
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি স্থাপনা দুই দিক থেকেই সমৃদ্ধ দেশটি। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, বন্য প্রাণীতে ভরপুর গহিন অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্রসৈকত—কী নেই সেখানে! চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক কম্বোডিয়ার ভ্রমণে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন কিছু ভ্রমণ গন্তব্যের সঙ্গে।
অ্যাংকরের মন্দির
খেমার রাজ্যের রাজধানী ছিল অ্যাংকর। এখানকার মন্দিরগুলোর টানে প্রচুর পর্যটক পাড়ি জমান কম্বোডিয়ায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাংকর ওয়াট। এই কমপ্লেক্সে চমৎকার স্থাপত্য রীতির বেশ কটি মন্দির আছে। মধ্যযুগে জঙ্গল সাফ করে তৈরি করা হয়েছিল মন্দিরগুলো। পাথরে খোদাই করা মুখের অবয়বের জন্য বিখ্যাত বেয়ন মন্দিরটিও আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। তা প্রোমকেও তালিকা থেকে বাদ দিলে চলবে না, নানা খোদাই শোভিত প্রাচীন মন্দিরে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে গাছের মোটা শিকড়-বাকড়।
প্রাচীন খেমারদের স্থাপিত মন্দিরগুলো বিশাল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাই সময় নিয়ে দেখতে হয়। বিশেষ করে বলতে হয় বান্তিয়ায় স্রেই মন্দির, বেং মিয়ালিয়ার ধ্বংসাবশেষ এবং মায়ানশৈলীর পিরামিড মন্দির প্রাসাত থমের কথা।
দক্ষিণের দ্বীপ
থাইল্যান্ড কিংবা ইন্দোনেশিয়ার সৈকতগুলোর মতো এতটা বিখ্যাত না হলেও কম্বোডিয়ার দক্ষিণের দ্বীপগুলোতে আপনার চমৎকার সময় কাটবে। এখানে পর্যটকের চাপও কম। কোহ রং এবং কোহ রং সেনলোয়েম এসব সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত। কোহ সদাচ দ্বীপপুঞ্জ এবং এখনো সে অর্থে উন্নয়নের ছোঁয়া না পাওয়া কোহ কং দ্বীপও আলাদা সময় পাওয়ার দাবি রাখে।
নমপেন
যুদ্ধবিধ্বস্ত অতীতের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা চমৎকার এক শহর কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন। এখানকার বিলাসবহুল সব হোটেল আর মুখরোচক সব খাবারের জন্য বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তিনটি বড় নদীর মিলনস্থলে তৈরি হওয়া শহরটির আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। ফরাসি উপনিবেশ থাকার সময় তৈরি হওয়া বাড়িগুলোও দেখার মতো।
কেমপোত ও কেপ
এই প্রদেশ দুটির অবস্থান পাশাপাশি। কেমপোতে একাকী কম খরচে ভ্রমণে বের হওয়া পর্যটকদের জন্য যেমন হোস্টেলের ব্যবস্থা আছে, তেমনি আছে নদীর ধারের রিসোর্ট ও বিলাসবহুল হোটেল। নদীতে কায়াকিং করতে পারেন। তেমনি সাইকেল ভাড়া করে ঘুরে বেড়াতে পারেন গ্রামীণ জনপদে।
সাগরের তীরে অবস্থিত কেপের আলাদা নাম আছে তার কাঁকড়ার বাজারের জন্য। যারা নিভৃতে প্রকৃতির কাছে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন কেপ ন্যাশনাল পার্ক ও কাছের কোহ তোনসে (রেবিট আইল্যান্ড) এলাকায়।
কার্ডামম পর্বতমালা
কার্ডামম পর্বতমালার ২০ হাজার ৭৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে কার্ডামম রেইনফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ। শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত একটি এলাকা এটি। এই অঞ্চলের স্টাং এরেং উপত্যকা, খানং খার অসমতল ঘাসবহুল জমি, বোতাম সাঁকোর জাতীয় উদ্যানের চমৎকার সব ইকো লজ আর তাতাই বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের জীবজন্তু ও জলপ্রপাত মন্ত্রমুগ্ধ করবে আপনাকে।
সিয়েম রিয়াপ
অ্যাংকরের মন্দিরগুলো প্রবেশপথ হিসেবেই সিয়েম রিয়াপকে অনেক চেনেন। তবে এই শহরটির অসাধারণ একটি ভ্রমণ গন্তব্য হওয়ার জন্য নিজ গুণই যথেষ্ট। এখানকার দুর্দান্ত সব হোটেল, রেস্তোরাঁ আকৃষ্ট করবে আপনাকে। শহর থেকে বেরোলেই তনলে সাপ হ্রদে কয়েকটি ভাসমান গ্রামের দেখা পেয়ে যাবেন।
এখানকার নাইট মার্কেট বা রাতের বাজার, রেশমের খামার, ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের দোকানেরও আলাদা নাম আছে।
মনদালকিরি
এই প্রদেশে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে স্বাগত জানাবে ঢেউখেলানো সবুজ পাহাড়, গহিন অরণ্য ও নানা ধরনের বন্য প্রাণী। এখানকার কেই সেইমা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়ানোর সময় দেখা পেয়ে যেতে পারেন হনুমান, উল্লুক, সাম্বার হরিণ কিংবা বন গরুর। পাহাড়ি এলাকায় বাস করা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনও উপভোগের সুযোগ মিলবে। চোখ জুড়ানো কয়েকটি জলপ্রপাতের জন্যও পরিচিত জায়গাটি।
বেতমবাং
সাংকের নদীর তীরে অবস্থিত বেতমবং শহরে এখানো সেই পুরোনো ফরাসি ঔপনিবেশিক শহরের ছাপ পাবেন। রেস্তোরাঁ, আর্ট গ্যালারি সবকিছুই ফরাসি স্থাপত্যের চিহ্ন। শহর থেকে বেরোলেই চমৎকার কিছু মন্দিরের দেখা পাবেন।
এখানকার বিখ্যাত ব্যাম্বু ট্রেন বা বাঁশের ট্রেনে চড়ার সুযোগও হাতছাড়া করেন না পর্যটকেরা। রেললাইন ধরে ছুটে চলা জিনিসটা দেখলেই চমকে উঠবেন এলাকায় নতুন যে কেউ। ছোট্ট একটা বাঁশের কাঠামোর ওপর বসে আছে ১০-১২ জন। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে অবলীলায় চলে যাচ্ছে অদ্ভুত এই যান। হ্যাঁ, এটিই কম্বোডিয়ার বিখ্যাত বাঁশের ট্রেন বা নরি।
প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দির
প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরটি দাঁড়িয়ে আছে ডাংক্রেক পর্বতমালার ওপরে। খামেরদের তৈরি করা এই মন্দিরটি বিভিন্ন শাসকের সময় সম্প্রসারিত হয়। এটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। মন্দির কমপ্লেক্স থেকে আশপাশের বড় একটি এলাকার বন-পাহাড়ময় শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে।
ক্রাতিয়ে
মেকং নদীতে স্বাদু পানির ইরবাতি ডলফিন দেখার জন্য জায়গাটির আলাদা নাম আছে। নমপেন থেকে উত্তর-পূর্ব কম্বোডিয়া কিংবা লাওসের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বা জংশন হিসেবেও পরিচিতি আছে জায়গাটির। এখান থেকে মেকং নদীতে সূর্য ডোবার দৃশ্যও উপভোগ্য। কাছের কোহ ত্রং দ্বীপে ঘুরে আসার সুযোগটাও হাতছাড়া করা উচিত নয়। ক্রাতিয়ের উত্তর অংশে চমৎকার কিছু হোম স্টে বা ঘরোয়া পরিবেশে থাকার জায়গা পাবেন। ইচ্ছা করলে সাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতে পারেন শহর ও আশপাশের গ্রামে কিংবা নৌকা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন মেকং নদীতে।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি স্থাপনা দুই দিক থেকেই সমৃদ্ধ দেশটি। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, বন্য প্রাণীতে ভরপুর গহিন অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্রসৈকত—কী নেই সেখানে! চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক কম্বোডিয়ার ভ্রমণে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন কিছু ভ্রমণ গন্তব্যের সঙ্গে।
অ্যাংকরের মন্দির
খেমার রাজ্যের রাজধানী ছিল অ্যাংকর। এখানকার মন্দিরগুলোর টানে প্রচুর পর্যটক পাড়ি জমান কম্বোডিয়ায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাংকর ওয়াট। এই কমপ্লেক্সে চমৎকার স্থাপত্য রীতির বেশ কটি মন্দির আছে। মধ্যযুগে জঙ্গল সাফ করে তৈরি করা হয়েছিল মন্দিরগুলো। পাথরে খোদাই করা মুখের অবয়বের জন্য বিখ্যাত বেয়ন মন্দিরটিও আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। তা প্রোমকেও তালিকা থেকে বাদ দিলে চলবে না, নানা খোদাই শোভিত প্রাচীন মন্দিরে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে গাছের মোটা শিকড়-বাকড়।
প্রাচীন খেমারদের স্থাপিত মন্দিরগুলো বিশাল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাই সময় নিয়ে দেখতে হয়। বিশেষ করে বলতে হয় বান্তিয়ায় স্রেই মন্দির, বেং মিয়ালিয়ার ধ্বংসাবশেষ এবং মায়ানশৈলীর পিরামিড মন্দির প্রাসাত থমের কথা।
দক্ষিণের দ্বীপ
থাইল্যান্ড কিংবা ইন্দোনেশিয়ার সৈকতগুলোর মতো এতটা বিখ্যাত না হলেও কম্বোডিয়ার দক্ষিণের দ্বীপগুলোতে আপনার চমৎকার সময় কাটবে। এখানে পর্যটকের চাপও কম। কোহ রং এবং কোহ রং সেনলোয়েম এসব সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত। কোহ সদাচ দ্বীপপুঞ্জ এবং এখনো সে অর্থে উন্নয়নের ছোঁয়া না পাওয়া কোহ কং দ্বীপও আলাদা সময় পাওয়ার দাবি রাখে।
নমপেন
যুদ্ধবিধ্বস্ত অতীতের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা চমৎকার এক শহর কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন। এখানকার বিলাসবহুল সব হোটেল আর মুখরোচক সব খাবারের জন্য বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তিনটি বড় নদীর মিলনস্থলে তৈরি হওয়া শহরটির আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। ফরাসি উপনিবেশ থাকার সময় তৈরি হওয়া বাড়িগুলোও দেখার মতো।
কেমপোত ও কেপ
এই প্রদেশ দুটির অবস্থান পাশাপাশি। কেমপোতে একাকী কম খরচে ভ্রমণে বের হওয়া পর্যটকদের জন্য যেমন হোস্টেলের ব্যবস্থা আছে, তেমনি আছে নদীর ধারের রিসোর্ট ও বিলাসবহুল হোটেল। নদীতে কায়াকিং করতে পারেন। তেমনি সাইকেল ভাড়া করে ঘুরে বেড়াতে পারেন গ্রামীণ জনপদে।
সাগরের তীরে অবস্থিত কেপের আলাদা নাম আছে তার কাঁকড়ার বাজারের জন্য। যারা নিভৃতে প্রকৃতির কাছে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন কেপ ন্যাশনাল পার্ক ও কাছের কোহ তোনসে (রেবিট আইল্যান্ড) এলাকায়।
কার্ডামম পর্বতমালা
কার্ডামম পর্বতমালার ২০ হাজার ৭৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে কার্ডামম রেইনফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ। শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত একটি এলাকা এটি। এই অঞ্চলের স্টাং এরেং উপত্যকা, খানং খার অসমতল ঘাসবহুল জমি, বোতাম সাঁকোর জাতীয় উদ্যানের চমৎকার সব ইকো লজ আর তাতাই বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের জীবজন্তু ও জলপ্রপাত মন্ত্রমুগ্ধ করবে আপনাকে।
সিয়েম রিয়াপ
অ্যাংকরের মন্দিরগুলো প্রবেশপথ হিসেবেই সিয়েম রিয়াপকে অনেক চেনেন। তবে এই শহরটির অসাধারণ একটি ভ্রমণ গন্তব্য হওয়ার জন্য নিজ গুণই যথেষ্ট। এখানকার দুর্দান্ত সব হোটেল, রেস্তোরাঁ আকৃষ্ট করবে আপনাকে। শহর থেকে বেরোলেই তনলে সাপ হ্রদে কয়েকটি ভাসমান গ্রামের দেখা পেয়ে যাবেন।
এখানকার নাইট মার্কেট বা রাতের বাজার, রেশমের খামার, ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের দোকানেরও আলাদা নাম আছে।
মনদালকিরি
এই প্রদেশে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে স্বাগত জানাবে ঢেউখেলানো সবুজ পাহাড়, গহিন অরণ্য ও নানা ধরনের বন্য প্রাণী। এখানকার কেই সেইমা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়ানোর সময় দেখা পেয়ে যেতে পারেন হনুমান, উল্লুক, সাম্বার হরিণ কিংবা বন গরুর। পাহাড়ি এলাকায় বাস করা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনও উপভোগের সুযোগ মিলবে। চোখ জুড়ানো কয়েকটি জলপ্রপাতের জন্যও পরিচিত জায়গাটি।
বেতমবাং
সাংকের নদীর তীরে অবস্থিত বেতমবং শহরে এখানো সেই পুরোনো ফরাসি ঔপনিবেশিক শহরের ছাপ পাবেন। রেস্তোরাঁ, আর্ট গ্যালারি সবকিছুই ফরাসি স্থাপত্যের চিহ্ন। শহর থেকে বেরোলেই চমৎকার কিছু মন্দিরের দেখা পাবেন।
এখানকার বিখ্যাত ব্যাম্বু ট্রেন বা বাঁশের ট্রেনে চড়ার সুযোগও হাতছাড়া করেন না পর্যটকেরা। রেললাইন ধরে ছুটে চলা জিনিসটা দেখলেই চমকে উঠবেন এলাকায় নতুন যে কেউ। ছোট্ট একটা বাঁশের কাঠামোর ওপর বসে আছে ১০-১২ জন। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে অবলীলায় চলে যাচ্ছে অদ্ভুত এই যান। হ্যাঁ, এটিই কম্বোডিয়ার বিখ্যাত বাঁশের ট্রেন বা নরি।
প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দির
প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরটি দাঁড়িয়ে আছে ডাংক্রেক পর্বতমালার ওপরে। খামেরদের তৈরি করা এই মন্দিরটি বিভিন্ন শাসকের সময় সম্প্রসারিত হয়। এটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। মন্দির কমপ্লেক্স থেকে আশপাশের বড় একটি এলাকার বন-পাহাড়ময় শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে।
ক্রাতিয়ে
মেকং নদীতে স্বাদু পানির ইরবাতি ডলফিন দেখার জন্য জায়গাটির আলাদা নাম আছে। নমপেন থেকে উত্তর-পূর্ব কম্বোডিয়া কিংবা লাওসের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বা জংশন হিসেবেও পরিচিতি আছে জায়গাটির। এখান থেকে মেকং নদীতে সূর্য ডোবার দৃশ্যও উপভোগ্য। কাছের কোহ ত্রং দ্বীপে ঘুরে আসার সুযোগটাও হাতছাড়া করা উচিত নয়। ক্রাতিয়ের উত্তর অংশে চমৎকার কিছু হোম স্টে বা ঘরোয়া পরিবেশে থাকার জায়গা পাবেন। ইচ্ছা করলে সাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতে পারেন শহর ও আশপাশের গ্রামে কিংবা নৌকা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন মেকং নদীতে।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি স্থাপনা দুই দিক থেকেই সমৃদ্ধ দেশটি। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, বন্য প্রাণীতে ভরপুর গহিন অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্রসৈকত—কী নেই সেখানে! চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক কম্বোডিয়ার ভ্রমণে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন কিছু ভ্রমণ গন্তব্যের সঙ্গে।
অ্যাংকরের মন্দির
খেমার রাজ্যের রাজধানী ছিল অ্যাংকর। এখানকার মন্দিরগুলোর টানে প্রচুর পর্যটক পাড়ি জমান কম্বোডিয়ায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাংকর ওয়াট। এই কমপ্লেক্সে চমৎকার স্থাপত্য রীতির বেশ কটি মন্দির আছে। মধ্যযুগে জঙ্গল সাফ করে তৈরি করা হয়েছিল মন্দিরগুলো। পাথরে খোদাই করা মুখের অবয়বের জন্য বিখ্যাত বেয়ন মন্দিরটিও আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। তা প্রোমকেও তালিকা থেকে বাদ দিলে চলবে না, নানা খোদাই শোভিত প্রাচীন মন্দিরে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে গাছের মোটা শিকড়-বাকড়।
প্রাচীন খেমারদের স্থাপিত মন্দিরগুলো বিশাল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাই সময় নিয়ে দেখতে হয়। বিশেষ করে বলতে হয় বান্তিয়ায় স্রেই মন্দির, বেং মিয়ালিয়ার ধ্বংসাবশেষ এবং মায়ানশৈলীর পিরামিড মন্দির প্রাসাত থমের কথা।
দক্ষিণের দ্বীপ
থাইল্যান্ড কিংবা ইন্দোনেশিয়ার সৈকতগুলোর মতো এতটা বিখ্যাত না হলেও কম্বোডিয়ার দক্ষিণের দ্বীপগুলোতে আপনার চমৎকার সময় কাটবে। এখানে পর্যটকের চাপও কম। কোহ রং এবং কোহ রং সেনলোয়েম এসব সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত। কোহ সদাচ দ্বীপপুঞ্জ এবং এখনো সে অর্থে উন্নয়নের ছোঁয়া না পাওয়া কোহ কং দ্বীপও আলাদা সময় পাওয়ার দাবি রাখে।
নমপেন
যুদ্ধবিধ্বস্ত অতীতের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা চমৎকার এক শহর কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন। এখানকার বিলাসবহুল সব হোটেল আর মুখরোচক সব খাবারের জন্য বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তিনটি বড় নদীর মিলনস্থলে তৈরি হওয়া শহরটির আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। ফরাসি উপনিবেশ থাকার সময় তৈরি হওয়া বাড়িগুলোও দেখার মতো।
কেমপোত ও কেপ
এই প্রদেশ দুটির অবস্থান পাশাপাশি। কেমপোতে একাকী কম খরচে ভ্রমণে বের হওয়া পর্যটকদের জন্য যেমন হোস্টেলের ব্যবস্থা আছে, তেমনি আছে নদীর ধারের রিসোর্ট ও বিলাসবহুল হোটেল। নদীতে কায়াকিং করতে পারেন। তেমনি সাইকেল ভাড়া করে ঘুরে বেড়াতে পারেন গ্রামীণ জনপদে।
সাগরের তীরে অবস্থিত কেপের আলাদা নাম আছে তার কাঁকড়ার বাজারের জন্য। যারা নিভৃতে প্রকৃতির কাছে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন কেপ ন্যাশনাল পার্ক ও কাছের কোহ তোনসে (রেবিট আইল্যান্ড) এলাকায়।
কার্ডামম পর্বতমালা
কার্ডামম পর্বতমালার ২০ হাজার ৭৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে কার্ডামম রেইনফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ। শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত একটি এলাকা এটি। এই অঞ্চলের স্টাং এরেং উপত্যকা, খানং খার অসমতল ঘাসবহুল জমি, বোতাম সাঁকোর জাতীয় উদ্যানের চমৎকার সব ইকো লজ আর তাতাই বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের জীবজন্তু ও জলপ্রপাত মন্ত্রমুগ্ধ করবে আপনাকে।
সিয়েম রিয়াপ
অ্যাংকরের মন্দিরগুলো প্রবেশপথ হিসেবেই সিয়েম রিয়াপকে অনেক চেনেন। তবে এই শহরটির অসাধারণ একটি ভ্রমণ গন্তব্য হওয়ার জন্য নিজ গুণই যথেষ্ট। এখানকার দুর্দান্ত সব হোটেল, রেস্তোরাঁ আকৃষ্ট করবে আপনাকে। শহর থেকে বেরোলেই তনলে সাপ হ্রদে কয়েকটি ভাসমান গ্রামের দেখা পেয়ে যাবেন।
এখানকার নাইট মার্কেট বা রাতের বাজার, রেশমের খামার, ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের দোকানেরও আলাদা নাম আছে।
মনদালকিরি
এই প্রদেশে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে স্বাগত জানাবে ঢেউখেলানো সবুজ পাহাড়, গহিন অরণ্য ও নানা ধরনের বন্য প্রাণী। এখানকার কেই সেইমা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়ানোর সময় দেখা পেয়ে যেতে পারেন হনুমান, উল্লুক, সাম্বার হরিণ কিংবা বন গরুর। পাহাড়ি এলাকায় বাস করা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনও উপভোগের সুযোগ মিলবে। চোখ জুড়ানো কয়েকটি জলপ্রপাতের জন্যও পরিচিত জায়গাটি।
বেতমবাং
সাংকের নদীর তীরে অবস্থিত বেতমবং শহরে এখানো সেই পুরোনো ফরাসি ঔপনিবেশিক শহরের ছাপ পাবেন। রেস্তোরাঁ, আর্ট গ্যালারি সবকিছুই ফরাসি স্থাপত্যের চিহ্ন। শহর থেকে বেরোলেই চমৎকার কিছু মন্দিরের দেখা পাবেন।
এখানকার বিখ্যাত ব্যাম্বু ট্রেন বা বাঁশের ট্রেনে চড়ার সুযোগও হাতছাড়া করেন না পর্যটকেরা। রেললাইন ধরে ছুটে চলা জিনিসটা দেখলেই চমকে উঠবেন এলাকায় নতুন যে কেউ। ছোট্ট একটা বাঁশের কাঠামোর ওপর বসে আছে ১০-১২ জন। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে অবলীলায় চলে যাচ্ছে অদ্ভুত এই যান। হ্যাঁ, এটিই কম্বোডিয়ার বিখ্যাত বাঁশের ট্রেন বা নরি।
প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দির
প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরটি দাঁড়িয়ে আছে ডাংক্রেক পর্বতমালার ওপরে। খামেরদের তৈরি করা এই মন্দিরটি বিভিন্ন শাসকের সময় সম্প্রসারিত হয়। এটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। মন্দির কমপ্লেক্স থেকে আশপাশের বড় একটি এলাকার বন-পাহাড়ময় শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে।
ক্রাতিয়ে
মেকং নদীতে স্বাদু পানির ইরবাতি ডলফিন দেখার জন্য জায়গাটির আলাদা নাম আছে। নমপেন থেকে উত্তর-পূর্ব কম্বোডিয়া কিংবা লাওসের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বা জংশন হিসেবেও পরিচিতি আছে জায়গাটির। এখান থেকে মেকং নদীতে সূর্য ডোবার দৃশ্যও উপভোগ্য। কাছের কোহ ত্রং দ্বীপে ঘুরে আসার সুযোগটাও হাতছাড়া করা উচিত নয়। ক্রাতিয়ের উত্তর অংশে চমৎকার কিছু হোম স্টে বা ঘরোয়া পরিবেশে থাকার জায়গা পাবেন। ইচ্ছা করলে সাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতে পারেন শহর ও আশপাশের গ্রামে কিংবা নৌকা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন মেকং নদীতে।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি স্থাপনা দুই দিক থেকেই সমৃদ্ধ দেশটি। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, বন্য প্রাণীতে ভরপুর গহিন অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্রসৈকত—কী নেই সেখানে! চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক কম্বোডিয়ার ভ্রমণে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন কিছু ভ্রমণ গন্তব্যের সঙ্গে।
অ্যাংকরের মন্দির
খেমার রাজ্যের রাজধানী ছিল অ্যাংকর। এখানকার মন্দিরগুলোর টানে প্রচুর পর্যটক পাড়ি জমান কম্বোডিয়ায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাংকর ওয়াট। এই কমপ্লেক্সে চমৎকার স্থাপত্য রীতির বেশ কটি মন্দির আছে। মধ্যযুগে জঙ্গল সাফ করে তৈরি করা হয়েছিল মন্দিরগুলো। পাথরে খোদাই করা মুখের অবয়বের জন্য বিখ্যাত বেয়ন মন্দিরটিও আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। তা প্রোমকেও তালিকা থেকে বাদ দিলে চলবে না, নানা খোদাই শোভিত প্রাচীন মন্দিরে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে গাছের মোটা শিকড়-বাকড়।
প্রাচীন খেমারদের স্থাপিত মন্দিরগুলো বিশাল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাই সময় নিয়ে দেখতে হয়। বিশেষ করে বলতে হয় বান্তিয়ায় স্রেই মন্দির, বেং মিয়ালিয়ার ধ্বংসাবশেষ এবং মায়ানশৈলীর পিরামিড মন্দির প্রাসাত থমের কথা।
দক্ষিণের দ্বীপ
থাইল্যান্ড কিংবা ইন্দোনেশিয়ার সৈকতগুলোর মতো এতটা বিখ্যাত না হলেও কম্বোডিয়ার দক্ষিণের দ্বীপগুলোতে আপনার চমৎকার সময় কাটবে। এখানে পর্যটকের চাপও কম। কোহ রং এবং কোহ রং সেনলোয়েম এসব সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত। কোহ সদাচ দ্বীপপুঞ্জ এবং এখনো সে অর্থে উন্নয়নের ছোঁয়া না পাওয়া কোহ কং দ্বীপও আলাদা সময় পাওয়ার দাবি রাখে।
নমপেন
যুদ্ধবিধ্বস্ত অতীতের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা চমৎকার এক শহর কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন। এখানকার বিলাসবহুল সব হোটেল আর মুখরোচক সব খাবারের জন্য বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তিনটি বড় নদীর মিলনস্থলে তৈরি হওয়া শহরটির আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। ফরাসি উপনিবেশ থাকার সময় তৈরি হওয়া বাড়িগুলোও দেখার মতো।
কেমপোত ও কেপ
এই প্রদেশ দুটির অবস্থান পাশাপাশি। কেমপোতে একাকী কম খরচে ভ্রমণে বের হওয়া পর্যটকদের জন্য যেমন হোস্টেলের ব্যবস্থা আছে, তেমনি আছে নদীর ধারের রিসোর্ট ও বিলাসবহুল হোটেল। নদীতে কায়াকিং করতে পারেন। তেমনি সাইকেল ভাড়া করে ঘুরে বেড়াতে পারেন গ্রামীণ জনপদে।
সাগরের তীরে অবস্থিত কেপের আলাদা নাম আছে তার কাঁকড়ার বাজারের জন্য। যারা নিভৃতে প্রকৃতির কাছে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন কেপ ন্যাশনাল পার্ক ও কাছের কোহ তোনসে (রেবিট আইল্যান্ড) এলাকায়।
কার্ডামম পর্বতমালা
কার্ডামম পর্বতমালার ২০ হাজার ৭৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে কার্ডামম রেইনফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ। শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত একটি এলাকা এটি। এই অঞ্চলের স্টাং এরেং উপত্যকা, খানং খার অসমতল ঘাসবহুল জমি, বোতাম সাঁকোর জাতীয় উদ্যানের চমৎকার সব ইকো লজ আর তাতাই বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের জীবজন্তু ও জলপ্রপাত মন্ত্রমুগ্ধ করবে আপনাকে।
সিয়েম রিয়াপ
অ্যাংকরের মন্দিরগুলো প্রবেশপথ হিসেবেই সিয়েম রিয়াপকে অনেক চেনেন। তবে এই শহরটির অসাধারণ একটি ভ্রমণ গন্তব্য হওয়ার জন্য নিজ গুণই যথেষ্ট। এখানকার দুর্দান্ত সব হোটেল, রেস্তোরাঁ আকৃষ্ট করবে আপনাকে। শহর থেকে বেরোলেই তনলে সাপ হ্রদে কয়েকটি ভাসমান গ্রামের দেখা পেয়ে যাবেন।
এখানকার নাইট মার্কেট বা রাতের বাজার, রেশমের খামার, ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের দোকানেরও আলাদা নাম আছে।
মনদালকিরি
এই প্রদেশে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে স্বাগত জানাবে ঢেউখেলানো সবুজ পাহাড়, গহিন অরণ্য ও নানা ধরনের বন্য প্রাণী। এখানকার কেই সেইমা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়ানোর সময় দেখা পেয়ে যেতে পারেন হনুমান, উল্লুক, সাম্বার হরিণ কিংবা বন গরুর। পাহাড়ি এলাকায় বাস করা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনও উপভোগের সুযোগ মিলবে। চোখ জুড়ানো কয়েকটি জলপ্রপাতের জন্যও পরিচিত জায়গাটি।
বেতমবাং
সাংকের নদীর তীরে অবস্থিত বেতমবং শহরে এখানো সেই পুরোনো ফরাসি ঔপনিবেশিক শহরের ছাপ পাবেন। রেস্তোরাঁ, আর্ট গ্যালারি সবকিছুই ফরাসি স্থাপত্যের চিহ্ন। শহর থেকে বেরোলেই চমৎকার কিছু মন্দিরের দেখা পাবেন।
এখানকার বিখ্যাত ব্যাম্বু ট্রেন বা বাঁশের ট্রেনে চড়ার সুযোগও হাতছাড়া করেন না পর্যটকেরা। রেললাইন ধরে ছুটে চলা জিনিসটা দেখলেই চমকে উঠবেন এলাকায় নতুন যে কেউ। ছোট্ট একটা বাঁশের কাঠামোর ওপর বসে আছে ১০-১২ জন। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে অবলীলায় চলে যাচ্ছে অদ্ভুত এই যান। হ্যাঁ, এটিই কম্বোডিয়ার বিখ্যাত বাঁশের ট্রেন বা নরি।
প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দির
প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরটি দাঁড়িয়ে আছে ডাংক্রেক পর্বতমালার ওপরে। খামেরদের তৈরি করা এই মন্দিরটি বিভিন্ন শাসকের সময় সম্প্রসারিত হয়। এটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। মন্দির কমপ্লেক্স থেকে আশপাশের বড় একটি এলাকার বন-পাহাড়ময় শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে।
ক্রাতিয়ে
মেকং নদীতে স্বাদু পানির ইরবাতি ডলফিন দেখার জন্য জায়গাটির আলাদা নাম আছে। নমপেন থেকে উত্তর-পূর্ব কম্বোডিয়া কিংবা লাওসের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বা জংশন হিসেবেও পরিচিতি আছে জায়গাটির। এখান থেকে মেকং নদীতে সূর্য ডোবার দৃশ্যও উপভোগ্য। কাছের কোহ ত্রং দ্বীপে ঘুরে আসার সুযোগটাও হাতছাড়া করা উচিত নয়। ক্রাতিয়ের উত্তর অংশে চমৎকার কিছু হোম স্টে বা ঘরোয়া পরিবেশে থাকার জায়গা পাবেন। ইচ্ছা করলে সাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতে পারেন শহর ও আশপাশের গ্রামে কিংবা নৌকা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন মেকং নদীতে।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল

শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে...
৯ মিনিট আগে
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
২ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
৪ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে...
৬ ঘণ্টা আগেবিভাবরী রায়

শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে, না কিনলেই বরং অপরাধবোধ হয়!
শীতের চাদরের আবেদন সব সময় ছিল। আগে সেগুলো শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে পরতেন মেয়েরা। আর এখন পরছেন জিনস টপসের সঙ্গে। তবে কখন কালার ম্যাচিং এবং কখন কালার কনট্রাস্ট করে পরতে হবে, তা মনে রাখতে হবে। কীভাবে পরবেন, তা নির্ভর করে কোথায় যাচ্ছেন এবং নিজে কতটা ক্যারি করতে পারছেন, তার ওপর। সৌমিক দাস, প্রধান নির্বাহী, রঙ বাংলাদেশ
শীতে স্টাইলিংয়ের জন্য চাদরের তুলনা হয় না। একসময় চাদরের জমিনে ফুটিয়ে তোলা হতো বিভিন্ন নকশা। এখন ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ফ্যাশন ডিজাইনাররাই সেগুলো নকশাদার করে তুলছেন। তৈরি করছেন বিভিন্ন থিমেটিক নকশার চাদরও। নকশাদার ও থিমেটিক এসব চাদর শাড়ি, কুর্তি, টপস, সিঙ্গেল কামিজ, সালোয়ার-কামিজ—সবকিছুর সঙ্গে পরা যায়। কিন্তু কোন পোশাকের সঙ্গে কোন চাদর কীভাবে পরবেন, সেটাও তো জেনে রাখা প্রয়োজন।
শীতে ভ্রমণ, বনভোজন, সকালে রোদ পোহাতে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারগুলো চলতেই থাকে। একেক জায়গায় একেকভাবে চাদর পরা জরুরি। অর্থাৎ সব জায়গায় একইভাবে চাদর পরা যাবে না।
শাড়ির সঙ্গে
শাড়ির সঙ্গে চাদর স্টাইলিং করার খুব বেশি উপায় নেই। হয় গায়ে জড়িয়ে পরা, নয়তো এক কাঁধের ওপর ফেলে রাখা। সেই ফেলে রাখা গুছিয়েও হতে পারে আবার ছেড়ে দিয়েও হতে পারে। যে ক্যারিশমা করতে পারেন, তা হলো একরঙা শাড়ির সঙ্গে ছাপা ও জ্যামিতিক প্যাটার্নের উজ্জ্বল রঙের মিলমিশ রয়েছে এমন চাদর পরুন।

লুজ ডেনিম প্যান্টের সঙ্গে
লুজ ডেনিম প্যান্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। ডেনিম প্যান্টের ওপর ক্রপ টি-শার্ট পরলেও কিন্তু গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন চাদর। ডেনিমের ওপর জড়িয়ে নিতে পারেন উলের সুতায় বোনা, তসরের কিংবা সিনথেটিক সুতায় বোনা চাদর, সিল্কের চাদর, অ্যান্ডি চাদর অথবা ডুপিয়ান কাপড়ের চাদর। গলায় স্কার্ফের মতো জড়িয়ে হোক বা পুরো গা ঢেকে, দিব্যি বেরিয়ে পরতে পারেন ডেনিমের সঙ্গে চাদর পরে।
কামিজের সঙ্গে
একটু স্টাইলিশভাবে পরতে প্রথমে চাদর গলায় ঝোলান। চাদরের শেষ দুই মাথা একসঙ্গে গিঁট দিয়ে নিন। বড়সড় যে লুপটি তৈরি হলো, তা গলায় পরুন। গিঁটের অংশটি কাঁধের পেছনে থাকবে। এবার টুইস্ট করে দুই বা তিন স্তরে গলায় পরুন এবং প্রয়োজনমতো ছড়িয়ে নিন। যাতে এলোমেলো না হয়ে যায়। সেটা ঠেকাতে গিঁটের সঙ্গে ব্রোচ পিনআপ করে নিতে পারেন।
আরও যেভাবে পরতে পারেন

এলিগ্যান্ট স্টাইলের জন্য
অভিজাত লুক পেতে বেছে নিতে পারেন ইউনিক বো স্টাইল। এ স্টাইলের জন্য পাতলা চাদর বেছে নিতে পারেন। কাঁধের দুই পাশে ঝোলানো চাদরের এক প্রান্ত বড় ও অন্য প্রান্তটি ছোট রাখুন। এবার বড় প্রান্তটির শেষ মাথা থেকে ওপরের দিকে লুপ তৈরি করুন। এরপর লুপের মাঝ বরাবর ধরে অন্য প্রান্ত দিয়ে পেঁচিয়ে টাইট করে নিন।
আউটিংয়ে ঝলমলে দেখাতে
একটু ঝলমলে আউটলুক পেতে উজ্জ্বল রঙের শাল বেছে নিতে পারেন। ওজনে হালকা ও উজ্জ্বল প্রিন্টের চাদর আর কুল টোনের কামিজ বা একরঙা টি-শার্ট চটজলদি অভিজাত লুক দেবে। উজ্জ্বল রঙের প্রিন্টের চাদর সাদামাটা শার্ট বা টপসকেও অভিজাত লুকে বদলে দেয়।
বোহিমিয়ান স্টাইল
বোহিমিয়ান স্টাইলে শাল বা চাদর পরতে গলায় দুই প্যাঁচে জড়িয়ে বাঁ পাশের প্রান্তের এক কোনা ডান দিকে চাদরের গলার অংশের সঙ্গে পিনআপ করে নিন। অন্য প্রান্তটি থাকবে ছড়ানো প্রান্তের নিচে।

কোথায় পাবেন এসব চাদর
প্রায় সব ফ্যাশন হাউস বিভিন্ন ধরনের চাদর বিক্রি করে। অনেক অনলাইন পেজও এগুলো বিক্রি করে। কোনো কোনো পেজ পছন্দমতো চাদর তৈরিও করে দেয়। প্রতিটি জেলা শহরের সুপারমার্কেটে বা যেকোনো শপিং মলে খুঁজলে পাওয়া যাবে পছন্দের চাদর।
ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে, না কিনলেই বরং অপরাধবোধ হয়!
শীতের চাদরের আবেদন সব সময় ছিল। আগে সেগুলো শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে পরতেন মেয়েরা। আর এখন পরছেন জিনস টপসের সঙ্গে। তবে কখন কালার ম্যাচিং এবং কখন কালার কনট্রাস্ট করে পরতে হবে, তা মনে রাখতে হবে। কীভাবে পরবেন, তা নির্ভর করে কোথায় যাচ্ছেন এবং নিজে কতটা ক্যারি করতে পারছেন, তার ওপর। সৌমিক দাস, প্রধান নির্বাহী, রঙ বাংলাদেশ
শীতে স্টাইলিংয়ের জন্য চাদরের তুলনা হয় না। একসময় চাদরের জমিনে ফুটিয়ে তোলা হতো বিভিন্ন নকশা। এখন ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ফ্যাশন ডিজাইনাররাই সেগুলো নকশাদার করে তুলছেন। তৈরি করছেন বিভিন্ন থিমেটিক নকশার চাদরও। নকশাদার ও থিমেটিক এসব চাদর শাড়ি, কুর্তি, টপস, সিঙ্গেল কামিজ, সালোয়ার-কামিজ—সবকিছুর সঙ্গে পরা যায়। কিন্তু কোন পোশাকের সঙ্গে কোন চাদর কীভাবে পরবেন, সেটাও তো জেনে রাখা প্রয়োজন।
শীতে ভ্রমণ, বনভোজন, সকালে রোদ পোহাতে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারগুলো চলতেই থাকে। একেক জায়গায় একেকভাবে চাদর পরা জরুরি। অর্থাৎ সব জায়গায় একইভাবে চাদর পরা যাবে না।
শাড়ির সঙ্গে
শাড়ির সঙ্গে চাদর স্টাইলিং করার খুব বেশি উপায় নেই। হয় গায়ে জড়িয়ে পরা, নয়তো এক কাঁধের ওপর ফেলে রাখা। সেই ফেলে রাখা গুছিয়েও হতে পারে আবার ছেড়ে দিয়েও হতে পারে। যে ক্যারিশমা করতে পারেন, তা হলো একরঙা শাড়ির সঙ্গে ছাপা ও জ্যামিতিক প্যাটার্নের উজ্জ্বল রঙের মিলমিশ রয়েছে এমন চাদর পরুন।

লুজ ডেনিম প্যান্টের সঙ্গে
লুজ ডেনিম প্যান্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। ডেনিম প্যান্টের ওপর ক্রপ টি-শার্ট পরলেও কিন্তু গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন চাদর। ডেনিমের ওপর জড়িয়ে নিতে পারেন উলের সুতায় বোনা, তসরের কিংবা সিনথেটিক সুতায় বোনা চাদর, সিল্কের চাদর, অ্যান্ডি চাদর অথবা ডুপিয়ান কাপড়ের চাদর। গলায় স্কার্ফের মতো জড়িয়ে হোক বা পুরো গা ঢেকে, দিব্যি বেরিয়ে পরতে পারেন ডেনিমের সঙ্গে চাদর পরে।
কামিজের সঙ্গে
একটু স্টাইলিশভাবে পরতে প্রথমে চাদর গলায় ঝোলান। চাদরের শেষ দুই মাথা একসঙ্গে গিঁট দিয়ে নিন। বড়সড় যে লুপটি তৈরি হলো, তা গলায় পরুন। গিঁটের অংশটি কাঁধের পেছনে থাকবে। এবার টুইস্ট করে দুই বা তিন স্তরে গলায় পরুন এবং প্রয়োজনমতো ছড়িয়ে নিন। যাতে এলোমেলো না হয়ে যায়। সেটা ঠেকাতে গিঁটের সঙ্গে ব্রোচ পিনআপ করে নিতে পারেন।
আরও যেভাবে পরতে পারেন

এলিগ্যান্ট স্টাইলের জন্য
অভিজাত লুক পেতে বেছে নিতে পারেন ইউনিক বো স্টাইল। এ স্টাইলের জন্য পাতলা চাদর বেছে নিতে পারেন। কাঁধের দুই পাশে ঝোলানো চাদরের এক প্রান্ত বড় ও অন্য প্রান্তটি ছোট রাখুন। এবার বড় প্রান্তটির শেষ মাথা থেকে ওপরের দিকে লুপ তৈরি করুন। এরপর লুপের মাঝ বরাবর ধরে অন্য প্রান্ত দিয়ে পেঁচিয়ে টাইট করে নিন।
আউটিংয়ে ঝলমলে দেখাতে
একটু ঝলমলে আউটলুক পেতে উজ্জ্বল রঙের শাল বেছে নিতে পারেন। ওজনে হালকা ও উজ্জ্বল প্রিন্টের চাদর আর কুল টোনের কামিজ বা একরঙা টি-শার্ট চটজলদি অভিজাত লুক দেবে। উজ্জ্বল রঙের প্রিন্টের চাদর সাদামাটা শার্ট বা টপসকেও অভিজাত লুকে বদলে দেয়।
বোহিমিয়ান স্টাইল
বোহিমিয়ান স্টাইলে শাল বা চাদর পরতে গলায় দুই প্যাঁচে জড়িয়ে বাঁ পাশের প্রান্তের এক কোনা ডান দিকে চাদরের গলার অংশের সঙ্গে পিনআপ করে নিন। অন্য প্রান্তটি থাকবে ছড়ানো প্রান্তের নিচে।

কোথায় পাবেন এসব চাদর
প্রায় সব ফ্যাশন হাউস বিভিন্ন ধরনের চাদর বিক্রি করে। অনেক অনলাইন পেজও এগুলো বিক্রি করে। কোনো কোনো পেজ পছন্দমতো চাদর তৈরিও করে দেয়। প্রতিটি জেলা শহরের সুপারমার্কেটে বা যেকোনো শপিং মলে খুঁজলে পাওয়া যাবে পছন্দের চাদর।
ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি স্থাপনা দুই দিক থেকেই সমৃদ্ধ দেশটি। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, বন্য প্রাণীতে ভরপুর গহিন অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্রসৈকত—কী নেই সেখানে! চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক কম্বোডিয়ার ভ্রমণে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন কিছু ভ্রম
২৬ অক্টোবর ২০২৩
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
২ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
৪ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

২০২৬ সাল আমাদের দোরগোড়ায়। নতুন বছর মানেই নিজের উন্নতির জন্য নতুন সব পরিকল্পনা। কিন্তু এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।
বর্জ্য নিয়ে নতুন করে ভাবুন
আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট সমন্বয় বর্জ্য কমাতে বিশাল ভূমিকা রাখে।

যাতায়াতে আনুন পরিবর্তন

যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া কার্বন নিঃসরণের অন্যতম প্রধান কারণ। আপনি গাড়ি যত কম চালাবেন, পৃথিবী তত বেশি শ্বাস নিতে পারবে। বাস, ট্রেন বা সাবওয়ে ব্যবহার আপনার কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক কমিয়ে দেয়। ছোট যাত্রায় গাড়ির বদলে বিকল্প পথ বেছে নিলে বায়ুদূষণ কমে, যানজট হ্রাস পায় এবং আপনার ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক নিচে নেমে আসে। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। দূরে কোথাও যাওয়ার বদলে নিজের এলাকার আশপাশে ঘুরুন বা বন্ধুর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে কিংবা আপনার বাড়িতেই ছুটি কাটান। এই সময়ে দৈনন্দিন বিরক্তিকর কাজগুলো থেকে ছুটি নিয়ে নিজের এলাকার অচেনা জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন। এতে একটি দীর্ঘ বিমানযাত্রা বা ক্লান্তিকর সফর থেকে পরিবেশ বেঁচে যাবে। এতে বিমান বা দীর্ঘ সফরের দূষণ কমবে।
খাদ্যাভ্যাসে আনুন টেকসই ধারা
আপনার খাবার প্লেটের সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেয় পরিবেশের ভবিষ্যৎ। প্লেটে নিরামিষ বা প্ল্যান্টবেজড রেসিপি, যেমন মসুর ডাল বা কাজু-পান্তা মাংসের তুলনায় অনেক কম কার্বন নিঃসরণ করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন বা দুই দিন মাংস ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। সব সময় স্থানীয় খামারে উৎপাদিত এবং মৌসুমি ফল ও সবজি কেনার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকে মোড়ানো সবজি এড়িয়ে খোলা সবজি কিনুন। খাবারের অপচয় রোধে আগে থেকেই মিল প্ল্যানিং করুন। এটি আপনাকে বাইরের প্লাস্টিক মোড়ানো খাবারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে।

ঘরে শক্তি সাশ্রয় করুন
বিদ্যুৎ সাশ্রয় আপনার পকেটের পাশাপাশি পৃথিবীরও উপকার করে। অনেক সময় যন্ত্র বন্ধ থাকলেও প্লাগ লাগানো থাকলে বিদ্যুৎ খরচ হয়। কাজ শেষে প্লাগ খুলে রাখুন। হ্যালোজেন বাল্বের বদলে এলইডি ব্যবহার করুন। নতুন কোনো যন্ত্র কেনার আগে সেটির এনার্জি রেটিং দেখে নিন। পুরোনো যন্ত্র বদলে এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন কিনুন। স্মার্ট মিটার ব্যবহার করুন, যা আপনার বিদ্যুৎ খরচের ধরন বুঝতে এবং সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে। বাড়িতে সোলার প্যানেল বা এয়ার সোর্স হিট পাম্প লাগানোর কথা ভাবতে পারেন।
পানি সংরক্ষণ ও বনায়ন
পানি জীবন হলেও আমাদের অপচয়ের কারণে এটি ক্রমেই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। লো-ফ্লো ফাউসেট বা শাওয়ার ফিক্সচার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় লোড পূর্ণ হলে তবেই মেশিন চালান। নিজের জানালার পাশে বা বারান্দায় টমেটো বা হার্বস চাষ শুরু করুন। ঘরোয়া উদ্ভিদের কাটিং থেকে নতুন চারা তৈরি করে বন্ধুদের উপহার দিন। বাড়িতে কম্পোস্টিং শুরু করলে তা আপনার গাছের পুষ্টি জোগাবে এবং বর্জ্য কমাবে।
একা লড়াই করার চেয়ে দলগত কাজ বেশি কার্যকর। আপনি চাইলে স্থানীয় কোনো ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। তাদের সঙ্গে এলাকা পরিষ্কার করা বা পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নিন। ২০২৬ সাল হোক আমাদের সচেতনতার বছর। আপনার ছোট একটি পদক্ষেপই পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। শুরুটা হোক আজ থেকেই!
সূত্র: ইকোমিনা, গুড এনার্জি

২০২৬ সাল আমাদের দোরগোড়ায়। নতুন বছর মানেই নিজের উন্নতির জন্য নতুন সব পরিকল্পনা। কিন্তু এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।
বর্জ্য নিয়ে নতুন করে ভাবুন
আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট সমন্বয় বর্জ্য কমাতে বিশাল ভূমিকা রাখে।

যাতায়াতে আনুন পরিবর্তন

যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া কার্বন নিঃসরণের অন্যতম প্রধান কারণ। আপনি গাড়ি যত কম চালাবেন, পৃথিবী তত বেশি শ্বাস নিতে পারবে। বাস, ট্রেন বা সাবওয়ে ব্যবহার আপনার কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক কমিয়ে দেয়। ছোট যাত্রায় গাড়ির বদলে বিকল্প পথ বেছে নিলে বায়ুদূষণ কমে, যানজট হ্রাস পায় এবং আপনার ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক নিচে নেমে আসে। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। দূরে কোথাও যাওয়ার বদলে নিজের এলাকার আশপাশে ঘুরুন বা বন্ধুর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে কিংবা আপনার বাড়িতেই ছুটি কাটান। এই সময়ে দৈনন্দিন বিরক্তিকর কাজগুলো থেকে ছুটি নিয়ে নিজের এলাকার অচেনা জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন। এতে একটি দীর্ঘ বিমানযাত্রা বা ক্লান্তিকর সফর থেকে পরিবেশ বেঁচে যাবে। এতে বিমান বা দীর্ঘ সফরের দূষণ কমবে।
খাদ্যাভ্যাসে আনুন টেকসই ধারা
আপনার খাবার প্লেটের সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেয় পরিবেশের ভবিষ্যৎ। প্লেটে নিরামিষ বা প্ল্যান্টবেজড রেসিপি, যেমন মসুর ডাল বা কাজু-পান্তা মাংসের তুলনায় অনেক কম কার্বন নিঃসরণ করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন বা দুই দিন মাংস ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। সব সময় স্থানীয় খামারে উৎপাদিত এবং মৌসুমি ফল ও সবজি কেনার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকে মোড়ানো সবজি এড়িয়ে খোলা সবজি কিনুন। খাবারের অপচয় রোধে আগে থেকেই মিল প্ল্যানিং করুন। এটি আপনাকে বাইরের প্লাস্টিক মোড়ানো খাবারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে।

ঘরে শক্তি সাশ্রয় করুন
বিদ্যুৎ সাশ্রয় আপনার পকেটের পাশাপাশি পৃথিবীরও উপকার করে। অনেক সময় যন্ত্র বন্ধ থাকলেও প্লাগ লাগানো থাকলে বিদ্যুৎ খরচ হয়। কাজ শেষে প্লাগ খুলে রাখুন। হ্যালোজেন বাল্বের বদলে এলইডি ব্যবহার করুন। নতুন কোনো যন্ত্র কেনার আগে সেটির এনার্জি রেটিং দেখে নিন। পুরোনো যন্ত্র বদলে এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন কিনুন। স্মার্ট মিটার ব্যবহার করুন, যা আপনার বিদ্যুৎ খরচের ধরন বুঝতে এবং সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে। বাড়িতে সোলার প্যানেল বা এয়ার সোর্স হিট পাম্প লাগানোর কথা ভাবতে পারেন।
পানি সংরক্ষণ ও বনায়ন
পানি জীবন হলেও আমাদের অপচয়ের কারণে এটি ক্রমেই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। লো-ফ্লো ফাউসেট বা শাওয়ার ফিক্সচার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় লোড পূর্ণ হলে তবেই মেশিন চালান। নিজের জানালার পাশে বা বারান্দায় টমেটো বা হার্বস চাষ শুরু করুন। ঘরোয়া উদ্ভিদের কাটিং থেকে নতুন চারা তৈরি করে বন্ধুদের উপহার দিন। বাড়িতে কম্পোস্টিং শুরু করলে তা আপনার গাছের পুষ্টি জোগাবে এবং বর্জ্য কমাবে।
একা লড়াই করার চেয়ে দলগত কাজ বেশি কার্যকর। আপনি চাইলে স্থানীয় কোনো ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। তাদের সঙ্গে এলাকা পরিষ্কার করা বা পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নিন। ২০২৬ সাল হোক আমাদের সচেতনতার বছর। আপনার ছোট একটি পদক্ষেপই পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। শুরুটা হোক আজ থেকেই!
সূত্র: ইকোমিনা, গুড এনার্জি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি স্থাপনা দুই দিক থেকেই সমৃদ্ধ দেশটি। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, বন্য প্রাণীতে ভরপুর গহিন অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্রসৈকত—কী নেই সেখানে! চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক কম্বোডিয়ার ভ্রমণে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন কিছু ভ্রম
২৬ অক্টোবর ২০২৩
শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে...
৯ মিনিট আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
৪ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব দূর করতে কত কীই-না করি আমরা। যতবার হাত ধোয়া হচ্ছে, ততবারই ময়শ্চারাইজার না মাখলে হাত খসখসে হয়ে উঠছে। ময়শ্চারাইজার মাখার পরও কিছুক্ষণ বাদে বাদে রিঅ্যাপ্লাই করতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ঠান্ডা নাকি আরও বাড়বে। ফলে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চিন্তায় এখনই কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। বয়স যত বেশি, ত্বকের আর্দ্রতা তত কম থাকে এই ঋতুতে। এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার। ঘি, আমলকী, বাদাম, টমেটো, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার খেলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। ফলে ত্বক পরিপুষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জেল্লা ছড়ায়। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি যেসব খাবার খাবেন
খাঁটি ঘি
প্রতিদিন অন্তত এক চা-চামচ ঘি খান। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এগুলো খেলে শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকও পরিপুষ্ট হবে। ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে ঘি। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে না।
সালাদে টমেটো রাখুন
শীতে বাজারে যে টমেটো পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে। এ ছাড়া এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সহায়তা করে।

আমলকী
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত রাখে ভিটামিন সি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি একাই পূরণ করতে পারে আমলকী। এই ছোট্ট ফল নিয়মিত খেলে তা কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্র ভাব এবং টান টান ভাব বজায় রাখার জন্য এই কোলাজেন বেশি জরুরি।
তিল
এই শীতে তিলের নাড়ু, হালুয়া, ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন। এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। তিলে থাকা জিংক ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজড রাখে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি ত্বক কোমল ও হাড় মজবুত রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া দরকার। তবে এই মাছ রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
কাঠবাদাম ও আখরোট
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৬টি ভেজানো কাঠবাদাম খান। এতে ত্বক সুন্দর থাকবে। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ত্বকের কোষ ভালো রাখে। কাঠবাদাম ছাড়াও খেতে পারেন আখরোট। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড; যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে, টক্সিনকে ত্বকের ক্ষতি করতে দেয় না।
বিটরুট
বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি লিটার বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।
টক দই
ত্বকের জন্য যত ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্য়ে প্রোবায়োটিকস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিকস হিসেবে টক দই খুব ভালো ও সহজলভ্য একটি খাবার। এতে রয়েছে পেটের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রে পৌঁছে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে ত্বকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় টক দই রাখলে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব বজায় থাকে। ফলে শীতকালে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা নিয়ে বাড়তি ভাবনা থাকে না।

শীতে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব দূর করতে কত কীই-না করি আমরা। যতবার হাত ধোয়া হচ্ছে, ততবারই ময়শ্চারাইজার না মাখলে হাত খসখসে হয়ে উঠছে। ময়শ্চারাইজার মাখার পরও কিছুক্ষণ বাদে বাদে রিঅ্যাপ্লাই করতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ঠান্ডা নাকি আরও বাড়বে। ফলে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চিন্তায় এখনই কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। বয়স যত বেশি, ত্বকের আর্দ্রতা তত কম থাকে এই ঋতুতে। এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার। ঘি, আমলকী, বাদাম, টমেটো, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার খেলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। ফলে ত্বক পরিপুষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জেল্লা ছড়ায়। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি যেসব খাবার খাবেন
খাঁটি ঘি
প্রতিদিন অন্তত এক চা-চামচ ঘি খান। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এগুলো খেলে শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকও পরিপুষ্ট হবে। ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে ঘি। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে না।
সালাদে টমেটো রাখুন
শীতে বাজারে যে টমেটো পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে। এ ছাড়া এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সহায়তা করে।

আমলকী
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত রাখে ভিটামিন সি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি একাই পূরণ করতে পারে আমলকী। এই ছোট্ট ফল নিয়মিত খেলে তা কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্র ভাব এবং টান টান ভাব বজায় রাখার জন্য এই কোলাজেন বেশি জরুরি।
তিল
এই শীতে তিলের নাড়ু, হালুয়া, ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন। এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। তিলে থাকা জিংক ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজড রাখে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি ত্বক কোমল ও হাড় মজবুত রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া দরকার। তবে এই মাছ রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
কাঠবাদাম ও আখরোট
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৬টি ভেজানো কাঠবাদাম খান। এতে ত্বক সুন্দর থাকবে। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ত্বকের কোষ ভালো রাখে। কাঠবাদাম ছাড়াও খেতে পারেন আখরোট। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড; যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে, টক্সিনকে ত্বকের ক্ষতি করতে দেয় না।
বিটরুট
বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি লিটার বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।
টক দই
ত্বকের জন্য যত ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্য়ে প্রোবায়োটিকস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিকস হিসেবে টক দই খুব ভালো ও সহজলভ্য একটি খাবার। এতে রয়েছে পেটের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রে পৌঁছে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে ত্বকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় টক দই রাখলে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব বজায় থাকে। ফলে শীতকালে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা নিয়ে বাড়তি ভাবনা থাকে না।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি স্থাপনা দুই দিক থেকেই সমৃদ্ধ দেশটি। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, বন্য প্রাণীতে ভরপুর গহিন অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্রসৈকত—কী নেই সেখানে! চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক কম্বোডিয়ার ভ্রমণে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন কিছু ভ্রম
২৬ অক্টোবর ২০২৩
শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে...
৯ মিনিট আগে
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
২ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে...
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

এখন যাদের বয়স ১৩ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের ভাগে তারাই আসলে জেনারেশন জি প্রজন্মের মানুষ। এই প্রজন্ম নিয়ে পৃথিবীতে সম্ভবত বেশি গবেষণা হয়েছে। এর কারণও আছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে প্রশংসার আগুনে বরফ ঢেলে দিয়েছেন এক গবেষক! তাঁর নাম গ্যাব্রিয়েল রুবিন।
এখন ‘স্নোফ্লেক’ জেনারেশন শব্দটি প্রায়ই শোনা যায়। শব্দটি ‘কলিন্স ইংলিশ ডিকশনারি’তে সংযুক্ত হওয়া ২০১৬ সালের শব্দগুলোর মধ্যে একটি। একটি প্রজন্মকে তার আগের প্রজন্মের তুলনায় কম সহিষ্ণু এবং অপরাধপ্রবণ হিসেবে দেখা হয়, কলিন্স ডিকশনারিতে শব্দটিকে মূলত এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। নিউ জার্সির মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল রুবিন। তিনি ২০২৫ সালের ‘সোসাইটি ফর রিস্ক অ্যানালাইসিস’ কনফারেন্সে জেন-জি বা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণদের বিষয়ে এক চাঞ্চল্যকর গবেষণাপত্র পেশ করেছেন। তাঁর দীর্ঘ গবেষণায় উঠে এসেছে এই প্রজন্মের গভীর উদ্বেগ, নিরাশা এবং পৃথিবীকে দেখার এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
গবেষণার তিনটি মূল দিক
অধ্যাপক রুবিন ১০৭ জন তরুণের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তিনটি বড় বিষয় চিহ্নিত করেছেন।
ভয়ংকর পৃথিবী: কোভিড-১৯ লকডাউন এবং বন্দুক হামলার মতো অভিজ্ঞতার কারণে এই প্রজন্ম পৃথিবীকে একটি অত্যন্ত অনিরাপদ স্থান মনে করে।
পরিবর্তনের ক্ষমতাহীনতা: তারা বিশ্বাস করে যে রাজনীতি বা আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবী পরিবর্তনের ক্ষমতা তাদের নেই। যখন কোনো মানুষ পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন চারপাশের জগৎকে তার কাছে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়।
নেতিবাচক ভবিষ্যৎ: জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বা অর্থনৈতিক সংকটের কোনো সহজ সমাধান না থাকায় তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশ ও বিষণ্ন।
ঝুঁকি দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
গবেষণায় দেখা গেছে, জেন-জি প্রজন্ম যেকোনো ঝুঁকিকে দুটি বিষয়ের ওপর বিচার করে। বিষয়টিকে একেবারে সাদাকালো অর্থাৎ নিরাপদ অথবা বিপজ্জনক এই দুই মেরুতে তারা বিচার করে। তারা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে যে ঝুঁকি একটি ধারাবাহিক বিষয়, যা সামলানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর ফলে তারা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ঝুঁকি অনুভব করে।
নারী ও বর্তমান সমাজ
এই গবেষণায় তরুণীদের ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। প্রায় সব নারী মনে করে, বিশেষ করে প্রজননস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা তাদের অধিকার। এটি হুমকির মুখে। এই ভীতি অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মহত্যা বা চরম বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
কেন হচ্ছে এমন
অধ্যাপক রুবিন এর কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং তথ্যের প্রবল প্রবাহকে দায়ী করেছেন। মোবাইল ফোনের পুশ নোটিফিকেশন আর অবিরাম সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট তাদের সারাক্ষণ ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জেন-জি সেন্সরি প্রসেসিং সেনসিটিভিটিতে ভুগছে। যার অর্থ তারা যেকোনো তথ্য বা পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি গভীর ও তীব্রভাবে অনুভব করে।
পরস্পরবিরোধী বাস্তবতা
মজার বিষয় হলো, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত তিন বছর মানব ইতিহাসের অন্যতম নিরাপদ সময়। কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের কাছে তাদের অভ্যন্তরীণ ভয়গুলো বাস্তব হুমকির চেয়েও বড়। তারা নিজেদের স্নোফ্লেক বা অধিকারপ্রত্যাশী ট্যাগ দেওয়াটা পছন্দ করে না। বরং এটি তাদের আরও বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়।
অধ্যাপক রুবিন মনে করেন, পুলিশ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত এই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা। পৃথিবী হয়তো বাইরে থেকে নিরাপদ। কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের ভেতরে যে ভয়ের জগৎ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে তাদের আরও শক্তিশালী এবং আশাবাদী করে তোলা জরুরি।
সূত্র: ডেইলি মেইল, ইউরেক অ্যালার্ট

এখন যাদের বয়স ১৩ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের ভাগে তারাই আসলে জেনারেশন জি প্রজন্মের মানুষ। এই প্রজন্ম নিয়ে পৃথিবীতে সম্ভবত বেশি গবেষণা হয়েছে। এর কারণও আছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে প্রশংসার আগুনে বরফ ঢেলে দিয়েছেন এক গবেষক! তাঁর নাম গ্যাব্রিয়েল রুবিন।
এখন ‘স্নোফ্লেক’ জেনারেশন শব্দটি প্রায়ই শোনা যায়। শব্দটি ‘কলিন্স ইংলিশ ডিকশনারি’তে সংযুক্ত হওয়া ২০১৬ সালের শব্দগুলোর মধ্যে একটি। একটি প্রজন্মকে তার আগের প্রজন্মের তুলনায় কম সহিষ্ণু এবং অপরাধপ্রবণ হিসেবে দেখা হয়, কলিন্স ডিকশনারিতে শব্দটিকে মূলত এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। নিউ জার্সির মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল রুবিন। তিনি ২০২৫ সালের ‘সোসাইটি ফর রিস্ক অ্যানালাইসিস’ কনফারেন্সে জেন-জি বা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণদের বিষয়ে এক চাঞ্চল্যকর গবেষণাপত্র পেশ করেছেন। তাঁর দীর্ঘ গবেষণায় উঠে এসেছে এই প্রজন্মের গভীর উদ্বেগ, নিরাশা এবং পৃথিবীকে দেখার এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
গবেষণার তিনটি মূল দিক
অধ্যাপক রুবিন ১০৭ জন তরুণের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তিনটি বড় বিষয় চিহ্নিত করেছেন।
ভয়ংকর পৃথিবী: কোভিড-১৯ লকডাউন এবং বন্দুক হামলার মতো অভিজ্ঞতার কারণে এই প্রজন্ম পৃথিবীকে একটি অত্যন্ত অনিরাপদ স্থান মনে করে।
পরিবর্তনের ক্ষমতাহীনতা: তারা বিশ্বাস করে যে রাজনীতি বা আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবী পরিবর্তনের ক্ষমতা তাদের নেই। যখন কোনো মানুষ পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন চারপাশের জগৎকে তার কাছে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়।
নেতিবাচক ভবিষ্যৎ: জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বা অর্থনৈতিক সংকটের কোনো সহজ সমাধান না থাকায় তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশ ও বিষণ্ন।
ঝুঁকি দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
গবেষণায় দেখা গেছে, জেন-জি প্রজন্ম যেকোনো ঝুঁকিকে দুটি বিষয়ের ওপর বিচার করে। বিষয়টিকে একেবারে সাদাকালো অর্থাৎ নিরাপদ অথবা বিপজ্জনক এই দুই মেরুতে তারা বিচার করে। তারা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে যে ঝুঁকি একটি ধারাবাহিক বিষয়, যা সামলানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর ফলে তারা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ঝুঁকি অনুভব করে।
নারী ও বর্তমান সমাজ
এই গবেষণায় তরুণীদের ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। প্রায় সব নারী মনে করে, বিশেষ করে প্রজননস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা তাদের অধিকার। এটি হুমকির মুখে। এই ভীতি অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মহত্যা বা চরম বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
কেন হচ্ছে এমন
অধ্যাপক রুবিন এর কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং তথ্যের প্রবল প্রবাহকে দায়ী করেছেন। মোবাইল ফোনের পুশ নোটিফিকেশন আর অবিরাম সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট তাদের সারাক্ষণ ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জেন-জি সেন্সরি প্রসেসিং সেনসিটিভিটিতে ভুগছে। যার অর্থ তারা যেকোনো তথ্য বা পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি গভীর ও তীব্রভাবে অনুভব করে।
পরস্পরবিরোধী বাস্তবতা
মজার বিষয় হলো, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত তিন বছর মানব ইতিহাসের অন্যতম নিরাপদ সময়। কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের কাছে তাদের অভ্যন্তরীণ ভয়গুলো বাস্তব হুমকির চেয়েও বড়। তারা নিজেদের স্নোফ্লেক বা অধিকারপ্রত্যাশী ট্যাগ দেওয়াটা পছন্দ করে না। বরং এটি তাদের আরও বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়।
অধ্যাপক রুবিন মনে করেন, পুলিশ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত এই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা। পৃথিবী হয়তো বাইরে থেকে নিরাপদ। কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের ভেতরে যে ভয়ের জগৎ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে তাদের আরও শক্তিশালী এবং আশাবাদী করে তোলা জরুরি।
সূত্র: ডেইলি মেইল, ইউরেক অ্যালার্ট

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি স্থাপনা দুই দিক থেকেই সমৃদ্ধ দেশটি। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, বন্য প্রাণীতে ভরপুর গহিন অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্রসৈকত—কী নেই সেখানে! চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক কম্বোডিয়ার ভ্রমণে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন কিছু ভ্রম
২৬ অক্টোবর ২০২৩
শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে...
৯ মিনিট আগে
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
২ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
৪ ঘণ্টা আগে