এক্সিওসের প্রতিবেদন

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোববারের পরিবর্তে আগামী সোমবার থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেরি হওয়ার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া রোববারের পরিবর্তে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কাতারে অবস্থানরত দেশটির আলোচক দল জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনা চলাকালে শেষ মুহূর্তে কিছু মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর একদিন পিছিয়ে যায়—বলে দাবি করে ইসরায়েল।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। হামাস তাদের সামরিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য বহু বছর ধরে কারাবন্দী। ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দাবির কারণে আলোচনা নতুনভাবে জটিল হয়ে ওঠে।
ইসরায়েল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব বন্দীর মুক্তি ঠেকায়। তবে হামাস আলোচনায় নতুন করে এই দাবিগুলো তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালান।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত এটি অপ্রয়োজনীয় সমস্যা হিসেবেই প্রমাণিত হয়। সমস্যার সমাধান হওয়ার পরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এই চুক্তিতে ইসরায়েল, কাতার এবং হামাসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্রেট ম্যাকগার্ক চুক্তিতে সই করেন।
এদিকে, দোহায় আলোচনা চলাকালে নেতানিয়াহুর কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ও ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানান। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার স্মতরিচের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান এবং চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেন বলে একটি সূত্র জানায়।
বেন গভির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, যদি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হয় তবে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর দল নেতানিয়াহু সরকারের জোট ত্যাগ করবে। তবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করলে তিনি আবার জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বেন গভিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি সরকারকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। লিকুদ পার্টি দাবি করেছে, চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ পাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত বুধবার সিএনএনকে বলেন, আসন্ন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, হামাস যদি চুক্তির কোনো অংশ ভঙ্গ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে, গাজাকে নিরস্ত্র করা হবে এবং হামাসকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ শুক্রবার সকালে চুক্তি অনুমোদন দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে। তবে পুরো মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে আগামীকাল শনিবার রাতে। ইসরায়েলি আইনে সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যায় না। যদি চুক্তি অনুমোদিত হয়, তবে জনসাধারণের কাছে আদালতে আপিল করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় থাকবে।
নেতানিয়াহুর সহযোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সূচির কারণে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি রোববারের পরিবর্তে সোমবার শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন নারী, শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচের আহত বা অসুস্থ পুরুষ। ইসরায়েলের ধারণা, এই ৩৩ জনের অধিকাংশই জীবিত।
এই প্রথম পর্যায়ে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায় চলাকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধীরে ধীরে গাজার সীমানার কাছে একটি বাফার জোনে সরে যাবে। আইডিএফ গাজার কেন্দ্রে নেতজারিম করিডর এবং গাজা ও মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডরের বেশির ভাগ এলাকা ছেড়ে দেবে।
এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা হেঁটে যাবে, তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে না, তবে যানবাহনগুলো কাতারের ও মিসরীয় কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাবেন, যাতে ভারী অস্ত্র স্থানান্তর না হয়।
সাত শরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে প্রায় ২৭৫ জনকে ইসরায়েলি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাজার আরও এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের আইডিএফ যুদ্ধ চলাকালে আটক করেছিল কিন্তু ৭ অক্টোবরের হামলায় তারা অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে হামাস জানালে যে, কোন জিম্মিরা জীবিত আছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ২ লাখ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাস্তবায়নের জামিনদার হিসেবে কাজ করবে। যুদ্ধবিরতির ১৬ তম দিনে, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনার শুরু করবে। এই পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোববারের পরিবর্তে আগামী সোমবার থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেরি হওয়ার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া রোববারের পরিবর্তে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কাতারে অবস্থানরত দেশটির আলোচক দল জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনা চলাকালে শেষ মুহূর্তে কিছু মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর একদিন পিছিয়ে যায়—বলে দাবি করে ইসরায়েল।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। হামাস তাদের সামরিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য বহু বছর ধরে কারাবন্দী। ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দাবির কারণে আলোচনা নতুনভাবে জটিল হয়ে ওঠে।
ইসরায়েল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব বন্দীর মুক্তি ঠেকায়। তবে হামাস আলোচনায় নতুন করে এই দাবিগুলো তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালান।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত এটি অপ্রয়োজনীয় সমস্যা হিসেবেই প্রমাণিত হয়। সমস্যার সমাধান হওয়ার পরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এই চুক্তিতে ইসরায়েল, কাতার এবং হামাসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্রেট ম্যাকগার্ক চুক্তিতে সই করেন।
এদিকে, দোহায় আলোচনা চলাকালে নেতানিয়াহুর কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ও ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানান। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার স্মতরিচের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান এবং চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেন বলে একটি সূত্র জানায়।
বেন গভির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, যদি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হয় তবে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর দল নেতানিয়াহু সরকারের জোট ত্যাগ করবে। তবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করলে তিনি আবার জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বেন গভিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি সরকারকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। লিকুদ পার্টি দাবি করেছে, চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ পাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত বুধবার সিএনএনকে বলেন, আসন্ন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, হামাস যদি চুক্তির কোনো অংশ ভঙ্গ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে, গাজাকে নিরস্ত্র করা হবে এবং হামাসকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ শুক্রবার সকালে চুক্তি অনুমোদন দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে। তবে পুরো মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে আগামীকাল শনিবার রাতে। ইসরায়েলি আইনে সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যায় না। যদি চুক্তি অনুমোদিত হয়, তবে জনসাধারণের কাছে আদালতে আপিল করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় থাকবে।
নেতানিয়াহুর সহযোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সূচির কারণে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি রোববারের পরিবর্তে সোমবার শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন নারী, শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচের আহত বা অসুস্থ পুরুষ। ইসরায়েলের ধারণা, এই ৩৩ জনের অধিকাংশই জীবিত।
এই প্রথম পর্যায়ে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায় চলাকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধীরে ধীরে গাজার সীমানার কাছে একটি বাফার জোনে সরে যাবে। আইডিএফ গাজার কেন্দ্রে নেতজারিম করিডর এবং গাজা ও মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডরের বেশির ভাগ এলাকা ছেড়ে দেবে।
এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা হেঁটে যাবে, তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে না, তবে যানবাহনগুলো কাতারের ও মিসরীয় কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাবেন, যাতে ভারী অস্ত্র স্থানান্তর না হয়।
সাত শরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে প্রায় ২৭৫ জনকে ইসরায়েলি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাজার আরও এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের আইডিএফ যুদ্ধ চলাকালে আটক করেছিল কিন্তু ৭ অক্টোবরের হামলায় তারা অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে হামাস জানালে যে, কোন জিম্মিরা জীবিত আছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ২ লাখ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাস্তবায়নের জামিনদার হিসেবে কাজ করবে। যুদ্ধবিরতির ১৬ তম দিনে, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনার শুরু করবে। এই পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এক্সিওসের প্রতিবেদন

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোববারের পরিবর্তে আগামী সোমবার থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেরি হওয়ার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া রোববারের পরিবর্তে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কাতারে অবস্থানরত দেশটির আলোচক দল জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনা চলাকালে শেষ মুহূর্তে কিছু মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর একদিন পিছিয়ে যায়—বলে দাবি করে ইসরায়েল।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। হামাস তাদের সামরিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য বহু বছর ধরে কারাবন্দী। ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দাবির কারণে আলোচনা নতুনভাবে জটিল হয়ে ওঠে।
ইসরায়েল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব বন্দীর মুক্তি ঠেকায়। তবে হামাস আলোচনায় নতুন করে এই দাবিগুলো তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালান।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত এটি অপ্রয়োজনীয় সমস্যা হিসেবেই প্রমাণিত হয়। সমস্যার সমাধান হওয়ার পরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এই চুক্তিতে ইসরায়েল, কাতার এবং হামাসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্রেট ম্যাকগার্ক চুক্তিতে সই করেন।
এদিকে, দোহায় আলোচনা চলাকালে নেতানিয়াহুর কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ও ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানান। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার স্মতরিচের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান এবং চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেন বলে একটি সূত্র জানায়।
বেন গভির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, যদি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হয় তবে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর দল নেতানিয়াহু সরকারের জোট ত্যাগ করবে। তবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করলে তিনি আবার জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বেন গভিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি সরকারকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। লিকুদ পার্টি দাবি করেছে, চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ পাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত বুধবার সিএনএনকে বলেন, আসন্ন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, হামাস যদি চুক্তির কোনো অংশ ভঙ্গ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে, গাজাকে নিরস্ত্র করা হবে এবং হামাসকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ শুক্রবার সকালে চুক্তি অনুমোদন দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে। তবে পুরো মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে আগামীকাল শনিবার রাতে। ইসরায়েলি আইনে সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যায় না। যদি চুক্তি অনুমোদিত হয়, তবে জনসাধারণের কাছে আদালতে আপিল করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় থাকবে।
নেতানিয়াহুর সহযোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সূচির কারণে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি রোববারের পরিবর্তে সোমবার শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন নারী, শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচের আহত বা অসুস্থ পুরুষ। ইসরায়েলের ধারণা, এই ৩৩ জনের অধিকাংশই জীবিত।
এই প্রথম পর্যায়ে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায় চলাকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধীরে ধীরে গাজার সীমানার কাছে একটি বাফার জোনে সরে যাবে। আইডিএফ গাজার কেন্দ্রে নেতজারিম করিডর এবং গাজা ও মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডরের বেশির ভাগ এলাকা ছেড়ে দেবে।
এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা হেঁটে যাবে, তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে না, তবে যানবাহনগুলো কাতারের ও মিসরীয় কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাবেন, যাতে ভারী অস্ত্র স্থানান্তর না হয়।
সাত শরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে প্রায় ২৭৫ জনকে ইসরায়েলি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাজার আরও এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের আইডিএফ যুদ্ধ চলাকালে আটক করেছিল কিন্তু ৭ অক্টোবরের হামলায় তারা অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে হামাস জানালে যে, কোন জিম্মিরা জীবিত আছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ২ লাখ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাস্তবায়নের জামিনদার হিসেবে কাজ করবে। যুদ্ধবিরতির ১৬ তম দিনে, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনার শুরু করবে। এই পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোববারের পরিবর্তে আগামী সোমবার থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেরি হওয়ার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া রোববারের পরিবর্তে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কাতারে অবস্থানরত দেশটির আলোচক দল জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনা চলাকালে শেষ মুহূর্তে কিছু মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর একদিন পিছিয়ে যায়—বলে দাবি করে ইসরায়েল।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। হামাস তাদের সামরিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য বহু বছর ধরে কারাবন্দী। ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দাবির কারণে আলোচনা নতুনভাবে জটিল হয়ে ওঠে।
ইসরায়েল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব বন্দীর মুক্তি ঠেকায়। তবে হামাস আলোচনায় নতুন করে এই দাবিগুলো তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালান।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত এটি অপ্রয়োজনীয় সমস্যা হিসেবেই প্রমাণিত হয়। সমস্যার সমাধান হওয়ার পরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এই চুক্তিতে ইসরায়েল, কাতার এবং হামাসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্রেট ম্যাকগার্ক চুক্তিতে সই করেন।
এদিকে, দোহায় আলোচনা চলাকালে নেতানিয়াহুর কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ও ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানান। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার স্মতরিচের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান এবং চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেন বলে একটি সূত্র জানায়।
বেন গভির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, যদি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হয় তবে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর দল নেতানিয়াহু সরকারের জোট ত্যাগ করবে। তবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করলে তিনি আবার জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বেন গভিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি সরকারকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। লিকুদ পার্টি দাবি করেছে, চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ পাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত বুধবার সিএনএনকে বলেন, আসন্ন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, হামাস যদি চুক্তির কোনো অংশ ভঙ্গ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে, গাজাকে নিরস্ত্র করা হবে এবং হামাসকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ শুক্রবার সকালে চুক্তি অনুমোদন দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে। তবে পুরো মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে আগামীকাল শনিবার রাতে। ইসরায়েলি আইনে সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যায় না। যদি চুক্তি অনুমোদিত হয়, তবে জনসাধারণের কাছে আদালতে আপিল করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় থাকবে।
নেতানিয়াহুর সহযোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সূচির কারণে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি রোববারের পরিবর্তে সোমবার শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন নারী, শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচের আহত বা অসুস্থ পুরুষ। ইসরায়েলের ধারণা, এই ৩৩ জনের অধিকাংশই জীবিত।
এই প্রথম পর্যায়ে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায় চলাকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধীরে ধীরে গাজার সীমানার কাছে একটি বাফার জোনে সরে যাবে। আইডিএফ গাজার কেন্দ্রে নেতজারিম করিডর এবং গাজা ও মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডরের বেশির ভাগ এলাকা ছেড়ে দেবে।
এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা হেঁটে যাবে, তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে না, তবে যানবাহনগুলো কাতারের ও মিসরীয় কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাবেন, যাতে ভারী অস্ত্র স্থানান্তর না হয়।
সাত শরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে প্রায় ২৭৫ জনকে ইসরায়েলি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাজার আরও এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের আইডিএফ যুদ্ধ চলাকালে আটক করেছিল কিন্তু ৭ অক্টোবরের হামলায় তারা অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে হামাস জানালে যে, কোন জিম্মিরা জীবিত আছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ২ লাখ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাস্তবায়নের জামিনদার হিসেবে কাজ করবে। যুদ্ধবিরতির ১৬ তম দিনে, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনার শুরু করবে। এই পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোবব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোবব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোবব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোবব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৫ ঘণ্টা আগে