ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে, বিশাল এলাকা খাঁখাঁ করছে মানুষের অভাবে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুযায়ী ১৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আয়তনে আছে ৭ নম্বরে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা অববাহিকার উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য পরিচিত। হাজার বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি–গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ভারতের শহর আছে দুটি। এর মধ্যে দিল্লির অবস্থান ২ আর মুম্বাইয়ের ৯ নম্বরে। শুধু দিল্লিতেই বাস ৩ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষের। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির এক জরিপ অনুয়ায়ী, বিশ্বের চরম দরিদ্র ১১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটিরই বাস ভারতে।
খুব বেশি দিন হয়নি ভারতের কাছে বিশ্বের জনবহুল দেশের মুকুট হারিয়েছে চীন। বর্তমানে তালিকার ২ নম্বরে থাকা এই দেশের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার। আয়তনের দিক থেকে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটারের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি ও ইয়েলো রিভারের অববাহিকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী।
জনবহুল শহরের তালিকায় প্রথম দশে আছে চীনের দুটি শহর। সাংহাইয়ের অবস্থান ৩–এ, আর দেশটির রাজধানী শহর বেইজিংয়ের অবস্থান ৮–এ।
জনবহুল দেশের তালিকায় বিশ্বের এই পরাশক্তির অবস্থান ৩–এ। যদিও ভারত ও চীনের কেবল চার ভাগের এক ভাগ লোকের বাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার।
মজার ব্যাপার হলো, আয়তনের দিক থেকেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই আছে এই ভূ–ভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এমন একটি শহরও নেই। সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কে প্রায় ৮১ লাখ মানুষের বাস। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস ৩৭ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষের।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
আয়তনে অবশ্য সেরা ১০–এর মধ্যেও নেই ইন্দোনেশিয়া। ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটির রাজধানী জাকার্তা। সবচেয়ে জনবহুল শহরও জাকার্তা। ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বাস রাজধানীতে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়েছে ১৭ হাজারটি ছোটবড় দ্বীপ নিয়ে। পর্যটনের জন্য আলাদা নাম আছে দেশটির। বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সাগর–পাহাড়ের আশ্চর্য মেলবন্ধনের দ্বীপ বালি।
২৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের বাস পাকিস্তানে। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল এই দেশের আয়তন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল নগরী করাচির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০। এদিকে লাহোরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখের কিছু বেশি। ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ভারতের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক দরিদ্র মানুষের বাস পাকিস্তানে— ৯ কোটি ৩০ লাখ।
বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান দেশটি। এখানে পার্বত্য এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মরুভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও নাম আছে পাকিস্তানের।
বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার মানুষের বাস। আফ্রিকার দেশটির আয়তন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার।
সবচেয়ে জনবহুল শহর লাগোসে বাস ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি খনিজ তেল।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, জনবহুল দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান ৭–এ। দেশটিতে বাস করে ২১ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ।
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য আমাজনের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি–গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল শহরটি ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস। দ্বিতীয় জনবহুল শহর রিও ডি জেনিরোর জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।
জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮–এ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার। কিন্তু আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার হওয়ার দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
এদিকে জনবহুল শহরের তালিকায় ৪–এ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং উর্বর ভূমি থাকার পরও ছোট্ট একটি দেশে বিপুল মানুষের বসবাসের কারণে এর বাসিন্দাদের নানা ধরনের সমস্যার মুখ পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা এখানে সীমিত। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে। ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস দেশটিতে। আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত এ দেশ। রাশিয়ার ৬০ শতাংশ এলাকাই মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। মস্কোর জনসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
দেশটির মুদ্রা রুবল। শিল্প–সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
জনবহুল দেশের তালিকায় ১০–এ আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির আয়তন ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার। সবচেয়ে জনবহুল শহর আদ্দিস আবাবার জনসংখ্যা ৫৭ লাখের কিছু বেশি।
দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশই চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুসারে, চরম দরিদ্র মানুষ বসবাসের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। এখানকার ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আরও খবর পড়ুন:

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে, বিশাল এলাকা খাঁখাঁ করছে মানুষের অভাবে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুযায়ী ১৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আয়তনে আছে ৭ নম্বরে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা অববাহিকার উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য পরিচিত। হাজার বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি–গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ভারতের শহর আছে দুটি। এর মধ্যে দিল্লির অবস্থান ২ আর মুম্বাইয়ের ৯ নম্বরে। শুধু দিল্লিতেই বাস ৩ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষের। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির এক জরিপ অনুয়ায়ী, বিশ্বের চরম দরিদ্র ১১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটিরই বাস ভারতে।
খুব বেশি দিন হয়নি ভারতের কাছে বিশ্বের জনবহুল দেশের মুকুট হারিয়েছে চীন। বর্তমানে তালিকার ২ নম্বরে থাকা এই দেশের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার। আয়তনের দিক থেকে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটারের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি ও ইয়েলো রিভারের অববাহিকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী।
জনবহুল শহরের তালিকায় প্রথম দশে আছে চীনের দুটি শহর। সাংহাইয়ের অবস্থান ৩–এ, আর দেশটির রাজধানী শহর বেইজিংয়ের অবস্থান ৮–এ।
জনবহুল দেশের তালিকায় বিশ্বের এই পরাশক্তির অবস্থান ৩–এ। যদিও ভারত ও চীনের কেবল চার ভাগের এক ভাগ লোকের বাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার।
মজার ব্যাপার হলো, আয়তনের দিক থেকেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই আছে এই ভূ–ভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এমন একটি শহরও নেই। সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কে প্রায় ৮১ লাখ মানুষের বাস। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস ৩৭ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষের।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
আয়তনে অবশ্য সেরা ১০–এর মধ্যেও নেই ইন্দোনেশিয়া। ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটির রাজধানী জাকার্তা। সবচেয়ে জনবহুল শহরও জাকার্তা। ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বাস রাজধানীতে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়েছে ১৭ হাজারটি ছোটবড় দ্বীপ নিয়ে। পর্যটনের জন্য আলাদা নাম আছে দেশটির। বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সাগর–পাহাড়ের আশ্চর্য মেলবন্ধনের দ্বীপ বালি।
২৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের বাস পাকিস্তানে। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল এই দেশের আয়তন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল নগরী করাচির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০। এদিকে লাহোরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখের কিছু বেশি। ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ভারতের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক দরিদ্র মানুষের বাস পাকিস্তানে— ৯ কোটি ৩০ লাখ।
বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান দেশটি। এখানে পার্বত্য এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মরুভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও নাম আছে পাকিস্তানের।
বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার মানুষের বাস। আফ্রিকার দেশটির আয়তন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার।
সবচেয়ে জনবহুল শহর লাগোসে বাস ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি খনিজ তেল।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, জনবহুল দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান ৭–এ। দেশটিতে বাস করে ২১ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ।
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য আমাজনের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি–গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল শহরটি ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস। দ্বিতীয় জনবহুল শহর রিও ডি জেনিরোর জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।
জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮–এ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার। কিন্তু আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার হওয়ার দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
এদিকে জনবহুল শহরের তালিকায় ৪–এ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং উর্বর ভূমি থাকার পরও ছোট্ট একটি দেশে বিপুল মানুষের বসবাসের কারণে এর বাসিন্দাদের নানা ধরনের সমস্যার মুখ পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা এখানে সীমিত। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে। ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস দেশটিতে। আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত এ দেশ। রাশিয়ার ৬০ শতাংশ এলাকাই মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। মস্কোর জনসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
দেশটির মুদ্রা রুবল। শিল্প–সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
জনবহুল দেশের তালিকায় ১০–এ আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির আয়তন ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার। সবচেয়ে জনবহুল শহর আদ্দিস আবাবার জনসংখ্যা ৫৭ লাখের কিছু বেশি।
দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশই চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুসারে, চরম দরিদ্র মানুষ বসবাসের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। এখানকার ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আরও খবর পড়ুন:

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
৩৮ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লালগালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লালগালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
৩৮ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
৩৮ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর বা সহযোগী হিসেবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুইন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে তাঁর মৃত্যু ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসেবে কাজ করে, যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএলের সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিসরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা-সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সব সময় একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন, এমনকি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে তাঁর সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট, এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন, যাঁরা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তাঁর গোষ্ঠী তাঁদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এর পর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলো আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসেবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি এমনকি যারা হামাসের বিরোধী, আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তাঁর ভাগ্য ক্রমেই নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছিল।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর বা সহযোগী হিসেবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুইন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে তাঁর মৃত্যু ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসেবে কাজ করে, যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএলের সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিসরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা-সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সব সময় একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন, এমনকি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে তাঁর সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট, এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন, যাঁরা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তাঁর গোষ্ঠী তাঁদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এর পর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলো আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসেবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি এমনকি যারা হামাসের বিরোধী, আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তাঁর ভাগ্য ক্রমেই নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছিল।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
৩৮ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে