঢোকার আগে ফোনটা সাইলেন্ট করে দিন।
বৃশ্চিক
আজ আপনার মধ্যে ফেলুদা বা শার্লক হোমস জেগে উঠবে। কে কার সঙ্গে চ্যাট করছে আর কার স্ট্যাটাস হাইড করা—সব খবর আজ রাখতে চাইবেন। গোপন শত্রুরা পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনিও তো কম যান না! আজ পাল্টা হুল ফোটানোর জন্য আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। গোয়েন্দাগিরি ব্যক্তিগত জীবনে না করে কাজে লাগান। অন্যের ফোনে উঁকি মারা স্বাস্থ্যের জন্য (বিশেষ করে ঘাড়ের জন্য) ক্ষতিকর।
ধনু
বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আর্থিক বা সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝামেলা আজ এক কাপ চায়ের আড্ডায় মিটে যেতে পারে। বিকেলের দিকে আকাশকুসুম কল্পনা করবেন—গাড়ি কেনা বা বিদেশে সেটল হওয়া নিয়ে (ব্যাংকে ৫০০ টাকা ব্যালেন্স থাকলেও)। তবে জীবনসঙ্গীর আবদার মেটাতে গিয়ে আজ হাঁসফাঁস অবস্থা হতে পারে। স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু বাস্তবের মাটিটা শক্ত করে ধরুন। বন্ধুদের পার্টি দেওয়ার চক্করে মাসের বাজেট শেষ করবেন না।
মকর
অফিসে কাজের চাপে আজ আপনার অবস্থা হতে পারে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন’ দেখার মতো। বসের ই-মেইল দেখলে মনে হতে পারে হিমালয়ে চলে যাই, কিন্তু পরক্ষণেই স্যালারির মেসেজটার কথা ভেবে কাজে মন দেবেন। আজ সহকর্মীদের সঙ্গে রাজনীতির বদলে কাজের আলোচনা করাই শ্রেয়। ধৈর্যই আজ আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অফিসের ফ্রি চা-কফি বেশি খাবেন না, অ্যাসিডিটি হতে পারে।
কুম্ভ
আজ ভীষণ সমাজসেবী ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন। বাড়ির ঝুল ঝাড়া থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেওয়া—সবতেই আপনার সক্রিয় উপস্থিতি। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগবেন। শেয়ার বাজারে টাকা থাকলে আজ একটু নজর রাখুন, গ্রাফ আপনার দিকে ঘুরতেও পারে। দায়িত্ব পালন করুন কিন্তু সেটা যেন লোকদেখানো না হয়। আলস্য ত্যাগ করুন, তবে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাবেন না।
মীন
যারা সিঙ্গেল আছেন, আজ তাদের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসার শুভ যোগ আছে। আর যারা বিবাহিত, তারা সঙ্গীর সঙ্গে কোনো পুরোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঝগড়া মিটিয়ে নিন। ব্যবসায় অংশীদারের সঙ্গে আজ সামান্য কারণে কথা-কাটাকাটি হতে পারে, তাই মুখে কুলুপ আঁটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কল্পনা আর বাস্তবের মাঝে একটা সীমারেখা টানুন। মাছের মতো শুধু পানি না খেয়ে মাঝে মাঝে লেবু-জলও খান।

ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল।
২৪ জুলাই ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
২ ঘণ্টা আগে
খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য।
৩ ঘণ্টা আগে
চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিবছর বিয়ের পোশাক ও সাজে নতুন কিছু যোগ হয়েছে, আবার বাদ পড়েছে সাজের কিছু পুরোনো চল। ২০২৫ সালেও বিয়ের ট্রেন্ডে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহার সঙ্গে কথা বলে চলতি বছর বিয়ের সাজে কী কী বিষয় যোগ ও বিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে লিখেছেন ফারিয়া রহমান খান।
এবার বিয়ের ট্রেন্ডে যা কিছু যোগ হয়েছে
তাজা ফুলের আভিজাত্য
বিগত কয়েক বছরে চুল সাজাতে এবং হলুদের গয়না হিসেবে নারীরা আর্টিফিশিয়াল ফুল ব্যবহার করেছেন। শাড়ি বা লেহেঙ্গার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গয়না ব্যবহারে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে নারীদের মধ্য়ে। কিন্তু এখন চুল ও গয়নায় তো বটেই, হলুদ বা মেহেদির অনুষ্ঠানে ফ্লোরাল ওড়নায়ও আর্টিফিশিয়াল ফুলের চেয়ে তাজা ফুল ব্যবহারে আগ্রহ দেখা গেছে। শোভন সাহা বলেন, ‘এ বছর বিয়ের ডেকোরেশনেও বড় জায়গা করে নিয়েছে বড় বড় ফুলের ঝাড়বাতি এবং ফুলের পাপড়ি বিছানো হাঁটার পথ সবার নজর কেড়েছে, যা আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
আভিজাত্যের ছোঁয়া
বিয়েতে রাজকীয় সাজের প্রতি বাঙালির টান চিরন্তন। ২০২৫ সালের মতো আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে মীনাকারি কাজ, ঐতিহ্যবাহী বেনারসি, জামদানি, কাঞ্জিভরম ও মসলিন শাড়ি। সেই সঙ্গে বরের সাজে রাজকীয় ভাব আনতে ভারী কাজের শেরওয়ানি বা জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিয়ে
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্লাস্টিকমুক্ত সাজসজ্জা, স্থানীয় খাবারের মেনু এবং মাটিতে রোপণ করা এমন ‘প্লান্টেবল’ নিমন্ত্রণপত্র এখন ট্রেন্ডে ইন হয়েছে। বরের জন্য সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা ও কনের জন্য পরিবেশবান্ধব কাপড়ে তৈরি পোশাক, যা অন্যান্য সময়েও পরার উপযোগী—এমন সাজপোশাকেও আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান সময়ের তরুণদের।
কাস্টমাইজেশন ইজ বেস্ট
একঘেয়ে গতানুগতিক বিয়ের বদলে এখন মানুষ নিজের পছন্দ ও আরামকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। বিয়েতে নিজস্ব ‘হ্যাশট্যাগ’ এবং নিজেদের পরিচয় কিংবা ভালোবাসার গল্প দিয়ে বানানো ছোট ভিডিও বা স্লাইড শো এখন বিয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে বিয়ের সময়টাকে ছোট করায় আগ্রহী। ঘরোয়া চায়ের আড্ডাতেই সেরে নিচ্ছেন বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর বর-কনে মিলে বিকেলে বেরিয়ে পড়ছেন হানিমুন ট্রিপে। এতে খরচও কমছে, আনন্দও বাড়ছে।
রং ও উজ্জ্বলতা
এক রঙের পোশাকের দিন এখন শেষ। এবার বিয়েতে রঙের বৈচিত্র্য থাকবে তুঙ্গে। ফুশিয়া পিঙ্কের সঙ্গে পান্না সবুজ কিংবা হলুদ ও রাজকীয় বেগুনির সংমিশ্রণ পোশাকে যোগ করবে নতুন মাত্রা। এ ছাড়া কনের লেহেঙ্গা বা শাড়িতে সোনালি, রুপালি কিংবা ব্রোঞ্জ রঙের মেটালিক ছোঁয়া বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তা ছাড়া বার্বি পিঙ্ক বা গোলাপি রঙের বিভিন্ন শেড এখন আবার ট্রেন্ড হিসেবে ফিরে আসছে।

সাজে মিলমিশ
বিয়ের সাজে এখন বিভিন্ন স্থানের সাজের মিলমিশ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন কনে হয়তো সাদা গাউন পরছেন, সঙ্গে হাতে পরছেন টকটকে লাল কাচের চুড়ি। আবার বাঙালি সাজের সঙ্গে মারাঠি সাজ ব্লেন্ড করেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দ্বিধা করছেন না কনেরা। এমনটাই জানান শোভন সাহা।
বাদ পড়েছে যেগুলো
অতিরিক্ত কারুকাজ ও ঝলকানি
একসময় বিয়েতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পাথরের কিংবা চুমকি-পুঁতির ভারী কাজের পোশাকের চল ছিল। কিন্তু বর্তমানে এসব ‘ওভার দ্য টপ’ সাজ একদমই ‘আউট’। তবে এখন সূক্ষ্ম সুতার কাজ অথবা মেশিন এমব্রয়ডারির চাহিদা অনেক বেশি। ডেকোরেশনের ক্ষেত্রেও সবকিছু একই রঙে করার দিন শেষ। ভিন্ন ভিন্ন রং ও টেক্সচারের ব্যবহারই এখন আধুনিকতা।
কনের ভারী ওড়না
২০২৫ বলছে, ভারী বিয়ের ওড়না এখন বাতিলের খাতায়। এর বদলে নেট, অরগাঞ্জা কিংবা হালকা লেসের কাজ করা লম্বা ওড়না একটা এলিগ্যান্ট লুক এনে দেয়।
বরের গতানুগতিক সাজ
বরের সেই ক্রিম রঙের শেরওয়ানি এখন একেবারেই সেকেলে। এখন বরদের পোশাকে গাঢ় রং ও প্রিন্টের কাপড় বেশি জনপ্রিয়। পাঞ্জাবির ওপর রঙিন বা ফ্লোরাল প্রিন্টের কটি বরের সাজে আভিজাত্য ও আধুনিকতা নিয়ে আসে।
ভারী গয়না
শোভন সাহা জানান, সেকেলে ভারী গয়নার বদলে এখন চিকন বা লেয়ারিং করা গয়নার ট্রেন্ড চলছে। কানে হালকা দুল, গলায় পাতলা হারের কয়েকটা লেয়ার আপনার সাজকে অনেক বেশি মার্জিত ও ফ্যাশনেবল করতে পারে। গয়নার ক্ষেত্রে এখন মূল ট্রেন্ডই হলো ‘লেস ইজ মোর।’
পরিশেষে বলা যায়, বিয়ে মানে শুধুই অন্যের চোখে সেরা হওয়া নয়, বরং নিজের ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ ঘটানো। ট্রেন্ড যা-ই হোক না কেন, স্বকীয়তা সব সময় বজায় রাখা দরকার। বিয়ে যেহেতু ‘ওয়ানস ইন আ লাইফটাইম’ একটা বিষয়, সেহেতু আনন্দ ও স্টাইলটাও হওয়া চাই একেবারেই অনন্য। তাই এই নতুন ধারাগুলো মাথায় রেখে আজই শুরু করে দিতে পারেন বিয়ের পরিকল্পনা।

ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিবছর বিয়ের পোশাক ও সাজে নতুন কিছু যোগ হয়েছে, আবার বাদ পড়েছে সাজের কিছু পুরোনো চল। ২০২৫ সালেও বিয়ের ট্রেন্ডে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহার সঙ্গে কথা বলে চলতি বছর বিয়ের সাজে কী কী বিষয় যোগ ও বিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে লিখেছেন ফারিয়া রহমান খান।
এবার বিয়ের ট্রেন্ডে যা কিছু যোগ হয়েছে
তাজা ফুলের আভিজাত্য
বিগত কয়েক বছরে চুল সাজাতে এবং হলুদের গয়না হিসেবে নারীরা আর্টিফিশিয়াল ফুল ব্যবহার করেছেন। শাড়ি বা লেহেঙ্গার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গয়না ব্যবহারে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে নারীদের মধ্য়ে। কিন্তু এখন চুল ও গয়নায় তো বটেই, হলুদ বা মেহেদির অনুষ্ঠানে ফ্লোরাল ওড়নায়ও আর্টিফিশিয়াল ফুলের চেয়ে তাজা ফুল ব্যবহারে আগ্রহ দেখা গেছে। শোভন সাহা বলেন, ‘এ বছর বিয়ের ডেকোরেশনেও বড় জায়গা করে নিয়েছে বড় বড় ফুলের ঝাড়বাতি এবং ফুলের পাপড়ি বিছানো হাঁটার পথ সবার নজর কেড়েছে, যা আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
আভিজাত্যের ছোঁয়া
বিয়েতে রাজকীয় সাজের প্রতি বাঙালির টান চিরন্তন। ২০২৫ সালের মতো আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে মীনাকারি কাজ, ঐতিহ্যবাহী বেনারসি, জামদানি, কাঞ্জিভরম ও মসলিন শাড়ি। সেই সঙ্গে বরের সাজে রাজকীয় ভাব আনতে ভারী কাজের শেরওয়ানি বা জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিয়ে
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্লাস্টিকমুক্ত সাজসজ্জা, স্থানীয় খাবারের মেনু এবং মাটিতে রোপণ করা এমন ‘প্লান্টেবল’ নিমন্ত্রণপত্র এখন ট্রেন্ডে ইন হয়েছে। বরের জন্য সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা ও কনের জন্য পরিবেশবান্ধব কাপড়ে তৈরি পোশাক, যা অন্যান্য সময়েও পরার উপযোগী—এমন সাজপোশাকেও আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান সময়ের তরুণদের।
কাস্টমাইজেশন ইজ বেস্ট
একঘেয়ে গতানুগতিক বিয়ের বদলে এখন মানুষ নিজের পছন্দ ও আরামকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। বিয়েতে নিজস্ব ‘হ্যাশট্যাগ’ এবং নিজেদের পরিচয় কিংবা ভালোবাসার গল্প দিয়ে বানানো ছোট ভিডিও বা স্লাইড শো এখন বিয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে বিয়ের সময়টাকে ছোট করায় আগ্রহী। ঘরোয়া চায়ের আড্ডাতেই সেরে নিচ্ছেন বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর বর-কনে মিলে বিকেলে বেরিয়ে পড়ছেন হানিমুন ট্রিপে। এতে খরচও কমছে, আনন্দও বাড়ছে।
রং ও উজ্জ্বলতা
এক রঙের পোশাকের দিন এখন শেষ। এবার বিয়েতে রঙের বৈচিত্র্য থাকবে তুঙ্গে। ফুশিয়া পিঙ্কের সঙ্গে পান্না সবুজ কিংবা হলুদ ও রাজকীয় বেগুনির সংমিশ্রণ পোশাকে যোগ করবে নতুন মাত্রা। এ ছাড়া কনের লেহেঙ্গা বা শাড়িতে সোনালি, রুপালি কিংবা ব্রোঞ্জ রঙের মেটালিক ছোঁয়া বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তা ছাড়া বার্বি পিঙ্ক বা গোলাপি রঙের বিভিন্ন শেড এখন আবার ট্রেন্ড হিসেবে ফিরে আসছে।

সাজে মিলমিশ
বিয়ের সাজে এখন বিভিন্ন স্থানের সাজের মিলমিশ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন কনে হয়তো সাদা গাউন পরছেন, সঙ্গে হাতে পরছেন টকটকে লাল কাচের চুড়ি। আবার বাঙালি সাজের সঙ্গে মারাঠি সাজ ব্লেন্ড করেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দ্বিধা করছেন না কনেরা। এমনটাই জানান শোভন সাহা।
বাদ পড়েছে যেগুলো
অতিরিক্ত কারুকাজ ও ঝলকানি
একসময় বিয়েতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পাথরের কিংবা চুমকি-পুঁতির ভারী কাজের পোশাকের চল ছিল। কিন্তু বর্তমানে এসব ‘ওভার দ্য টপ’ সাজ একদমই ‘আউট’। তবে এখন সূক্ষ্ম সুতার কাজ অথবা মেশিন এমব্রয়ডারির চাহিদা অনেক বেশি। ডেকোরেশনের ক্ষেত্রেও সবকিছু একই রঙে করার দিন শেষ। ভিন্ন ভিন্ন রং ও টেক্সচারের ব্যবহারই এখন আধুনিকতা।
কনের ভারী ওড়না
২০২৫ বলছে, ভারী বিয়ের ওড়না এখন বাতিলের খাতায়। এর বদলে নেট, অরগাঞ্জা কিংবা হালকা লেসের কাজ করা লম্বা ওড়না একটা এলিগ্যান্ট লুক এনে দেয়।
বরের গতানুগতিক সাজ
বরের সেই ক্রিম রঙের শেরওয়ানি এখন একেবারেই সেকেলে। এখন বরদের পোশাকে গাঢ় রং ও প্রিন্টের কাপড় বেশি জনপ্রিয়। পাঞ্জাবির ওপর রঙিন বা ফ্লোরাল প্রিন্টের কটি বরের সাজে আভিজাত্য ও আধুনিকতা নিয়ে আসে।
ভারী গয়না
শোভন সাহা জানান, সেকেলে ভারী গয়নার বদলে এখন চিকন বা লেয়ারিং করা গয়নার ট্রেন্ড চলছে। কানে হালকা দুল, গলায় পাতলা হারের কয়েকটা লেয়ার আপনার সাজকে অনেক বেশি মার্জিত ও ফ্যাশনেবল করতে পারে। গয়নার ক্ষেত্রে এখন মূল ট্রেন্ডই হলো ‘লেস ইজ মোর।’
পরিশেষে বলা যায়, বিয়ে মানে শুধুই অন্যের চোখে সেরা হওয়া নয়, বরং নিজের ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ ঘটানো। ট্রেন্ড যা-ই হোক না কেন, স্বকীয়তা সব সময় বজায় রাখা দরকার। বিয়ে যেহেতু ‘ওয়ানস ইন আ লাইফটাইম’ একটা বিষয়, সেহেতু আনন্দ ও স্টাইলটাও হওয়া চাই একেবারেই অনন্য। তাই এই নতুন ধারাগুলো মাথায় রেখে আজই শুরু করে দিতে পারেন বিয়ের পরিকল্পনা।

ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল।
২৪ জুলাই ২০২৫
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
৩১ মিনিট আগে
খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য।
৩ ঘণ্টা আগে
চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেবীভাবরী রায়

খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য। পুরোনো সেই দিনগুলো যেন আবার ফিরিয়ে দিয়েছে করোনাকাল। মনে করে দেখুন, লকডাউনের দিনগুলোয় বিয়ে কিন্তু বাড়িতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিকটাত্মীয় ও বর-কনের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে সেই বিয়ের ভোজের আয়োজনও ছিল বাড়িতে। আর বিয়ের খাবার রান্নার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মা-খালা-বোনেরাই।
বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের সঙ্গে গরু কিংবা খাসির রেজালা, মুরগির রোস্ট রাঁধতে কীই-বা লাগে। সঙ্গে থাকত সালাদ, চায়নিজ সবজি বা এক পদের বড় মাছ ভাজা। শেষ পাতে দই, মিষ্টি, জর্দা—ব্যস। ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে এর চেয়ে বেশি আর কীই-বা লাগে? তবে ঘরোয়া বিয়ে এবং ঘরে বিয়ের খাবারের আয়োজনকে এখনকার তরুণ বর-কনেও কিন্তু খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। কমিউনিটি সেন্টারে ঘটা করে বিয়ের আয়োজনের ঘনঘটার মাঝেও এখন অনেকে বাড়িতে ছোট পরিসরে বিয়ের ছিমছাম আয়োজনের পক্ষপাতী। এতে ঝামেলাও কমে, খরচও বাঁচে। তাঁরা বরং বিয়ের খাবারকে কাস্টমাইজ করে আরও সংক্ষিপ্ত করার পক্ষে। যাঁরা এই মৌসুমে ঘরেই বিয়ে ও বউভাতের খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের কথা ভাবছেন, তাঁরা দেখুন তো এই কয়েকটি পদ রাঁধবেন কি না! ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে পোলাও বা বিরিয়ানির সঙ্গে পরিবেশনের মতো কয়েকটি বিশেষ পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
ঝাল মিষ্টির ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস
উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, টক দই ১ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, শাহি জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাজুবাদামবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-০১২টা, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
খাসির মাংস, টক দই সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢাকনা খুলে অল্প আঁচে রান্না করুন ১০-১৫ মিনিট। এবার কষানো হলে যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তাহলে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ, টমেটো সস দিয়ে দমে রাখুন ১০ মিনিট। তৈরি হয়ে গেল ঝাল মিষ্টি ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস।

শাহি জালি কাবাব
উপকরণ
গরুর মাংসের সেদ্ধ কিমা ২ কাপ, আলু সেদ্ধ এক কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, মিঠা আতর দু-তিন ফোঁটা, কাবাব মসলা ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতার কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, ডিম ৩টি, লেবুর রস ১ চা-চামচ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে গোল করে কাবাব তৈরি করে তেল ব্রাশ করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে দুটি ডিম ফেটিয়ে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে আবারও ফেটিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে কাবাবগুলো ডিমে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শাহি জালি কাবাব।

বোরহানি
উপকরণ
টক দই ১ কেজি, ধনে ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, পোস্তদানা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনাপাতাবাটা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, লবণ স্বাদমতো, পানি ২ কাপ, বরফকুচি ১ কাপ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে চেলে নিন। এবার বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য। পুরোনো সেই দিনগুলো যেন আবার ফিরিয়ে দিয়েছে করোনাকাল। মনে করে দেখুন, লকডাউনের দিনগুলোয় বিয়ে কিন্তু বাড়িতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিকটাত্মীয় ও বর-কনের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে সেই বিয়ের ভোজের আয়োজনও ছিল বাড়িতে। আর বিয়ের খাবার রান্নার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মা-খালা-বোনেরাই।
বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের সঙ্গে গরু কিংবা খাসির রেজালা, মুরগির রোস্ট রাঁধতে কীই-বা লাগে। সঙ্গে থাকত সালাদ, চায়নিজ সবজি বা এক পদের বড় মাছ ভাজা। শেষ পাতে দই, মিষ্টি, জর্দা—ব্যস। ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে এর চেয়ে বেশি আর কীই-বা লাগে? তবে ঘরোয়া বিয়ে এবং ঘরে বিয়ের খাবারের আয়োজনকে এখনকার তরুণ বর-কনেও কিন্তু খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। কমিউনিটি সেন্টারে ঘটা করে বিয়ের আয়োজনের ঘনঘটার মাঝেও এখন অনেকে বাড়িতে ছোট পরিসরে বিয়ের ছিমছাম আয়োজনের পক্ষপাতী। এতে ঝামেলাও কমে, খরচও বাঁচে। তাঁরা বরং বিয়ের খাবারকে কাস্টমাইজ করে আরও সংক্ষিপ্ত করার পক্ষে। যাঁরা এই মৌসুমে ঘরেই বিয়ে ও বউভাতের খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের কথা ভাবছেন, তাঁরা দেখুন তো এই কয়েকটি পদ রাঁধবেন কি না! ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে পোলাও বা বিরিয়ানির সঙ্গে পরিবেশনের মতো কয়েকটি বিশেষ পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
ঝাল মিষ্টির ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস
উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, টক দই ১ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, শাহি জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাজুবাদামবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-০১২টা, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
খাসির মাংস, টক দই সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢাকনা খুলে অল্প আঁচে রান্না করুন ১০-১৫ মিনিট। এবার কষানো হলে যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তাহলে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ, টমেটো সস দিয়ে দমে রাখুন ১০ মিনিট। তৈরি হয়ে গেল ঝাল মিষ্টি ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস।

শাহি জালি কাবাব
উপকরণ
গরুর মাংসের সেদ্ধ কিমা ২ কাপ, আলু সেদ্ধ এক কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, মিঠা আতর দু-তিন ফোঁটা, কাবাব মসলা ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতার কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, ডিম ৩টি, লেবুর রস ১ চা-চামচ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে গোল করে কাবাব তৈরি করে তেল ব্রাশ করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে দুটি ডিম ফেটিয়ে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে আবারও ফেটিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে কাবাবগুলো ডিমে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শাহি জালি কাবাব।

বোরহানি
উপকরণ
টক দই ১ কেজি, ধনে ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, পোস্তদানা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনাপাতাবাটা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, লবণ স্বাদমতো, পানি ২ কাপ, বরফকুচি ১ কাপ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে চেলে নিন। এবার বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল।
২৪ জুলাই ২০২৫
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
৩১ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
২ ঘণ্টা আগে
চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। শীতের ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষা পেতে বাইকারদের জন্য বিশেষ পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাইকারদের আলমারিতে যে ঠান্ডা প্রতিরোধক পরিধেয় রাখা জরুরি সেগুলো হলো:
ভারী জ্যাকেট বা সোয়েটার
শীতকালে বাইকারদের পলিয়েস্টার বা রেয়নের কাপড় পরিধান করা ভালো। সিনথেটিক পোশাক শীতের রাতে ভালো কাজ করে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা ভারী সোয়েটার অথবা জ্যাকেটজাতীয় পোশাক ব্যবহার করুন শীত থেকে রক্ষা পেতে। বাইকচালকদের জন্য চামড়ার জ্যাকেট খুব ভালো পছন্দ হতে পারে। এটি শরীরের তাপ ধরে রাখতে পারে খুব ভালোভাবে।
চেস্ট প্রটেক্টর
বাইক চালানোর সময় শরীরের সামনের দিকে বাতাস লাগে। অনেক সময় জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার সেই বাতাস ঠেকাতে পারে না। বুকে লাগা বাতাস ঠেকানোর জন্য পাওয়া যায় চেস্ট প্রটেক্টর। চেস্ট প্রটেক্টর কেনার সময় রেক্সিন বা লেদারের তৈরি চেস্ট প্রটেক্টরই বেছে নিন।
এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট
শীতের বাতাস থেকে বাঁচতে ভালো মানের একটি এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিন। ভালো মানের রেইনকোট ভালো মানের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেটও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো অনেকটা রেইনকোটের মতো দেখতে।
গ্লাভস শীতে হাতে অবশ্যই গ্লাভস
পরে নেবেন। গ্লাভস শীতকালে হাত ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং তাপ ধরে রাখে। সাধারণত হাতের তাপ সহজে কমে না। কিন্তু একবার কমতে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে হাতের তাপ ধরে রাখার জন্য গ্লাভসের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্লাভস পাওয়া যায়। হাতের মাপমতো পছন্দের গ্লাভসটি কিনে পরে ফেলুন।
জুতা ও মোজা
শুধু জুতা বা স্যান্ডেল পরলে শরীরের তাপ ধরে রাখা যায় না; বরং শরীর দ্রুত তাপ হারায়। কিন্তু মোজা পরলে শরীরের এই তাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সুতি বা সিনথেটিক যেকোনো আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন। শীতের দিনে বাইক চালানোর সময় স্যান্ডেল ব্যবহার না করে জুতা ব্যবহার করা ভালো।
সূত্র: রাইড অ্যাডভেঞ্চারস ও অন্যান্য

চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। শীতের ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষা পেতে বাইকারদের জন্য বিশেষ পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাইকারদের আলমারিতে যে ঠান্ডা প্রতিরোধক পরিধেয় রাখা জরুরি সেগুলো হলো:
ভারী জ্যাকেট বা সোয়েটার
শীতকালে বাইকারদের পলিয়েস্টার বা রেয়নের কাপড় পরিধান করা ভালো। সিনথেটিক পোশাক শীতের রাতে ভালো কাজ করে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা ভারী সোয়েটার অথবা জ্যাকেটজাতীয় পোশাক ব্যবহার করুন শীত থেকে রক্ষা পেতে। বাইকচালকদের জন্য চামড়ার জ্যাকেট খুব ভালো পছন্দ হতে পারে। এটি শরীরের তাপ ধরে রাখতে পারে খুব ভালোভাবে।
চেস্ট প্রটেক্টর
বাইক চালানোর সময় শরীরের সামনের দিকে বাতাস লাগে। অনেক সময় জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার সেই বাতাস ঠেকাতে পারে না। বুকে লাগা বাতাস ঠেকানোর জন্য পাওয়া যায় চেস্ট প্রটেক্টর। চেস্ট প্রটেক্টর কেনার সময় রেক্সিন বা লেদারের তৈরি চেস্ট প্রটেক্টরই বেছে নিন।
এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট
শীতের বাতাস থেকে বাঁচতে ভালো মানের একটি এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিন। ভালো মানের রেইনকোট ভালো মানের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেটও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো অনেকটা রেইনকোটের মতো দেখতে।
গ্লাভস শীতে হাতে অবশ্যই গ্লাভস
পরে নেবেন। গ্লাভস শীতকালে হাত ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং তাপ ধরে রাখে। সাধারণত হাতের তাপ সহজে কমে না। কিন্তু একবার কমতে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে হাতের তাপ ধরে রাখার জন্য গ্লাভসের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্লাভস পাওয়া যায়। হাতের মাপমতো পছন্দের গ্লাভসটি কিনে পরে ফেলুন।
জুতা ও মোজা
শুধু জুতা বা স্যান্ডেল পরলে শরীরের তাপ ধরে রাখা যায় না; বরং শরীর দ্রুত তাপ হারায়। কিন্তু মোজা পরলে শরীরের এই তাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সুতি বা সিনথেটিক যেকোনো আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন। শীতের দিনে বাইক চালানোর সময় স্যান্ডেল ব্যবহার না করে জুতা ব্যবহার করা ভালো।
সূত্র: রাইড অ্যাডভেঞ্চারস ও অন্যান্য

ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল।
২৪ জুলাই ২০২৫
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
৩১ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
২ ঘণ্টা আগে
খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য।
৩ ঘণ্টা আগে