আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এটি নিয়ে নানা কথা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, যুদ্ধবিমানটির স্টিলথ প্রযুক্তি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। স্যাটেলাইট জ্যামিং প্রযুক্তি এটিকে এত বাজেভাবে অকেজো করে দিয়েছে যে আর সারানো যাচ্ছে না। ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, বিমানবাহী রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি কেরালায় জরুরি অবতরণ করে। এমন নানা জল্পনার কারণে যুদ্ধবিমানটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এফ-৩৫বি মডেলের যুদ্ধবিমানটি গত ১৪ জুন থিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রয়্যাল নেভির ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসে ফেরার সময় ভারত মহাসাগরে খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এটি দিক পরিবর্তন করে কেরালায় অবতরণ করে। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করলেও, এরপর একটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। আর ক্যারিয়ারে ফিরতে পারেনি।
বিমানটি অবতরণের পর থেকে এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসের প্রকৌশলীরা এটি পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশন বিবিসিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিকে বিমানবন্দরের মেইনটেন্যান্স রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহল (এমআরও) সুবিধায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব যুক্তরাজ্য গ্রহণ করেছে। ইউকে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছানোর পর এটি হ্যাঙ্গারে স্থানান্তর করা হবে, যার ফলে অন্যান্য বিমানের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণে খুব একটা ব্যাঘাত ঘটবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মেরামত ও নিরাপত্তা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর বিমানটি সক্রিয় সেবায় ফিরে আসবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রাউন্ড টিম নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিদেরা আগামীকাল শনিবার পৌঁছাবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।
১১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) মূল্যের এই যুদ্ধবিমানটি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) ছয়জন কর্মকর্তা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন।
মুম্বাইয়ের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. সমীর পাতিল বিবিসিকে বলেন, রয়্যাল নেভির সামনে দুটি পথ খোলা আছে: তারা হয় এটি মেরামত করে ওড়ার উপযোগী করতে পারে অথবা একটি বড় কার্গো বিমানে, যেমন সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফটে করে এটি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আটকা পড়া এই জেট বিমানের বিষয়টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সেও উত্থাপিত হয়েছে। গত সোমবার বিরোধী কনজারভেটিভ এমপি বেন ওবেসে-জেকটি সরকারকে প্রশ্ন করেন, এটি সুরক্ষিত রাখতে এবং পরিষেবাতে ফিরিয়ে আনতে কী করা হচ্ছে? ইউকে ডিফেন্স জার্নাল-এর খবর অনুযায়ী, তিনি বলেছেন, ‘বিমানটি পুনরুদ্ধারে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, এতে আর কত সময় লাগবে এবং হ্যাঙ্গারে থাকা অবস্থায় এর সুরক্ষিত প্রযুক্তির নিরাপত্তা সরকার কীভাবে নিশ্চিত করবে?’
ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী লুক পোলার্ড নিশ্চিত করেছেন, বিমানটি যুক্তরাজ্যের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, তারা এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ারে ফিরতে না পারায় প্রথম শ্রেণির সহায়তা দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, রয়্যাল এয়ার ফোর্স ক্রু সব সময় এটির সঙ্গে থাকায় বিমানের নিরাপত্তা ভালো হাতে রয়েছে।’
এফ-৩৫বি অত্যন্ত উন্নত স্টিলথ জেট। এটি তৈরি করেছে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন। সংক্ষিপ্ত টেক-অফ ও উল্লম্ব অবতরণ সক্ষমতার জন্য এই যুদ্ধবিমান বেশ সুপরিচিত।
এদিকে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের রানওয়েতে মৌসুমি বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা এফ-৩৫ বি-এর ছবি সামাজিক মাধ্যমে মিম ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
একটি ভাইরাল পোস্টে মজা করে বলা হয়েছে, জেটটি একটি অনলাইন সাইটে মাত্র ৪ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে! বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, এতে ‘স্বয়ংক্রিয় পার্কিং, একেবারে নতুন টায়ার, একটি নতুন ব্যাটারি এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের ধ্বংস করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক’-এর মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে!
এক্স-এর একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, জেটটি এত দিন ধরে ভারতে থাকায় এর ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রাপ্য। অন্য একজন পরামর্শ দিয়েছেন, ভারতের এখন ভাড়া নেওয়া শুরু করা উচিত। আর অর্থ পরিশোধের উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে কোহিনূর হিরা।
উল্লেখ্য, কোহিনূর হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কাটা হিরা, যার ওজন প্রায় ১০৮ দশমিক ৯৩ ক্যারেট। বর্তমানে এটি ব্রিটিশ রাজের মুকুটে শোভা পাচ্ছে। এটি বিভিন্ন রাজা বাদশাহ ও শাসকের হাত ঘুরে এখন স্থান পেয়েছে টাওয়ার অব লন্ডনে।
এর ইতিহাসের সূচনা ১৩০৪ সালে। ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা মোগল সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ূর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাত ঘরে এটি ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়।
গত বুধবার কেরালা সরকারের পর্যটন বিভাগও এক্স-এ একটি পোস্ট করে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলমান মিম ও কৌতুকে যোগ দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘কেরালা, এমন একটি গন্তব্য যা আপনি কখনো ছাড়তে চাইবেন না।’ পোস্টে এফ-৩৫ বি-এর একটি এআই-জেনারেটেড ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবিতে রানওয়েতে পেছনে দিকে নারকেল গাছ দেখা যাচ্ছে। টেক্সটে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, মনোরম সৌন্দর্যের জন্য ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ হিসেবে পরিচিত কেরালায় অধিকাংশ পর্যটকের মতো, এই জেটটিরও চলে যেতে কষ্ট হচ্ছে!
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. পাতিল বলেন, যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তা এফ-৩৫বি এবং রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তিকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে। তিনি আরও বলেন, ‘ঠাট্টা, মিম, গুজব এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত করছে। যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তত বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়বে।’
প্রকৌশলগত সমস্যাগুলো ‘প্রকৃত ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর’ বলে মনে হচ্ছে, যোগ করেন ড. পাতিল। তবে অধিকাংশ সামরিক বাহিনী ‘সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি’র জন্য প্রস্তুতি নেয়–এবং একটি জেট বিদেশি মাটিতে আটকা পড়া এমনই একটি পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. পাতিল মনে করেন, অধিকাংশ সামরিক বাহিনীর এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) থাকে। তাহলে রয়্যাল নেভির কি কোনো এসওপি নেই? এমন প্রশ্ন ওঠা তাদের জন্যই খুবই খারাপ ব্যাপার!
তিনি বলেন, যদি এমন কিছু শত্রুদের এলাকায় ঘটত, তাহলে কি তারা এত সময় নিত? এটি একটি পেশাদার নৌবাহিনীর জন্য খুব খারাপ পিআর (জনসংযোগ)।

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এটি নিয়ে নানা কথা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, যুদ্ধবিমানটির স্টিলথ প্রযুক্তি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। স্যাটেলাইট জ্যামিং প্রযুক্তি এটিকে এত বাজেভাবে অকেজো করে দিয়েছে যে আর সারানো যাচ্ছে না। ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, বিমানবাহী রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি কেরালায় জরুরি অবতরণ করে। এমন নানা জল্পনার কারণে যুদ্ধবিমানটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এফ-৩৫বি মডেলের যুদ্ধবিমানটি গত ১৪ জুন থিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রয়্যাল নেভির ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসে ফেরার সময় ভারত মহাসাগরে খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এটি দিক পরিবর্তন করে কেরালায় অবতরণ করে। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করলেও, এরপর একটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। আর ক্যারিয়ারে ফিরতে পারেনি।
বিমানটি অবতরণের পর থেকে এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসের প্রকৌশলীরা এটি পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশন বিবিসিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিকে বিমানবন্দরের মেইনটেন্যান্স রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহল (এমআরও) সুবিধায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব যুক্তরাজ্য গ্রহণ করেছে। ইউকে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছানোর পর এটি হ্যাঙ্গারে স্থানান্তর করা হবে, যার ফলে অন্যান্য বিমানের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণে খুব একটা ব্যাঘাত ঘটবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মেরামত ও নিরাপত্তা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর বিমানটি সক্রিয় সেবায় ফিরে আসবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রাউন্ড টিম নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিদেরা আগামীকাল শনিবার পৌঁছাবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।
১১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) মূল্যের এই যুদ্ধবিমানটি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) ছয়জন কর্মকর্তা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন।
মুম্বাইয়ের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. সমীর পাতিল বিবিসিকে বলেন, রয়্যাল নেভির সামনে দুটি পথ খোলা আছে: তারা হয় এটি মেরামত করে ওড়ার উপযোগী করতে পারে অথবা একটি বড় কার্গো বিমানে, যেমন সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফটে করে এটি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আটকা পড়া এই জেট বিমানের বিষয়টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সেও উত্থাপিত হয়েছে। গত সোমবার বিরোধী কনজারভেটিভ এমপি বেন ওবেসে-জেকটি সরকারকে প্রশ্ন করেন, এটি সুরক্ষিত রাখতে এবং পরিষেবাতে ফিরিয়ে আনতে কী করা হচ্ছে? ইউকে ডিফেন্স জার্নাল-এর খবর অনুযায়ী, তিনি বলেছেন, ‘বিমানটি পুনরুদ্ধারে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, এতে আর কত সময় লাগবে এবং হ্যাঙ্গারে থাকা অবস্থায় এর সুরক্ষিত প্রযুক্তির নিরাপত্তা সরকার কীভাবে নিশ্চিত করবে?’
ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী লুক পোলার্ড নিশ্চিত করেছেন, বিমানটি যুক্তরাজ্যের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, তারা এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ারে ফিরতে না পারায় প্রথম শ্রেণির সহায়তা দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, রয়্যাল এয়ার ফোর্স ক্রু সব সময় এটির সঙ্গে থাকায় বিমানের নিরাপত্তা ভালো হাতে রয়েছে।’
এফ-৩৫বি অত্যন্ত উন্নত স্টিলথ জেট। এটি তৈরি করেছে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন। সংক্ষিপ্ত টেক-অফ ও উল্লম্ব অবতরণ সক্ষমতার জন্য এই যুদ্ধবিমান বেশ সুপরিচিত।
এদিকে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের রানওয়েতে মৌসুমি বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা এফ-৩৫ বি-এর ছবি সামাজিক মাধ্যমে মিম ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
একটি ভাইরাল পোস্টে মজা করে বলা হয়েছে, জেটটি একটি অনলাইন সাইটে মাত্র ৪ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে! বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, এতে ‘স্বয়ংক্রিয় পার্কিং, একেবারে নতুন টায়ার, একটি নতুন ব্যাটারি এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের ধ্বংস করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক’-এর মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে!
এক্স-এর একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, জেটটি এত দিন ধরে ভারতে থাকায় এর ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রাপ্য। অন্য একজন পরামর্শ দিয়েছেন, ভারতের এখন ভাড়া নেওয়া শুরু করা উচিত। আর অর্থ পরিশোধের উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে কোহিনূর হিরা।
উল্লেখ্য, কোহিনূর হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কাটা হিরা, যার ওজন প্রায় ১০৮ দশমিক ৯৩ ক্যারেট। বর্তমানে এটি ব্রিটিশ রাজের মুকুটে শোভা পাচ্ছে। এটি বিভিন্ন রাজা বাদশাহ ও শাসকের হাত ঘুরে এখন স্থান পেয়েছে টাওয়ার অব লন্ডনে।
এর ইতিহাসের সূচনা ১৩০৪ সালে। ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা মোগল সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ূর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাত ঘরে এটি ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়।
গত বুধবার কেরালা সরকারের পর্যটন বিভাগও এক্স-এ একটি পোস্ট করে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলমান মিম ও কৌতুকে যোগ দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘কেরালা, এমন একটি গন্তব্য যা আপনি কখনো ছাড়তে চাইবেন না।’ পোস্টে এফ-৩৫ বি-এর একটি এআই-জেনারেটেড ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবিতে রানওয়েতে পেছনে দিকে নারকেল গাছ দেখা যাচ্ছে। টেক্সটে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, মনোরম সৌন্দর্যের জন্য ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ হিসেবে পরিচিত কেরালায় অধিকাংশ পর্যটকের মতো, এই জেটটিরও চলে যেতে কষ্ট হচ্ছে!
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. পাতিল বলেন, যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তা এফ-৩৫বি এবং রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তিকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে। তিনি আরও বলেন, ‘ঠাট্টা, মিম, গুজব এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত করছে। যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তত বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়বে।’
প্রকৌশলগত সমস্যাগুলো ‘প্রকৃত ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর’ বলে মনে হচ্ছে, যোগ করেন ড. পাতিল। তবে অধিকাংশ সামরিক বাহিনী ‘সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি’র জন্য প্রস্তুতি নেয়–এবং একটি জেট বিদেশি মাটিতে আটকা পড়া এমনই একটি পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. পাতিল মনে করেন, অধিকাংশ সামরিক বাহিনীর এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) থাকে। তাহলে রয়্যাল নেভির কি কোনো এসওপি নেই? এমন প্রশ্ন ওঠা তাদের জন্যই খুবই খারাপ ব্যাপার!
তিনি বলেন, যদি এমন কিছু শত্রুদের এলাকায় ঘটত, তাহলে কি তারা এত সময় নিত? এটি একটি পেশাদার নৌবাহিনীর জন্য খুব খারাপ পিআর (জনসংযোগ)।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এটি নিয়ে নানা কথা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, যুদ্ধবিমানটির স্টিলথ প্রযুক্তি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। স্যাটেলাইট জ্যামিং প্রযুক্তি এটিকে এত বাজেভাবে অকেজো করে দিয়েছে যে আর সারানো যাচ্ছে না। ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, বিমানবাহী রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি কেরালায় জরুরি অবতরণ করে। এমন নানা জল্পনার কারণে যুদ্ধবিমানটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এফ-৩৫বি মডেলের যুদ্ধবিমানটি গত ১৪ জুন থিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রয়্যাল নেভির ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসে ফেরার সময় ভারত মহাসাগরে খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এটি দিক পরিবর্তন করে কেরালায় অবতরণ করে। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করলেও, এরপর একটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। আর ক্যারিয়ারে ফিরতে পারেনি।
বিমানটি অবতরণের পর থেকে এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসের প্রকৌশলীরা এটি পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশন বিবিসিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিকে বিমানবন্দরের মেইনটেন্যান্স রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহল (এমআরও) সুবিধায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব যুক্তরাজ্য গ্রহণ করেছে। ইউকে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছানোর পর এটি হ্যাঙ্গারে স্থানান্তর করা হবে, যার ফলে অন্যান্য বিমানের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণে খুব একটা ব্যাঘাত ঘটবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মেরামত ও নিরাপত্তা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর বিমানটি সক্রিয় সেবায় ফিরে আসবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রাউন্ড টিম নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিদেরা আগামীকাল শনিবার পৌঁছাবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।
১১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) মূল্যের এই যুদ্ধবিমানটি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) ছয়জন কর্মকর্তা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন।
মুম্বাইয়ের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. সমীর পাতিল বিবিসিকে বলেন, রয়্যাল নেভির সামনে দুটি পথ খোলা আছে: তারা হয় এটি মেরামত করে ওড়ার উপযোগী করতে পারে অথবা একটি বড় কার্গো বিমানে, যেমন সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফটে করে এটি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আটকা পড়া এই জেট বিমানের বিষয়টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সেও উত্থাপিত হয়েছে। গত সোমবার বিরোধী কনজারভেটিভ এমপি বেন ওবেসে-জেকটি সরকারকে প্রশ্ন করেন, এটি সুরক্ষিত রাখতে এবং পরিষেবাতে ফিরিয়ে আনতে কী করা হচ্ছে? ইউকে ডিফেন্স জার্নাল-এর খবর অনুযায়ী, তিনি বলেছেন, ‘বিমানটি পুনরুদ্ধারে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, এতে আর কত সময় লাগবে এবং হ্যাঙ্গারে থাকা অবস্থায় এর সুরক্ষিত প্রযুক্তির নিরাপত্তা সরকার কীভাবে নিশ্চিত করবে?’
ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী লুক পোলার্ড নিশ্চিত করেছেন, বিমানটি যুক্তরাজ্যের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, তারা এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ারে ফিরতে না পারায় প্রথম শ্রেণির সহায়তা দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, রয়্যাল এয়ার ফোর্স ক্রু সব সময় এটির সঙ্গে থাকায় বিমানের নিরাপত্তা ভালো হাতে রয়েছে।’
এফ-৩৫বি অত্যন্ত উন্নত স্টিলথ জেট। এটি তৈরি করেছে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন। সংক্ষিপ্ত টেক-অফ ও উল্লম্ব অবতরণ সক্ষমতার জন্য এই যুদ্ধবিমান বেশ সুপরিচিত।
এদিকে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের রানওয়েতে মৌসুমি বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা এফ-৩৫ বি-এর ছবি সামাজিক মাধ্যমে মিম ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
একটি ভাইরাল পোস্টে মজা করে বলা হয়েছে, জেটটি একটি অনলাইন সাইটে মাত্র ৪ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে! বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, এতে ‘স্বয়ংক্রিয় পার্কিং, একেবারে নতুন টায়ার, একটি নতুন ব্যাটারি এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের ধ্বংস করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক’-এর মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে!
এক্স-এর একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, জেটটি এত দিন ধরে ভারতে থাকায় এর ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রাপ্য। অন্য একজন পরামর্শ দিয়েছেন, ভারতের এখন ভাড়া নেওয়া শুরু করা উচিত। আর অর্থ পরিশোধের উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে কোহিনূর হিরা।
উল্লেখ্য, কোহিনূর হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কাটা হিরা, যার ওজন প্রায় ১০৮ দশমিক ৯৩ ক্যারেট। বর্তমানে এটি ব্রিটিশ রাজের মুকুটে শোভা পাচ্ছে। এটি বিভিন্ন রাজা বাদশাহ ও শাসকের হাত ঘুরে এখন স্থান পেয়েছে টাওয়ার অব লন্ডনে।
এর ইতিহাসের সূচনা ১৩০৪ সালে। ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা মোগল সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ূর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাত ঘরে এটি ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়।
গত বুধবার কেরালা সরকারের পর্যটন বিভাগও এক্স-এ একটি পোস্ট করে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলমান মিম ও কৌতুকে যোগ দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘কেরালা, এমন একটি গন্তব্য যা আপনি কখনো ছাড়তে চাইবেন না।’ পোস্টে এফ-৩৫ বি-এর একটি এআই-জেনারেটেড ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবিতে রানওয়েতে পেছনে দিকে নারকেল গাছ দেখা যাচ্ছে। টেক্সটে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, মনোরম সৌন্দর্যের জন্য ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ হিসেবে পরিচিত কেরালায় অধিকাংশ পর্যটকের মতো, এই জেটটিরও চলে যেতে কষ্ট হচ্ছে!
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. পাতিল বলেন, যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তা এফ-৩৫বি এবং রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তিকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে। তিনি আরও বলেন, ‘ঠাট্টা, মিম, গুজব এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত করছে। যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তত বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়বে।’
প্রকৌশলগত সমস্যাগুলো ‘প্রকৃত ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর’ বলে মনে হচ্ছে, যোগ করেন ড. পাতিল। তবে অধিকাংশ সামরিক বাহিনী ‘সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি’র জন্য প্রস্তুতি নেয়–এবং একটি জেট বিদেশি মাটিতে আটকা পড়া এমনই একটি পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. পাতিল মনে করেন, অধিকাংশ সামরিক বাহিনীর এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) থাকে। তাহলে রয়্যাল নেভির কি কোনো এসওপি নেই? এমন প্রশ্ন ওঠা তাদের জন্যই খুবই খারাপ ব্যাপার!
তিনি বলেন, যদি এমন কিছু শত্রুদের এলাকায় ঘটত, তাহলে কি তারা এত সময় নিত? এটি একটি পেশাদার নৌবাহিনীর জন্য খুব খারাপ পিআর (জনসংযোগ)।

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এটি নিয়ে নানা কথা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, যুদ্ধবিমানটির স্টিলথ প্রযুক্তি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। স্যাটেলাইট জ্যামিং প্রযুক্তি এটিকে এত বাজেভাবে অকেজো করে দিয়েছে যে আর সারানো যাচ্ছে না। ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, বিমানবাহী রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি কেরালায় জরুরি অবতরণ করে। এমন নানা জল্পনার কারণে যুদ্ধবিমানটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এফ-৩৫বি মডেলের যুদ্ধবিমানটি গত ১৪ জুন থিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রয়্যাল নেভির ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসে ফেরার সময় ভারত মহাসাগরে খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এটি দিক পরিবর্তন করে কেরালায় অবতরণ করে। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করলেও, এরপর একটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। আর ক্যারিয়ারে ফিরতে পারেনি।
বিমানটি অবতরণের পর থেকে এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসের প্রকৌশলীরা এটি পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশন বিবিসিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিকে বিমানবন্দরের মেইনটেন্যান্স রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহল (এমআরও) সুবিধায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব যুক্তরাজ্য গ্রহণ করেছে। ইউকে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছানোর পর এটি হ্যাঙ্গারে স্থানান্তর করা হবে, যার ফলে অন্যান্য বিমানের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণে খুব একটা ব্যাঘাত ঘটবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মেরামত ও নিরাপত্তা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর বিমানটি সক্রিয় সেবায় ফিরে আসবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রাউন্ড টিম নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিদেরা আগামীকাল শনিবার পৌঁছাবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।
১১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) মূল্যের এই যুদ্ধবিমানটি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) ছয়জন কর্মকর্তা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন।
মুম্বাইয়ের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. সমীর পাতিল বিবিসিকে বলেন, রয়্যাল নেভির সামনে দুটি পথ খোলা আছে: তারা হয় এটি মেরামত করে ওড়ার উপযোগী করতে পারে অথবা একটি বড় কার্গো বিমানে, যেমন সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফটে করে এটি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আটকা পড়া এই জেট বিমানের বিষয়টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সেও উত্থাপিত হয়েছে। গত সোমবার বিরোধী কনজারভেটিভ এমপি বেন ওবেসে-জেকটি সরকারকে প্রশ্ন করেন, এটি সুরক্ষিত রাখতে এবং পরিষেবাতে ফিরিয়ে আনতে কী করা হচ্ছে? ইউকে ডিফেন্স জার্নাল-এর খবর অনুযায়ী, তিনি বলেছেন, ‘বিমানটি পুনরুদ্ধারে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, এতে আর কত সময় লাগবে এবং হ্যাঙ্গারে থাকা অবস্থায় এর সুরক্ষিত প্রযুক্তির নিরাপত্তা সরকার কীভাবে নিশ্চিত করবে?’
ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী লুক পোলার্ড নিশ্চিত করেছেন, বিমানটি যুক্তরাজ্যের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, তারা এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ারে ফিরতে না পারায় প্রথম শ্রেণির সহায়তা দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, রয়্যাল এয়ার ফোর্স ক্রু সব সময় এটির সঙ্গে থাকায় বিমানের নিরাপত্তা ভালো হাতে রয়েছে।’
এফ-৩৫বি অত্যন্ত উন্নত স্টিলথ জেট। এটি তৈরি করেছে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন। সংক্ষিপ্ত টেক-অফ ও উল্লম্ব অবতরণ সক্ষমতার জন্য এই যুদ্ধবিমান বেশ সুপরিচিত।
এদিকে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের রানওয়েতে মৌসুমি বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা এফ-৩৫ বি-এর ছবি সামাজিক মাধ্যমে মিম ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
একটি ভাইরাল পোস্টে মজা করে বলা হয়েছে, জেটটি একটি অনলাইন সাইটে মাত্র ৪ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে! বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, এতে ‘স্বয়ংক্রিয় পার্কিং, একেবারে নতুন টায়ার, একটি নতুন ব্যাটারি এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের ধ্বংস করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক’-এর মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে!
এক্স-এর একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, জেটটি এত দিন ধরে ভারতে থাকায় এর ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রাপ্য। অন্য একজন পরামর্শ দিয়েছেন, ভারতের এখন ভাড়া নেওয়া শুরু করা উচিত। আর অর্থ পরিশোধের উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে কোহিনূর হিরা।
উল্লেখ্য, কোহিনূর হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কাটা হিরা, যার ওজন প্রায় ১০৮ দশমিক ৯৩ ক্যারেট। বর্তমানে এটি ব্রিটিশ রাজের মুকুটে শোভা পাচ্ছে। এটি বিভিন্ন রাজা বাদশাহ ও শাসকের হাত ঘুরে এখন স্থান পেয়েছে টাওয়ার অব লন্ডনে।
এর ইতিহাসের সূচনা ১৩০৪ সালে। ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা মোগল সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ূর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাত ঘরে এটি ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়।
গত বুধবার কেরালা সরকারের পর্যটন বিভাগও এক্স-এ একটি পোস্ট করে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলমান মিম ও কৌতুকে যোগ দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘কেরালা, এমন একটি গন্তব্য যা আপনি কখনো ছাড়তে চাইবেন না।’ পোস্টে এফ-৩৫ বি-এর একটি এআই-জেনারেটেড ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবিতে রানওয়েতে পেছনে দিকে নারকেল গাছ দেখা যাচ্ছে। টেক্সটে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, মনোরম সৌন্দর্যের জন্য ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ হিসেবে পরিচিত কেরালায় অধিকাংশ পর্যটকের মতো, এই জেটটিরও চলে যেতে কষ্ট হচ্ছে!
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. পাতিল বলেন, যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তা এফ-৩৫বি এবং রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তিকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করবে। তিনি আরও বলেন, ‘ঠাট্টা, মিম, গুজব এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত করছে। যত দিন জেটটি আটকা থাকবে, তত বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়বে।’
প্রকৌশলগত সমস্যাগুলো ‘প্রকৃত ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর’ বলে মনে হচ্ছে, যোগ করেন ড. পাতিল। তবে অধিকাংশ সামরিক বাহিনী ‘সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি’র জন্য প্রস্তুতি নেয়–এবং একটি জেট বিদেশি মাটিতে আটকা পড়া এমনই একটি পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. পাতিল মনে করেন, অধিকাংশ সামরিক বাহিনীর এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) থাকে। তাহলে রয়্যাল নেভির কি কোনো এসওপি নেই? এমন প্রশ্ন ওঠা তাদের জন্যই খুবই খারাপ ব্যাপার!
তিনি বলেন, যদি এমন কিছু শত্রুদের এলাকায় ঘটত, তাহলে কি তারা এত সময় নিত? এটি একটি পেশাদার নৌবাহিনীর জন্য খুব খারাপ পিআর (জনসংযোগ)।

এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
০৪ জুলাই ২০২৫
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
০৪ জুলাই ২০২৫
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
০৪ জুলাই ২০২৫
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকা পড়ে আছে একটি অত্যাধুনিক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান। এমন আধুনিক একটি বিমান কীভাবে দিনের পর দিন একটি বিদেশি মাটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
০৪ জুলাই ২০২৫
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে