ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউল আউয়াল মাস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসটি ইসলামি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নবী করিম হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের মাস। মুসলিম উম্মাহ এই মাসে বিশেষভাবে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, তার জীবন ও কর্মের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে। রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা মুসলিমদের জন্য এক অনন্য সুযোগ, যেখানে তারা আল্লাহর নৈকট্য, নেকি বৃদ্ধি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য দোয়া করতে পারে।
ধর্মীয় গুরুত্ব
রবিউল আউয়াল মাসে মুসলিমরা নবীর প্রতি ভালোবাসা, সম্মান ও আনুগত্য প্রদর্শনের মাধ্যমে ইমানকে দৃঢ় করে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, সে আমার সঙ্গে কিয়ামতের দিন হবে।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম) এই মাসে বিশেষ করে প্রথম জুমার দিন দোয়া, নফল নামাজ, নেকি কাজ এবং দরুদ পাঠ করা অত্যন্ত মহৎ। মুসলিম উম্মাহ এই দিনে নবীর জীবনী ও তার নেকি আখলাক সম্পর্কে অধ্যয়ন ও প্রচার করে।
জুমার মাহাত্ম্য
জুমা হলো মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে যাঁরা ইমান এনেছ, জুমার দিনে নামাজের জন্য ডাক শুনলে আল্লাহর স্মরণে যাও এবং বেচাকেনা ও খেলাধুলা ত্যাগ কর। ” (সুরা জুমা: ৯)
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা অন্য জুমার তুলনায় আরও বেশি পবিত্র। কারণ এটি নবীর জন্ম মাসে এসে, মুসলিমদের নেকি ও ইবাদতের সোনালি সুযোগ প্রদান করে। বিশেষ করে, মসজিদে সমবেত হয়ে নামাজ আদায় করা, খুতবা শোনা, দরুদ পাঠ ও দোয়া করা এই দিনে বিশেষ বরকতময়।
দরুদ ও দোয়ার ফজিলত
হাদিসে এসেছে যে, যিনি নবীর ওপর একবার দরুদ পাঠ করবেন, আল্লাহ তার জন্য দশবার রহমত নাজিল করবেন। বিশেষ করে রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমার দিনে দরুদ পাঠের ফজিলত অগণিত। এটি মন শান্তি, আত্মার প্রশান্তি এবং নেকি বৃদ্ধির এক অনন্য সুযোগ। দরুদ শরিফ পাঠ করার সময় মুসলিমরা আল্লাহর কাছে নিজের দোয়া, পরিবারের কল্যাণ, সমাজের শান্তি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের উন্নতির জন্য দোয়া করতে পারেন।
দরুদ পাঠের পাশাপাশি বিশেষ নফল নামাজ এবং কোরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত বরকতময়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি নবীর প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে দরুদ পাঠ করবে, তার নেকি বৃদ্ধি পাবে এবং আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি দান করবেন।
সমাজ ও সম্প্রদায়ের গুরুত্ব
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা দিনে মুসলিমরা মসজিদে সমবেত হয়ে দোয়া, খুতবা এবং নামাজ আদায় করে। এটি মুসলিম উম্মাহকে একত্রিত করে, সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং ইসলামের নৈতিক শিক্ষাকে সম্প্রসারিত করে। বিশেষ করে, অসহায় ও দুস্থদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো, দান ও সমাজসেবায় অংশ নেওয়া এই দিনে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করে মুসলিমরা সমাজে নৈতিকতা, মানবিকতা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
ইবাদতের বিশেষ ফজিলত
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা হলো এক ধরনের ‘আল্লাহর নৈকট্যের সোনালি দিন।’ এই দিনে ইবাদত করার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। বিশেষ করে, নফল নামাজ, দরুদ পাঠ, কোরআন তিলাওয়াত, এবং দোয়া এই দিনে বেশি ফলপ্রসূ হয়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমার দিনে খুতবা মনোযোগসহ শুনবে, নামাজ আদায় করবে এবং দোয়া করবে, তার সকল পাপ মাফ হবে।
এই দিনে বিশেষ করে সামাজিক নেকি কাজ যেমন দারিদ্র্য ও অসহায়দের সাহায্য, ইসলামি জ্ঞান প্রচার, মসজিদে পরিষেবা প্রদান এবং ইসলামের সঠিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসলিমদের মধ্যে নৈতিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি ও ঐক্য গড়ে তোলে।
নবী করিম (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা মুসলমানদের জন্য নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের বিশেষ সুযোগ। দরুদ, নফল নামাজ, কোরআন পাঠ, দোয়া এবং নেকি কাজের মাধ্যমে মুসলিমরা নবীর আদর্শ জীবনের সঙ্গে নিজেদের জীবনকে সংযুক্ত করতে পারে। নবী করিম (সা.)-এর জীবন, কোরআন শিক্ষা ও সুন্নাহ অনুসরণ করে একজন মুসলিম নিজের চরিত্র উন্নত করতে পারে।
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা হলো এক অনন্য বরকতময় দিন। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য নেকি বৃদ্ধির, আল্লাহর নৈকট্য লাভের, এবং দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ। এই দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দোয়া, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং সমাজসেবামূলক কাজের মাধ্যমে একজন মুসলিম তার ইমান ও নেকি বৃদ্ধি করতে পারে।
এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে না, বরং সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম উম্মাহ এই দিনে নবীর আদর্শ অনুসরণ করে, নৈতিকতা ও মানবিকতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। তাই প্রতিটি মুসলিমকে উৎসাহিত করা হয় যে, রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমার দিনটি বিশেষভাবে ইবাদত, দোয়া ও নেকি কাজে ব্যয় করুন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউল আউয়াল মাস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসটি ইসলামি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নবী করিম হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের মাস। মুসলিম উম্মাহ এই মাসে বিশেষভাবে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, তার জীবন ও কর্মের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে। রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা মুসলিমদের জন্য এক অনন্য সুযোগ, যেখানে তারা আল্লাহর নৈকট্য, নেকি বৃদ্ধি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য দোয়া করতে পারে।
ধর্মীয় গুরুত্ব
রবিউল আউয়াল মাসে মুসলিমরা নবীর প্রতি ভালোবাসা, সম্মান ও আনুগত্য প্রদর্শনের মাধ্যমে ইমানকে দৃঢ় করে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, সে আমার সঙ্গে কিয়ামতের দিন হবে।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম) এই মাসে বিশেষ করে প্রথম জুমার দিন দোয়া, নফল নামাজ, নেকি কাজ এবং দরুদ পাঠ করা অত্যন্ত মহৎ। মুসলিম উম্মাহ এই দিনে নবীর জীবনী ও তার নেকি আখলাক সম্পর্কে অধ্যয়ন ও প্রচার করে।
জুমার মাহাত্ম্য
জুমা হলো মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে যাঁরা ইমান এনেছ, জুমার দিনে নামাজের জন্য ডাক শুনলে আল্লাহর স্মরণে যাও এবং বেচাকেনা ও খেলাধুলা ত্যাগ কর। ” (সুরা জুমা: ৯)
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা অন্য জুমার তুলনায় আরও বেশি পবিত্র। কারণ এটি নবীর জন্ম মাসে এসে, মুসলিমদের নেকি ও ইবাদতের সোনালি সুযোগ প্রদান করে। বিশেষ করে, মসজিদে সমবেত হয়ে নামাজ আদায় করা, খুতবা শোনা, দরুদ পাঠ ও দোয়া করা এই দিনে বিশেষ বরকতময়।
দরুদ ও দোয়ার ফজিলত
হাদিসে এসেছে যে, যিনি নবীর ওপর একবার দরুদ পাঠ করবেন, আল্লাহ তার জন্য দশবার রহমত নাজিল করবেন। বিশেষ করে রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমার দিনে দরুদ পাঠের ফজিলত অগণিত। এটি মন শান্তি, আত্মার প্রশান্তি এবং নেকি বৃদ্ধির এক অনন্য সুযোগ। দরুদ শরিফ পাঠ করার সময় মুসলিমরা আল্লাহর কাছে নিজের দোয়া, পরিবারের কল্যাণ, সমাজের শান্তি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের উন্নতির জন্য দোয়া করতে পারেন।
দরুদ পাঠের পাশাপাশি বিশেষ নফল নামাজ এবং কোরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত বরকতময়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি নবীর প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে দরুদ পাঠ করবে, তার নেকি বৃদ্ধি পাবে এবং আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি দান করবেন।
সমাজ ও সম্প্রদায়ের গুরুত্ব
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা দিনে মুসলিমরা মসজিদে সমবেত হয়ে দোয়া, খুতবা এবং নামাজ আদায় করে। এটি মুসলিম উম্মাহকে একত্রিত করে, সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং ইসলামের নৈতিক শিক্ষাকে সম্প্রসারিত করে। বিশেষ করে, অসহায় ও দুস্থদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো, দান ও সমাজসেবায় অংশ নেওয়া এই দিনে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করে মুসলিমরা সমাজে নৈতিকতা, মানবিকতা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
ইবাদতের বিশেষ ফজিলত
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা হলো এক ধরনের ‘আল্লাহর নৈকট্যের সোনালি দিন।’ এই দিনে ইবাদত করার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। বিশেষ করে, নফল নামাজ, দরুদ পাঠ, কোরআন তিলাওয়াত, এবং দোয়া এই দিনে বেশি ফলপ্রসূ হয়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমার দিনে খুতবা মনোযোগসহ শুনবে, নামাজ আদায় করবে এবং দোয়া করবে, তার সকল পাপ মাফ হবে।
এই দিনে বিশেষ করে সামাজিক নেকি কাজ যেমন দারিদ্র্য ও অসহায়দের সাহায্য, ইসলামি জ্ঞান প্রচার, মসজিদে পরিষেবা প্রদান এবং ইসলামের সঠিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসলিমদের মধ্যে নৈতিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি ও ঐক্য গড়ে তোলে।
নবী করিম (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা মুসলমানদের জন্য নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের বিশেষ সুযোগ। দরুদ, নফল নামাজ, কোরআন পাঠ, দোয়া এবং নেকি কাজের মাধ্যমে মুসলিমরা নবীর আদর্শ জীবনের সঙ্গে নিজেদের জীবনকে সংযুক্ত করতে পারে। নবী করিম (সা.)-এর জীবন, কোরআন শিক্ষা ও সুন্নাহ অনুসরণ করে একজন মুসলিম নিজের চরিত্র উন্নত করতে পারে।
রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমা হলো এক অনন্য বরকতময় দিন। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য নেকি বৃদ্ধির, আল্লাহর নৈকট্য লাভের, এবং দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ। এই দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দোয়া, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং সমাজসেবামূলক কাজের মাধ্যমে একজন মুসলিম তার ইমান ও নেকি বৃদ্ধি করতে পারে।
এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে না, বরং সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম উম্মাহ এই দিনে নবীর আদর্শ অনুসরণ করে, নৈতিকতা ও মানবিকতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। তাই প্রতিটি মুসলিমকে উৎসাহিত করা হয় যে, রবিউল আউয়ালের প্রথম জুমার দিনটি বিশেষভাবে ইবাদত, দোয়া ও নেকি কাজে ব্যয় করুন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউল আউয়াল মাস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসটি ইসলামি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নবী করিম হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের মাস। মুসলিম উম্মাহ এই মাসে বিশেষভাবে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, তার জীবন ও কর্মের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে।
২৯ আগস্ট ২০২৫
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউল আউয়াল মাস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসটি ইসলামি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নবী করিম হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের মাস। মুসলিম উম্মাহ এই মাসে বিশেষভাবে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, তার জীবন ও কর্মের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে।
২৯ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউল আউয়াল মাস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসটি ইসলামি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নবী করিম হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের মাস। মুসলিম উম্মাহ এই মাসে বিশেষভাবে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, তার জীবন ও কর্মের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে।
২৯ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

ইসলামি পঞ্জিকায় রবিউল আউয়াল মাস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই মাসটি ইসলামি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নবী করিম হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের মাস। মুসলিম উম্মাহ এই মাসে বিশেষভাবে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, তার জীবন ও কর্মের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে।
২৯ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে