
এ দিনটিকে শুধু একটি সাধারণ দিন হিসেবে না দেখে বরকত ও রহমত অর্জনের একটি বিশেষ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য হলো, এ দিনটিকে পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা, আল্লাহর স্মরণে হৃদয় ও মনকে পূর্ণ করা এবং নেক কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা।

ইসলামি মাসগুলো বছরের ধারাকে ধর্মীয় তাৎপর্যে সাজিয়ে দেয়। যেখানে প্রতিটি মাস নিজস্ব ইবাদত ও আধ্যাত্মিকতার বার্তা নিয়ে আসে। জমাদিউল আউয়ালের শেষ জুমা সেই উপলব্ধির একটি নরম ছোঁয়া, যা হৃদয়কে আবার টেনে আনে আল্লাহর দিকে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ধুয়ে গোসল করল, এরপর উত্তম আতর ব্যবহার করল, তার জামাগুলো থেকে ভালো জামা পরিধান করল, তারপর নামাজের উদ্দেশে বের হলো, (মসজিদে গিয়ে একসঙ্গে থাকা) দুজনের মাঝে বসল না, অতঃপর মনোযোগ দিয়ে ইমামের খুতবা শুনল...

জুমা শুধু সপ্তাহের একটি দিন নয়; এটি আত্মার এক নতুন সূচনা। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন হলো সপ্তাহের সেরা দিন। এই দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছিলেন, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে নামানো হয়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)