ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে, বিশাল এলাকা খাঁখাঁ করছে মানুষের অভাবে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুযায়ী ১৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আয়তনে আছে ৭ নম্বরে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা অববাহিকার উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য পরিচিত। হাজার বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি–গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ভারতের শহর আছে দুটি। এর মধ্যে দিল্লির অবস্থান ২ আর মুম্বাইয়ের ৯ নম্বরে। শুধু দিল্লিতেই বাস ৩ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষের। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির এক জরিপ অনুয়ায়ী, বিশ্বের চরম দরিদ্র ১১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটিরই বাস ভারতে।
খুব বেশি দিন হয়নি ভারতের কাছে বিশ্বের জনবহুল দেশের মুকুট হারিয়েছে চীন। বর্তমানে তালিকার ২ নম্বরে থাকা এই দেশের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার। আয়তনের দিক থেকে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটারের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি ও ইয়েলো রিভারের অববাহিকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী।
জনবহুল শহরের তালিকায় প্রথম দশে আছে চীনের দুটি শহর। সাংহাইয়ের অবস্থান ৩–এ, আর দেশটির রাজধানী শহর বেইজিংয়ের অবস্থান ৮–এ।
জনবহুল দেশের তালিকায় বিশ্বের এই পরাশক্তির অবস্থান ৩–এ। যদিও ভারত ও চীনের কেবল চার ভাগের এক ভাগ লোকের বাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার।
মজার ব্যাপার হলো, আয়তনের দিক থেকেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই আছে এই ভূ–ভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এমন একটি শহরও নেই। সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কে প্রায় ৮১ লাখ মানুষের বাস। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস ৩৭ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষের।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
আয়তনে অবশ্য সেরা ১০–এর মধ্যেও নেই ইন্দোনেশিয়া। ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটির রাজধানী জাকার্তা। সবচেয়ে জনবহুল শহরও জাকার্তা। ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বাস রাজধানীতে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়েছে ১৭ হাজারটি ছোটবড় দ্বীপ নিয়ে। পর্যটনের জন্য আলাদা নাম আছে দেশটির। বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সাগর–পাহাড়ের আশ্চর্য মেলবন্ধনের দ্বীপ বালি।
২৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের বাস পাকিস্তানে। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল এই দেশের আয়তন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল নগরী করাচির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০। এদিকে লাহোরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখের কিছু বেশি। ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ভারতের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক দরিদ্র মানুষের বাস পাকিস্তানে— ৯ কোটি ৩০ লাখ।
বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান দেশটি। এখানে পার্বত্য এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মরুভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও নাম আছে পাকিস্তানের।
বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার মানুষের বাস। আফ্রিকার দেশটির আয়তন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার।
সবচেয়ে জনবহুল শহর লাগোসে বাস ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি খনিজ তেল।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, জনবহুল দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান ৭–এ। দেশটিতে বাস করে ২১ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ।
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য আমাজনের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি–গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল শহরটি ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস। দ্বিতীয় জনবহুল শহর রিও ডি জেনিরোর জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।
জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮–এ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার। কিন্তু আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার হওয়ার দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
এদিকে জনবহুল শহরের তালিকায় ৪–এ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং উর্বর ভূমি থাকার পরও ছোট্ট একটি দেশে বিপুল মানুষের বসবাসের কারণে এর বাসিন্দাদের নানা ধরনের সমস্যার মুখ পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা এখানে সীমিত। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে। ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস দেশটিতে। আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত এ দেশ। রাশিয়ার ৬০ শতাংশ এলাকাই মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। মস্কোর জনসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
দেশটির মুদ্রা রুবল। শিল্প–সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
জনবহুল দেশের তালিকায় ১০–এ আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির আয়তন ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার। সবচেয়ে জনবহুল শহর আদ্দিস আবাবার জনসংখ্যা ৫৭ লাখের কিছু বেশি।
দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশই চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুসারে, চরম দরিদ্র মানুষ বসবাসের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। এখানকার ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আরও খবর পড়ুন:

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে, বিশাল এলাকা খাঁখাঁ করছে মানুষের অভাবে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুযায়ী ১৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আয়তনে আছে ৭ নম্বরে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা অববাহিকার উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য পরিচিত। হাজার বছরের ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি–গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০ শহরের তালিকায় ভারতের শহর আছে দুটি। এর মধ্যে দিল্লির অবস্থান ২ আর মুম্বাইয়ের ৯ নম্বরে। শুধু দিল্লিতেই বাস ৩ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষের। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির এক জরিপ অনুয়ায়ী, বিশ্বের চরম দরিদ্র ১১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৩ কোটিরই বাস ভারতে।
খুব বেশি দিন হয়নি ভারতের কাছে বিশ্বের জনবহুল দেশের মুকুট হারিয়েছে চীন। বর্তমানে তালিকার ২ নম্বরে থাকা এই দেশের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার। আয়তনের দিক থেকে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটারের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি ও ইয়েলো রিভারের অববাহিকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী।
জনবহুল শহরের তালিকায় প্রথম দশে আছে চীনের দুটি শহর। সাংহাইয়ের অবস্থান ৩–এ, আর দেশটির রাজধানী শহর বেইজিংয়ের অবস্থান ৮–এ।
জনবহুল দেশের তালিকায় বিশ্বের এই পরাশক্তির অবস্থান ৩–এ। যদিও ভারত ও চীনের কেবল চার ভাগের এক ভাগ লোকের বাস যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার।
মজার ব্যাপার হলো, আয়তনের দিক থেকেও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই আছে এই ভূ–ভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে এমন একটি শহরও নেই। সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কে প্রায় ৮১ লাখ মানুষের বাস। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস ৩৭ লাখ ৯৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষের।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ।
আয়তনে অবশ্য সেরা ১০–এর মধ্যেও নেই ইন্দোনেশিয়া। ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারের দেশটির রাজধানী জাকার্তা। সবচেয়ে জনবহুল শহরও জাকার্তা। ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষের বাস রাজধানীতে।
পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া গঠিত হয়েছে ১৭ হাজারটি ছোটবড় দ্বীপ নিয়ে। পর্যটনের জন্য আলাদা নাম আছে দেশটির। বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সাগর–পাহাড়ের আশ্চর্য মেলবন্ধনের দ্বীপ বালি।
২৫ কোটি ১২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের বাস পাকিস্তানে। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল এই দেশের আয়তন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সবচেয়ে জনবহুল নগরী করাচির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০। এদিকে লাহোরের জনসংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখের কিছু বেশি। ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ভারতের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক দরিদ্র মানুষের বাস পাকিস্তানে— ৯ কোটি ৩০ লাখ।
বেশ কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান দেশটি। এখানে পার্বত্য এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মরুভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও নাম আছে পাকিস্তানের।
বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার মানুষের বাস। আফ্রিকার দেশটির আয়তন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার।
সবচেয়ে জনবহুল শহর লাগোসে বাস ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নাইজেরিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি খনিজ তেল।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, জনবহুল দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান ৭–এ। দেশটিতে বাস করে ২১ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার মানুষ।
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্য আমাজনের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি–গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল শহরটি ব্রাজিলের সাও পাওলো। এখানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস। দ্বিতীয় জনবহুল শহর রিও ডি জেনিরোর জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।
জনবহুল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ৮–এ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার। কিন্তু আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার হওয়ার দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
এদিকে জনবহুল শহরের তালিকায় ৪–এ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং উর্বর ভূমি থাকার পরও ছোট্ট একটি দেশে বিপুল মানুষের বসবাসের কারণে এর বাসিন্দাদের নানা ধরনের সমস্যার মুখ পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা এখানে সীমিত। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ।
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে। ১৪ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাস দেশটিতে। আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম।
১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটারের রাশিয়া আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত এ দেশ। রাশিয়ার ৬০ শতাংশ এলাকাই মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। মস্কোর জনসংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
দেশটির মুদ্রা রুবল। শিল্প–সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
জনবহুল দেশের তালিকায় ১০–এ আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশটির আয়তন ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার। সবচেয়ে জনবহুল শহর আদ্দিস আবাবার জনসংখ্যা ৫৭ লাখের কিছু বেশি।
দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশই চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির রিপোর্ট অনুসারে, চরম দরিদ্র মানুষ বসবাসের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইথিওপিয়া। এখানকার ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আরও খবর পড়ুন:

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগ্যুদ্ধ। বিরোধীদের দাবি, উত্তর ভারতের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজ’ এখন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোর ৪টার সময় বেঙ্গালুরুর কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি ও ওয়াসিম লেআউটে এই অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ৪টি জেসিবি (এক্সকাভেটর) এবং ১৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ চালানো হয়।

বেঙ্গালুরুতে যখন বছরের সবচেয়ে বেশি শীত বিরাজ করছে, ঠিক তখনই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের দাবি, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ তাদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আসবাব সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি রয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী ও অভিবাসী। বর্তমানে কয়েক শ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর অস্থায়ী তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের অধীনে এখন সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যখন কোনো সরকার ভয় এবং পাশবিক শক্তির মাধ্যমে শাসন করে, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
কেরালার আরেক মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই ঘটনাকে ১৯৭৫ সালের ‘জরুরি অবস্থা’র ক্রূরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিপিআইয়ের (এম) একটি প্রতিনিধিদল উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি ‘উচ্ছেদবিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁর সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকাটি মূলত একটি আবর্জনা ফেলার ভাগাড় ছিল এবং ভূমি মাফিয়ারা এটিকে বস্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছিল।
শিবকুমার দাবি করেন, তাঁরা কাউকে কষ্ট দিতে চান না, বরং সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুলডোজার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। পিনরাই বিজয়নের মতো প্রবীণ নেতাদের মাঠের বাস্তবতা না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
তবে অনেকেই বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকারের এমন ‘বুলডোজার’ নীতি তাদের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন বন্ধুপ্রতিম দলগুলোই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগ্যুদ্ধ। বিরোধীদের দাবি, উত্তর ভারতের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজ’ এখন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোর ৪টার সময় বেঙ্গালুরুর কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি ও ওয়াসিম লেআউটে এই অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ৪টি জেসিবি (এক্সকাভেটর) এবং ১৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ চালানো হয়।

বেঙ্গালুরুতে যখন বছরের সবচেয়ে বেশি শীত বিরাজ করছে, ঠিক তখনই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের দাবি, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ তাদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আসবাব সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি রয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী ও অভিবাসী। বর্তমানে কয়েক শ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর অস্থায়ী তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের অধীনে এখন সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যখন কোনো সরকার ভয় এবং পাশবিক শক্তির মাধ্যমে শাসন করে, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
কেরালার আরেক মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই ঘটনাকে ১৯৭৫ সালের ‘জরুরি অবস্থা’র ক্রূরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিপিআইয়ের (এম) একটি প্রতিনিধিদল উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি ‘উচ্ছেদবিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁর সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকাটি মূলত একটি আবর্জনা ফেলার ভাগাড় ছিল এবং ভূমি মাফিয়ারা এটিকে বস্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছিল।
শিবকুমার দাবি করেন, তাঁরা কাউকে কষ্ট দিতে চান না, বরং সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুলডোজার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। পিনরাই বিজয়নের মতো প্রবীণ নেতাদের মাঠের বাস্তবতা না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
তবে অনেকেই বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকারের এমন ‘বুলডোজার’ নীতি তাদের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন বন্ধুপ্রতিম দলগুলোই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে সন্ত্রাসীদের জন্য ‘বড়দিনের উপহার’ হিসেবে অভিহিত করলেও স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর এলাকায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম-গন্ধও নেই। তাঁরা কখনো আইএস দেখেননি।
সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল জেলার মুসলিমপ্রধান কৃষিভিত্তিক জনপদ জাবোর বাসিন্দা সুলেমান কাগারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং মাথার ওপর দিয়ে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ে গ্রামবাসীরা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে শুরু করেন।
কাগারা বলেন, ‘আমরা কাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমাদের জীবনে আমরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি।’
এদিকে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বছরের পর বছর ধরে নিরীহ খ্রিষ্টানদের হত্যা করছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে জাবোর মানুষ আকাশ থেকে পড়েছে।
সুলেমান কাগারা জানান, জাবো গ্রামে মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই। সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাশার ইসাহ জাবো বলেন, ‘এটি একটি শান্ত এলাকা। এখানে আইএস, লাকুরাওয়া বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কোনো ইতিহাস নেই।’
বাশার ইসাহ আরও বলেন, মিসাইলটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি খোলা মাঠে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত না হলেও পুরো জনপদে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়া যৌথভাবে সোকোটোর তানগাজা জেলার জঙ্গলে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, অভিযানের সময় ব্যবহৃত গোলার ধ্বংসাবশেষ বা ‘ডেব্রিস’ জাবো গ্রাম এবং উত্তর-কেন্দ্রীয় কওয়ারা রাজ্যের কিছু এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তারা এটাও দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নামদি ওবাসি মনে করেন, এই বিমান হামলা হয়তো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কিছুটা দুর্বল করবে, কিন্তু নাইজেরিয়ার বহুমাত্রিক সহিংসতা শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সুশাসনের অভাব, চারণভূমি ও পানির দখল নিয়ে কৃষক-পশুপালকদের জাতিগত দাঙ্গা এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে, সন্ত্রাস দমনের নামে সাধারণ জনপদে এ ধরনের হামলা তাদের জীবনকে আরও অনিরাপদ করে তুলছে।

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে সন্ত্রাসীদের জন্য ‘বড়দিনের উপহার’ হিসেবে অভিহিত করলেও স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর এলাকায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম-গন্ধও নেই। তাঁরা কখনো আইএস দেখেননি।
সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল জেলার মুসলিমপ্রধান কৃষিভিত্তিক জনপদ জাবোর বাসিন্দা সুলেমান কাগারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং মাথার ওপর দিয়ে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ে গ্রামবাসীরা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে শুরু করেন।
কাগারা বলেন, ‘আমরা কাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমাদের জীবনে আমরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি।’
এদিকে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বছরের পর বছর ধরে নিরীহ খ্রিষ্টানদের হত্যা করছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে জাবোর মানুষ আকাশ থেকে পড়েছে।
সুলেমান কাগারা জানান, জাবো গ্রামে মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই। সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাশার ইসাহ জাবো বলেন, ‘এটি একটি শান্ত এলাকা। এখানে আইএস, লাকুরাওয়া বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কোনো ইতিহাস নেই।’
বাশার ইসাহ আরও বলেন, মিসাইলটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি খোলা মাঠে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত না হলেও পুরো জনপদে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়া যৌথভাবে সোকোটোর তানগাজা জেলার জঙ্গলে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, অভিযানের সময় ব্যবহৃত গোলার ধ্বংসাবশেষ বা ‘ডেব্রিস’ জাবো গ্রাম এবং উত্তর-কেন্দ্রীয় কওয়ারা রাজ্যের কিছু এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তারা এটাও দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নামদি ওবাসি মনে করেন, এই বিমান হামলা হয়তো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কিছুটা দুর্বল করবে, কিন্তু নাইজেরিয়ার বহুমাত্রিক সহিংসতা শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সুশাসনের অভাব, চারণভূমি ও পানির দখল নিয়ে কৃষক-পশুপালকদের জাতিগত দাঙ্গা এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে, সন্ত্রাস দমনের নামে সাধারণ জনপদে এ ধরনের হামলা তাদের জীবনকে আরও অনিরাপদ করে তুলছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এই বিপুল জনসংখ্যার বড় একটি অংশের বাস নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে। আবার এমন অনেক দেশও আছে বিশাল এলাকা খাঁ খাঁ করছে মানুষের অভাবে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের জনবহুল ১০ দেশের সঙ্গে। বুঝতেই পারছেন তালিকায় আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশও আছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
২ ঘণ্টা আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৫ ঘণ্টা আগে