আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

থাপড়ানো রুটি! নাম শুনেই কেমন করে ওঠে শরীর। কিন্তু বিষয়টি যে মিথ্যে নয়, সেটাও সত্যি।
মানিকগঞ্জের বেশ পুরোনো ঘিওর হাট। সপ্তাহের প্রতি বুধবার হাট বসে। একসময় দেশের অন্যতম বড় হাট হিসেবে পরিচিত থাকলেও এখন তার শরীরে শুধুই কঙ্কাল। হাটের আকার, আয়তন ও গুরুত্ব—সবই কমে গেছে। তবে রয়ে গেছে এই হাটের ‘ঐতিহ্য’ থাপড়ানো রুটি।
বড় বড় আকারের একেকটি থাপড়ানো রুটির সঙ্গে রসে জবজবে রসগোল্লার স্বাদ একবার হলেও যিনি নিয়েছেন, তিনি মনে রাখবেন পুরো জীবন। এমনটাই দাবি প্রাচীন ঘিওর হাটের এই বিশেষ রুটির কারিগরদের।
হাটের বিকিকিনি শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাটুরেরা সোজা চলে যান থাপড়ানো রুটির গলিতে। সেখানে সারি সারি দোকান। শোনা যায়, হাটের যৌবনকালে এখানে ছিল এক শর বেশি রুটির দোকান। এক দশক আগেও ছিল ৪০টি দোকান। কিন্তু এখন মাত্র পঁচিশেক দোকান অবশিষ্ট আছে। কালের বিবর্তনে দোকানের সংখ্যা কমলেও থাপড়ানো রুটির চাহিদা আর সুনাম এখনো অক্ষুণ্ন। এর প্রমাণ হলো, ঘিওর হাটে যেদিন কোনো বাড়ির অভিভাবক আসেন, সেদিন পরিবারের বাকি সদস্যরা অপেক্ষায় থাকেন এই থাপড়ানো রুটি ও মিষ্টির।

সম্প্রতি এক হাটের দিন, সেই ঐতিহ্য হারানো রুটির গলি ধরে হাঁটছিলাম। আড়চোখে দেখি, কেউ রুটির দোকানে বসে রুটি খাচ্ছেন, কেউ পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন থাপড়ানো রুটি আর মাঝারি আকারের সাদা রসগোল্লা। বেশ ভিড়, চলছে হাঁকডাক আর বেচাকেনা। বাপ-দাদার আমল থেকে চলে আসা রুটির ব্যবসা ধরে রেখেছেন এখানকার দোকানিরা। আগের মতো লাভ না হলেও শত বছরের ব্যবসা ধরে রেখেছেন তাঁরা।
হাটের দিন সকাল থেকে শুরু হয় থাপড়ানো রুটি তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ। রুটি তৈরির কারিগর আর দোকানের দোকানের কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। এই রুটির আরেকটি মজার দিক হলো, এগুলো কেজি দরে কেনা যায়। মূলত যাঁরা বাড়ি নিয়ে যান, তাঁরা এই কেজি দরে রুটি কেনেন।

সাপ্তাহিক হাটের দিন থাপড়ানো রুটির চাহিদা বেশি থাকে। এদিন প্রতিটি দোকান মালিক এক শ থেকে দেড় শ কেজি থাপড়ানো রুটি বিক্রি করেন। আবার কারও কারও বিক্রি ২০০ কেজি। তবে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে এর চাহিদা কিছুটা কম থাকে।
ঘিওরের পার্শ্ববর্তী উপজেলার নাম দৌলতপুর। সেখানকার ধামশ্বর গ্রামের ভুট্টা ব্যবসায়ী লাল মিয়া ঘিওর হাটে এসেছিলেন ৫০ মণ ভুট্টা নিয়ে। সেই ভুট্টা বিক্রির বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে তিনি এসেছেন থাপড়ানো রুটি কিনতে। লাল মিয়া জানালেন, তিনি প্রায় প্রতি বুধবার ঘিওরের হাটে আসেন। বেচাকেনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে থাপড়ানো রুটি খান এবং বাড়ি নিয়ে যান। শিশুরা খুব খুশি হয়। তাঁর স্ত্রীও এই রুটি পছন্দ করেন। এ জন্য দুই শ টাকার থাপড়ানো রুটি আর এক কেজি রসগোল্লা কিনেছেন সেদিন।
রুটির দোকানি জিতেন দাস জানালেন, তাঁর দাদা ও বাবা ঘিওরে এই থাপড়ানো রুটির ব্যবসা করছেন। আর তিনি নিজে সেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ২২ বছর ধরে। থাপড়ানো রুটির চাহিদা ভালো বলেই ধারণা তাঁর। হাটের দিন ৪০-৫০ কেজি রুটি বিক্রি করেন তিনি। লাভ কেমন হয় জানতে চাইলে বলেন, ‘রুটি বেইচা আগের মতো লাভ হয় না।’

হাটের বড় রুটির দোকানটির মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য থাপড়ানো রুটির। খেতে সুস্বাদু, কেজি দরে বিক্রিও করি। রুটির আকার অনুযায়ী ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। প্রতি হাটে দুই শ থেকে আড়াই শ কেজি রুটি আর ২ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়।
বিজয় রুটি-মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি দোকানে চেয়ারে আরাম করে বসে সস্ত্রীক থাপড়ানো রুটি আর মিষ্টি খাচ্ছিলেন মধ্য ষাট বছরের মুনছের মিয়া। তিনি জানান, স্ত্রীর আবদারে এই বয়সেও হাটে এসে থাপড়ানো রুটি আর রসগোল্লা খাচ্ছেন তিনি।
থাপড়ানো রুটি তৈরির এক কারিগর রিপন মিয়া। তিনি জানালেন, থাপড়ানো রুটি ঘিওরের ঐতিহ্য। স্বাদ ও মান ভালো। তাই এ রুটির চাহিদা বেশি। রিপন আরও বললেন, তিনি ৩৭ বছর ধরে এ রুটি বানিয়ে চলেছেন। এই কাজ করে পাওয়া টাকা দিয়েই তিনি পাঁচ সদস্যের সংসার চালান। তিনি দুই মেয়েকে স্কুল ও কলেজে পড়াচ্ছেন। রিপন জানালেন, আগে তিনি প্রতিদিন পেতেন ৩০০ টাকা, এখন রোজ পান ৬৫০ টাকা।
ঘিওর হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ খান পাষাণ। এই হাটের থাপড়ানো রুটির ইতিহাস তিনি কথায় কথায় দুই শ বছর পেছনে নিয়ে যান। পাষাণ বললেন, ‘আমরা একসময় এই হাট নিয়ে গর্ব করতাম। তার অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল গরুর হাট, থাপড়ানো রুটি এবং পাট। তবে গরুর হাটটি নদীতে বিলীন হয়েছে। আগের মতো এখন আর ধান, পাটও ওঠে না। এখন ঐতিহ্য বলতে যা আছে, তা হলো থাপড়ানো রুটি।’
ঘিওর হাটে এই থাপড়ানো রুটির ইতিহাস নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলতে থাকে। আমরা খুঁজে ফিরি এর অতীত। ঘিওর হাট তো শুধু বিক্রিবাট্টার জায়গা ছিল না; ছিল সপ্তাহান্তের মিলনমেলা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসত জিনিসপত্র বেচা ও কেনার জন্য। সেখানে ধান-পাট-গরু-ছাগল যেমন থাকত, তেমনি থাকত জিলাপি ও রসগোল্লার সঙ্গে থাপড়ানো রুটি। হাটের যৌবন যেমন অস্তে গেছে, তেমনি কমেছে এখানে রুটির দোকানের সংখ্যা। কমতে কমতে হয়তো একদিন এই থাপড়ানো রুটি থাকবে শুধুই গল্পে। তখনো মানুষ হয়তো এর স্বাদ আর বয়স নিয়ে অলস আড্ডায় মাতামাতি করবে।

থাপড়ানো রুটি! নাম শুনেই কেমন করে ওঠে শরীর। কিন্তু বিষয়টি যে মিথ্যে নয়, সেটাও সত্যি।
মানিকগঞ্জের বেশ পুরোনো ঘিওর হাট। সপ্তাহের প্রতি বুধবার হাট বসে। একসময় দেশের অন্যতম বড় হাট হিসেবে পরিচিত থাকলেও এখন তার শরীরে শুধুই কঙ্কাল। হাটের আকার, আয়তন ও গুরুত্ব—সবই কমে গেছে। তবে রয়ে গেছে এই হাটের ‘ঐতিহ্য’ থাপড়ানো রুটি।
বড় বড় আকারের একেকটি থাপড়ানো রুটির সঙ্গে রসে জবজবে রসগোল্লার স্বাদ একবার হলেও যিনি নিয়েছেন, তিনি মনে রাখবেন পুরো জীবন। এমনটাই দাবি প্রাচীন ঘিওর হাটের এই বিশেষ রুটির কারিগরদের।
হাটের বিকিকিনি শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাটুরেরা সোজা চলে যান থাপড়ানো রুটির গলিতে। সেখানে সারি সারি দোকান। শোনা যায়, হাটের যৌবনকালে এখানে ছিল এক শর বেশি রুটির দোকান। এক দশক আগেও ছিল ৪০টি দোকান। কিন্তু এখন মাত্র পঁচিশেক দোকান অবশিষ্ট আছে। কালের বিবর্তনে দোকানের সংখ্যা কমলেও থাপড়ানো রুটির চাহিদা আর সুনাম এখনো অক্ষুণ্ন। এর প্রমাণ হলো, ঘিওর হাটে যেদিন কোনো বাড়ির অভিভাবক আসেন, সেদিন পরিবারের বাকি সদস্যরা অপেক্ষায় থাকেন এই থাপড়ানো রুটি ও মিষ্টির।

সম্প্রতি এক হাটের দিন, সেই ঐতিহ্য হারানো রুটির গলি ধরে হাঁটছিলাম। আড়চোখে দেখি, কেউ রুটির দোকানে বসে রুটি খাচ্ছেন, কেউ পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন থাপড়ানো রুটি আর মাঝারি আকারের সাদা রসগোল্লা। বেশ ভিড়, চলছে হাঁকডাক আর বেচাকেনা। বাপ-দাদার আমল থেকে চলে আসা রুটির ব্যবসা ধরে রেখেছেন এখানকার দোকানিরা। আগের মতো লাভ না হলেও শত বছরের ব্যবসা ধরে রেখেছেন তাঁরা।
হাটের দিন সকাল থেকে শুরু হয় থাপড়ানো রুটি তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ। রুটি তৈরির কারিগর আর দোকানের দোকানের কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। এই রুটির আরেকটি মজার দিক হলো, এগুলো কেজি দরে কেনা যায়। মূলত যাঁরা বাড়ি নিয়ে যান, তাঁরা এই কেজি দরে রুটি কেনেন।

সাপ্তাহিক হাটের দিন থাপড়ানো রুটির চাহিদা বেশি থাকে। এদিন প্রতিটি দোকান মালিক এক শ থেকে দেড় শ কেজি থাপড়ানো রুটি বিক্রি করেন। আবার কারও কারও বিক্রি ২০০ কেজি। তবে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে এর চাহিদা কিছুটা কম থাকে।
ঘিওরের পার্শ্ববর্তী উপজেলার নাম দৌলতপুর। সেখানকার ধামশ্বর গ্রামের ভুট্টা ব্যবসায়ী লাল মিয়া ঘিওর হাটে এসেছিলেন ৫০ মণ ভুট্টা নিয়ে। সেই ভুট্টা বিক্রির বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে তিনি এসেছেন থাপড়ানো রুটি কিনতে। লাল মিয়া জানালেন, তিনি প্রায় প্রতি বুধবার ঘিওরের হাটে আসেন। বেচাকেনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে থাপড়ানো রুটি খান এবং বাড়ি নিয়ে যান। শিশুরা খুব খুশি হয়। তাঁর স্ত্রীও এই রুটি পছন্দ করেন। এ জন্য দুই শ টাকার থাপড়ানো রুটি আর এক কেজি রসগোল্লা কিনেছেন সেদিন।
রুটির দোকানি জিতেন দাস জানালেন, তাঁর দাদা ও বাবা ঘিওরে এই থাপড়ানো রুটির ব্যবসা করছেন। আর তিনি নিজে সেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ২২ বছর ধরে। থাপড়ানো রুটির চাহিদা ভালো বলেই ধারণা তাঁর। হাটের দিন ৪০-৫০ কেজি রুটি বিক্রি করেন তিনি। লাভ কেমন হয় জানতে চাইলে বলেন, ‘রুটি বেইচা আগের মতো লাভ হয় না।’

হাটের বড় রুটির দোকানটির মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য থাপড়ানো রুটির। খেতে সুস্বাদু, কেজি দরে বিক্রিও করি। রুটির আকার অনুযায়ী ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। প্রতি হাটে দুই শ থেকে আড়াই শ কেজি রুটি আর ২ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়।
বিজয় রুটি-মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি দোকানে চেয়ারে আরাম করে বসে সস্ত্রীক থাপড়ানো রুটি আর মিষ্টি খাচ্ছিলেন মধ্য ষাট বছরের মুনছের মিয়া। তিনি জানান, স্ত্রীর আবদারে এই বয়সেও হাটে এসে থাপড়ানো রুটি আর রসগোল্লা খাচ্ছেন তিনি।
থাপড়ানো রুটি তৈরির এক কারিগর রিপন মিয়া। তিনি জানালেন, থাপড়ানো রুটি ঘিওরের ঐতিহ্য। স্বাদ ও মান ভালো। তাই এ রুটির চাহিদা বেশি। রিপন আরও বললেন, তিনি ৩৭ বছর ধরে এ রুটি বানিয়ে চলেছেন। এই কাজ করে পাওয়া টাকা দিয়েই তিনি পাঁচ সদস্যের সংসার চালান। তিনি দুই মেয়েকে স্কুল ও কলেজে পড়াচ্ছেন। রিপন জানালেন, আগে তিনি প্রতিদিন পেতেন ৩০০ টাকা, এখন রোজ পান ৬৫০ টাকা।
ঘিওর হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ খান পাষাণ। এই হাটের থাপড়ানো রুটির ইতিহাস তিনি কথায় কথায় দুই শ বছর পেছনে নিয়ে যান। পাষাণ বললেন, ‘আমরা একসময় এই হাট নিয়ে গর্ব করতাম। তার অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল গরুর হাট, থাপড়ানো রুটি এবং পাট। তবে গরুর হাটটি নদীতে বিলীন হয়েছে। আগের মতো এখন আর ধান, পাটও ওঠে না। এখন ঐতিহ্য বলতে যা আছে, তা হলো থাপড়ানো রুটি।’
ঘিওর হাটে এই থাপড়ানো রুটির ইতিহাস নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলতে থাকে। আমরা খুঁজে ফিরি এর অতীত। ঘিওর হাট তো শুধু বিক্রিবাট্টার জায়গা ছিল না; ছিল সপ্তাহান্তের মিলনমেলা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসত জিনিসপত্র বেচা ও কেনার জন্য। সেখানে ধান-পাট-গরু-ছাগল যেমন থাকত, তেমনি থাকত জিলাপি ও রসগোল্লার সঙ্গে থাপড়ানো রুটি। হাটের যৌবন যেমন অস্তে গেছে, তেমনি কমেছে এখানে রুটির দোকানের সংখ্যা। কমতে কমতে হয়তো একদিন এই থাপড়ানো রুটি থাকবে শুধুই গল্পে। তখনো মানুষ হয়তো এর স্বাদ আর বয়স নিয়ে অলস আড্ডায় মাতামাতি করবে।
আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

থাপড়ানো রুটি! নাম শুনেই কেমন করে ওঠে শরীর। কিন্তু বিষয়টি যে মিথ্যে নয়, সেটাও সত্যি।
মানিকগঞ্জের বেশ পুরোনো ঘিওর হাট। সপ্তাহের প্রতি বুধবার হাট বসে। একসময় দেশের অন্যতম বড় হাট হিসেবে পরিচিত থাকলেও এখন তার শরীরে শুধুই কঙ্কাল। হাটের আকার, আয়তন ও গুরুত্ব—সবই কমে গেছে। তবে রয়ে গেছে এই হাটের ‘ঐতিহ্য’ থাপড়ানো রুটি।
বড় বড় আকারের একেকটি থাপড়ানো রুটির সঙ্গে রসে জবজবে রসগোল্লার স্বাদ একবার হলেও যিনি নিয়েছেন, তিনি মনে রাখবেন পুরো জীবন। এমনটাই দাবি প্রাচীন ঘিওর হাটের এই বিশেষ রুটির কারিগরদের।
হাটের বিকিকিনি শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাটুরেরা সোজা চলে যান থাপড়ানো রুটির গলিতে। সেখানে সারি সারি দোকান। শোনা যায়, হাটের যৌবনকালে এখানে ছিল এক শর বেশি রুটির দোকান। এক দশক আগেও ছিল ৪০টি দোকান। কিন্তু এখন মাত্র পঁচিশেক দোকান অবশিষ্ট আছে। কালের বিবর্তনে দোকানের সংখ্যা কমলেও থাপড়ানো রুটির চাহিদা আর সুনাম এখনো অক্ষুণ্ন। এর প্রমাণ হলো, ঘিওর হাটে যেদিন কোনো বাড়ির অভিভাবক আসেন, সেদিন পরিবারের বাকি সদস্যরা অপেক্ষায় থাকেন এই থাপড়ানো রুটি ও মিষ্টির।

সম্প্রতি এক হাটের দিন, সেই ঐতিহ্য হারানো রুটির গলি ধরে হাঁটছিলাম। আড়চোখে দেখি, কেউ রুটির দোকানে বসে রুটি খাচ্ছেন, কেউ পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন থাপড়ানো রুটি আর মাঝারি আকারের সাদা রসগোল্লা। বেশ ভিড়, চলছে হাঁকডাক আর বেচাকেনা। বাপ-দাদার আমল থেকে চলে আসা রুটির ব্যবসা ধরে রেখেছেন এখানকার দোকানিরা। আগের মতো লাভ না হলেও শত বছরের ব্যবসা ধরে রেখেছেন তাঁরা।
হাটের দিন সকাল থেকে শুরু হয় থাপড়ানো রুটি তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ। রুটি তৈরির কারিগর আর দোকানের দোকানের কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। এই রুটির আরেকটি মজার দিক হলো, এগুলো কেজি দরে কেনা যায়। মূলত যাঁরা বাড়ি নিয়ে যান, তাঁরা এই কেজি দরে রুটি কেনেন।

সাপ্তাহিক হাটের দিন থাপড়ানো রুটির চাহিদা বেশি থাকে। এদিন প্রতিটি দোকান মালিক এক শ থেকে দেড় শ কেজি থাপড়ানো রুটি বিক্রি করেন। আবার কারও কারও বিক্রি ২০০ কেজি। তবে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে এর চাহিদা কিছুটা কম থাকে।
ঘিওরের পার্শ্ববর্তী উপজেলার নাম দৌলতপুর। সেখানকার ধামশ্বর গ্রামের ভুট্টা ব্যবসায়ী লাল মিয়া ঘিওর হাটে এসেছিলেন ৫০ মণ ভুট্টা নিয়ে। সেই ভুট্টা বিক্রির বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে তিনি এসেছেন থাপড়ানো রুটি কিনতে। লাল মিয়া জানালেন, তিনি প্রায় প্রতি বুধবার ঘিওরের হাটে আসেন। বেচাকেনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে থাপড়ানো রুটি খান এবং বাড়ি নিয়ে যান। শিশুরা খুব খুশি হয়। তাঁর স্ত্রীও এই রুটি পছন্দ করেন। এ জন্য দুই শ টাকার থাপড়ানো রুটি আর এক কেজি রসগোল্লা কিনেছেন সেদিন।
রুটির দোকানি জিতেন দাস জানালেন, তাঁর দাদা ও বাবা ঘিওরে এই থাপড়ানো রুটির ব্যবসা করছেন। আর তিনি নিজে সেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ২২ বছর ধরে। থাপড়ানো রুটির চাহিদা ভালো বলেই ধারণা তাঁর। হাটের দিন ৪০-৫০ কেজি রুটি বিক্রি করেন তিনি। লাভ কেমন হয় জানতে চাইলে বলেন, ‘রুটি বেইচা আগের মতো লাভ হয় না।’

হাটের বড় রুটির দোকানটির মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য থাপড়ানো রুটির। খেতে সুস্বাদু, কেজি দরে বিক্রিও করি। রুটির আকার অনুযায়ী ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। প্রতি হাটে দুই শ থেকে আড়াই শ কেজি রুটি আর ২ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়।
বিজয় রুটি-মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি দোকানে চেয়ারে আরাম করে বসে সস্ত্রীক থাপড়ানো রুটি আর মিষ্টি খাচ্ছিলেন মধ্য ষাট বছরের মুনছের মিয়া। তিনি জানান, স্ত্রীর আবদারে এই বয়সেও হাটে এসে থাপড়ানো রুটি আর রসগোল্লা খাচ্ছেন তিনি।
থাপড়ানো রুটি তৈরির এক কারিগর রিপন মিয়া। তিনি জানালেন, থাপড়ানো রুটি ঘিওরের ঐতিহ্য। স্বাদ ও মান ভালো। তাই এ রুটির চাহিদা বেশি। রিপন আরও বললেন, তিনি ৩৭ বছর ধরে এ রুটি বানিয়ে চলেছেন। এই কাজ করে পাওয়া টাকা দিয়েই তিনি পাঁচ সদস্যের সংসার চালান। তিনি দুই মেয়েকে স্কুল ও কলেজে পড়াচ্ছেন। রিপন জানালেন, আগে তিনি প্রতিদিন পেতেন ৩০০ টাকা, এখন রোজ পান ৬৫০ টাকা।
ঘিওর হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ খান পাষাণ। এই হাটের থাপড়ানো রুটির ইতিহাস তিনি কথায় কথায় দুই শ বছর পেছনে নিয়ে যান। পাষাণ বললেন, ‘আমরা একসময় এই হাট নিয়ে গর্ব করতাম। তার অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল গরুর হাট, থাপড়ানো রুটি এবং পাট। তবে গরুর হাটটি নদীতে বিলীন হয়েছে। আগের মতো এখন আর ধান, পাটও ওঠে না। এখন ঐতিহ্য বলতে যা আছে, তা হলো থাপড়ানো রুটি।’
ঘিওর হাটে এই থাপড়ানো রুটির ইতিহাস নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলতে থাকে। আমরা খুঁজে ফিরি এর অতীত। ঘিওর হাট তো শুধু বিক্রিবাট্টার জায়গা ছিল না; ছিল সপ্তাহান্তের মিলনমেলা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসত জিনিসপত্র বেচা ও কেনার জন্য। সেখানে ধান-পাট-গরু-ছাগল যেমন থাকত, তেমনি থাকত জিলাপি ও রসগোল্লার সঙ্গে থাপড়ানো রুটি। হাটের যৌবন যেমন অস্তে গেছে, তেমনি কমেছে এখানে রুটির দোকানের সংখ্যা। কমতে কমতে হয়তো একদিন এই থাপড়ানো রুটি থাকবে শুধুই গল্পে। তখনো মানুষ হয়তো এর স্বাদ আর বয়স নিয়ে অলস আড্ডায় মাতামাতি করবে।

থাপড়ানো রুটি! নাম শুনেই কেমন করে ওঠে শরীর। কিন্তু বিষয়টি যে মিথ্যে নয়, সেটাও সত্যি।
মানিকগঞ্জের বেশ পুরোনো ঘিওর হাট। সপ্তাহের প্রতি বুধবার হাট বসে। একসময় দেশের অন্যতম বড় হাট হিসেবে পরিচিত থাকলেও এখন তার শরীরে শুধুই কঙ্কাল। হাটের আকার, আয়তন ও গুরুত্ব—সবই কমে গেছে। তবে রয়ে গেছে এই হাটের ‘ঐতিহ্য’ থাপড়ানো রুটি।
বড় বড় আকারের একেকটি থাপড়ানো রুটির সঙ্গে রসে জবজবে রসগোল্লার স্বাদ একবার হলেও যিনি নিয়েছেন, তিনি মনে রাখবেন পুরো জীবন। এমনটাই দাবি প্রাচীন ঘিওর হাটের এই বিশেষ রুটির কারিগরদের।
হাটের বিকিকিনি শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাটুরেরা সোজা চলে যান থাপড়ানো রুটির গলিতে। সেখানে সারি সারি দোকান। শোনা যায়, হাটের যৌবনকালে এখানে ছিল এক শর বেশি রুটির দোকান। এক দশক আগেও ছিল ৪০টি দোকান। কিন্তু এখন মাত্র পঁচিশেক দোকান অবশিষ্ট আছে। কালের বিবর্তনে দোকানের সংখ্যা কমলেও থাপড়ানো রুটির চাহিদা আর সুনাম এখনো অক্ষুণ্ন। এর প্রমাণ হলো, ঘিওর হাটে যেদিন কোনো বাড়ির অভিভাবক আসেন, সেদিন পরিবারের বাকি সদস্যরা অপেক্ষায় থাকেন এই থাপড়ানো রুটি ও মিষ্টির।

সম্প্রতি এক হাটের দিন, সেই ঐতিহ্য হারানো রুটির গলি ধরে হাঁটছিলাম। আড়চোখে দেখি, কেউ রুটির দোকানে বসে রুটি খাচ্ছেন, কেউ পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন থাপড়ানো রুটি আর মাঝারি আকারের সাদা রসগোল্লা। বেশ ভিড়, চলছে হাঁকডাক আর বেচাকেনা। বাপ-দাদার আমল থেকে চলে আসা রুটির ব্যবসা ধরে রেখেছেন এখানকার দোকানিরা। আগের মতো লাভ না হলেও শত বছরের ব্যবসা ধরে রেখেছেন তাঁরা।
হাটের দিন সকাল থেকে শুরু হয় থাপড়ানো রুটি তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ। রুটি তৈরির কারিগর আর দোকানের দোকানের কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। এই রুটির আরেকটি মজার দিক হলো, এগুলো কেজি দরে কেনা যায়। মূলত যাঁরা বাড়ি নিয়ে যান, তাঁরা এই কেজি দরে রুটি কেনেন।

সাপ্তাহিক হাটের দিন থাপড়ানো রুটির চাহিদা বেশি থাকে। এদিন প্রতিটি দোকান মালিক এক শ থেকে দেড় শ কেজি থাপড়ানো রুটি বিক্রি করেন। আবার কারও কারও বিক্রি ২০০ কেজি। তবে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে এর চাহিদা কিছুটা কম থাকে।
ঘিওরের পার্শ্ববর্তী উপজেলার নাম দৌলতপুর। সেখানকার ধামশ্বর গ্রামের ভুট্টা ব্যবসায়ী লাল মিয়া ঘিওর হাটে এসেছিলেন ৫০ মণ ভুট্টা নিয়ে। সেই ভুট্টা বিক্রির বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে তিনি এসেছেন থাপড়ানো রুটি কিনতে। লাল মিয়া জানালেন, তিনি প্রায় প্রতি বুধবার ঘিওরের হাটে আসেন। বেচাকেনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে থাপড়ানো রুটি খান এবং বাড়ি নিয়ে যান। শিশুরা খুব খুশি হয়। তাঁর স্ত্রীও এই রুটি পছন্দ করেন। এ জন্য দুই শ টাকার থাপড়ানো রুটি আর এক কেজি রসগোল্লা কিনেছেন সেদিন।
রুটির দোকানি জিতেন দাস জানালেন, তাঁর দাদা ও বাবা ঘিওরে এই থাপড়ানো রুটির ব্যবসা করছেন। আর তিনি নিজে সেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ২২ বছর ধরে। থাপড়ানো রুটির চাহিদা ভালো বলেই ধারণা তাঁর। হাটের দিন ৪০-৫০ কেজি রুটি বিক্রি করেন তিনি। লাভ কেমন হয় জানতে চাইলে বলেন, ‘রুটি বেইচা আগের মতো লাভ হয় না।’

হাটের বড় রুটির দোকানটির মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য থাপড়ানো রুটির। খেতে সুস্বাদু, কেজি দরে বিক্রিও করি। রুটির আকার অনুযায়ী ৯০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। প্রতি হাটে দুই শ থেকে আড়াই শ কেজি রুটি আর ২ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়।
বিজয় রুটি-মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি দোকানে চেয়ারে আরাম করে বসে সস্ত্রীক থাপড়ানো রুটি আর মিষ্টি খাচ্ছিলেন মধ্য ষাট বছরের মুনছের মিয়া। তিনি জানান, স্ত্রীর আবদারে এই বয়সেও হাটে এসে থাপড়ানো রুটি আর রসগোল্লা খাচ্ছেন তিনি।
থাপড়ানো রুটি তৈরির এক কারিগর রিপন মিয়া। তিনি জানালেন, থাপড়ানো রুটি ঘিওরের ঐতিহ্য। স্বাদ ও মান ভালো। তাই এ রুটির চাহিদা বেশি। রিপন আরও বললেন, তিনি ৩৭ বছর ধরে এ রুটি বানিয়ে চলেছেন। এই কাজ করে পাওয়া টাকা দিয়েই তিনি পাঁচ সদস্যের সংসার চালান। তিনি দুই মেয়েকে স্কুল ও কলেজে পড়াচ্ছেন। রিপন জানালেন, আগে তিনি প্রতিদিন পেতেন ৩০০ টাকা, এখন রোজ পান ৬৫০ টাকা।
ঘিওর হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ খান পাষাণ। এই হাটের থাপড়ানো রুটির ইতিহাস তিনি কথায় কথায় দুই শ বছর পেছনে নিয়ে যান। পাষাণ বললেন, ‘আমরা একসময় এই হাট নিয়ে গর্ব করতাম। তার অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল গরুর হাট, থাপড়ানো রুটি এবং পাট। তবে গরুর হাটটি নদীতে বিলীন হয়েছে। আগের মতো এখন আর ধান, পাটও ওঠে না। এখন ঐতিহ্য বলতে যা আছে, তা হলো থাপড়ানো রুটি।’
ঘিওর হাটে এই থাপড়ানো রুটির ইতিহাস নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলতে থাকে। আমরা খুঁজে ফিরি এর অতীত। ঘিওর হাট তো শুধু বিক্রিবাট্টার জায়গা ছিল না; ছিল সপ্তাহান্তের মিলনমেলা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসত জিনিসপত্র বেচা ও কেনার জন্য। সেখানে ধান-পাট-গরু-ছাগল যেমন থাকত, তেমনি থাকত জিলাপি ও রসগোল্লার সঙ্গে থাপড়ানো রুটি। হাটের যৌবন যেমন অস্তে গেছে, তেমনি কমেছে এখানে রুটির দোকানের সংখ্যা। কমতে কমতে হয়তো একদিন এই থাপড়ানো রুটি থাকবে শুধুই গল্পে। তখনো মানুষ হয়তো এর স্বাদ আর বয়স নিয়ে অলস আড্ডায় মাতামাতি করবে।

ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।...
২ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার এনার্জি লেভেল একদম ‘ফুল চার্জড ব্যাটারি’র মতো, যা আপনি একটা তুচ্ছ কারণে খরচ করতে প্রস্তুত। অফিসে আজ বসের সঙ্গে চায়ের কাপের রং নিয়ে তর্ক শুরু করতে পারেন। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় যদি দেখেন একটি পিঁপড়া আপনার হাঁটার পথে বাধা দিচ্ছে, তার সঙ্গেও চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগে
গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৪ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র এ কথায় দ্বিমত পোষণ না করলেও এর সঙ্গে একটি কথা ঠিকই যোগ করেছে, তা হলো, রাশিভেদে ত্বকে ব্যবহারের উপাদান ভিন্ন হয়। পৃথিবী সৃষ্টির মৌলিক পাঁচটি উপাদান অর্থাৎ ক্ষিতি বা মাটি, অপ বা পানি, তেজ বা আগুন, মরুত বা বায়ু এবং ব্যোম বা আকাশ—অর্থাৎ স্থান একেকটি রাশির ওপর একেকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।
অন্যদিকে মাটি প্রভাবিত রাশি হলো বৃষ, কন্যা ও মকর। এরা ত্বকে পুষ্টিকর তেল ব্যবহারে সুফল পায় বলে মনে করা হয়। বায়ু প্রভাবিত রাশি তুলা, মিথুন ও কুম্ভ। এদের উচিত ভালো মানের ক্লিনজিং গুণসমৃদ্ধ ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা। কর্কট, মীন ও বৃশ্চিক রাশির ত্বকে পানি খুব প্রয়োজনীয় উপাদান বলে মনে করা হয়। তাদের জন্য হাইড্রেটিং সিরামের মতো উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনে নিন, কোন রাশির জন্য কেমন প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের সুফল বয়ে আনে।

জ্যোতিষশাস্ত্রের উপাদান অনুসারে
অগ্নি রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষদের ত্বক সংবেদনশীল হয়। কারও কারও ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়। তাঁদের ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা জেল, ক্যামোমাইল কিংবা গোলাপের পাপড়ির মতো শান্ত, হাইড্রেটিং, প্রদাহবিরোধী উপাদানের প্রয়োজন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি আপনার গাল, গলা ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া এই কয়েকটি রাশির জন্য আরও একটি ফেসপ্যাক খুব ভালো কাজ করে। সেটি হলো গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে অ্যালোভেরা জেল, মধু বা দুধ মিশিয়ে তৈরি প্যাক। এই প্যাক মুখে লাগানোর পর হালকা শুকিয়ে এলে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষেরা দৈনন্দিন রূপচর্চায় গোলাপজল রাখতে পারেন।
মাটি প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
বৃষ, কন্যা ও মকর রাশির মানুষদের ত্বকে শিয়া বাটার, জিংক, ভিটামিন ‘ই’ খুব জরুরি উপাদান। তাঁদের ত্বক নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করার প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া আর্দ্রতা লক করে এমন ময়শ্চারাইজার ও সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। এই ত্বকের যত্ন নিতে ঘরোয়া উপায়ে স্ক্র্যাব তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। ত্বকের এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে কফি ও চিনি। কফির সূক্ষ্ম দানা ও চিনি একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কফির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ছোট দাগ দূর করে। সমপরিমাণ কফি, চিনি ও সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। চাইলে সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মেশাতে পারেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
বায়ু প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
মিথুন, তুলা ও কুম্ভ রাশির মানুষদের ত্বকের জন্য পটাশিয়াম, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও ফেসমিস্ট অত্যন্ত জরুরি। এই রাশির মানুষদের জন্য পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ফেসপ্যাক জাদুকরী ভূমিকা রাখে। কলা চটকে মধু বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে এদের ত্বক উজ্জ্বল ও আর্দ্র থাকে। টোনার হিসেবে সামান্য ফিটকিরি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ ছোট হয় ও ত্বক টান টান থাকে। তা ছাড়া, ত্বকের অতিরিক্ত লোম দূর করতে আদা ও দুধের মিশ্রণ ত্বকে ব্যবহার করলে বাড়তি লোম দূর হয় এবং ত্বকের পটাশিয়ামের ঘাটতিও পূর্ণ হয়।
বায়ু প্রভাবিত রাশির নারী-পুরুষের সেরা উপাদান
কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির মানুষের ত্বক সংবেদনশীল। তাই সম্ভাব্য শুষ্কতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ত্বকে পানির ভারসাম্য এবং যত্ন প্রয়োজন। এদের ত্বকের জন্য সামুদ্রিক খনিজ, ম্যাংগানিজ ও কোল্ড প্রেসড তেল বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই রাশির ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি খুব ভালো উপাদান হিসেবে বিবেচিত। মুলতানি মাটি ও গোলাপজল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে মেখে রাখুন শুকানো পর্যন্ত। এরপর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। গোলাপজলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র এ কথায় দ্বিমত পোষণ না করলেও এর সঙ্গে একটি কথা ঠিকই যোগ করেছে, তা হলো, রাশিভেদে ত্বকে ব্যবহারের উপাদান ভিন্ন হয়। পৃথিবী সৃষ্টির মৌলিক পাঁচটি উপাদান অর্থাৎ ক্ষিতি বা মাটি, অপ বা পানি, তেজ বা আগুন, মরুত বা বায়ু এবং ব্যোম বা আকাশ—অর্থাৎ স্থান একেকটি রাশির ওপর একেকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।
অন্যদিকে মাটি প্রভাবিত রাশি হলো বৃষ, কন্যা ও মকর। এরা ত্বকে পুষ্টিকর তেল ব্যবহারে সুফল পায় বলে মনে করা হয়। বায়ু প্রভাবিত রাশি তুলা, মিথুন ও কুম্ভ। এদের উচিত ভালো মানের ক্লিনজিং গুণসমৃদ্ধ ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা। কর্কট, মীন ও বৃশ্চিক রাশির ত্বকে পানি খুব প্রয়োজনীয় উপাদান বলে মনে করা হয়। তাদের জন্য হাইড্রেটিং সিরামের মতো উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনে নিন, কোন রাশির জন্য কেমন প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের সুফল বয়ে আনে।

জ্যোতিষশাস্ত্রের উপাদান অনুসারে
অগ্নি রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষদের ত্বক সংবেদনশীল হয়। কারও কারও ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়। তাঁদের ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা জেল, ক্যামোমাইল কিংবা গোলাপের পাপড়ির মতো শান্ত, হাইড্রেটিং, প্রদাহবিরোধী উপাদানের প্রয়োজন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি আপনার গাল, গলা ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া এই কয়েকটি রাশির জন্য আরও একটি ফেসপ্যাক খুব ভালো কাজ করে। সেটি হলো গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে অ্যালোভেরা জেল, মধু বা দুধ মিশিয়ে তৈরি প্যাক। এই প্যাক মুখে লাগানোর পর হালকা শুকিয়ে এলে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষেরা দৈনন্দিন রূপচর্চায় গোলাপজল রাখতে পারেন।
মাটি প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
বৃষ, কন্যা ও মকর রাশির মানুষদের ত্বকে শিয়া বাটার, জিংক, ভিটামিন ‘ই’ খুব জরুরি উপাদান। তাঁদের ত্বক নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করার প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া আর্দ্রতা লক করে এমন ময়শ্চারাইজার ও সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। এই ত্বকের যত্ন নিতে ঘরোয়া উপায়ে স্ক্র্যাব তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। ত্বকের এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে কফি ও চিনি। কফির সূক্ষ্ম দানা ও চিনি একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কফির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ছোট দাগ দূর করে। সমপরিমাণ কফি, চিনি ও সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। চাইলে সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মেশাতে পারেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
বায়ু প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান
মিথুন, তুলা ও কুম্ভ রাশির মানুষদের ত্বকের জন্য পটাশিয়াম, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও ফেসমিস্ট অত্যন্ত জরুরি। এই রাশির মানুষদের জন্য পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ফেসপ্যাক জাদুকরী ভূমিকা রাখে। কলা চটকে মধু বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে এদের ত্বক উজ্জ্বল ও আর্দ্র থাকে। টোনার হিসেবে সামান্য ফিটকিরি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ ছোট হয় ও ত্বক টান টান থাকে। তা ছাড়া, ত্বকের অতিরিক্ত লোম দূর করতে আদা ও দুধের মিশ্রণ ত্বকে ব্যবহার করলে বাড়তি লোম দূর হয় এবং ত্বকের পটাশিয়ামের ঘাটতিও পূর্ণ হয়।
বায়ু প্রভাবিত রাশির নারী-পুরুষের সেরা উপাদান
কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির মানুষের ত্বক সংবেদনশীল। তাই সম্ভাব্য শুষ্কতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ত্বকে পানির ভারসাম্য এবং যত্ন প্রয়োজন। এদের ত্বকের জন্য সামুদ্রিক খনিজ, ম্যাংগানিজ ও কোল্ড প্রেসড তেল বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই রাশির ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি খুব ভালো উপাদান হিসেবে বিবেচিত। মুলতানি মাটি ও গোলাপজল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে মেখে রাখুন শুকানো পর্যন্ত। এরপর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। গোলাপজলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

থাপড়ানো রুটি! মানিকগঞ্জের বেশ পুরোনো ঘিওর হাট। হাটের আকার, আয়তন ও গুরুত্ব—সবই কমে গেছে। তবে রয়ে গেছে এই হাটের ‘ঐতিহ্য’ থাপড়ানো রুটি। বড় বড় আকারের একেকটি থাপড়ানো রুটির সঙ্গে রসে জবজবে রসগোল্লার স্বাদ একবার হলেও যিনি নিয়েছেন, তিনি মনে রাখবেন পুরো জীবন।
২৮ জুলাই ২০২৫
আজ আপনার এনার্জি লেভেল একদম ‘ফুল চার্জড ব্যাটারি’র মতো, যা আপনি একটা তুচ্ছ কারণে খরচ করতে প্রস্তুত। অফিসে আজ বসের সঙ্গে চায়ের কাপের রং নিয়ে তর্ক শুরু করতে পারেন। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় যদি দেখেন একটি পিঁপড়া আপনার হাঁটার পথে বাধা দিচ্ছে, তার সঙ্গেও চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগে
গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৪ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার এনার্জি লেভেল একদম ‘ফুল চার্জড ব্যাটারি’র মতো, যা আপনি একটা তুচ্ছ কারণে খরচ করতে প্রস্তুত। অফিসে আজ বসের সঙ্গে চায়ের কাপের রং নিয়ে তর্ক শুরু করতে পারেন। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় যদি দেখেন একটি পিঁপড়া আপনার হাঁটার পথে বাধা দিচ্ছে, তার সঙ্গেও চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন। সঙ্গী হঠাৎ জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?’ আপনার উত্তর হবে, ‘এখন না, আমি এখন মহাবিশ্বের সঙ্গে লড়াই করছি!’ সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত অ্যাডভেঞ্চারের লোভে আজ ভুলবশত নিজের মোজা জোড়াও উল্টো পরতে পারেন।
বৃষ
আপনার ‘কমফোর্ট জোন’ আজ আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। কর্মক্ষেত্রে আজ এতটাই আরামপ্রিয় হয়ে উঠবেন যে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে থাকতে গিয়ে ভুলবশত দুপুরের ভাতঘুম দিতে পারেন। সহকর্মীরা ভাববেন, আপনি হয়তো গভীর কোনো কৌশলগত চিন্তায় মগ্ন। আজ এমন একটা ডায়েট শুরু করার কথা ভাববেন, যা রাতের বেলা ফ্রায়েড চিকেন দেখে ভুলে যাবেন। অর্থ উপার্জনের প্রতি মনোযোগ আজ থাকবে; তবে সেই অর্থ দিয়ে কী কেনা হবে? অবশ্যই আপনার আরামের জন্য আরও একটি তাকিয়া!
মিথুন
আজ আপনার দুটো সত্তা চরম অস্থিরতায় ভুগছে। সকালে ঠিক করলেন যে আজ থেকে জীবনটা গুছিয়ে নেবেন। বিকেলে ঠিক করলেন, তার চেয়ে বরং গত সপ্তাহের না দেখা সব ওয়েব সিরিজ দেখে ফেলা যাক। কোনো বন্ধুর মেসেজের উত্তর দিতে আপনার পাঁচ মিনিট লাগবে। কারণ, আপনার দুটি মন একই সঙ্গে উত্তর তৈরি করবে, আর কোনটা পাঠাবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগবেন। বস একটি প্রশ্ন করলে আপনি তার উত্তরে একই সঙ্গে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ বলার নতুন কোনো উপায় বের করে ফেলবেন। সবাই ভাববে আপনি খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু আসলে নিজেই জানেন না কী বলতে চেয়েছেন।
কর্কট
আপনার আবেগ আজ এতটাই চঞ্চল যে ঘরের কোণে রাখা পুরোনো একটা খেলনা দেখেও চোখে পানি আসতে পারে। কেউ যদি ভুলবশত ফ্রিজের দরজা খোলা রেখে দেয়, সেটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নিতে পারেন। দিনের শেষে হয়তো পোষা মাছটির সঙ্গে জীবনের গভীরতম রহস্য নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন। আজ রান্নাঘরে সামান্য লবণ বেশি পড়লেও মা-বাবা বা সঙ্গীর কাছে সেটি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ট্র্যাজেডি মনে হতে পারে। তাদের অতিরিক্ত আদর বা অভিমান দেখে আজ আপনার হোমিউইকনেস চরমে উঠবে।
সিংহ
আজ চান যে আপনার প্রতিটি কাজ যেন একটা ‘রেড কার্পেট ইভেন্ট’ হয়। কফি বানালেও চাইবেন যে আশপাশে ১০ জন এসে আপনার কফি তৈরির নৈপুণ্য দেখে যাক। কেউ প্রশংসা না করলে আপনি নিজেই নিজের প্রশংসা করার জন্য নতুন নতুন উপায়ে কথা বলবেন; যেমন ‘জানেন, আমি কাল রাতে স্বপ্ন দেখলাম যে আমিই এই গ্রহের সেরা মানুষ ছিলাম!’ সাবধান! আজ আপনার অহংকার এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে হয়তো আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবির সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার চেষ্টা করবেন।
কন্যা
আজ জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডকে প্ল্যান করে ফেলেছেন, কিন্তু মহাবিশ্বের অন্য পরিকল্পনা আছে। সকালে যখন দাঁত ব্রাশ করার সঠিক কোণটি মাপছেন, ঠিক তখনই দরজার কলিং বেলটা খারাপ হয়ে যাবে। পারফেকশনিজম আজ আপনাকে একটি পেনসিলের ডগায় বসা ধূলিকণা গুনতে প্ররোচিত করতে পারে। হয়তো অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, শুধু এই কারণে যে খাবারটি ‘অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর’ ছিল। আজ নিজেকে একটু ছাড় দিন; সামান্য ভুল হলেও পৃথিবী ধ্বংস হবে না।
তুলা
‘কী করব?’—আজ সারা দিন ধরে এটাই হবে আপনার জীবনের মূলমন্ত্র। আজ ঠিক করতে পারবেন না যে লাল শার্ট পরবেন নাকি নীল শার্ট, নাকি দুটোই একসঙ্গে পরে ফেলবেন! কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দশজনের মতামত নেবেন, তারপর একাদশতম ব্যক্তির মতামত শুনে পুরো সিদ্ধান্তটাই বদলে ফেলবেন। আপনার সঙ্গী জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘কোথায় খেতে যাবে?’ আপনার উত্তর হবে, ‘তুমি যা বলবে! তবে সেটা কি সত্যিই সেরা অপশন?’—ফলাফল: রাত ১০টায় ক্ষুধা নিয়ে ঘরে ফেরা।
বৃশ্চিক
আজ আপনার চোখে সবার গতিবিধিই সন্দেহজনক মনে হবে। সহকর্মী কেন হাসি মুখে কফি খাচ্ছেন? নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে! হয়তো বাথরুমের আয়নায় গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন। কারণ, বিশ্বাস করেন, আপনার প্রতিচ্ছবিও আপনার কাছ থেকে কিছু গোপন করছে। আজ কেউ যদি আপনাকে ‘কেমন আছেন?’ জিজ্ঞেস করে, আপনি তার জবাবে একটা দার্শনিক প্রশ্ন ছুড়ে দেবেন: ‘আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি জানতে চান?’ চারপাশের মানুষজন আপনাকে দেখে ভাববে, আপনি হয়তো কোনো গুপ্তচর।
ধনু
আজ জ্ঞান এতটাই উপচে পড়বে যে বাসে বসে থাকা একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তিকে জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেকচার দিতে শুরু করতে পারেন। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মন আজ আপনাকে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করবে; যেমন রান্না করার সময় মাথায় হেলমেট পরা! মনে মনে আজ আপনি পৃথিবীর সব প্রান্ত ঘুরে ফেললেও বাস্তবে হয়তো পাশের দোকানটিতে যেতেও আলস্য বোধ করবেন। আপনার উচিত এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা; যেমন আজ রাতে শুয়ে পড়ার আগে কালকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ভুলে যাওয়া।
মকর
আজ এতটাই গম্ভীর এবং কর্মঠ থাকবেন যে লোকে ভাববে আপনার হয়তো হাসি নামক মানবীয় অনুভূতিটাই নেই। আপনার জীবনের প্রতিটি কাজই আজ একটি ‘পাঁচ বছরের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা’র অংশ। এমনকি সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময়ও ভাববেন, এই কাজটি দাঁতের স্বাস্থ্যের ওপর কেমন দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। একটি এক টাকার কয়েন রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলে সেটি তুলে নেওয়ার আগে ভাববেন, এই কয়েনটি তোলার জন্য যে সময় খরচ হলো, সেই সময়ে আপনি কত টাকা উপার্জন করতে পারতেন। একটু রিলাক্স করুন! পৃথিবীতে কাজ ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে; যেমন আরও কাজ!
কুম্ভ
আজ হয়তো হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেবেন যে বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধান একমাত্র উড়ন্ত স্কুটার দিয়ে সম্ভব। অফিসে সহকর্মীদের নিয়ে একটি নতুন ‘গোপন সোসাইটি’ তৈরি করতে চাইবেন, যার মূল উদ্দেশ্য হবে পুরোনো কাগজপত্রের সঠিক পুনর্ব্যবহার। বন্ধুরা আপনার কোনো কথাতেই অবাক হবে না। কারণ, তারা জানে যে আপনি তাদের সামনে পরেরবার হয়তো একটি টুথব্রাশকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করবেন। আজ আপনার অদ্ভুত আইডিয়াগুলো আপনাকে হয়তো নোবেল শান্তি পুরস্কার এনে দিতে পারবে না, তবে প্রচুর মনোযোগ এনে দেবে—সেটা নিশ্চিত।
মীন
আজকের দিনটি আপনার জন্য একটি নরম, মেঘলা কম্বলের মতো। কাজের মাঝে হয়তো এমন গভীর দিবাস্বপ্নে তলিয়ে যাবেন যে বস আপনাকে দুবার ডাকলেও আপনি সাড়া দেবেন না। ভাববেন, বস হয়তো আপনার স্বপ্নের জগতের কোনো চরিত্র! আপনি আজ এমন একজনকে দেখে প্রেমে পড়তে পারেন, যিনি আসলে আপনার কল্পনার সৃষ্টি। বাস্তবের সঙ্গে আপনার সংযোগ আজ একটি ঢিলেঢালা সুতার মতো, যা যেকোনো মুহূর্তে ছিঁড়ে যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যাওয়ার আগে নিশ্চিত হন যে প্যান্টের বদলে ভুল করে পায়জামা পরে বের হচ্ছেন কি না।

মেষ
আজ আপনার এনার্জি লেভেল একদম ‘ফুল চার্জড ব্যাটারি’র মতো, যা আপনি একটা তুচ্ছ কারণে খরচ করতে প্রস্তুত। অফিসে আজ বসের সঙ্গে চায়ের কাপের রং নিয়ে তর্ক শুরু করতে পারেন। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় যদি দেখেন একটি পিঁপড়া আপনার হাঁটার পথে বাধা দিচ্ছে, তার সঙ্গেও চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন। সঙ্গী হঠাৎ জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?’ আপনার উত্তর হবে, ‘এখন না, আমি এখন মহাবিশ্বের সঙ্গে লড়াই করছি!’ সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত অ্যাডভেঞ্চারের লোভে আজ ভুলবশত নিজের মোজা জোড়াও উল্টো পরতে পারেন।
বৃষ
আপনার ‘কমফোর্ট জোন’ আজ আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। কর্মক্ষেত্রে আজ এতটাই আরামপ্রিয় হয়ে উঠবেন যে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে থাকতে গিয়ে ভুলবশত দুপুরের ভাতঘুম দিতে পারেন। সহকর্মীরা ভাববেন, আপনি হয়তো গভীর কোনো কৌশলগত চিন্তায় মগ্ন। আজ এমন একটা ডায়েট শুরু করার কথা ভাববেন, যা রাতের বেলা ফ্রায়েড চিকেন দেখে ভুলে যাবেন। অর্থ উপার্জনের প্রতি মনোযোগ আজ থাকবে; তবে সেই অর্থ দিয়ে কী কেনা হবে? অবশ্যই আপনার আরামের জন্য আরও একটি তাকিয়া!
মিথুন
আজ আপনার দুটো সত্তা চরম অস্থিরতায় ভুগছে। সকালে ঠিক করলেন যে আজ থেকে জীবনটা গুছিয়ে নেবেন। বিকেলে ঠিক করলেন, তার চেয়ে বরং গত সপ্তাহের না দেখা সব ওয়েব সিরিজ দেখে ফেলা যাক। কোনো বন্ধুর মেসেজের উত্তর দিতে আপনার পাঁচ মিনিট লাগবে। কারণ, আপনার দুটি মন একই সঙ্গে উত্তর তৈরি করবে, আর কোনটা পাঠাবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগবেন। বস একটি প্রশ্ন করলে আপনি তার উত্তরে একই সঙ্গে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ বলার নতুন কোনো উপায় বের করে ফেলবেন। সবাই ভাববে আপনি খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু আসলে নিজেই জানেন না কী বলতে চেয়েছেন।
কর্কট
আপনার আবেগ আজ এতটাই চঞ্চল যে ঘরের কোণে রাখা পুরোনো একটা খেলনা দেখেও চোখে পানি আসতে পারে। কেউ যদি ভুলবশত ফ্রিজের দরজা খোলা রেখে দেয়, সেটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নিতে পারেন। দিনের শেষে হয়তো পোষা মাছটির সঙ্গে জীবনের গভীরতম রহস্য নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন। আজ রান্নাঘরে সামান্য লবণ বেশি পড়লেও মা-বাবা বা সঙ্গীর কাছে সেটি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ট্র্যাজেডি মনে হতে পারে। তাদের অতিরিক্ত আদর বা অভিমান দেখে আজ আপনার হোমিউইকনেস চরমে উঠবে।
সিংহ
আজ চান যে আপনার প্রতিটি কাজ যেন একটা ‘রেড কার্পেট ইভেন্ট’ হয়। কফি বানালেও চাইবেন যে আশপাশে ১০ জন এসে আপনার কফি তৈরির নৈপুণ্য দেখে যাক। কেউ প্রশংসা না করলে আপনি নিজেই নিজের প্রশংসা করার জন্য নতুন নতুন উপায়ে কথা বলবেন; যেমন ‘জানেন, আমি কাল রাতে স্বপ্ন দেখলাম যে আমিই এই গ্রহের সেরা মানুষ ছিলাম!’ সাবধান! আজ আপনার অহংকার এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে হয়তো আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবির সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার চেষ্টা করবেন।
কন্যা
আজ জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডকে প্ল্যান করে ফেলেছেন, কিন্তু মহাবিশ্বের অন্য পরিকল্পনা আছে। সকালে যখন দাঁত ব্রাশ করার সঠিক কোণটি মাপছেন, ঠিক তখনই দরজার কলিং বেলটা খারাপ হয়ে যাবে। পারফেকশনিজম আজ আপনাকে একটি পেনসিলের ডগায় বসা ধূলিকণা গুনতে প্ররোচিত করতে পারে। হয়তো অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, শুধু এই কারণে যে খাবারটি ‘অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর’ ছিল। আজ নিজেকে একটু ছাড় দিন; সামান্য ভুল হলেও পৃথিবী ধ্বংস হবে না।
তুলা
‘কী করব?’—আজ সারা দিন ধরে এটাই হবে আপনার জীবনের মূলমন্ত্র। আজ ঠিক করতে পারবেন না যে লাল শার্ট পরবেন নাকি নীল শার্ট, নাকি দুটোই একসঙ্গে পরে ফেলবেন! কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দশজনের মতামত নেবেন, তারপর একাদশতম ব্যক্তির মতামত শুনে পুরো সিদ্ধান্তটাই বদলে ফেলবেন। আপনার সঙ্গী জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘কোথায় খেতে যাবে?’ আপনার উত্তর হবে, ‘তুমি যা বলবে! তবে সেটা কি সত্যিই সেরা অপশন?’—ফলাফল: রাত ১০টায় ক্ষুধা নিয়ে ঘরে ফেরা।
বৃশ্চিক
আজ আপনার চোখে সবার গতিবিধিই সন্দেহজনক মনে হবে। সহকর্মী কেন হাসি মুখে কফি খাচ্ছেন? নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে! হয়তো বাথরুমের আয়নায় গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন। কারণ, বিশ্বাস করেন, আপনার প্রতিচ্ছবিও আপনার কাছ থেকে কিছু গোপন করছে। আজ কেউ যদি আপনাকে ‘কেমন আছেন?’ জিজ্ঞেস করে, আপনি তার জবাবে একটা দার্শনিক প্রশ্ন ছুড়ে দেবেন: ‘আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি জানতে চান?’ চারপাশের মানুষজন আপনাকে দেখে ভাববে, আপনি হয়তো কোনো গুপ্তচর।
ধনু
আজ জ্ঞান এতটাই উপচে পড়বে যে বাসে বসে থাকা একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তিকে জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেকচার দিতে শুরু করতে পারেন। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মন আজ আপনাকে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করবে; যেমন রান্না করার সময় মাথায় হেলমেট পরা! মনে মনে আজ আপনি পৃথিবীর সব প্রান্ত ঘুরে ফেললেও বাস্তবে হয়তো পাশের দোকানটিতে যেতেও আলস্য বোধ করবেন। আপনার উচিত এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা; যেমন আজ রাতে শুয়ে পড়ার আগে কালকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ভুলে যাওয়া।
মকর
আজ এতটাই গম্ভীর এবং কর্মঠ থাকবেন যে লোকে ভাববে আপনার হয়তো হাসি নামক মানবীয় অনুভূতিটাই নেই। আপনার জীবনের প্রতিটি কাজই আজ একটি ‘পাঁচ বছরের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা’র অংশ। এমনকি সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময়ও ভাববেন, এই কাজটি দাঁতের স্বাস্থ্যের ওপর কেমন দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। একটি এক টাকার কয়েন রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলে সেটি তুলে নেওয়ার আগে ভাববেন, এই কয়েনটি তোলার জন্য যে সময় খরচ হলো, সেই সময়ে আপনি কত টাকা উপার্জন করতে পারতেন। একটু রিলাক্স করুন! পৃথিবীতে কাজ ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে; যেমন আরও কাজ!
কুম্ভ
আজ হয়তো হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেবেন যে বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধান একমাত্র উড়ন্ত স্কুটার দিয়ে সম্ভব। অফিসে সহকর্মীদের নিয়ে একটি নতুন ‘গোপন সোসাইটি’ তৈরি করতে চাইবেন, যার মূল উদ্দেশ্য হবে পুরোনো কাগজপত্রের সঠিক পুনর্ব্যবহার। বন্ধুরা আপনার কোনো কথাতেই অবাক হবে না। কারণ, তারা জানে যে আপনি তাদের সামনে পরেরবার হয়তো একটি টুথব্রাশকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করবেন। আজ আপনার অদ্ভুত আইডিয়াগুলো আপনাকে হয়তো নোবেল শান্তি পুরস্কার এনে দিতে পারবে না, তবে প্রচুর মনোযোগ এনে দেবে—সেটা নিশ্চিত।
মীন
আজকের দিনটি আপনার জন্য একটি নরম, মেঘলা কম্বলের মতো। কাজের মাঝে হয়তো এমন গভীর দিবাস্বপ্নে তলিয়ে যাবেন যে বস আপনাকে দুবার ডাকলেও আপনি সাড়া দেবেন না। ভাববেন, বস হয়তো আপনার স্বপ্নের জগতের কোনো চরিত্র! আপনি আজ এমন একজনকে দেখে প্রেমে পড়তে পারেন, যিনি আসলে আপনার কল্পনার সৃষ্টি। বাস্তবের সঙ্গে আপনার সংযোগ আজ একটি ঢিলেঢালা সুতার মতো, যা যেকোনো মুহূর্তে ছিঁড়ে যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যাওয়ার আগে নিশ্চিত হন যে প্যান্টের বদলে ভুল করে পায়জামা পরে বের হচ্ছেন কি না।

থাপড়ানো রুটি! মানিকগঞ্জের বেশ পুরোনো ঘিওর হাট। হাটের আকার, আয়তন ও গুরুত্ব—সবই কমে গেছে। তবে রয়ে গেছে এই হাটের ‘ঐতিহ্য’ থাপড়ানো রুটি। বড় বড় আকারের একেকটি থাপড়ানো রুটির সঙ্গে রসে জবজবে রসগোল্লার স্বাদ একবার হলেও যিনি নিয়েছেন, তিনি মনে রাখবেন পুরো জীবন।
২৮ জুলাই ২০২৫
ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।...
২ ঘণ্টা আগে
গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৪ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস এক কেজি, বাঁধাকপি একটা, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা ২ থেকে ৩ পিস করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ করে, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এক টেবিল চামচ করে, জিরাগুঁড়া এক চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ এবং ৫ থেকে ৬টা কাঁচা মরিচ ফালি।
প্রণালি
গরুর মাংস ধুয়ে রাখুন। বাঁধাকপি চিকন করে ভাজির মতো কেটে ধুয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে লালচে করে ভেজে তাতে এলাচি, দারুচিনি ও তেজপাতা দিন। এবার আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সামান্য নেড়ে নিন। অল্প পানি দিয়ে হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে মাংস দিয়ে ঢেকে রান্না করুন কম আঁচে। সেদ্ধ হলে বাঁধাকপি দিয়ে আবারও ঢেকে রান্না করুন। এবার হয়ে এলে জিরা ও গরমমসলার গুঁড়া এবং কাঁচা মরিচের ফালি দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন। রেডি হয়ে গেল বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংস।

গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস এক কেজি, বাঁধাকপি একটা, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা ২ থেকে ৩ পিস করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ করে, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এক টেবিল চামচ করে, জিরাগুঁড়া এক চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা-চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ এবং ৫ থেকে ৬টা কাঁচা মরিচ ফালি।
প্রণালি
গরুর মাংস ধুয়ে রাখুন। বাঁধাকপি চিকন করে ভাজির মতো কেটে ধুয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে লালচে করে ভেজে তাতে এলাচি, দারুচিনি ও তেজপাতা দিন। এবার আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সামান্য নেড়ে নিন। অল্প পানি দিয়ে হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে মাংস দিয়ে ঢেকে রান্না করুন কম আঁচে। সেদ্ধ হলে বাঁধাকপি দিয়ে আবারও ঢেকে রান্না করুন। এবার হয়ে এলে জিরা ও গরমমসলার গুঁড়া এবং কাঁচা মরিচের ফালি দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন। রেডি হয়ে গেল বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংস।

থাপড়ানো রুটি! মানিকগঞ্জের বেশ পুরোনো ঘিওর হাট। হাটের আকার, আয়তন ও গুরুত্ব—সবই কমে গেছে। তবে রয়ে গেছে এই হাটের ‘ঐতিহ্য’ থাপড়ানো রুটি। বড় বড় আকারের একেকটি থাপড়ানো রুটির সঙ্গে রসে জবজবে রসগোল্লার স্বাদ একবার হলেও যিনি নিয়েছেন, তিনি মনে রাখবেন পুরো জীবন।
২৮ জুলাই ২০২৫
ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।...
২ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার এনার্জি লেভেল একদম ‘ফুল চার্জড ব্যাটারি’র মতো, যা আপনি একটা তুচ্ছ কারণে খরচ করতে প্রস্তুত। অফিসে আজ বসের সঙ্গে চায়ের কাপের রং নিয়ে তর্ক শুরু করতে পারেন। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় যদি দেখেন একটি পিঁপড়া আপনার হাঁটার পথে বাধা দিচ্ছে, তার সঙ্গেও চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
শহরের ব্যস্ত জীবনে দৈনন্দিন কাজের সাহায্যের জন্য অনেকে গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরশীল। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বাড়ির জিনিসপত্রের নিরাপত্তা অনেকটা নির্ভর করে কেমন গৃহকর্মী আপনি নিয়োগ দিয়েছেন, তার ওপর। গৃহকর্মী নিয়োগের আগে তার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন কিনা, সেটার ওপরও আপনার নিরাপত্তা অনেকটাই নির্ভর করে। কারণ, তাদের নিয়োগে সামান্য অসতর্কতাও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যেমন কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ছোটখাটো একটা ইন্টারভিউ নেওয়া থেকে শুরু করে জরুরি কিছু কাগজপত্রও সংগ্রহ করা উচিত।
নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন—
জরুরি নথি সংগ্রহে রাখুন
কোনো চাকরিতে নিয়োগের আগে অফিসে যেমন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তেমনি গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমন কিছু কাগজ তাদের কাছ থেকে চেয়ে নিন।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে অন্তত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি রাখুন। অবশ্যই চেহারার সঙ্গে ছবি মিলিয়ে নেবেন। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাম্প্রতিককালে তোলা ছবি চেয়ে নেবেন বা তুলে নেবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে থাকলে প্রয়োজনে আইনগতভাবে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সহজ হয়। এটি দিতে না চাইলে সেই গৃহকর্মীকে নিয়োগ না দেওয়াই নিরাপদ।
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করে নিন
গৃহকর্মীর বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর নিন। সঙ্গে পরিবারের আরও দু-একজনের নম্বর রাখতে পারলে ভালো হয়। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে খোঁজ করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজে বা পরিচিত কাউকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে ঠিকানা যাচাই করে নিন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানকার আশপাশ সম্পর্কেও খোঁজ নিতে পারেন।
কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটা বুঝে নিন
সাধারণত শহরের বাড়িগুলোয় দেখা যায়, একজন গৃহকর্মী একই ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কাজ করে, আশপাশের বিভিন্ন ভবনেও কাজ করে এরা। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ তাদের বাসা সাধারণত পাশাপাশি এলাকাতেই হয়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকার মধ্য়ে তারা কাজ নেয়। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম।
কিন্তু নির্দিষ্ট কারও মাধ্যমে এমন কোনো গৃহকর্মী যদি নিয়োগ দেন, যিনি এলাকার নন, সে ক্ষেত্রে যার মাধ্যমে নিয়োগ দিচ্ছেন তার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরও সংগ্রহে রাখুন। গৃহকর্মী আগে কোথায় কাজ করেছে, কত দিন করেছে, সে সম্পর্কেও তথ্য নিন।
নতুন এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা, কেয়ারটেকার বা পরিচিত প্রতিবেশীর সুপারিশে গৃহকর্মী নেওয়া যেতে পারে। তবে সেখানেও ছবি, পরিচয়পত্র ও শনাক্তকারী ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ জরুরি।
কাজের ধরন, সময় ও বেতন স্পষ্টভাবে ঠিক করুন
কী কাজ করবেন, কত সময় কাজ করবেন, এ বিষয়গুলো শুরুতেই পরিষ্কার না করলে পরে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। অতিরিক্ত কাজ চাপানোর প্রবণতা দ্বন্দ্ব বাড়ায়। মাসিক বেতন, বেতন দেওয়ার তারিখ ও ছুটির বিষয়টি আগেই ঠিক করে নেওয়া জরুরি। অস্পষ্টতা থাকলে কর্মী ও নিয়োগকর্তা—উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যক্তিগত আলমারি নিজেই পরিষ্কার করুন
গৃহকর্মী নিয়োগের সময় স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলুন কোন কোন জিনিস আপনি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এতে একটা স্বাস্থ্যকর সীমারেখা বজায় থাকবে। ব্যক্তিগত ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে এমন ড্রয়ার বা আলমারি নিজ হাতে গোছান ও পরিষ্কার করুন। এতে অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকা যাবে।
সূত্র: বুমার্স ও অন্যান্য

সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
শহরের ব্যস্ত জীবনে দৈনন্দিন কাজের সাহায্যের জন্য অনেকে গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরশীল। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বাড়ির জিনিসপত্রের নিরাপত্তা অনেকটা নির্ভর করে কেমন গৃহকর্মী আপনি নিয়োগ দিয়েছেন, তার ওপর। গৃহকর্মী নিয়োগের আগে তার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন কিনা, সেটার ওপরও আপনার নিরাপত্তা অনেকটাই নির্ভর করে। কারণ, তাদের নিয়োগে সামান্য অসতর্কতাও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যেমন কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ছোটখাটো একটা ইন্টারভিউ নেওয়া থেকে শুরু করে জরুরি কিছু কাগজপত্রও সংগ্রহ করা উচিত।
নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন—
জরুরি নথি সংগ্রহে রাখুন
কোনো চাকরিতে নিয়োগের আগে অফিসে যেমন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তেমনি গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমন কিছু কাগজ তাদের কাছ থেকে চেয়ে নিন।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে অন্তত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি রাখুন। অবশ্যই চেহারার সঙ্গে ছবি মিলিয়ে নেবেন। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাম্প্রতিককালে তোলা ছবি চেয়ে নেবেন বা তুলে নেবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে থাকলে প্রয়োজনে আইনগতভাবে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সহজ হয়। এটি দিতে না চাইলে সেই গৃহকর্মীকে নিয়োগ না দেওয়াই নিরাপদ।
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করে নিন
গৃহকর্মীর বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর নিন। সঙ্গে পরিবারের আরও দু-একজনের নম্বর রাখতে পারলে ভালো হয়। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে খোঁজ করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজে বা পরিচিত কাউকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে ঠিকানা যাচাই করে নিন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানকার আশপাশ সম্পর্কেও খোঁজ নিতে পারেন।
কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটা বুঝে নিন
সাধারণত শহরের বাড়িগুলোয় দেখা যায়, একজন গৃহকর্মী একই ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কাজ করে, আশপাশের বিভিন্ন ভবনেও কাজ করে এরা। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ তাদের বাসা সাধারণত পাশাপাশি এলাকাতেই হয়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকার মধ্য়ে তারা কাজ নেয়। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম।
কিন্তু নির্দিষ্ট কারও মাধ্যমে এমন কোনো গৃহকর্মী যদি নিয়োগ দেন, যিনি এলাকার নন, সে ক্ষেত্রে যার মাধ্যমে নিয়োগ দিচ্ছেন তার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরও সংগ্রহে রাখুন। গৃহকর্মী আগে কোথায় কাজ করেছে, কত দিন করেছে, সে সম্পর্কেও তথ্য নিন।
নতুন এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা, কেয়ারটেকার বা পরিচিত প্রতিবেশীর সুপারিশে গৃহকর্মী নেওয়া যেতে পারে। তবে সেখানেও ছবি, পরিচয়পত্র ও শনাক্তকারী ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ জরুরি।
কাজের ধরন, সময় ও বেতন স্পষ্টভাবে ঠিক করুন
কী কাজ করবেন, কত সময় কাজ করবেন, এ বিষয়গুলো শুরুতেই পরিষ্কার না করলে পরে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। অতিরিক্ত কাজ চাপানোর প্রবণতা দ্বন্দ্ব বাড়ায়। মাসিক বেতন, বেতন দেওয়ার তারিখ ও ছুটির বিষয়টি আগেই ঠিক করে নেওয়া জরুরি। অস্পষ্টতা থাকলে কর্মী ও নিয়োগকর্তা—উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যক্তিগত আলমারি নিজেই পরিষ্কার করুন
গৃহকর্মী নিয়োগের সময় স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলুন কোন কোন জিনিস আপনি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এতে একটা স্বাস্থ্যকর সীমারেখা বজায় থাকবে। ব্যক্তিগত ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে এমন ড্রয়ার বা আলমারি নিজ হাতে গোছান ও পরিষ্কার করুন। এতে অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকা যাবে।
সূত্র: বুমার্স ও অন্যান্য

থাপড়ানো রুটি! মানিকগঞ্জের বেশ পুরোনো ঘিওর হাট। হাটের আকার, আয়তন ও গুরুত্ব—সবই কমে গেছে। তবে রয়ে গেছে এই হাটের ‘ঐতিহ্য’ থাপড়ানো রুটি। বড় বড় আকারের একেকটি থাপড়ানো রুটির সঙ্গে রসে জবজবে রসগোল্লার স্বাদ একবার হলেও যিনি নিয়েছেন, তিনি মনে রাখবেন পুরো জীবন।
২৮ জুলাই ২০২৫
ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।...
২ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার এনার্জি লেভেল একদম ‘ফুল চার্জড ব্যাটারি’র মতো, যা আপনি একটা তুচ্ছ কারণে খরচ করতে প্রস্তুত। অফিসে আজ বসের সঙ্গে চায়ের কাপের রং নিয়ে তর্ক শুরু করতে পারেন। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় যদি দেখেন একটি পিঁপড়া আপনার হাঁটার পথে বাধা দিচ্ছে, তার সঙ্গেও চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগে
গরুর মাংস তো নানাভাবে খেয়েছেন। বাঁধাকপির এই মৌসুমে সেটি দিয়েই রেঁধে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, একটু অন্য রকম খাবারও খাওয়া হবে। আপনাদের জন্য বাঁধাকপি দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
৪ ঘণ্টা আগে