আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সেনা সহায়তা দেওয়ায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৮০ বছর উপলক্ষে চীনের আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে গিয়ে আজ বুধবার সাইডলাইনে বৈঠক করেন দুই নেতা। সেখানেই এ কথা বলেন পুতিন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিন বলেছেন, কুরস্ক অঞ্চলকে ইউক্রেনের সেনাদের কাছ থেকে মুক্ত করতে সহযোগিতা করেছে পিয়ংইয়ং। তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে পুতিন কিমকে বলেন, ‘আপনার সৈন্যরা সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আপনার সেনারা ও তাদের পরিবার যে ত্যাগ স্বীকার করেছে আমরা কখনো তা ভুলব না।’
পুতিনের এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কিম বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে’। এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধকে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার ‘যৌথ সংগ্রাম’ বলে অভিহিত করে কিম বলেন, ‘রাশিয়াকে সাহায্য করার আমাদের ভ্রাতৃত্বসুলভ দায়িত্ব। কখনো এমন সুযোগ থাকলে তা আমরা নিশ্চয়ই করব।’
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সেনা সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া—বহুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলো। তবে, এ ইস্যুতে বরাবরই চুপই ছিল মস্কো ও পিয়ংইয়ং। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো পিয়ংইয়ং প্রকাশ্যে স্বীকার করে যে তারা রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি—ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করতে রাশিয়ায় প্রায় ১৫ হাজার সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও দূর পাল্লার অস্ত্রও পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সহায়তার বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুতিন উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সাহসিকতার প্রশংসা করলেও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, কুরস্কে তেমন সুবিধা করতে পারেনি উত্তর কোরিয়ার সেনারা, বরং মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, শুধু তিন মাসে অন্তত এক হাজার উত্তর কোরীয় সেনা নিহত হয়েছে। এর দুই মাস পর সিউলের আইনপ্রণেতারা বলেন, উত্তর কোরিয়ার পাঠানো মোট ১৫ হাজার সেনার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ জনই হতাহত হয়েছে, এর মধ্যে নিহত হয়েছে অন্তত ৬০০ জন। যুদ্ধের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় এসব উত্তর কোরীয় সেনা প্রথম কয়েক সপ্তাহ রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ নেয়, এরপর সহায়ক ভূমিকায় মাঠে নামে।
গত দুই বছরে এটি পুতিন ও কিমের তৃতীয় বৈঠক। গত জুনে দুই নেতা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যাতে বলা হয় আক্রমণের শিকার হলে পরস্পরকে সাহায্য করবে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া। সে সময় এই চুক্তিকে ‘সর্বোচ্চ শক্তিশালী’ চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন কিম। কয়েক সপ্তাহ আগে কিম আবারও মস্কোর প্রতি তার সমর্থন জানিয়ে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের রাশিয়াকে ‘শর্তহীন সমর্থন’ দেবে উত্তর কোরিয়া। গত জুনে মস্কোর নিরাপত্তা প্রধান জানান, সেনাদের পাশাপাশি রাশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত কুরস্ক অঞ্চল পুনর্গঠনে হাজারো শ্রমিক পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন কিম জং উন। সাধারণ উত্তর কোরিয়ার বাইরে তিনি খুব একটা যান না। গেলেও একক বৈঠকেই অংশ নেন। এবারই প্রথম কোনো বহুপক্ষীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন তিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে হেঁটে বেইজিংয়ের তিয়েনানমেন স্কয়ারে প্রবেশ করেন কিম জং উন। পরে তাদের পাশাপাশি বসে স্বাচ্ছন্দ্যে আলাপ করতে দেখা যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচ্ছিন্ন, উপেক্ষিত এবং প্রায়ই উপহাসের শিকার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবার এক ভিন্ন চিত্রে সামনে এলেন। চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে তার অংশ নেওয়া প্রমাণ করে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংকে সঙ্গে একই কাতারে অবস্থান করেন। বিশ্লেষকেরা আরও বলেন, ঐতিহ্য ভেঙে কিমের এই প্যারেডে অংশ নেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল পুতিন ও শির পাশে সমান উচ্চতায় নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি করা।
বেইজিংয়ের তিয়েনানমেন স্কয়ারে পাশাপাশি বসা ও ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতার মাধ্যমে তিন নেতা পশ্চিমা বিশ্বকে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে। আর তা হলো— মস্কো, পিয়ংইয়ং ও বেইজিং এখন ঘনিষ্ঠ জোট। এদিকে, এই বৈঠকের জেরে নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন—পুতিন, সি ও কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এর জবাবে এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলছে, তারা আশা করে ট্রাম্প ‘রসিকতা’ করে এই পোস্ট দিয়েছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সেনা সহায়তা দেওয়ায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৮০ বছর উপলক্ষে চীনের আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে গিয়ে আজ বুধবার সাইডলাইনে বৈঠক করেন দুই নেতা। সেখানেই এ কথা বলেন পুতিন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিন বলেছেন, কুরস্ক অঞ্চলকে ইউক্রেনের সেনাদের কাছ থেকে মুক্ত করতে সহযোগিতা করেছে পিয়ংইয়ং। তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে পুতিন কিমকে বলেন, ‘আপনার সৈন্যরা সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আপনার সেনারা ও তাদের পরিবার যে ত্যাগ স্বীকার করেছে আমরা কখনো তা ভুলব না।’
পুতিনের এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কিম বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে’। এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধকে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার ‘যৌথ সংগ্রাম’ বলে অভিহিত করে কিম বলেন, ‘রাশিয়াকে সাহায্য করার আমাদের ভ্রাতৃত্বসুলভ দায়িত্ব। কখনো এমন সুযোগ থাকলে তা আমরা নিশ্চয়ই করব।’
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সেনা সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া—বহুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলো। তবে, এ ইস্যুতে বরাবরই চুপই ছিল মস্কো ও পিয়ংইয়ং। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো পিয়ংইয়ং প্রকাশ্যে স্বীকার করে যে তারা রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি—ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করতে রাশিয়ায় প্রায় ১৫ হাজার সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও দূর পাল্লার অস্ত্রও পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সহায়তার বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুতিন উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সাহসিকতার প্রশংসা করলেও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, কুরস্কে তেমন সুবিধা করতে পারেনি উত্তর কোরিয়ার সেনারা, বরং মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, শুধু তিন মাসে অন্তত এক হাজার উত্তর কোরীয় সেনা নিহত হয়েছে। এর দুই মাস পর সিউলের আইনপ্রণেতারা বলেন, উত্তর কোরিয়ার পাঠানো মোট ১৫ হাজার সেনার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ জনই হতাহত হয়েছে, এর মধ্যে নিহত হয়েছে অন্তত ৬০০ জন। যুদ্ধের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় এসব উত্তর কোরীয় সেনা প্রথম কয়েক সপ্তাহ রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ নেয়, এরপর সহায়ক ভূমিকায় মাঠে নামে।
গত দুই বছরে এটি পুতিন ও কিমের তৃতীয় বৈঠক। গত জুনে দুই নেতা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যাতে বলা হয় আক্রমণের শিকার হলে পরস্পরকে সাহায্য করবে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া। সে সময় এই চুক্তিকে ‘সর্বোচ্চ শক্তিশালী’ চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন কিম। কয়েক সপ্তাহ আগে কিম আবারও মস্কোর প্রতি তার সমর্থন জানিয়ে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের রাশিয়াকে ‘শর্তহীন সমর্থন’ দেবে উত্তর কোরিয়া। গত জুনে মস্কোর নিরাপত্তা প্রধান জানান, সেনাদের পাশাপাশি রাশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত কুরস্ক অঞ্চল পুনর্গঠনে হাজারো শ্রমিক পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন কিম জং উন। সাধারণ উত্তর কোরিয়ার বাইরে তিনি খুব একটা যান না। গেলেও একক বৈঠকেই অংশ নেন। এবারই প্রথম কোনো বহুপক্ষীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন তিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে হেঁটে বেইজিংয়ের তিয়েনানমেন স্কয়ারে প্রবেশ করেন কিম জং উন। পরে তাদের পাশাপাশি বসে স্বাচ্ছন্দ্যে আলাপ করতে দেখা যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচ্ছিন্ন, উপেক্ষিত এবং প্রায়ই উপহাসের শিকার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবার এক ভিন্ন চিত্রে সামনে এলেন। চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে তার অংশ নেওয়া প্রমাণ করে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংকে সঙ্গে একই কাতারে অবস্থান করেন। বিশ্লেষকেরা আরও বলেন, ঐতিহ্য ভেঙে কিমের এই প্যারেডে অংশ নেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল পুতিন ও শির পাশে সমান উচ্চতায় নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি করা।
বেইজিংয়ের তিয়েনানমেন স্কয়ারে পাশাপাশি বসা ও ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতার মাধ্যমে তিন নেতা পশ্চিমা বিশ্বকে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে। আর তা হলো— মস্কো, পিয়ংইয়ং ও বেইজিং এখন ঘনিষ্ঠ জোট। এদিকে, এই বৈঠকের জেরে নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন—পুতিন, সি ও কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এর জবাবে এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলছে, তারা আশা করে ট্রাম্প ‘রসিকতা’ করে এই পোস্ট দিয়েছেন।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২১ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সেনা সহায়তা দেওয়ায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। পুতিনের এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কিম বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সেনা সহায়তা দেওয়ায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। পুতিনের এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কিম বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২১ মিনিট আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সেনা সহায়তা দেওয়ায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। পুতিনের এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কিম বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২১ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের টুটি চেপে ধরতে, আধিপত্য বিস্তার করতে কিংবা হেয় করতে চাই না...আমরা শুধু চাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোনো দেশ যেন আমাদের বা আমাদের মিত্রদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে।’
এতে আরও যোগ করা হয়, ‘চীনের ঐতিহাসিক সমরসজ্জা বা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ভূখণ্ড আগের চেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রভান্ডার, নৌ-শক্তি, প্রথাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার এবং মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব সরাসরি আমেরিকানদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই প্রতিবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আমেরিকার লক্ষ্য হলো—নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করে তোলা যাতে শত্রুপক্ষ আগ্রাসনের কথা চিন্তাও না করে, ‘এবং এর ফলে শান্তি পছন্দনীয় ও সংরক্ষিত থাকে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বারবার উচ্চারিত একটি বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে আমেরিকা ও চীনের সামরিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ পেন্টাগন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে এই গতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বিবাদ নিরসন এবং উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পিএলএ-এর সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার করার জন্য আমরা অন্যান্য পথও খুঁজব।’
প্রতিবেদনটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে উদ্বেগের কারণ এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের প্রধান সামরিক কৌশল হলো ‘জাতীয় সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বা সমগ্র জাতির সংহতি অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করা।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সংশ্লিষ্ট সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’—শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী ২০২৭ সালের তিনটি লক্ষ্য অর্জনে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যগুলো হলো—তাইওয়ানের ওপর ‘কৌশলগত চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনে সক্ষম হওয়া; পরমাণু এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ তৈরি করা এবং অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করা।
বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও পুনরায় একীভূত করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ওয়াশিংটন এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে শক্তি প্রয়োগ করে দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্ষিক প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে—সম্ভবত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থে।’ তবে এতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে এই সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর এল। সেই কৌশলটিও শুক্রবার অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে চীনের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং প্রশাসনের ভাষায় ‘মনরো ডকট্রিনের ট্রাম্প অনুসিদ্ধান্ত’—যা পশ্চিম গোলার্ধের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দেয়—সেদিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে কোনো সূচিপত্র নেই এবং কিছু অংশ সেকেলে বা পুরোনো মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই সামান্য উচ্চপর্যায়ের বিনিময়সহ’ শীতল সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, অথচ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের বিশাল সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তা সত্ত্বেও, বিশ্লেষকদের মতে এই প্রতিবেদনটি পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে, তার একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জেরেমি চ্যান বলেন, ‘প্রতিবেদনের সুরটি চীনের প্রতি বিশেষভাবে গঠনমূলক, যেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ, তবে এটি ট্রাম্পের চীন নীতি এবং গত অক্টোবরে বুসানে হওয়া সমঝোতা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বেইজিংকে চাপ দিতে তাঁর অনীহার সংকেত দেয়।’
শেনিয়াংয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের সাবেক কর্মকর্তা চ্যান মনে করেন, প্রতিবেদনটি চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করলেও খুব দূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। চীনের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।’

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের টুটি চেপে ধরতে, আধিপত্য বিস্তার করতে কিংবা হেয় করতে চাই না...আমরা শুধু চাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোনো দেশ যেন আমাদের বা আমাদের মিত্রদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে।’
এতে আরও যোগ করা হয়, ‘চীনের ঐতিহাসিক সমরসজ্জা বা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ভূখণ্ড আগের চেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রভান্ডার, নৌ-শক্তি, প্রথাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার এবং মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব সরাসরি আমেরিকানদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই প্রতিবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আমেরিকার লক্ষ্য হলো—নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করে তোলা যাতে শত্রুপক্ষ আগ্রাসনের কথা চিন্তাও না করে, ‘এবং এর ফলে শান্তি পছন্দনীয় ও সংরক্ষিত থাকে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বারবার উচ্চারিত একটি বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে আমেরিকা ও চীনের সামরিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ পেন্টাগন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে এই গতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বিবাদ নিরসন এবং উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পিএলএ-এর সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার করার জন্য আমরা অন্যান্য পথও খুঁজব।’
প্রতিবেদনটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে উদ্বেগের কারণ এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের প্রধান সামরিক কৌশল হলো ‘জাতীয় সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বা সমগ্র জাতির সংহতি অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করা।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সংশ্লিষ্ট সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’—শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী ২০২৭ সালের তিনটি লক্ষ্য অর্জনে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যগুলো হলো—তাইওয়ানের ওপর ‘কৌশলগত চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনে সক্ষম হওয়া; পরমাণু এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ তৈরি করা এবং অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করা।
বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও পুনরায় একীভূত করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ওয়াশিংটন এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে শক্তি প্রয়োগ করে দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্ষিক প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে—সম্ভবত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থে।’ তবে এতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে এই সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর এল। সেই কৌশলটিও শুক্রবার অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে চীনের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং প্রশাসনের ভাষায় ‘মনরো ডকট্রিনের ট্রাম্প অনুসিদ্ধান্ত’—যা পশ্চিম গোলার্ধের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দেয়—সেদিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে কোনো সূচিপত্র নেই এবং কিছু অংশ সেকেলে বা পুরোনো মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই সামান্য উচ্চপর্যায়ের বিনিময়সহ’ শীতল সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, অথচ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের বিশাল সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তা সত্ত্বেও, বিশ্লেষকদের মতে এই প্রতিবেদনটি পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে, তার একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জেরেমি চ্যান বলেন, ‘প্রতিবেদনের সুরটি চীনের প্রতি বিশেষভাবে গঠনমূলক, যেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ, তবে এটি ট্রাম্পের চীন নীতি এবং গত অক্টোবরে বুসানে হওয়া সমঝোতা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বেইজিংকে চাপ দিতে তাঁর অনীহার সংকেত দেয়।’
শেনিয়াংয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের সাবেক কর্মকর্তা চ্যান মনে করেন, প্রতিবেদনটি চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করলেও খুব দূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। চীনের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।’

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সেনা সহায়তা দেওয়ায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। পুতিনের এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কিম বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২১ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে