এক্সিওসের প্রতিবেদন

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোববারের পরিবর্তে আগামী সোমবার থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেরি হওয়ার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া রোববারের পরিবর্তে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কাতারে অবস্থানরত দেশটির আলোচক দল জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনা চলাকালে শেষ মুহূর্তে কিছু মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর একদিন পিছিয়ে যায়—বলে দাবি করে ইসরায়েল।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। হামাস তাদের সামরিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য বহু বছর ধরে কারাবন্দী। ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দাবির কারণে আলোচনা নতুনভাবে জটিল হয়ে ওঠে।
ইসরায়েল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব বন্দীর মুক্তি ঠেকায়। তবে হামাস আলোচনায় নতুন করে এই দাবিগুলো তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালান।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত এটি অপ্রয়োজনীয় সমস্যা হিসেবেই প্রমাণিত হয়। সমস্যার সমাধান হওয়ার পরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এই চুক্তিতে ইসরায়েল, কাতার এবং হামাসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্রেট ম্যাকগার্ক চুক্তিতে সই করেন।
এদিকে, দোহায় আলোচনা চলাকালে নেতানিয়াহুর কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ও ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানান। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার স্মতরিচের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান এবং চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেন বলে একটি সূত্র জানায়।
বেন গভির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, যদি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হয় তবে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর দল নেতানিয়াহু সরকারের জোট ত্যাগ করবে। তবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করলে তিনি আবার জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বেন গভিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি সরকারকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। লিকুদ পার্টি দাবি করেছে, চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ পাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত বুধবার সিএনএনকে বলেন, আসন্ন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, হামাস যদি চুক্তির কোনো অংশ ভঙ্গ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে, গাজাকে নিরস্ত্র করা হবে এবং হামাসকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ শুক্রবার সকালে চুক্তি অনুমোদন দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে। তবে পুরো মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে আগামীকাল শনিবার রাতে। ইসরায়েলি আইনে সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যায় না। যদি চুক্তি অনুমোদিত হয়, তবে জনসাধারণের কাছে আদালতে আপিল করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় থাকবে।
নেতানিয়াহুর সহযোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সূচির কারণে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি রোববারের পরিবর্তে সোমবার শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন নারী, শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচের আহত বা অসুস্থ পুরুষ। ইসরায়েলের ধারণা, এই ৩৩ জনের অধিকাংশই জীবিত।
এই প্রথম পর্যায়ে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায় চলাকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধীরে ধীরে গাজার সীমানার কাছে একটি বাফার জোনে সরে যাবে। আইডিএফ গাজার কেন্দ্রে নেতজারিম করিডর এবং গাজা ও মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডরের বেশির ভাগ এলাকা ছেড়ে দেবে।
এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা হেঁটে যাবে, তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে না, তবে যানবাহনগুলো কাতারের ও মিসরীয় কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাবেন, যাতে ভারী অস্ত্র স্থানান্তর না হয়।
সাত শরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে প্রায় ২৭৫ জনকে ইসরায়েলি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাজার আরও এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের আইডিএফ যুদ্ধ চলাকালে আটক করেছিল কিন্তু ৭ অক্টোবরের হামলায় তারা অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে হামাস জানালে যে, কোন জিম্মিরা জীবিত আছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ২ লাখ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাস্তবায়নের জামিনদার হিসেবে কাজ করবে। যুদ্ধবিরতির ১৬ তম দিনে, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনার শুরু করবে। এই পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোববারের পরিবর্তে আগামী সোমবার থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেরি হওয়ার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া রোববারের পরিবর্তে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কাতারে অবস্থানরত দেশটির আলোচক দল জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনা চলাকালে শেষ মুহূর্তে কিছু মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর একদিন পিছিয়ে যায়—বলে দাবি করে ইসরায়েল।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। হামাস তাদের সামরিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য বহু বছর ধরে কারাবন্দী। ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দাবির কারণে আলোচনা নতুনভাবে জটিল হয়ে ওঠে।
ইসরায়েল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব বন্দীর মুক্তি ঠেকায়। তবে হামাস আলোচনায় নতুন করে এই দাবিগুলো তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালান।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত এটি অপ্রয়োজনীয় সমস্যা হিসেবেই প্রমাণিত হয়। সমস্যার সমাধান হওয়ার পরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এই চুক্তিতে ইসরায়েল, কাতার এবং হামাসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্রেট ম্যাকগার্ক চুক্তিতে সই করেন।
এদিকে, দোহায় আলোচনা চলাকালে নেতানিয়াহুর কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ও ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানান। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার স্মতরিচের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান এবং চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেন বলে একটি সূত্র জানায়।
বেন গভির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, যদি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হয় তবে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর দল নেতানিয়াহু সরকারের জোট ত্যাগ করবে। তবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করলে তিনি আবার জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বেন গভিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি সরকারকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। লিকুদ পার্টি দাবি করেছে, চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ পাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত বুধবার সিএনএনকে বলেন, আসন্ন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, হামাস যদি চুক্তির কোনো অংশ ভঙ্গ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে, গাজাকে নিরস্ত্র করা হবে এবং হামাসকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ শুক্রবার সকালে চুক্তি অনুমোদন দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে। তবে পুরো মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে আগামীকাল শনিবার রাতে। ইসরায়েলি আইনে সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যায় না। যদি চুক্তি অনুমোদিত হয়, তবে জনসাধারণের কাছে আদালতে আপিল করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় থাকবে।
নেতানিয়াহুর সহযোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সূচির কারণে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি রোববারের পরিবর্তে সোমবার শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন নারী, শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচের আহত বা অসুস্থ পুরুষ। ইসরায়েলের ধারণা, এই ৩৩ জনের অধিকাংশই জীবিত।
এই প্রথম পর্যায়ে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায় চলাকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধীরে ধীরে গাজার সীমানার কাছে একটি বাফার জোনে সরে যাবে। আইডিএফ গাজার কেন্দ্রে নেতজারিম করিডর এবং গাজা ও মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডরের বেশির ভাগ এলাকা ছেড়ে দেবে।
এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা হেঁটে যাবে, তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে না, তবে যানবাহনগুলো কাতারের ও মিসরীয় কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাবেন, যাতে ভারী অস্ত্র স্থানান্তর না হয়।
সাত শরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে প্রায় ২৭৫ জনকে ইসরায়েলি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাজার আরও এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের আইডিএফ যুদ্ধ চলাকালে আটক করেছিল কিন্তু ৭ অক্টোবরের হামলায় তারা অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে হামাস জানালে যে, কোন জিম্মিরা জীবিত আছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ২ লাখ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাস্তবায়নের জামিনদার হিসেবে কাজ করবে। যুদ্ধবিরতির ১৬ তম দিনে, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনার শুরু করবে। এই পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এক্সিওসের প্রতিবেদন

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোববারের পরিবর্তে আগামী সোমবার থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেরি হওয়ার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া রোববারের পরিবর্তে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কাতারে অবস্থানরত দেশটির আলোচক দল জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনা চলাকালে শেষ মুহূর্তে কিছু মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর একদিন পিছিয়ে যায়—বলে দাবি করে ইসরায়েল।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। হামাস তাদের সামরিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য বহু বছর ধরে কারাবন্দী। ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দাবির কারণে আলোচনা নতুনভাবে জটিল হয়ে ওঠে।
ইসরায়েল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব বন্দীর মুক্তি ঠেকায়। তবে হামাস আলোচনায় নতুন করে এই দাবিগুলো তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালান।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত এটি অপ্রয়োজনীয় সমস্যা হিসেবেই প্রমাণিত হয়। সমস্যার সমাধান হওয়ার পরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এই চুক্তিতে ইসরায়েল, কাতার এবং হামাসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্রেট ম্যাকগার্ক চুক্তিতে সই করেন।
এদিকে, দোহায় আলোচনা চলাকালে নেতানিয়াহুর কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ও ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানান। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার স্মতরিচের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান এবং চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেন বলে একটি সূত্র জানায়।
বেন গভির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, যদি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হয় তবে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর দল নেতানিয়াহু সরকারের জোট ত্যাগ করবে। তবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করলে তিনি আবার জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বেন গভিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি সরকারকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। লিকুদ পার্টি দাবি করেছে, চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ পাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত বুধবার সিএনএনকে বলেন, আসন্ন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, হামাস যদি চুক্তির কোনো অংশ ভঙ্গ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে, গাজাকে নিরস্ত্র করা হবে এবং হামাসকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ শুক্রবার সকালে চুক্তি অনুমোদন দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে। তবে পুরো মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে আগামীকাল শনিবার রাতে। ইসরায়েলি আইনে সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যায় না। যদি চুক্তি অনুমোদিত হয়, তবে জনসাধারণের কাছে আদালতে আপিল করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় থাকবে।
নেতানিয়াহুর সহযোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সূচির কারণে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি রোববারের পরিবর্তে সোমবার শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন নারী, শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচের আহত বা অসুস্থ পুরুষ। ইসরায়েলের ধারণা, এই ৩৩ জনের অধিকাংশই জীবিত।
এই প্রথম পর্যায়ে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায় চলাকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধীরে ধীরে গাজার সীমানার কাছে একটি বাফার জোনে সরে যাবে। আইডিএফ গাজার কেন্দ্রে নেতজারিম করিডর এবং গাজা ও মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডরের বেশির ভাগ এলাকা ছেড়ে দেবে।
এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা হেঁটে যাবে, তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে না, তবে যানবাহনগুলো কাতারের ও মিসরীয় কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাবেন, যাতে ভারী অস্ত্র স্থানান্তর না হয়।
সাত শরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে প্রায় ২৭৫ জনকে ইসরায়েলি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাজার আরও এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের আইডিএফ যুদ্ধ চলাকালে আটক করেছিল কিন্তু ৭ অক্টোবরের হামলায় তারা অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে হামাস জানালে যে, কোন জিম্মিরা জীবিত আছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ২ লাখ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাস্তবায়নের জামিনদার হিসেবে কাজ করবে। যুদ্ধবিরতির ১৬ তম দিনে, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনার শুরু করবে। এই পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোববারের পরিবর্তে আগামী সোমবার থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অনুমোদন দেরি হওয়ার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু এবং প্রথম তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া রোববারের পরিবর্তে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কাতারে অবস্থানরত দেশটির আলোচক দল জানিয়েছেন, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে দোহায় আলোচনা চলাকালে শেষ মুহূর্তে কিছু মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর একদিন পিছিয়ে যায়—বলে দাবি করে ইসরায়েল।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুক্তি ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। হামাস তাদের সামরিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য বহু বছর ধরে কারাবন্দী। ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দাবির কারণে আলোচনা নতুনভাবে জটিল হয়ে ওঠে।
ইসরায়েল চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এসব বন্দীর মুক্তি ঠেকায়। তবে হামাস আলোচনায় নতুন করে এই দাবিগুলো তুলে ধরে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালান।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শেষ পর্যন্ত এটি অপ্রয়োজনীয় সমস্যা হিসেবেই প্রমাণিত হয়। সমস্যার সমাধান হওয়ার পরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এই চুক্তিতে ইসরায়েল, কাতার এবং হামাসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্রেট ম্যাকগার্ক চুক্তিতে সই করেন।
এদিকে, দোহায় আলোচনা চলাকালে নেতানিয়াহুর কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ও ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা জানান। নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার স্মতরিচের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান এবং চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেন বলে একটি সূত্র জানায়।
বেন গভির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, যদি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হয় তবে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর দল নেতানিয়াহু সরকারের জোট ত্যাগ করবে। তবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল গাজায় পুনরায় অভিযান শুরু করলে তিনি আবার জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বেন গভিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি সরকারকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। লিকুদ পার্টি দাবি করেছে, চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ পাবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গত বুধবার সিএনএনকে বলেন, আসন্ন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, হামাস যদি চুক্তির কোনো অংশ ভঙ্গ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করবে যে, গাজাকে নিরস্ত্র করা হবে এবং হামাসকে ধ্বংস করা হবে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ শুক্রবার সকালে চুক্তি অনুমোদন দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবে। তবে পুরো মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে আগামীকাল শনিবার রাতে। ইসরায়েলি আইনে সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যায় না। যদি চুক্তি অনুমোদিত হয়, তবে জনসাধারণের কাছে আদালতে আপিল করার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় থাকবে।
নেতানিয়াহুর সহযোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সূচির কারণে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি রোববারের পরিবর্তে সোমবার শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবেন নারী, শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচের আহত বা অসুস্থ পুরুষ। ইসরায়েলের ধারণা, এই ৩৩ জনের অধিকাংশই জীবিত।
এই প্রথম পর্যায়ে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায় চলাকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধীরে ধীরে গাজার সীমানার কাছে একটি বাফার জোনে সরে যাবে। আইডিএফ গাজার কেন্দ্রে নেতজারিম করিডর এবং গাজা ও মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডরের বেশির ভাগ এলাকা ছেড়ে দেবে।
এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা হেঁটে যাবে, তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে না, তবে যানবাহনগুলো কাতারের ও মিসরীয় কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাবেন, যাতে ভারী অস্ত্র স্থানান্তর না হয়।
সাত শরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে প্রায় ২৭৫ জনকে ইসরায়েলি হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গাজার আরও এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের আইডিএফ যুদ্ধ চলাকালে আটক করেছিল কিন্তু ৭ অক্টোবরের হামলায় তারা অংশ নেয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে হামাস জানালে যে, কোন জিম্মিরা জীবিত আছেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সাহায্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, যার মধ্যে ৫০টি জ্বালানি সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ২ লাখ তাঁবু এবং ৬০ হাজার মোবাইল বাড়ি সরবরাহ করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাস্তবায়নের জামিনদার হিসেবে কাজ করবে। যুদ্ধবিরতির ১৬ তম দিনে, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনার শুরু করবে। এই পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোবব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোবব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোবব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকার আগামীকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে, রোবব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৩ ঘণ্টা আগে