আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
রোববার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী আনে। এর মধ্য দিয়ে সামরিক পদে কর্মরত অবস্থায়ও কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক পদে নিযুক্ত হতে পারবেন।
এই সংশোধনী দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর জোট সরকার এগিয়ে নিয়েছে। সাবেক এই জেনারেল সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা। নতুন আইনে চার তারকার জেনারেলদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৩ করা হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মকর্তাদের অবসরের সময়সীমা ৫৫ করা হয়েছে।
নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে সামরিক সদস্যদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে অনেকেই স্বৈরতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়া বলে মনে করছেন।
আইন সংশোধনের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা পার্লামেন্ট ভবনের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে অনেক বিক্ষোভকারী আহত হন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল অসংখ্য ব্যানার। এসব ব্যানারে লেখা ছিল—‘সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত পাঠাও!’ এবং ‘সামরিকীকরণ ও ওলিগার্কির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও!’
মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনে আবারও অন্তর্ভুক্ত করা হলে, সুহার্তোর আমলে প্রচলিত ‘দ্বৈত ভূমিকা’ আবার ফিরে আসতে পারে। ইমপারশিয়াল মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক আল আরাফ বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর যে গণতান্ত্রিক সংস্কার হয়েছিল, তার চেতনাকে লঙ্ঘন করছে এবং এটি স্বৈরতন্ত্র পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।’
এই সংশোধনী গোপনে পাস করানোর বিষয়টিও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংসদে বিলটি উপস্থাপনের মাত্র এক মাস আগে, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এক চিঠির মাধ্যমে সংসদকে এই আইন সংশোধনের অনুমোদন দেন।
গণতন্ত্রকামী কর্মীরা দাবি করছেন, সরকারের কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতারা গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ জাকার্তার এক পাঁচতারকা হোটেলে গোপনে বৈঠক করে এই আইনের খসড়া তৈরি করেছেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো দ্রুততার সঙ্গে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের মানবাধিকার ও জবাবদিহির প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।’
‘কনট্রাস’ নামে পরিচিত ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর একটি সংগঠন বলেছে, ‘এই সংশোধনী ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে।’
ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ডোমিনিক নিকি ফাহরিজাল বলেন, ‘এই ধরনের স্বৈরাচারী আইন সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করে দেবে।’
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্যাফরি সামসুদ্দিন এই সংশোধনীর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সামরিক প্রযুক্তির বিবর্তনের কারণে সামরিক বাহিনীর রূপান্তর জরুরি।’
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সংশোধনীতে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের মানোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান নেই।
১৯৬৫ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর জেনারেল সুহার্তো এক রক্তাক্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ থেকে ১০ লাখ কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের হত্যা করেছিলেন এবং এরপর ৩২ বছর ধরে সামরিক শাসন কায়েম করেন। তাঁর শাসনামলে সেনাবাহিনী ‘দ্বৈত ভূমিকা’ পালন করত, যেখানে তারা প্রতিরক্ষা ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষমতা ধরে রাখত।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইন্দোনেশিয়া শাখার প্রধান উসমান হামিদ অতীতে স্বৈরশাসক সুহার্তোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘সেই সময়ে কর্মীরা অপহৃত হতেন, অনেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আজ মনে হচ্ছে আমরা আবার সেই পথে ফিরে যাচ্ছি।’

২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
রোববার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী আনে। এর মধ্য দিয়ে সামরিক পদে কর্মরত অবস্থায়ও কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক পদে নিযুক্ত হতে পারবেন।
এই সংশোধনী দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর জোট সরকার এগিয়ে নিয়েছে। সাবেক এই জেনারেল সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা। নতুন আইনে চার তারকার জেনারেলদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৩ করা হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মকর্তাদের অবসরের সময়সীমা ৫৫ করা হয়েছে।
নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে সামরিক সদস্যদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে অনেকেই স্বৈরতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়া বলে মনে করছেন।
আইন সংশোধনের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা পার্লামেন্ট ভবনের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে অনেক বিক্ষোভকারী আহত হন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল অসংখ্য ব্যানার। এসব ব্যানারে লেখা ছিল—‘সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত পাঠাও!’ এবং ‘সামরিকীকরণ ও ওলিগার্কির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও!’
মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনে আবারও অন্তর্ভুক্ত করা হলে, সুহার্তোর আমলে প্রচলিত ‘দ্বৈত ভূমিকা’ আবার ফিরে আসতে পারে। ইমপারশিয়াল মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক আল আরাফ বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর যে গণতান্ত্রিক সংস্কার হয়েছিল, তার চেতনাকে লঙ্ঘন করছে এবং এটি স্বৈরতন্ত্র পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।’
এই সংশোধনী গোপনে পাস করানোর বিষয়টিও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংসদে বিলটি উপস্থাপনের মাত্র এক মাস আগে, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এক চিঠির মাধ্যমে সংসদকে এই আইন সংশোধনের অনুমোদন দেন।
গণতন্ত্রকামী কর্মীরা দাবি করছেন, সরকারের কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতারা গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ জাকার্তার এক পাঁচতারকা হোটেলে গোপনে বৈঠক করে এই আইনের খসড়া তৈরি করেছেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো দ্রুততার সঙ্গে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের মানবাধিকার ও জবাবদিহির প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।’
‘কনট্রাস’ নামে পরিচিত ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর একটি সংগঠন বলেছে, ‘এই সংশোধনী ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে।’
ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ডোমিনিক নিকি ফাহরিজাল বলেন, ‘এই ধরনের স্বৈরাচারী আইন সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করে দেবে।’
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্যাফরি সামসুদ্দিন এই সংশোধনীর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সামরিক প্রযুক্তির বিবর্তনের কারণে সামরিক বাহিনীর রূপান্তর জরুরি।’
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সংশোধনীতে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের মানোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান নেই।
১৯৬৫ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর জেনারেল সুহার্তো এক রক্তাক্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ থেকে ১০ লাখ কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের হত্যা করেছিলেন এবং এরপর ৩২ বছর ধরে সামরিক শাসন কায়েম করেন। তাঁর শাসনামলে সেনাবাহিনী ‘দ্বৈত ভূমিকা’ পালন করত, যেখানে তারা প্রতিরক্ষা ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষমতা ধরে রাখত।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইন্দোনেশিয়া শাখার প্রধান উসমান হামিদ অতীতে স্বৈরশাসক সুহার্তোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘সেই সময়ে কর্মীরা অপহৃত হতেন, অনেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আজ মনে হচ্ছে আমরা আবার সেই পথে ফিরে যাচ্ছি।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
রোববার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী আনে। এর মধ্য দিয়ে সামরিক পদে কর্মরত অবস্থায়ও কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক পদে নিযুক্ত হতে পারবেন।
এই সংশোধনী দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর জোট সরকার এগিয়ে নিয়েছে। সাবেক এই জেনারেল সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা। নতুন আইনে চার তারকার জেনারেলদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৩ করা হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মকর্তাদের অবসরের সময়সীমা ৫৫ করা হয়েছে।
নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে সামরিক সদস্যদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে অনেকেই স্বৈরতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়া বলে মনে করছেন।
আইন সংশোধনের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা পার্লামেন্ট ভবনের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে অনেক বিক্ষোভকারী আহত হন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল অসংখ্য ব্যানার। এসব ব্যানারে লেখা ছিল—‘সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত পাঠাও!’ এবং ‘সামরিকীকরণ ও ওলিগার্কির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও!’
মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনে আবারও অন্তর্ভুক্ত করা হলে, সুহার্তোর আমলে প্রচলিত ‘দ্বৈত ভূমিকা’ আবার ফিরে আসতে পারে। ইমপারশিয়াল মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক আল আরাফ বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর যে গণতান্ত্রিক সংস্কার হয়েছিল, তার চেতনাকে লঙ্ঘন করছে এবং এটি স্বৈরতন্ত্র পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।’
এই সংশোধনী গোপনে পাস করানোর বিষয়টিও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংসদে বিলটি উপস্থাপনের মাত্র এক মাস আগে, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এক চিঠির মাধ্যমে সংসদকে এই আইন সংশোধনের অনুমোদন দেন।
গণতন্ত্রকামী কর্মীরা দাবি করছেন, সরকারের কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতারা গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ জাকার্তার এক পাঁচতারকা হোটেলে গোপনে বৈঠক করে এই আইনের খসড়া তৈরি করেছেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো দ্রুততার সঙ্গে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের মানবাধিকার ও জবাবদিহির প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।’
‘কনট্রাস’ নামে পরিচিত ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর একটি সংগঠন বলেছে, ‘এই সংশোধনী ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে।’
ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ডোমিনিক নিকি ফাহরিজাল বলেন, ‘এই ধরনের স্বৈরাচারী আইন সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করে দেবে।’
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্যাফরি সামসুদ্দিন এই সংশোধনীর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সামরিক প্রযুক্তির বিবর্তনের কারণে সামরিক বাহিনীর রূপান্তর জরুরি।’
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সংশোধনীতে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের মানোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান নেই।
১৯৬৫ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর জেনারেল সুহার্তো এক রক্তাক্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ থেকে ১০ লাখ কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের হত্যা করেছিলেন এবং এরপর ৩২ বছর ধরে সামরিক শাসন কায়েম করেন। তাঁর শাসনামলে সেনাবাহিনী ‘দ্বৈত ভূমিকা’ পালন করত, যেখানে তারা প্রতিরক্ষা ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষমতা ধরে রাখত।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইন্দোনেশিয়া শাখার প্রধান উসমান হামিদ অতীতে স্বৈরশাসক সুহার্তোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘সেই সময়ে কর্মীরা অপহৃত হতেন, অনেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আজ মনে হচ্ছে আমরা আবার সেই পথে ফিরে যাচ্ছি।’

২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
রোববার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী আনে। এর মধ্য দিয়ে সামরিক পদে কর্মরত অবস্থায়ও কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক পদে নিযুক্ত হতে পারবেন।
এই সংশোধনী দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর জোট সরকার এগিয়ে নিয়েছে। সাবেক এই জেনারেল সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা। নতুন আইনে চার তারকার জেনারেলদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৩ করা হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মকর্তাদের অবসরের সময়সীমা ৫৫ করা হয়েছে।
নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে সামরিক সদস্যদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে অনেকেই স্বৈরতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়া বলে মনে করছেন।
আইন সংশোধনের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা পার্লামেন্ট ভবনের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে অনেক বিক্ষোভকারী আহত হন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল অসংখ্য ব্যানার। এসব ব্যানারে লেখা ছিল—‘সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত পাঠাও!’ এবং ‘সামরিকীকরণ ও ওলিগার্কির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও!’
মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনে আবারও অন্তর্ভুক্ত করা হলে, সুহার্তোর আমলে প্রচলিত ‘দ্বৈত ভূমিকা’ আবার ফিরে আসতে পারে। ইমপারশিয়াল মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক আল আরাফ বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর যে গণতান্ত্রিক সংস্কার হয়েছিল, তার চেতনাকে লঙ্ঘন করছে এবং এটি স্বৈরতন্ত্র পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।’
এই সংশোধনী গোপনে পাস করানোর বিষয়টিও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংসদে বিলটি উপস্থাপনের মাত্র এক মাস আগে, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এক চিঠির মাধ্যমে সংসদকে এই আইন সংশোধনের অনুমোদন দেন।
গণতন্ত্রকামী কর্মীরা দাবি করছেন, সরকারের কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতারা গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ জাকার্তার এক পাঁচতারকা হোটেলে গোপনে বৈঠক করে এই আইনের খসড়া তৈরি করেছেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেছেন, ‘এই সংশোধনীগুলো দ্রুততার সঙ্গে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের মানবাধিকার ও জবাবদিহির প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।’
‘কনট্রাস’ নামে পরিচিত ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর একটি সংগঠন বলেছে, ‘এই সংশোধনী ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে।’
ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ডোমিনিক নিকি ফাহরিজাল বলেন, ‘এই ধরনের স্বৈরাচারী আইন সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করে দেবে।’
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্যাফরি সামসুদ্দিন এই সংশোধনীর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সামরিক প্রযুক্তির বিবর্তনের কারণে সামরিক বাহিনীর রূপান্তর জরুরি।’
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সংশোধনীতে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের মানোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান নেই।
১৯৬৫ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর জেনারেল সুহার্তো এক রক্তাক্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ থেকে ১০ লাখ কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের হত্যা করেছিলেন এবং এরপর ৩২ বছর ধরে সামরিক শাসন কায়েম করেন। তাঁর শাসনামলে সেনাবাহিনী ‘দ্বৈত ভূমিকা’ পালন করত, যেখানে তারা প্রতিরক্ষা ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষমতা ধরে রাখত।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইন্দোনেশিয়া শাখার প্রধান উসমান হামিদ অতীতে স্বৈরশাসক সুহার্তোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘সেই সময়ে কর্মীরা অপহৃত হতেন, অনেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আজ মনে হচ্ছে আমরা আবার সেই পথে ফিরে যাচ্ছি।’

নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
২০ মিনিট আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
২৩ মার্চ ২০২৫
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
২৩ মার্চ ২০২৫
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
২০ মিনিট আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
২৩ মার্চ ২০২৫
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
২০ মিনিট আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। দীর্ঘ দুই বছর পর এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার বিখ্যাত ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। গত অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠটি পুনরায় চালু হলো। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রূপ আর দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নয়। দেখলে মনে হবে যেন একটি বিশাল উদ্বাস্তু শিবির।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষগুলো শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি হারানো প্রায় ৫০০ বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। একসময়ের বিশাল লেকচার হলের জায়গায় এখন সারি সারি তাঁবু টাঙানো।

সেখানে আশ্রয় নেওয়া একজন বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলে এখানে এসেছি। কিন্তু এটি শিক্ষার জায়গা, আশ্রয়কেন্দ্র নয়। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য এই বিদ্যাপীঠের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
ইউনেসকোর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের ফলে গাজার ৯৫ শতাংশেরও বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘ একে ‘স্কলাস্টিসাইড’ বা পদ্ধতিগতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক এবং ১৫০ জন শিক্ষাবিদ ও গবেষক নিহত হয়েছেন।
গাজার সর্বশেষ সচল বিদ্যাপীঠ ইসরা ইউনিভার্সিটিকেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে মাত্র চারটি সচল শ্রেণিকক্ষে বর্তমানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদেল আওয়াদুল্লাহ জানান, ভাঙা দেয়ালগুলো প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, তাই আমরা ধার করা জেনারেটর চালিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সচল রাখার চেষ্টা করছি।’
মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইউমনা আলবাবা বলেন, ‘আমি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এটি তেমন নয়। মনোযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ বা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম—কোনোটিই এখানে নেই। তবুও আমি খুশি যে সশরীরে ক্লাস করতে পারছি। আমরা শূন্য থেকে সবকিছু গড়ার স্বপ্ন দেখছি।’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা মূলত ফিলিস্তিনি সমাজের ভিত্তি উপড়ে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবুও গাজার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। দীর্ঘ দুই বছর পর এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার বিখ্যাত ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। গত অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠটি পুনরায় চালু হলো। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রূপ আর দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নয়। দেখলে মনে হবে যেন একটি বিশাল উদ্বাস্তু শিবির।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষগুলো শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি হারানো প্রায় ৫০০ বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। একসময়ের বিশাল লেকচার হলের জায়গায় এখন সারি সারি তাঁবু টাঙানো।

সেখানে আশ্রয় নেওয়া একজন বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলে এখানে এসেছি। কিন্তু এটি শিক্ষার জায়গা, আশ্রয়কেন্দ্র নয়। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য এই বিদ্যাপীঠের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
ইউনেসকোর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের ফলে গাজার ৯৫ শতাংশেরও বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘ একে ‘স্কলাস্টিসাইড’ বা পদ্ধতিগতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৪৯৪টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজাভিত্তিক আল-মেজান সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ১৩৭টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী, ৭৬০ জন শিক্ষক এবং ১৫০ জন শিক্ষাবিদ ও গবেষক নিহত হয়েছেন।
গাজার সর্বশেষ সচল বিদ্যাপীঠ ইসরা ইউনিভার্সিটিকেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে মাত্র চারটি সচল শ্রেণিকক্ষে বর্তমানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদেল আওয়াদুল্লাহ জানান, ভাঙা দেয়ালগুলো প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, তাই আমরা ধার করা জেনারেটর চালিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সচল রাখার চেষ্টা করছি।’
মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইউমনা আলবাবা বলেন, ‘আমি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এটি তেমন নয়। মনোযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ বা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম—কোনোটিই এখানে নেই। তবুও আমি খুশি যে সশরীরে ক্লাস করতে পারছি। আমরা শূন্য থেকে সবকিছু গড়ার স্বপ্ন দেখছি।’
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা মূলত ফিলিস্তিনি সমাজের ভিত্তি উপড়ে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবুও গাজার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

২০০৪ সালের সশস্ত্র বাহিনী আইনে সংশোধনী এনে এই বাহিনীকে সরকারি কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এই সংশোধনী দেশটিকে অতীতের স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
২৩ মার্চ ২০২৫
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
২০ মিনিট আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
২ ঘণ্টা আগে