কলকাতা প্রতিনিধি

দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাস সাক্ষী, জনগণের ক্ষোভ যখন রাস্তায় নেমে আসে, তখন ক্ষমতার আসন কেঁপে ওঠে। বাংলাদেশে দীর্ঘ আন্দোলনের ঢেউ সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছে, নেপালে জনতার বিক্ষোভে রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রকট হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক ধসের মুখে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এবার সেই জন-অসন্তোষের ছায়া ভারতীয় ভূখণ্ডেও ঘনীভূত হচ্ছে।
ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে, তা বিরোধীদের নতুন করে শক্তি জোগাচ্ছে, আবার সাধারণ মানুষের ক্ষোভকেও সংগঠিত করছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামনে চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে উঠে এসেছে মণিপুর। গত দুই বছরের সহিংসতা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে আড়াই শতাধিক মানুষের, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি নাগরিক। দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটাতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে রাষ্ট্রপতির শাসন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সমস্যার নিরপেক্ষ সমাধানে ব্যর্থতা শুধু মণিপুর নয়, গোটা দেশের ঐক্যকেই বিপন্ন করছে। সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, মোদি সরকার মানবিক সংকটে পাশে না দাঁড়িয়ে কেবল ভোটব্যাংক খুঁজছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কথায়, যদি একজন প্রধানমন্ত্রীও মানুষের চোখের পানি মুছতে না পারেন, তবে সেই সরকার জনগণের নয়, বরং দলের। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সরাসরি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্পের উদ্বোধন সম্ভব হলেও রক্তাক্ত মণিপুরবাসীর জন্য সরকারের সহানুভূতি নেই।
বিজেপিবিরোধী নেত্রীদের কণ্ঠেও শোনা যাচ্ছে একই সুর। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, উত্তর-পূর্ব থেকে শুরু করে বিহার পর্যন্ত বিজেপি গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করছে। তাঁর বক্তব্য, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি বলে হেনস্তা করা হচ্ছে, যা সংবিধানের চরম লঙ্ঘন। এর মধ্যে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া বা এসআইআর নিয়ে নতুন করে উত্তাল হয়েছে দেশ। বিরোধীরা দাবি করছেন, এটি আসলে ভোট চুরির বৈধ পথ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সাফ জানিয়েছেন, এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি এবং প্রতিটি আসনে লড়াই হবে। সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেছেন, এই সরকার পরিকল্পিতভাবে মুসলমান, দলিত, উত্তর-পূর্বের মানুষ ও বাংলাভাষীদের হেনস্তা করছে। আজ প্রতিবাদ না করলে আগামী দিনে কেউ নিরাপদ থাকবে না।
দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক আবহাওয়াও বিজেপির জন্য অস্বস্তিকর। জনপ্রিয় অভিনেতা ও নবগঠিত দল টিভিকের (তামিলাগা ভেটরি কাজাগম) নেতা থালাপতি বিজয় প্রকাশ্যে বলেছেন, চোল ঐতিহ্যের নামে নাটক মঞ্চস্থ করে বিজেপি ভোট চাচ্ছে। কিজহাদি খননকে উপেক্ষা করে ইতিহাস গোপন করার অভিযোগও তোলেন তিনি। তাঁর দলের স্পষ্ট ঘোষণা, বিজেপির সঙ্গে কোনো সমঝোতা সম্ভব নয়। কারণ, বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে, যা দক্ষিণ ভারতের চেতনার পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর ইতিহাসে কিজহাদি খনন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।
২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি মাদুরাইয়ের পারাপাথিতে নিজ দলের দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনে বক্তব্য দেন অভিনেতা বিজয়। এ সময় তিনি কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও প্রতীকী বার্তা দেন। বিজয় বলেন, ‘আমাদের একমাত্র আদর্শগত শত্রু হলো বিজেপি। আর আমাদের রাজনৈতিক শত্রু হলো ডিএমকে (দ্রাবিড় মুনেত্র কাজাগাম)। টিভিকে এমন কোনো দল নয়, যারা কাউকে ভয় পায় বা কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড মাফিয়া ব্যবসা চালায়। পুরো তামিলনাড়ুর শক্তি আমাদের সঙ্গে আছে। চলুন, আমরা ফ্যাসিবাদী বিজেপি ও বিষাক্ত ডিএমকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি।’
এদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নেমেছে। সংসদের ভেতরে-বাইরে সমবেত কণ্ঠে মোদি সরকারকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছে। গ্রামগঞ্জে সভা থেকে শুরু করে শহরের পথে পথে মিছিলের ডাক দিচ্ছে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে কেন্দ্রকে চাপে ফেলেছেন। বিশেষ করে, বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রসঙ্গে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছেন, যথাযথ সুযোগ না দিয়ে নাগরিকের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। বিরোধীরা এটিকে নিজেদের জয়ের হাতিয়ার হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে ওয়াক্ফ আইন নিয়ে আদালতের কঠোর মন্তব্য বিজেপির ওপর নতুন চাপ তৈরি করেছে।
আসামে এখনো জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে অস্থিরতা বিদ্যমান। বিশেষত বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তীব্র। তাদের আশঙ্কা, নাগরিকত্বের প্রশ্নে আবারও বঞ্চিত হতে হবে। ছাত্রসংগঠন, মানবাধিকারকর্মী, সাধারণ মানুষ বারবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট হয়, দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্র ক্ষোভের স্রোত জমা হচ্ছে। মানুষ যেমন কর্মসংস্থানের অভাব, অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যবৃদ্ধিতে ক্লান্ত, তেমনই মণিপুরের সহিংসতা কিংবা ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কায় ক্ষুব্ধ। বিরোধীরা এই ক্ষোভকে রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা, খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়েইসি কিংবা দক্ষিণ ভারতের নতুন প্রজন্মের নেতারা সবাই মিলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে চিত্র তুলে ধরছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে—ভারতও আর দক্ষিণ এশিয়ার বিক্ষোভ তরঙ্গ থেকে মুক্ত নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭৫তম জন্মদিনের প্রাক্কালে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, উন্নয়নই সব সমস্যার সমাধান। তবে বিরোধীরা বলছেন, বাস্তবে এই সরকার চাপে। দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ রাস্তায় নামছে, সংবিধানের অধিকারের প্রশ্নে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাই মোদি সরকারের সামনে সতর্কবার্তা স্পষ্ট—গণ-অসন্তোষকে উপেক্ষা করলে আগামী দিনে এর প্রতিফলন দেখা যাবে ভোটের বাক্সে।

দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাস সাক্ষী, জনগণের ক্ষোভ যখন রাস্তায় নেমে আসে, তখন ক্ষমতার আসন কেঁপে ওঠে। বাংলাদেশে দীর্ঘ আন্দোলনের ঢেউ সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছে, নেপালে জনতার বিক্ষোভে রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রকট হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক ধসের মুখে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এবার সেই জন-অসন্তোষের ছায়া ভারতীয় ভূখণ্ডেও ঘনীভূত হচ্ছে।
ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে, তা বিরোধীদের নতুন করে শক্তি জোগাচ্ছে, আবার সাধারণ মানুষের ক্ষোভকেও সংগঠিত করছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামনে চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে উঠে এসেছে মণিপুর। গত দুই বছরের সহিংসতা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে আড়াই শতাধিক মানুষের, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি নাগরিক। দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটাতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে রাষ্ট্রপতির শাসন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সমস্যার নিরপেক্ষ সমাধানে ব্যর্থতা শুধু মণিপুর নয়, গোটা দেশের ঐক্যকেই বিপন্ন করছে। সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, মোদি সরকার মানবিক সংকটে পাশে না দাঁড়িয়ে কেবল ভোটব্যাংক খুঁজছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কথায়, যদি একজন প্রধানমন্ত্রীও মানুষের চোখের পানি মুছতে না পারেন, তবে সেই সরকার জনগণের নয়, বরং দলের। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সরাসরি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্পের উদ্বোধন সম্ভব হলেও রক্তাক্ত মণিপুরবাসীর জন্য সরকারের সহানুভূতি নেই।
বিজেপিবিরোধী নেত্রীদের কণ্ঠেও শোনা যাচ্ছে একই সুর। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, উত্তর-পূর্ব থেকে শুরু করে বিহার পর্যন্ত বিজেপি গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করছে। তাঁর বক্তব্য, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি বলে হেনস্তা করা হচ্ছে, যা সংবিধানের চরম লঙ্ঘন। এর মধ্যে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া বা এসআইআর নিয়ে নতুন করে উত্তাল হয়েছে দেশ। বিরোধীরা দাবি করছেন, এটি আসলে ভোট চুরির বৈধ পথ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সাফ জানিয়েছেন, এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি এবং প্রতিটি আসনে লড়াই হবে। সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেছেন, এই সরকার পরিকল্পিতভাবে মুসলমান, দলিত, উত্তর-পূর্বের মানুষ ও বাংলাভাষীদের হেনস্তা করছে। আজ প্রতিবাদ না করলে আগামী দিনে কেউ নিরাপদ থাকবে না।
দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক আবহাওয়াও বিজেপির জন্য অস্বস্তিকর। জনপ্রিয় অভিনেতা ও নবগঠিত দল টিভিকের (তামিলাগা ভেটরি কাজাগম) নেতা থালাপতি বিজয় প্রকাশ্যে বলেছেন, চোল ঐতিহ্যের নামে নাটক মঞ্চস্থ করে বিজেপি ভোট চাচ্ছে। কিজহাদি খননকে উপেক্ষা করে ইতিহাস গোপন করার অভিযোগও তোলেন তিনি। তাঁর দলের স্পষ্ট ঘোষণা, বিজেপির সঙ্গে কোনো সমঝোতা সম্ভব নয়। কারণ, বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে, যা দক্ষিণ ভারতের চেতনার পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর ইতিহাসে কিজহাদি খনন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।
২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি মাদুরাইয়ের পারাপাথিতে নিজ দলের দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনে বক্তব্য দেন অভিনেতা বিজয়। এ সময় তিনি কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও প্রতীকী বার্তা দেন। বিজয় বলেন, ‘আমাদের একমাত্র আদর্শগত শত্রু হলো বিজেপি। আর আমাদের রাজনৈতিক শত্রু হলো ডিএমকে (দ্রাবিড় মুনেত্র কাজাগাম)। টিভিকে এমন কোনো দল নয়, যারা কাউকে ভয় পায় বা কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড মাফিয়া ব্যবসা চালায়। পুরো তামিলনাড়ুর শক্তি আমাদের সঙ্গে আছে। চলুন, আমরা ফ্যাসিবাদী বিজেপি ও বিষাক্ত ডিএমকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি।’
এদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নেমেছে। সংসদের ভেতরে-বাইরে সমবেত কণ্ঠে মোদি সরকারকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছে। গ্রামগঞ্জে সভা থেকে শুরু করে শহরের পথে পথে মিছিলের ডাক দিচ্ছে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে কেন্দ্রকে চাপে ফেলেছেন। বিশেষ করে, বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রসঙ্গে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছেন, যথাযথ সুযোগ না দিয়ে নাগরিকের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। বিরোধীরা এটিকে নিজেদের জয়ের হাতিয়ার হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে ওয়াক্ফ আইন নিয়ে আদালতের কঠোর মন্তব্য বিজেপির ওপর নতুন চাপ তৈরি করেছে।
আসামে এখনো জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে অস্থিরতা বিদ্যমান। বিশেষত বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তীব্র। তাদের আশঙ্কা, নাগরিকত্বের প্রশ্নে আবারও বঞ্চিত হতে হবে। ছাত্রসংগঠন, মানবাধিকারকর্মী, সাধারণ মানুষ বারবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট হয়, দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্র ক্ষোভের স্রোত জমা হচ্ছে। মানুষ যেমন কর্মসংস্থানের অভাব, অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যবৃদ্ধিতে ক্লান্ত, তেমনই মণিপুরের সহিংসতা কিংবা ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কায় ক্ষুব্ধ। বিরোধীরা এই ক্ষোভকে রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা, খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়েইসি কিংবা দক্ষিণ ভারতের নতুন প্রজন্মের নেতারা সবাই মিলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে চিত্র তুলে ধরছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে—ভারতও আর দক্ষিণ এশিয়ার বিক্ষোভ তরঙ্গ থেকে মুক্ত নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭৫তম জন্মদিনের প্রাক্কালে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, উন্নয়নই সব সমস্যার সমাধান। তবে বিরোধীরা বলছেন, বাস্তবে এই সরকার চাপে। দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ রাস্তায় নামছে, সংবিধানের অধিকারের প্রশ্নে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাই মোদি সরকারের সামনে সতর্কবার্তা স্পষ্ট—গণ-অসন্তোষকে উপেক্ষা করলে আগামী দিনে এর প্রতিফলন দেখা যাবে ভোটের বাক্সে।

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, মেক্সিকো উপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী রুটে চলাচল করে ওই ট্রেন। ট্রেনটিতে ২৪১ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিজান্দা শহরের কাছে একটি বাঁক ঘোরার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, নেভির সেক্রেটারিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা লাইনচ্যুত ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামতে সহায়তা করছেন। ট্রেনটি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে আংশিকভাবে একটি খাদের পাশে কাত হয়ে যায়।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বন্দর সালিনা ক্রুজকে উপসাগরীয় উপকূলের কোয়াটজাকোয়ালকোসের সঙ্গে যুক্ত করা ‘ইন্টারওশেনিক’ (Interoceanic) ট্রেনটিতে দুটি লোকোমোটিভ ও চারটি যাত্রীবাহী বগি ছিল। মেক্সিকোর নৌবাহিনী দেশটির রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
ওয়াহাকা রাজ্যের গভর্নর সলোমোন জারা ক্রুজ এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় রাজ্য সরকার ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
আঞ্চলিক অর্থনীতি চাঙা করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের উদ্যোগে দুই বছর আগে ইন্টারওশেনিক রেলসংযোগটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমিয়ে আনতে তেহুয়ান্তেপেক ইস্থমাস এলাকাজুড়ে রেল যোগাযোগ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলটিকে একটি কৌশলগত বাণিজ্য করিডোরে রূপ দিতে চেয়েছে মেক্সিকো সরকার। এর অংশ হিসেবে বন্দর, রেলপথ ও শিল্প অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই রেল পরিষেবাটি দক্ষিণ মেক্সিকোতে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় অংশ।

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, মেক্সিকো উপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী রুটে চলাচল করে ওই ট্রেন। ট্রেনটিতে ২৪১ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিজান্দা শহরের কাছে একটি বাঁক ঘোরার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, নেভির সেক্রেটারিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা লাইনচ্যুত ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামতে সহায়তা করছেন। ট্রেনটি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে আংশিকভাবে একটি খাদের পাশে কাত হয়ে যায়।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বন্দর সালিনা ক্রুজকে উপসাগরীয় উপকূলের কোয়াটজাকোয়ালকোসের সঙ্গে যুক্ত করা ‘ইন্টারওশেনিক’ (Interoceanic) ট্রেনটিতে দুটি লোকোমোটিভ ও চারটি যাত্রীবাহী বগি ছিল। মেক্সিকোর নৌবাহিনী দেশটির রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
ওয়াহাকা রাজ্যের গভর্নর সলোমোন জারা ক্রুজ এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় রাজ্য সরকার ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
আঞ্চলিক অর্থনীতি চাঙা করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের উদ্যোগে দুই বছর আগে ইন্টারওশেনিক রেলসংযোগটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমিয়ে আনতে তেহুয়ান্তেপেক ইস্থমাস এলাকাজুড়ে রেল যোগাযোগ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলটিকে একটি কৌশলগত বাণিজ্য করিডোরে রূপ দিতে চেয়েছে মেক্সিকো সরকার। এর অংশ হিসেবে বন্দর, রেলপথ ও শিল্প অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই রেল পরিষেবাটি দক্ষিণ মেক্সিকোতে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় অংশ।

ভারতের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে, তা বিরোধীদের নতুন করে শক্তি জোগাচ্ছে, আবার সাধারণ মানুষের ক্ষোভকেও সংগঠিত করছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামনে চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

ভারতের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে, তা বিরোধীদের নতুন করে শক্তি জোগাচ্ছে, আবার সাধারণ মানুষের ক্ষোভকেও সংগঠিত করছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামনে চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

ভারতের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে, তা বিরোধীদের নতুন করে শক্তি জোগাচ্ছে, আবার সাধারণ মানুষের ক্ষোভকেও সংগঠিত করছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামনে চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে, তা বিরোধীদের নতুন করে শক্তি জোগাচ্ছে, আবার সাধারণ মানুষের ক্ষোভকেও সংগঠিত করছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামনে চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে