শাইখ মুহাম্মাদ জামাল উদ্দীন
জ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবা আদম ও মা হাওয়া (আ.)কে আল্লাহ যখন পৃথিবীতে বিচরণের জন্য পাঠিয়েছেন, তখন আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা সবাই এখান থেকে দুনিয়ায় যাও। তারপর তোমাদের মঙ্গলের জন্য আমি অবশ্যই যুগে যুগে সত্য পথের দিকনির্দেশনা পাঠাব। তখন যারা এই দিকনির্দেশনা, অর্থাৎ কিতাবের বিধিবিধান অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় বা দুঃখ থাকবে না। আর যারা এই কিতাবের নৈতিক বিধিবিধান অস্বীকার করবে, তারাই জাহান্নামের আগুনে পুড়বে। সেখানেই থাকবে তারা চিরকাল।’ (সুরা বাকারা: ৩৮-৩৯)
তার মানে, দুনিয়ার জীবনে শান্তি আর আখিরাতের জীবনে মুক্তির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে যুগে যুগে হিদায়াত এসেছে। সেই হিদায়াত যারা মেনে চলবে, তাদের কোনো ভয় নেই। আর যারা অস্বীকার করবে, তাদের রক্ষা নেই। উম্মতে মোহাম্মদির জন্য সর্বশেষ আসমানি হিদায়াতের নাম কোরআন। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক জীবনে ন্যায়, ইনসাফ, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কোরআনের বিকল্প নেই। একইভাবে আখিরাতের মুক্তির জন্য কোরআন এক অপরিহার্য গ্রন্থ। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, এই কোরআন অনুসরণ যিনি তোমার ওপর ফরজ করেছেন, তিনি অবশ্যই তোমাকে চূড়ান্ত গন্তব্যে ফিরিয়ে আনবেন। যারা সত্য অস্বীকার করছে, তাদের বলো—আমার প্রতিপালক খুব ভালো করে জানেন, কে সত্য ধর্ম নিয়ে এসেছে আর কে সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে লিপ্ত।’ (সুরা কাসাস: ৮৫)
কোরআন অনুসরণ শুধু আল্লাহ ফরজই করেননি বরং এই ফরজ কে কতটুকু আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছে, সেটাও কিয়ামতের দিন আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন। এর পরই ফয়সালা হবে, তার জন্য জান্নাত না জাহান্নাম অপেক্ষা করছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার ওপর যে ওহি নাজিল হয়েছে, তা অনুসরণে অটল থাকো। তুমি সাফল্যের সরল পথেই আছো। নিঃসন্দেহে এই কোরআন তোমার ও তোমার অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। কিন্তু সময় হলে তোমাদের অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই কোরআন নিয়ে তোমরা কী করেছ।’ (সুরা জুখরুফ: ৪৩-৪৪) অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তুমি তাদের মতোই আল্লাহর রাসুল, যাদের ওপর আমি কিতাব নাজিল করেছিলাম। কিন্তু পরে তাদের অনুসারীরা একে টুকরা টুকরা করেছে এবং ওরাই এখন এই কোরআনকে মিথ্যা বলছে। কিন্তু তোমার প্রতিপালকের শপথ, মহাবিচার দিবসে আমি ওদের সবাইকে এই কোরআন সম্পর্কে জবাবদিহির আওতায় আনব।’ (সুরা হিজর: ৯০-৯৩)
কোরআনের দাওয়াত খুব জটিল কোনো বিষয় নয়। বরং মানুষ যেন মানুষ হতে পারে, তার জীবনে যেন কোনো বিকৃতি না আসে অথবা যে বিকৃতি এসেছে, সেটা যেন সংশোধন হয়ে যায়, এটাই কোরআনের উদ্দেশ্য। ফলে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্যও কোরআন অপরিহার্য। আল্লাহ বলেন, ‘আসলে বিবেক প্রয়োগ করে সত্য না জানার কারণে সীমালঙ্ঘনকারীরা নিজেদের কামনা-বাসনার অনুসরণ করে। এ কারণে আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট হতে দেন, কে তাকে সৎ পথ দেখাবে? ওরা কারও সাহায্যও পাবে না। অতএব, হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা সব মিথ্যা পরিত্যাগ করে একনিষ্ঠভাবে ধর্মের ওপর নিজেদের কায়েম রাখো। আল্লাহ যে প্রকৃতিতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, সেই সৎ প্রকৃতির অনুসরণ করো। আল্লাহর সৃষ্ট এই প্রকৃতিকে দূষিত-বিকৃত কোরো না। এটাই সত্য ধর্ম—সর্বোচ্চ ধর্মবিধান। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।’ (সুরা রুম: ২৯-৩০)
কোরআনের প্রথম আয়াত নাজিল হয় ৬১০ সালে আর শেষ আয়াত ৬৩২ সালে। ধাপে ধাপে দীর্ঘ ২৩ বছরে পরিপূর্ণতা পায় কোরআন। প্রথম আয়াত নাজিল হওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে ওঠে এর আকর্ষণক্ষমতা। অবিদ্যা বা জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষ আলোর সন্ধান পায়। সেই আলোয় বদলাতে শুরু করে তারা। পিতৃপুরুষের হাজার বছরের সংস্কার ও ধর্মান্ধতার বৃত্ত ভেঙে তারা লাভ করে সঠিক জীবনদৃষ্টি। এরপর নিজের মুক্তির জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য কোনো ত্যাগ স্বীকারেই পিছপা হয়নি তারা। অবিদ্যা হিংসা সন্ত্রাস রক্তপাত শোষণ জুলুম আর নারী নির্যাতনে নিমজ্জিত মানুষই পরিণত হয় সত্য ও ন্যায়ের মূর্ত প্রতীকে। দলীয়, গোত্রীয় ও উপজাতীয় হানাহানিতে লিপ্ত বিক্ষিপ্ত সম্প্রদায়গুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিণত হয় এক দুর্দমনীয় আদর্শিক জাতিসত্তায়। এটাই ছিল নবীর মিশন। কোরআনের ভিশন। সুরা আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা সে-কথাই স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন।
কোরআন কেবল ব্যক্তিজীবনকেই পরিশুদ্ধ করে না বরং জাতিকেও বিশ্বের দুয়ারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ভূমিকা রাখে। কোরআনের প্রথম আয়াত নাজিল হওয়ার ৫০ বছরের মধ্যে মুসলমানরা তদানীন্তন পরাশক্তি রোমান ও পারস্য সাম্রাজ্যকে নিশ্চিহ্ন করে পরিণত হয় তখনকার একমাত্র পরাশক্তিতে। সুরা রুমের প্রথম কয়েক আয়াতে আল্লাহ তাআলা সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন। ইতিহাস সাক্ষী, কোরআন ছাড়া আর কোনো গ্রন্থই প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের হৃদয়ে এত আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি, এত দ্রুত মানুষকে এমনভাবে বদলে দিতে পারেনি। কোরআন সরাসরি যাঁদের সামনে নাজিল হয়েছিল, তাঁরাই শুধু আলোকিত হননি; ধর্মান্ধতা ও পাশবিকতার পরিবর্তে ধর্ম, মানবিকতা ও মুক্তবুদ্ধির এই স্রোত প্রবাহিত হয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্মে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। ধর্ম, মানবিকতা ও মুক্তবুদ্ধির এই স্রোত সৃষ্টি করে এক আলোকোজ্জ্বল সভ্যতা।
লেখক: চেয়ারম্যান, জামালী তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশন এবং খতিব, রূপায়ণ টাউন সেন্ট্রাল মসজিদ, ঢাকা
জ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবা আদম ও মা হাওয়া (আ.)কে আল্লাহ যখন পৃথিবীতে বিচরণের জন্য পাঠিয়েছেন, তখন আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা সবাই এখান থেকে দুনিয়ায় যাও। তারপর তোমাদের মঙ্গলের জন্য আমি অবশ্যই যুগে যুগে সত্য পথের দিকনির্দেশনা পাঠাব। তখন যারা এই দিকনির্দেশনা, অর্থাৎ কিতাবের বিধিবিধান অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় বা দুঃখ থাকবে না। আর যারা এই কিতাবের নৈতিক বিধিবিধান অস্বীকার করবে, তারাই জাহান্নামের আগুনে পুড়বে। সেখানেই থাকবে তারা চিরকাল।’ (সুরা বাকারা: ৩৮-৩৯)
তার মানে, দুনিয়ার জীবনে শান্তি আর আখিরাতের জীবনে মুক্তির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে যুগে যুগে হিদায়াত এসেছে। সেই হিদায়াত যারা মেনে চলবে, তাদের কোনো ভয় নেই। আর যারা অস্বীকার করবে, তাদের রক্ষা নেই। উম্মতে মোহাম্মদির জন্য সর্বশেষ আসমানি হিদায়াতের নাম কোরআন। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক জীবনে ন্যায়, ইনসাফ, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কোরআনের বিকল্প নেই। একইভাবে আখিরাতের মুক্তির জন্য কোরআন এক অপরিহার্য গ্রন্থ। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, এই কোরআন অনুসরণ যিনি তোমার ওপর ফরজ করেছেন, তিনি অবশ্যই তোমাকে চূড়ান্ত গন্তব্যে ফিরিয়ে আনবেন। যারা সত্য অস্বীকার করছে, তাদের বলো—আমার প্রতিপালক খুব ভালো করে জানেন, কে সত্য ধর্ম নিয়ে এসেছে আর কে সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে লিপ্ত।’ (সুরা কাসাস: ৮৫)
কোরআন অনুসরণ শুধু আল্লাহ ফরজই করেননি বরং এই ফরজ কে কতটুকু আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছে, সেটাও কিয়ামতের দিন আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন। এর পরই ফয়সালা হবে, তার জন্য জান্নাত না জাহান্নাম অপেক্ষা করছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার ওপর যে ওহি নাজিল হয়েছে, তা অনুসরণে অটল থাকো। তুমি সাফল্যের সরল পথেই আছো। নিঃসন্দেহে এই কোরআন তোমার ও তোমার অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। কিন্তু সময় হলে তোমাদের অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই কোরআন নিয়ে তোমরা কী করেছ।’ (সুরা জুখরুফ: ৪৩-৪৪) অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তুমি তাদের মতোই আল্লাহর রাসুল, যাদের ওপর আমি কিতাব নাজিল করেছিলাম। কিন্তু পরে তাদের অনুসারীরা একে টুকরা টুকরা করেছে এবং ওরাই এখন এই কোরআনকে মিথ্যা বলছে। কিন্তু তোমার প্রতিপালকের শপথ, মহাবিচার দিবসে আমি ওদের সবাইকে এই কোরআন সম্পর্কে জবাবদিহির আওতায় আনব।’ (সুরা হিজর: ৯০-৯৩)
কোরআনের দাওয়াত খুব জটিল কোনো বিষয় নয়। বরং মানুষ যেন মানুষ হতে পারে, তার জীবনে যেন কোনো বিকৃতি না আসে অথবা যে বিকৃতি এসেছে, সেটা যেন সংশোধন হয়ে যায়, এটাই কোরআনের উদ্দেশ্য। ফলে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্যও কোরআন অপরিহার্য। আল্লাহ বলেন, ‘আসলে বিবেক প্রয়োগ করে সত্য না জানার কারণে সীমালঙ্ঘনকারীরা নিজেদের কামনা-বাসনার অনুসরণ করে। এ কারণে আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট হতে দেন, কে তাকে সৎ পথ দেখাবে? ওরা কারও সাহায্যও পাবে না। অতএব, হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা সব মিথ্যা পরিত্যাগ করে একনিষ্ঠভাবে ধর্মের ওপর নিজেদের কায়েম রাখো। আল্লাহ যে প্রকৃতিতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, সেই সৎ প্রকৃতির অনুসরণ করো। আল্লাহর সৃষ্ট এই প্রকৃতিকে দূষিত-বিকৃত কোরো না। এটাই সত্য ধর্ম—সর্বোচ্চ ধর্মবিধান। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।’ (সুরা রুম: ২৯-৩০)
কোরআনের প্রথম আয়াত নাজিল হয় ৬১০ সালে আর শেষ আয়াত ৬৩২ সালে। ধাপে ধাপে দীর্ঘ ২৩ বছরে পরিপূর্ণতা পায় কোরআন। প্রথম আয়াত নাজিল হওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে ওঠে এর আকর্ষণক্ষমতা। অবিদ্যা বা জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষ আলোর সন্ধান পায়। সেই আলোয় বদলাতে শুরু করে তারা। পিতৃপুরুষের হাজার বছরের সংস্কার ও ধর্মান্ধতার বৃত্ত ভেঙে তারা লাভ করে সঠিক জীবনদৃষ্টি। এরপর নিজের মুক্তির জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য কোনো ত্যাগ স্বীকারেই পিছপা হয়নি তারা। অবিদ্যা হিংসা সন্ত্রাস রক্তপাত শোষণ জুলুম আর নারী নির্যাতনে নিমজ্জিত মানুষই পরিণত হয় সত্য ও ন্যায়ের মূর্ত প্রতীকে। দলীয়, গোত্রীয় ও উপজাতীয় হানাহানিতে লিপ্ত বিক্ষিপ্ত সম্প্রদায়গুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিণত হয় এক দুর্দমনীয় আদর্শিক জাতিসত্তায়। এটাই ছিল নবীর মিশন। কোরআনের ভিশন। সুরা আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা সে-কথাই স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন।
কোরআন কেবল ব্যক্তিজীবনকেই পরিশুদ্ধ করে না বরং জাতিকেও বিশ্বের দুয়ারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ভূমিকা রাখে। কোরআনের প্রথম আয়াত নাজিল হওয়ার ৫০ বছরের মধ্যে মুসলমানরা তদানীন্তন পরাশক্তি রোমান ও পারস্য সাম্রাজ্যকে নিশ্চিহ্ন করে পরিণত হয় তখনকার একমাত্র পরাশক্তিতে। সুরা রুমের প্রথম কয়েক আয়াতে আল্লাহ তাআলা সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন। ইতিহাস সাক্ষী, কোরআন ছাড়া আর কোনো গ্রন্থই প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের হৃদয়ে এত আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি, এত দ্রুত মানুষকে এমনভাবে বদলে দিতে পারেনি। কোরআন সরাসরি যাঁদের সামনে নাজিল হয়েছিল, তাঁরাই শুধু আলোকিত হননি; ধর্মান্ধতা ও পাশবিকতার পরিবর্তে ধর্ম, মানবিকতা ও মুক্তবুদ্ধির এই স্রোত প্রবাহিত হয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্মে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। ধর্ম, মানবিকতা ও মুক্তবুদ্ধির এই স্রোত সৃষ্টি করে এক আলোকোজ্জ্বল সভ্যতা।
লেখক: চেয়ারম্যান, জামালী তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশন এবং খতিব, রূপায়ণ টাউন সেন্ট্রাল মসজিদ, ঢাকা
মৃত্যু বড় যন্ত্রণাদায়ক সত্য। সবাইকেই একদিন মৃত্যুতে স্বাদ নিতে হবে। এ দুনিয়ায় কেউ চিরদিন থাকবে না। যখন মালাকুল মওত এসে আমাদের নফস কবজ করবেন, তখন আমরা দুনিয়ার মানুষের চোখে মরা লাশ হয়ে যাব। দুনিয়ার এক টুকরা জিন্দেগিতে আমরা যা করেছি, কবরের জীবনে তার ফল পাওয়া শুরু হবে। ভালো করলে ভালো ফল।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রশ্ন: আমাদের দেশে দেখা যায়, ধর্মীয় বা সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা বাসাবাড়িতে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা শিশু-কিশোরদের নির্দয়ভাবে পেটান। অনেকে বেত, লাঠি, তার, এমনকি লোহার শিকলও এসব কাজে ব্যবহার করেন। আবার অনেক শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, শিক্ষকদের প্রহারের স্থানটি জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।
৯ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহর সন্তুষ্টিই মানুষকে পরকালে মুক্তি দেবে। আর তাঁর অসন্তুষ্টিতে নেমে আসবে অন্ধকার। তাই সব সময় তাঁর অসন্তুষ্টি এড়িয়ে চলা এবং সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা উচিত। এখানে ৫টি কাজের কথা তুলে ধরা হলো, যা আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হওয়ায় তা থেকে বিরত থাকা আমাদের কর্তব্য।
৯ ঘণ্টা আগেইসলামের ইতিহাসে হজ সনদের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ এক অতীত। ইসলামের পঞ্চম ফরজ ইবাদত হজ আদায়ের স্মারক হিসেবে এটি দেওয়ার প্রচলন করা শুরু হয় ১১ শতকে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হজ সনদের ধরন, উপাদান ও শৈলীতে এসেছে নানা পরিবর্তন। হজ সনদের সেকাল-একালের কথা লিখেছেন ইজাজুল হক।
৯ ঘণ্টা আগে