ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে, বিশাল এলাকা খাঁখাঁ করছে মানুষের অভাবে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুযায়ী ১৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আয়তনে আছে ৭ নম্বরে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা অববাহিকার উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য পরিচিত। হাজার বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি–গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ভারতের শহর আছে দুটি। এর মধ্যে দিল্লির অবস্থান ২ আর মুম্বাইয়ের ৯ নম্বরে। শুধু দিল্লিতেই বাস ৩ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষের। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির এক জরিপ অনুয়ায়ী, বিশ্বের চরম দরিদ্র ১১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটিরই বাস ভারতে।
খুব বেশি দিন হয়নি ভারতের কাছে বিশ্বের জনবহুল দেশের মুকুট হারিয়েছে চীন। বর্তমানে তালিকার ২ নম্বরে থাকা এই দেশের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার। আয়তনের দিক থেকে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটারের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি ও ইয়েলো রিভারের অববাহিকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী।
জনবহুল শহরের তালিকায় প্রথম দশে আছে চীনের দুটি শহর। সাংহাইয়ের অবস্থান ৩–এ, আর দেশটির রাজধানী শহর বেইজিংয়ের অবস্থান ৮–এ।
জনবহুল দেশের তালিকায় বিশ্বের এই পরাশক্তির অবস্থান ৩–এ। যদিও ভারত ও চীনের কেবল চার ভাগের এক ভাগ লোকের বাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার।
মজার ব্যাপার হলো, আয়তনের দিক থেকেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই আছে এই ভূ–ভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এমন একটি শহরও নেই। সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কে প্রায় ৮১ লাখ মানুষের বাস। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস ৩৭ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষের।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
আয়তনে অবশ্য সেরা ১০–এর মধ্যেও নেই ইন্দোনেশিয়া। ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটির রাজধানী জাকার্তা। সবচেয়ে জনবহুল শহরও জাকার্তা। ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বাস রাজধানীতে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়েছে ১৭ হাজারটি ছোটবড় দ্বীপ নিয়ে। পর্যটনের জন্য আলাদা নাম আছে দেশটির। বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সাগর–পাহাড়ের আশ্চর্য মেলবন্ধনের দ্বীপ বালি।
২৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের বাস পাকিস্তানে। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল এই দেশের আয়তন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল নগরী করাচির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০। এদিকে লাহোরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখের কিছু বেশি। ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ভারতের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক দরিদ্র মানুষের বাস পাকিস্তানে— ৯ কোটি ৩০ লাখ।
বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান দেশটি। এখানে পার্বত্য এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মরুভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও নাম আছে পাকিস্তানের।
বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার মানুষের বাস। আফ্রিকার দেশটির আয়তন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার।
সবচেয়ে জনবহুল শহর লাগোসে বাস ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি খনিজ তেল।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, জনবহুল দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান ৭–এ। দেশটিতে বাস করে ২১ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ।
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য আমাজনের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি–গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল শহরটি ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস। দ্বিতীয় জনবহুল শহর রিও ডি জেনিরোর জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।
জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮–এ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার। কিন্তু আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার হওয়ার দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
এদিকে জনবহুল শহরের তালিকায় ৪–এ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং উর্বর ভূমি থাকার পরও ছোট্ট একটি দেশে বিপুল মানুষের বসবাসের কারণে এর বাসিন্দাদের নানা ধরনের সমস্যার মুখ পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা এখানে সীমিত। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে। ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস দেশটিতে। আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত এ দেশ। রাশিয়ার ৬০ শতাংশ এলাকাই মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। মস্কোর জনসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
দেশটির মুদ্রা রুবল। শিল্প–সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
জনবহুল দেশের তালিকায় ১০–এ আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির আয়তন ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার। সবচেয়ে জনবহুল শহর আদ্দিস আবাবার জনসংখ্যা ৫৭ লাখের কিছু বেশি।
দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশই চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুসারে, চরম দরিদ্র মানুষ বসবাসের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। এখানকার ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আরও খবর পড়ুন:

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে, বিশাল এলাকা খাঁখাঁ করছে মানুষের অভাবে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুযায়ী ১৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আয়তনে আছে ৭ নম্বরে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা অববাহিকার উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য পরিচিত। হাজার বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি–গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ভারতের শহর আছে দুটি। এর মধ্যে দিল্লির অবস্থান ২ আর মুম্বাইয়ের ৯ নম্বরে। শুধু দিল্লিতেই বাস ৩ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষের। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির এক জরিপ অনুয়ায়ী, বিশ্বের চরম দরিদ্র ১১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটিরই বাস ভারতে।
খুব বেশি দিন হয়নি ভারতের কাছে বিশ্বের জনবহুল দেশের মুকুট হারিয়েছে চীন। বর্তমানে তালিকার ২ নম্বরে থাকা এই দেশের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার। আয়তনের দিক থেকে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটারের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি ও ইয়েলো রিভারের অববাহিকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী।
জনবহুল শহরের তালিকায় প্রথম দশে আছে চীনের দুটি শহর। সাংহাইয়ের অবস্থান ৩–এ, আর দেশটির রাজধানী শহর বেইজিংয়ের অবস্থান ৮–এ।
জনবহুল দেশের তালিকায় বিশ্বের এই পরাশক্তির অবস্থান ৩–এ। যদিও ভারত ও চীনের কেবল চার ভাগের এক ভাগ লোকের বাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার।
মজার ব্যাপার হলো, আয়তনের দিক থেকেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই আছে এই ভূ–ভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এমন একটি শহরও নেই। সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কে প্রায় ৮১ লাখ মানুষের বাস। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস ৩৭ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষের।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
আয়তনে অবশ্য সেরা ১০–এর মধ্যেও নেই ইন্দোনেশিয়া। ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটির রাজধানী জাকার্তা। সবচেয়ে জনবহুল শহরও জাকার্তা। ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বাস রাজধানীতে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়েছে ১৭ হাজারটি ছোটবড় দ্বীপ নিয়ে। পর্যটনের জন্য আলাদা নাম আছে দেশটির। বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সাগর–পাহাড়ের আশ্চর্য মেলবন্ধনের দ্বীপ বালি।
২৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের বাস পাকিস্তানে। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল এই দেশের আয়তন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল নগরী করাচির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০। এদিকে লাহোরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখের কিছু বেশি। ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ভারতের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক দরিদ্র মানুষের বাস পাকিস্তানে— ৯ কোটি ৩০ লাখ।
বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান দেশটি। এখানে পার্বত্য এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মরুভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও নাম আছে পাকিস্তানের।
বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার মানুষের বাস। আফ্রিকার দেশটির আয়তন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার।
সবচেয়ে জনবহুল শহর লাগোসে বাস ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি খনিজ তেল।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, জনবহুল দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান ৭–এ। দেশটিতে বাস করে ২১ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ।
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য আমাজনের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি–গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল শহরটি ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস। দ্বিতীয় জনবহুল শহর রিও ডি জেনিরোর জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।
জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮–এ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার। কিন্তু আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার হওয়ার দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
এদিকে জনবহুল শহরের তালিকায় ৪–এ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং উর্বর ভূমি থাকার পরও ছোট্ট একটি দেশে বিপুল মানুষের বসবাসের কারণে এর বাসিন্দাদের নানা ধরনের সমস্যার মুখ পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা এখানে সীমিত। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে। ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস দেশটিতে। আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত এ দেশ। রাশিয়ার ৬০ শতাংশ এলাকাই মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। মস্কোর জনসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
দেশটির মুদ্রা রুবল। শিল্প–সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
জনবহুল দেশের তালিকায় ১০–এ আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির আয়তন ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার। সবচেয়ে জনবহুল শহর আদ্দিস আবাবার জনসংখ্যা ৫৭ লাখের কিছু বেশি।
দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশই চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুসারে, চরম দরিদ্র মানুষ বসবাসের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। এখানকার ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আরও খবর পড়ুন:
ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে, বিশাল এলাকা খাঁখাঁ করছে মানুষের অভাবে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুযায়ী ১৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আয়তনে আছে ৭ নম্বরে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা অববাহিকার উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য পরিচিত। হাজার বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি–গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ভারতের শহর আছে দুটি। এর মধ্যে দিল্লির অবস্থান ২ আর মুম্বাইয়ের ৯ নম্বরে। শুধু দিল্লিতেই বাস ৩ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষের। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির এক জরিপ অনুয়ায়ী, বিশ্বের চরম দরিদ্র ১১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটিরই বাস ভারতে।
খুব বেশি দিন হয়নি ভারতের কাছে বিশ্বের জনবহুল দেশের মুকুট হারিয়েছে চীন। বর্তমানে তালিকার ২ নম্বরে থাকা এই দেশের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার। আয়তনের দিক থেকে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটারের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি ও ইয়েলো রিভারের অববাহিকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী।
জনবহুল শহরের তালিকায় প্রথম দশে আছে চীনের দুটি শহর। সাংহাইয়ের অবস্থান ৩–এ, আর দেশটির রাজধানী শহর বেইজিংয়ের অবস্থান ৮–এ।
জনবহুল দেশের তালিকায় বিশ্বের এই পরাশক্তির অবস্থান ৩–এ। যদিও ভারত ও চীনের কেবল চার ভাগের এক ভাগ লোকের বাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার।
মজার ব্যাপার হলো, আয়তনের দিক থেকেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই আছে এই ভূ–ভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এমন একটি শহরও নেই। সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কে প্রায় ৮১ লাখ মানুষের বাস। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস ৩৭ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষের।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
আয়তনে অবশ্য সেরা ১০–এর মধ্যেও নেই ইন্দোনেশিয়া। ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটির রাজধানী জাকার্তা। সবচেয়ে জনবহুল শহরও জাকার্তা। ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বাস রাজধানীতে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়েছে ১৭ হাজারটি ছোটবড় দ্বীপ নিয়ে। পর্যটনের জন্য আলাদা নাম আছে দেশটির। বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সাগর–পাহাড়ের আশ্চর্য মেলবন্ধনের দ্বীপ বালি।
২৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের বাস পাকিস্তানে। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল এই দেশের আয়তন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল নগরী করাচির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০। এদিকে লাহোরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখের কিছু বেশি। ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ভারতের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক দরিদ্র মানুষের বাস পাকিস্তানে— ৯ কোটি ৩০ লাখ।
বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান দেশটি। এখানে পার্বত্য এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মরুভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও নাম আছে পাকিস্তানের।
বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার মানুষের বাস। আফ্রিকার দেশটির আয়তন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার।
সবচেয়ে জনবহুল শহর লাগোসে বাস ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি খনিজ তেল।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, জনবহুল দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান ৭–এ। দেশটিতে বাস করে ২১ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ।
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য আমাজনের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি–গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল শহরটি ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস। দ্বিতীয় জনবহুল শহর রিও ডি জেনিরোর জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।
জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮–এ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার। কিন্তু আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার হওয়ার দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
এদিকে জনবহুল শহরের তালিকায় ৪–এ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং উর্বর ভূমি থাকার পরও ছোট্ট একটি দেশে বিপুল মানুষের বসবাসের কারণে এর বাসিন্দাদের নানা ধরনের সমস্যার মুখ পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা এখানে সীমিত। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে। ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস দেশটিতে। আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত এ দেশ। রাশিয়ার ৬০ শতাংশ এলাকাই মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। মস্কোর জনসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
দেশটির মুদ্রা রুবল। শিল্প–সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
জনবহুল দেশের তালিকায় ১০–এ আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির আয়তন ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার। সবচেয়ে জনবহুল শহর আদ্দিস আবাবার জনসংখ্যা ৫৭ লাখের কিছু বেশি।
দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশই চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুসারে, চরম দরিদ্র মানুষ বসবাসের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। এখানকার ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আরও খবর পড়ুন:

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে, বিশাল এলাকা খাঁখাঁ করছে মানুষের অভাবে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুযায়ী ১৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আয়তনে আছে ৭ নম্বরে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা অববাহিকার উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য পরিচিত। হাজার বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি–গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ভারতের শহর আছে দুটি। এর মধ্যে দিল্লির অবস্থান ২ আর মুম্বাইয়ের ৯ নম্বরে। শুধু দিল্লিতেই বাস ৩ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষের। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির এক জরিপ অনুয়ায়ী, বিশ্বের চরম দরিদ্র ১১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটিরই বাস ভারতে।
খুব বেশি দিন হয়নি ভারতের কাছে বিশ্বের জনবহুল দেশের মুকুট হারিয়েছে চীন। বর্তমানে তালিকার ২ নম্বরে থাকা এই দেশের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার। আয়তনের দিক থেকে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটারের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি ও ইয়েলো রিভারের অববাহিকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী।
জনবহুল শহরের তালিকায় প্রথম দশে আছে চীনের দুটি শহর। সাংহাইয়ের অবস্থান ৩–এ, আর দেশটির রাজধানী শহর বেইজিংয়ের অবস্থান ৮–এ।
জনবহুল দেশের তালিকায় বিশ্বের এই পরাশক্তির অবস্থান ৩–এ। যদিও ভারত ও চীনের কেবল চার ভাগের এক ভাগ লোকের বাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার।
মজার ব্যাপার হলো, আয়তনের দিক থেকেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই আছে এই ভূ–ভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এমন একটি শহরও নেই। সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কে প্রায় ৮১ লাখ মানুষের বাস। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস ৩৭ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষের।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
আয়তনে অবশ্য সেরা ১০–এর মধ্যেও নেই ইন্দোনেশিয়া। ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটির রাজধানী জাকার্তা। সবচেয়ে জনবহুল শহরও জাকার্তা। ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বাস রাজধানীতে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়েছে ১৭ হাজারটি ছোটবড় দ্বীপ নিয়ে। পর্যটনের জন্য আলাদা নাম আছে দেশটির। বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সাগর–পাহাড়ের আশ্চর্য মেলবন্ধনের দ্বীপ বালি।
২৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের বাস পাকিস্তানে। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল এই দেশের আয়তন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল নগরী করাচির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০। এদিকে লাহোরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখের কিছু বেশি। ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ভারতের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক দরিদ্র মানুষের বাস পাকিস্তানে— ৯ কোটি ৩০ লাখ।
বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান দেশটি। এখানে পার্বত্য এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মরুভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও নাম আছে পাকিস্তানের।
বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার মানুষের বাস। আফ্রিকার দেশটির আয়তন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার।
সবচেয়ে জনবহুল শহর লাগোসে বাস ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি খনিজ তেল।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, জনবহুল দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান ৭–এ। দেশটিতে বাস করে ২১ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ।
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য আমাজনের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি–গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল শহরটি ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস। দ্বিতীয় জনবহুল শহর রিও ডি জেনিরোর জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।
জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮–এ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার। কিন্তু আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার হওয়ার দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
এদিকে জনবহুল শহরের তালিকায় ৪–এ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং উর্বর ভূমি থাকার পরও ছোট্ট একটি দেশে বিপুল মানুষের বসবাসের কারণে এর বাসিন্দাদের নানা ধরনের সমস্যার মুখ পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা এখানে সীমিত। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে। ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস দেশটিতে। আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত এ দেশ। রাশিয়ার ৬০ শতাংশ এলাকাই মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। মস্কোর জনসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
দেশটির মুদ্রা রুবল। শিল্প–সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
জনবহুল দেশের তালিকায় ১০–এ আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির আয়তন ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার। সবচেয়ে জনবহুল শহর আদ্দিস আবাবার জনসংখ্যা ৫৭ লাখের কিছু বেশি।
দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশই চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুসারে, চরম দরিদ্র মানুষ বসবাসের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। এখানকার ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আরও খবর পড়ুন:

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
গতকাল রোববার এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিত এক ‘ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় জাহাজ জব্দ করে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আল জাজিরাকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জাহাজটিকে “সক্রিয়ভাবে ধাওয়া” করছে আমাদের কোস্ট গার্ড। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ভেনেজুয়েলার সেই “ডার্ক ফ্লিট”-এর অংশ, যা লাতিন আমেরিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাতের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাজটি ‘ভুয়া পতাকা’ ব্যবহার করছিল। একই সঙ্গে এটি একটি ‘বিচারিক জব্দাদেশ’-এর আওতাভুক্ত।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ট্যাঙ্কারটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে কেউ আরোহণ করেনি। জাহাজটির গতিরোধের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সন্দেহভাজন জাহাজের খুব কাছ দিয়ে নৌযান চালানো বা ওপর দিয়ে বিমান ওড়ানোও অন্তর্ভুক্ত।
অভিযানটি কোথায় চলছে বা কোন জাহাজের পিছু নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ভ্যানগার্ড ওই জাহাজটিকে ‘বেলা ১’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। এটি একটি বিশাল আকারের অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ, যা গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করা হয়। জাহাজটির সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি।
ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বেলা ১ খালি ছিল।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ (PDVSA)-র অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল চীনে পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল এই জাহাজটি। একই সঙ্গে, একটি জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায় যে, জাহাজটি এর আগে ইরানের অপরিশোধিত তেলও বহন করেছিল।
ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে এই অভিযানটি এমন এক সময়ে পরিচালিত হচ্ছে যখন এই অঞ্চলে বৃহৎ আকারে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো মাদক পাচার মোকাবিলা করা। এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোর ওপর দুই ডজনেরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
সমালোচকেরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুত দখলের উদ্দেশ্যেই ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
এ প্রসঙ্গে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা প্রথম দুটি তেলের ট্যাঙ্কার কালোবাজারে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করছিল।
শনিবার জব্দ করা দ্বিতীয় জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ‘সেঞ্চুরিজ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ভেনেজুয়েলার এই তেলগুলো চীনে নেওয়ার কথা ছিল।
প্রথম জব্দ জাহাজ ‘স্কিপার’ বর্তমানে টেক্সাস উপকূলে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে থাকা ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সেখানে খালাস করে যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধনের প্রস্তুতি চলছে।
এই জাহাজ জব্দের ঘটনায় ভেনেজুয়েলা সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল চুরি করছে।

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
গতকাল রোববার এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিত এক ‘ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় জাহাজ জব্দ করে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আল জাজিরাকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জাহাজটিকে “সক্রিয়ভাবে ধাওয়া” করছে আমাদের কোস্ট গার্ড। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ভেনেজুয়েলার সেই “ডার্ক ফ্লিট”-এর অংশ, যা লাতিন আমেরিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাতের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাজটি ‘ভুয়া পতাকা’ ব্যবহার করছিল। একই সঙ্গে এটি একটি ‘বিচারিক জব্দাদেশ’-এর আওতাভুক্ত।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ট্যাঙ্কারটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে কেউ আরোহণ করেনি। জাহাজটির গতিরোধের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সন্দেহভাজন জাহাজের খুব কাছ দিয়ে নৌযান চালানো বা ওপর দিয়ে বিমান ওড়ানোও অন্তর্ভুক্ত।
অভিযানটি কোথায় চলছে বা কোন জাহাজের পিছু নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ভ্যানগার্ড ওই জাহাজটিকে ‘বেলা ১’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। এটি একটি বিশাল আকারের অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ, যা গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করা হয়। জাহাজটির সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি।
ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বেলা ১ খালি ছিল।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ (PDVSA)-র অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল চীনে পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল এই জাহাজটি। একই সঙ্গে, একটি জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায় যে, জাহাজটি এর আগে ইরানের অপরিশোধিত তেলও বহন করেছিল।
ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে এই অভিযানটি এমন এক সময়ে পরিচালিত হচ্ছে যখন এই অঞ্চলে বৃহৎ আকারে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো মাদক পাচার মোকাবিলা করা। এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোর ওপর দুই ডজনেরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
সমালোচকেরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুত দখলের উদ্দেশ্যেই ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
এ প্রসঙ্গে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা প্রথম দুটি তেলের ট্যাঙ্কার কালোবাজারে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করছিল।
শনিবার জব্দ করা দ্বিতীয় জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ‘সেঞ্চুরিজ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ভেনেজুয়েলার এই তেলগুলো চীনে নেওয়ার কথা ছিল।
প্রথম জব্দ জাহাজ ‘স্কিপার’ বর্তমানে টেক্সাস উপকূলে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে থাকা ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সেখানে খালাস করে যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধনের প্রস্তুতি চলছে।
এই জাহাজ জব্দের ঘটনায় ভেনেজুয়েলা সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল চুরি করছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৫ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৬ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৫ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে